বিএনপি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি-ছাত্রলীগের সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি ও ছাত্রলীগ একই স্থানে সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টার ও এর সংলগ্ন বালুর মাঠ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় এ আদেশ কার্যকর থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আগামীকাল (৮ জানুয়ারি) শনিবার শহরের ফুলবাড়িয়ায় মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। একই স্থানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশের ডাক দেয় ছাত্রলীগও। এতে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থাকে। তাই ফৌজধারী কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারায় বিধান মোতাবেক ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টার ও এর সংলগ্ন বালুর মাঠ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হল।
একই সাথে ৪ জনের অধিক ব্যাক্তির জমায়েত, রাজনৈতিক প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ড, মাইক বা প্রচারযন্ত্রের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: আরও ৪০ জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি
খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
বৃহত্তর ঐক্য গড়তে সরকারবিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা বিএনপির
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অভিন্ন দাবিতে ‘৯০ দশকের মতো’ যুগপৎ আন্দোলন করতে ডান ও বামপন্থীদের সম্পৃক্ত করে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য গঠনের পরিকল্পনা করছে বিএনপি।
দলটি ইতোমধ্যে কয়েকটি বাম দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করেছে। কিছু শর্তের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার-এ সাধারণ ইস্যুতে কাজ করার ব্যাপারে ইতিবাচক সংকেতও পেয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য ইউএনবিকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তাদের সর্বশেষ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে তাদের দাবি আদায়ে কীভাবে কার্যকর আন্দোলন চালানো যায় সে বিষয়ে তাদের পরামর্শ ও মতামত নিতে অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা এখন আমাদের চেয়ারপার্সনের বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি। এ বিষয়ে আমাদের কর্মসূচি শেষ হলে আমরা আমাদের প্রধান দাবি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের জন্য আন্দোলনে মনোনিবেশ করব।’
এ বিষয়ে আন্দোলন শুরু করার আগে তারা সব ডান ও বাম গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন বলে জানান বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল জানান, ইতোমধ্যে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একাধিক দলের সঙ্গে তাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে এবং আগামী দিনে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সঙ্গে বসবেন।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র, জনগণের ভোটাধিকার ও একটি সুস্থ নির্বাচন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে সর্বস্তরের জনগণ ও সব রাজনৈতিক দলের শক্তিশালী ঐক্য এখন অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: আরও ৪০ জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি
বেগম জিয়ার কিছু হলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া এখন বিএনপি এবং তার পরিবারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার স্বাস্থ্যের যদি কোনো হানি হয় তাহলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারের সবাই আসামি হবে’ এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বুধবার বিএনপি’র গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছিল, পারে নাই। তারা ৫শ’ ভোট কেন্দ্র আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। পাঁচশ’ স্কুলের ভোট কেন্দ্রে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বিতরণের জন্য যে বই সংরক্ষিত ছিল সেগুলোও জ্বালিয়ে দিয়েছিল। ঐ দিন তারা গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছিল, যাতে নির্বাচন না হয়। নির্বাচন না হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশে একটি গণতন্ত্রহীন পরিবেশ তৈরি হয় এবং অন্যকিছু ঘটে, তারা সেই চেষ্টা করেছিলো কিন্তু সফল হয়নি।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দায় বিএনপিরই: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্র হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত। জিয়াউর রহমান বন্দুকের নল উঁচিয়ে মানুষের লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল, মানুষের লাশের ওপর দিয়েই ক্ষমতায় টিকে ছিল।’
বিএনপি’র বুধবারের মানববন্ধনসহ বিভিন্ন সমাবেশে নিজেদের মধ্যে মারামারির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের মতো মহাসচিবের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাকর যে তার সামনে নেতাকর্মীদের মারামারি, বাকবিতণ্ডা হয় এবং তা থামানোর জন্য তাকে উচ্চস্বরে চিৎকার করতে হয়। এটি বিএনপির জন্য সত্যিই লজ্জাকর এবং যারা নিজেদের শৃঙ্খলা রাখতে পারে না, একটি সমাবেশের শৃঙ্খলা রাখতে পারে না, সারাদেশে সমাবেশ করতে গিয়ে নিজেরা নিজেরা মারামারি করে, তারা কিভাবে দেশ চালাবার স্বপ্ন দেখে, এটিই হচ্ছে প্রশ্ন।’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যে চিঠি গ্রহণ করেছে, সেটি ভালো দিক। আমি আশা করবো বিএনপি সংলাপে অংশগ্রহণ করবে। তাদের যে ওজর আপত্তি কিংবা সংলাপ প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের যে প্রশ্ন সেগুলো তারা সেখানে বলে আসতে পারে। তাহলেই সেটি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের আচরণ হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করতে সরকারকে দোষারোপ করছে: তথ্যমন্ত্রী
