ওবায়দুল কাদের
যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আাগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (০৯ আগস্ট) সকালে নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
সরকার আন্দোলনে ভীত-বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য কমেডি ক্লাবের জন্য যুৎসই হতে পারে কিন্তু দেশের বাস্তবতার সঙ্গে কোনো মিল নেই মন্তব্য করে কাদের বলেন, দেশে কোথায় তাদের আন্দোলন? কোথায় তাদের উত্তাপ? জনগণতো কিছু দেখছে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, একবার শুনি রাজপথ দখলে নেবে, আবার শুনি সরকারকে টেনে নামাবে, কখনো শুনি নির্বাচন হতে দেবে না। আসলে বিএনপির সক্ষমতা কতটুকু তা আমাদের জানা আছে।
জ্বালানি সঙ্কটের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ সংকট কোনো দেশের নয়, পুরো বিশ্ব একই সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। এই বাস্তবতা উপলব্ধি না করেই বিএনপি ও তাদের দোসররা সরকারকে দোষারোপ করছে।
দুর্নীতির বিষয়ে বিএনপি নেতাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি নড়চড় হয়নি।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে হবে এবং জনসাধারণের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া উচিত নয়। অন্যথায় আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।
তিনি গণপরিবহনে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের অপরাধীদের কঠোর হস্তে দমন করার অঙ্গীকার করেন।
পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না: ফখরুল
সংকট মোকাবিলায় সময়মতো পদক্ষেপ নেয়া হবে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সময়মতো পদক্ষেপ নিবে সরকার।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে এটি একটি বৈশ্বিক সংকট। বাংলাদেশে এটি যাতে কঠিনভাবে আঘাত না হানে সেজন্য পূর্ব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, তার দল মনে করে যে, জনগণ যদি ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা করে তাহলে কোনো সংকটই মোকাবিলা করা কঠিন হবে না।
রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারে জনগণকে দায়িত্বশীল, সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে বিএনপি নেতাদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি বলেন, আমাদের শাসনামলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কখনও পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নীচে ছিল না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ শাসনামলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে এবং বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
কাদের বলেন, হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ফলে অনেক উন্নয়নশীল দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আশঙ্কাভাবে কমেছে।
আরও পড়ুন: কোনো ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়ন ঠেকাতে পারবে না: কাদের
মির্জা ফখরুলের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি দেশের মানুষকে আতঙ্কিত করছে: ওবায়দুল কাদের
পদ্মা সেতু হচ্ছে বাঙালি জাতিকে অপমান করার প্রতিশোধ: ওবায়দুল কাদের
পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, পদ্মা সেতু হচ্ছে বাঙালি জাতিকে অপমান করার প্রতিশোধ।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংক শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, জয়, পুতুল ও ববিসহ গোটা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে অপমান করেছে, অপবাদ দিয়েছে। বাঙালি বীরত্ব এবং সম্মানকে ক্ষুণ্ন করেছে। তাই আমি বলব, পদ্মা সেতু শুধু আমাদের সামর্থ্য এবং সক্ষমতার সেতু নয়, এই সেতু আমাদের অপমানের প্রতিশোধ।’
বুধবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই তীরের জেলাগুলোর সংসদ সদস্য,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মনে আস্থা বৃদ্ধি করবে
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে দলের নেতা-কর্মীদের সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়ে এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে অনেক ঘটনা ঘটছে। জানি না চট্টগ্রামের কন্টেইনার ডিপো তারই একটা অংশ কি না।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে সামনে রেখে নাশকতা করার ষড়যন্ত্র আছে। ষড়যন্ত্র আছে উদ্বোধনী দিন একটা ঘটনা ঘটানোর জন্য। তারা কিন্তু মরিয়া হয়ে চেষ্টা করবে, আমাদের সাবধান থাকতে হবে। সবাই সতর্ক থাকবেন। যাতে শত্রুরা ভেতরে ঢুকে কোনো অন্তর্ঘাত করতে না পারে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে বিশ্ব ব্যাংক স্বীকার করছে, পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়ে তারা বড় একটা ভুল করেছে। পদ্মা সেতু নিয়ে অনেকে ষড়যন্ত্র করেছে, এখনো করছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আনন্দ ম্লান করতে নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
পদ্মা সেতু: উদ্বোধনের অপেক্ষায় খুলনাবাসী
মূল্যবৃদ্ধি: আ.লীগকে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ থেকে শিক্ষা নিতে বলল বিএনপি
খাদ্যশস্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্ষমতাসীন দলকে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ থেকে শিক্ষা নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি ওবায়দুল কাদের সাহেবকে (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) সতর্ক করতে চাই, আপনারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেন না। ১৯৭৪ সালে খাদ্যশস্যের দাম বাড়লে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল।’
জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার দলটি জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কৃত্রিম সংকট তৈরি করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে: বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন আবার খাদ্যশস্যের দাম বাড়ছে এবং জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই সময়ে আপনি দেয়ালের লেখা পড়ছেন না এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছেন না। এখন এসব পরস্পর বিরোধী কথা বলার এবং অপ্রত্যাশিত মন্তব্য করার কোন মানে নেই।’
সম্ভাব্য জনরোষ এড়াতে সরকারকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানান ফখরুল। তিনি বলেন, ‘জনগকে কথা বলতে দিন এবং তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে দিন। অন্যথায় আপনাদের এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। আপনারা আমাদের ভয়ানক পরিণতির হুমকি দিচ্ছেন, কিন্তু আপনারা অতীতে এমন পরিণতি দেখেছেন।’
আরও পড়ুন: জনকল্যাণকর রাজনীতির পথে ফিরে আসুন: বিএনপিকে কাদের
জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া, হত্যা, গুম ও মিথ্যা মামলা দায়ের বন্ধ এবং বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘অন্যথায় আপনারা কখনই স্বস্তি পাবেন না... আমরা জানি তারা (আ.লীগ) এতে কর্ণপাত করবে না এবং সে কারণেই তাদের পতন অনিবার্য।’
জনকল্যাণকর রাজনীতির পথে ফিরে আসুন: বিএনপিকে কাদের
অগণতান্ত্রিক পন্থা পরিহার করে জনকল্যাণকর রাজনীতির পথে ফিরে আসতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (০১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংসের অপচেষ্টা না করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিন। অন্যথায় বরাবরের মতো আবারও জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হবেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা একাধিকবার গণঅভ্যুত্থান ও গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল তাদের মুখে গণঅভ্যুত্থানের কথা মানায় না।
গণধিকৃত ও গণশত্রুরা রাজনীতির মাঠে জনগণের কল্যাণে কখনোই কিছু করে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণবিরোধী এসব শক্তির স্বরূপ জাতির সামনে ইতোমধ্যেই উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জনগণকে এই অশুভ শক্তির ছায়া থেকে দূরে রাখতে চাই।
পড়ুন: বিএনপি ঈর্ষান্বিত হয়ে মেগা প্রকল্প নিয়ে মিথ্যাচার করছে: কাদের
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান দেশে তথাকথিত বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন বলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করে থাকেন এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মূলত জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রাজনীতি করার লাইসেন্স প্রদানের পাশাপাশি প্যাড সর্বস্ব রাজনৈতিক দল ও দলছুট রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে কারফিউ গণতন্ত্র চালু করে জাতির সাথে তামাশা করেছিল।
তিনি বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় আজও বিএনপি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি, স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও দলছুট নেতাদের নিয়ে তথাকথিত বহুদলীয় প্লাটফর্ম তৈরি করার পাঁয়তারা করছে।
দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বকে মুক্ত করার নামে তথাকথিত আন্দোলনের এই প্লাটফর্ম মূলত দেশের গণতন্ত্র এবং জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার প্লাটফর্ম বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার সুনির্দিষ্ট কোন মামলা ছাড়া কাউকে আটক করে রাখে নাই এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর বলেই গ্রেনেডের বিপরীতে গ্রেনেড ব্যবহার করেননি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে তাঁর নিজের বাসায় রেখে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, অথচ বিএনপি সরাসরি আইন ও সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন যে প্লাটফর্ম তৈরির পাঁয়তারা করছে তা দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে জনগণ মনে করেন।
পড়ুন: গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ
বিএনপি ঈর্ষান্বিত হয়ে মেগা প্রকল্প নিয়ে মিথ্যাচার করছে: কাদের
ক্ষমতায় থাকাকালে যারা দেশে একটিও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখেনি, সেই বিএনপি যখন মেগা প্রকল্প নিয়ে মেগা মিথ্যাচার করে দেশবাসীর মনে তখন বিএনপি নেতাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার সকালে তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের জনগণ আসলে বুঝে গিয়েছে ঈর্ষান্বিত বিএনপি নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করতেও দ্বিধা করে না।’
বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা নাকি শয়তানি কারবার, মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের সম্পদ কেউ যদি পাচার করে এবং পরবর্তীতে সেটা যদি ফিরিয়ে আনা হয়, তাহলে তাতো ভালো উদ্যোগ। শয়তানি কারবার হবে কেন?
তিনি বিএনপি মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন রেখে জানতে চান, ‘বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার কথা শুনে আপনাদের গায়ে জ্বালা ধরছে কেন? কিসের এতো ভয়?’
আরও পড়ুন: বিরোধী পক্ষকে দমন ও পীড়নের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবকে আবারও প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আপনার বক্তব্য শুনে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তবে কি আপনারা আপনাদের পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরে আসার আতঙ্কে ভুগছেন?’
আওয়ামী লীগ একদিনও ক্ষমতায় থাকলে নাকি বিএনপিরই ক্ষতি-মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে ক্ষতির কথা বলেছেন সে ক্ষতির অংকটা বলেননি।
ওবায়দুল কাদের এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রতিদিন যে পরিমাণ সম্পদ লুট করতে পারতো বিএনপি, এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেই মির্জা ফখরুলের মন খারাপ।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের নানা কারণে মন খারাপ, কারণস্বরুপ ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল হয়ে যাচ্ছে-সেজন্যই তাদের মন খারাপ।’
সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মেট্রোরেলের স্টেশন সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করা প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবের কাছে আসলে জনস্বার্থ গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কিভাবে টাকা লুটপাট করা যায়।’
লুটপাট আর লুন্ঠন করতে সিদ্ধহস্ত বিএনপি নেতৃবৃন্দ তাই জনসাধারণের সুবিধার কথা বিবেচনা না করে শুধু টাকার গন্ধ খুঁজে বেড়ায় বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন,‘শেখ হাসিনা সরকার জনস্বার্থ এবং ব্যয় সাশ্রয়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই যে কোন প্রকল্প গ্রহণ করেন।’
পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কমবেশি এক কিলোমিটার দূরত্বে মেট্রোরেলের স্টেশন রয়েছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে সমীক্ষা এবং পরামর্শকের পরামর্শ অনুযায়ী জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোর স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।’
ঈর্ষান্বিত বিএনপির নেতৃবৃন্দ এসব প্রকল্প সম্পর্কে না জেনে না বুঝে একেক সময় একেক রকম বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আ’লীগ থেকে দূষিত রক্ত বের করতে হবে: ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশের অর্থ পাচারকারীদের তালিকায় তারেক শীর্ষে: ওবায়দুল কাদের
আ’লীগ থেকে দূষিত রক্ত বের করতে হবে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ থেকে দূষিত রক্ত বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নেতাকর্মীরা খারাপ আচরণ করলে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। আওয়ামী লীগ থেকে দূষিত রক্ত বের করতে হবে।’
বুধবার দুপুরে নগরীর কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিরোধী পক্ষকে দমন ও পীড়নের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না: ওবায়দুল কাদের
দুঃসময়ের কর্মীদের কাছে টানতে হবে উল্লেখ করে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সমস্যা আছে। মাঝে মাঝে তারা খারাপ খবরের শিরোনাম হয়। চট্টগ্রাম মহানগরে অন্তর্কলহে অনেকের প্রদীপ নিভে গেছে। এটি আমরা দেখতে চাই না।
এসময় তিনি দ্রুত চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আয়োজন করার নির্দেশ দেন।
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু হওয়াতে সারাদেশের মানুষ খুশি হলেও বিএনপি নাখোশ।
তিনি বলেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতু হওয়াতে সারাদেশের মানুষ খুশি। সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার পর সবখানে সাজ সাজ রব।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ব্যয় নিয়ে বিএনপির মহাসচিব অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেত্রী বলেছিলেন, পদ্মা সেতু হবে না। তিনি এখনও বেঁচে আছে। আল্লাহ তার হায়াত দান করুক। তিনি নিশ্চয়ই শুনেছেন পদ্মা সেতু হয়ে গেছে। কাজ শেষ। শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। তাই বিএনপি ও তার দোসরদের বুকে বড় জ্বালা। কারণ তাদের কোনও উন্নয়ন নেই। তাদের আছে শুধু হাওয়া ভবন এবং পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কেলেঙ্কারি।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক, সাবেক চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
এছাড়াও সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় সম্পাদক বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন: ওবায়দুল কাদের
বিরোধী পক্ষকে দমন ও পীড়নের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিরোধী পক্ষকে দমন ও পীড়নের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পদ্মাসেতু তার জলন্ত দৃষ্টান্ত।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, বরং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপির হাত ধরেই হত্যা-ক্যু- ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষকে নির্মূল করার অপরাজনীতি শুরু করা হয়।
এখনো এই চিহ্নিত মহল ক্রমাগতভাবে দেশের স্বার্থ ও জনকল্যাণ বিরোধী বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দেশবিরোধী এই গোষ্ঠীর মুখোশ উন্মোচন ও জনগণকে সতর্ক করতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থ পাচারকারীদের তালিকায় তারেক শীর্ষে: ওবায়দুল কাদের
জনকল্যাণমুখী সৎ-সাহসী ও দেশপ্রেমিক নেতা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে কোন ষড়যন্ত্রই একটি জাতিকে পিছিয়ে দিতে পারবে না।
সকল প্রতিবন্ধকতা ডিঙ্গিয়ে সফলভাবে পদ্মাসেতু নির্মাণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্য নিয়ে বিএনপি মহাসচিব ও তাদের নেতারা দুরভিসন্ধিমূলক ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এমনকি বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তথাকথিত হত্যার হুমকি’র বয়ান তৈরি করছে বিএনপি।
গত চার দশকে বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন, তা একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার বিবৃতিতে আরও বলেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে, আগামীতেও এগিয়ে যাবে।
কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার অগ্রগতির এই গতিধারা থামাতে পারবে না বলেও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও বিএনপি নেতাদের দলত্যাগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের
দেশ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আ.লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে: কাদের
জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু আগামী জুনে উদ্বোধন করা হবে এবং উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে।
বুধবার রাজধানীতে সেতু বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ১১১তম বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের এ তথ্য জানান।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৯৮ শতাংশ, নদী প্রশিক্ষণ ৯২ শতাংশ এবং কার্পেটিং কাজের অগ্রগতি ৯১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে পদ্মা সেতু পরিদর্শন কূটনীতিকদের
তিনি বলেন, প্রকল্পের মোট কাজের অগ্রগতি ৯৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের মোট কাজের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মঈনুল কবির, ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, রেলওয়ে সচিব মো. হুমায়ুন কবির, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সচিব মো. মামুন-আল-রশিদ, সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. মনজুর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে: ওবায়দুল কাদের
শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে আসবে, অস্তিত্বের জন্যই তাদের নির্বাচনে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এসময় তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে আসবে। তাদের অস্তিত্বের জন্যই তাদের আসতে হবে। আমরাও একটি শক্তিশালী বিরোধীদল সংসদে স্বাগত জানাই। বিরোধীদলের স্ট্যান্ড থাকুক। নির্বাচন ইভিএমে হবে, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকলে ভোট নিরপেক্ষ হবে। মির্জা ফখরুলের দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী খোলা মনে বলেছেন সকল দল নির্বাচনে আসুক। বিএনপিসহ সব দলকে নিয়েই আমরা ভোট করতে চাই। নির্বাচন ফেয়ার হবে নিশ্চয়তা দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে মানুষ হাসে: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত-অনির্বাচিত বলে লাভ নেই, তাদের লোকও সংসদে আছে। সংসদে বিএনপি তার সদস্যদের পাঠিয়েছে, তারা কি অনির্বাচিত। স্পিকারও তাদের কথা বলার সুযোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীও চান তারা আসুক। আমরাও গুরুত্ব দিচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, ফখরুল সাহেব নিজেই গুরুত্বহীন হয়েছেন, তিনি সংসদে থাকলে জোরালোভাবে সংসদে কথা বলতে পারতেন। একদিকে সংসদে বিএনপির এমপিও থাকবে, আবার পুনঃনির্বাচন করে প্রার্থী দেবেন।
বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কোনো উদ্যোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তাদেরকে নির্বাচনে আসতে বলব। যদিও এটি বলা উচিত না। নির্বাচনে আসা তাদের অধিকার। এটা সুযোগের ব্যাপার না। তারা দেশের একটি বড় দল হিসেবে রাজনীতির আঙ্গিনায় আছেন। বিএনপি অধিকার প্রয়োগ না করলে তাদের অস্তিত্ব সঙ্কট হবে, সে ধরনের পরিস্থিতি তারা তৈরি করবে না সেটি আমার বিশ্বাস।
আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে নিয়মিত। তিন বছর শেষ হওয়ার আগেই সম্মেলন করেছি। এবারও ডিসেম্বরে সময় শেষ হবে, সেই বিজয়ের মাসেই সম্মেলন করতে চাই। আগামি নির্বাচন এবং সম্মেলনের দিকে নজর রেখেই তিনি প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। আগামি ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন করতে বলেছেন। ঘোষণাপত্র আপডেটট করে নির্বাচনী ইশতেহারও প্রস্তুতের জন্য গতকাল মিটিংয়ে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যথাসময়ে নির্বাচন হবে: কাদের
প্রায় ৩ বছর পর নির্বাচনী এলাকায় ওবায়দুল কাদের