স্মার্টফোন
টেক্সট নেক সিন্ড্রোম: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে চার ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন ই-মেইল পড়তে, টেক্সট পাঠাতে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহ চেক করতে। সব মিলিয়ে যার পরিমাণ বছরে প্রায় ৭০০ থেকে ১৪০০ ঘন্টা। সম্প্রতি এই বিষয়টি এতটাই প্রবল হয়ে উঠেছে যে মার্কিন কাইরোপ্র্যাক্টর ডিন ফিশম্যান এটিকে একটি স্বতন্ত্র স্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসেবে ‘টেক্সট নেক সিন্ড্রোম’- নাম দিয়েছেন।
টেক্সট নেক সিন্ড্রোম মুলত প্রচণ্ড ঘাড় ব্যথার পুনরাবৃত্তি, যা দীর্ঘ সময় ধরে মাথা সামনের দিকে ঝুঁকে রাখার জন্য ঘটে থাকে। এই অবস্থাটি ‘টার্টল নেক পশ্চার’, ‘অ্যান্টেরিয়র হেড সিন্ড্রোম’ এবং ‘টেক নেক সিন্ড্রোম’ নামেও পরিচিত। এই আসুন অভিনব এই স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক:
টেক্সট নেক সিন্ড্রোমের কারণ
টেক্সট নেক সিন্ড্রোম মোবাইলের মাধ্যমে ম্যাসেজ পাঠানোর সঙ্গে যুক্ত হলেও এটি বর্তমানের যে কোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যেমন ট্যাবলেটে সম্পাদিত বিভিন্ন কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পর্কিত। এগুলোর মধ্যে আছে- ওয়েব ব্রাউজ করা, গেম খেলা বা কোন ডাটা প্রসেস করা। এ সময় স্বাভাবিক ভাবেই মাথা একটু সামনের দিকে ঝুঁকে থাকে। টিভি এবং কম্পিউটারের তুলনায় স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের স্ক্রিনগুলো দেখার জন্য সাধারণত টেবিল বা হাতে কাছাকাছি নিয়ে নির্দিষ্ট কোণে মাথা বাঁকা করতে হয়।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়
বর্তমানের টাচস্ক্রিন সেটগুলো কাঁধ এবং মাথাকে আরও সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে আনে। স্মার্টফোনে ওয়েব ব্রাউজিং বা ভিডিও দেখার তুলনায় ম্যাসেজ করার সময় মাথার ভঙ্গি বেশি থাকে। ম্যাসেজ করার ক্ষেত্রে বেশি সময় ধরে দুই হাতের ব্যবহার এবং আঙুলগুলো স্ক্রিনে স্পর্শ করে রাখার দরকার পড়ে। এর ফলে স্মার্টফোন ব্যবহারকারিকে নিজের কাঁধ আরও সামনের দিকে বাঁকা করে রাখতে হয়।
এছাড়া কিন্ডেলে বই পড়া, কিচেনে থালা বাসন ধোয়া, ঘর ঝাড়ু দেয়া প্রভৃতি কাজও মাথা কাত করতে বাধ্য করে। এখানে সময়টা গুরুত্ব বিষয়, কেননা, স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটগুলো সাধারণের থেকে অনেক বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা হয়। এমনকি এই দীর্ঘ সময়টাতে ব্যবহারকারিরা তাদের অবস্থানও পরিবর্তন করেন না। ফলে শরীর তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও পেশীর প্রয়োজনীয় নড়াচড়া থেকে বঞ্চিত হয়। এটি শরীরের নির্দিষ্ট অংশে রক্ত চলাচল কমে যাওয়ার দরুণ নানা স্বাস্থ্যগত জটিলতা সৃষ্টি হয়।
যখন মাথা ১৫ ডিগ্রি সামনে কাত হয়, ঘাড়ের ওপর তখন ২৭ পাউন্ড ভর চাপে, ৩০ ডিগ্রি হলে ৪০ পাউন্ড, ৪৫ ডিগ্রির বেলায় ৪৯ পাউন্ড এবং ৬০ ডিগ্রির ক্ষেত্রে চাপটা ৬০ পাউন্ডে ওঠে যায়। ঘাড়ের এই বাড়তি চাপটা বুঝার জন্য ৮ বছর বয়সী কোন বাচ্চাকে দুই থেকে চার ঘন্টা ধরে ঘাড়ে নিয়ে চলার কথা কল্পনা করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
টেক্সট নেক সিন্ড্রোমের লক্ষণ
স্মার্টফোন ব্যবহার করার সময় তাৎক্ষণিকভাবে উপরের পিঠ বা ঘাড়ে ব্যথা অনুভূত হবে। দিনের শেষ ভাগে বা রাতে ঘুমাতে যাবার সময় ঘাড়ে বা কাঁধে তীব্র ব্যথা বাড়তে থাকবে। সাধারণত প্রাথমিকভাবে কাঁধে হাল্কা ব্যথা এবং চাপের মাধ্যমে এই ব্যথা তীব্রতার দিকে এগিয়ে যায়। নিচের দিকে তাকালে বা কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় মাঝে মাঝে অথবা ক্রমাগত মাথাব্যথা হবে। ধীরে ধীরে এই ব্যথা অসহনীয় হয়ে উঠবে। কোন একটি নির্দিষ্ট ভঙ্গিমায় দাড়িয়ে থাকতে সমস্যা হবে। এমনকি দাঁড়ানো অবস্থা, কোন এক দিকে ঝুঁকে পড়া বা নড়াচড়াতেও সমস্যা হবে।
টেক্সট নেক সিন্ড্রোমের স্বাস্থ্য ঝুঁকি
দীর্ঘক্ষণ সামনের দিকে ঝুঁকে থাকলে মেরুদণ্ড, ঘাড় ও কাঁধের পেশী এবং আনুষঙ্গিক অস্থি বন্ধনীগুলো বাঁকা হয়ে যেতে পারে। চরম পর্যায়ে ঘাড় এবং কাঁধ বরাবর পেশীগুলোর ন্যূনতম ব্যথা হাড় বা মেরুদণ্ডের ডিস্কের অবক্ষয় করতে পারে। এ অবস্থায় হাত দিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে সমস্যা হতে পারে। এমনকি কাজ ছাড়া অবস্থাতেও বাহুর ব্যথা স্থায়ী হয়ে যেতে পারে। ব্যথা তীব্রতায় রূপ নিলে ঘাড় বরাবর মেরুদণ্ড বা স্নায়ু অবশ বা অসাড় হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে করণীয়
টেক্সট নেক সিন্ড্রোমের প্রতিকার
মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্কতা
স্মার্টফোন সহ অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করার সময় শরীরের ভঙ্গিমা এবং ব্যবহারকারির ডিভাইস ব্যবহারের আচরণকে সামঞ্জস্য করার মাধ্যমে এই জটিলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ঘাড়কে মেরুদণ্ড বরাবর যতটা সম্ভব সমান রাখার চেষ্টা করা উচিত। খেয়াল রাখতে হবে কাঁধ যেন কুঁচকে না যায় এবং পিঠ বাঁকা না থাকে।
দীর্ঘ সময়ের জন্য ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুক্ষণ পরপর শরীরের ভঙ্গিমা পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে হবে। ম্যাসেজ করা বা অন্য যে কোন কাজ করা হোক না কেন, চেষ্টা করতে হবে মোবাইল ডিভাইসটিকে একদম চোখের সঙ্গে একই স্তরে ধরে রাখা। একটু নিচে বা ওপরে কোন কোণ করে নয়; একদম ঘাড় সোজা রেখে চোখের দৃষ্টি বরাবর। কিছুক্ষণ পরপর চিবুকটি সোজা রেখে কাঁধের ব্লেডগুলো পিছনের দিকে বৃত্তকারে ঘোরোনো অনুশীলনটা করা যেতে পারে।
প্রতি ১৫ মিনিট পর মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারে বিরতি নিতে হবে। শরীরের ভঙ্গিমা এমনকি পুরো অবস্থান পরিবর্তন করা যেতে পারে। বাচ্চাদের জন্য ডিভাইসটিকে হাতে বা মেঝেতে না রেখে টেবিলে বাচ্চাদের চোখের সামনাসামনি রাখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার কোথায় ভালো পরিবেশে সাঁতার শেখা যায়
সঠিক শয়ন পদ্ধতি
মেঝে বা শক্ত পৃষ্ঠে পিঠ দিয়ে শুতে হবে। ঘাড়ের নিচে একটি পরিপাটি করে ভাঁজ করা তোয়ালে রাখতে হবে, যাতে করে ঘাড় একটি আরামদায়ক মঞ্চ পায় আর চিবুকটা একটু উঁচু হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বালিশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একটি স্বাস্থ্যকর ঘুমের জন্য শয়নের পদ্ধতিটি আরামদায়ক হতে হয় তাই এখানে অবশ্যই আরামপ্রদ অবস্থাকে গুরুত্ব দিতে হবে। শরীরের ভঙ্গিমাকে সুস্থ ঘুমের অনুকূলে রাখতে বালিশের বিকল্প নেই।
হাঁটুর কাছে পা বাঁকা করে রাখতে হবে এবং শরীরের পাশে দুই হাত সমান ভাবে ফেলে রাখতে হবে। উপুর হয়ে শোয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যে কোন এক পাশ বা চিত হয়ে ঘুমানো প্রায়শই পিঠের ব্যথা উপশমের জন্য সহায়ক। যে কোন এক পাশ ফিরে ঘুমানোর সময় পায়ের মাঝে কোল বালিশ রাখা যেতে পারে। চিত হয়ে ঘুমানোর ক্ষেত্রে হাঁটুর নিচে বালিশ রাখা যেতে পারে।
সঠিক ভাবে বসার ভঙ্গিমা
দুই পা সমান ভাবে পাশাপাশি মেঝেতে রাখতে হবে। পা মেঝে অব্দি না পৌঁছলে সমান ভাবে পাশাপাশি মুক্ত ভাবে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। তবে গোড়ালি সহ পায়ের পাতা হাঁটু থেকে একটু সামনে রাখা উত্তম। কিন্তু কোন ভাবেই পায়ের ওপর পা তুলে, বা ক্রস আকৃতিতে রাখা যাবে না। হাঁটুর পশ্চাৎ ভাগ চেয়ারের সঙ্গে একদম ঠেস দিয়ে রাখা যাবে না। হাঁটুর পিছন এবং আসনের মধ্যে অল্প একটু ফাঁক রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার কার্যকরী উপায়
হাঁটু এবং কোমড়ের মাঝে ৯০ ডিগ্রী কোণ রাখা একটি স্বাস্থ্যকর বসার উপায়।
পিঠের নিচ থেকে শুরু করে মধ্য ভাগ পর্যন্ত চেয়ারের সঙ্গে যুক্ত রাখতে হবে। মাঝে ফাঁক রেখে হেলান দিয়ে থাকা যাবে না। কাঁধকে শিথিল রাখতে হবে এবং দুই হাতের কনুই থেকে হাতের আঙ্গুল পর্যন্ত অংশকে মাটির সমান্তরালে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সঠিক ভাবে বসার অনুকূলে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ আসন বাছাই করা আবশ্যক। তবে দীর্ঘ সময় ধরে একই অবস্থানে বসে থাকা যাবে না।
সঠিক ভাবে দাড়ানোর ভঙ্গিমা
প্রাথমিকভাবে পায়ের আঙ্গুলের অংশের ওপর দেহের ওজন ফেলতে হবে। হাঁটু সামান্য বাঁকিয়ে রাখা ভালো। কাঁধের প্রস্থের সমান দূরত্ব রাখা উচিত দু’পায়ের মাঝে। কাঁধ পিছনে টান দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। দেহের ওজন পায়ের আঙ্গুল থেকে পেছনে হিল পর্যন্ত স্থানান্তর করতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে দাড়িয়ে থাকার ক্ষেত্রে এক পা থেকে অন্য পায়ে ভর স্থানান্তর করা উচিত।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
পরিশিষ্ট
মোবাইল ফোন নিঃসন্দেহে জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার যে কোন নেশাজাত দ্রব্য অতিরিক্ত সেবনের থেকে কম কিছু নয়। তাছাড়া এখানে মানুষ ও যন্ত্রমানবের পার্থক্য সুস্পষ্টভাবে নিরূপণ করা যায়। রোবট দীর্ঘ সময় ধরে একটি কাজ কোন সমস্যা ছাড়াই করে যেতে পারে। কিন্তু মানুষের বিরতি প্রয়োজন হয়, প্রয়োজন হয় হাওয়া বদলের এবং দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও পেশীগুলো সঞ্চালনের।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় সামনের দিকে ঝুঁকে থাকার প্রবণতা ‘টেক্সট নেক সিন্ড্রোম’ বা আরো জটিল ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে। তাই কাজ ও সময় থেকেও অধিক যত্নশীল হওয়া উচিত স্বাস্থ্যের প্রতি। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে তবেই সময়গুলোকে কাজে ভরিয়ে দিয়ে ফলপ্রসূ করে তোলা যাবে।
চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়ার উপায়
স্মার্টফোন চুরি হলে বা হারিয়ে গেলে চরম নিরাশার মধ্যে ডুবে যাওয়াটা খুব অতিরঞ্জিত ব্যাপার নয়। পকেট, ব্যাকপ্যাক, পার্স বা কাউন্টারটপ সহ সম্ভাব্য সব রকম জায়গায় খোঁজার পরও ফোন পাওয়া না গেলে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের উদ্রেক হয়। তবে আশার ব্যাপার হচ্ছে- বেশ কিছু উপায় আছে, যা ফোন হারিয়ে যাবার বিড়ম্বনা থেকে অচিরেই মুক্তি দিতে পারে। এই নিবন্ধে চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়ার সেই উপায়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হবে।
চুরি হওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোন ট্র্যাক করার উপায়
গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গুগল ম্যাপ, জিমেইল এবং গুগল প্লে স্টোর সহ পূর্ব-ইন্সটল করা সব কিছু ব্যবহারকারির গুগল অ্যাকাউন্টে জমা থাকে। তাই ফোন হারালেও কম্পিউটারের ওয়েব ব্রাউজারে গিয়ে গুগল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ট্র্যাক করা যেতে পারে। গুগলে ফাইন্ড মাই অ্যান্ড্রয়েড টাইপ করলে প্রথম অনুসন্ধান ফলাফল ফোনটির সর্বশেষ পরিচিত অবস্থান সহ একটি মানচিত্র দেখাবে।
গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোন ট্র্যাক করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সেটা যেখানেই থাকুক ফোনটি অবশ্যই চালু থাকতে হবে এবং তার লোকেশন মুড অন থাকতে হবে। ট্র্যাক করা লোকেশনে ফোন না পাওয়া গেলে ফোনের তথ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে শেষ অবলম্বন হিসেবে দূর থেকে ফোনের সমস্ত ডাটা মুছে ফেলতে হবে।
এ ক্ষেত্রে একবার ফোনের সব ডাটা মোছা হয়ে গেলে, ডিভাইসটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। উপরন্তু, ফোন থেকে ডাটা মুছলেও এসডি কার্ডের ডাটা থেকে যায়।
পড়ুন: অরিজিনাল ফোন চেনার উপায়: ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
ফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ
প্রতিটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফাইন্ড মাই মোবাইল নামে একটি সেটিং রয়েছে, যা গুগলের ফাইন্ড মাই ডিভাইসের মতোই কাজ করে। হারিয়ে যাওয়া ফোনটি যদি অফ করা না থাকে, সেক্ষেত্রে ফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অ্যাপের মাধ্যমে বা অনলাইনে তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফোনটি ট্র্যাক করা যেতে পারে। এইভাবে ফোনের সর্বশেষ অবস্থান খুঁজে পাওয়া যায়। ফাইন্ড মাই মোবাইলের মাধ্যমে ফোনের ব্যাক আপ নেয়া, বার্তা এবং ফোন কল পুনরুদ্ধার করা এবং এমনকি ব্যাটারির আয়ু পর্যন্ত বাড়ানো যায়।
ওয়্যারলেস ক্যারিয়ার ব্যবহার
বেশিরভাগ ওয়্যারলেস ক্যারিয়ার হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সনাক্ত করতে গুগল এর ফাইন্ড মাই ডিভাই-এ যেতে বলবে। যদি ফোন চুরি হয়ে যায় বা এটি ফেরত পাওয়ার কোনো উপায় না থাকে, তাহলে ওয়্যারলেস ক্যারিয়ারের ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে ফোনটি নিখোঁজ বা চুরি হয়েছে বলে রিপোর্ট করা যেতে পারে। এমনকি এর সাহায্যে দূর থেকেই ডিভাইসটির লক বা তথ্য মুছে ফেলা যায়।
থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার
হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া ডিভাইসগুলোর খোঁজের জন্য গুগল-নির্মিত বেশ কয়েকটি অ্যাপ আছে। এগুলোর মাধ্যমে বাড়ির সদস্যদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে, হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি সহজেই খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। এমনকি ফোনটি বন্ধ থাকলেও জিপিএস লোকেটার ব্যবহার করে এগুলো সহজেই লোকেশন খুঁজে বের করে ফেলতে পারে।
এছাড়া কোনো অনিরাপদ স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিজের অবস্থান পরিবারের সদস্যদের সাথে শেয়ার করা যায়। আর কল ফরওয়ার্ড করা, লক সেট করা, ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা এই অ্যাপগুলোর স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভূক্ত। অ্যাপগুলোর মধ্যে লাইফ-৩৬০, লস্ট অ্যান্ড্রয়েড, হোয়্যার্স মাই ড্রয়েড এবং অ্যান্টি থেফ্ট অ্যাপগুলো বেশ কার্যকর।
পড়ুন: মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেলে করণীয়
আইএমইআই সংখ্যা ব্যবহার
আইএমইআই নম্বর দিয়ে হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোনটি ট্র্যাক করতে আইএমইআই ট্র্যাকার-ফাইন্ড মাই ডিভাইস নামে একটি থার্ড পার্টি আইএমইআই ট্র্যাকিং অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
ফোনের আইএমইআই বা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি নাম্বার হল ১৫-অঙ্কের একটি সংখ্যা যা প্রত্যেকটি ফোনের জন্য অনন্য। এটি স্মার্টফোনের সেটিংস ছাড়াও ডিভাইসের ব্যাটারি সংলগ্ন স্থানে পাওয়া যায়। আইএমইআই নাম্বার দিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেয়া যায়। উপরন্তু, আইএমইআই ট্র্যাকার আইএমইআই নাম্বার ধরে ফোনটি ব্লক করে দেয়, যেন ভবিষ্যতে অন্য কেউ ফোনটি ব্যবহার করতে না পারে।
চুরি হওয়া আইফোন ট্র্যাক করার উপায়
ফাইন্ড মাই আইফোন অ্যাপ ব্যবহার
আইফোন হারানো গেলে কম্পিউটারে ওয়েব ব্রাউজারে গিয়ে আইক্লাউড-এ সাইন ইন করতে হবে। সেখানেই পাওয়া যাবে ফাইন্ড মাই আইফোন লিঙ্ক। এরপর মাই আইফোনের ইন্টারফেসে ড্রপ-ডাউন মেনু থেকে সমস্ত ডিভাইস চেক করে হারিয়ে যাওয়া আইফোনটির মডেল নির্বাচন করতে হবে। অতঃপর অ্যাপটি মানচিত্রে আইফোনটির অবস্থান ট্র্যাক করা শুরু করবে।
আইফোন হারানো গেলে লস্ট মোড সক্রিয় করা জরুরি। এটি যে কোন দূরত্বে থেকে ফোন ট্র্যাকিং বন্ধ করা ছাড়াই ডিভাইস লক করে দিবে। তাছাড়া এর লক স্ক্রিনে ডিভাইসের ফোন নম্বর সহ একটি বার্তা প্রদর্শন করবে। ফলে আশেপাশের লোকজনের কেউ ডিভাইসটি কুড়িয়ে পেলে সাথে সাথে আসল ব্যবহারকারিকে ফোন দিতে পারবে। শেষ উপায় হিসেবে এই অ্যাপ দিয়ে দূর থেকেই আইফোনের ডাটা মুছে ফেলা যায়। এতে করে আইফোনটি আর ট্র্যাক করা যাবে না, তবে ডাটা ভুল হাতে চলে যাওয়া থেকে আটকানো যাবে। দূর থেকে আইফোনের ডাটা মুছে ফেলার আগে আইক্লাউড ব্যাকআপে গুরুত্বপূর্ণ ফটো, ভিডিও, গান এবং অন্যান্য ডাটার অনুলিপি করে রাখা উচিত।
পড়ুন: ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার সঠিক পদ্ধতি
অ্যান্টি-থেফ্ট অ্যাপ ব্যবহার
এই থার্ড পার্টি অ্যাপটি আইফোনসহ আইপ্যাড বা ম্যাকবুক যাই হোক না কেন, যে কোন অনুপস্থিত ডিভাইস খুঁজে পাওয়াটা অত্যন্ত সহজ করে তোলে। এর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে এর একক ইন্টারফেসে সমস্ত ডিভাইস সংযুক্ত করা যেতে পারে। এই অ্যাপ ডিভাইসটি ধরে থাকা ব্যক্তির ছবি তুলতে পারে, ডিভাইসটি কোন এলাকায় প্রবেশ করলে বা ছেড়ে যাওয়ার সময় সতর্ক করতে পারে।
প্রি অ্যান্টি-থেফট চালু রাখার জন্য অ্যাপটি আগে থেকেই আইফোনে ইনস্টল করে রাখতে হবে। ডিভাইস হারানো গেলে বা চুরি হলে যে কোন ওয়েব ব্রাউজারে প্রে-প্রোজেক্ট খুলতে হবে। এরপর ব্যবহারকারির অ্যাকাউন্টের শংসাপত্র ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে হবে। ভেতরে প্রবেশের পর ডিভাইসের তালিকা থেকে ব্যবহারকারি নিজের হারিয়ে যাওয়া ডিভাইসটি সনাক্ত করবেন। ইনবক্সে রিপোর্ট পাওয়ার জন্য অনুপস্থিত নামের বিকল্পটিতে টগল করতে হবে। এখান থেকে অ্যালার্ম ট্রিগার করা, দূর থেকে ডিভাইস লক করা এবং ডাটা মুছে ফেলার মত সুবিধাগুলো পাওয়া যায়।
