বিএনপি
সার্চ কমিটির নামে ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠিত: বিএনপি
সরকার সার্চ কমিটির নামে ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠন করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী বলেন, “আমরা আগেই বলেছিলাম, আওয়ামী বাকশালী চেতনার দ্বারা উদ্বুদ্ধ ‘মুজিবকোট’ পরা লোকেরাই সরকারের সার্চ কমিটিতে থাকবেন। নবগঠিত এই সার্চ কমিটি সেই অনুমানেরই নিরেট বাস্তবতা। এটাকে সার্চ কমিটি না বলে বরং ‘আওয়ামী লীগের খাস কমিটি’ বলাটাই যুক্তিযুক্ত মনে করি।”
রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, এই সার্চ কমিটি এবং ইসি গঠন করতে তারা যাদের খুঁজে আনবে তারা সবাই একই নৌকার যাত্রী। তারা একই ঝাঁকের কৈ।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনের সার্চ কমিটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সার্চ কমিটি যাদের নাম প্রস্তাব করবে তারা সবাই আওয়ামী পরিবারের সদস্য হবে।
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ পরিবার দ্বারা আরেকটি নীলনকশার ভোট ডাকাতির নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করতে নিখাদ আওয়ামী লীগের চেতনার মানুষদের অনুসন্ধান করাই এই সার্চ কমিটির অভীষ্ট লক্ষ্য।’
এর আগে শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান (সভাপতি) করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়।
সার্চ কমিটির অন্য পাঁচ সদস্য হলেন- হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি একটি অর্থহীন চর্চা: বিএনপি
সিইসি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে।
সার্চ কমিটির সদস্যরা কীভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত তা বর্ণনা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটির বর্তমান প্রধান ওবায়দুল হাসান আগের দুই সার্চ কমিটির সদস্য ছিলেন এবং পরীক্ষিত আওয়ামী পরিবারের সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে সাংসদ পদপ্রার্থীও ছিলেন। তিনি বাকশাল ছাত্রলীগের বড় নেতা ছিলেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচন ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ ছহুল হোসাইন সার্চ কমিটির সদস্য হয়েছেন। ২০১৮ সালে সিলেট-১ আসন থেকে সাংসদ পদের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন।’
তিনি বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান রাজবাড়ীর আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম হামিজ উদ্দিন সেখের ছেলে। তাঁর ভাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। আরেক সদস্য অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক জন্মান্ধ আওয়ামী লীগার হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগের একান্ত অনুরাগী ও দৃঢ় সমর্থক প্রয়াত লেখক সৈয়দ শামসুল হকের স্ত্রী তিনি। তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধের পুরোটা সময় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর মেডিকেল সেন্টারে চাকরি করেছেন। হাসিনা মার্কা ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এরা বিশেষজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন
রিজভী বলেন, ‘এই সার্চ কমিটি অথবা নির্বাচন কমিশন নিয়ে দেশের জনগণ বা বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই। জনগণ বিশ্বাস করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতা ছেড়ে আগামী নির্বাচন নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হয় সে ব্যবস্থা করুন।
সার্চ কমিটি একটি অর্থহীন চর্চা: বিএনপি
নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকার না রেখে আগামী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের জন্য ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন হবে 'অর্থহীন চর্চা’- এমনটাই মন্তব্য করেছে বিএনপি।
শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সার্চ কমিটির কোনো মূল্য নেই। এটা একটি অর্থহীন চর্চা মাত্র।
ইউএনবির সঙ্গে ফোনালাপকালে বিএনপির এই নেতা বলেন, সার্চ কমিটি নিয়ে তাদের দলের কোনো আগ্রহ নেই।
আরও পড়ুন: বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন
ফখরুল বলেন, ‘এ বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আমরা মনে করি, জনগণকে আবারও প্রতারিত করতে সরকার অপকৌশলের অংশ হিসেবে এই কমিটি গঠন করেছে।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সার্চ কমিটি কিংবা নির্বাচন কমিশন কোনোটি নিয়েই জনগণ আগ্রহী নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নয় নির্বাচনকালীন সরকার জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এটি বারবার প্রমাণিত হয়েছে যে বর্তমান সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। জনগণ মনে করে আগে একটি নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অতএব নির্বাচন কমিশন এখন কোনো ইস্যু নয়।’
ফখরুল বলেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠিত হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সেই প্রশাসনের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির মাধ্যমেই গঠিত হবে ইসি: আইনমন্ত্রী
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নাম সুপারিশ করে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, সার্চ কমিটি তাদের দলের কথা বলার বিষয় নয়। তারা এ বিষয়ে আগ্রহী নয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, তাদের দলের মূল ফোকাস হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, তিনি মনে করেন সার্চ কমিটি নিরপেক্ষ নয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। আমরা মনে করি, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠ হতে পারে না। ভোটের সময় বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে আমরা নির্বাচনে যাব না। ’
বাসে পেট্রোল বোমায় ৮ জন নিহত, আট বছরেও বিচার পাননি স্বজনরা
জামায়াত-শিবির ও বিএনপি নেতাকর্মীদের ছোঁড়া পেট্রোল বোমার আগুনে পুড়ে আট জনের মৃত্যুর ঘটনার আট বছরেও বিচার পাননি নিহতের স্বজনরা।
২০১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে গাইবান্ধা থেকে ঢাকার উদ্যেশ্যে যাওয়া নাপু এন্টার প্রাইজ নামের বাসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বোমার আগুনে পুড়ে বাসের মধ্যেই শিশু নারীসহ ঘটনাস্থলেই চারজন ও পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও চারজনসহ মোট আট জন মারা যায়। আহত হয় প্রায় ৩৫ জন।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: গাইবান্ধায় বিজয়ী প্রার্থীর হামলায় পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর মৃত্যু
এ হামলার ঘটনায় গাইবান্ধা থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে ৭৭ জনের নামে মামলা করেন গাইবান্ধা থানায়। অভিযোগপত্রও দাখিল করা হয়। এর মধ্যে এক ও চার নম্বর আসামির মৃত্যু হয়। অপর ৭৩ জন অভিযুক্ত জামিনে বেড়িয়ে গেছেন। তারা তাদের কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন ।
ঘটনায় বাবাকে হারানো শিল্পি খাতুন বলেন ,‘ বাবা হত্যার বিচার চাই। আমি যতো দিন বেঁচে থাকবো এই হত্যাকারীদের বিচার চেয়েই যাবো। হত্যাকাণ্ডের আট বছর পূর্ণ হলো অথচ বিচার হলো না । এর চেয়ে বড় দু:খ আর কি হতে পারে। ’
দুর্ঘটনায় নিহত শিশু শিল্পি দাসের মা সাধনা রানী বলেন ,‘আমার মেয়েকে আমি পাইনি। পেয়েছি তার পুড়ে যাওয়া নিথর দেহ। তাকে আমরা চিনতে পারিনি। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: মা-মেয়েকে ধর্ষণ: গাইবান্ধায় ৩ জিনের বাদশার যাবজ্জীবন
ঘটনায় আহত শাহজাহান আলী বলেন, ‘আমি বেঁচে গেছি কোনো মতে। আল্লাহ আমাকে নিজ হাতে বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু আমার সঙ্গের ও চারপাশের যে আট জন মরে গেছে। বিভৎস এ ছবি চোখে ভেসে ওঠে। তখন মাথা ঠিক থাকে না। ’
নিহতের স্বজন ও আহতরা বলেন, ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা পেয়েছেন। কিন্তু ঘটনায় জড়িত জামায়াত শিবির ও অপরাধীদের বিচার হয়নি ,তারা বিচার চান।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদার রহমান বলেন, বিষয়টি দীর্ঘদিন আগের। তাছাড়া অভিযুক্তরা জামিনে বেড়িয়ে তাদের কর্মস্থলে যোগ দিয়েছে।
পাবলিক প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, মামলার অভিযুক্তরা সবাই জামায়াত শিবির ও বিএনপির নেতাকর্মী। তারা উচ্চ আদালতের জামিনে আছেন। মামলার চার্জ গঠন করা হয়েছে। গাইবান্ধা জেলা জজ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
বিএনপি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
বিএনপি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে অভিযোগ করেছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। আর ক্ষমতায় যেতে না পেরে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে। তারা প্রতিনিয়তই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, বিএনপি তখন রীতিমতো টাকা খরচ করে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশরিবোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা ও নওপাড়া ইউনিয়নের নদীভাঙন কবলিত ৪০৩টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত পুনর্বাসন সহায়তার নগদ ৪৩ লাখ টাকা বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতায় কর্মীদের স্বস্তি, নেতারা হতাশ: তথ্যমন্ত্রী
উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মূলত এদেশকে মনেপ্রাণে এখনও ধারণ করতে পারে নাই, তাদের ধ্যান-জ্ঞান হলো পাকিস্তান। আর আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছে জনকল্যাণের জন্য। আওয়ামী লীগই পৃথিবীর ইতিহাসে একটি মাত্র দল, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে দল বাংলাদেশ নামের জন্ম হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ সব সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। কোনো ষড়যন্ত্রই এ অগ্রগতিকে ব্যহত করতে পারবে না।
এনামুল হক শামীম বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই এই দুর্গম চরাঞ্চলে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ এসেছে, এলাকা আলোকিত হয়েছে। এ এলাকায় এখন আর নদীভাঙন নেই। এ অঞ্চলের মানুষ সবদিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ রাশেদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক এমপি, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামীলী গের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সুস্থতায় কর্মীদের স্বস্তি, নেতারা হতাশ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থতায় কর্মীরা স্বস্তি প্রকাশ করলেও নেতারা হতাশ এই ভেবে যে, বেগম জিয়ার সুস্থতা তাদের আন্দোলনে জল ঢেলে দিয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য 'খালেদা জিয়া এখনো অসুস্থ, চিকিৎসার জন্য বিদেশেই নিতে হবে' -এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, 'বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাতে বিএনপি নেতারা হতাশ; কারণ তাকে বিদেশে নেয়ার জন্য তাদের দেশব্যাপী যে সভা-সমাবেশ আন্দোলন করছিল, তাতে পানি ঢেলে দিয়েছে ডাক্তাররা। ডাক্তারেরা বলছেন, তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছেন এবং তার যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা আর্থরাইটিসসহ বার্ধক্যজনিত।'
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
কোনো ডাক্তার কি কখনো কোনো সংকটাপন্ন রোগীকে বাড়িতে পাঠায় -প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, 'রিজভী সাহেব হতাশ হয়ে আবোল-তাবোল বকছেন। অপরদিকে কর্মীরা চেয়েছিলেন বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। তারা স্বস্তি প্রকাশ করছেন, কিন্তু এতে নেতাদের মনে স্বস্তি নেই।'
সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক কমিটির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সম্পাদক ফোরাম অনেকগুলো জনপ্রিয় পত্রিকার একটি বড় ফোরাম। করোনাকালের নানা প্রতিকূলতার এই সময়ে বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র বন্টন যেন কয়েকটি পত্রিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে তাদের বকেয়া বিল সহজে পাওয়ার বিষয়গুলো তারা তুলে ধরেছেন।
ড. হাছান বলেন, 'বাংলাদেশ আজকে অনেক এগিয়ে গেছে, কিন্তু যাদের এই উন্নয়ন- অগ্রগতি পছন্দ নয়, তারা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যসহ সার্বিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র ও বিদেশিদের কাছে নানা ভুল তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরছে। এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে এবং জনগণ যেন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয় সেবিষয়ে সম্পাদক ফোরাম তাদের ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।'
বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শরিফ সাহাবুদ্দিন, বেলায়েত হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসিমা খান মন্টি, সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার ও সদস্য দুলাল আহমেদ চৌধুরী, মফিজুর রহমান খান বাবু ও রিমন মাহফুজ প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বেগম জিয়ার কিছু হলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দায় বিএনপিরই: তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: নারায়ণগঞ্জে মির্জা ফখরুলসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত। নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাউসার আহমেদের আদালত গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলাটি গ্রহণ করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর জয়বাংলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আকরাম হোসেন বাদল বাদী হয়ে মুখ্য বিচারিক হাকিম শামসাদ বেগমের আদালতে মামলার গ্রহণের আবেদন করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে। তার সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ইশরাক হোসেন, চাকরিচ্যুত মেজর দেলোয়ার হোসেন, নুরুল হক নুরু, মেজর (অব.) শহীদুল ইসলাম খান, মো. নূরে ইলিয়াস রিপন, এম রহমান মাসুম, আতিকুর রহমান সবুজ, জাহাঙ্গীর আলম, রেজাউল করিম, ইলিয়াস মোল্লা, জাকির হোসেন, শেখ মো. তিতুমীর আকাশ ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট নূরুল হুদা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপি নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। বিষয়টি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মেনে নিতে পারি না।’
আরও পড়ুন: ভাস্কর্য বিরোধিতা: খালেদা, তারেক, ফখরুলের বিরুদ্ধে মামলা
বরিশালে বিএনপি নেতা আলালের বিরুদ্ধে মামলা
বিএনপির রাষ্ট্রদ্রোহিতার তদন্ত করে কাজ শুরু হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আসলে তারা (বিএনপি) যে কাজগুলো করেছে এবং করছে এগুলো রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কাজ। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এ বিষয়ে তদন্ত করে তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।’
বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে তাদের খরচের হিসাব দিতে হয়। এখানে যে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার জন্য, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের জন্য, তারা এই হিসাব নির্বাচন কমিশনে দিয়েছে কি না। সেটি নির্বাচন কমিশন নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখবে। নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, কী করবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের লেখা দুটি চিঠি গণমাধ্যমের সামনে পড়ে শোনান। এই চিঠি দুটির একটি লেখা হয়েছে ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল ও অন্যটি ২৪ এপ্রিল। এছাড়া বিএনপির পক্ষে বিভিন্ন লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে দলটির নেতারা যে চুক্তি করেছেন তার নথিও তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশের ওপর ব্যবস্থা, এমনকি নিষেধাজ্ঞা দিতে বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করেছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে আসা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় তিনি দাবি করেন, ‘একজন প্রবাসী বাংলাদেশি কর্তৃক লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি আজ আমাদের দলের ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে এই সরকার।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রবাসী কোনো পদক্ষেপ কোথাও নেয়, দেশের প্রতি তার ভালোবাসার জন্য যদি কিছু করে, সে পদক্ষেপের দায়িত্ব তার, বিএনপির নয়।’
তবে সেই প্রবাসীর উদ্যোগে বিএনপির সমর্থন আছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
লবিস্ট নিয়োগের কথা অস্বীকার করলেও চিঠি লেখার কথা স্বীকার করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘বিদেশে লেখা আমার ওই চিঠিগুলো কোনো লবিস্ট নিয়োগের বিষয় নয়, মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান মাত্র।’
এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে তিনি (মির্জা ফখরুল) আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছেন।’
চিঠির বক্তব্য তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তার কথার সারমর্ম হচ্ছে বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করা। উনি গতকাল বলেছেন, তিনি সাহায্যের কোনো কথা বলেন নি। এখানে সাহায্য পূনর্মূল্যায়ন ও প্রকারান্তরে সাহায্য বন্ধের আহ্বান তিনি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব এই নথিগুলো কিভাবে অস্বীকার করবেন?
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে যারা এভাবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, দেশের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশকে বিব্রত করার জন্য এবং রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য, তাদের আসলে বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিৎ নয়।’
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা যে প্রচন্ড মিথ্যাচার করেন এটির প্রমাণ হলো এই নথিগুলো। দে আর অল লায়ার্স। তারা দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করছে তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ এই নথিগুলো।’
আরও পড়ুন: রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়েও মিথ্যাচার করেছে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে মিথ্যাচার করেছে ক্রমাগতভাবে গতকাল খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় তা প্রমাণিত হয়েছে। অর্থাৎ তাদের পুরো রাজনীতিটাই মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত।
খালেদা জিয়ার সুস্থতাই প্রমাণ করে বিএনপি মিথ্যাচার করে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি যে মিথ্যাচার করে সেটি খালেদা জিয়া সুস্থ হওয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টিভি কেবল অপারেটর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন, এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেগম জিয়ার সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরার সংবাদ এসেছে, এজন্য স্বস্তি প্রকাশ করছি এবং আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যাতে বাসায় ফিরে যান। তিনি যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন সে জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়াতিনি বলেন, বিএনপি যে তার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করেছে, বেগম জিয়ার সুস্থতার মাধ্যমে এটিই প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে তারা। ডাক্তারদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে। বলেছে বেগম জিয়াকে যদি বিদেশে নেয়া না হয় তাহলে তার যেকোনো সময় যেকোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই যে কথাগুলো বলেছিলো, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে তারা যে অপরাজনীতি করেছে এটিই আজকে প্রমাণিত হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বেও তারা একই কাজ করেছিলো। আগেও যখন বেগম জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তখনও একই কথা বলেছিলেন। বিদেশ না নিলে তাকে বাঁচানো সম্ভব না, এবারও একই কথা বলেছিলো। বিএনপি যে মিথ্যাচার করে, এটি প্রমাণিত হলো বেগম জিয়ার সুস্থ হওয়ার মাধ্যমে।এসময় তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেন, বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (এটকো)'র সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হবে’
সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে আজ মঙ্গলবার ( ১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাসায় ফিরবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, ‘চিকিৎসকরা আজ সন্ধ্যায় ম্যাডামকে (খালেদা) হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
তিনি জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে হাসপাতাল ত্যাগ করবেন খালেদা।
আরও পড়ুন: ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হবে’
শায়রুল বলেন, এভার কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গঠিত বিএনপি প্রধানের মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা বিষয়ে সন্ধ্যা ৬ টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন।
প্রসঙ্গত, ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন ও আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে কয়েকজন মন্ত্রী বলছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে ফিরে নতুন আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগ করে বিএনপি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে: কাদের
১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে তাদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার সকালে সচিবালয়ে তার দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
দেশবিরোধী অপপ্রচার চালাতে যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের সাম্প্রতিক প্রমাণের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, রাষ্ট্রের অর্জন ও ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিরোধী দল অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকেই এই দেশ ও মানুষের জন্য রাজনীতি করছে। দেশের সব অর্জনের সঙ্গে রয়েছে দলটি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা শেখ হাসিনার অর্জনকে বিতর্কিত করতে চায়। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকেও বিতর্কিত করতে চায়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের নিয়েই বিএনপির রাজনীতি: ওবায়দুল কাদের
সংলাপে কেউ না আসলেও ইসি গঠন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের