ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রতন সরকারি খাঁস খতিয়ানভুক্ত জায়গাকে নিজের দাবি করে সেখানে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের কাছে গণস্বাক্ষর করা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকবাসী।
অঅরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা আটক
এছাড়া ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ওই জায়গায় লাল নিশান টানানো হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা সড়কের পাশে স্থানীয় সীমনা বাজার সংলগ্ন টান-মনিপুর গ্রামের সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গাটিতে ৪০ বছর আগে তদানীন্তন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) ক্যাম্প ছিল। বিডিআর ক্যাম্প বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকে সেখানে ৩০টিরও বেশি স্থানীয় ভূমিহীন পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়। এরপর থেকে জায়গাটি স্থানীয়ভাবে 'শিবির' নামে পরিচিতি পায়।
আরও পড়ুুন: তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছেন ইউপি চেয়ারম্যান!
সরেজমিনে দেখা গেছে, আশ্রয় শিবিরকে ঢেকে দিয়ে এর পশ্চিম অংশে সড়ক লাগোয়া ৩৩ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৫ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট- পাঁচটি টিনশেড ঘর তোলা হয়েছে। সিমেন্টের খুঁটি ব্যবহার করে উঠানো পাঁচটি ঘরেই টিন দিয়ে় চালা দেয়া হয়। তবে ঘরগুলোতে বেড়া নির্মাণের আগেই স্থানীয় ভূমি অফিসের লোকজন লাল নিশান টানিয়ে় দিয়ে়ছেন।
আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দা মজিদা বেগম বলেন, “আমরা গরীব বইলা চেয়ারম্যান আমরার কথা চিন্তা করে নাই। আমরার থাকবার জাগা ঢাইক্কা দিয়া ঘর তুইল্লা ফালাইতাছে। এভাবে ঘর উঠাই ফেললে আমরার চলতে-ফিরতে অসুবিধা অইবো।’
স্থানীয় লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, এভাবে ঘর তুলে ঢেকে দেয়ার ফলে আশ্রয় শিবিরে থাকা দরিদ্র মানুষগুলো বিপাকে পড়বে। সরকারের উচিত চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্মাণ করা ঘর অপসারণ করা।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম: আ’লীগ নেতা আটক
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান রতনের দাবি, আরএস জরিপ অনুযায়ী এই জায়গাটি তার দাদার। ত্রিপুরার রাজা মানিক্য বাহাদুরের কাছ থেকে এই জায়গাটি খাজনা মূলে বন্দোবস্ত নিয়েছিলেন তার দাদা। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার পিছু লেগেছে। আসলে এখানে ঘর করাটা তারা সহ্য করতে পারছে না।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফ আহমেদ রাসেলকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা-ছেলের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় বিদুৎস্পৃষ্টে বাবা-ছেলে মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের হাতুড়াবাড়ি নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ওই এলাকার খালেক মিয়ার ছেলে গোলাম মাওলা (৩৫) ও তার ৭ বছরের শিশু সন্তান জুবায়ের। এই ঘটনায় গুরুতর আহত গোলাম মাওলার স্ত্রী শামসুন্নাহারকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঁঞা জানান, গোলাম মাওলা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। নিজের জমানো টাকা দিয়ে সম্প্রতি একটি ফ্রিজ কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই কারণে সকালে ঘরের অন্যান্য মালামাল সরিয়ে জায়গা খালি করছিলেন। ঘরের একটি স্টিলের আলমারিতে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে পড়ে ছিল তাদের অজান্তে। আলমারিটি স্থানান্তরিত করতে গেলে গোলাম মাওলা ও তার শিশু সন্তান জুবায়ের বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
ওসি জানান, এসময় তার স্ত্রী শামসুন্নাহার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হলে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিজের পাতা ফাঁদেই বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ গেল বকুলের
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
অবশেষে ‘ডি ক্লাস’ মর্যাদায় চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন
হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হতে যাচ্ছে।
আপাতত ‘ডি ক্লাস’ মর্যাদার স্টেশন হিসেবে কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত মার্চে হেফাজতের তাণ্ডবের আগে স্টেশনটি ‘বি ক্লাস’ মর্যাদার ছিল।
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের চালককে মারধর, চলাচল বন্ধ
মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে চারটি মেইল ও কমিউটার ট্রেন ও পরদিন বুধবার থেকে একটি আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে।
রেলওয়ের ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশান শাখার উপ-পরিচালক (অপারেশন) রেজাউল হক স্বাক্ষরিত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সংস্কার কাজ ও সিগনালিং ব্যবস্থা পুনরায় স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত ডি ক্লাসেই থাকবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। ধ্বংসস্তুপে পরিণত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ২৭ মার্চ থেকে সব ধরনের ট্রেনের নির্ধারিত যাত্রাবিরতি স্থগিত রয়েছে। স্টেশনের সিগনালিং ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্টেশনটির সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ রাখে।
রেলওয়ের ওই চিঠিতে বলা হয়, যাত্রীদের সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে সাময়িকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে ‘ডি ক্লাস' স্টেশনে রূপান্তর করে ট্রেন চালু করা হচ্ছে। ১৫ জুন থেকে সুরমা মেইল, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, তিতাস কমিউটার ও কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে।
এরপর ১৬ জুন থেকে নিয়মিত যাত্রাবিরতি করবে ঢাকা-সিলেট রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাবেক সেক্রেটারিসহ গ্রেপ্তার ৬
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা ইসলামাবাদী গ্রেপ্তার, ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
এব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. শোয়েব আহমেদ বলেন, স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাপ্তরিকভাবে চিঠি পেয়েছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
জেলার নাসিরনগর উপজেলায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাতমন্ডল গ্রামে শুক্রবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. রুপুজ মিয়া (৫০) ওই এলাকার আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাড়ির পূর্ব পার্শ্বে গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে মো. রুপুজ মিয়া বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চুরি হওয়া শিশুকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেন কলেজ শিক্ষার্থী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আহমদ মেডিকেল থেকে চুরি হওয়া ৪৭ দিনের শিশু ওবায়েদকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেন নূর জাহান নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী।
রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের হালদারপাড়ার সূর্যমুখী কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের পাশ থেকে ওই শিক্ষার্থী শিশুটিকে পেয়ে সদর মডেল থানায় নিয়ে আসেন।
পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম শিশুটির মা সাবিনা আক্তারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে চুরি হওয়ার ৫ ঘণ্টা পর শিশু উদ্ধার
এর আগে রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে নবীনগর উপজেলা সদরের আহমদ মেডিকেল থেকে শিশুটি চুরি হয়।
শিশু ওবায়েদ নবীনগর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মাঝিকাড়া এলাকার কাউসার মিয়া-সাবিনা আক্তার দম্পতির ছেলে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, বিকালে শিশুটিকে জেলা শহরের হালদারপাড়ায় একটি স্কুলের পাশে পড়ে থাকতে দেখে কলেজ শিক্ষার্থী নূর জাহান তাকে উদ্ধার করেন। শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন নূর জাহান। পরে কনস্টেবল তানিয়াকে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে চুরি: সিরাজগঞ্জে জীবিত-মৃত ২ শিশু উদ্ধার
শিক্ষার্থী নূর জাহান জানান, লকডাউনের কারণে কলেজ বন্ধ থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে তার বড়বোন সাথী আক্তারের বাসায় বেড়াতে আসেন। রবিবার বিকেলে হালদারপাড়া যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে একটি শিশু চিৎকার করতে দেখেন নূর জাহান। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে যান।
শিশু নিখোঁজের বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশীদ জানান, রবিবার দুপুরে সাবিনা আক্তার শিশুটিকে কোলে নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালটিতে চিকিৎসার জন্য আসেন। সেখানে চিকিৎসক তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার পরামর্শ দেন। হাসপাতালে আল্ট্রসনোগ্রাফি কক্ষে ঢোকার আগে সাবিনা আক্তার তার সন্তানকে পাশে বসা এক অপরিচিত নারীর কোলে দিয়ে যান। আল্ট্রাসনোগ্রাফি কক্ষ থেকে বের হয়ে দেখেন নবজাতক শিশুসহ অপরিচিত নারী উধাও।