গুগল টাইমলাইন ব্যবহার
আইফোনের লোকেশন মুড অন থাকলে গুগলের টাইমলাইন ডিভাইসের সমস্ত অবস্থান রেকর্ড করবে। ফলে আইফোনটি হারিয়ে গেলে, মানচিত্রে অবস্থানের তথ্য অ্যাক্সেস করে শেষ অবস্থানটি জানা যাবে। এর জন্য অবশ্যই একটি নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট কানেকশন চালু থাকতে হবে।
পড়ুন: আপনার স্মার্টফোন দিয়ে আয় করার সেরা কিছু উপায়!
এই প্রক্রিয়াটির জন্য প্রথমে যেতে হবে গুগলের টাইমলাইনে। গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করতে হবে। অতঃপর হারিয়ে যাওয়ার দিন-তারিখ নির্বাচন করে দিলে স্ক্রোল করে আইফোনের সর্বশেষ রিপোর্ট করা অবস্থান দেখা যাবে। অবস্থানের সাথে সাথে ফোনটি গুগলের সাথে শেষবার সংযুক্ত হওয়ার সময়টি নোট করতে হবে। এভাবে দূরত্ব ও সময় তথ্য থেকে সূত্র গ্রহণ করে হারিয়ে যাওয়া আইফোনটির খোঁজ পাওয়া যেতে পারে। লোকেশনে গিয়ে ডিভাইসটি সংগ্রহের সময় প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
অয়্যারলেস ক্যারিয়ারে রিপোর্ট করা
হোক সেটা আইফোন বা সেলুলার সহ একটি আইপ্যাড, হারিয়ে যাওয়া ডিভাইস সম্পর্কে ওয়্যারলেস ক্যারিয়ারে রিপোর্ট করা উচিত। কল, টেক্সট এবং ডাটা ব্যবহার রোধ করতে ক্যারিয়ারকে অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করতে বলতে হবে।
আইহাউন্ড ব্যবহার
হারানো আইফোনটি অন্য কোন কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত হলে এই বিনামূল্যের নিরাপত্তা প্রোগ্রামটি আসল ব্যবহারকারিকে সতর্ক করে। পাশাপাশি ডিভাইসটি কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে তার অবস্থানও ট্র্যাক করে। আইফোনটি কোন কম্পিউটারে প্লাগ ইন করার সাথে সাথেই এর আসল ব্যবহারকারি একটি ইমেল নোটিফিকেশন পাবেন।
অতঃপর আইহাউন্ড-এর ওয়েবসাইটে লগ ইন করে এটি কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে তার একটি বিশদ প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। প্রায় সময়ই চোর আইফোন সুইচ অফ করে মেমরি কার্ড ফরম্যাট দিতে একটি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করে। এ ক্ষেত্রে আইহাউন্ড ফোন ট্র্যাক করতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরি ভূমিকা রাখে।
পড়ুন: পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
শেষাংশ
চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়ার উপায়গুলো শুধু তাৎক্ষণিক ট্র্যাকিং-এই সাহায্য করে না, বরং ফোনটি ব্যবহারে পূর্ব-সতর্কতার প্রতিও গুরুত্বারোপ করে। যে কোন ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হাঁটা বা ভ্রমণের সময় সর্বদা নিশ্চিত করতে হবে যে, ফোনটি ব্যাগে নিরাপদে সুরক্ষিত আছে। ফোনের লক স্ক্রিন পরিবর্তন করে তার স্ক্রিনশট নিয়ে বন্ধুর ফোনে শেয়ার করে রাখতে হবে। পরামর্শ দিই। এতে হারানো ফোনটি অনুসন্ধানের সময় সুবিধা হবে। চুরি যাওয়া ফোনটির অবস্থান ট্র্যাক করা গেলে নিজে থেকে একাকী এটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা উচিত নয়। এতে মারাত্মক প্রাণঘাতী হুমকি থাকতে পারে। এধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতির ক্ষেত্রে পুলিশী সহায়তা নেয়া উত্তম।
সারাদেশে পাওয়া যাচ্ছে রিয়েলমি নারজো ৫০ ও সি৩১
সম্প্রতি উন্মোচিত হওয়া তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি’র সর্বাধুনিক স্মার্টফোন রিয়েলমি নারজো ৫০ ও সি৩১ এখন দেশব্যাপী পাওয়া যাচ্ছে। নতুন এ ফোনগুলো রিয়েলমি ব্যবহারকারীদের আরও উন্নত ও ফ্যাশনেবল জীবনধারায় অনুপ্রাণিত করবে।
দেশের যে কোন মোবাইলের দোকান থেকে ব্যবহারকারীরা এ ডিভাইস দু’টি ক্রয় করতে পারবেন। এবারের ঈদে এ মূল্যের মধ্যে উন্নত প্রসেসর ও ডিসপ্লের ফোন নারজো ৫০ (৪জিবি/৬৪জিবি) মাত্র ১৬ হাজার ৪৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি, নান্দনিক ডিজাইনের রিয়েলমি সি৩১ ডিভাইসটি কেনা যাবে মাত্র ১২ হাজার ৯৯০ টাকায়।
ক্রেতাদের স্মার্টফোন ব্যবহারের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা প্রদানে সবসময় সচেষ্ট রয়েছে রিয়েলমি। দু’টি স্মার্টফোনই https://click.daraz.com.bd/e/_6j5tR দারাজের ফ্ল্যাশ সেল চলাকালীন সময়ে পাওয়া যাবে।
গেমপ্রেমীদের জন্য রিয়েলমি’র নারজো সিরিজের সর্বাধুনিক ফোন হলো নারজো ৫০। এ মূল্যের মধ্যে এ ডিভাইসটিই একমাত্র ফোন যেখানে একসঙ্গে হেলিও জি৯৬ প্রসেসর ও ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট রয়েছে। টানা ফোন ব্যবহার ও গেম খেলার জন্য ডিভাইসটিতে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। যদি ডিভাইসের চার্জ ফুরিয়ে যায় তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ, ডিভাইসটির ৩৩ ওয়াট ডার্ট চার্জের সাহায্যে মাত্র ৭০ মিনিটের মধ্যে ডিভাইসটি ফুল চার্জ হবে।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে গেমিং স্মার্টফোন রিয়েলমি নারজো ৫০, দাম মাত্র ১৬,৪৯৯ টাকা
এছাড়াও, রিয়েলমি নারজো ৫০ ডিভাইসে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরা, যা দিয়ে ব্যবহারকারীরা সুন্দর ও নিখুঁত ছবি তুলতে পারবেন।
অন্যদিকে, রিয়েলমি সি৩১ ডিভাইসটি এন্ট্রি-লেভেল স্মার্টফোনের ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে চমৎকার ডিজাইন ও স্টাইলিশ ফোন। এ ফোনটিতে ৮.৪ মিমি. এর মতো পাতলা ও এতে ডায়নামিক টেক্সার ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে। ৬.৫ ইঞ্চি এইচডি+ডিসপ্লে’র এ ফোনটিতে তরুণদের ফোন ব্যবহারের অনন্য অভিজ্ঞতা দিতে টাইগার সিরিজের ইউনিসক টি৬১২ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ইউনিসক টি৬১২ হলো একটি ১২এনএম প্রসেসর, যা ১.৮২ গিগাহার্জ পর্যন্ত বাড়ানো যায় এবং এতে রয়েছে করটেক্স এ৭৫ স্ট্রাকচার, যা একটি শক্তিশালী ও নিরবিচ্ছিন্ন পারফরমেন্স প্রদান করবে। রিয়েলমি সি৩১ ডিভাইসটিতে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, রিয়েলমি আগামী ৩ বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ফাইভজি ফোন সরবরাহের লক্ষ্যে ফাইভজি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফলিও তৈরিতে কাজ করছে। এই স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সাথে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ফাইভজি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি তরুণ প্রজন্মের ক্রেতাদের জন্য আরও অনেক এআইওটি পণ্য বাজারে নিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্মার্টফোন মার্কেটের শীর্ষে রিয়েলমি
দেশের বাজারে সনি আইএমএক্স৭০৯ সেলফি সেন্সর যুক্ত অপো’র এফ২১ প্রো উন্মোচন
উদ্ভাবন ও নান্দনিকতার মিশেলে মানুষের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার প্রত্যয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টডিভাইস ব্র্যান্ড অপো এর এফ সিরিজের নতুন ডিভাইস অপো এফ২১ প্রো উন্মোচন করেছে। রবিবার রাজধানীর লে মেরিডিয়ান হোটেল ঢাকায় এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ ডিভাইসটি অবমুক্ত করা হয়।
অপো’র নতুন এ ফোনটি এ সেগমেন্টের প্রথম মাইক্রোলেন্স ক্যামেরা, যেখানে সনি আইএমএক্স৭০৯ ফ্ল্যাগশিপ সেলফি সেন্সর রয়েছে।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর এর সিইও ড্যামন ইয়াং, অপো’র মূল অপারেটর পার্টনার গ্রামীণফোনের প্রতিনিধিরা ও অন্যান্য রিটেইল অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।
রোমাঞ্চকর মুহূর্তগুলোকে যারা ক্যামেরাবন্দি করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য ধারাবাহিকভাবে নতুন ও উদ্ভাবনী ক্যামেরা প্রযুক্তি নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করছে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার বিকাশে কাজ করে যাওয়া বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্ট ডিভাইস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অপো। অপো এফ২১ প্রো ডিভাইসটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে অদেখা সৌন্দর্যকে দেখা যাবে। রিয়ার ক্যামেরা মাইক্রোস্কোপিক লেভেল, টেক্সার, শেপ এবং সাইজের সমন্বয় ফোনটিকে বেশ ব্যতিক্রমী করে তুলেছে।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে নতুন ‘অপো এ৭৬’ উন্মোচন
দেশের বাজারে গেমিং স্মার্টফোন রিয়েলমি নারজো ৫০, দাম মাত্র ১৬,৪৯৯ টাকা
ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে উন্নত স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা প্রদানে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি। এবার রিয়েলমি বাজার নিয়ে এসেছে নতুন চমক - নারজো ৫০।
গ্রাহকদের দুর্দান্ত গেমিং অভিজ্ঞতা প্রদানে স্মার্টফোনটিতে রয়েছে এই সেগমেন্টের সবচেয়ে সেরা প্রসেসর। পাশাপাশি সেরা স্পেসিফিকেশন, ডিজাইনের সাথে নারজো ৫০ এ রয়েছে স্মুথ ইউআই। যা তরুণ গ্রাহকদের গেমিংয়ে সেরা অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। ৩ এপ্রিল রিয়েলমি বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে এক অনলাইন লঞ্চিং ইভেন্টের মাধ্যমে রিয়েলমি নারজো ৫০ আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়। ফোনটি মাত্র ১৬,৪৯৯ টাকায় ৪ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি রম ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে। বিস্তারিত জানতে ক্লিকঃ https://www.realme.com/bd/realme-narzo-50
যারা গেম খেলতে ভালোবাসেন তাদের জন্য নারজো ৫০ রিয়েলমি’র নারজো সিরিজের সর্বশেষ ফোন। এই দামে এটি বাজারের একমাত্র ফোন যাতে রয়েছে হেলিও জি৯৬ প্রসেসর ও ১২০ হার্টজ ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে। বর্তমান তরুণেরা সাধারণত এমন একটি ডিভাইস চান যা তাদের জীবনধারার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আর গেমিং তরুণ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তরুণদের প্রত্যাশা পূরণে নারজো ৫০-তে রয়েছে হেলিও জি৯৬ প্রসেসর, যা এই বাজেটের সেরা গেমিং প্রসেসর। আগের ফোনগুলো থেকে এই শক্তিশালী প্রসেসরটি ৪২ শতাংশ উন্নত পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে। ঝামেলাহীন এবং সবচেয়ে অসাধারণ গেমিং অভিজ্ঞতা প্রদানে নারজো ৫০-তে রয়েছে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটযুক্ত সুবিশাল ৬.৬ ইঞ্চির এফএইচডি+ স্ক্রিন। এই বাজেটের ফোনে এটি সর্বোচ্চ রিফ্রেশ রেট।
আরও পড়ুন: ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্মার্টফোন মার্কেটের শীর্ষে রিয়েলমি
ফোনটিতে ৫,০০০ এমএএইচ বিশাল ব্যাটারিও রয়েছে, যা ঘণ্টাব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন ব্যবহার এবং গেমিং নিশ্চিত করবে। ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেলে এর ৩৩ ওয়াটের ডার্ট চার্জারের সাহায্যে ব্যবহারকারীরা মাত্র ৭০ মিনিটে ফোনটিকে ০ থেকে ১০০% পর্যন্ত চার্জ করতে পারবেন। ফোনটির ব্যাটারি ব্যাকআপ সত্যিই অসাধারণ।
ব্যবহারকারীরা যাতে নিখুঁত ছবি তুলতে পারেন সেজন্য রিয়েলমি নারজো ৫০ তে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের এআই ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। ঝকঝকে ও উজ্জ্বল ছবির জন্য ৫০ মেগাপিক্সেলের (এফ/১.৮) মেইন ক্যামেরায় বিশাল অ্যাপারচার এবং দূর থেকে পরিষ্কার ছবি তুলতে ৪এক্স ম্যাক্স ডিজিটাল জুম রয়েছে।
কেভলার স্পিড টেক্সচার ডিজাইনের নারজো ৫০ দেখতে খুবই চমৎকার। এই ডিজাইনের টেক্সচার রেসিং কারের টেক্সচারের মতো, যা শক্তিশালী পারফরম্যান্সের অনুভূতি দেয়। ফোনটির ডিজাইন তরুণদের জন্য দারুণ ও ট্রেন্ডি।
ডায়নামিক র্যাম এক্সপানশান প্রযুক্তি যুক্ত নারজো ৫০ ফোনটি ৪/৬৪ জিবি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে। স্পিড ব্লু এবং স্পিড ব্ল্যাক এই দারুণ দুটি রঙে মাত্র ১৬,৪৯৯ টাকায় গ্রাহকেরা রিয়েলমি নারজো ৫০ কিনতে পারবেন। এই ফোনটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে- https://www.realme.com/bd/realme-narzo-50
এক ফোনে অসংখ্য আকর্ষণীয় ফিচারযুক্ত রিয়েলমি নারজো ৫০ এই মুহূর্তে বাজারের সবচেয়ে স্টাইলিশ গেমিং স্মার্টফোন।
আরও পড়ুন: মিডিয়া সেশনে জিটি ২ প্রো এবং ১৫০ ওয়াট দ্রুত চার্জিংয়ের জিটি নিও ৩ প্রদর্শন করলো রিয়েলমি
বিশ্বের দ্রুততম চার্জিং প্রযুক্তি উন্মোচন করবে রিয়েলমি
২০২১ সালে বাংলাদেশের স্মার্টফোন মার্কেটের শীর্ষে রিয়েলমি
প্রযুক্তি, মিডিয়া ও টেলিকম খাতের ওপর গবেষণা পরিচালনাকারী বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্টের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের সামগ্রিক হ্যান্ডসেট বাজারে ১৭ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে স্মার্টফোনের বাজারে শীর্ষস্থানে থাকা স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের খেতাব অর্জন করেছে রিয়েলমি। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ৮২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে দেশের সেরা পাঁচটি ব্র্যান্ডের মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে রিয়েলমি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে,২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজার ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, টেলিকম অপারেটর টেলিটক ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশে ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করেছে। প্রাথমিকভাবে, ২০২২ সালে ছয়টি প্রধান স্থানে ৫জি নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে, পরবর্তীতে সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে। আগামী বছরগুলোতে ৫জি স্মার্টফোনগুলো বাংলাদেশের বাজারে উল্লেখযোগ্য মার্কেট শেয়ার দখল করবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দ্রুততম চার্জিং প্রযুক্তি উন্মোচন করবে রিয়েলমি
শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল টেকনোলজি মার্কেট অ্যানালিস্ট ফার্ম ক্যানালিসের প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট অনুসারে, ২০২১ সালের ৪র্থ প্রান্তিকে শিপমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বাজারে স্মার্টফোন নির্মাতা হিসেবে শীর্ষস্থান দখল করেছে রিয়েলমি। দেশের বাজারে ৪র্থ প্রান্তিকে ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ ইউনিট স্মার্টফোন শেয়ার অর্জন করার মাধ্যমে ১ নম্বর অবস্থানে উঠে এসেছে রিয়েলমি।
আগামী তিন বছরে তরুণ ব্যবহারকারীদের জন্য ১০ কোটি ৫জি ফোন অফার করার লক্ষ্যে ৫জি পণ্যগুলোর একটি বৈচিত্র্যময় পোর্টফোলিও তৈরি করছে জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ডটি। সাশ্রয়ী মূল্যের ৫জি ফোনের পাশাপাশি, রিয়েলমি তরুণ গ্রাহকদের কাছে আরও এআইওটি পণ্য নিয়ে আসবে; কারণ রিয়েলমি উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশল নিয়ে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: রিয়েলমি ৯ আই: ৩৩ ওয়াট ডার্ট চার্জিং এবং স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসরের সেরা পারফর্মার
আসছে ’অল অল-ইন-ফাইভজি’ রিয়েলমি ৯ প্রো
বাজারে উন্মোচিত ‘স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা’
স্মার্টফোন নির্মাতারা ডিভাইসে উদ্ভাবনী ফিচার যুক্ত করতে সাহায্য নিচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির। এরই অংশ হিসেবে স্যামসাং নিয়ে এসেছে গ্যালাক্সি এস২২ সিরিজের সর্বশেষ সংস্করণ স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা।
প্রতিষ্ঠানটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বাজারে উন্মোচিত নতুন এই ফোনটির মাধ্যমে প্রচলিত ধারার স্মার্টফোনের সকল বাঁধ ভেঙেছে স্যামসাং। উন্নতমানের ক্যামেরা, প্রাণবন্ত ছবি ও ভিডিও, দুর্দান্ত গতির ৪ ন্যানোমিটার প্রসেসর ও এস-পেন গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। যারা গতানুগতিক জীবনধারার বাইরে ভিন্ন কিছু চান, তাদের জন্য দেশের কারখানাতেই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই নতুন ডিভাইসটি তৈরি করা হয়েছে।
গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা স্লিম গড়নের আকর্ষণীয় ফ্রেমযুক্ত ডিভাইসটির নিখুঁত ডিজাইন চাইলেও উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ও গ্যালাক্সি এস২২ সিরিজের বিভিন্ন ফিচারের সমন্বয়ে তৈরি গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রাতে ৬.৮ ইঞ্চির কিউএইচডি প্লাস ডায়নামিক অ্যামোলেড ২ এক্স ডিসপ্লে রয়েছে। সুবিশাল ডিসপ্লে থাকায় স্ক্রিনে একসঙ্গে আরও বেশি কনটেন্ট দেখা যায় এবং স্বাচ্ছন্দ্যে এসব কনটেন্ট উপভোগ করা যায়।
শক্তিশালী গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রাতে রয়েছে দ্রুতগতির স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১ (৪ ন্যানোমিটার) প্রসেসর, যা ফোন ব্যবহারের প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই বিশ্বমানের সুবিধা দেয়। ৪ ন্যানোমিটারের চিপসেট এখন পর্যন্ত গ্যালাক্সি সিরিজের সবচেয়ে দ্রুতগতির চিপ এবং স্মার্টফোনের প্রযুক্তিতে এটি অন্যতম বিশাল অগ্রগতি। এর ফলে, ব্যবহারকারীরা রাতে অসাধারণ ছবি তুলতে পারবেন, দিন-রাত যেকোনো সময় ঝকঝকে ছবি তোলা সম্ভব হবে এবং এটি মোবাইল ও গেমিংয়ে ঝামেলাহীন অভিজ্ঞতা দিবে।
আরও পড়ুন: বছর শেষে অফার নিয়ে এসেছে স্যামসাং বাংলাদেশ
গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রাতে চমৎকার ক্যামেরা সেট-আপ রয়েছে, যাতে আছে ১২ মেগাপিক্সেলের একটি আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা, ১০৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড ক্যামেরা, ১০ মেগাপিক্সেলের দুটি টেলিফটো ক্যামেরা ও ৪০ মেগাপিক্সেলের একটি ফ্রন্ট ক্যামেরা। উজ্জ্বল লেন্স রিংয়ের মাঝে ডিভাইসটির লিনিয়ার ক্যামেরা, ফোনের পেছনে ক্যামেরা আইল্যান্ডে ভাসছে বলে মনে হয়।
প্রো-গ্রেড ক্যামেরার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারে নতুনত্ব আনার মাধ্যমে স্যামসাংয়ের অন্যতম চমকপ্রদ উদ্ভাবন ‘নাইটগ্রাফি’ চালু করেছে। অটো ফ্রেমরেট আলোর পরিমাণ বুঝে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে ভালো এফপিএস প্রদান করে। ৪ ন্যানোমিটার প্রসেসরের সঙ্গে সুপার নাইট সল্যুশন প্রত্যেক ফ্রেমের নয়েজ দূর করে এবং এর ফলে আপনি নিখুঁতভাবে সূর্যদয় থেকে সূর্যাস্ত ফোনে ধারণ করতে পারবেন। পরিস্থিতি আর চারপাশের আলোর অবস্থা যেমনই হোক না কেনো, লেন্সগুলোর সাহায্যে ঝকঝকে ও প্রাণবন্ত ছবি তুলতে যাবে।
প্রথমবারের মতো, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস স্মার্টফোনে বিল্ট-ইন এস পেন নিয়ে এসেছে। ফোনের নিচ থেকে বের করে এর সাহায্যে খুব সহজেই ফোনে লেখা, স্কেচ করা বা যেকোনো ফিচার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। স্যামসাং নোটের উন্নত ল্যাটেন্সির জন্য প্রতিটি স্ট্রোক কাগজে লেখা কালির মতোই মনে হবে এবং এতে টুকে রাখা আপনার আইডিয়াকে সহজেই পাঠযোগ্য লেখায় রূপান্তর করতে পারবেন। এছাড়া, এতে রয়েছে শক্তিশালী ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, যার ফলে ব্যবহারকারীরা নির্বিঘ্নে দীর্ঘক্ষণ গেম খেলতে পারবেন, যা পরবর্তীতে তাদের ফোনে অন্য কাজ করার ক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা হবে না। দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি থাকায়, উন্নত এআইয়ের মাধ্যমে যেভাবে ফোনটি প্রতিদিন ব্যবহার করা হয় তার ওপর ভিত্তি করে ডিভাইসটি নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়। ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জারের সঙ্গে স্মার্টফোনটি সারাদিন চালানো যায়। এছাড়াও, গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রাতে আইপি৬৮ গ্রেড প্রটেকশন ও আল্ট্রাসনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর রয়েছে। এটি ১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি রম’র একটিমাত্র স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যায়।
সাসটেইনিবিলিটি অর্জনে নিজেদের নানা পদক্ষেপ প্রকাশ করলো অপো
চলতি বছরের বার্সেলোনা মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসকে(এমডব্লিউসি) সামনে রেখে ২০২১ অপো সাসটেইনিবিলিটি রিপোর্ট উন্মোচন করেছে অপো। ব্র্যান্ড মিশন ‘টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড, কাইন্ডনেস ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ এর দিকে যাত্রা অভিমুখে নিজেদের প্রোডাক্ট সাইকেলের সকল ক্ষেত্রে সাসটেইনিবিলিটি ও পরিবেশ-বান্ধব ধারণা সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানটির অর্জনের বিষয়গুলো এ উঠে এসেছে রিপোর্টে।
রিপোর্টে বলা হয়, অপো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘৩আর+১ডি’ প্যাকেজিং নীতি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি, ব্র্যান্ডটি প্যাকেজিংয়ের ওজন কমাতে, রিসাইকেল করা উপকরণের পুনঃব্যবহারে এবং রিসাইকেলযোগ্য ও বায়োডিগ্রেডেবল উপকরণ প্যাকেজিং -এর ক্ষেত্রে ব্যবহারে কাজ করবে। ইউরোপের বাজার থেকে শুরু করে, অপো সফলভাবে স্মার্টফোন পণ্যে ব্যবহৃত প্যাকেজিংয়ের পরিমাণ ২০১৯ সাল থেকে ২৪ শতাংশ কমিয়েছে। প্লাস্টিক উপকরণগুলো এখন পরিবর্তনযোগ্য নয়, তাই অপো বায়োডিগ্রেডেবল পলিল্যাকটিক অ্যাসিড ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করেছে। পাশাপাশি, প্রায় ৪৫ শতাংশ প্যাকেজিং রিসাইকেলযোগ্য ফাইবার দিয়ে ইউরোপের বাজারের জন্য স্মার্টফোন প্যাকেজিং করা হয়েছে।
পণ্যের স্থায়িত্ব বাড়াতে, ব্যাটারির লাইফস্প্যান বৃদ্ধিতে অপো সেলফ-ডেভেলপড ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন চালু করেছে অপো। এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ফলে ১৬শ’ বার পর্যন্ত চার্জিং-ডিসচার্জ হওয়ার পরেও ব্যাটারির সক্ষমতা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বজায় রাখতে সক্ষম হবে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
অপো ইতোমধ্যেই একটি পণ্য রিসাইক্লিং ব্যবস্থা তৈরি করেছে। এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের রিসাইক্লিং ও এর পুনঃব্যবহার ধারণা ছড়িয়ে দিতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ট্রেড-ইন সুবিধা দিচ্ছে। চীনে, এখন পর্যন্ত ১২ লাখেরও বেশি ফোন এই উদ্যোগের মাধ্যমে রিসাইকেল করা হয়েছে, যা ইলেকট্রনিক বর্জ্যের হিসেবে ২১৬ টনেরও বেশি। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ অন্যান্য অঞ্চলে অর্থ সহায়তার মাধ্যমে স্থানীয় রিসাইক্লিং সিস্টেম চালু করেছে এবং প্যাকেজিং বর্জ্য এর জন্য গ্রিন ডট রিসাইক্লিং প্রোগ্রামে অংশ নেয়।
নিজেদের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ছাড়াও অপো সাসটেইনিবিলিটি নিয়ে প্রচারে অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।ইকো রেটিং লেবেলিং স্কিমে যোগদান করে অসামান্য ভূমিকা রাখা প্রথম প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম অপো। পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের পরিবেশগত পারফরমেন্স মূল্যায়ন করার লক্ষ্যে শীর্ষস্থানীয় ইউরোপীয় মোবাইল অপারেটররা এই স্কিম চালু করে। ক্ষেত্রগুলো হলো: স্থায়িত্য, সুষ্ঠুভাবে সম্পদের ব্যবহার, মেরামতযোগ্যতা, পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা ও জলবায়ু দক্ষতা।
চলতি মাসের শেষের দিকে, বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি) ২০২২ -এ ‘শেইপ দ্য ফিউচার’ থিমের অধীনে প্রদর্শনী করবে অপো। এমডব্লিউসি ২০২০ চলাকালীন, অপো এর উদ্ভাবনী মোবাইল প্রযুক্তি, এআর ও ফাইভজিতে নিজেদের সাম্প্রতিক অর্জন এবং সাসটেইনেবিলিটির ক্ষেত্রে সফলতার গল্প উপস্থাপন করবে।
অপো’র ২০২১ সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট পাওয়া যাবে এ লিঙ্কে: https://www.oppo.com/content/dam/oppo/common/mkt/footer/2021-OPPO-Sustainability-Report-EN.pdf
বিশ্বের দ্রুততম চার্জিং প্রযুক্তি উন্মোচন করবে রিয়েলমি
বার্সেলোনায় হতে যাওয়া এমডব্লিউসি ২০২২ -এ বিশ্বের দ্রুততম স্মার্টফোন চার্জিং উন্মোচন করার ঘোষণা দিয়েছে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি।
মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যবহারকারীদের দ্রুততম এবং সবচেয়ে কার্যকর চার্জিং অভিজ্ঞতা দেয়ার লক্ষ্যে রিয়েলমি বরাবরই বিনিয়োগ করে আসছে।
এই ক্ষেত্রে ১২৫ ওয়াট ক্ষমতা বিশিষ্ট চার্জিং টেকনোলজি লঞ্চ করার মাধ্যমে নিজেদের শীর্ষস্থানীয় অবস্থান ধরে রেখেছে রিয়েলমি। পরবর্তী পদক্ষেপে বিশ্বের দ্রুততম স্মার্টফোন চার্জিং চালু করতে যাচ্ছে ২০২২ সালের এমডব্লিউসি অনুষ্ঠানে।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর নিয়ে বাজারে এলো রিয়েলমি ৯ আই
একই শ্রেণির অনুরূপ ডিভাইসের সঙ্গে তুলনা করলে রিয়েলমির দ্রুত চার্জিং প্রযুক্তি সবার চেয়ে এগিয়ে। গো প্রিমিয়াম কৌশলের অধীনে, রিয়েলমি উদ্ভাবনের জন্য আর অ্যান্ড ডি সেক্টরে ৭০ শতাংশ বিনিয়োগ করবে এবং চার্জিং প্রযুক্তি হলো অন্যতম প্রধান অংশ।
রিয়েলমি বিশ্বাস করে নতুন এই চার্জিং প্রযুক্তিটি অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের স্মার্টফোনকে সম্পূর্ণরূপে চার্জ করতে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। এছাড়াও এবারের এমডব্লিউসি-তে একই সময়ে ইউরোপীয় প্রথম স্ন্যাপড্রাগন-৮ জেন ১-যুক্ত স্মার্টফোন রিয়েলমি জিটি ২ প্রো উন্মোচন করার ঘোষণা দিয়েছে রিয়েলমি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে স্মার্টফোনের আওতায় আনার পরিকল্পনা ইউজিসির
ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতির আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থীকে স্মার্টফোন ডিভাইসের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
একই সময়ে বাংলাদেশ রিসার্চ এন্ড এডুকেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি শতভাগ নিশ্চিত করা এবং ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক স্থাপন করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
এছাড়া, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ডেটা সেন্টারের সুযোগ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে চাহিদার ভিত্তিতে শতভাগ শিক্ষার্থীকে ল্যাপটপ বা ডিজিটাল ডিভাইসের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর নতুন ভিসি রুবানা হক
সোমবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উচ্চশিক্ষায় ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতি সংক্রান্ত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ক উপ-কমিটির এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এসব পরিকল্পনার কথা বলেন।
উল্লেখ্য, অনসাইট, অনলাইন ও টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমের শিক্ষা পদ্ধতিকে একত্রিত করে ইউজিসি সম্প্রতি ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা তৈরি করে। ইউজিসি এই নীতিমালা বাস্তবায়নের একটি রূপরেখাও প্রণয়ন করেছে।
সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার ও ডিজিটাল ডিভাইড দূরীকরণে ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতিতে স্মার্টফোন, ডিভাইস ও ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতির আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক উচ্চশিক্ষা ও সবার শিক্ষায় সমানাধিকার বা ন্যায়পরায়নতার ভিত্তিতে সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন: শতভাগ শিক্ষার্থী বান্ধব শাবিপ্রবি করার চেষ্টা করবো: উপাচার্য
সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতির রূপরেখা তুলে ধরেন। রূপরেখায় ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য ওপেন এডুকেশনাল রিসোর্স, ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম, ডিজিটাল স্টুডিও সেবা ও স্মার্ট ক্লাসরুমের সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছ।
প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ আরও বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় পরিচালিত গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ধরতে অ্যান্টি প্লেজিয়ারিজম সফটওয়্যারের ব্যবহার শতভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা রূপরেখায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ।