সিআইডি
দূতাবাসে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১
লোভনীয় বেতনে বিভিন্ন দূতাবাস ও প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রবি পল গোমেজ (৫৩) নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার লাফন গোমেজের ছেলে।
শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডি জানায়, প্রতারণার শিকার এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে ভাটারা থানায় একটি মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির প্রতারণার মামলা: তাহসান খানের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, মহানগরীর ভাটারা থানাধীন নূরের চালা এলাকায় আরএস এন্টারপ্রাইজ নামক অফিস দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করত রবি ও তার সহযোগীরা।
তারা সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসে চাকরি দেয়ার কথা বলে ভুক্তভোগী হাশেম মিয়ার কাছ থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা নেয়।
এভাবে অনেককে তাদের কোম্পানির ব্যাংক চেক দেয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। পরে তাদের চাকরির কোনো ব্যবস্থা না করে অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায় প্রতারক চক্র।
সিআইডি ঢাকা মেট্রোপলিটন (দক্ষিণ) জানিয়েছে, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয়ে প্রতারণা: মেম্বার প্রার্থী গ্রেপ্তার
গাজীপুরের সাফারি পার্কে সিআইডি'র নমুনা সংগ্রহ
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক পরিদর্শন করলেন সিআইডি'র হেডকোয়ার্টার থেকে আসা একটি টিম। ডা. নাজমুল করিম খান এর নেতৃত্বে আসা কেমিকেল টিমের সদস্যরা কোর সাফারি পার্ক পরিদর্শন শেষে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন এবং জেব্রা, বাঘ ও সিংহীর মৃত্যুর বিষয়ে পার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
১২ থেকে ১৩টি নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডির ল্যাবে পরীক্ষা করে প্রাণী মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করা হবে বলে জানান সিআইডি'র অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।
সিআইডি হেডকোয়ার্টার থেকে আসা কেমিকেল টিমের সঙ্গে গাজীপুর ক্রাইমসিন টিম ও সিআইডি তদন্ত টিমের যৌথ পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিআইডির এসপি রিয়াজুল হক, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) অঞ্জন কুমার।
আরও পড়ুন: সাফারি পার্কের প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে: পরিবেশমন্ত্রী
‘১০ হাজার টাকা দিলাম, আমাকে অ্যারেস্ট করুক’
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেয়ায় সাবেক শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ভোরে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক অনশনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে আসেন।
এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি আবেগি মানুষ। চোখের জল আটকাতে পারি না। আমি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী স্মারকে লিখে ১০ হাজার টাকা পেয়েছি। এটা এখন তোমাদের দিচ্ছি। এখন সিআইডি দেখি আমারে অ্যারেস্ট করে কি না। আমারে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যাক।’
পুলিশের উদ্দেশ্যে জাফর ইকবাল বলেন, ‘ছাত্রদের গায়ে হাত তুলবেন না। অলরেডি হাত তুলে আপনারা অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন। আর করবেন না। তাদের হয়রানি করবেন না।’
শিক্ষার্থীদের সব অভিযোগ ও দাবি শোনার পর ড. জাফর ইকবাল বলেন, ‘তোমরা আমাকে গণমাধ্যমের সামনে কথা দিয়েছ, এ অনশন ভাঙবে। তোমাদের জীবন অনেক মূল্যবান। একজন মানুষের জন্য তোমরা জীবন দিয়ে দেবে, এটা মানা যায় না। গ্রেপ্তার সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীর বিষয়ে কথা হয়েছে। যেহেতু মামলা করা হয়ে গেছে, তাদের তো আদালতে তোলা হবে। আশ্বাস পেয়েছি ছাত্রদের জামিন দেয়া হবে।’
শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে ঢাকা থেকে বুধবার ভোররাতে ক্যাম্পাসে যান অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপি
সাবেক ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা
শাবিপ্রবির ছাত্র আন্দোলনে টাকা পাঠানোর অভিযোগে আটক পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে জালালাবাদ থানায় ওই মামলা করা হয়।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর দারিপাকা গ্রামের মতিয়ার রহমান খানের ছেলে হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন লক্ষ্মীকোলা গ্রামের মুইন উদ্দিনের ছেলে রেজা নুর মুইন (৩১), খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গার মিজানুর রহমানের ছেলে এএফএম নাজমুল সাকিব (৩২), ঢাকা মিরপুরের মাজার রোডের জব্বার হাউসিং বি-ব্লকের ১৭/৩ বাসার এ কে এম মোশাররফের ছেলে এ কে এম মারুফ হোসেন (২৭) ও কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন নিয়ামতপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে ফয়সল আহমেদ (২৭)।
এর মধ্যে হাবিবুর শাবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে ২০১২ সালে পাস করেছেন। একই বছর আর্কিটেকচার বিভাগ থেকে পাস করেছেন রেজা নূর মঈন দীপ ও নাজমুস সাকিব দ্বীপ।
এর আগে রাজধানী ঢাকা থেকে শাবিপ্রবি'র সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটকের পর সিলেটে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল তাদের সিলেটে নিয়ে আসে। সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুই দিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে সিআইডি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অঅরও পড়ুন: ‘করোনা ঝুঁকিতে’ শাবিপ্রবি থেকে ছাত্রলীগের মেডিকেল টিম প্রত্যাহার
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েকশ ছাত্রী। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগ হলের ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। পরের দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ঘোষণা দিলেও, শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
শাবিপ্রবি আন্দোলনে ‘টাকা পাঠানো’য় আটকদের নিয়ে সিলেটের পথে সিআইডি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনে ‘টাকা পাঠানোর’ অভিযোগে আটক সাবেক দুই শিক্ষার্থীকে সিলেটে নিয়ে আসছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাদের আটক করার পর সিআইডির একটি টিম তাদেরকে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আটকরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রেজা নূর মঈন ও সিএসই বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
উপচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে যেহেতু সিলেটে আন্দোলন হচ্ছে, তাই আটকদের বিরুদ্ধে সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় মামলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানায়।এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের টাকা পাঠানোর অভিযোগে সিআইডি’র একটি টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুজন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বলে শুনেছি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আটকদের সিলেটে নিয়ে আসছে সিআইডি’র একটি দল। এর বাইরে এই মুহুর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।তবে বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান।
তিনি বলেন, শাবিপ্রবির দুজন শিক্ষার্থীকে সিলেটে নিয়ে আসছে সিআইডি পুলিশের একটি দল। এমন খবর নিশ্চিত হওয়ার জন্য অনেকেই ফোন করে জানতে চেয়েছেন। তবে বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে লংমার্চ
ভিসির বাসায় খাবার নিতে বাধা, শাবিপ্রবিতে অনশন অব্যাহত
যুবদল নেতা হত্যা: লক্ষ্মীপুরে ৭ জনের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়ায় আলোচিত যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় সাত আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় আরও ১১ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আজিজ ও তার ছেলে সবুজ, বিল্লাল হোসেন বিপ্লব, ইব্রাহিম, মানিক, ইসমাইল হোসেন এবং আবুল কাশেম মেম্বার। ইসমাইল ও আবুল কাশেম ছাড়া বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রত্যেকেকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা: ৬ জনের যাবজ্জীবন, ১৪ জন খালাস
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,নিহত আনোয়ার হোসেন ২০১১ সালের ৪ জুন দত্তপাড়া বাজারের তার ভাইয়ের নির্বাচনী অফিসে বসে ছিলেন। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িতরা নির্বাচনী অফিসে হামলা করে আনোয়ারকে গুলি করে হত্যা করে। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরদিন তার বড়ভাই মো. আশেক ই এলাহী ওরফে বাবুল বাদি হয়ে সদর থানায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনের নামে হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি সিআইডি তদন্ত করে অভিযুক্ত ১৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর আদালত সাত জনের যাবজ্জীবন ও ১১ জন আসামিকে খালাস দেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
লঞ্চে আগুন: নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ সিআইডির
বরগুনার পোটকাখালী গণকবরে ২৩টি অজ্ঞাত পরিচয় লাশ শনাক্ত করতে স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সোমবার বিকাল ৪টার দিকে বরগুনায় সদর হাসপাতালে নিহতের দাবীদার ৩৫ স্বজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এর আগে রবিবার লাশের দাবিকারী স্বজনদের নমুনা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসন মাইকিং করে।
ঢাকা থেকে রবিউল ইসলাম ডিএনএ পরিক্ষক ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি সিআইডি,এসআই তাহাজুল ইসলাম ল্যাব টেকনিশিয়ান, কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম ল্যাব টেকনিশিয়ান ও বরিশাল থেকে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবের এসআই জুয়েল মাহমুদসহ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডিএনএ পরীক্ষার জন্য বরগুনায় দাবিকারী স্বজনদের নমুনা সংগ্রহের জন্য এসেছেন।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩০ জনের জানাযা সম্পন্ন
ডিএনএ পরীক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের টিম ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য নমুনা সংগ্রহের কাজ করেছে। আমরা এ পর্যন্ত ৩৫ জনের তালিকা পেয়েছি। যদি আগামীকাল পর্যন্ত আরও নামের তালিকা আসে তাহলে আমাদের কার্যক্রম সে পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তালিকা অনুযায়ী নমুনা সংগ্রহ করার অন্তত একমাস পর আমরা ফলাফল ঘোষণা করতে পারবো।
এদিকে, পূর্ব ঘোষণানুযায়ী সোমবার সকাল ১০টা থেকে সিআইডির মেডিকেল টিমের বরগুনা সার্কিট হাউসে অজ্ঞাত পরিচয় যাত্রীদের স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষার কথা থাকলেও ছয় ঘন্টা পর বেলা ৪টায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডিএনএ পরীক্ষা শুরু হয়।
অন্যদিকে, বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম মিলন জানান, লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডের জেরে বরগুনা মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হওয়া মামলাটি আদালতের নির্দেশে এফআইআর করা হয়েছে। সোমবার থেকে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২
ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বন্দি নির্যাতন: চট্টগ্রামে জেল সুপারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খানসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে তা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মোতাহের হোসাইন রাসিপ।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে কারা হেফাজতে কয়েদি মো. শামীমকে নির্যাতনের অভিযোগে গত ২৫ নভেম্বর মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। আদালত নালিশি মামলাটির শুনানি শেষে ৩০ নভেম্বর আদেশের তারিখ নির্ধারণ করেন। কিন্তু আদালত ১৩ ডিসেম্বর আদেশ দেন। আদালত পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সুপার (এসপি) পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবাদীরা হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান, জেলার দেওয়ান মো. তারিকুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার মো. সাইমুর, আইজি প্রিজনের গোয়েন্দা সবুজ দাশ ও সুবেদার মো. এমদাদ হোসেন।
আরও পড়ুন: হাজতিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চট্টগ্রামে জেল সুপার, জেলারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা
ভুক্তভোগীর স্ত্রী পারভিন আকতার হিরা মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার স্বামী মো. শামীম একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০০৪ সাল থেকে কারাগারে রয়েছেন। গত ১৭ জুলাই পর্যন্ত তিনি কারাগারের ভেতরে মেডিকেল তথা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ছিলেন।
এরই মধ্যে ১২ জুলাই শামীম কারাবিধি অনুযায়ী ডায়েট না দেয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে তাকে বিবাদী সুবেদার এমদাদ হোসেন মারধর করেন। এরপর ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী শামীমকে বিবাদীরা কারাগারের ভেতর আমগাছে বেঁধে মারধর করেন এবং একই দিন তাকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠিয়ে দেন। কুমিল্লা কারাগার থেকে নির্যাতনের বিষয়টি শামীম ফোন করে তার স্ত্রীকে জানান।
মামলার বাদী পারভীন বলেন, আমার স্বামীকে নির্যাতনের বিষয় অবহিত করে বিবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে গত ২২ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করি। এরপর গত ১১ নভেম্বর শামীমকে একটি মামলায় চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে, তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পাই। সবকিছু খোঁজ নিয়ে গত ২৫ নভেম্বর আমি আদালতে মামলা দায়ের করি।
আভিযোগের বিষয়ে জানতে জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খানকে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি। ক্ষুদ্রবার্তা পাঠিয়েও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কারাগারে আসামিকে নির্যাতন, জেল সুপারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্সে নাম আসাদের বিরুদ্ধে নেয়া পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
বিশ্বজুড়ে আলোচিত পানামা পেপার্স ও প্যারাডাইস পেপার্স কেলেঙ্কারিতে নাম আসা বাংলাদেশি অর্থপাচারকারীদের ব্যাপারে গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডিকে) আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ সুইচ ব্যাংকসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার বন্ধে ও পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার দাবিতে করা এক রিট আবেদনের এবং একই বিষয়ে স্বত:প্রণোদিত হয়ে জারি করা এক রুলের ওপর শুনানিকালে এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে অর্থ পাচারকারীদের ব্যাপারে তথ্য চাওয়ার চার বছর পার হলেও দুদককে কেন তথ্য দেয়া হয়নি এবং এক্ষেত্রে ব্যর্থতার কারণ উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশে পাচারকরা অর্থ অবিলম্বে ফেরত আনতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।
রিটে অর্থসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্যসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১৪ জনকে বিবাদী করা হয়।
আরও পড়ুন: কেরোসিন-ডিজেলের মূল্য নির্ধারণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না: হাইকোর্ট
এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বিবাদীদের চরম ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পানামা পেপার্স এবং প্যারাডাইস পেপার্সে যাদের নাম আসছে তাদের বিষয়ে তদন্ত শুরু করার জন্য বিবাদীদের প্রতি কেন নির্দেশ দেয়া প্রদান করা হবে না এবং এ বিষয়ে প্রতি মাসে কেন অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
একইসঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতীতের এবং বর্তমানে এ ধরনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে অর্থপাচারকারীদের নাম-ঠিকানা ও তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানতে চান আদালত। সে অনুযায়ী সিআইডির কাছে তদন্তাধীন ৮টি অর্থ পাচার মামলার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন গত ১৭ অক্টোবর দাখিল করা হয়। এরপর গত রবিবার দুদক অর্থপাচারে জড়িত ৪৩ জনের একটি তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করেন। প্যারাডাইস পেপারর্সের উদ্ধৃতি দিয়ে ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টু ও তার পরিবারের সদস্য নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, তাবিথ আউয়াল, তাফসির আউয়াল ও তাজওয়ার মো. আউয়ালসহ মোট ২৯ জনের একটি তালিকা দাখিল করা হয়।
এছাড়া পানামা পেপার্সে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জনের একটি তালিকা দাখিল করে দুদক। তবে পানামা পেপার্স ও প্যারাডাইস পেপার্সে আসা বাংলাদেশি পাচারকারীদের নামের তালিকা ছাড়া তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে পারেনি দুদক।
আরও পড়ুন: নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বঙ্গবন্ধুর ছবি অন্তর্ভুক্তিতে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট
তালিকা দাখিলের পর শুনানিতে অংশ নিয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতে বলেন, বিদেশে ব্যাংক একাউন্ট খোলা, অফশোরসহ অন্যান্য কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন বা সম্পত্তি অর্জন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য মূলত বিএফআইইউ সর্বাধিক উপযুক্ত মাধ্যম। কিন্তু অভিযুক্তদের ব্যাপারে অনুসন্ধানের জন্য বিএফআইইউ’র কাছে তথ্য চেয়ে পাওয়া যায়নি। এছাড়া আইন অনুযায়ী দুদক শুধু ঘুষ ও দুর্নীতির তদন্ত করতে পারে। যদি বিএফআইইউ দায়িত্ব না দেয় তাহলে দুদক অর্থ পাচারের তদন্ত করতে পারে না। যাদের নাম এসেছে এদের ব্যাপারে তদন্তের ক্ষেত্রে দুদকেরি আইনি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ কারণে তাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান ও তদন্ত এগোয়নি।
শুনানির একপর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, ২০১৬, ২০১৭ সালের ঘটনা, কিন্তু এখনও ব্যবস্থা নেই। আমরা তাদের ব্যাপারে আপডেট জানতে চাচ্ছি। এখনই শুরু না করলে দূরে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা অন্তত শুরু করতে না পারলে এগুলো বাদ দেয়ার কথা বলে দেন। আমাদেরতো দেশের প্রতি কিছু দায়িত্ব আছে। এসব চিন্তায় মাঝে মাঝে ঘুম হয় না।
আদালত বলেন, আমাদের দেশে নানা ধরণের সংগঠন থাকলেও দুর্নীতিবিরোধী কোনো সংগঠন আছে? ভারতে কিন্তু আছে। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও আন্দোলন করে। আমরা কেউই চাই না, এত রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে অর্জিত এদেশে দুর্নীতি হোক, অর্থপাচার হোক। এখানে তথ্য চাওয়া হলে নানা অজুহাতে দেয়া হয়না। বলা হয় এই টার্মস আছে, কন্ডিশন আছে। কিন্তু ইন্ডিয়ার আদালতের রায় দেখেন। সব অযুহাত উড়িয়ে দিয়েছে। আদালত চাইলেই সব তথ্য দিতে বাধ্য।
এসময় রিটকারী আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, পানামা পেপার্স ও প্যারাডাইস পেপার্সে নাম আসার পরপরই ইন্ডিয়া কিন্তু বিষয়টি তদন্তে একটি বিশেষ কমিটি করে দিয়েছে। এটা করাতো সরকারের দায়িত্ব। এটাতো দেশের জন্য কলঙ্ক। হাইকোর্ট এ বিষয়ে আদেশ দেয়ার পরে সিআইডি ছাড়া অন্য বিবাদীদের কেউই আসেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক আসেনি, বিএফআইইউ আসেনি। অন্য ১০-১২জন বিবাদীও আসেনি। তাদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করার পর আদেশ দিয়েছেন,তারপর আজও তারা আসেনি। এটা আদালতের আদেশের অবমাননা।
তিনি বিবাদীদের প্রতি আদালত অবমাননার রুল জারি করার আর্জি জানালে আদালত বলেন, আগে একটা আদেশ দিই, তারপর তখন না আসলে দেখা হবে। পরে হাইকোর্ট আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: দেশের সব নদীর তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
চট্টগ্রামে দুদকের মামলায় সিআইডির এসআই কারাগারে
দেড় কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদকের) করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নওয়াব আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে নওয়াব আলী জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে নওয়াব আলীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্নীতির মামলায় আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আসামি নওয়াব আলী। দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। পরে আদালত নওয়াব আলীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাবেক কাউন্সিলরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ৪ মামলাতিনি বলেন, এক কোটি ৩৪ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এসআই নওয়াব আলী, তার স্ত্রী গোলজার বেগম, কর অঞ্চল চট্টগ্রামের অতিরিক্ত সহকারী পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) বাহার উদ্দিন চৌধুরী ও কর পরিদর্শক দীপংকর ঘোষকে আসামি করে ২০২০ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত গোলজার বেগম, তার স্বামী এসআই নওয়াব আলীসহ চার আসামির বিরুদ্ধে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আসামি গোলজার বেগম ৮ মার্চ আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। তিনি এখন জামিনে আছেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে দুদকের তলব
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালে দুদকের উপ-পরিচালক আলী আকবর বাদী হয়ে দুদক ঢাকা কার্যালয়ে মামলাটি করেছিলেন।
দুদক সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালে কনস্টেবল পদে যোগ দেন নওয়াব আলী। বর্তমানে তিনি এসআই পদে কর্মরত। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকার মালিক সাজিয়েছেন স্ত্রী গোলজার বেগমকে। গোলজার মাছ চাষ থেকে এক কোটি ১০ লাখ টাকা আয় করেছেন বলে কাগজপত্রে দেখালেও বাস্তবে মাছ চাষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এছাড়া গোলজারের নামে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ছলিমপুরে ৩৫৪ শতক জমি, চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার এলাকায় পার্কিংসহ এক হাজার ১০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, একই এলাকায় ৪ শতক জমি রয়েছে। গোলজারের নামে একটি মাইক্রোবাসও রয়েছে।
আরও পড়ুন: তদন্তকালে ঘুষ দাবি, দুদকের সহকারী পরিচালককে হাইকোর্টে তলব
মন্ত্রণালয়ের নথি গায়েব: সিআইডি হেফাজতে রাজশাহীর ঠিকাদার
ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি নথি গায়েবের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজশাহীর এক ঠিকাদারকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক নাসিমুল গণি টোটন রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার কেশবপুর এলাকার বাসিন্দা।
সিআইডির রাজশাহীর বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল জলিল জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর সিআইডি রাজশাহীর একটি টিম ঠিকাদার নাসিমের বাড়িটি ঘিরে রাখে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।
পড়ুন: ই-কমার্স: গেটওয়েতে আটকা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে হাইকোর্টের রুল
তিনি জানান, ঢাকায় মন্ত্রণালয় থেকে যে ১৭টি নথি গায়েব হয়েছে তার মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের কেনাকাটার একটি নথি ছিল। ওই কেনাকাটার ঠিকাদার ছিলেন নসিমুল গণি টোটন। তার নামে কোনো মামলা না থাকলেও তদন্ত করতে গিয়ে ঢাকার সিআইডি মনে করেছে নাসিমুল গণি টোটনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এ জন্য তাকে নিয়ে যেতে ঢাকা থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়। সে অনুযায়ী পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সচিবালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) কক্ষের লাগোয়া ঘর থেকে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের কেনাকাটার ১৭টি নথি খোয়া গেছে। গত ২৭ অক্টোবর নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়েছিল। পরদিন ফাইলগুলো আর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করছে সিআইডি।
পড়ুন: সুন্দরবনে আর দস্যুতা করতে দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যাত্রাবাড়ীতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৪ অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার