বিএনপি
উগ্রবাদের মূল উৎস বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) দেশে উগ্রবাদের প্রধান উৎস বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি উগ্রবাদকে লালন করছে এবং বেপরোয়া রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বাংলাদেশে উগ্রবাদের উৎপত্তি বিএনপির মাধ্যমে। বিএনপির তুলনায় আওয়ামী লীগ ভিত্তিহীন বাগাড়ম্বর করে না, দায়িত্বশীল আলোচনায় লিপ্ত হয়।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে পরবর্তী আন্দোলনের পরিবর্তে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ কাদেরের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে 'বেপরোয়া চালকের' সঙ্গে তুলনা করে তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে চায়, যা তারা ঐতিহাসিকভাবে করে আসছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করার জন্য জেনারেল জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাককে দায়ী করেন। এ ধরনের ঐতিহাসিক নৃশংসতার দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপানোর বিএনপির চেষ্টার সমালোচনা করেন তিনি।
বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক কৌশল নিয়েও মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে তাদের বারবার সমালোচনা বাস্তব ইস্যুর অভাব এবং হতাশা ও পরাজয় থেকে তাদের ভিত্তি তৈরির অপচেষ্টা।
মিয়ানমার সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা ইস্যুতে ওবায়দুল কাদের বুদ্ধিদীপ্ত কূটনীতির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সক্রিয়ভাবে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি সব পক্ষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং সংঘাত এড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভুল রাজনীতির চোরাবালিতে আটকে গেছে: কাদের
আন্দোলন জমাতে আগুন লাগাতে পারে বিএনপি: আইনমন্ত্রী
আন্দোলন জমানোর জন্য বিএনপি আগুন লাগানোর কৌশল বেছে নিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, আন্দোলন জমাতে বিএনপি আগুন লাগানোর কৌশল বেছে নিল কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এই রহস্য অবশ্যই উদঘাটন করা হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান: আইনমন্ত্রী
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কসবা উপজেলার কায়েমপুরে ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকার গার্ডার সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জ্বালাও-পোড়াও আগুন লাগানোর সঙ্গে বিএনপি জড়িত। ট্রেনে আগুন দেওয়া, ভাঙচুর, মানুষ মারা- বিএনপির পুরোনো অভ্যাস।
তিনি বলেন, বিএনপি মানুষকে ভালোবাসে না, তারা চায় সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটুক। তারা চায় ক্ষমতা, চায় পকেটের উন্নয়ন, চায় দুর্নীতি করে টাকা কামাবে, বিদেশে টাকা পাচার করবে এবং বাংলা ভাই তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: এআই বিষয়ক আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা জীবিত থাকতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জীবিত থাকতে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না।’
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এখন থেকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। আগুন নিয়ে খেললে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। সে জন্য প্রন্তুত থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলন করবে এটাই স্বাভাবিক।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী মিশর: পাটমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আশা করি বিএনপি তাদের ২৮ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ড, অপরাধ ও তাদের অরাজনৈতিক আচরণের বিষয়গুলো মূল্যায়ন করবে এবং ভুলপথ পরিহার করে রাজনৈতিক সঠিক ধারায় এগিয়ে যাবে।
পাটমন্ত্রী বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, যারা প্রধান বিচারপতির বাড়ি এবং বিচারকদের বাসভবনে হামলা করেছে, যারা ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষকে হত্যা করেছে, যারা বাসে আগুন দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের হত্যা করেছে, এই অপরাধের জন্য তাদের বিচার হতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, জামিন একটি স্বাভাবিক ধারা জামিন পেতেই পারে, আদালত ইচ্ছা করলে জামিন দিতেই পারে। জামিনের ব্যাপারে আমাদের কোনো কথা নেই। আমি অনুরোধ করব সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে, অবিলম্বে তার বিচার হওয়া উচিৎ।
আরও পড়ুন: দেশের বস্ত্রখাত এক মোড়লের উপর নির্ভরশীল নয়: পাটমন্ত্রী
বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, বিএনপি খুনিদের দল। এ দলটির পেছন থেকে যিনি কলকাঠি নাড়েন তিনি একজন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, যিনি লন্ডনে বসে আছেন। তার দ্বারা নির্দেশিত হয়ে যে দলটি পরিচালিত হচ্ছে, তাদের উপর থেকে দেশের সর্বস্তরের মানুষ সকল দৃষ্টি সরিয়ে নিয়েছে। দলটি যে গহ্বরে নিমজ্জিত হয়েছে, সে গহ্বর থেকে বেরিয়ে আসার কোনও সুযোগ তাদের নেই।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, নারী শিক্ষার ভিত্তিমূল হিসেবে মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়টিকে গড়ে উঠতে হবে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান এমন হতে হবে যাতে অভিভাবকরা এ প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের ভর্তি করাতে ব্যাকুল হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয় দ্বিগুণ করতে চাই: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
ফখরুল-খসরু জামিনে মুক্ত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে বন্দী থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, জামিনের আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর পর বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে তারা কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মী ও দলের শীর্ষ দুই নেতার স্বজনরা জেলগেটে এই দুজনকে অভ্যর্থনা জানান।
শায়রুল বলেন, কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তারা স্বজনদের নিয়ে সরাসরি নিজ নিজ বাসভবনে যান।
আরও পড়ুন: আজ মুক্তি পেতে পারেন ফখরুল-খসরু
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় মির্জা ফখরুল ও খসরুকে জামিন দেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের তাদের জামিন আবেদন শুনানির পর মঞ্জুর করেন।
গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল, খসরুসহ বিএনপির ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
সমাবেশে সহিংসতার ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি ও খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল ও ৩ নভেম্বর গুলশানের বাসা থেকে খসরুকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-খসরুর জামিন
লুটপাটের টাকা ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত করছে আ.লীগ: বিএনপি
সারাদেশে সামাজিক নৈরাজ্য এখন চরম আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, ক্ষমতাসীনরা এখন লুটপাটের অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি নিয়ে দলের অভ্যন্তরেই রক্তপাত করছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সারা বাংলাদেশে সামন্ততন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভুল রাজনীতির চোরাবালিতে আটকে গেছে: কাদের
রিজভী বলেন, দেশ গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে চলছে ভয়াবহ নৈরাজ্য। সামাজিক ক্ষেত্রে এখন কী ঘটছে? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যৌন হয়রানির আস্তানায় পরিণত হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, ‘কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগের ক্যাডাররা এক যুবককে কুপিয়ে ১০ টুকরো করে হত্যা করেছে। ছাত্রলীগের সজীব নিজেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তি... দিয়েছে। তারা এখন শুধু বিএনপির (অনুসারীদের) ওপর হামলা চালাচ্ছে না, বরং লুণ্ঠিত অর্থের ভাগ আদায়ে দলের মধ্যে একে অপরকে হত্যা করছে।’
ক্রমবর্ধমান সামাজিক নৈরাজ্যের ফলে দেশ এখন এক বিপজ্জনক ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল ও নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে তাদের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর গুলশান এলাকায় পথচারী, দোকান মালিক, পরিবহন শ্রমিক ও রিকশাচালকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন রিজভী।
'সেভ দ্য কান্ট্রি, সেভ দ্য পিপল' শীর্ষক লিফলেটে ৭ জানুয়ারির একতরফা ডামি নির্বাচন বাতিল, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা ও সব মহানগরীতে লিফলেট বিতরণ করেছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি হতাশা কাটিয়ে কোমর সোজা করে দাঁড়াক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
'একতরফা' দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতাসীনদের নেতারা ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘দখলদার সরকার মনে করছে, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর তারা বাংলাদেশের মালিক হয়ে গেছে। এই সামন্ততন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই থেমে থাকবে না। জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
তিনি দাবি করেন, বিএনপি ও সমমনা দলগুলো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং দেশের মালিক হিসেবে জনগণের ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের জন্য রাজপথে আন্দোলন করছে। তিনি বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য এটা (আন্দোলন) নয়। এটা জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই।
সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ও আজ্ঞাবহ নীতির কারণে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে মারা হচ্ছে। টেকনাফ-উখিয়া সীমান্তে নিয়মিত গোলাগুলি হচ্ছে। বাংলাদেশের কৃষকরা কাজ করতে পারছেন না, আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন, কিন্তু আমাদের সরকার নীরব। এ অবস্থা চলতে পারে না।’
আরও পড়ুন: নেতৃত্বের পরিবর্তন ছাড়া বিএনপির রাজনীতি আর কখনো সচল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি হতাশা কাটিয়ে কোমর সোজা করে দাঁড়াক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনের পর কোমর ভেঙে পড়ে গিয়েছিল। আমরা চাই তারা (বিএনপি) হতাশা কাটিয়ে কোমর সোজা করে দাঁড়াক।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাংবাদিক গবেষক মুহা. মীযানুর রহমানের ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’ এবং কবি রেবেকা শিল্পীর চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ ‘বিমূর্তর’ মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নেতৃত্বের পরিবর্তন ছাড়া বিএনপির রাজনীতি আর কখনো সচল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি, বিএনপি হতাশা কাটানোর জন্য লিফলেট বিতরণ ও নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচির মধ্যেই থাকবে। পেট্রোল বোমা নিয়ে মানুষের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়বে না।
এর আগে গ্রন্থেরমোড়ক উন্মোচনকালে ড. হাছান বলেন, একুশের বইমেলা প্রাণের মেলা, বাঙালির মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোর, যুবা, প্রৌঢ়, বৃদ্ধ সবাই মেলায় আসেন একটু নি:শ্বাস ফেলা, বইয়ের পাতা উল্টানো, বই কেনার জন্য।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটি মানবিক সমাজকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়া এবং সেই লক্ষ্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, আজকের দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। ১৫ বছরের আগের বাংলাদেশের সঙ্গে আজকের অনেক পার্থক্য। আবার আজকের সঙ্গে আগামী ১০ বছর পরের বাংলাদেশেরও অনেক পার্থক্য হবে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মেট্রোরেলে ভ্রমণ, নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল- এসব অভাবনীয় উন্নতি এবং বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছি আমরা।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ক্লাস নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বিএনপি ভুল রাজনীতির চোরাবালিতে আটকে গেছে: কাদের
বিএনপিকে এখন পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল হিসেবে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা এখন নিষ্ক্রিয়, তারা ভুল করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) আসলে ভুল রাজনীতির চোরাবালিতে আটকে আছে।’
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে সংঘাত ও সীমান্ত সমস্যা নিয়ে যা বললেন কাদের
বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি খাদের অনেক গভীরে চলে যাচ্ছে। ‘আগে এটি খাদের কিনারায় থাকলেও এখন খাদের গভীরে চলে যাচ্ছে।’
পুলিশ হেফাজতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোথায়, কীভাবে মারা গেল? কোন কারাগার বা হেফাজতে? অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়লে হবে না।’
মেট্রোরেল প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেলের সেবার উপর যাত্রী নির্ভরশীলতা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মেট্রোরেলে চলাচল যাতায়াত সংখ্যা কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কারিগরি কারণে কোচ সংখ্যা বাড়ানো যায়নি তবে বর্তমান ১০ মিনিটের পরিবর্তে আট মিনিট পর পর ট্রেন চালানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেলের কোচের সংখ্যা বাড়ানো কারিগরি বিষয়ের উপর নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বে পাঁচটির বেশি কম্পার্টমেন্ট নিয়ে কোনো মেট্রোরেল না থাকলেও আমরা ইতোমধ্যে ছয়টি কোচ নিয়ে মেট্রোরেল চালু করেছি।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী করা হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
মন্ত্রী বলেন, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মেট্রোরেলের চলাচলের যাতায়াতের সংখ্যা ১০ মিনিট থেকে আট মিনিটে নামিয়ে আনা যায় কি না তা নিয়ে কাজ চলছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘রাতারাতি বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বিশ্ব পরিস্থিতির উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। সরকার জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছে।’
মন্ত্রিসভার আকার বাড়ছে কি না সে বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন, তবে ভবিষ্যতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনের বিজয়ীরা মন্ত্রী হতে পারবেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রবেশের ক্ষেত্রে উদারতার সুযোগ নেই: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির কর্মসূচি পুরোনো গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার নামান্তর : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির কর্মসূচি অন্য কিছু নয়, স্টার্ট বন্ধ হওয়া পুরোনো গাড়ি স্টার্ট দেওয়ারই নামান্তর।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর বিএনপি'র নেতা-কর্মীরা অত্যন্ত হতাশ এবং তাদের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ। তারা যে আবার নির্বাচনের কথা বলছে, সে জন্য তাদের পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচিত বর্তমান সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর আবার নির্বাচন হবে।
রবিবার(১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ইন্টারন্যাশনাল মারিটাইম অর্গানাইজেশন- আইএমও কাউন্সিলের সদস্য পদে বাংলাদেশ নির্বাচিত হওয়া উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।
আইএমও কাউন্সিলে বাংলাদেশের নির্বাচিত হওয়া সম্মান ও মর্যাদার উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, এটি অন্য অনেক দেশের তুলনায় সমুদ্র বাণিজ্যে আমাদের এগিয়ে থাকার স্বীকৃতি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের বিজিপি-সেনাবাহিনীর সদ্যস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইএমও কাউন্সিলে বাংলাদেশের নির্বাচিত হওয়া দেশকে সমুদ্র বাণিজ্য ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থয়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আইএমও-তে দেশের ফোকাল পয়েন্ট নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. মাকসুদ আলম স্বাগত বক্তব্য দেন। অতিথি ও আয়োজকরা এ উপলক্ষে একটি কেকও কাটেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হবে বে-টার্মিনাল, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে অভাবনীয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘যত্নের অভাবে বা নির্যাতনে’ পুলিশ হেফাজতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে: রিজভী
গত ২৮ অক্টোবরের আগে ও পরে কারাগারে মারা যাওয়া ১৫ নেতা-কর্মীর তালিকা পেশ করেছে বিএনপি।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ তালিকা তুলে ধরেন।
রিজভী দাবি করেন, বিএনপির ১৫জন নেতা-কর্মী কারাগারে পর্যাপ্ত চিকিৎসা বা ওষুধ না পেয়ে এবং পুলিশ রিমান্ডে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে মৃত্যুর পর কারা কর্তৃপক্ষ একই ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছে। ‘বাস্তবতা হলো, তারা কারাগারে মারা গেছেন, হাসপাতালে নয়।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধারের দাবি পুলিশের
কারাগারে বন্দি অবস্থায় মৃতরা হলেন- খুলনা জেলা যুবদল নেতা কামাল হোসেন মিজান, সাতক্ষীরা বিএনপি নেতা উকিল আবদুস সাত্তার, মহসিন-উল-মুলক, রংপুর বিএনপি নেতা মনোয়ারুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা ইদ্রিস আল বাশার, ইমতিয়াজ আহমেদ, গাজীপুরের বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান খান হীরা, মোহাম্মদ শফিউদ্দিন মাস্টার, পাবনা বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতা গোলামুর রহমান গোলাপ, নাটোর যুবদল নেতা আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী যুবদল নেতা মনিরুল ইসলাম, নওগাঁ বিএনপি নেতা মতিবুল মণ্ডল ও ঢাকা মহানগর শ্রমিক দল নেতা ফজলুর রহমান কাজল।
‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলতে চায়, তাদের বক্তব্যের পক্ষে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ দেখাতে হবে’-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘যারা অপরাধ করে তারা নিজেদের নির্দোষ মনে করে। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) নিজেই নির্বাচনে জালিয়াতির সবচেয়ে বড় প্রমাণ। কারণ আপনার নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনের সচিব নিজেই বলেছেন, যারা জয়ী হবেন তাদের তালিকা ডিসিদের দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, এমনকি ক্ষমতাসীন দলের পরাজিত প্রার্থীরাও সংবাদ সম্মেলন করে ভোট জালিয়াতির তথ্য জাতির সামনে তুলে ধরেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের মানুষের বর্জনের পাশাপাশি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বিভিন্ন নির্বাচনি অনিয়ম ও ভোটকেন্দ্র ফাঁকা চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, একতরফা ডামি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার কীভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর চরম দমন-পীড়ন শুরু করে এবং শত শত বিরোধী নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠায় তা দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও জানে।
বিএনপি নেতা বলেন, এমনকি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদও স্বীকার করেছেন যে ভারত আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় রেখেছে।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনি মিথ্যা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে পারবেন না।’
আরও পড়ুন: সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছে সীমান্ত : বিএনপি
মঙ্গলবার থেকে বিএনপির ৬ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
মঙ্গলবার থেকে বিএনপির ৬ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
ছয় দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণসহ এ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দেশপ্রেমের অভাব আছে: নানক
তিনি বলেন, দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আগামী ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার ও বুধবার) ঢাকাসহ অন্যান্য মহানগরে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করবেন।
এদিকে ১৭ ফেব্রুয়ারি সব জেলা শহরে এবং ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের সব উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও ইউনিয়নে অনুরূপ কর্মসূচি পলন করা হবে।
এছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলিতে নিহত বাংলাদেশিদের স্মরণে ১৬ ফেব্রুয়ারি বাদ জুমা দেশের সব মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে দলটি।
রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কারাবন্দি অন্যান্য নেতা-কর্মীদের মুক্তির জন্যই তাদের গণযোগাযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধারের দাবি পুলিশের
তিনি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সম্ভাব্য সব বাধা ও প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে তাদের নতুন কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটি বিএনপির তৃতীয় দফা রাজপথ কর্মসূচি।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিলের দাবিতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ঢাকাসহ সব মহানগর শহরে কালো পতাকা মিছিল করে বিএনপি।
পরে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিন ৩০ জানুয়ারি রাজধানীসহ সারাদেশে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল বের করার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
তবে সেদিন রাজধানীর সাতটি পয়েন্টে বিএনপিকে মিছিল বের করতে দেয়নি পুলিশ। কারণ সেদিন সংসদের নতুন অধিবেশনের প্রথম দিন ছিল।
আরও পড়ুন: সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায়: বিএনপি