গৃহবধূ
মিরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে গৃহবধূ নিহত
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ১০টায় পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের বারইয়ারহাট পৌর এলাকায় রেল লাইন পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিরিনা বেগম (৫০) ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের নিজকুঞ্জরা আলোকদিয়া গ্রামের সাহেব বাড়ির নুরুল হুদার স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে বারইয়ারহাট পৌরসভায় চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলেন শিরিনা। রেললাইন পার হওয়ার সময় চট্টগ্রাম থেকে কিশোরগঞ্জমুখী একটি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে দেহ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
চিনকি আস্তানা রেল স্টেশন মাস্টার মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বারইয়ারহাট লেভেল ক্রসিংয়ের উত্তর পাশে চট্টলা ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক নারী মারা গেছে। লেভেল ক্রসিংয়ে তখন গেটকিপার দেয়া ছিল। ওই মহিলা আরও একশ মিটার উত্তরে হঠাৎ রেললাইনে উঠে যায়।
তিনি জানান, জিআরপি পুলিশকে খবর দেয়া হয়েছে, তারা গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠাবে।
আরও পড়ুন: নাটোরের ট্রেনে কাটা পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
তাড়াশে গৃহবধূকে গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে আটক ২, স্বামী পলাতক
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গৃহবধূকে গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার চক ঝুরঝুরি গ্রামে এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী পলাতক আছে।
নিহত নাসিমা খাতুনের (২৩) ওই এলাকার সুমনের স্ত্রী এবং তাড়াশ উপজেলার কস্তা বেত্রাশীন গ্রামের কহের সরকারের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, নাসিমার সঙ্গে সুমনের সাত-আট বছর আগে বিয়ে হয়। এরমধ্যে তাদের সংসারে দুটি সন্তানের জন্ম হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক
বেশ কিছুদিন ধরে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে নাসিমার পারিবারিক দ্বন্দ শুরু হয়। এ অবস্থায় সুমন কিছুদিন আগে নাসিমাকে চাকরির জন্য ঢাকায় নিয়ে যায়। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে তারা ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে আসে এবং দিবাগত রাত ৩টার দিকে নাসিমাকে সুমন ও তার তিন সহযোগী বাড়ির পাশের একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে প্রথমে জোর করে গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়ায় এবং পরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
এ সময় প্রতিবেশি সমেজ আলী শব্দ পেয়ে বাড়ির লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সুমন ও তার সহযোগীরা নাসিমাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরে গ্রামের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে গেলেও তার শ্বশুর-শাশুড়ি গেট খোলেনি।
এ সময় নাসিমা গ্রামবাসীর কাছে তার স্বামী সুমন ও অপরিচিত তিনজন লোক তাকে খুন করার চেষ্টা করেছে বলে জানায়। এর কিছুক্ষণ পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
নাসিমার এমন করুণ মৃত্যুর পর গ্রামবাসী শ্বশুর-শাশুড়িকে অবরুদ্ধ করে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) গভির রাতে শ্বশুর সরোয়ার হোসেন (৫৫) এবং শাশুড়ি ফিরোজা বেগমকে (৫০) পুলিশ আটক করলেও স্বামী সুমন পালিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
আরও পড়ুন: যশোরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা, যুবক আটক
গাজীপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীসহ আটক ৩
গৃহবধূকে পেট্রোল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ
নওগাঁর পত্নীতলায় হালিমা খাতুন ওরফে মিষ্টি (২২) নামে এক গৃহবধূকে পেট্রোল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে আমদাদপুর কমলাবাড়ী গ্রামে এ ঘটনায় গৃহবধূকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন তার স্বামী রিপন মিয়া (২৪)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘরের বাইরে থেকে জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে প্রথমে গৃহবধূ হালিমার শরীরে আগুন ধরে। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার স্বামী রিপন দগ্ধ হন।
পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালিদ সাইফুল্লাহ বলছেন, বুধবার রাত ১১টার দিকে ওই দম্পতিকে হাসপাতালে নেয়া হয়। দুইজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক ছিল। অগ্নিদগ্ধ রোগীর মধ্যে নারী রোগীর (হালিমা খাতুন ওরফে মিষ্টি) শরীরের ৮০ শতাংশের ওপরে পুড়ে গেছে এবং পুরুষ রোগীটার (রিপন মিয়া) প্রায় ৬৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুইজনেরই শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে।
আমরা তাঁদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তৎক্ষণাৎ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করে দেই।
আরও পড়ুন: বরিশালে চাঁদা না পেয়ে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রামেক হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে হালিমা মারা যান। তবে রিপন বর্তমানে রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রয়েছেন।
রিপনের ফুফাতো ভাই শাহিনুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, রামেক হাসপাতাল থেকে গৃহবধূ হালিমা খাতুন ওরফে মিষ্টিকে ঢাকা নেয়ার পথে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী-নাটোর সড়কের বানেশ্বর এলাকায় তার মৃত্যু হয়। রিপনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তিনি বর্তমানে রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পরেও কিছু সময় পর্যন্ত রিপন কথা বলতে পারছিলেন।
ওই সময় তার ভাই জানান, ঘরে আগুন ধরার সময় তারা জেগেছিলেন। রাত ১০টার দিকে তার স্ত্রী ঘরের জানালার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এ সময় ঘরের জানালা দিয়ে বাইরে থেকে কে বা কারা তার শরীরে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তখন রিপন স্ত্রীর শরীরের আগুন নেভাতে গেলে তার শরীরেও আগুন ধরে যায়।
পরে চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাদেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। তবে বিষয়টি সর্বাত্মক গুরুত্ব দিয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এটা নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা না আত্মহত্যার চেষ্টা তার সত্যতা খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ভুক্তভোগীর বক্তব্য অনুযায়ী বাইরে থেকে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন দেয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাতে তাঁরা দগ্ধ হতে পারেন।
আবার প্রতিবেশিরা বলছেন, পারিবারিক কলহের জেরে ওই গৃহবধূ প্রথমে শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার স্বামীও দগ্ধ হন।
প্রতিবেশিদের বক্তব্য অনুযায়ী, এটা আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনাও হতে পারে।
নওগাঁর পত্নীতলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফতাব উদ্দিন বলেন, অগ্নিদগ্ধ রিপন মিয়ার বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর কোন মিল পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এই ঘটনাটিকে আমাদের কাছে নাশকতা বলে মনে হয়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, মশার কয়েল থেকে সূত্রপাত হওয়া আগুনে তাঁরা দগ্ধ হতে পারেন।
বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
বান্ধবীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ
কেরানীগঞ্জে বান্ধবীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হলেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বান্ধবীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক আটক
ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে তার স্ত্রী বান্ধবী নীলা আক্তারের বাসায় বেড়ানোর জন্য কেরানীগঞ্জ যায়। নীলা ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার মোল্লা বাজারের একটি ইটভাটায় তাকে একটি ঘরে আটক করে রাখে। পরে তাকে চেতনানাশক বড়ি খাইয়ে নীলা আক্তারের সহযোগিতায় তোফাজ্জল (৪০) ও ইসহাক (৩৮) পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
২৪ ঘন্টা অচেতন থাকার পর ২০ সেপ্টেম্বর রাত একটায় জ্ঞান ফিরলে ভুক্তভোগী তার স্বামীকে মোবাইল ফোনে ঘটনার বিষয় জানায়। তার স্বামী পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নীলাসহ ধর্ষকরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ধর্ষকদের আটকের জন্য জোর চেষ্টা চলছে। অবিলম্বে তাদের আটক করা হবে।
এ ব্যাপার বুধবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী, গ্রেপ্তার ৩
কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
স্বামীর ওপর অভিমান, রাজশাহীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা
রাজশাহী মহানগরীতে স্বামীর ওপর অভিমান করে ৩৫ বছরের এক গৃহবধূর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করছে পরিবার।
নিহত রিতা বেগম নগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রাম উত্তর পাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: এসএসসির বাংলা ১মপত্র খারাপ হওয়ায় খুলনায় পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
গৃহবধূর স্বামী আনোয়ার হোসেন জানান, বিকাল ৫টার দিকে তার মেয়ে প্রাইভেট পড়াতে যান। এরপর রাত ৮টার দিকে বাসায় এসে মেইন গেটে তালা দেয়া দেখে পান। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশির সহযোগিতায় তালা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করেন। এসময় শয়নকক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে রিতা বেগমের লাশ দেখতে পাওয়া পান। পরে প্রতিবেশির সহযোগিতায় লাশটিকে নিচে নামানো হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় তরুণ-তরুণীর বিষপানে আত্মহত্যা
নিহতের মেয়ে আয়েশা খাতুন (১৮) জানান, দুইদিন আগে বাবার সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এ কারণে দুইদিন থেকে তাদের মধ্যে কথাবার্তা বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: মোবাইল গেম খেলতে না দেয়ায় স্কুলছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
এ ব্যাপারে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
স্বামী-শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
রাজশাহীর পবায় সোনিয়া খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে উপজেলার রামচন্দ্রপুর ভবানীপুর পূর্বপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহত সোনিয়া পবার কইরা গ্রামের হানিফের মেয়ে।
তার স্বামী মো. নাসির ও শাশুড়িসহ পরিবারের অন্যরা পলাতক রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ তার লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: পুকুরে মিলল গলায় পাটা বাঁধা অবস্থায় গৃহবধূর লাশ!
সোনিয়ার চার বছরের মেয়ে পুলিশকে জানিয়েছে, সকালে তার মাকে মারধর করা হয়েছে।
নিহত সোনিয়ার স্বজনদের দাবি, স্বামীর বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য সোনিয়াকে নির্যাতন করতো। বুধবার তাকে মারধরের পর গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। ছোট মেয়েটাও মাকে মারধরের কথা পুলিশকে জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে হত্যা মামলা করা হবে বলে জানান স্বজনেরা।
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ হোসেন বলেন, নিহত সোনিয়ার স্বজনেরা দাবি করছেন এটা হত্যা। তবে লাশটি ঘরে ঝুলছিল। হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ডুমুরিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ
জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর লাশ!
ডুমুরিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ
খুলনার ডুমুরিয়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে এক গৃহবধূর বিষপানে আত্নহত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার চুকনগরে নিজ বাড়িতে তিনি বিষ পান করেন বলে জানা যায়।
নিহত মালা বেগম (৩০)ডুমুরিয়া উপজেলার দক্ষিণ চুকনগর গ্রামের নাসির উদ্দীন মাহমুদের স্ত্রী। এই দম্পতির আব্দুল্লাহ (৪) ও হোজাইফা (৯ মাস) দুটি ছেলে সন্তার রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা!
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার সকালে স্বামী নাসির উদ্দীনের সঙ্গে স্ত্রী মালা বেগমের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ হয়। এ কারণে স্ত্রী মালা বেগম রাগে ও ক্ষোভের বশে পরিবারের সবার অগোচরে নিজের শোয়ার ঘরে গিয়ে বিষ পান করেন। কিছুক্ষণ পরে পরিবারের লোকজন বিষপানের বিষয় টের পেয়ে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে তিনি মারা যান।
তিনি আরও জানান, লাশ সুরতহাল প্রতিবেদন জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুই যুবকের আত্মহত্যা
ফতুল্লায় ঋণের চাপে যুবকের আত্মহত্যা!
খুলনায় ৫৫ বছর বয়সী এক নারী নিখোঁজ
খুলনার দৌলতপুরে শনিবার রাত থেকে ৫৫ বছর বয়সী এক নারী নিখোঁজ রয়েছেন বলে বুধবার পুলিশ জানিয়েছে।
নিখোঁজ রহিমা খাতুন দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফুল হায়দার জানান, ওই নারীর মেয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দৌলতপুর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিতাস নদীতে ধান বোঝাই নৌকাডুবি, শ্রমিক নিখোঁজ
তিনি জানান, এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে বাসা থেকে বের হন রহিমা। ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তাকে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু তাকে কোথাও খুঁজে পায়নি।
তার সন্ধ্যানে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান এসআই।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে দু’দিন ধরে নিখোঁজ ৪ কিশোরী
আরও পড়ুন: ঋণের টাকা আনতে গিয়ে খুলনায় নারী নিখোঁজ
গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় ভাসুরসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
বরিশালে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় ভাসুরসহ দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাদেরকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই নারীর স্বামীকে খালাস দেয়া হয়েছে।
রবিবার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইয়ারব হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূর ভাসুর জিয়া হাওলাদার (৩৫) ও তার স্বজন সিদ্দিক হাওলাদার (৪০)।
আরও পড়ুন: খুলনায় ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
এজাহারের বরাতে বেঞ্চসহকারী জানান, ২০০৬ সালে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাসিন্দা আফজাল হাওলাদারের ছেলে সহিদুল ইসলামের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর যৌতুকের জন্য শ্বশুর বাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন এবং সন্তানসহ ভুক্তভোগীকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনায় ২০০৭ সালে তিনি স্বামী, ভাসুর ও শ্বশুরকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামিরা বার বার চাপ দিতে থাকেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে শিশু ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন
ভুক্তভোগী গৃহবধূ মামলা তুলে না নেয়ায় ২০১১ সালে ২২ আগস্ট রাতে তার বাবার বাড়িতে গিয়ে কৌশলে ঘরের ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে ভাসুর জিয়া হাওলাদার। আর এই কাজে স্বামী সহিদুল ইসলাম ও তাদের স্বজন সিদ্দিক হাওলাদার সহযোগিতা করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা ২৫ আগস্ট একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
নালিতাবাড়ীতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সমেলা খাতুন (১৯) নামে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গোল্লারপাড় গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ওই গৃহবধুকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে তার স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বামী সুজাত আলীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, গৃহবধু সমেলার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সমেলার পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বামী সুজাতকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ, স্থানীয় ও পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে নালিতাবাড়ীর গোল্লারপাড় গ্রামের কাসু মিয়ার ছেলে সুজাত আলীর সঙ্গে সমেলার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে বিভিন্ন সময় ঝগড়া হতো। সোমবার দিবাগত রাতেও উভয়ের মাঝে কলহ বাঁধে। একপর্যায়ে মধ্যরাতে সমেলার স্বামী তাকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে শেরপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। জেলা হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক সমেলাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
আটক সুজাত আলী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাদের উভয়ের ঝগড়ার পর স্ত্রী সমেলা নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে সে টের পেয়ে নিজেই স্ত্রীকে নামিয়ে হাসপাতালে নেয়।
তবে সমেলার পারিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে সুজাত আলী সমেলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: হাওরে নিখোঁজ পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার