বিএনপি
খালেদা জিয়া বিপদমুক্ত: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বায়োপসি পরীক্ষা করা হলেও তিনি ভালো আছেন এবং শঙ্কামুক্ত আছেন।
সোমবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া পুরোপুরি সুস্থ্য আছেন।
ফখরুল বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার (খালেদা জিয়া) সাথে কথা বলেছেন। তার ভাই শামীম ইস্কান্দারও তার সাথে কথা বলেছেন। তার চিকিৎসকরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি বিপদমুক্ত। তারা মনে করেন, তার জন্য কোন বিপদ নেই।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এখনও জ্বরে ভুগছেন
খালেদা জিয়ার গুরুত্বর স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা ভুল তথ্য। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। মিডিয়াকে কেন এত দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে হবে? তাদের উচিত ছিল সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করা।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সনের শরীরের এক জায়গায় ছোট লাম্প আছে। এই লাম্পের নেচার অব অরিজিন জানতে হলে বায়োপসি করা প্রয়োজন। সেজন্য আজকে ছোট একটা বায়োপসি করতে উনাকে ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) নিয়ে সেটি করা হয়েছে।’
এভারকেয়ার হাসপাতালে বায়োপসি করার পর জাহিদ জানান, এই মুহূর্তে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি সার্জিক্যাল আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
১২ অক্টোবর খালেদা জিয়া জ্বর এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় দ্বিতীয়বারের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
এর আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন। তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি বাত, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার এই বছরের মে এবং আগস্ট মাসে দুই বার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির এই সুযোগ পাওয়ার সুযোগ নেই।
গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নেন।
আরও পড়ুন: ৫ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বাড়লো এক বছর
বিএনপি নেতা রিজভী ও দুলুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিএনপির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবীর রিজভী ও দলের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর সেশন জজ কেএম ইমরুল কায়েস তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ জারি করেন। এছাড়া এ মামলার অভিযোগপত্রও গ্রহণ করেছেন আদালত।
২০১৮ সালে শাহবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে: ফখরুল
বিভাজন রেখা তৈরি করতে চায় বিএনপি ও তাদের দোসররা: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে: ফখরুল
সত্যিকার পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে তো নির্বাচনের কোনো পরিস্থিতি, পরিবেশ নেই। এখানে অনির্বাচিত সরকার, অবৈধ সরকার, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি, তারা নির্বাচন নির্বাচন খেলা করে গত দুটি টার্ম জোর করে ক্ষমতায় আছে। আমরা তখনই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো, যখন নির্বাচনের সত্যিকার পরিবেশ তৈরি হবে।’
রবিবার সকালে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি যে, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্যই নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার, নির্দলীয় সরকার, তার অধীনে একটি নতুন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় আমরা অবশ্যই অংশগ্রহণ করবো। সেজন্যই আমরা আন্দোলন করছি।’
পড়ুন: মির্জা ফখরুলই ভালো জানেন কুমিল্লার ঘটনা কিভাবে ঘটেছে: তথ্যমন্ত্রী
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সামগ্রিকভাবে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। একইভাবে আমাদের হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যারা আছেন, তাদের ধর্ম পালনে উপাসনালয়গুলোরও কোনো নিরাপত্তা সরকার দিতে পারছে না। একই সাথে আমাদের যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী আছে, যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেন, তাদেরও এখানে কোনো নিরাপত্তা নেই। সামগ্রিকভাবে জনগণের নিরাপত্তা দিতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজা চলাকালে যে সাম্প্রদায়িক সমস্যাগুলো তৈরি করা হয়েছে, আপনারাই পত্রপত্রিকায় দেখেছেন এসবের নেতৃত্ব দিচ্ছে কারা? নেতৃত্ব দিচ্ছে ছাত্রলীগের ছেলেরা, নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকেরা। আজকেও পত্রিকায় এসেছে যে রংপুরে যে ঘটনা ঘটেছে, তার নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা সৈকত। এটা খুবই পরিষ্কার, যেহেতু সরকারের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক নেই, যেহেতু জনগণের ভোট তারা পায় না, এজন্য জনগণের দৃষ্টিটাকে ভোটের অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার থেকে সরানোর জন্য তারা (সরকার) এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।’
এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির নির্বাহী সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী, সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান রতন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদারসহ দলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: বিভাজন রেখা তৈরি করতে চায় বিএনপি ও তাদের দোসররা: ওবায়দুল কাদের
দেশদ্রোহী চক্র ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে: হুইপ সাঈদ
মির্জা ফখরুলই ভালো জানেন কুমিল্লার ঘটনা কিভাবে ঘটেছে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'মির্জা ফখরুল সাহেবের কথা শুনে মনে হয়, কুমিল্লার ঘটনা কিভাবে ঘটানো হয়েছে, তা তাকে জিজ্ঞাসা করলেই ভালো জানা যাবে।'
শনিবার দুপুরে ঢাকার মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
কুমিল্লার ঘটনায় সরকারকে দোষারোপ করে এবং কক্সবাজারে ইকবালের গ্রেপ্তার হওয়া নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান বলেন, 'প্রথম থেকেই মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যের ধরণ হচ্ছে, 'ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না' এবং মনে হচ্ছে তিনিই ভালো বলতে পারবেন ইকবালকে কারা কক্সবাজারে পাঠিয়েছে। যারা এ ঘটনায় ইন্ধন দিয়েছে, তারাই ইকবালকে কক্সবাজার পাঠিয়েছে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ঘটনা ঘটিয়ে আবার বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে।'
আরও পড়ুন: হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা দেশের চেতনার বেদীমূলে হামলা: তথ্যমন্ত্রী
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকার কঠোর ও দ্রুততম ব্যবস্থা নিয়েছে এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আপনারা জানেন, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে এবং সরকার দ্রুততম সময়ে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। একশ'র বেশি মামলা হয়েছে, কয়েকশ' জন গ্রেপ্তার হয়েছে এবং পূজামণ্ডপে যে কোরআন শরিফ রেখে এসেছিল তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে বাকি তথ্য বেরিয়ে আসবে।'
একইসাথে স্বল্পতম সময়ে পীরগঞ্জে পোড়া ঘরগুলো মেরামত, নতুন ঘর নির্মাণ এবং সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ এবং খাদ্য সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়ে ড. হাছান এসময় তার আইপ্যাড থেকে পীরগঞ্জে নতুন নির্মিত ঘর ও মানুষের রান্নাবান্নাসহ গৃহকর্মের চিত্র সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, সরকার যখন দ্রুততম সময়ে এসকল ব্যবস্থা নিয়েছে, তখন বিএনপি-জামাতসহ ধর্মান্ধগোষ্ঠি যারা ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা ক্রমাগত মিথ্যাচার করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সরকারের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া সত্ত্বেও কোথাও কোথাও রাস্তা অবরোধের খবর পাওয়া গেছে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও আমাদের চেতনার বেদিমূলে আঘাত। আমরাও এর প্রতিবাদ জানাই এবং প্রতিকারে সচেষ্ট। কিন্তু প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে জনগণ যেন ভোগান্তির শিকার না হয় এবং আবেগতাড়িত হলেও যেন কারো বক্তব্য বাস্তবতাবিবর্জিত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।'
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে: তথ্যমন্ত্রী
নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
সকল বিভেদ ভুলে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলে কোনো অপশক্তিই বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে সাহস পাবে না।’
শুক্রবার সকালে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন,’যে দল নির্বাচনে অংশ নেয় না তারাই গণতন্ত্রের প্রকৃত হত্যাকারী। এই হত্যার দায়ে তাদের গণআদালতে বিচার হওয়া উচিত। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন সহ্য করতে না পেরে সুনাম ক্ষুণ্ন করতেই সাম্প্রদায়িকতার দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বিএনপি।’ কোরআন অবমাননা কিংবা মন্দিরে হামলা তারই একটি অংশ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। শেখ হাসিনা যত দিন ক্ষমতায় থাকবে তত দিন বাংলাদেশের উন্নয়নে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জনসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে স্মার্ট কার্ড: খাদ্যমন্ত্রী
চালের মূল্য সহনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে, দাবি খাদ্যমন্ত্রীর
উন্নয়নের ছোঁয়া সবখানে পৌঁছে গেছে: খাদ্যমন্ত্রী
বিভাজন রেখা তৈরি করতে চায় বিএনপি ও তাদের দোসররা: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ধর্মকে যারা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করে তারাই পরিকল্পিতভাবে বিভাজন তৈরি করতে চায়।
যারা নিজেরা এদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, মেনে নিতে পারে না উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি, তারাই জাতিকে বিভাজন করে দুর্বল এবং দেশের ইমেজ নষ্ট করতে চায় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আর এ বিভাজন রেখা তৈরি করতে চায় বিএনপি ও তাদের দোসররা।
তিনি বুধবার সকালে তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক শক্তির ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির চরিত্র হচ্ছে, মুখে শেখ ফরিদ, বগলে ইট। তাদের কথায় পুষ্পবৃষ্টি হলেও অন্তর কদর্যে ভরা বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি নেতারা মিথ্যাচারকে শিল্পে রূপ দিয়েছেন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন সাম্প্রদায়িক হামলায় নাকি সরকার জড়িত! আসলে ভিডিও ফুটেজে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে দেখে তারা একচোখা দৈত্যের আচরণ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নিজেরাই রাজনৈতিকভাবে সাম্প্রদায়িক।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানের দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি : কাদের
বিএনপি সংখ্যালঘুদের শত্রু মনে করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তারা ভেবেছে পূজামণ্ডপে হামলা করলে সরকারের উপর হিন্দু সম্প্রদায়ের অনাস্থা বাড়বে আর ভারতের সাথে বাংলাদেশের বিরাজমান বন্ধুত্ব নষ্ট হবে।
মসজিদগুলো মন্দির হয়ে যাবে, মসজিদে উলুধ্বনি বাজবে, এসব অপপ্রচার বিএনপি অতীতেও চালিয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এসব অপকর্ম ও নির্জলা মিথ্যার প্রচারণা একমাত্র বিএনপির।
২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর সংখ্যালঘুদের উপর বিএনপির নির্মমতা ৭১ কেও হার মানিয়েছিল মনে করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনও তারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। মুসলিম উম্মার জন্য দিনটি পবিত্র এবং মহিমান্বিত জানিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে মহানবীর যে অমরবাণী সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালনের জন্য দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উদাত্ত আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে: ওবায়দুল কাদের
তাছাড়া প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ওবায়দুল কাদের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সকলকে শুভেচ্ছা জানান।
বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন,বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে মানুষের কাছাকাছি তারা (বিএনপি) পৌঁছাতে পারেনি। তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক ফায়দা লুটার স্বার্থে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করা বিএনপি জামায়াত এবং তাদের দোসর সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার চোরাগলি খোঁজে: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার ঘটনা ভিডিও করেছে। ভিডিও করে সেটি আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে।এগুলো কী উদ্দেশ্যে করা হয়েছে? উদ্দেশ্য খুবই স্পষ্ট। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল আছে, দেশ করোনা মহামারির মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে, মহামারিও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
‘সরকার দেশের নানারকম সমস্যাকে পাশ কাটানোর জন্য এ কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং বিরোধী বা অন্য দলের উপর দোষ চাপাচ্ছে’- বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আরও অনেকেই বলেছেন। তাদের কাছে জানতে চাই, দেশে আর কী কী বড় সমস্যা আছে? করোনা নিয়ে তো অনেক কথা বলেছেন।করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। গতকাল সংক্রমণের হার ছিল দুই শতাংশের নিচে। টিকাও ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে দেয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজও খুলে গেছে। অথচ করোনা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে, টিকা নিয়েও অনেক সমালোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সকল সম্প্রদায়ের মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ পৌঁছাবে স্বপ্নের ঠিকানায়: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার সবসময় চায় দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল থাকুক, দেশের অগ্রগতির জন্য। যে কোন সরকার, এটা যদি বিএনপিও ক্ষমতায় থাকে,তারাও সাধারণত চাওয়ার কথা। পৃথিবীর সব দেশের সরকারই সাধারণভাবে চায়, দেশে শৃঙ্খলা স্থিতিশীল থাকুক। বিএনপি কি চায় অবশ্য জানি না। তারা ক্ষমতায় থাকতে তো অনেক কিছুই করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মধ্যে অনেক নেতা আছে, যারা এ দেশটা চায় না। যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তারাই এ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে কুমিল্লায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এটি নিশ্চয়ই বের হবে, কারা ওখানে কোরআন শরীফ রেখে গিয়েছিল। বের হওয়ার পর সবকিছু দিবালোকের মতো স্পষ্ট হবে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব পাগল না দেশের মানুষ পাগল? উনার বক্তব্যে মনে হয় রাস্তায় যে পাগল ঘুরে বেড়ায় সে মনে করে সবাই পাগল ও ভালো। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বক্তব্যটাও সেরকম।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, এই সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কারা রাজনীতি করে? সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নিয়ে কারা রাজনীতি করে? যারা দেশটাকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়,তারা তো বিএনপি জোটের মধ্যেই আছে।
খালেদাকে ধীরে ধীরে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: আব্বাস
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ধীরে ধীরে হত্যা করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকার বিদেশ যেতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা আব্বাস।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় এক দোয়া মাহফিলে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘চিকিৎসকরা বলছেন আমাদের নেত্রীর বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন এবং প্রকৃত ঘটনাও তাই। কিন্তু এই সরকার তাঁকে এ সুযোগ দেবে না কারণ তাদের লক্ষ্য হলো তাঁকে ধীরে ধীরে হত্যা করা।’
সরকার খালেদাকে নির্যাতনের উদ্দেশ্যে কারাগারে রেখেছে এবং তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন এই বিএনপি নেতা।
গত মঙ্গলবার জ্বর ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বৃহস্পতিবার দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বাংলাদেশে খালেদার চিকিৎসা করানো সম্ভব না।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এখনও জ্বরে ভুগছেন
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ তার নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সরকার তার কারাদণ্ডের স্থগিতাদেশ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়িয়েছে।
শর্ত অনুযায়ী, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়া হবে না। তাকে বাড়িতে থাকতে হবে এবং সেখানে চিকিৎসা নিতে হবে। একই শর্তে তাকে আগে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
তার পরিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে চলতি বছরের মে ও আগস্ট মাসে দু’বার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে, একজন দণ্ডিত ব্যক্তির এমন সুবিধা পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
এ সময় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন গর্হিত মন্তব্য করায় সরকার দলীয় নেতাদের সমালোচনা করেন বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য আব্বাস। জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের রাস্তায় নেমে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদার বিদেশ যাওয়া প্রয়োজন: ফখরুল
এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া এখনও জ্বরে ভুগছেন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুক্রবার তার বোন সেলিমা ইসলাম জানিয়েছেন তিনি এখনও জ্বরে ভুগছেন।
‘তিনি (খালেদা) এখনও বিরতিহীন জ্বরে ভুগছেন এবং গত কয়েকদিন ধরে খুব কম খাচ্ছেন’ বলে সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
সেলিমা জানান, তিনি হাসপাতালে খালেদার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি কারণ তাকে বার্ধক্যজনিত কারণে সেখানে যেতে দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
তিনি বলেন, তার ভাই শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী বৃহস্পতিবার বিএনপি প্রধানের সঙ্গে দেখা করেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। ‘আমরা আমার ভাইয়ের স্ত্রীর কাছ থেকে তার স্বাস্থ্যের কথা জানতে পেরেছি।’
বিএনপি প্রধানকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে তারা সরকারের কাছে নতুন কোনো আবেদন জমা দেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালেদার সঙ্গে পরামর্শের পর তারা এ বিষয়ে চিন্তা করবেন।
সেলিমা বলেন, ‘আমরা এর আগে দুবার সরকারের অনুমতি চেয়েছিলাম। এমনকি আমার ভাই (শামীম ইস্কান্দার) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন, কিন্তু তারা অনুমতি দেননি।’
আরও পড়ুন: ৫ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বাড়লো এক বছর
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার স্পষ্ট করে বলেছেন, দেশে খালেদার চিকিৎসা সম্ভব নয়।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা ও কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়াকে আল্ট্রাসনোগ্রাম সহ কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত মেডিকেল টিমের একজন সদস্য।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিলেন খালেদা জিয়া
চিকিৎসক বলেন, আমরা পরীক্ষার কিছু রিপোর্ট পেয়েছি,সেই অনুযায়ী তাকে কিছু ওষুধ দিয়েছি। জ্বরের পাশাপাশি তার আরও অনেক জটিলতা রয়েছে।
চিকিৎসক আরও বলেন, ড. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে তার চিকিৎসার জন্য আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ড, বিএনপি প্রধানকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করে আসছে। কিন্তু তার সম্পূর্ণ চিকিৎসা এখানে সম্ভব নয়। তাকে বিদেশের যেকোনো উন্নত কেন্দ্রে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনা সংক্রমণ নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি করোনা-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা গ্রহণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় ‘বাধা’ দিচ্ছে সরকার: বিএনপি
সরকারি একটি মহলের ইঙ্গিতে সাম্প্রদায়িক হামলা: ফখরুল
কুমিল্লার ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলাগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের একটি মহলের ইঙ্গিতে ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সরকারি একটি মহলের ইঙ্গিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটায়, যা দেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করে।’
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন মির্জা ফখরুল।
সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুই দিনের সফরে সকালে চট্টগ্রাম আসেন। আগামীকাল শনিবার বিকালে তিনি মহানগর বিএনপির কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দল সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছে। আমাদের সময় এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে, তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য সব সময় বিভিন্নভাবে বিভিন্ন রকম সমস্যা তৈরি করছে।’
তিনি বলেন, ‘মাঝে মধ্যে সরকারের সংকটগুলো থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরিয়ে নিতে তারা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। গতকালকেও এই বিষয়ে আমরা বিবৃতি দিয়েছি, নিন্দা জানিয়েছি। অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের চিহিৃত করা হোক। বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানায়িছি।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন। তিনি তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দেশকে উন্নত করার জন্য তার বহু অবদান রয়েছে। সেই নেত্রীকে আজকে অন্যায়ভাবে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি বর্তমানে করোনা পরবর্তী নানা জটিলতা ও পুরোনো রোগে গুরুতর অসুস্থ। দীর্ঘ চার বছর তাকে কারাগারে রাখার কারণে চিকিৎসা না হওয়ায় তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার হার্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাঁর পুরোনো অসুখ আর্থ্রাইটিসও রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসারা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কুরআন অবমাননা: ২২ জেলায় বিজিবি মোতায়েন
বেগম খালেদা জিয়া এবং গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য চট্টগ্রামবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন মির্জা ফখরুল।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম, ইস্কান্দর মির্জা, আবুল মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় `পবিত্র কোরআন অবমাননা’, শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের