আগুন
বস্তিতে আগুন: ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় মোল্লাবাড়ি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এর মধ্যে যারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, তাদের ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি`র মার্কেটের অবৈধ দোকানদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএনসিসি মেয়র
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তেজগাঁও মোল্লাবাড়ি বস্তি পরিদর্শনে এসে এই ঘোষণা দেন মেয়র।
এ সময় ডিএনসিসি মেয়র ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সহযোগিতায় পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র বলেন, এটি একটি বেসরকারি মালিকানাধীন বস্তি। এখানে নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাস। সরেজমিনে এসে দেখলাম প্রায় সব ঘর অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে। এই তীব্র শীতে যেন তাদের কষ্ট না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত কম্বল সরবরাহ করা হবে। ইতোমধ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে শুকনা খাবার ও কম্বলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দৃষ্টিনন্দন স্ট্রিট আর্টে পোস্টার লাগালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিএনসিসি মেয়রের
মেয়র আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। আমি নিশ্চিত করছি হতাহতরা সুচিকিৎসা পাবেন এবং ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার আওতায় আসবেন।
এ সময় মেয়র স্থানীয় কাউন্সিলর এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বস্তিতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
তিনি বলেন, সাততলা বস্তি এলাকায় আমরা ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করেছি। বস্তিবাসীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সব বস্তি, মার্কেট ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে যেন অগ্নিকাণ্ড হলে প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে। কারণ ফায়ার সার্ভিস আসতেও বেশ কিছু সময় লাগে। প্রশিক্ষণ জানা থাকলে ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আগুনে গরুসহ বসতঘর পুড়ে ছাই
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আগুনে গরুসহ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুরে এই আগুন লাগে। বিদ্যুতের তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
আরও পড়ুন: বরিশালে অগ্নিকাণ্ডে ৪ বসতঘর পুড়ে ছাই
প্রত্যক্ষদর্শীর জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুরে বিল্লাল হোসেনের ঘর ও পরে শামিম মিয়ার ঘরে আগুন লাগে। এসময় কয়েকটি গরুও আগুনে পুড়ে মারা যায়। এছাড়া প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বিল্লাল হোসেনের ছেলে বশির মিয়া জানান, ঘরের উপর কারেন্টের তার ছিঁড়ে পড়ে আগুন লেগেছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটি স্টেডিয়াম এলাকায় অগ্নিকাণ্ড: ১২টি দোকান পুড়ে ছাই
বিজয়নগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন নিয়াজী জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর জাহান জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুন, ৪০টি ঘর পুড়ে ছাই
ভৈরব পাদুকা মার্কেটে আগুন, জুতার কাঁচামাল পুড়ে ছাই
আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে নারীর মৃত্যু
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অতিরিক্ত ঠান্ডায় আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে জবা রানী (৭৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কর্ণিপাড়া মহল্লায় এ ঘটনায় ঘটে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ বৃদ্ধার মৃত্যু
জবা রানী ওই মহল্লার মৃত বিপিন চন্দ্র সরকারের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, অতিরিক্ত শীতের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির আঙিনায় খড়ের আগুনের তাপ নিচ্ছিলেন জবা রানী। এসময় খড়ের আগুন কাপড়ে লেগে ওই তার শরীর দগ্ধ হয়।
আরও পড়ুন: শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ ২ জনের রমেকে মৃত্যু
খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই নারীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। পরে শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান।
সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. ছামিউল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ বৃদ্ধার মৃত্যু
কারওয়ান বাজারে বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ২
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মোল্লাবাড়ি বস্তিতে শুক্রবার দিবাগত রাতের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২ জনের দগ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের (মিডিয়া সেল) গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, রাত ২টা ২৩ মিনিটের দিকে বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বস্তি থেকে দুটি দগ্ধ লাশ উদ্ধার করেন। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে ৮টি শেড
ফেনীতে আগুনে দগ্ধ সেই পরিবারের ৩ জনের কেউই বেঁচে নেই
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে ৮টি শেড
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুড়েছে ৮ টি শেড। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ক্যাম্প-৫ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে, হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৬ জানুয়ারি ক্যাম্প-৫ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিন্তু সপ্তাহ না যেতেই একই স্থানের পাশে আবারও আগুন লাগে। খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই ৮টি শেড আগুনে পুড়ে যায়।’
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।
এ ঘটনায় কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ফেনীতে আগুনে দগ্ধ সেই পরিবারের ৩ জনের কেউই বেঁচে নেই
ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ইতালি ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় আগুনে দগ্ধ আশীষের পরিবারের তিনজনের কেউ আর কেউ বেঁচে রইল না।
আগুন লাগার ঘটনার ১৩ দিনের মধ্যে একে একে মারা গেলেন আশীষ চন্দ্র সরকার, তার একমাত্র সন্তান রিক সরকার ও স্ত্রী টুম্পা রানী সরকার (৩০)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
তারা তিনজনই রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ইতালি ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় দগ্ধ হন আশীষ, টুম্পা ও রিক। গ্যাসের চুলায় তিতাসের সংযোগ লাইন থেকে আগুন লাগার ঘটনার কথা স্বজনদের বলেছিলেন আশীষ ও টুম্পা।
গত ৩১ ডিসেম্বর হাসপাতালের হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) মারা যান আশীষ চন্দ্র সরকার, ৫ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছেলে রিক সরকার ও সর্বশেষ গত সোমবার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যু হয় আশীষের স্ত্রী টুম্পা রানী সরকারের।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়িতে বাসে আগুন, দগ্ধ ৭
আশীষের ছোট ভাই পরিতোষ চন্দ্র সরকার জানান, দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তারা।
তিনি আরও বলেন, আশীষের ৮২ শতাংশ, টুম্পার ৬০ শতাংশের বেশি এবং রিকের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়। শুরু থেকেই রিককে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আর আশীষ ও টুম্পাকে এইচডিইউ ভর্তি করা হয়। তিনজনের অবস্থাই সংকটাপন্ন ছিল।
সোমবার টুম্পার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার সময় তাকে এইচডিইউ থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে টুম্পার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
তার লাশ নিয়ে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দিকে রওনা দিয়েছেন। এর আগে আশীষ ও রিকেরও শেষকৃত্য হয় ধোবাউড়ায়।
আশীষের ভাই পরিতোষ জানিয়েছিলেন, তাদেরও বাসার দরজা-জানালা সব সারা দিন বন্ধ ছিল। রাতে আশীষ অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর ভাত রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে যান। চুলা জ্বালানোর পরপরই দুই কক্ষের বাসায় আগুন লেগে যায়। আগুন লাগা অবস্থায় তারা নিজেরাই দরজা খুলে সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকেন।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, চিৎকার শুনে তারা গিয়ে দেখেন, শরীরে আগুন নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে দৌঁড়ে নামছেন তিনজন। কাপড় জড়িয়ে দিয়ে সেই আগুন নেভান তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
তিনি চাকরির সুবাদে ফেনীতে থাকতেন। ফেনীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায়।
ফেনীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। রিক ফেনীতে একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় অকটেনের আগুনে দগ্ধ হয়ে আহত গিয়াস উদ্দিন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত গিয়াস উদ্দীন উপজেলার আমিলাইশ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম ডলু ঘোনার পাড়ার শাহ আলমের ছেলে। রশি দিয়ে আটকানো বোতল খুলতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইউপি সদস্য মামুনের মোটরসাইকেলে অকটেন শেষ হয়ে গেলে প্লাস্টিকের বোতলে করে অন্য একটি মোটরসাইকেলের পাশে রশি দিয়ে বেঁধে দোকান থেকে অকটেন কিনে নিয়ে আসে। পরে উক্ত প্লাস্টিকের বোতলটি হাত দিয়ে খুলতে না পেরে আগুন দিয়ে খোলার চেষ্টা করার সময় অসাবধানতা বশত গিয়াস উদ্দিন অগ্নিদগ্ধ হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আমিলাইশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, প্লাস্টিকের বোতলে করে কিনে আনা অকটেনের বোতল রশি দিয়ে বাধা ছিল।
আরও পড়ুন: খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধের মৃত্যু
সেটি দিয়াশলাই দিয়ে খুলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, অগ্নিদগ্ধে গিয়াস নামে এক যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাট কারাগারে হাজতির মৃত্যু
বগুড়ার মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে পিকআপে আগুন
বগুড়া সদরে ব্যারিকেড দিয়ে একটি পিকআপে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে বগুড়া সদর থানার এরুলিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দু’টি বাস ও পিকআপে আগুন
তবে এ সময় পিকআপ চালক বা কেউ আহত হননি।
পিকআপ চালক রতন হোসেন জানান, আক্কেলপুর থেকে খালি পিকআপ নিয়ে শিবগঞ্জের মোকামতলা কলার হাটে যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে এরুলিয়া আইডিয়াল স্কুলের সামনে পৌঁছালে সড়কে কাঠের বেঞ্চ দিয়ে ব্যারিকেড দেখতে পান। ধারণা করেন পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ সময় তিনি পিকআপ থামালে সড়কের পাশ থেকে ১০-১২ জন যুবক এসে তাকে নামিয়ে ভাঙচুর করে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: অবরোধ: টাঙ্গাইলে কমিউটার ট্রেনে আগুন
বগুড়া সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম রানা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন। আগুনে পোড়া পিকআপটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে কাভার্ডভ্যানে আগুন
সিলেটে ভোটকেন্দ্রের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন
সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় দুটি ভোটকেন্দ্রের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের পাশাপাশি সড়কে টায়ার ফেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে একদল লোক। এ সময় কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালায় শতাধিক ব্যক্তি। পরে পুলিশ এসে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পাশাপাশি অবস্থিত পাঠানটুলা দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় ও পাঠানটুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেলা ১১টার দিকে শতাধিক ব্যক্তি হঠাৎ লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় তারা সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে ককটেল বিস্ফোরণের পাশাপাশি টায়ারে আগুন জ্বালান।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ভোটকেন্দ্রে ককটেলের বিস্ফোরণ, যুবক আটক
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ এসে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিক্ষোভকারীরা ‘অবৈধ সরকারের অবৈধ ভোট, মানি না মানব না’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তবে তাদের বেশিরভাগেরই মুখে মাস্ক ও মাথায় হেলমেট ছিল।
আরও পড়ুন: হাজারীবাগে ককটেল বিস্ফোরণ, শিশুসহ আহত ৪
এবিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ জানান, কেন্দ্র দখল করে ভোট ভণ্ডুল করার চেষ্টা চালিয়েছিল একদল বিক্ষোভকারী। যদিও পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। প্রাথমিকভাবে তারা বিএনপির কর্মী-সমর্থক বলে জানা গেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভোট কেন্দ্রের সামনে থেকে ককটেল উদ্ধার
বরিশালে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্টাফবাসে আগুন
বরিশালে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি স্টাফবাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
বাসটি নগরের বগুড়া রোডে ব্যাংক ভবনের সামনে পার্ক করা ছিল।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুর রহমান বলেন, ‘রাতে কে বা কারা দাঁড়িয়ে থাকা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’
তিনি আরও বলেন, র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুর-২ আসনে ভোট কেন্দ্রে আগুন
বেলকুচিতে তাঁত কারখানায় আগুন, ক্ষতি প্রায় অর্ধ কোটি