গৃহবধূ
পাবনায় ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
পাবনায় একটি ভাড়া বাসা থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নতুন ট্রাফিক মোড় এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
গৃহবধূ সুবর্ণা খাতুন (২৯) নাটোরের লালপুর উপজেলার আব্দুল সাত্তারের মেয়ে। তিনি পাবনা সদরের টেবুনিয়া কৃষি ফার্মে চাকরি করতেন। তার স্বামী সাব্বির হোসেন ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর কুশিয়ারা থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া নতুন ট্রাফিক মোড় এলাকার দিরাজ উদ্দিনের বাড়ির দোতলায় স্বামীর সঙ্গে বাস করতেন গৃহবধূ সুবর্ণা। প্রায় ২০ দিন আগে স্বামী স্ত্রীর মনোমালিন্যের কারণে তাদের দুই জনের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। ওই বাড়িতে সূর্বণা কয়েকদিন ধরে একাই বসবাস করতেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে লাশের পচাঁ গন্ধ বের হলে বাড়ির মালিক দোতলার ঘরে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। একপর্যায়ে ভেতর থেকে কোনো সাঁড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
পরে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে বিছানায় গৃহবধূ সূর্বণার লাশ দেখতে পান।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ওই নারীকে বিছানায় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ওসি জানান, তবে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, দাম্পত্য ও পারিবারিক কলহের জের ধরে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণে মৃত্যু হতে পারে।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
ওসি আরও জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানায় ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: শাহবাগ থেকে রিকশাচালকের লাশ উদ্ধার
সিলেটে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মাদারীপুরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মাদারীপুর সদর উপজেলার এওজ গ্রামে যৌতুক দিতে না পাড়ায় শশুর বাড়ির লোকেরা এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকালে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহদত লিয়া (২০) সদর উপজেলার এওজ গ্রামের কালাম সরদারের ছেলে মাসুদ সরদারের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ডাকাত সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার এওজ গ্রামের কালাম সরদারের ছেলে মাসুদ সরদারের সঙ্গে দুই বছর আগে লিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য শশুর বাড়ির লোকেরা চাপ দিয়ে আসছিলো। এছাড়া যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী মাসুদ ও অন্যান্যরা লিয়াকে নির্যাতন করে। এক পর্যায় লিয়া মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এসময় তারা লিয়ার লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে ঘরের জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
বাড়ির অন্যান্য লোকেরা জানালার ফাঁক দিয়ে লাশ ঝুলতে দেখে পুলিশ খবর দেয়। বিকালে পুলিশ ঘটনাস্হল থেকে লিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
লিয়ার পিতা সোবাহান কবিরাজ বলেন, যৌতুক দিতে না পাড়ায় আমার মেয়েকে বেদম প্রহার করে হত্যা করেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
মাদারীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।
এছাড়া লিয়ার সাত মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
রাজশাহীতে চুরির অভিযোগে দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা
কুড়িগ্রামে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের তালুক শিমুলবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত মিম আক্তার (২০) তালুক শিমুলবাড়ী গ্রামের রিপন মিয়ার স্ত্রী।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, ছয় বছর আগে প্রেম করে মিম ও রিপন বিয়ে করেন। তাদের ঘরে দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
বুধবার মিম কয়েকদিনের জন্য বাবার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার জন্য শাশুড়িকে বলেন। কিন্তু শাশুড়ি কয়েকদিন পরে যেতে বলেন। এ নিয়ে বউ-শাশুড়ির মধ্যে মনোমালিন্য হয়। পরে বুধবার রাতে স্বামী-স্ত্রী খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন সকালে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় শ্বশুড়বাড়ির লোক।
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
তাদের ধারণা, বাবার বাড়ি যেতে না দেয়ায় শাশুড়ির সঙ্গে অভিমান করে রাতের যেকোন সময় ঘরের ধরনার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মিম।
ফুলবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের ধরনায় ঝুলন্ত অবস্থা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধুর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তা
তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় আমবাগান থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাজশাহীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাজশাহীর বাঘায় এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত তরিনা বেগম (৪০) ওই এলাকার রুজদার আলীর (৫০) স্ত্রী।
আব্দুল মান্নান জানান, তরিনার স্বামী রুজদার আলী মাদকাসক্ত ও ঋণগ্রস্ত। বাপের বাড়িতে টাকা চাইতে আসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া-বিবাদ হতো। সর্বশেষ শনিবার বিকালে এলাকার একজন মুদি ব্যবসায়ী রুজদারের বাড়িতে এসে পাওনা টাকা চায়। এ নিয়ে রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা ঘটে। সকালে রুজদার আলী তার স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে হোস্টেল থেকে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বাঘা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে দেখি বারান্দায় লাশ ঝুলছে। পরে বাঘা থানায় খবর দেয়া হলে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আবদুল করিম জানান,রবিবার সকালে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মৃত গৃহবধূর চাচা আব্দুল মান্নান বাঘা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। আমাদের ধারণা এই মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে স্কুলছাত্রীল ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চাকরির কথা বলে খুলনায় নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
ইটভাটায় রান্নার চাকরি দেয়ার কথা বলে খুলনা শহরে এনে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী থেকে খুলনার শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় নিয়ে আসে তারই গ্রামের ডালিম নামের প্রতিবেশী।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪
সোমবার ভোরে জিরো পয়েন্টের ফাতেমাবাগ এলাকার একটি বাড়িতে চারজন মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করে।
বিকালে ওই বাড়ি থেকে তিনি পালিয়ে আসলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এবং ওসিসির ফোকাল পার্সন ডা. অঞ্জন চক্রবর্তী জানান, ভুক্তভোগীকে কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে।
এছাড়া মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা আকবর হোসেন জানান, ইটভাটায় রান্নার চাকরির কথা বলে রবিবার দুপুরে ওই নারীকে খুলনায় নিয়ে আসে ডালিমের লোক।
রাতে খুলনায় পৌঁছে ফাতেমাবাগ এলাকার এক বাড়িতে তাকে রাখা হয়। ভোররাতে ডালিমসহ চারজন তাকে ধর্ষণ করে।
সকালে তিনি ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে রাস্তায় চলে আসেন। তখন তিনিসহ আরও কয়েকজন মিলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ডা. অঞ্জন চক্রবর্তী জানান, হাসপাতালেও ওই নারী একই তথ্য দিয়েছেন। নগরীর জিরো পয়েন্ট ও ফাতেমাবাগ এলাকা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের লবণচরা থানার আওতাধীন।
বিকাল সাড়ে ৪টায় লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, এখনও ধর্ষণের কোনো সংবাদ পাইনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ৩
সীতাকুণ্ডে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
সিরাজগঞ্জে সাদিয়া (২০) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চক শিয়ালকোল গ্রামে নিজ ঘরের তীরের সঙ্গে সাদিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সাদিয়া চক শিয়ালকোল গ্রামের সামিদুল ইসলামের মেয়ে ও শহরের হোসেনপুর মহল্লার তারেকের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বরিশালে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার হোসেনপুর মহল্লার সুরুতজ্জামানের ছেলে তারেকের সঙ্গে প্রায় দেড় বছর আগে সাদিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তারেক স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতো।
তিনি আরও জানান, রবিবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে পারিবারিক কলহের জের ধরে নিজ ঘরের তীরের সঙ্গে সাদিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা!
কুমিল্লায় চিরকুট লিখে ইন্টার্ন চিকিৎসকের আত্মহত্যা!
সিরাজগঞ্জে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জ সদর থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার চর কদমপাল গ্রামের নিজ ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত গৃহবধূ তারা বানু (৪২) ওই গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) নান্নু খাঁন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঋণের কারণে পরিবারে কলহ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে।
ধারণা করা হচ্ছে, এরই জের ধরে শনিবার দুপুরে ওই গৃহবধূ নিজ ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিকালে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধে গৃহবধূর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূকে রংপুর মেডিকেল (রমেক) কলেজ হাসপাতাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টায় তার মৃত্যু হয়।
অগ্নিদগ্ধ সুফিয়া বেগম (৪০) উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের দোলাটারী গ্রামের খয়রত আলীর স্ত্রী। নিহত গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী।
আরও পড়ুন: পার্বতীপুরে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু
অগ্নিদগ্ধ ওই গৃহবধূর ভাগনা একরামুল হক জানান, তীব্র শীতের মধ্যে সকাল বেলা ঘরের ভেতর চুলায় খড়ি দিয়ে রান্না করছিলেন। এসময় রান্নার ফাঁকে ফাঁকে হাতে তাপ নিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর পরনের কাপড়ে আগুন লেগে গুরুতর আহত হন তিনি। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করান।
তিনি আরও বলেন, সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম সোহেল ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, থানায় অবগত করে ওই নারীর লাশ রংপুর হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে বৃহস্পতিবার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ফুলবাড়ী থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান জানান বিষয়টি শুনে একজন উপ-পরির্দশক (এসআই) ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কালুখালীতে আগুনে পুড়ে দুই শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ বৃদ্ধার মৃত্যু
কুমিল্লায় গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, মামলা দায়ের
কুমিল্লায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
নিহত শান্তা আক্তার (২৩) দেবিদ্বার উপজেলার ৪নং সুবিল ইউনিউনের নারায়নপুর গ্রামের রুক্কু মিয়া ও রানুয়ারা বেগমের কন্যা।
শান্তার মৃত্যুর তিন দিন পর তার মা রানুয়ারা বেগমের (৪২) করা মামলায় স্বামী সাজ্জাদুর রহমান শাওন (৩০), শ্বশুর মো. শুভ মিয়া (৫৫), শাশুড়ি ইয়াসমিন বেগমসহ (৫০) সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ১নং ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ মামলা দায়ের হয়।
শান্তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের কুমিল্লার কাপ্তান বাজার এলাকা শুভ মিয়ার পুত্র মো. সাজ্জাদুর রহমান শাওনের সঙ্গে বিয়ে হয় শান্তার। বিয়ের কয়েকদিনের মাথায় যৌতুকে জন্য শান্তাকে মারধর করা শুরু করে শাওন। এ নিয়ে কয়েকটি মামলাও করা হয়েছিল। সবশেষ তিনটি মামলার মধ্যে দুইটি মামলা নিষ্পত্তি হলেও একটি মামলা চলমান আছে।
এছাড়া বৃস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) শান্তার স্বামী শাওন তার চাচার মৃত্যুর খবর দিয়ে তাকে বাড়িতে ডেকে নেয় যায়। পরদিন শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) শান্তার বাড়িতে খবর পাঠায় সে বিষপান করেছে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী নিহত রানুয়ারা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এছাড়া শান্তার স্বামী প্রথমে ব্যবসায়ের কথা বলে তিন লাখ টাকা ধার নেয়, পরে সে আরও টাকা যৌতুক চায়। না পেয়ে স্বামী শ্বশুরবাড়ির সবাই মিলে শান্তার ওপর অত্যাচার শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, হত্যার বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে তা গ্রহণ করা হয়নি। পরে আমি বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করি।
এ বিষয় কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোরশেদ জানান, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে 'গরু চোর' সন্দেহে ২ যুবককে পিটিয়ে হত্যা
কুমারখালীতে গরুর বর্জ্য অপসারণ নিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা!
চট্টগ্রামে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রশিদার পাড়ায় একটি কলোনীতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
নিহত গৃহবধূ রীনা আক্তার (২৮) পাবনা জেলার সাথিয়া থানার বন গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এবং তিনি দুই ছেলে সন্তানের জননী।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ছয় মাস ধরে তিনি তার স্বামী ও দুই ছেলে সন্তানদের নিয়ে সদরের রশিদার পাড়ায় একটি কলোনীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন। তার স্বামী বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তিনি প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে উঠে রীনা আকতারের ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পায়।
স্বামী সিরাজুল ইসলাম জানান, আমার স্ত্রীর সঙ্গে কোনদিন ঝগড়াঝাঁটি হয় নাই। আমার স্ত্রী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মঙ্গলবার রাতে একসঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেলে থানা পুলিশকে অবহিত করি।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, গৃহবধূ রীনা আকতারের আত্মহত্যার বিষয়টি থানায় অবহিত করলে উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি।
এছাড়া নিহতের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। ধারণা করছি তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বরিশালে আবাসিক হোটেল থেকে জাহাজ শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার