ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মতো হাফ ম্যারাথন দৌড় অনুষ্ঠিত
‘মাদককে না বলি’- এই শ্লোগান নিয়ে দৌড়কে সুস্থতার হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মত বৃহৎ পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়েছে হাফ ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। শুক্রবার ভোর ৬ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে হাফ ম্যারাথন শুরু হয়।
যেখানে ২১ দশমিক ১ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেন ৭৭ জন, ১০ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেন ৮৪ জন এবং ৫ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেন ৮৯ জন।
এই প্রতিযোগিতায় দেশ-বিদেশের ২৫০ জন দৌড়বিদ অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে ভারত, জাপান, রাশিয়া ও নেপালের ৬ জন দৌড়বিদ ছিলেন।
আরও পড়ুন: শুক্রবার মুজিবের বাংলাদেশ-বিমান হাফ ম্যারাথন ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে শুরু হওয়া ম্যরাথন দৌড় শিমরাইলকান্দি শেখ হাসিনা রোড, চর ইসলামপুরের গঙ্গানগর হয়ে আবার শিমরাইলকান্দি ব্রিজে এসে শেষ হয়।
পরে বিজয়ী দৌড়বিদদের মধ্যে সম্মাননা ক্রেস্ট, মেডেল ও সনদপত্র দেয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হামজা মাহমুদ, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতিভূষণ দেবনাথ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন’ জিতেছেন কেনিয়ার কিপ্রোটিচ
পতেঙ্গায় ম্যারাথন দৌড় শেষে অ্যাথলেটিকসের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা যুবদল সভাপতি গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদলের সভাপতিকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে জেলা শহরের কান্দিপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার শামীম মোল্লা একই এলাকার মৃত জমশেদ মোল্লার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমরানুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালে এক নাশকতার মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে শহরের কান্দিপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় রাজনৈতিকসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।
এদিকে তার গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে যুবদলের নেতাকর্মীরা শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানায় বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪
সীতাকুণ্ডে ভুয়া ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার, হ্যান্ডকাপ ও ওয়াকিটকি উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপ-নির্বাচন: নিখোঁজ প্রার্থীর সন্ধান চেয়ে স্ত্রীর আবেদন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী নিখোঁজ আবু আসিফ আহমেদের সন্ধান এবং সুষ্ঠু নির্বাচন ও নির্বাচনী মাঠে সমান সুযোগ তৈরির জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
স্বামীর সন্ধান পেতে ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন জমা দেন আবু আসিফ আহমেদের স্ত্রী মেহেরীন।
মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরীন জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আশুগঞ্জ থানার ওসি ও স্থানীয় প্রেসক্লাবে এ দরখাস্তের অনুলিপি দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ই-মেইলে এ দরখাস্ত পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার মো. শাহগীর আলম দরখাস্ত প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন।
দরখাস্তে আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরীন বলেন, প্রচারণার ক্ষেত্রেও আমরা কোন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পাইনি। ভোট কেন্দ্রে যাদেরকে এজেন্ট দেবো তাদেরকেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। একজন প্রার্থীকে যেভাবেই হোক জিতিয়ে নেয়া হবে বলে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমরা মনে করিনা।
এমতাবস্থায় ভয়ে আমরা এ পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ করতে পারিনি। কিছু সংখ্যক সংবাদকর্মী স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আমার বাসায় আসলে আমি তাদেরকে বিষয়টি অবহিত করি। এরপর এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে নির্বাচন কমিশন থেকে আমার স্বামীকে খুঁজে বের করাসহ তদন্তের নির্দেশ এসেছে বলে আমরা জানতে পারি।
তিনি জানান, এলাকায় প্রচার করা হচ্ছে ভোটাররা ইভিএমে আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার পর বিশেষ প্রার্থীকে জেতানোর জন্য অন্যরা প্রতীকের বাটনে চাপ দিয়ে দেবে।
এছাড়া তিনি দরখাস্তে সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া পূর্ব, কুট্টাপাড়া পশ্চিম, সৈয়দটুলা গরের পাড়, হাবিসটুলা, সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও উচালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ২১ আইনজীবীর ভাষা ছিল অশ্লীল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় হাইকোর্ট
এদিকে গত বুধবার থেকে নিখোঁজ থাকা নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান সমন্বয়ক আবু আসিফের শ্যালক শাফায়াত সুমন সোমবার রাতে বাসা ফিরে এসেছেন।
উল্লেখ্য, আবু আসিফ আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও পাঁচবারের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তিনি।
গত ২৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) বিকালে তিনি মোবাইল ফোন বাসায় রেখে বেরিয়ে আর বাসায় ফেরেনি।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি (বুধবার) আবু আসিফের নির্বাচনী প্রচারণা প্রধান মুসা মিয়াকে ডিবি পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে যায়। তিনি একজন ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধ মানুষ ও এলাকার স্বনামধন্য ব্যক্তি। পরে গ্রাম্য ঝগড়ার মিমাংসিত ঘটনার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ওই দিন থেকে নির্বাচনী প্রচারণার সমন্বয়ক আবু আসিফের শ্যালক শাফায়াত সুমনও নিখোঁজ ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
২১ আইনজীবীর ভাষা ছিল অশ্লীল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় হাইকোর্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেয়ার ঘটনায় সব আইনজীবীদের লজ্জিত হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, তাদের ভাষা ছিল অশ্লীল। শ্রমিকদের চেয়েও খারাপ।
এছাড়া তলবের প্রেক্ষিতে সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা আইনজীবী সমিতির ২১ আইনজীবী সশরীরে হাজির হলে শুনানিতে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
হাইকোর্ট বলেন, মেট্রিক পাশ লোকও এরকম কথাবার্তা বলে না। এটা কোন আন্দোলনের ভাষা? এটা আদালত অবমাননার চেয়েও খারাপ অপরাধ। আদালতের মেসেজ হচ্ছে, আমরা এসব আইনজীবীদের লাইসেন্স আজীবনের জন্য ক্যান্সেল করতে পারি। আপনারা যেতে চাইলে আমরা অনেক দূর যেতে পারি, নামতে চাইলে অনেক দূর নামতে পারি। এটা ৬৪ জেলার বিষয়। আমরা বিব্রত। আপনারা সবাই বিজ্ঞ আইনজীবী, বিজ্ঞদের সঙ্গে যায় এসব?
আইনজীবীরা সময় চাইলে আদালত ২১ আইনজীবীকে আদালত অবমাননার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন।
আরও পড়ুন: কারাগারে শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ না দেয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে হাইকোর্টের তলব
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি এজলাস চলাকালীন জেলা জজের নামে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান প্রদান করে বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ মানহানির অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা আইনজীবী সমিতির ওই ২১ আইনজীবীকে তলব করেন হাইকোর্ট।
ওই তলবের প্রেক্ষিতে তারা সোমবার আদালতে হাজির হন।
আইনজীবীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওই ঘটনায় বিচারক ও আদালতের কর্মচারীদের প্রতি ‘অশালীন আচরণের’ অভিযোগের জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সম্পাদক (প্রশাসন) সহ তিন আইনজীবীকে ১৭ জানুয়ারি তলব করেন হাইকোর্ট।
ওই দিন তারা হাজির হলে আইনজীবীদের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
জানা যায়, চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক ও আদালতের কর্মচারীদের গালিগালাজ এবং অশালীন আচরণের অভিযোগে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ অন্য আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর একটি চিঠি পাঠান বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক।
এরপর বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল। পরে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠাতে নির্দেশ দেন।
সে ধারাবাহিকতায় বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সম্পাদক (প্রশাসন) সহ তিন আইনজীবীকে আগামী ১৭ জানুয়ারি তলব করেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে এদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়।
এরপর ৯ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কাছে একটি চিঠি পাঠান ওই চিঠিতে বলা হয়, এজলাস চলাকালে জেলা জজ সম্পর্কে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
এরপর ২১ আইনজীবীর নাম সম্বলিত চিঠি প্রধান বিচারপতির অনুমতিক্রমে বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠানো হয়।
এরপর শুনানি নিয়ে ১০ জানুয়ারি ২১ আইনজীবীকে তলব করে আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজিকে হাইকোর্টে তলব
অবসরের পরই সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেয়া কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
৯৫৮ মেট্রিক টন রড নিয়ে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে ভারতীয় জাহাজ
৫৮ মেট্রিক টন রড নিয়ে ট্রানজিটের একটি ভারতীয় জাহাজ আশুগঞ্জ নৌবন্দরে নোঙর করেছে।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এমভি বালকার-১ নামের জাহাজটি বন্দরে এসে নোঙর করে।
নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় এই পণ্য আসে আশুগঞ্জ নদী বন্দরে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
এছাড়া সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাহাজে টাটা স্টিল এর রড রয়েছে।
টাটা স্টিলের এ রড ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আগরতলা যাবে।
এছাড়া ৮ জানুয়ারি ভারতের কলকাতার হলদিয়া বন্দরে ওই জাহাজে রড উঠানো হয়।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মো. আক্তার হোসেন জানান, তার প্রতিষ্ঠান আদনান এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে সিএন্ডএফ করে রড ভারতে পাঠানো হবে।
এছাড়া সড়ক পথে এসব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া আনা হবে।
আশুগঞ্জ নদী বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম সাদি জানান, নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় ৯৫৮ টন রড নিয়ে ভারতীয় জাহাজ এমভি বলকার-১ আশুগঞ্জ নদী বন্দরে আসে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকতা শেষে সড়ক পথে আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে আগরতলা যাবে।
এছাড়া এই পণ্য থেকে বাংলাদেশ ল্যান্ডিং চার্জ হিসেবে প্রতি মেট্রিকটনে পাবে ৩৪ টাকা, প্রতি মেট্রিকটন কার্যবেক্ষণ ফি পাবে ১০ টাকা, প্রতিদিন বার্দিং চার্জ পাবে ৩১৫ টাকা।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেসের গোডাউনে নকল নিকাহনামা-রেজিস্ট্রার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেসের গোডাউনে নকল নিকাহনামা-রেজিস্ট্রার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি প্রেসের গোডাউন থেকে নকল নিকাহনামা (কাবিননামা) ও রেজিস্ট্রার বই উদ্ধারের করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা শহরের মসজিদ রোডের ভূঁইয়া ম্যানশন-২ এর ২য় তলায় মেঘনা আর্ট প্রেসের গোডাউন থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবী সমিতির আদালত বর্জন প্রত্যাহার
ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ। এ সময় প্রেসের মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হেলেনা পারভীন জানান, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের অংশ হিসেবে এই অভিযান। নিবন্ধিত আমাদের যে কাজীরা আছেন, তারা আমাদের নির্দিষ্ট নিকাহনামা ও রেজিস্ট্রারে বিবাহ নিবন্ধিত করে থাকেন। তারা সরকারের অনুমোদন ছাড়া নিকাহনামা ও রেজিস্ট্রারগুলো ছাপিয়ে আসছিল।
তিনি আরও জানান, যারা কাজী নন তারা এসব নকল কাগজগুলো ব্যবহার করছেন। এই ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহের ঝুঁকিটা অনেক বেশি থাকে। তাই অভিযান চালিয়ে রেজিস্ট্রার ও নিকাহনামাগুলো জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া প্রেসের মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে, যদি ভবিষ্যতে এমন কিছু তারা পুনরায় করে প্রেস সিলগালা করে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কাজী সমিতির সভাপতি মাওলানা শাহ ইয়াহ ইয়া মাসউদ বলেন, একজন নিকাহ রেজিস্ট্রার তার রেজিস্ট্রেশন যেন বাদ না যায় সে কারণে বাল্যবিয়ে করান না। আমরা খুঁজে খুঁজে বের করেছি কোথায় কোথায় কিভাবে বাল্যবিয়ে সম্পাদিত হয়।
এই লক্ষ্যে আমরা জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।
এর উৎসটা বের করতে গিয়ে দেখা যায় মেঘনা প্রেস নকল নিকাহনামা ও রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন কাগজ বানিয়ে গোপনে বিক্রয় করে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুরিকাহত এসআই বিপদমুক্ত নয়: চিকিৎসক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুরিকাহত এসআই বিপদমুক্ত নয়: চিকিৎসক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানসিক প্রতিবন্ধী যুবকের ছুরিকাঘাতে আহত পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) এখনও শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রবিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত পুলিশের এসআইয়ের মৃত্যু
তিনি জানান, নিহতের বুকে, বাম হাতের নিচে ও হাতে ছুরিকাঘাতের ক্ষত রয়েছে। তাকে জরুরি অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল এবং তিনি এখনও বিপদমুক্ত নন।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় কর্মরত আহত উপপরিদর্শক আতিকুল্লাহকে রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় র্যাবের একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। ।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রবিবার দুপুরের দিকে বেহাইর গ্রামে সাইদুল ইসলাম নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধী তার মা-বাবাকে ঘরে বন্দি করে আগুন দিতে যাচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে তাকে আটক করতে গেলে হামলার শিকার হন উপপরিদর্শক আতিকুল্লাহ।
পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করে চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
পিকআপভ্যানের চাপায় ডেমরা থানার এসআই নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের ছুরিকাঘাতে পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) আহত হয়েছেন। রবিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নে বেহাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত উপপরিদর্শক আতিকুল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় কর্মরত। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী মানসিক প্রতিবন্ধী সাইদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকের সহকারী নিহত, আহত ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে জানানো হয়, বেহাইর গ্রামের ওই যুবক তার মা-বাবাকে ঘরে বন্দি করে আগুন দিতে যাচ্ছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করেন। পরে পুলিশ সাইদুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলে সে এসআই আতিকুল্লাহকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এক পর্যায়ে পুলিশ সাইদুলের কাছ থেকে ছুরি কেড়ে নিয়ে তাকে ধরে ফেলে।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন চিকিৎসক।পরে রাত সাড়ে ৮টায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় র্যাবের একটি হেলিকপ্টার তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ নিহত ২,আহত ৪
কুমিল্লায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২, আহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবী সমিতির আদালত বর্জন প্রত্যাহার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির আদালত বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে জেলা জজের আদালত ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ আদালত ছাড়া সকল আদালতের বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নেন আইনজীবীরা।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি।
এতে করে বিচারপ্রার্থীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
