গুলিবিদ্ধ ৬
কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-আ. লীগ কর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে ছয় শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া আরও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শেখ ফজলে রাব্বি আহতদের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ: গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো অবরোধ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেলে উপজেলার পুলিশ লাইন্স এলাকায় অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় অন্তত ৫০ জন আহত হন।
শিক্ষার্থীরা কান্দিরপাড়ায় জড়ো হলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করে। অনেকে হামলা থেকে বাঁচতে আশপাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
এদিকে চান্দিনায় সহকারী ভূমি কমিশনারের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় কয়েকজন।
আন্দোলনকারীরা এর আগে তাদের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাদের সেখান থেকে জোর করে সরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে শহীদ মিনারে রিকশাচালকদের ভিড়
নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের গুলি, আহত ৭
৪ মাস আগে
বিজয় মেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিজয় মেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর করা হয় ছয়টি মোটরসাইকেল।
বিজয় মেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে রবিবার ভোরে উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা সবাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মী।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ হাজারের বেশি জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন-চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাউছার আহমেদ আরিফ, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন ইমন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ, আব্দুর রহমানসহ আরও দুই যুবলীগ কর্মী।
যাদের মধ্যে কাউছার আহমেদ আরিফের অবস্থা আশাংকাজনক বলে জানা গেছে।
এছাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি সাহেদ বিন কামাল অনিককে পিটিয়ে জখম করে পায়ের রগ ছিঁড়ে দেয়া হয়। তাকেও আশাঙ্কাজনক অবস্থায় চমেকে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া পাথর মেরে এবং গুলিতে আহত করা হয় আরও অন্তত ২০ জনকে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, রবিবার ভোররাতে জোরারগঞ্জ বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে আমাদের ফোর্স সেখানে ছুটে যায়।
এছাড়া কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে শুনেছি। এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
জাহিদ হোসেন আরও বলেন, এই ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এলাকাজুড়ে।
এছাড়া জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দিন টিটুর নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন আহত নেতাকর্মীরা।
এই বিষয়ে জানতে মাঈন উদ্দিন টিটুর ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আগত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ কারা করেছে সেটি সবাই দেখেছে এবং সবাই জানে।
এছাড়া যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কিংবা মানুষ হত্যা করে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
জোরারগঞ্জ বিজয়মেলা উদযাপন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান শ্যামল দেওয়ানজী বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা প্রত্যেকেই সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী ছাড়া এই ধরনের ঘটনা ঘটানো সম্ভব না।
আরও পড়ুন: মালিবাগে গণমিছিল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের সংঘর্ষ
পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ৮১ জনের নামে মামলা, অজ্ঞাত আসামি ২ হাজার
১ বছর আগে