ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ‘অভিযোগ’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন সিলেটের কানাইঘাট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এম আব্দুল্লাহ আল হাদী (২৫)।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন ডাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মারধরের শিকার এম এম আব্দুল্লাহ আল হাদী রাজধানীর শাহবাগ থানায় শুক্রবার রাতেই মামলার আবেদন করেছেন। আবেদনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা, জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী পলাশ, ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী রুদ্রিক রাব্বির নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আট থেকে নয় জনের কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: সেগুনবাগিচা থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
মামলার আবেদনে আব্দুল্লাহ আল হাদী অভিযোগ করেন, তিনি সিলেট থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির সাথে দেখা করার জন্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আসেন। ঘটনার দিন রাত আনুমানিক দশটার সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাসের এক পাশে বসে ছিলেন। এ সময় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা ও তার সহযোগীরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে এক পর্যায়ে আমির হামজার নেতৃত্বে তাকে মারধর করা হয়।এ সময় রাব্বির তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি ষ্টিলের পাত দিয়ে মাথার পেছন দিকে আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। অভিযুক্তরা তার মুঠোফোন ও সাথে থাকা অর্থ ছিনিয়ে নেয়। পরে তার চিৎকারে আশেপাশের লোক জড়ো হলে অভিযুক্তরা তাকে হুমকি দিয়ে সটকে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, 'উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় আমি রিকশা যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মাথার জখমস্থানে ১৩টি সেলাই করেছেন।'
আরও পড়ুন: করোনার টিকা উৎপাদনে এএফসি-ঢাবির চুক্তি
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে আমির হামজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি হামলার দায় অস্বীকার করেন। তিনি ইউএনবিকে বলেন, 'আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিতই ছিলাম না। আমি নয়টা পর্যন্ত মধুর ক্যান্টিনে ছিলাম। তারপর ছাত্রলীগ সভাপতির জন্মদিনের কেক কাটার জন্যে রোকেয়া হলের সামনে যাই। আমি নোংরা রাজনীতির শিকার।'
হামলায় জড়িত হিসেবে অভিযুক্ত বাকিরাও ঘটনার দায় অস্বীকার করেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মওদুত হাওলাদার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন বলে জানান। তিনি বিস্তারিত জানতে পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি’র দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ সত্য নয়
হারুন অর রশীদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' মামলা গ্রহণ করা হয়েছে কি না সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।
সেগুনবাগিচা থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে আদনান সাকিব (২৫) নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাত দেড়টায় শাহবাগ থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
নিহত আদনান সাকিব নীলফামারী ডিমলা উপজেলার উত্তর সোনাখুলি গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। তিনি ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের নতুন গাছ রোপণ
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ সাহা জানান, গতকাল রাতে সাকিবের নিখোঁজের বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার স্ত্রী। এরপর তার ফোন নাম্বার ট্র্যাকিং করে লোকেশন পাওয়া যায় সেগুনবাগিচা কর্ণফুলী আবাসিক হোটেল। রাত দেড়টার দিকে হোটেলে গিয়ে রেজিস্ট্রেশনে তার নাম দেখা যায়। তখন হোটেলটির দ্বিতীয় তলায় ১০৭ নম্বর রুমে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করা হলেও কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে একপর্যায়ে রুমের দরজা ভাঙা হয়। ভিতরে ঢুকে দেখা যায় ফ্যানের সাথে তার লাশ ঝুলছে।
স্বজন ও বন্ধুদের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, সাকিব দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে সমস্যায় ভুগছিল। সবকিছুই ভুলে যেতেন তিনি। এসব কারণে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। গত পরশু সন্ধ্যার পর থেকে তার পরিবার তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিল না। এজন্য গতকাল বুধবার রাতে থানায় জিডি করেন তারা।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু
পুলিশ জানায়, হোটেলে রেজিস্ট্রেশনে দেখা গেছে পরশু সন্ধ্যায় আদনান ওই আবাসিক হোটেলের ১০৭ নম্বর রুম ভাড়া নেয় এবং হোটেল কর্তৃপক্ষকে ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা দিতে হোটেলে উঠেছে বলে জানিয়েছে। তার রুমে পুলিশ একটি সুইসাইডাল নোট উদ্ধার করেছে। যাতে তার মৃত্যুর জন্য কারও দোষ নেই বলে উল্লেখ আছে।
প্রাথমিকভাবে এটা আত্মহত্যা মনে হলেও বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে ‘সহিংসতা বিরোধী কনসার্ট’
সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে শুক্রবার ‘সহিংসতা বিরোধী কনসার্ট’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘শিরোনামহীন’সহ বিভিন্ন দর্শক নন্দিত ব্যান্ড এতে গান পরিবেশন করে। সহজিয়া, মেঘদল, বাংলা ফাইভ, শহরতলি, গানপোকা, গানকবি, কৃষ্ণপক্ষ, কাল, অবলিক, অর্জন, গঞ্জে ফেরেশতা, বুনোফুল ব্যান্ড মঞ্চ মাতিয়ে রেখেছে। এছাড়া মূকাভিনয়, নৃত্যও কনসার্টে পরিবেশন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ‘সহিংসতা বিরোধী কনসার্ট’ এ শিরোনামহীন
ঢাবিতে রবিবার থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু
করোনার কারণে প্রায় ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর আগামীকাল রবিবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সশরীরে ক্লাস শুরু হবে।
গত ৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে ৫ অক্টোবর কমপক্ষে করোনার এক ডোজ টিকা নেয়া স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে উঠার অনুমতি দেয় ঢাবি কর্তৃপক্ষ। পরে করোনার সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদেরও ১০ অক্টোবর থেকে হলে উঠার অনুমতি দেয়া হয়।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সভায় প্রভোস্ট স্টেন্ডিং কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিল আবাসিক হল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গত বছরের ২০ মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: সকল শিক্ষার্থীর জন্য খুলেছে ঢাবির হল, থাকবে না গণরুম
ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ১৭ অক্টোবর
সোমবার থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু করছে ঢাবি
বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় মেহেরপুরের আব্দুর রশিদ
বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের কৃতি সন্তান ড. মো.আব্দুর রশিদ।আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা সংস্থা এডি সায়েন্টিফিক ইন্ডেক্স কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত ২০২১ সালের বিশ্বের বিজ্ঞানীদের শীর্ষ তালিকায় মর্যাদাপূর্ণ স্থান লাভ করেছেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি)-এর ফার্মাসি বিভাগের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের সাবেক এই অধ্যাপক।সংস্থাটি সারা বিশ্বের ২০৬টি দেশের ১৩ হাজার ৫৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত লাখেরও বেশি বিজ্ঞানীর সাইটেশন ও অন্যান্য ইনডেক্সের ভিত্তিতে গত ১০ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী এ তালিকাটি প্রকাশ করে। তালিকাটির ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগে ড. এম এ রশীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ উভয় ক্যাটাগরিতেই প্রথম স্থান অধিকার করেন। এমনকি এশিয়া ও বৈশ্বিক ক্যাটাগরিতেও তিনি যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান লাভ করেন।
আরও পড়ুন: পদার্থে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
অধ্যাপক এম এ রশীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদে দীর্ঘকাল অধ্যাপক ও ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০০৪ সালে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে যোগদান করেন।
তাঁর এ সম্মানজনক স্বীকৃতির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সংস্কৃতিগত ভাবেই বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকখানি পিছিয়ে আছে।
আরও পড়ুন: বিনা ও বিনা’র বিজ্ঞানীর আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ
তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের চেষ্টার পাশাপাশি গবেষণার উপরও আমাদেরকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। আর এ ধরনের স্বীকৃতি অবশ্যই আমাদের গবেষকদেরকে অধিকতর উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে।অধ্যাপক রশীদ বলেন, মৌলিক গবেষণা ব্যতীত কখনোই এবং কিছুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ের উচ্চতর শিক্ষা পূর্ণঙ্গতা পেতে পারে না। তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে গর্ববোধ করি। আর মেহেরপুরের সন্তান হিসেবেও গর্বিত।
বিশিষ্ট নাট্যকার ড. ইনামুল হক আর নেই
একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট অভিনেতা ও নাট্যকার ড. ইনামুল হক মারা গেছেন। সোমবার রাজধানীর বেইলি রোডের বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
বাংলাদেশ অ্যাক্টর ইক্যুইটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব জানিয়েছেন, ইনামুল হকের পালস না পাওয়ায় তাঁকে রাজধানীর কাকরাইলের ইসলামী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সেখানের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গুণী এই অভিনেতার হঠাৎ চলে যাওয়ায় দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৯৪৩ সালের ২৯ মে ফেনীর একটি অভিজাত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ইনামুল হক। তিনি ১৯৬৩ ও ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক বাবু বিজয় কুমার মারা গেছেন
পরে ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) রসায়ন বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৭০ সালে সহকারী অধ্যাপক হন। পরে ১৯৭৯ ও ১৯৮৭ সালে তিনি যথাক্রমে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক হন।
এছাড়া একই বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি ১৫ বছর এবং প্রকৌশল অনুষদের ডিন হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন।
মোস্তফা মনোয়ারের ‘মুখরা রমণী বশীকরণ’ এর মাধ্যমে ১৯৬৮ সালে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পা রাখেন এই গুণী অভিনেতা। এছাড়া ‘সেইসব দিনগুলি’, ‘নির্জন সৈকত’, ‘কে বা আপন কে বা পর’সহ প্রায় ৬০টি টেলিভেশন নাটক লিখেছেন ইনামুল হক।
পাকিস্তানি সরকারের বিরুদ্ধে বিশেষ করে ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে নাটক মঞ্চায়িত ও অংশগ্রহণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হামিদুজ্জামান রবি মারা গেছেন
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী লাকি ইনাম; দুই মেয়ে হৃদি হক ও প্রৈতি হককে রেখে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর শোক
অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক ও শিক্ষক ড. ইনামুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নাট্যাঙ্গনে ইনামুল হকের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশিষ্ট নাট্যকার আফসার আহমেদ আর নেই
সকল শিক্ষার্থীর জন্য খুলেছে ঢাবির হল, থাকবে না গণরুম
করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সকল বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলে উঠা শুরু করেছেন।
এর আগে ৫ অক্টোবর চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের হলে উঠার অনুমতি দিয়েছিল ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে সব বর্ষের শিক্ষার্থীর জন্য হল খোলার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে যে সকল নতুন শিক্ষার্থী গণরুমে থাকতেন তাদের হলে ঢুকার অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ. এফ. রহমান হল ও বিজয় একাত্তর হল কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সব জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন তারা কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ সম্পর্কে তাদের আগে কিছুই জানায়নি।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ১৭ অক্টোবর
বিজয় একাত্তর হলের সঙ্গে সংযুক্ত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সব শিক্ষার্থীর জন্য হল খুলে দিবে শুনে আমরা এসেছি। গণরুম নেই বলে তারা আমাকে হলে ঢুকতে দিচ্ছে না। ১৭ অক্টোবর থেকে আমার সমাপনী পরীক্ষা। এখন আমি কোথায় যাব?’
স্যার এ. এফ. রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গণরুম প্রথা আর অনুমোদন করবো না। তাই নতুন শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দিতে আমাদের আরও কিছু সময় লাগবে।’
কর্তৃপক্ষের মতে, করোনার এক ডোজ টিকা নেয়া সাপেক্ষে শুধু নিয়মিত শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবেন। শিক্ষার্থীরা তাদের টিকা সনদপত্র ও বৈধ পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে হলে ঢুকতে পারবেন।
শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে অধিকাংশ হলের প্রবেশ পথে হাত ধোয়ার বেসিন ও হলের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া হলের ডাইনিং কক্ষ, ক্যান্টিন, পাঠকক্ষ, অতিথিকক্ষও পরিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: খুললো ঢাবির হল, শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ
ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক হারুন আর নেই
একুশে এবং স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ‘বোস অধ্যাপক’ ড. এ এম হারুন অর রশিদ মারা গেছেন।
শনিবার (৯ অক্টোবর) বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার হয়েছিলো ৮৮ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
অধ্যাপক হারুন অর রশিদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক হারুন অর রশিদ শুধু একজন পদার্থবিজ্ঞানীই নন, বিজ্ঞান গবেষণায় একজন নিবেদিত প্রাণ। নিয়মিত গবেষণার পাশাপাশি তিনি পদার্থ বিজ্ঞান শিক্ষায় বিশেষ করে বাংলা ভাষায় পদার্থ বিজ্ঞান শিক্ষায় এক অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন। তার মৃত্যু দেশের বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে একটি বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি করেছে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু ১
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ড. হারুন অর রশিদের জন্ম ১৯৩৩ সালে বরিশালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৩ সালে বিএসসি ও ১৯৫৪ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৬০ সালে ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগো থেকে তার পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
১৯৭২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বীয় পদার্বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
তিনি ১৯৯১ সালে একুশে পদক এবং ১৯৯৯ সালে স্বাধীনতা পদক পান। ১৯৯৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ‘বোস অধ্যাপক’ হিসাবে মনোনীত হন।
পড়ুন: বিশিষ্ট নাট্যকার আফসার আহমেদ আর নেই
কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরীর আর নেই, প্রধানমন্ত্রীর শোক
ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ১৭ অক্টোবর
করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের এক বিশেষ ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সশরীরে ক্লাসে যোগদানের আগে শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে করোনার এক ডোজ টিকা নিতে বলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একাডেমিক কাউন্সিল শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
আরও পড়ুন: খুললো ঢাবির হল, শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ
শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য যে সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী রয়েছে প্রয়োজনে তাদের বিভিন্ন সেকশনে ভাগ করে নিতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিভাগ ও ইন্সটিটিউটকে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ ক্লাস সশরীরে এবং সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে নিতে পারবে। তবে সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটকে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাস সশরীরে নিতে হবে।
বিভাগ ও ইন্সটিটিউট নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী পরীক্ষার ধরন ঠিক করতে পারবে বলে একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
করোনা মহামারির কারণে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু করছে ঢাবি
ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
খুললো ঢাবির হল, শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ফুল ও ব্যানার টানিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন।
স্নাতকোত্তর ও স্নাতক শেষ বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীরা কমপক্ষে এক ডোজ করোনার টিকা নেয়ার প্রমাণপত্র ও বৈধ কাগজপত্র দেখানো সাপেক্ষে হলে উঠতে পারবেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে উঠানোর ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রফুল্ল মনে লাইনে দাঁড়িয়ে এবং করোনার স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে হলে প্রবেশ করেন। এছাড়া হলের ভেতরে প্রাধ্যক্ষরা তাদের এক জায়গায় জড়ো হওয়া থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: তালা ভেঙে হলে উঠা শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে ঢাবি