বিএনপি
সংসদ অধিবেশনের দিন কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিন সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সারা দেশে কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিল বের করার আগে নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, 'অবৈধ ডামি সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৩০ জানুয়ারি সব মহানগর, জেলা, উপজেলায় কালো পতাকা মিছিল বের করবে আমাদের দলের সব শাখা।’
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: রিজভী
বর্তমান সরকার ও সংসদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি সফল করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিলের দাবিতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল বের করতে ঢাকার দুই মহানগরীর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিকাল ৩টার দিকে কালো পতাকা মিছিল বের করে নাইটিঙ্গেল ও ফকিরাপুল মোড় হয়ে আরামবাগ মোড়ের কাছে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে শুক্রবার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দামের প্রতিবাদে ও একই দাবিতে বিএনপির সব জেলা শাখায় কর্মসূচি পালন করা হয়।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটাই ছিল বিএনপির প্রথম রাজপথের কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: ‘বিজিবি সদস্য হত্যার’ ঘটনায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি বিএনপির
শুক্রবার, শনিবার কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
শুক্রবার, শনিবার কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিলের দাবিতে শুক্রবার সব জেলায় কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দামের প্রতিবাদে একই দাবিতে শনিবার ঢাকাসহ সব মেট্রোপলিটন শহরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে।
গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, লেবার পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথকভাবে কালো পতাকা মিছিল করবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শনিবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটির নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নয়, সবার জন্য সামাজিক বিমা চালু করতে হবে: সিপিডি
তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) এই কর্মসূচি সম্পর্কে জানিয়েছি। আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী কর্মসূচি নিয়ে ডিএমপি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন।’
তিনি বলেন, ডিএমপি কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক অনুমতি না দিলেও এ কর্মসূচির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছে।
রিজভী বলেন, কালো পতাকা কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নেতা-কর্মীরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটাই হবে বিএনপির প্রথম পথচলা কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: এমপিদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি তদন্ত করতে হবে: সিপিডির মুস্তাফিজুর রহমান
সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি, তাদের রিপোর্ট নির্জলা মিথ্যাচার: তথ্যমন্ত্রী
চরম হতাশা বিএনপিকে গ্রাস করেছে: হাছান মাহমুদ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি এখন বুঝতে পেরেছে যে নির্বাচন বর্জন করা বড় ভুল ছিল।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার বকশী বাজারের ঐতিহাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নবকুমার ইনস্টিটিউশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সায়মা ওয়াজেদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদ মতিউর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভে দলীয় নেতাদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সারা বিশ্ব অভিনন্দন জানাচ্ছে। এতে তারা (বিএনপি) হতাশ হয়েছে এবং তারা আবোল তাবোল কথা বলছে।
আরও পড়ুন: গবেষণা করে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতা সংগ্রামকে অস্বীকার করেছে। বিএনপি-জামায়াত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করেছে এবং বলছে হুইসেল বাজিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এজন্য তারা স্বাধীনতা সংগ্রামকে অস্বীকার করে।
দলীয় নেতাদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, কারো বাঁশি বাজিয়ে আমাদের স্বাধীনতা আসেনি।
আরও পড়ুন: মার্চেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে: রেলমন্ত্রী
দেশে গণতন্ত্র না থাকায় ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ক্রমশ বাড়ছে: নজরুল ইসলাম
দেশে গণতন্ত্র না থাকায় ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘সবার উন্নয়নের কথা চিন্তা করলে গণতন্ত্র ছাড়া উপায় নেই। গণতন্ত্র না থাকায় দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ এখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে পিষ্ট। আর মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ কোটি কোটি টাকার বাড়ি কিনছে।’
