ওবায়দুল কাদের
মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে টানাটানি করে কোনো লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বলেছেন, মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে নিয়ে টানাটানি করে কোনো লাভ নেই এবং তা বিরোধীদের জন্য কোনো স্বস্তিও বয়ে আনবে না।
তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন নজিরবিহীন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হবে। এই নির্বাচনে বিএনপি না আসলে আমও যাবে, ছালাও যাবে।’
এদিন বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে দলটি এ সমাবেশ করে।
বিএনপি-জামায়াত জোটের অতীত আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচন নিয়ে খেলায় ফাউল করলে তাদের ‘লাল কার্ড’ দেখাতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সহিংসতামুক্ত হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, এবার কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
কাদের বলেন, পিটার হাসকে দেখিয়ে নির্বাচন বন্ধ করবেন, ঢাকা অচল করে দিবেন। নির্বাচন বন্ধ করতে আসবেন। সেই খেলা খেলতে দিবো না। সন্ত্রাসের খেলা বিএনপিকে খেলতে দিবো না।
বিএনপির চলমান আন্দোলন ও কৌশলের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধী দল নিজেই পথ রুদ্ধ করায় বিএনপির ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন সফল হবে না।
তিনি বলেন, ‘ভীসা নীতি দিবেন, নিষেধাজ্ঞা দিবেন?’
জেলা দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ডা. হাসান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ঢাকা অচল করতে আসলে বিএনপিকে অচল করে দেবে ঢাকাবাসী: সেতুমন্ত্রী
বিএনপি সমঝোতার সুযোগ রাখেনি: মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে ওবায়দুল কাদের
দেশের কূটনৈতিক অর্জন নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি: কাদের
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বাংলাদেশ সফর এবং সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ব্রিকস ও জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে দেশের কূটনৈতিক অর্জন নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের ‘মিথ্যাচারের’ নিন্দা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিএনপি কোটি কোটি ডলারের জন্য লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে দেশের বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপবাদ ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন করার গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের ।
তিনি বলেন. ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ আফ্রিকায় সাম্প্রতিক ব্রিকস সম্মেলনে এবং ভারতে জি২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের জাতির জন্য অতুলনীয় মর্যাদা ও সম্মান এনেছেন।’
এসব আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি বিশ্ব নেতাদের উল্লেখযোগ্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিশ্ব দরবারে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার অবস্থানকে তুলে ধরেছে এবং এসব তার দক্ষ নেতৃত্বের স্বীকৃতি।
তিনি বলেন, 'বিশ্ব নেতারা যখন বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করছেন, তখন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সক্রিয়ভাবে দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য তারই প্রমাণ।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প মানুষের জীবনযাত্রার উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে, সেগুলোর প্রতি ঈর্ষা পোষণ করে একটি রাজনৈতিক দল কতটা দেউলিয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিএনপি উন্নয়নের সুবিধা নেয় কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপি একদিকে তাদের ব্যাপক ব্যর্থতার সঙ্গে লড়াই করছে, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন উদ্যোগ এবং তার বৈশ্বিক নেতৃত্বের প্রশংসা অব্যাহত থাকায় তারা হতাশার সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে।’
বিএনপির বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে ভুল, বানোয়াট ও বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগ করেন কাদের।
বিএনপি উন্নয়নের সুবিধা নেয় কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্র আছে বলেই উন্নয়নের মুখ দেখছে বাংলাদেশ। বিএনপি এটার সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু দেশের উন্নয়নে তারা প্রশংসা করতে পারে না।
শনিবার (১২ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় কাদের বলেন, ‘সংবিধানের কাটাছেঁড়া বা সংশোধনী করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পার্লামেন্ট বিলুপ্তি, শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ বিএনপির কোনো দাবি মেনে নেওয়া হবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, মন চাইলে নির্বাচনে আসবেন, না হয় যা মন চায় তা করেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপি বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে, তাদের প্রতিহত করুন: কাদের
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপিকে প্রতিপক্ষভাবে, আর তারা আওয়ামী লীগকে শত্রুভাবে। সেটার যাত্রা শুরু করেছিল ২১ আগস্ট। ১৫ আগস্ট কিংবা একুশে আগস্টসহ সব হত্যাকাণ্ড ও ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড জিয়া পরিবারের সদস্যরা।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচনে তাদের কী দশা হবে। এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে এদেশের ৭০ ভাগ ভোট শেখ হাসিনা পাবেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশেই ওয়াশিংটন হস্তক্ষেপ করতে পারে না, শুধুমাত্র বাংলাদেশেই চুন থেকে পান খসলেই তারা ভিসা নীতির কথা বলে।
যেকোনো সংকট কিংবা সমস্যায় শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখতে সারাদেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: দেশের রাজনীতিতে বিএনপি ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া: কাদের
নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক কোনো চাপে নেই আওয়ামী লীগ: কাদের
দেশের রাজনীতিতে বিএনপি ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া: কাদের
দেশের রাজনীতিতে বিএনপি ‘ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনীতিতে বিএনপি হচ্ছে ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া। এই বিষফোঁড়া যতদিন আছে ততদিন হত্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, যত প্রকার অশান্তি, অস্থিরতা, সবকিছু থাকবে। কারণ এসবের মূলহোতা বিএনপি।’
শনিবার রাজধানীর বনানীতে জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে তাকে শ্রদ্ধার জানানোর পর তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি বন্ধুদের সমর্থন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে জাতীয় যত রক্তাক্ত ট্রাজেডি তার মূলে রয়েছে জিয়া পরিবার। পঁচাত্তর তাদেরই সৃষ্টি। এর মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান। ৩ নভেম্বরের হোতাও তিনি। একুশে আগস্টের মাস্টার মাইন্ড তার ছেলে তারেক রহমান। মূলত এই পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে।
বিএনপি দেশে আবারও সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে। তারা নির্বাচন নয়, পেছনের দরজা দিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চোরাগলি পথে ক্ষমতায় যেতে চক্রান্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: খেলা হবে তারেক ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল বলছেন আওয়ামী লীগকে গুগলি মেরে বোল্ড আউট করে ফেলেছে। গুগলি তো করেছেন, বলতো নো বল। নো বলে গুগলিও হবে না, বোল্ড আউটও হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ শহীদ শেখ কামালে জন্মদিন। মানুষের জন্মদিন কতই আনন্দের, কিন্তু আমাদের জীবনে আজ শোকের বার্তা বয়ে যাচ্ছে।
রবিবার সারাদেশে আ. লীগের বিক্ষোভ কর্মসূচি: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আগামীকাল রবিবার (৩০ জুলাই) সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
শনিবার (২৯ জুলাই) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ঘোষণা দেন।
এসময় তিনি বলেন, যা আশঙ্কা করেছিলাম সেটাই এখন সত্যি হলো। তাদের আন্দোলনের এক দফা হলো অগ্নিসন্ত্রাস। ২০১৩/১৪ সালের নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি শুরু হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এই আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আগামীকাল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণসহ সারাদেশে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করবে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে। আজ মাতুয়াইলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষ করে। ৪টি বাসে আগুন দেয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পুলিশের ভ্যানে হামলা করে ভাঙচুর করে। রাজধানীতে মোট ৭টি বাসে হামলা চালায়, ভাঙচুর ও অগ্নিসন্ত্রাস করে। পুলিশ সদস্যদের আহত করেছে, এমনকি হাতের কবজি পর্যন্ত কেটে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: খেলা হবে তারেক ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের ঢোকার পথ- এটা কি তারেক রহমানের বাপ দাদার সম্পত্তি? লন্ডন থেকে আদেশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেবে এটা কোন ধরনের রাজনীতি?
তিনি বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু শান্তিপূর্ণ সে নির্বাচনে প্রধান বাধা বিএনপি। সেটা আজ প্রমাণ হলো।ওবায়দুল কাদের বলেন, গণভবন থেকে শেখ হাসিনাকে না হটিয়ে তারা অবস্থান থেকে সরবে না। এটাই তাদের লিডার তারেক রহমান লন্ডন থেকে নয়াপল্টনে ভিডিওতে নির্দেশনা দিয়েছে। কোনো ফোরামে তার ভাষণ-বিবৃতি প্রচার করা যাবে না, এরপরও বারে বারে কেন লঙ্ঘিত হচ্ছে? আদালতের আদেশ প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করে চলেছে দুবৃত্ত তারেক রহমান। আদালত অবমাননা করছে প্রতিনিয়ত। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টকে গালিগালাজ করছে তারেক রহমান। এর কি বিচার নেই, প্রতিকার নেই। তারেক রহমান কি আইনের ঊর্ধ্বে? আইনকে কটাক্ষ করে, প্রশ্নবিদ্ধ করে, এই দল সন্ত্রাসী দল।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস আমরা রুখব এবং এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।
এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকেরা, ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত দলীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে জরুরি যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড.আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মুহাম্মদ ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারসহ অন্য নেতারা।
আরও পড়ুন: আবারও দরকার শেখ হাসিনার সরকার: ওবায়দুল কাদের
বিদেশি বন্ধুদের সমর্থন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
খেলা হবে তারেক ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খেলা হবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, ভুয়া এক দফার বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, তারেক রহমান পুলিশকে ধমক দিচ্ছে। প্রশাসনকে ধমক দিচ্ছে। তারেক রহমান ফখরুলকে বলছে আন্দোলনের টাকার অভাব হবে না।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রতিবাদ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে টিআইবির চিঠি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারেক জিয়া চোর হ্যায়, গালি গালি মে শ্যোর হ্যায়।’
তিনি বলেন, লবিস্ট নিয়োগ করে টাকা দিয়ে কিছু মানুষকে দিয়ে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের কাছে চিঠি লেখে। এই দুঃসাহস তারা পেল কোথায়?
তিনি বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা তারা পাচার করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন নাকি আপনারা (বিএনপি) রাস্তা বন্ধ করবেন। ঢাকার প্রবেশ মুখে অবস্থান নেবেন। আপনাদের চলার রাস্তাও বন্ধ করে দেব। চোখ রাঙাবেন না। আমাদের শিকড় এ মাটির অনেক গভীরে।
তিনি আরও বলেন, চোখ রাঙিয়ে আমাদের উৎখাত করা যাবে না, যায় না। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বস্ত প্রতিনিধি।
কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা ধমক দিচ্ছে, চোখ রাঙাচ্ছে। এই চোখ রাঙানির দিন শেষ হয়ে গেছে। রাজনীতির খেলায়, আন্দোলনে আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারেনি।
তিনি বলেন, রাজনীতির খেলায় আওয়ামী লীগ চ্যাম্পিয়ন। তাহলে থাকে নির্বাচন। নির্বাচনে তো আপনারা আসবেন না।
কাদের বলেন, তারেক রহমান, ফখরুলরা, আমির খসরুরা আইন মানে না। এদের কথাবর্তা শুনলে মনে হয় এরা আইন মানে না, সুপ্রিম কোর্ট মানে না।
কথায় কথায় তারেক রহমান সুপ্রিম কোর্টকে ধমক দিয়ে কথা বলে। তার সারা জীবনের দণ্ড হয়েছে। এত অহংকার, এত দম্ভ ভালো নয়। টাকার বাহাদুরি থাকবে না।
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব, তারেক জিয়া যত লাফালাফি, যত তাফালিং করেন এই লাফালাফিতে কাজ হবে না। যতই তাফালিং করেন ক্ষমতার ময়ুর সিংহাসন বহু দূরে চলে গেছে। ওইটা খুঁজে পাবেন না।
এদিকে সমাবেশে যৌথভাবে ৫ দফা ঘোষণা করেছে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু এ যৌথ ঘোষণা পাঠ করেন।
৫ দফা যৌথ ঘোষণায় যা আছে─
১. ছাত্র-তরুণ-যুবসমাজকে সংগঠিত করে আগুন সন্ত্রাস রুখব
২. অপশক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজপথে রুখে দাঁড়াব
৩. সাংবিধানিকভাবে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সোচ্চার থাকব
৪. শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত রাখব
৫. মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বদা সোচ্চার থাকবি
আরও পড়ুন: আবারও দরকার শেখ হাসিনার সরকার: ওবায়দুল কাদের
বিদেশি বন্ধুদের সমর্থন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
আবারও দরকার শেখ হাসিনার সরকার: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আবারও দরকার শেখ হাসিনার সরকার।
শনিবার (২২ জুলাই) বিকালে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে জিলা স্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মিথ্যাচার করবেন না ফখরুল সাহেব। আজ নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের জেলা সমাবেশ হচ্ছে; বিভাগীয় সমাবেশ নয়। আমি দেখতে পারছি মাঠের কানায় কানায় লোকে লোকারণ্য।
তিনি বলেন, তারেক রহমান ১৬ বছর পর রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন। এখন শুনি তিনি নাকি শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাবেন।
আরও পড়ুন: সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘টাকার কোনো সমস্যা হবে না, টাকা হলে আন্দোলন করা যায় এ কথা আপনি কিভাবে বলেন তারেক রহমান? আপনি এদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন। শেখ হাসিনা সরকার বিদেশ থেকে ৪০ কোটি টাকা উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। সে সব কথা সারা দুনিয়ার মানুষ জানে। কোথা থেকে এত টাকা এলো তারেক রহমান?’
কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের মুখ শুকিয়ে গেছে এখন আর তাদের আন্দোলন হয় না। আবার বলে রোজার পরে আবার বলে কোরবানির পরে, আবার বলে পরীক্ষার পরে এভাবে ১৪ বছরে ও আন্দোলন হয় না।’
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানকে বাংলাদেশের মানুষ চেনে। তার নেতৃত্বে আন্দোলন কি মানুষ করবে?’
মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের আরও ৪ মাস বাকি। দিকে দিকে একি শুনি নৌকা মার্কার জয় ধ্বনি, খেলা হবে হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে। মির্জা ফখরুলের মিথ্যাচারের পতন ঘটবে।’
নৌকা নিয়ে সকল নেতা কর্মীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ, ভালো ব্যবহার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিদেশিরা আসে-যায় বিএনপির আশা পূরণ হয় না: কাদের
বিএনপির বিজয় মিছিল নয়, পরাজয়ের মিছিল: কাদের
বিদেশি বন্ধুদের সমর্থন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বিদেশি বন্ধুদের কাছে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে যে পক্ষপাতমূলক সমর্থন চেয়েছিল সেটা ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নয়, তারা বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, বিশেষত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
বিদেশি বন্ধুরা আসার আগে বিএনপি তাদের অপপ্রচারের মাধ্যমে এমন আশঙ্কা তৈরির চেষ্টা করেছিল যে- এবার বুঝি সরকারের রেহাই নেই। নিষেধাজ্ঞা আসছে। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভিসানীতি সরকারকে বিপদে ফেলবে। সরকারকে হয়ত ফাইনালি বলে দেবে এভাবে নির্বাচন করতে, তত্ত্বাবধায়ক হয়ে যাবে, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে - এ রকম চেয়েছিল বিএনপি। শেষ পর্যন্ত কী হলো?
আরও পড়ুন: নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধুরা মূলত অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। কাউকে ধমক, নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি প্রয়োগ হবে এমন কোনো উক্তি তারা করেননি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা তারা বলেননি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার। সে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আমরা রক্ষা করব। কারো কোনো উস্কানিতে, খারাপ ব্যবহারে সে পরিবেশ ক্ষুণ্ন হয়েছে - এই দুর্নামটা নিতে চাই না।
বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের প্রতি আস্থা থাকলে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র পরিহার করে নির্বাচন করুন। কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীরা যে মনোভাব প্রদর্শন করছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার যে অপচেষ্টা আছে তার দায় বিএনপিকে নিতে হবে।
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপির দফা কয়টা? দল কয়টা? রাষ্ট্র মেরামতের জন্য এখন ৩২ দফা, আগে ছিল ২৭ দফা। এই আন্দোলন, এক দফার জগাখিচুড়ি ঐক্যের পরিণতি গতবারও দেখেছি, এবারও সেদিকেই যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আসলে চিত্রটা বুঝে গেছে। ডিসেম্বর থেকে যে তোড়জোড় করছে গণঅভ্যুত্থান নিয়ে। আর বাস্তবতা হলো গণঅভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে সেখান থেকে পদযাত্রা। কতটা অবনতি হলে তারা এটা করে। তাদের কর্মীরা এখন হতাশ, নেতাদের দোষারোপ করছে। সরকার পতনের এক দফার ডাক দিয়ে পদযাত্রায় গেল। এর কারণ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। যার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় বিএনপি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন থেকে দলীয় যে সমাবেশ হবে তার শিরোনাম হবে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ।
আরও পড়ুন: বিএনপির অনেক নেতা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: ওবায়দুল কাদের
প্রতিবাদ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে টিআইবির চিঠি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে (টিআইবি) জড়িয়ে পরপর দুই দিন ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
টিআই/টিআইবির সঙ্গে দূরতম সংশ্লিষ্টতা নেই এমন সব বিষয়ের দায় অন্যায় ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে টিআইবির ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়াসে লিপ্ত হওয়া সেতুমন্ত্রীর জন্য আত্মঘাতী ও বিভ্রান্তিকর অবস্থানের পরিচায়ক বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার(২০ জুন) সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে টিআইবি সেতুমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংস্থাটির অবস্থান জানায়।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেটে নেই দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রতিরোধ এবং সুশাসন-ন্যায্যতা বিষয়ক কোনো দিকনির্দেশনা: টিআইবির উদ্বেগ
একই দিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে শাপলা চত্বরের আলোচিত ঘটনার সঙ্গে টিআই/টিআইবিকে সম্পৃক্ত করে আবারও সেতুমন্ত্রীকে মিথ্যাচার করতে দেখা যায় উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা মনে করি সড়ক ও সেতু মন্ত্রী এক ধরনের বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন।
চিঠিতে আমরা তাকে জানিয়েছি, তিনি আমাদের ক্রমাগত এমন অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন যার সঙ্গে টিআই বা টিআইবির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা হিসেবে তার কাছ থেকে এমন মিথ্যাচার অনভিপ্রেত।
টিআই/ টিআইবিকে নিয়ে সেতুমন্ত্রীর অভিযোগ পুরোপুরি অমূলক উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, আমরা চিঠিতে মন্ত্রীকে এটি মনে করিয়ে দিয়েছি, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অন্য একটি মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের যাচাই-বাছাইয়ের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দেয়।
তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে টিআই বা টিআইবিকে দায়ী করা অযৌক্তিক ও হাস্যকর।
একইসঙ্গে বিএনপির সঙ্গে টিআই/টিআইবির সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে আপনার অভিযোগও পুরোপুরি অমূলক।
অন্যদিকে, শাপলা চত্বরের আলোচিত ঘটনা নিয়ে টিআই/টিআইবি নয় বরং অন্য একটি স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল এবং বিষয়টি এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, যা মন্ত্রীর অজানা থাকার কথা নয়।
দৃশ্যত, অন্যায় ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিষয়গুলোর দায় টিআইবির ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়াসে লিপ্ত হয়েছেন সেতুমন্ত্রী।
একজন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ও উচ্চপর্যায়ের সরকারি ব্যক্তিত্ব হিসেবে সেতুমন্ত্রীর কাছ থেকে মিথ্যাচার নয়, টিআইবির নিজস্ব কার্যক্রম সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে সমালোচনা বা পরামর্শ প্রত্যাশা করে টিআইবি।
আরও পড়ুন: মুক্ত সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হতাশাজনক ব্যর্থতার স্বাভাবিকতার দৃষ্টান্ত: টিআইবি
আরপিও সংশোধনী বিল মড়ার ওপর খাড়ার ঘা: টিআইবির উদ্বেগ
নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো বর্হিশক্তির পরামর্শে নয়।
তিনি বলেন, আমরা কারো ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা এসব বিবেচনা করে নির্বাচনে যাচ্ছি না। আমাদের নজর সংবিধানের দিকে, দেশের জনগণের দিকে।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর স্বামীবাগে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব উপলক্ষে ইসকন স্বামীবাগ আশ্রমে আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় ভারতকে সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। এরসঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। আজকে বিশ্বে অনেক বিষয় যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি ও জ্বালানি সংকট। এখানে বাংলাদেশ বিষয়ে কোনো কথা হবে কিনা এটা নিয়েতো ভারতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়নি। কিংবা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমরা কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি বাইডেনকে বোঝানোর জন্য।
বাংলাদেশের কোন নির্বাচন নিয়ে ভারত কোন প্রশ্ন বা হস্তক্ষেপ করেছে- এমন জানা নেই বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: বিদেশি শক্তি বন্ধু হতে পারে কিন্তু নির্বাচনে জয়ী করতে পারে না: কাদের
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিছু কিছু দেশ আছে যাদের নিজেদের গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত নয়, প্রশ্ন আছে- তারা কি গণতন্ত্র শেখাবে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে কোনো কোনো মহল আছে, তাদের কাছে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের অর্থ যখন আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে। আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে নির্বাচন সুষ্ঠু; এটা হচ্ছে বিএনপি সহ কিছু দলের মনোবাসনা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সনাতন ধর্মালম্বীদের শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে দুঃসময়ে, দুঃখ, কষ্টে ও দুর্যোগে আওয়ামী লীগ সনাতন ধর্মালম্বীদের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।
এসময় ওবায়দুল কাদের সনাতন ধর্মালম্বীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের নিজেদের কখনো সংখ্যালঘু মনে করা উচিত না। অন্যান্য ধর্মের মতো আপনারাও দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক।
আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জি, বাংলাদেশে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মনিন্দ্র কুমার নাথ।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী।
পরে এক বর্ণাঢ্য রথযাত্রা বের করা হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় বাংলাদেশ, আমাদের নিজস্ব নীতিও থাকতে পারে : ওবায়দুল কাদের
বিএনপির অনেক নেতা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: ওবায়দুল কাদের