নিজের শিশুকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত মা সাবিনা আক্তার।
আরও পড়ুন: শিশু অপহরণের দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যমজ তিন কন্যা শিশুর জন্ম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৩টি ফুটফুটে যমজ কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছেন সুমাইয়া আক্তার নামের এক প্রসূতি।
সোমবার জেলা শহরের টেংকেরপাড় স্ট্যান্ডার্ড হাসপাতালে শিশু ৩ টির জন্ম হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে জোড়া লাগা যমজ কন্যা শিশুর জন্ম
সুমাইয়া আক্তার জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুরের আল আমিন মিয়ার স্ত্রী।
ওই প্রসূতিকে গাইনি চিকিৎসক কাজী লুৎফুন্নাহার লুৎফা সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশুগুলোকে জন্ম দেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় জোড়া লাগা যমজ শিশুর জন্ম
চিকিৎসক কাজী লুৎফুন্নাহার লুৎফা জানান, সোমবার সকালে ওই প্রসূতির শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে আগেই জানা ছিল তার গর্ভে তিনটি শিশু আছে। হাসপাতালে আনার পর পেটে শিশু গুলোর নড়াচড়া কম ছিল ও প্রসূতির প্রেসার বেশি ছিল। তাই দ্রুত সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিনটি কন্যা শিশু ভূমিষ্ট হয়।
আরও পড়ুন: জোড়া মাথার যমজ রাবেয়া, রোকেয়া সফল অস্ত্রোপচারের পর বাড়ি ফিরল
তিনি আরও বলেন, একটি শিশু ২ কেজি ২০০ গ্রাম, আরেকটি ২ কেজি ও অপরজন ১ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনে জন্ম নিয়েছে। তুলনামূলক ভাবে আলহামদুলিল্লাহ শিশুগুলোর শারীরিক অবস্থা ভাল আছে। তবে ১ কেজি ৯০০ গ্রামের শিশুটির শারীরিক অবস্থা একটু দুর্বল। প্রসূতিও অনেক ভাল আছেন।
শিশুগুলোর পিতা আল আমিন মিয়া জানান, আমাদের বিয়ে হয়েছে প্রায় ১১ বছর আগে। আমাদের আরও ২ টি কন্যা সন্তান আছে। নতুন সন্তানদের আগমনে আমি খুশি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এলজিইডি ভবনের বারান্দা থেকে ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৪০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতর পুরাতন এলজিইডি ভবনের বারান্দা থেকে রবিবার রাতে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রশিদ জানান, রাতে পুরাতন এলজিইডি ভবনের বারান্দায় এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ওসি বলেন, ‘নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি তিনি ভবঘুরে ছিলেন ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের চালককে মারধর, চলাচল বন্ধ
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্রগ্রামগামী মালবাহী ট্রেনের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লেভেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় মোটরসাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগায় ট্রেন চালককে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঢাকা-সিলেট-চট্রগ্রামের সাথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শনিবার বিকাল ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সংলগ্ন রেলগেটে এ ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনাকবলিত অপর মোটরসাইকেলের সাথে থাকা পৌর শহরের বাসিন্দা মোহাম্মদ অন্তু বলেন, 'আমরা চারটি মোটরসাইকেল নিয়ে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। তখন আমি ছিলাম পিছনের বাইকে। রেলগেটের সামনে আসার পরে রাতুল, আরাফাত ও নাম বলতে না পারা আরেকজন বন্ধু যে বাইকটিতে ছিলে সেটার সাথে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কা লেগে। আধা কিলোমিটার দূরে গিয়ে ট্রেন থামে। তখন আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়।
অন্ত বলেন, গেটম্যান না থাকায় এই এদুর্ঘটনা ঘটেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালাউদ্দিন খাঁন নোমান বলেন, ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে। কি কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে আপাতত তা বলা যাচ্ছে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ সুহেব বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের পর থেকেই স্টেশনে গেট ফালানো হয় না। একজন গেটম্যান বাঁশি ও লাল কাপড়ের সিগন্যাল দিয়ে মানুষদের থামানোর চেষ্টা করে, কিন্তু ছেলেগুলো গেইটম্যানের সিগন্যাল অমান্য করায় এই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাথার খুলি ও মগজ ছাড়া কন্যা শিশুর জন্ম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের এক দম্পতির ঘরে মাথার খুলি ও মগজ ছাড়া একটি কন্যা শিশু জন্ম নিয়েছে।
সোমবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগের নরমাল ডেলিভারিতে শিশুটির জন্ম হয়।
জন্ম নেওয়া শিশুটি অসুস্থ হলেও তার মা তানজিনা বেগম সুস্থ আছেন।
তানজিনা বেগম নাসিরনগর উপজেলার বলাকুট ইউনিয়নের বলাকুট গ্রামের জসিম উদ্দিনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: যশোরে জোড়া লাগা যমজ কন্যা শিশুর জন্ম
হাসপাতাল ও নবজাতকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগরের শহীদ মিয়ার মেয়ে তানজিনা বেগমের সাথে প্রায় দুই বছর আগে একই উপজেলার ভলাকুটের মৃত সফিল উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিনের বিয়ে হয়। প্রায় এক বছর আগে তানজিনা গর্ভবতী হয়। এরপর থেকে সে বিভিন্ন গাইনী চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে জোড়া লাগা ২ কন্যা শিশুর জন্ম
তানজিনা যখন ৭ মাসের গর্ভবতী তখন গাইনী চিকিৎসক ডালিয়া আক্তার তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে জানান, জন্ম নিতে যাওয়া শিশুটি শারীরিক ভাবে অসুস্থ হবে এবং তার মাথার খুলি হবে না। কিন্তু চিকিৎসকের সেই কথা তানজিনার শ্বশুর বাড়ির লোকজন কর্ণপাত করেননি।
সোমবার বিকালে তানজিনার প্রসব বেদনা উঠলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে, গাইনী বিভাগে কোন প্রকার অপারেশন ছাড়া শিশুটি জন্ম নেয়। শিশুটি জন্ম নেওয়ার পর তার মাথা খুলি ও মগজ ছিল না।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক মাহফিদা আক্তার হ্যাপী জানান, শিশুটি মাথার খুলি ও মগজ ছাড়া জন্ম নিয়েছে। এ ধরনের শিশুদের এনেনসেফালি (Anencephaly) বলা হয় মেডিকেলের ভাষায়।
তিনি আরও বলেন, এই ধরণের শিশুরা সচরাচর ২৪ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা বেঁচে থাকে। শিশুটিকে হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালে রেফার করেছি এই কন্যা শিশুটিকে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পৃথক দুর্ঘটনায় দম্পতিসহ নিহত ৬
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর ও আশুগঞ্জ উপজেলায় গত দুদিনে তিনটি পৃথক দুর্ঘটনায় এক দম্পতিসহ ছয় জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আট জন।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর বুধন্তি ইউনিয়নের আলীনগর এলাকায় ঢাকাগামী একটি পিক-আপ ভ্যানের সাথে সিলেটগামী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপ ভ্যানের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিন জন।
নিহত রনি খন্দকার (১৬) হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থানার লাটিয়া এলাকার রিপন খন্দকারের ছেলে। তবে নিহত চালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বাঘাইছড়িতে চাঁদের গাড়ি উল্টে নিহত ১, আহত ২
শুক্রবার বিকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ ব্রিজের রেলিং ভেঙে লবণ বোঝাই ট্রাক খাদে পড়ে (আশুগঞ্জ- আখাউড়া) এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। এসময় ট্রাকের চালক ও তার সহকারী গুরুতর আহত হয়।
নিহত দুলাল মিয়া (৪৫) শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার টাংগর পাড়ার মৃত সেরু মিয়ার ছেলে।
আহতরা হলেন- ট্রাক চালক ইব্রাহিম মিয়া ও হেলপার মেহেদি হাসান সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকা জয়নাল মিয়ার ছেলে। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে বিজয়নগর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আমতলী নামক স্থানে সিলেটগামী প্রাইভেটকার রাস্তার পাশে দাঁড়ানো একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারের আরোহী দম্পতি নিহত হন এবং চালককে হাসপাতালের নেয়ার পথে মারা যান। দুর্ঘটনায় আরও তিন জন আহত হন।
নিহতরা হলেন- সাগর মিয়া (৩৫) পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার চাঁন মিয়ার ছেলে ও তার স্ত্রী শিরিন বেগম (২৮) এবং নিহত চালকের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারের।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় সংসদ সদস্যসহ আহত ২
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শাহজালাল আলম জানান, গত দুইদিনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ছয় জন নিহত হয়েছেন। অদক্ষ চালকের কারণে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে। মহাসড়কে যানবাহনগুলো কড়া নজরদারি ও কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।