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিএনপি নেতা আরও অভিযোগ করে বলেন, মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ দুর্নীতি ও লুটপাটে লিপ্ত হয়ে দেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও অর্থ আত্মসাৎ করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থনের প্রয়োজন নেই বলেই ৫ শতাংশ মানুষকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ সংগ্রহের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ‘ফলে তারা ভোটে বিশ্বাস করে না।’
আরও পড়ুন: জনসমর্থন নেই বলেই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে: মঈন খান
তিনি আরও বলেন, 'যদি ভোটের প্রয়োজন হতো (সরকার গঠনের জন্য), তাহলে তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারত, ৭ জানুয়ারির মতো একতরফা নির্বাচন করত না।’
দেশের এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে বিরোধী দলগুলোর চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন সফল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করে দেশের মানুষ জীবন ও রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। ‘সেই গণতন্ত্র এখন বাংলাদেশে নেই। তা ধ্বংস হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি।
অনুষ্ঠান শেষে কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এর আগে সকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা কোকোর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৪৫ বছর বয়সে মারা যান কোকো।
২৭ জানুয়ারি তার লাশ দেশে আনা হয় এবং বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: রিজভী
বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: রিজভী
জাতীয় নির্বাচন বর্জনের পর বর্তমান সরকারের অধীনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ সিদ্ধান্ত জানান।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন কখনোই শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও সুষ্ঠু হবে না। তাই তার অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি। বিএনপি এখনো সেই সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে গত সোমবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভায় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার এবং দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হলে বিএনপি কী করবে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, ‘আমরা বলছি, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। আমরা এখনও শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি, কারণ তার অধীনে কখনো কোনো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’
ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা শুরু এবং মার্চে রোজার মাস বিবেচনায় নিয়ে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন ৩০ এপ্রিলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে রিজভী বলেন, দেশের মানুষ জানে কীভাবে শেখ হাসিনার অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে এবং সেই নির্বাচনের ফলাফল ও প্রকৃতি কী ছিল।
তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমেও প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা কোনোভাবেই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না, তিনি যে বক্তব্যই দিন না কেন। তিনি জনগণের ক্ষমতায়, জনগণের ইচ্ছায় বিশ্বাস করেন না।’
তিনি বলেন, সরকার তার প্রভুদের সমর্থন নিয়ে মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী একটি অদ্ভুত ও প্রহসনের নির্বাচন পরিচালনা করেছে, কারণ তারা গণতন্ত্র ও জনমতের তোয়াক্কা করে না।
আরও পড়ুন: মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা যদি এরকম চিঠি দেন, তাহলে এটা সরকারকে আদালতের উপর হস্তক্ষেপ করতে বলা: হাছান মাহমুদ
নতুন সরকারকে বিশ্ব নেতাদের অভিনন্দন বিএনপির মাথা খারাপ করে দিচ্ছে: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকারকে বিশ্ব নেতাদের অভিনন্দন জানানো দেখে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, 'উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা সফরকালে আমি ১৭টি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছি, যদিও আমরা সেখানে মাত্র দুই দিনের জন্য ছিলাম। আমি একই হলে থাকায় কমপক্ষে আরও ১৭ জনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অডিটোরিয়ামে উগান্ডার কাম্পালায় অনুষ্ঠিত ১৯তম ন্যাম সম্মেলন ও তৃতীয় দক্ষিণ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: কাম্পালায় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ
বিএনপির সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'এসব (নতুন সরকারকে বিশ্ব নেতাদের অভিনন্দন) দেখে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তারা আরও আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে।'
হাছান মাহমুদ বলেন, সব দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রার্থীদের ফিরিয়ে না দেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরও অতীতে দলীয় প্রতীক ছাড়াই এ ধরনের নির্বাচন হয়েছে।
উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় শেষ হওয়া দুই দিনব্যাপী তৃতীয় সাউথ সামিটে যোগদান শেষে মঙ্গলবার দেশে ফেরেন হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করলে তাদের আসনে উপ-নির্বাচন হবে: হাছান মাহমুদ
চার দিনের এই সফরে ১৯তম ন্যাম সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তৃতীয় দক্ষিণ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব করেন এবং একটি বিবৃতি দেন।
জি-৭৭’র সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা সাউথ সামিট।
প্রায় ১০০টি দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা এই বৈঠকে অংশ নেন।
'লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড' প্রতিপাদ্য নিয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিবৃতিতে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা ও সহযোগিতা জোরদারে সদস্য দেশগুলো বাণিজ্য, বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং ডিজিটাল অর্থনীতির ওপর গুরুত্বারোপ করে।
টেকসই উন্নয়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশসহ সদস্য দেশগুলো গ্লোবাল সাউথে সংহতি, ঐক্য ও পরিপূরক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
বিএনপি দেশে-বিদেশে গুজব ছড়িয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এখন দেশে-বিদেশে গুজব ছড়িয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার কারো স্বীকৃতির অপেক্ষায় নেই: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে গুজব সন্ত্রাস যোগ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বেই দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। কিন্তু তারা এই পরিস্থিতিকে সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘বিএনপি যদি ইতিবাচক রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যেত, তাহলে হঠাৎ করে এমন পতন হতো না। সরকার উৎখাতের চেষ্টা করতে গিয়ে তারা গর্তে পড়েছেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া রাজনৈতিক দলই হবে প্রধান বিরোধী দল।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
২৬-২৭ জানুয়ারি কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিলের দাবিতে ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি দুই দিনের কালো পতাকা শোভাযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ২৬ জানুয়ারি সব জেলা সদরে এবং ২৭ জানুয়ারি সব মেট্রোপলিটন শহরে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটাই রাস্তায় বিএনপির প্রথম কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
তিনি বলেন, 'দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা কালো পতাকা নিয়ে মিছিল বের করব। পাশাপাশি আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং অবৈধ সংসদ বাতিলের দাবিতেও এই কর্মসূচি পালন করা হবে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আসন ভাগাভাগি করে সাজানো নির্বাচনের নামে প্রহসনের মাধ্যমে গঠিত আওয়ামী -ডামি সরকার বিএনপিকে দমন করে বাংলাদেশকে পরাজিত করেছে। এখন জনগণের দেখভাল করার কেউ নেই।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী দল রাজপথ ছাড়বে না: বিএনপি
দেশে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, আওয়ামী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের অসততার কারণে দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
সংসার চালাতে হিমশিম খেতে খেতে চরম কষ্টে দিন পার করছে মানুষ। ঋণ নিয়েও সংসার চালাতে পারছেন না তারা। কাঁচা মরিচ থেকে সোনা, সবকিছুর বাজার মূল্য আকাশছোঁয়া।
রিজভী বলেন, গ্যাস সংকট চরম আকার ধারণ করায় জনগণ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে এবং একের পর এক কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে মালিকরা। ‘চট্টগ্রামের অবস্থা আরও খারাপ।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদীন ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করিম শাহিন, মীর নেওয়াজ আলী, তরিকুল ইসলাম তেনজিন, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্য 'জনমতের প্রতিফলন': বিএনপি
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী দল রাজপথ ছাড়বে না: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী দল রাজপথ ছাড়বে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কোনো ব্যবস্থা থাকবে না।’
শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীতে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অনুষ্ঠানে বিএনপির এই নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বন্দুকের জোরে দেশ শাসন করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির নতুন কর্মসূচি আসছে: রিজভী
মঈন খান বলেন, ‘এখন শুধু আমরাই বলছি না, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রহসনের নির্বাচন নিয়ে সারা বিশ্বের মিডিয়ার দিকে তাকান, বিভিন্ন দেশের বিবৃতির দিকে তাকান। প্রহসনের নির্বাচন নিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক বিরোধী দলগুলো গত কয়েক বছর ধরে যা বলে আসছি, তারাও তারই প্রতিধ্বনি করেছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, দেশে-বিদেশে এটা প্রতিষ্ঠিত যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখন মৃত।
তিনি বলেন, দলের একমাত্র লক্ষ্য বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। ‘ইনশাল্লাহ আমাদের গণতন্ত্রের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’
প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে নাগরিক ঐক্যের গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে দেশের প্রতিটি মানুষ যোগ দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব। এছাড়া তিনি বর্তমান সরকারকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
নাগরিক ঐক্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্রের পক্ষে ও ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন করে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্য 'জনমতের প্রতিফলন': বিএনপি
আয়োজকরা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিরোধী দলগুলোর দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে, জেলা ও উপজেলা এবং আন্তর্জাতিকভাবে সর্বস্তরের জনগণের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য নয় বলেই ৭ জানুয়ারি একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করেছে।
মান্না আরও বলেন, এজন্য আমরা এই স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির আয়োজন করেছি। আমরা শুধু বাংলাদেশের ১০ কোটি ভোটার নয়, দেশের ১৭ থেকে ১৮ কোটি মানুষের কাছেও পৌঁছানোর চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আমাদের কর্মসূচি অফলাইন ও অনলাইন উভয় ক্ষেত্রেই অব্যাহত থাকবে।
মান্না বলেন, দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে গঠিত সরকারের নিন্দা জানাতে এবং গণতন্ত্রের পক্ষে সারাদেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন তারা।
তিনি আরও বলেন, গণস্বাক্ষর কর্মসূচির পাশাপাশি অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে তাদের দল রাজপথে একযোগে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে গিয়ে আমরা রাস্তা ছেড়েছি, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, ‘রাজপথের আন্দোলন জোরদার করতে আমরা স্বাক্ষর সংগ্রহ করছি। আমরা এমন একটি সংগ্রাম গড়ে তোলার চেষ্টা করছি যাতে দখলদারকে মাথা নত করতে বাধ্য করা যায়।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্য 'জনমতের প্রতিফলন': বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) বক্তব্যকে 'জনমতের প্রতিফলন' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নতুন কর্মসূচি দিয়ে রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে তাদের দল।
আরও পড়ুন: বিএনপির নতুন কর্মসূচি আসছে: রিজভী
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্যের বিরোধিতা করে মন্ত্রীদের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কে না বলেছে এই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি? সবাই বলেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। সুতরাং টিআইবি যা বলেছে তা জনমতের প্রতিফলন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি যা বলছে তাও জনমতের প্রতিফলন। ‘তাই বিএনপির পছন্দ অনুযায়ী টিআইবি এটা (নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি) বলেনি। তারা যা বলেছে তা বাস্তবতা।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
এর আগে গত বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে একতরফা বলে মন্তব্য করে টিআইবি বলেছিল, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ চেহারা দিতে সাজানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে তাদের গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করে বলেছে, এ ধরনের নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে দেশি-বিদেশি সংগঠনগুলোর মতামতের প্রশংসা করেন নজরুল। তিনি বলেন, 'নিরপেক্ষভাবে বলতে গেলে, বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে যারা কথা বলবেন আমরা তাদের স্বাগত জানাব। আমরা কী বলি সেটা গুরুত্বপূর্ণ, মানুষ কী বলছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: টিআইবি বিএনপির ‘দালাল’: কাদের
তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারকে পছন্দ করে না, যারা বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। যারা অন্যায়, স্বৈরাচার, দমন-পীড়ন ও ভোট চুরির সমালোচনা করেন তাদেরও ধন্যবাদ জানাই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন তা আওয়ামী লীগ সরকার আবার ধ্বংস করেছে। ‘সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে চলমান আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচি আমরা আপনাদের জানাব।’
নজরুল ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমান বাকশালের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন এবং খালেদা জিয়া এরশাদের সামরিক স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করছি। জিয়াউর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা নতুন করে শপথ নিয়েছি, এ দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের সহযোগিতায় যত দ্রুত সম্ভব আমরা দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব।’
আরও পড়ুন: বিএনপির চাওয়ায় দেশের অমঙ্গল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার নানা কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। তিনি ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন এবং দেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল সেনা কর্মকর্তার হাতে নিহত হন জিয়া।