গৃহবধূ
মাগুরায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মাগুরায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মাগুরা সদর উপজেলার শেওলা ডাঙ্গা গ্রামে ঘরের আড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আসিয়া (২৮) ওই গ্রামের আবু বক্কার শেখের মেয়ে এবং জেলার কাজীপাড়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী।
জগদল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় আট বছর আগে যশোর জেলার কাজীপাড়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় আসিয়ার। তাদের সংসারে ছয় বছর বয়সের একটি মেয়ে ও তিন বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। মেয়েটির স্বামী সাদ্দাম হোসেন আমাকে ফোনে জানায়, আসিয়া প্রায়ই আত্মহত্যার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় সড়কের পাশ থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্বামীর বাড়ির লোকজন আসিয়াকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আসে। এসময় কেন আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছে জানতে চাইলে সে কিছুই জানায়নি। তবে মেয়েটির স্বামী জানান, প্রায় এক বছর যাবত সে কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এরপর চিকিৎসার জন্য মেয়েটিকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিলে সেখানে আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মন্জুরুল আলম জানান, পুলিশ মেয়েটির আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করছে। মাগুরা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
নওগাঁয় সড়কের পাশ থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
নওগাঁ সদর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের জমিনি গ্রামের একটি বাঁশ ঝাঁড়ের পাশে সড়কের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূ সাথী বানু (৩০) বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার সান্তাহার যোগীপুকুর গ্রামের শহিদুল হকের মেয়ে ও নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের জমিনি গ্রামের আকরাম হোসেনের স্ত্রী।
নিহত সাথী বানুর বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, ৬/৭ মাস আগে দুবলহাটি ইউনিয়নের জমিনি গ্রামের আকরাম হোসেনের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। রবিবার গভীর রাতে তারা মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। ভারী কোন বস্তু দিয়ে সাথী বানুর মাথায় আঘাত করার কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যূ হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। এ হামলায় নিহত সাথী বানুর স্বামী আকরাম হোসেনও সামান্য আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
আরও পড়ুন: সাভারে পৃথক স্থান থেকে ৪ লাশ উদ্ধার
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, সোমবার দুপুরে সড়কের পাশে সাথী বানুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয় এলাকাবাসী৷ এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়। তবে, স্ত্রীকে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে আকরাম হোসেন কেন পালিয়ে গেলো তা এখনও পর্যন্ত পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি। পুলিশ এ ব্যাপারে আকরাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
এ বিষয়ে থানায় নিহতের বাবা শহিদুল হক বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন।
ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে চুল কেটে গৃহবধূ নির্যাতন: স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৩
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার খাস সাতবাড়িয়া গ্রামে গুলনাহার পারভীন মিনু নামের এক গৃহবধূকে মাথার চুল ও ভ্রু কেটে নির্যাতনের ঘটনায় স্বামী, দেবর ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
তারা হলেন, খাস সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে গৃহবধূ মিনুর স্বামী মেহেদি হাসান সুজন (৪৩), দেবর মো. সুমন (৩৫) ও শাশুড়ি মোছা. ময়না (৫৫)।
র্যাব-১২’র উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মুশফিকুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এবং ঢাকার সাভার এলাকায় মঙ্গলবার ভোরে র্যাব-১২ ও র্যাব-৪’র যৌথ অভিযানে এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, গত ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুর থেকে মিনুকে তার স্বামী গ্রামের বাড়ি শাহজাদপুরের খাস সাতবাড়িয়ায় বেড়াতে নিয়ে আসে এবং ১৫ ডিসেম্বর শারীরিকভাবে নির্যাতন করে মাথার চুল ও ভ্রু কেটে দেয়। ঘটনাটি জানাজানির পর রবিবার সকালে মিনুকে শাহজাদপুর থেকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ২০ ডিসেম্বর থানায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: পাবনায় নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১
চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ স্বামীসহ আটক ২
চলন্ত বাসে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৩
নারায়ণগঞ্জে চলন্ত বাসে এক গৃহবধূ (১৮) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। রবিবার রাতে জেলার বন্দর উপজেলার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় জাহিন গার্মেন্টস এর সামনে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই বাস চালক নুরুল হক (২১), বাস কন্ট্রাকটার শান্ত (১৬) ও বাসের হেলপার বুলেটকে (১৪) গ্রেপ্তার করেছে।
বন্দর থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকমর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, গত রবিবার রাত ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসে ওই গৃহবধূ রূপগঞ্জের গাউছিয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। বাসটি চিটাগাং রোডে আসতেই সকল যাত্রী নেমে যায়। পরে বাসটিতে উচ্চস্বরে গান বাজনা বাজিয়ে চালক গাড়িটি চালাতে থাকে। এর একপর্যায়ে চলন্ত বাসের মধ্যে ওই গৃহবধূকে চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টর মিলে ধর্ষণ করে। চিটাগাং রোডের পর থেকে ঘটনা ঘটলেও বন্দরের মদনপুরে এসে ওই তরুণীকে বাস থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
ওসি আরও জানান, রাতেই গাড়ি মেরামতের দোকান থেকে অভিযুক্ত বাসটির চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টরকে আটক করা হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে ২২ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত তিনজনকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরীর সন্তান প্রসব!
ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়ায় গ্রেপ্তার ডিবির এসআই জাহাঙ্গীর বরখাস্ত
জয়পুরহাটে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৩
জয়পুরহাট সদর উপজেলায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে শনিবার রাতে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- জেলার সদর উপজেলার ভাদশা ইউনিয়নের পন্ডিতপুর গ্রামের শফিকুলের ছেলে আসলাম (২১), রমজান আলীর ছেলে মো. রাব্বি (১৯) ও বেলাল হোসেনের ছেলে মো. রায়হান (২২)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার কয়েকজন বখাটে যুবক তাদের পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে প্রবেশ করে জোরপূর্বক এক গৃবধূকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর জাহান জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলেও ওসি জানান।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: কুমিল্লায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জন গ্রেপ্তার
মনপুরায় গৃহবধুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে গৃহবধূ নিহত, স্বামী পলাতক
রাজধানীর শনির আখড়ায় শনিবার ভোররাতে এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার ভোররাত পৌনে ৪টার দিকে এ ঘটনার পর থেকে নিহত গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছেন।
নিহত গৃহবধূ রূপা (৩০) আব্দুল জাহেরের স্ত্রী। শনির আখড়ার গোবিন্দপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে তিনি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদা রহমান বলেন, ঝগড়ার এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে স্বামী আব্দুল জাহের তার স্ত্রী রূপার বুকের বাম পাশে আঘাত করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছুরিকাঘাতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।
ঘটনার পর আব্দুল জাহের পালিয়ে যান বলেও জানান এসআই মাহমুদা।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে শনিবার বিকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত গৃহবধূর ছোট ভাই রুবেল মিয়া বলেন, তার দুলাভাই নিয়মিত তার বোনকে মারধর করতো এবং কয়েক মাস আগে এ ধরনের ঘটনার পর তিনি রুবেলের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে তাকে বুঝিয়ে তার স্বামীর ভাড়া বাসায় পাঠানো হয়।
রুবেল বলেন, তার বোন লক্ষ্মীপুরে শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চাইতেন কিন্তু তার স্বামী তা চাইতো না। রূপা দেড় মাস আগে পোশাক কারখানার চাকরিটি ছেড়ে দেন এবং এর জেরে তাদের মধ্যে কলহ লেগেই থাকতো।
তিনি বলেন, ‘শনিবার সকালে ভাগিনা আমাকে কল দিয়ে বলে সে সকালে ঘুমাচ্ছিলো। ছুরিকাঘাতের ফলে হঠাৎ তার মায়ের চিৎকারে ঘুম থেকে জেগে উঠে।’
এ খবর শোনার পর তিনি তার বোনের বাড়িতে যান এবং তাকে মৃত দেখতে পান বলেও জানান রুবেল।
আরও পড়ুন: খুলনার একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ছুরিকাঘাত
সীতাকুণ্ডে ‘চোরে’র ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত, ছেলে আহত
স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগ
ঠাকুরগাঁওয়ে মহল্লাবাসীর বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দিবাগত রাতে শহরের ১২ নম্বর ওর্য়াডের রোড বাজারের খালপাড়া মহল্লায় এ ঘটনায় আলম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুদ দৌলা সাহেব জানান, শনিবার রাতে আলমসহ সাত থেকে আটজন নারী-পুরুষ বাসায় ডেকে নেয় এক সন্তানের জননী ওই গৃহবধূকে। পরে তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে তারা তার চুল কেটে দেয়। এ সময় ওই গৃহবধু তার চুল না কাটার জন্য অনেক অনুরোধ করেন।
তবে পুলিশের হাতে আটক আলমের অভিযোগ, তার মেয়ের সাথে ওই গৃহবধূর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এজন্য তিনি মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেন না। তিনি তাকে ডেকে নিয়ে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু সে সব অস্বীকার করে তার ওপর রাগ দেখান। তাই তার মেয়ে আর প্রতিবেশী মোবারক আলী রেগে গিয়ে তার চুল কেটে দিয়েছে।
আরও পড়ুন:সাভারে সাবেক স্বামীকে হাত পা বেঁধে নির্যাতন, হাসপাতালে ভর্তি
এ ঘটনা জানার পর আলমকে আটক করেছে পুলিশ। আলমের মেয়ের সাথে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ বলেন, ‘আমি কোনো দোষ করিনি। আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধোর করে আমার কাপড় ছিঁড়ে চুল কেটে দিলো তারা।
ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে একজনকে পাওয়া গেলেও বাকিরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন:রাবি শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ
রংপুরে ‘পুলিশি নির্যাতনে’ মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ
কুষ্টিয়ায় এক সাথে পাঁচ সন্তানের জন্ম!
কুষ্টিয়ায় এক সাথে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সাদিয়া খাতুন(২৪)নামের এক গৃহবধূ। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে এক সাথে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন সাদিয়া। পাঁচ শিশুর মধ্যে চারজন মেয়ে এবং একজন পুত্র সন্তান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গর্ভধারণের মাত্র পাঁচ থেকে ছয় মাসের মাথায় সাদিয়া খাতুন সন্তান প্রসব করেছেন। বর্তমানে সাদিয়া খাতুন সুস্থ থাকলেও নবজাতকেরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। ওই পাঁচ নবজাতক বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডের দুই নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন,তাদের অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে।নবজাতকদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সাদিয়া খাতুন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার সোহেল রানার স্ত্রী। সোহেল রানা একই এলাকার সামাদ আলীর ছেলে।
সাদিয়ার স্বামী সোহেল রানা জানান, পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বহলবাড়িয়া গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে সাদিয়া খাতুনকে তিনি বিয়ে করেন। পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়।
আরও পড়ুন:কুমিল্লায় চার সন্তানের জন্ম দিলেন এক নারী
তিনি আরও বলেন, এক সাথে পাঁচ সন্তান জন্ম নেয়ায় আমরা খুব খুশি। আমার স্ত্রী বর্তমানে সুস্থ আছেন। কিন্তু শিশুদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হওয়ায় তাদের ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেছেন চিকিৎসক, এ বিষয়টা নিয়ে আমি কিছুটা চিন্তিত।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, মঙ্গলবার সাদিয়া নামের এক গৃহবধূ পাঁচটি প্রিম্যাচিউর শিশুর জন্ম দিয়েছেন। মা সুস্থ থাকলেও শিশুদের অবস্থা সংকটপূর্ণ। বর্তমানে পাঁচ শিশুকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হয়েছে। তাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। শিশুদের ওজন সর্বনিম্ন ৪৩০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ৬৫০ গ্রাম। উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একসাথে পাঁচ শিশু জন্মদানের ঘটনা এটিই প্রথম।
আরও পড়ুন:দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম, একটিকে গলাটিপে হত্যা করলো বাবা
যশোরে হাত-পাবিহীন সন্তানের জন্মগ্রহণ
লালবাগে তিন তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
রাজধানীর লালবাগে তৃতীয় তলার ছাদ থেকে পড়ে নাসরিন আক্তার (৪০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে লালবাগ ৮ নং গলিতে এ ঘটনা ঘটে।
স্বজনদের ধারণা, মানসিক অবসাদগ্রস্ততা থেকেই নাসরিন ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত নাসরিন মো. জাফরের স্ত্রী। জাফর নিলক্ষেত পেট্রোল পাম্পে চাকরি করেন। লালবাগ ৮ নং গলিতে নিজস্ব তিন তলা ভবনের তৃতীয় তলায় স্বামীর সাথে নাসরিন থাকতেন।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার আত্মহত্যার খবরে ভবন থেকে লাফ দিলেন প্রেমিক
স্বজনরা জানায়, ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা নিরিক্ষার পর বিকাল সোয়া চারটায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মো. জাফর জানান, ঘটনার সময় তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় নাসরিন ছাদ থেকে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিষপানে কুড়িগ্রামে স্কুলশিক্ষিকার ‘আত্মহত্যা’
তিনি বলেন, নাসরিন বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিল। সে করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। তার মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ডাক্তারও দেখিয়েছি। সে বলতো আমি বাঁচবো না, মরে যাবো।
নিহত নাসরিনের আরেক আত্মীয় জানিয়েছেন, তিনি শান্ত প্রকৃতির ছিলেন। সব সময় হাসিখুশি থাকতেন। ১৯ বছরের সংসার জীবনে তাদের কোন সন্তান না হওয়ায়, অনেকে অনেক কথা বলতো, এ নিয়ে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তার ধারণা, হয়তো নাসরিন নিজেই ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল খাঁন। তিনি বলেন, গৃহবধূর লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে শাবিপ্রবি শিক্ষকের আত্মহত্যা
শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে আত্মহত্যার চেষ্টা করা গৃহবধূর মৃত্যু
পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে আট অক্টোবর আত্মহত্যার চেষ্টা করা ১৭ বছর বয়সী গর্ভবতী কিশোরী বৃহস্পতিবার এক মৃত শিশুর জন্ম দেয়ার পর মৃত্যুবরণ করেছে।
নেত্রকোনার রহিমপুর গ্রামের আরিফুল ইসলামের মেয়ে সুরাইয়া নেওয়াজ লাবণ্য ঢাকার শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার পার্থ শঙ্কর পাল।
তিনি আরও জানান, এর আগে সকাল সাতটায় সুরাইয়া এক মৃত মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
আরও পড়ুন: স্বামীর লাথিতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু!
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আইয়ুব হোসেন বলেন, ছয় মাসের গর্ভবতী কিশোরীর শরীরের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিলো কেননা তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।এই কারণে তার সন্তান জন্মের আগেই তার গর্ভে মারা যায়।
সুরাইয়ার বাবা আরিফুল জানান, গত বছর ২ অক্টোবর তিনি তার মেয়েকে ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার প্রাইভেটকার চালক শাহিন আলমের সঙ্গে বিয়ে দেন যার সঙ্গে সুরাইয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
যেহেতু, সুরাইয়া ময়মনসিংহে তার শ্বশুরবাড়ির সাথে থাকত কিছুদিন পর তারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। তারা ব্যবসার জন্য যৌতুক হিসেবে দুই লাখ টাকা দাবি করে।
আরও পড়ুন: কোলের শিশুসহ ট্রেনের নিচে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা
১ আগস্ট, আরিফুল ময়মনসিংহ গিয়ে সুরাইয়াকে অসুস্থ দেখলে তাকে তার সাথে নেত্রকোণায় ফিরিয়ে আনেন।
তার পরেও তার স্বামী শাহিন তাকে প্রায়ই ফোনে গালিগালাজ করত।৮ অক্টোবর এক পর্যায়ে সুরাইয়া তার বাবার বাড়ির রান্নাঘরে পেট্রোল ঢেলে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সুরাইয়ার কান্না শুনে তার দাদী তাকে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পরের দিন তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে শেখ হাসিনা প্লাস্টিক অ্যান্ড বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
সুরাইয়ার বাবা দাবি করেছেন সুরাইয়ার স্বামী এবং তার পরিবার তার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী। আরিফুল ইসলাম জানান, তিনি সুরাইয়ার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করবেন।
আরও পড়ুন: চাটখিলে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, সুরাইয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।