বিএনপি
ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: ঢাকায় ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
ভোলায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) এক নেতা বুধবার ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। এতে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দুই জনে দাঁড়িয়েছে।
নিহত নূরে আলম জেলা ছাত্রদলের সভাপতি।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির স্বপন জানান, রবিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নূরে আলম গুলিবিদ্ধ হন। ওই দিনই রাজধানীর কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে বিকাল সোয়া ৩টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
রবিবার সকালে সদর উপজেলার কালীনাথ রায়ের বাজারে জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশ করে এর নেতাকর্মীরা।
একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কালীনাথ রায়ের বাজারে বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও গুলি বর্ষণ করে; যার ফলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এসময় একজন নিহত হয় এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এ ঘটনায় হত্যা মামলায় প্রায় ২৫০-৩০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে এবং পুলিশকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩০০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে অন্য একটি মামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০
সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যমত্যে বিএনপি-গণফোরাম
বিএনপি ও মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের একটি অংশ মঙ্গলবার সংলাপে বসে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুগপৎ আন্দোলনে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে।
রাজধানীর আরামবাগে গণফোরামের কার্যালয়ে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে গণফোরাম নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান দানবীয় শাসনব্যবস্থাকে উৎখাতের জন্য অন্য সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একযোগে আন্দোলন করার জন্য আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি যা আমাদের সকল অর্জনকে ধ্বংস করছে।’
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যমতে বিএনপি-জাসদ
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা এবং সব দলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলেছেন তারা।
সেই নির্বাচনের পর, তিনি বলেছিলেন যে তাদের দলের রাষ্ট্র সংস্কার এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে।
মন্টু বলেন, তারা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় ঐক্য তৈরি করে বর্তমান শাসনকে পরাজিত করতে চান এবং এভাবে দেশের জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধার করতে চান।
বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে হতে পারে না বলে বিশ্বাস করেন তিনি। তাই আমরা চাই আগামী সাধারণ নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হোক।
২৪ মে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের মাধ্যমে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে।
দলটি লেবার পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (জাগপা), ন্যাপ (ভাসানী), মুসলিম লীগ, ইসলামী ঐক্যজোট এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করেছে। সাম্যবাদী দল ও ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল), বাংলাদেশ পিপলস লীগ, বাংলাদেশ ন্যাপের সঙ্গেও বৈঠক করে।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ের পেছনে সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি, লুটপাট: বিএনপি
ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভোলায় বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৩০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় সোমবার দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার রাতে ভোলা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান।
তিনি জানান, হত্যা মামলায় প্রায় ২৫০-৩০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে এবং পুলিশকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩০০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে অন্য একটি মামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে বলেও জানান ওসি।
গতকাল রবিবার সকালে সদর উপজেলার কালীনাথ রায়ের বাজারে তাদের জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কালীনাথ রায়ের বাজারে বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও গুলি বর্ষণ করে; যার ফলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এসময় একজন নিহত হয় এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০
পুলিশের গুলিতে শিশু নিহত: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকারের কোনো বাধা থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো বাধা দেবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।রবিবার সচিবালয়ে জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। তার রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। সে কৌশলে তারা নির্বাচনে যাবে কি যাবে না এটা তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু রাস্তাঘাট বন্ধ করবে জানমালের ক্ষতি করবে এটা আমরা করতে দেবো না। তারা প্রেসক্লাবে রোজ মিটিং করছে আমরা বাঁধা দিচ্ছি না।তিনি বলেন, ‘তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে যে সভা বা প্রচার করবে তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তারা যখনই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে বা জানমালে আঘাত করবে, সেখানে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী চুপ থাকবে না; তাদের কাজ তারা করবে। বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ আন্দোলনে নামবে কিনা এটা জনগণের ওপর। জনগণ নামলে তো নামবে। তার এটা নিশ্চিত যে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আলোকিত হচ্ছে, সেখানে এদেশের মানুষ আর কখনই অন্ধকারে ফিরে যাবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সভায় ১৫ আগস্টকে সামনে রেখে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হবে। ধানমন্ডি লেকেও নৌপুলিশ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। ওই এলাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ডিএমপির নির্দেশনায় হবে। বিদেশি মিশনের কূটনীতিবিদরা ধানমন্ডি ও বনানী কবরস্থানে পুস্পস্তবক অর্পণের জন্য যাওয়া আসার জন্য তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের ব্যবস্থা থাকবে।ঢাকায় বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শ্রদ্ধা নিবদেনস্থলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গোপালগঞ্জে জাতির পিতার সমাধিতে সব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা থাকবে। সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সারাদেশে গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হবে। কেউ যাতে কোনো রকমের নাশকতা না করতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এটাও আলোচনা হয়েছে, যতগুলো নাশকতা হয়েছে এই ১৫ আগস্টের পরে। ২১ আগস্ট নিশ্চয়ই ভুলে যান নাই বা ১৭ আগস্টের কথাও নিশ্চয়ই ভুলে যান নাই। সেটা মাথায় রেখে যাতে এ ধরনের নাশকতা না হয় আমাদের গোয়েন্দারা সেই দিকে নজর রাখবে।অনুষ্ঠানস্থলে অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবল নিয়ে ফায়ার সার্ভিস প্রস্তুত থাকবে। কেউ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যাতে গুজব ছড়াতে না পারে এ জন্য আমরা লক্ষ্য রাখবো। এ ব্যাপারে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো যাতে কোনো প্রচেষ্টা ফলপ্রসু না হয়।’তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এ ক্ষেত্রে ফ্ল্যাগ রুলস যথাযথ অনুসরণ করতে হবে। যারা পতাকা উড়াবেন তাদের নিয়ম মেনে উড়াবেন এবং যথাসময়েই নামাবেন। সব অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে করতে আমরা অনুরোধ করেছি।’তিনি আরও বলেন, ‘সব অনুষ্ঠানস্থলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে।’
আরও পড়ুন: মাদকের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০
ভোলা সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং সাত পুলিশ সদস্যসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার উপজেলার কালীনাথ রায় বাজার এলাকায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশের সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রহিম বিএনপির কর্মী।
বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকে দলের নেতাকর্মীরা তাদের জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ের পেছনে সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি, লুটপাট: বিএনপি
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ সরদার জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা কালীনাথ রায় বাজারে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
তিনি বলেন, নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে তারা গুলি ছুড়েন এবং কাঁদনে গ্যাস নিক্ষেপ করেন। এতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় এবং একজন নিহত হন।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ূন কবির শোপান বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে আব্দুর রহিম নামে বিএনপির এক কর্মী নিহত হয়েছেন।’
ঝামেলা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: সড়কে নৈরাজ্যের জন্য সরকারের সমালোচনা বিএনপির
চলমান লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে গত ২৬ জুলাই সারাদেশে তিনদিনব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
লোডশেডিংয়ের পেছনে সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি, লুটপাট: বিএনপি
সরকারের ‘মেগা’ দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে দেশবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশের এখন প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এখন কেন লোডশেডিং হচ্ছে? এর পেছনের কারণ হলো মেগা দুর্নীতি ও চুরি।’
এক জনসভায় বক্তৃতাকালে তিনি অভিযোগ করেন যে সরকার কুইক-রেন্টাল এবং অন্যান্য পাওয়ার প্ল্যান্টের সঙ্গে এই জাতীয় চুক্তি স্বাক্ষর করার পর থেকে ১০টি কোম্পানিকে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসাবে হাজার হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে যদিও তারা কোনও বিদ্যুৎ উৎপাদন করেনি।
চলমান লোডশেডিং, জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনা এবং জ্বালানি-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য পদত্যাগ করলে আপনাদের সঙ্গে চা খাব: প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল
ফখরুল বলেন, অফশোর গ্যাস অনুসন্ধানে জনগণের কাছ থেকে সারচার্জ নিয়ে একটি তহবিল তৈরি করা হয়েছে। এটা উদ্বেগজনক যে সরকার এই তহবিল থেকে গ্যাস কিনতে (বিদেশ থেকে) প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। ‘এটি আরেকটি প্রতারণা ও ডাকাতি।’
তিনি অভিযোগ করেন, একদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, অন্যদিকে জ্বালানি হিসেবে এলএনজি ও এলপিজি গ্যাস আমদানি করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ীরা। এভাবে তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
চলমান লোডশেডিং, জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনা এবং জ্বালানি-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি।
ফখরুল বলেন, ‘অফশোর গ্যাস অনুসন্ধানে জনগণের কাছ থেকে সারচার্জ নিয়ে একটি তহবিল তৈরি করা হয়েছে। এটা উদ্বেগজনক যে সরকার এই তহবিল থেকে গ্যাস কিনতে (বিদেশ থেকে) প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। এটি আরেকটি প্রতারণা এবং ডাকাতি।’
তিনি অভিযোগ করেন, একদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, অন্যদিকে জ্বালানি হিসেবে এলএনজি ও এলপিজি গ্যাস আমদানি করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ীরা। এভাবে তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সড়কে নৈরাজ্যের জন্য সরকারের সমালোচনা বিএনপির
মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য সরকার কম জনসংখ্যা দেখাচ্ছে: ফখরুল
সড়কে নৈরাজ্যের জন্য সরকারের সমালোচনা বিএনপির
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার দেশের পুরো সড়ক ব্যবস্থাপনাকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দামী স্যুট পরে সুন্দরভাবে বলেছেন, আওয়ামী লীগ যা করছে, তা অতীতে কখনো হয়নি। কিন্তু আপনি তো পুরো সড়ক ব্যবস্থাপনাকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।’
শনিবার চলমান লোডশেডিং, জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনা এবং জ্বালানি ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় শত শত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। ‘আমরা দেখেছি যে গতকাল মাইক্রোবাসে করে ১১ জন শিক্ষার্থী যাচ্ছিল, ট্রেন সবাইকে হত্যা করেছে। এমন অসংখ্য নজির আমরা প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছি।’
সরকার দেশের জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নকে নস্যাৎ করছে বলে এসময় অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার চুরি, ডাকাতি ও লোভের কারণে গণতন্ত্র, বিচার বিভাগ ও ব্যাংকিং খাতকে ধ্বংস করেছে।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন,‘বাংলা সাহিত্যে একটি কথা আছে যে রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট হয়, কিন্তু জনগণ কষ্ট পায়।আমরা যে দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তার জন্য শেখ হাসিনার সরকার দায়ী।’
তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের এক দফা দাবিতে ‘দানব’ ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারকে উৎখাতের শপথ গ্রহণের আহ্বান জানান।
ফখরুল বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের দুঃশাসনের হাত থেকে দেশ ও দেশের জনগণকে রক্ষা করার দায়িত্ব বিএনপির। জনগণের আন্দোলনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে অবশ্যই সকল সমস্যার সমাধান করে এদেশকে সত্যিকারের জনগণের রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করব।
আরও পড়ুন: মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য সরকার কম জনসংখ্যা দেখাচ্ছে: ফখরুল
আ.লীগের ‘মেগা দুর্নীতি’ দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে: ফখরুল
গুজব ছড়ানোই এখন বিএনপি নেতাদের প্রধান কাজ: আ.লীগ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলেছে, ‘গুজব সৃষ্টি করাই এখন বিএনপি নেতাদের প্রধান কাজ!’
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে চলমান সংকট মোকাবিলায় মিতব্যয়ী ব্যবস্থার মধ্যে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অবস্থা নিয়ে বিএনপির সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্যটি পোস্ট করা হয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ‘যেন গুজবের অক্সিজেন নিয়েই বেঁচে আছে দলটি!’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন ৪০ বিলিয়ন ডলারে স্থিতিশীল, সেখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলে বসলেন ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি না রিজার্ভ।’
পোস্টে বলা হয়েছে, ‘উনি হয়তো বিএনপি আমলের দুই বিলিয়নের সঙ্গে ৪০ বিলিয়ন ডলারের গ্যাপ কমাতেই এমন বলেছেন। মির্জা ফখরুলরা গুজব আর মিথ্যার ওপর ভর করেই রাজনীতি করেন।’
আওয়ামী লীগ আরও বলেছে, দেশের কোন বিবেকবান নাগরিক কখনোই এসব গুজববাজদের সমর্থন করতে পারে না।
এর আগে শুক্রবার মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে সরকারের ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি নেই।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘এই সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সুতরাং এদেরকে আর কোনো সুযোগ দেয়া যাবে না, আর কোনো সময় দেয়া যাবে না। যত বেশি সময় এরা থাকবে, বাংলাদেশকে ধ্বংস করে ফেলবে।’
আরও পড়ুন: আগুন নিয়ে খেলবেন না, বিএনপিকে ওবায়দুল কাদেরের হুঁশিয়ারি
সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির মিছিলের হারিকেন থেকে পেট্রোল বোমার শঙ্কায় জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনার পর ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে এখন ইউরোপ-আমেরিকাতেও বিদ্যুৎ রেশনিং হচ্ছে এবং যে বিএনপি বিদ্যুৎ দাবি করায় গুলি করে মানুষ হত্যা করেছিল, সেই বিএনপির ডাকা মিছিলের হারিকেন থেকে পেট্রোল বোমা বের হয় কি না তা নিয়ে এখন জনগণ শঙ্কিত।
শুক্রবার বিকালে ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে 'স্বনন' আয়োজিত আবৃত্তি অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিকরা রাজনীতি প্রসঙ্গে বিএনপি লোডশেডিংয়ের সময় হারিকেন নিয়ে মিছিল ডাকার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের মূল্য দশগুণ বেড়েছে ও তেলের মূল্য রেকর্ড ছাড়িয়েছে ফলে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোও বিদ্যুৎ উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এসময় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে উন্নত দেশগুলোতে নেয়া ব্যবস্থার খতিয়ান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, জ্বালানি সংকটের কারণে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জনগণকে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কায় জাপানে এবং ফ্রান্সেও জনগণের প্রতি একই আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে কখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়নি। সেখানেও এর সাশ্রয়ের জন্য বলা হয়েছে এবং অনেক শহরে পানি গরম করার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ও সিডনিতে দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। আর ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভারত।
দেশে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন বিদ্যুৎ পেতো মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ আর এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে এবং গত অর্থ বছরে সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৫৩ হাজার কোটি টাকা বা ৬ মিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'যেসব দেশে এক সেকেন্ডের জন্যও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হতো না, সেসব দেশেও যখন বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও রেশনিং করা হচ্ছে, বাংলাদেশেও সেই ব্যবস্থা নেয়া ও জনগণকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের আহ্বান জানানো হয়েছে। আমাদের দেশ তো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। কিন্তু এ নিয়ে বিএনপির হারিকেন নিয়ে মিছিলের ডাকে জনগণ এখন শঙ্কিত যে তাদের হারিকেন থেকে পেট্রোল বোমা বের হয় কি না। আর কানসাটে বিদ্যুৎ দাবিকারী কৃষকদের যারা গুলি করেছিল, বিদ্যুৎ না দিয়ে তারেক রহমানের কোম্পানি বিভিন্ন জায়গায় শুধু খাম্বা বসিয়েছিল, তাই বিদ্যুৎ নিয়ে তাদের কথা বলার নৈতিক অধিকারই নেই।'
সরকারের প্রতি বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য 'চা-টা খাওয়ার দাওয়াত নয়, পদত্যাগ করুন' এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী তার মহানুভবতা দেখিয়ে বলেছিলেন বিএনপির মিছিল-সমাবেশে বাধা না দিতে এবং মিছিল নিয়ে তারা যদি গণভবনেও যায়, তিনি তাদের চা খাওয়াবেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল সাহেবরা যারা প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা বোঝে না, যাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াতের অশোভন জবাব দেয়, যারা দাওয়াতের মর্যাদা বোঝে না, তাদের দাওয়াত দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।'
এরপর তথ্যমন্ত্রী একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে কবি শ্যামসুন্দর সিকদারের কবিতার ধ্বনি স্রোতস্বিনী আবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, যুগে যুগে মানুষের মনন ও সৃষ্টিশীলতাকে সমৃদ্ধ করে আসা কবিতার চর্চাবৃদ্ধি জাতির আত্মিক উন্নয়নের অন্যান্য সোপান।
বিশেষ অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার আয়োজকদের প্রশংসা করেন এবং এ ধরনের উদ্যোগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
ডা. চক্রেশ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন।
পড়ুন: সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বিদেশিদের কাছে নয়, জনগণের কাছে যান: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
দেশে রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি নেই: ফখরুল
আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের অভিযোগ তুলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের পর আগামী দিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও শেষ হয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের পতনের ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে। বর্তমানে বিদ্যুতের সংকট ‘তৈরি হয়েছে, এরপর আমরা জ্বালানি তেলের ঘাটতির মুখোমুখি হব। তারপর আপনারা দেখবেন রিজার্ভ ফুরিয়ে যাচ্ছে।’
শুক্রবার ‘নজিরবিহীন’ লোডশেডিং এবং জ্বালানি ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখা আয়োজিত এক সমাবেশে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় দেশের মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে। তাদের উদ্দেশ্য একটাই; দুর্নীতি ও লুটপাট করা। তাই আমাদের এখন এক দফা দাবি সরকারের পদত্যাগ।’
তিনি সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর ও পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির এই নেতা তার দলের নেতাকর্মীদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমাদের হাতে আর সময় নেই, তাই জেগে উঠুন। আমাদের অবশ্যই এই ফ্যাসিবাদী ও দুর্নীতিবাজ শাসকদের উৎখাত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য সরকার কম জনসংখ্যা দেখাচ্ছে: ফখরুল
ফখরুল বলেন, এখন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণের কথা স্বীকার করলেও, গত সপ্তাহে তিনি তা অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘এভাবে এই সরকার নির্লজ্জ মিথ্যাচারের আশ্রয় নেয় এবং মানুষকে ধোঁকা দেয় ও বোকা বানায়। কিন্তু ভিতরে তারা খালি। তারা অর্থ-সম্পদ নষ্ট করে দেশকে দেউলিয়া বানাচ্ছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে ভীতিজনক বর্ণনা করে বলেন, সরকারের কাছে ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি নেই। তারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে। তাই আওয়ামী লীগকে আর সময় ও সুযোগ দিতে পারি না। তারা যতই ক্ষমতায় থাকবে, ততই দেশের ধ্বংস ত্বরান্বিত হবে।’
দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের কোনো ঘাটতি নেই এমন মন্তব্যের জন্য তিনি ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে কটাক্ষ করেন।
তিনি বলেন, ‘স্বল্পতা না থাকলে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং করছেন কেন? আপনি গ্যাস রেশন করছেন কেন? কেনো আজকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে এখন অশনি সংকেত?
সরকার দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতকে ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন,‘শহরের মানুষ এখন দুই-তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হচ্ছেন এবং গ্রামাঞ্চলের মানুষ যেখানে বোরো মৌসুমে সেচের জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়, তারা সাত-আট ঘণ্টা এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কিন্তু এই সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে বিদেশে টাকা পাচার করেছে।’
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য পদত্যাগ করলে আপনাদের সঙ্গে চা খাব: প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল
আ.লীগের ‘মেগা দুর্নীতি’ দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে: ফখরুল