তারা জানান, এতদিন কোর্ট বন্ধ থাকার কারণে তাদের অর্থ ও সময় উভয় নষ্ট হয়েছে। সেসঙ্গে তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। তবে আবারও আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় তাদের আর হতাশ হয়ে ফিরতে হবে না।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. তানভীর ভুইয়া জানান, আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেয়ায় রবিবার থেকে আইনজীবীরা আদালতের বিচারিক কাজে অংশ নিচ্ছেন। তবে জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকের বদলির আগ পর্যন্ত তাদের আদালত বর্জন অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া, নাজির মোমিনুল ইসলামকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বদলি করা হবে।
আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে ওই দুই বিচারকসহ নাজিরকে অপসারণ করা না হলে সাধারণ সভা থেকে পরবর্তী কর্মসূচি নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ বিচারকসহ নাজিরের অপসারণ চেয়ে আইনজীবীদের আদালত বর্জন
এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আইনজীবীরা আদালতের বিচারিক কাজে অংশ নিচ্ছেন। এতে করে বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। এছাড়া আদালতের এজলাসগুলোতে বিচারকেরা বিচারকাজ পরিচালনা করছেন।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা।
এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সমিতির সভা করে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়।
এদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারিরা। এ অবস্থায় জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আইনজীবীরা।
এছাড়া বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও অশালীন স্লোগান দেয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ আইনজীবীকে দু’দফায় তলব করেছেন উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের সঙ্কট নিরসন
আদালত স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করে: আইনমন্ত্রী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ বিচারকসহ নাজিরের অপসারণ চেয়ে আইনজীবীদের আদালত বর্জন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারকসহ নাজিরের অপসারণ চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল আদালত তিনদিনের জন্য বর্জন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আদালত বর্জন করে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন-জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম লিটন,মাহবুবুল আলম খোকন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল -১ এর বিচারকের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ এনে বলেন, গেল ১ ডিসেম্বর বিকালে মামলা করতে গেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল -১ এর বিচারক মামলাটি গ্রহণ না করে জেলার সকল আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর ও অপমানজনক মন্তব্য করেন।
এর আলোকে ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। সে সঙ্গে জাল স্ট্যাম্প,জালিয়াতির উৎস ও চাঁদাবাজি বন্ধ করে দেয়ায় ঘুষখোর ও ঘুষখোরের মদদদাতা আদালতের নাজির মুমিনকে প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
অথচ তাকে রক্ষায় জেলা জজের ইন্ধনে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করেছে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন: বিচারককে গালিগালাজ : ব্রাক্ষণবাড়িয়ার বার সভাপতি-সম্পাদককে তলব
এরই প্রতিবাদে জেলার আইনজীবীরা জেলা জজ শারমিন নিগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল হকের অপসারনের দাবিতে বৃহস্পতি, রবি ও সোমবার পর্যন্ত তিনদিনের জন্য সকল কোর্ট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। দাবি আদায় না হলে কর্মসূচি চলমান থাকবে বলেও জানান বক্তারা।
এদিকে বর্জনকে ঘিরে সকাল থেকে জেলা জজ আদালত, মূখ্য বিচারিক আদালতসহ সবকটি আদালতের বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিচারপ্রার্থীদের বিপাকে পড়তে হয়েছে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, সময় পার হয়ে যাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক মামলাটি নেননি। তবে এ কারণে একজন বিচারককে আইনজীবীরা যেভাবে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ তার সঙ্গে আচরণ করেছে তা দুঃখজনক।
এছাড়াও তিনি আইনজীবী কর্তৃক জেলা জজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ করে বলেন, জেলা জজকে নিয়ে এ ধরণের মন্তব্য সংবিধান পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় মূলত গেল ১ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বিতন্ডা হয়। সময় পার হয়ে যাওয়ায় নিয়ম অনুসারে মামলাটি নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। এ ঘটনায় আদালতে কর্মরত-কর্মচারীদের মধ্যেও বিরূপ প্রভাব দেখা দেয়। তারা আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে মঙ্গলবার বিচার বিভাগীয় কর্মচারি অ্যাসোসিয়েশন সভা করে বুধবার থেকে কর্মবিরতি ও মানববন্ধ কর্মসূচি পালন করে।
আইনজীবী আদালত প্রাঙ্গণে এসে বিচারবিভাগীয় কর্মচারীদের মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালন দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
এসময় শত শত আইনজীবী জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন ভবনের সামনে জড়ো হয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গনে জেলা জজ শারমিন নিগারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
আরও পড়ুন: ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ: বিসিআইসির ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট
লালমনিরহাট থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রী নাটোরে উদ্ধার