মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
লকডাউনকে ‘তামাশা’ বললেন ফখরুল
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত লকডাউনকে ‘তামাশা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘সরকার আবারও সাত দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে, যা এখন একটি তামাশায় পরিণত হয়েছে। এটি এখন সোমবারের পরিবর্তে বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর করা হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘সরকারের অযোগ্যতা এবং এবং জবাবদিহিতা না থাকার কারণে লকডাউন পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। দরিদ্র ও দিনমজুরদের জন্য খাদ্য নিশ্চিত এবং বিভিন্ন খাতের শ্রমিকদের নগদ টাকার ব্যবস্থা না করে লকডাউন কখনও কার্যকর হতে পারে না।’
আরও পড়ুন: মহামারির মধ্যে দুর্নীতি জীবনকে মূল্যহীন করে তুলেছে: বিএনপি
শনিবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে রবিবার (২৭ জুন) বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এসব কথা বলেন।
লকডাউনকে কেন তামাশার সাথে তুলনা করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এর আগে সরকার লকডাউনের নামে প্রথমে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলো। সেই ছুটিতে দেখা গেল শ্রমিকরা একবার বাড়ি গেল, আবার তারা ফিরে এলো। শনিবার আবার লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হলো। একটা লকডাউন তো চলছে এখন। বাইরের জেলাগুলোর সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ বন্ধ। যার ফলে কী হচ্ছে? মানুষে হেঁটে রওনা দিয়েছেন ঢাকার দিকে। একদল লোক যাচ্ছে ছুটি সাত দিন মনে করে। আবার আরেক দল ঢাকায় ফিরছে। এই যে অবস্থাগুলো আপনি আগে চিন্তা করবেন না কী হতে পারে? নানা নামে লকডাউন ব্যবহার করে তামাশা করছে।’
আরও পড়ুন: পরীমণির ঘটনায় সন্দেহের গন্ধ খুঁজছে বিএনপি
তিনি বলেন, ‘সরকার কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই রাজধানী থেকে আন্তঃজেলা পরিবহন পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে অনেকে ঢাকা ত্যাগ করছেন এবং আরও অনেকে ছুটি হিসেবে সাত দিনের লকডাউনের কারণে পায়ে হেঁটে বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে ফিরে আসছেন।’
এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন নসু উপস্থিত ছিলেন।
মহামারির মধ্যে দুর্নীতি জীবনকে মূল্যহীন করে তুলেছে: বিএনপি
স্বাস্থ্য খাতে 'ব্যাপক দুর্নীতির' কারণে সরকার টিকা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় জনগণের জীবন মূল্যহীন হয়ে উঠেছে বলে রবিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে করুণ অবস্থা। এখন পর্যন্ত জনগণের করোনার টিকার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ, এই টিকার সাথে, স্বাস্থ্য খাতের যারা জড়িত, তারা সবাই দুর্নীতির সাথে জড়িত হয়ে গেছেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় জামিনে মুক্ত
জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘জিয়া পরিষদ-কেন্দ্রীয় কমিটি’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
সরকার দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করে পরিকল্পিত উপায়ে অর্থনীতি ধ্বংস করেছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘তারা মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে জনসাধারণের অর্থ লুট করছে। ১০ হাজার কোটি কোটি টাকার একটি প্রকল্প ৫০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে পরিণত হচ্ছে, এভাবেই তারা অর্থ উপার্জনের সরঞ্জাম হিসাবে মেগা প্রকল্পগুলো তৈরি করছে।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
তিনি বলেন, ‘সরকার গেট তৈরি করার জন্য টাকা দিয়েছে। স্কুল-মাদরাসা সব জায়গায় বড় বড় গেট নির্মাণ করতে হবে। এই মুহূর্তে গেট নির্মাণের চেয়ে ট্রান্স রুট নির্মাণ করা বেশি দরকার। তবে তারা এটি করছে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, সামাজিক অপরাধের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন দেশে মানুষের নিরাপত্তা নেই। খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায় ভয়াবহ হত্যার ঘটনা। আজকের (রবিবার) পত্রিকায় যে ঘটনাটি এসেছে তা হলো একটি মেয়ে তার বাবা-মা এবং বোনকে হত্যা করেছে। এই জাতীয় ঘটনাগুলো দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে।’
আরও পড়ুন: পরীমণির ঘটনায় সন্দেহের গন্ধ খুঁজছে বিএনপি
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করেছেন।
হৃদযন্ত্র, কিডনির সমস্যায় জ্বরে ভুগছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
করোনার পরবর্তী অসুস্থায় রাজধানীর এভার কেয়ারে হাসপাতালে চিকিৎসারত বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্র ও কিডনি সমস্যার কারণে বারবার জ্বরে ভুগছেন।
সোমবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা জানান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্মসনদসহ নথিপত্র হাইকোর্টে তলব
তিনি বলেন, ‘আমি চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি তিনি (খালেদা জিয়া) হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন। তার ফুসফুসে বারবার পানি জমে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা মনে করছেন, তার কিডনি এবং লিভার ঠিক ভাবে কাজ করছে না।’
ফখরুল আরও বলেন, এসকল সমস্যার কারণেই খালেদা জিয়া বারবার জ্বরে ভুগছেন।
এসময় বিএনপি মহাসচিব এভার কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া তিনি জানান, চিকিৎসকরা মনে করছেন বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া: বিদেশ নেবার অনুমতি দেয়নি সরকার
৭৬ বছর বয়সী বিএনপি নেত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৭ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভর্তির একদিন পর ২৮ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
পরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসার চেয়ে নেতা-কর্মীরা রাজনীতি নিয়ে বেশি ব্যস্ত: হানিফ
গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা পজিটিভের ফল আসে। তিনি ছাড়াও তার বাসার আট সদস্য করোনায় আক্রান্ত। ২৪ এপ্রিল খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় দফা করোনা পরীক্ষাতেও ফলাফল পজিটিভ আসে।
২৭ দিন করোনা আক্রান্ত থাকার পর ৮ মে খালেদার করোনা নেগেটিভ আসে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার হার্ট ও কিডনি অ্যাফেক্টেড: ফখরুল?
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার সেই আবেদনে অনুমতি দেয়নি।
দুর্নীতির মামলায় ২৫ মাস কারাভোগের পর করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নির্বাহী আদেশে ছয় মাস দণ্ড স্থগিত হওয়ায় গত বছরের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পান সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে নেয়া হলেও তিনি এখনও স্বাস্থ্য ঝুঁকির বাইরে নন।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) ম্যাডামকে একটি বিশেষ কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, তবে তিনি এখনও সুস্থ হননি। এটি বলা যেতে পারে যে তিনি এখনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার হার্ট ও কিডনি অ্যাফেক্টেড: ফখরুল
সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, ‘তার (খালেদা) হৃদযন্ত্র, কিডনি ও ফুসফুস ঝুঁকিতে আছে। যদিও তার ফুসফুসে কোনও সংক্রমণ নেই, তবে তার হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যা রয়েছে।’
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের বিষয়ে তার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে বিএনপি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল।
ফখরুল জানান, দীর্ঘদিন সিসিইউতে থাকাকালে খালেদা জিয়ার কোভিড-পরবর্তী কিছু প্রতিক্রিয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া: বিদেশ নেবার অনুমতি দেয়নি সরকার
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সিসিইউতে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকায় চিকিৎসকরা বিএনপি প্রধানকে একটি বিশেষ কেবিনে স্থানান্তরিত করেছেন।
করোনা পজিটিভ হওয়ায় ৭৬ বছর বয়সী বিএনপির চেয়ারপারসনকে গত ২৭ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে গত ৩ মে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়।
জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
রবিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের চেয়ারপার্সন গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস বিস্তারের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মসূচিগুলো পালিত হবে।
১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল সেনা কর্মকর্তা হত্যা করে।
ফখরুল বলেন, কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩০ নভেম্বর সকাল ৬টায় নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনিমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এছাড়াও দলীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সকাল ১১টায় শেরে বাংলা নগরের জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের বিচারিক ক্ষমতার বিরুদ্ধে বিএনপি
জিয়ার স্মরণে ২৯ মে একটি অনলাইন আলোচনা সভার আয়োজন করবে দলটি।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো মৃত্যুবার্ষিকী কর্মসূচির অংশ হিসেবে জিয়ার কার্যক্রম নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির ব্যবস্থা করবে।
দলে মহানগর, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা কমিটিগুলো জিয়ার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মাহফিলের ব্যবস্থা করবে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখা বিএনপির নেতারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করবেন।
সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় প্রমাণ করে দেশে বিন্দুমাত্র গণতন্ত্র নেই: ফখরুল
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নির্যাতনের প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এমন করে সাংবাদিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় দেশে বিন্দুমাত্র কোন গণতন্ত্র নেই।
তিনি বলেন, ‘সরকার নিজেরাই পলিসি উদ্ধার করে, তারাই দেশটাকে এভাবে চরম অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে দেশ চালাতে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে এরকম আচরণ করছে সরকার। এটা আশা করা যায় না।'
বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'একজন নারী সাংবাদিককে মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা কীভাবে নাজেহাল করে? তাদের বদলি করা কোন সমাধান নয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারাগারে নেয়া উচিত ছিল। এটা করলে তাও সাংবাদিকরা একটু স্বস্তি পেতো।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার গ্রেপ্তারে জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশ
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা যাতে করে সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে না পারে তার জন্য এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। যিনি ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশে অনুসন্ধানী রিপোর্টের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি সত্যটা বের করে জনগণের সামনে এনেছিলেন। বিশেষ করে করোনা সংক্রান্ত সরকারের যে দুর্নীতি, অধিদপ্তরের যে দুর্নীতি এগুলোকে তিনি জনসম্মুখে নিয়ে এসেছিলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কার্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি ন্যাক্কারজনক। এটার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। ৫ ঘণ্টা আটক করে তাকে পুলিশে দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর জন্য সরকারকে ধিক্কার জানাচ্ছি। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সসম্মানে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগ দাবি করছি।'
আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক নয়, আমলাতান্ত্রিক সরকার বলেও এ সময় বিএনপি মহাসচিব মন্তব্য করেন।
‘রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি থাকতো, তাহলে সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন আচরণ হতো না। এরা (আওয়ামী লীগ) ফ্যাসিস্ট সরকার, তাই তাদের নির্ভর করতে হয় আমলাদের উপর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর। যে কারণে অন্যান্য ব্যবস্থাগুলোকওে তারা দলীয়করণ করে ফেলেছে,’ বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, অফিসিয়াল সিক্রেসি এ্যাক্ট চালু করা ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই তাদের। এ সরকার দমন, নির্যাতন, সাংবাদিক দলন ও মানুষের অধিকার হরণ করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাংসদ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনতাজুল হক, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক রোজিনার তাৎক্ষণিক মুক্তি দাবি করেছেন ফখরুল
প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করাকে, সত্য ও দুর্নীতি প্রকাশে সরকারের বাঁধার এক উদাহরণ বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে এই ঘটনায় নিন্দা জানান এবং ভুক্তভোগী রোজিনার তাৎক্ষণিক মুক্তি দাবি করেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নানের পদত্যাগের দাবিও করেন। তিনি মনে করেন, রোজিনাকে তাদের নির্দেশে দমন করার চেষ্ট চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা গ্রেপ্তার
ফখরুল বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের দায় এড়াতে পারে না সরকার। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য সচিব ঘটনাটি সম্পর্কে জানতেন, তারা রোজিনা ইসলামকে উদ্ধারে কোনও পদক্ষেপ নেননি। বরং তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটি তুচ্ছ বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি কেবল কর্তৃত্ববাদী সরকারের দ্বারা সাংবাদিকদের দমন করার একটি উদাহরণ। এছাড়া ভিন্নমত পোষণ করা, সত্য উন্মোচন করা এবং দুর্নীতিবাজ ও দুর্নীতির বিষয়ে সরকারের বাঁধা দেওয়ার একটি উদাহরণ এই ঘটনা।’
তিনি আরও বলেন, সাহসী ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের এই ঘটনা দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে, যাতে তারা আর সরকারের ‘দুর্নীতি, চুরি, অনিয়ম’ নিয়ে রিপোর্ট করতে না পারে। সাংবাদিকদের মাঝে সরকার ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে নিজেদের দুর্নীতিকে ঢাকতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সরকার আইন-আদালতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে: ফখরুল
সরকার আইন-আদালতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, 'বর্তমান সরকার আইন-আদালতকে নিজের সুবিধায় ইচ্ছেমত ব্যবহার করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তারা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। বর্তমানে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে আইন বলতে কিছু নেই, বিচার বলতে কিছু নেই। সবকিছু মিলিয়ে সরকার ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।'
রবিবার বিকালে ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয়তাবাদি আইনজীবী সমিতির নির্বাচনপূর্ব এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'দেশে বর্তমানে চরম এক দু:সময় চলছে। বর্তমানে করোনা মহামারির কারণে দেশের ন্যায় সারা বিশ্বে খুব খারাপ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ধরনের মহামারী ভয়ংকরভাবে আঘাত করতে পারে তার নমুনা আমরা দেখছি। যারা দিন আনে দিন খায় এবং ছোট ছোট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তাদের অবস্থা খুব খারাপ।’
তিনি বলেন, দেশের প্রধানখাতগুলো থেকে আয়ের পরিমাণ কমেছে। অন্যদিকে ১৯৭১ সালে দেশের জনগোষ্ঠীর জন্য যে একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক সার্বভৌম রাষ্ট্র নির্মাণ করা ছিল আমাদের লক্ষ্য, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল এখানে গণতন্ত্র থাকবে, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, দায়িত্বরোধ ও জবাবদিহি থাকবে-কিন্তু এই বিষয়গুলো আওয়ামী লীগ সরকার সুপরিকল্পিতভাবে হরণ করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরিতে ব্যস্ত বিএনপি: কাদের
‘১৯৭৫ সালে তারা বাকশালের নামে যে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেছিল সেই একই লক্ষ্যে তারা আজ বিভিন্ন আঙ্গিকে লকডাউনকে সামনে রেখে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার চেষ্টা করছে। এজন্য তারা আইন ও আদালত এই দুটোই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে,’ বলেন বিএনপি নেতা।
ফখরুল বলেন, ‘আদালতের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। শতভাগ রাজনৈতিক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পক্ষে মতামত দিলেও আওয়ামী লীগ সরকার এক দিনের মধ্যে সংসদের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। এরপরে তারা ধারাবাহিকভাবে আইন তৈরি করে বাক স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা এমন কি নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করার যে স্বাধীনতা অর্থাৎ সেই প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।'
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, এই আইন দিয়ে শুধু সাংবাদিক নয়, শিশু- কিশোর, গৃহবধূ ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। তারা আইন, আদালত, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনসহ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে তাদের পছন্দের লোক বসিয়েছে।
দেশে ভয় ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের মধ্যে ভয় ভীতি ছড়িয়ে দেয়া যেটা তারা করতে পেরেছে। এ ব্যাপারে তিনি বিভিন্ন মিথ্যা মামলার কথা উল্লেখ করেন।
বেগম খালেদা জিয়ার মামলা ও কারাদণ্ডের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সাধারণ মানুষের আজ আইনের প্রতি আস্থা নেই-এটা একটা ভয়ঙ্কর বিষয়।
বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমি কালও বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছি। তার চিকিৎসকরা চিন্তিত যে এখানে সঠিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো উচিৎ।
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নির্দিষ্ট কোনো বরাদ্দ নেই, অভিযোগ বিএনপির
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার বলেছেন, এই মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ এবং দিন মজুরদের, তবে এই ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
ভার্চুয়াল এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে করোনা মহামারির শিকার জনগোষ্ঠীর জন্য যে বরাদ্দ সুবিধা দেয়া হচ্ছে তা সরকার পক্ষের লোকজন ভোগ করে নিচ্ছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি সরকারের উচিত করোনাকালীন সময়ে বিশেষ করে যারা দিনে আনে দিনে খায় এবং ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে কাজ করে তাদের সাহায্য করা। আমাদের দরিদ্র ভাই বোনেরা করোনার এই প্রকোপে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো প্রণোদনার ঘোষণা দেয়া হয়নি৷’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে ক্ষমা চেয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
তিনি বলেন, তাদের দলের পক্ষ থেকে সরকারকে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তিনমাসে এককালীন ১৫ হাজার টাকা করে প্রণোদনা দেয়ার কথা বলা হলেও সরকার সে ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাদের জন্য যে সুবিধা ঘোষণা করা হচ্ছে তা সরকারি এবং আওয়ামী লীগ নেতারা ভোগ করছে।
বিএনপির শ্রমিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ৪২তম প্রতিষ্টাবার্ষিকী এবং মে দিবস উপলক্ষে এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দরিদ্র, দিনমজুর এবং শ্রমিকদের ভোগান্তি কমাতে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে লকডাউন বাড়ানোয় সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকার দেশকে ‘নরকে’ পরিণত করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, দিনমজুর, দরিদ্র এবং নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তি কমাতে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে সরকার এই লকডাউন জারি করেছে। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য লকডাউনের নামে এই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘লকডাউনের সুবিধ নিয়ে সরকার বিভিন্ন ধর্মীয় এবং ছাত্রসংগঠনের নেতাদের গ্রেপ্তার করছে। সরকারের বিরুদ্ধে যার কথা বলছে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, পুরো জাতি এখন তাদের হাতে জিম্মি।’
জনগণের আনুকূল্যে সরকার প্রতিষ্ঠা এবং মৌলিক অধিকার রক্ষার আন্দোলনে শ্রমিক এবং ছাত্রসমাজকে একত্রিত হয়ে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতাদের মুক্তির দাবি জানাল বিএনপি
খালেদার অবস্থা
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে সোমবার খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে (করোনা কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তিনি এখনো সিসিইউতে আছেন এবং তাকে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
ফখরুল বলেন, খালেদ জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন চিকিৎসকরা। তার দ্রুত সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা পজিটিভের ফল আসে। তিনি ছাড়াও তার বাসার আট সদস্য করোনায় আক্রান্ত। ২৪ এপ্রিল খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় দফা করোনা পরীক্ষাতেও ফলাফল পজিটিভ আসে।
উপসর্গ ছাড়াই খালেদার করোনা শনাক্ত: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার বলেছেন, তাদের দলে চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া করোনাভাইরামে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তিনি এখন সুস্থ আছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার নমুনা গতকাল (শনিবার) আইসিডিডিআরবিতে নেয়া হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি যে তার রিপোর্ট পজিটিভ।’
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, এখন তিনি মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তার ব্যক্তিগত চিকিত্সকের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘তিনি স্টেবল আছেন, ভালো আছেন। কোনো দৃশ্যমান কোভিড লক্ষণ নেই।’
তিনি বলেন, তার ব্যক্তিগত চিকিত্সকরা প্রয়োজনে তার আরও উন্নত চিকিত্সার জন্য পদক্ষেপ নেবেন।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা খালেদা দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসী ও দলীয় নেতা-কর্মীদের দোয়া করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি স্থানীয় নেতা-কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি বজায় রাখার পাশাপাশি স্থানীয় মসজিদগুলোতে তার জন্য দোয়া মাহফিলের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
‘তার স্বাস্থ্যের অবস্থা পুরোপুরি স্থিতিশীল এবং ইতোমধ্যে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই যে তিনি সুস্থ আছেন এবং তার ব্যক্তিগত চিকিত্সকদের অধীনে চিকিত্সা নিচ্ছেন,’ বলেন ফখরুল
খালেদার গৃহপরিচারিকা ফাতেমা এবং তার গুলশানের বাসভবনে থাকা অন্যদের কোভিড পরীক্ষা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। আমি কেবল আমাদের নেত্রী সম্পর্কে তথ্য পেয়েছি।’
এর অগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাঈদুল ইসলাম প্রধান বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় বেগম জিয়া কোভিড পরীক্ষা করেছেন এবং আজ (রবিবার) পজিটিভ ফল এসেছে।
তিনি বলেন, আইসিডিডিআরবিতে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করে খালেদার করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে।
দুর্নীতির মামলায় ২৫ মাস কারাভোগের পর করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নির্বাহী আদেশে ছয় মাস দণ্ড স্থগিত হওয়ায় গত বছরের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পান সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
একইদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান তিনি এবং তখন থেকেই গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় অবস্থান করছেন।
গত বছরের ২৭ আগস্ট আরও ছয় মাস এবং এরপর গত ১৫ মার্চ আরও ছয় মাসের জন্য তার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠায় আদালত। পরে হাইকোর্ট তার সাজার মেয়াদ দ্বিগুণ করে। একই বছরে তিনি আরও একটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। যদিও তার দল বলছে, দুটি মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।