দুদকের মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
ব্যাংক ঋণের ৩২৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী ও দুই ভাইসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সি আবদুল মজিদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
মামলার অন্য তিন আসামি হলেন আসলাম চৌধুরীর স্ত্রী জামিলা নাজনীন মাওলা, দুই ভাই জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও আমজাদ হোসেন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিল্পকলার ডিজিকে দুদকে তলব
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের পিপি কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, ‘আসামিদের আইনজীবীরা অব্যাহতির আবেদন করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর্যাপ্ত উপাদান থাকায় আমরা অব্যাহতির বিরোধিতা করি। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন আদালত।’
অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা আগ্রাবাদ শাখার এবি ব্যাংক থেকে ৩২৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ঋণ নেন। পরে ঋণ পরিশোধ না করে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক মানিক লাল দাশ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে দুদক ঢাকার উপ পরিচালক মো. মোশারফ হোসাইন মৃধা ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট আদলতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: তিতাসের বিক্রয় সহকারী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চট্টগ্রামে বিএনপি-পুলিশ সংর্ঘষ: শাহাদাতসহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে মানববন্ধন পালনকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ ৭৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত ২টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে লরির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
এর আগে বুধবার বিকালে নগরীর জামালখান প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন উপলক্ষে মানববন্ধন করতে গেলে পুলিশি বাধা এবং লাঠিচার্জ করলে নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, হাতাহাতি ও সংর্ঘষসহ জড়ায়। এই ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪৯ নেতাকর্মীকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে বিএনপি কর্মীদের হামলায় চার পুলিশ আহত হয়েছেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশের সম্পত্তি নষ্ট ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ঘটনার সময় উপস্থিত মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ৭৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকশ জনকে আসামি করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রাম-দুবাই রুটে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট চালু ৯ জানুয়ারি
ওসি জানান, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৪৯ জনকে আটক করেছে। তাঁদেরও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পরে এসে কর্মসূচিতে অংশ নেয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে মামলায় আসামি করা হয়নি।
চট্টগ্রামে পুলিশের সাথে বিএনপি সংর্ঘষ, আটক ৪৪
চট্টগ্রাম বিএনপির মানবনবন্ধনে নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ ৪৪ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছ।
বুধবার (০৫ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর জামালখান প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পূর্ব ঘোষিত মানববন্ধন পালন করতে গেলে পুলিশের বাঁধা দিলে এ সংর্ঘষ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: আরও ৪০ জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বলেন, বিএনপির মানববন্ধন থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপে চার জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ফুটপাতে মানববন্ধন করতে একশত জনের অনুমতি নিয়েছিল বিএনপি।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা বক্তব্য দেয়ার সময় রাস্তায় বসে পড়েন, এতে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রাস্তা ছেড়ে ফুটপাতে উঠার অনুরোধ করেন। এসময় তারা রাস্তা না ছেড়ে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে বিএনপির কর্মীরা।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
কক্সবাজারে বিএনপি-যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: আরও ৪০ জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে দ্বিতীয় দফায় ৮ জানুয়ারি থেকে আরও ৪০টি সাংগঠনিক জেলায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি জানানো হয়।
কর্মসূচি অনুযায়ী, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ৮, ১২, ১৫, ১৭, ২২ ও ২৪ জানুয়ারি ছয়দিন ধরে সমাবেশ করবে দলটি।
আগামী ৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাবেশের মাধ্যমে দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবে দলটি।
অন্যান্য জেলার মধ্যে রয়েছে- রাজশাহী, চাঁদপুর, রংপুর, বরিশাল দক্ষিণ, খুলনা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ, সিলেট, নীলফামারী, ফেনী, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, বরগুনা, শেরপুর, বাগেরহাট, রাঙামাটি, নেত্রকোণা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজবাড়ী, নড়াইল, পিরোজপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ দক্ষিণ, নাটোর, বরিশাল উত্তর, চট্টগ্রাম উত্তর, সৈয়দপুর, শরীয়তপুর, ময়মনসিংহ উত্তর, ঝালকাঠি, মাগুরা, মাদারীপুর, বান্দরবান, মৌলভীবাজার ও পঞ্চগড়।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান ও দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেবেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
প্রথম দফায় একই দাবিতে ২২ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩২টি জেলায় সমাবেশ করেছে দলটি।
এর আগে সারাদেশে মানববন্ধন, গণঅনশন, সমাবেশ ও ডিসি অফিসে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপি।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন ও আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে কয়েকজন মন্ত্রী বলছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে ফিরে নতুন আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আইনগত সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অভাবে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আসামির অভিযোগ আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে জেনেশুনে পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে হত্যার চক্রান্ত করছে। তারা আমাদের নেত্রীকে হত্যা করতে চায়।’
২০১৪ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত ‘একতরফা’ দশম সংসদ নির্বাচনের প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি শাখা আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের নিয়েই বিএনপির রাজনীতি: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, দলমত নির্বিশেষে মানুষ যখন খালেদাকে বিদেশে পাঠাতে চায়, তখন বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে সেখানে চিকিৎসার জন্য যেতে দিচ্ছেন না।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি উন্নত চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে তাদের প্রত্যেককে (সরকারের) হত্যা মামলার আসামি করে বিচার করা হবে।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাজনীতি ও বিএনপি প্রধানকে অপসারণের নীলনকশা' হিসেবে 'মিথ্যা' মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে গণতন্ত্র ‘পুনরুদ্ধার’ হবে: বিএনপি
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়াকে এখনই বিদেশে পাঠানো জরুরি, কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা আইনের অজুহাতে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। মানুষের জীবনের চেয়ে কোনো আইন বড় হতে পারে না।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরিহার করে দেশ, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রে তার অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে অবিলম্বে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: যাবে না বিএনপি
স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের নিয়েই বিএনপির রাজনীতি: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের নিয়েই তাদের রাজনীতি। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদকে সাথে নিয়ে বিএনপি অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে।
সোমবার সকালে ওবায়দুল কাদের তাঁর বাসভবনে এক ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন।
সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসলে বিএনপি নেতারা এতটাই অন্ধ ও বধির যে, বহু আগেই জনগণ তাদের পতন ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে, তা তারা শুনতে পায় না।
আরও পড়ুন: দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ অব্যাহত রয়েছে: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, আন্দোলন আর নির্বাচনে চরম ব্যর্থতায় কি তাদের শেষ ঘন্টা বাজেনি?
বিএনপির কথা ও কাজে মিল নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতি তাদেরই রাজনীতির অন্যতম প্রধান বাধা।
জনগণ কি চায়, কি চায় না - তার মানদণ্ড বা পরিমাপক হচ্ছে নির্বাচন এমনটা মনে করে ওবায়দুল কাদের বলেন একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।
আরও পড়ুন: সংলাপে কেউ না আসলেও ইসি গঠন থেমে থাকবে না: ওবায়দুল কাদের
নির্বাচনের বাইরে গিয়ে অন্য কোন চোরাগলি খোঁজা গণতন্ত্রে সংবিধান সম্মত নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এসকল অপতৎপরতা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীতে অবস্থান করছে।
এসময় ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে কথামালার ফেনায়িত তরঙ্গ না তুলে নির্বাচনমূখী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জনগণ চাইলে বিএনপিই ক্ষমতায় আসবে।
বিএনপির বিভিন্ন জেলার কর্মসূচিতে সরকার নাকি বাধা দিচ্ছে, বিএনপির এসব অপপ্রচার প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাধা তো নয়ই বরং সরকার সহযোগিতা করেছে। সরকার সহযোগিতা না করলে এ পর্যন্ত ৩২ জেলায় সমাবেশ করতে পারতো কি?
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে, জঙ্গীবাদ উদ্বুদ্ধ করতে: ওবায়দুল কাদের
কক্সবাজারে বিএনপি-যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি
কক্সবাজার শহরে একই জায়গায় বিএনপি ও যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। সোমবার ভোর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের শহীদ মিনার সংলগ্ন ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বিএনপি অফিস ও শহীদ মিনার পাশাপাশি অবস্থিত।
রবিবার রাতে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান। পাল্টাপাল্টি সমাবেশের কারণে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। রাতে শহরের শহীদ মিনার সংলগ্ন ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি মাইকিং করে জেলা প্রশাসন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে কক্সবাজার শহীদ সরণি সড়কে বিএনপি অফিসের সামনে সোমবার দুপুর ১টায় এই সমাবেশ ডেকেছিল কক্সবাজার জেলা বিএনপি। একই সময় পাশের শহীদ মিনারের সামনে কক্সবাজার জেলা যুবলীগও সমাবেশের ডাক দেয়।
বিএনপির সমাবেশে অংশ নিতে ইতোমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা কক্সবাজারে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়লো আইএমও’র স্বাস্থ্য কেন্দ্র
নারী পর্যটকের জন্য কক্সবাজার সৈকতে বিশেষ জোন
চাঁদার ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে কক্সবাজারে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