পরিবেশ
ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’
ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৬৮ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানী ঢাকা ২৩তম স্থানে আছে।
৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘স্বাভাবিক’বলা হয়, তবে কিছু মানুষের জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে যারা বায়ু দূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল।
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি এবং ভিয়েতনামের হ্যানয় ১৬৪, ১৬২ এবং ১৪৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকায় প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির দিনেও ঢাকার বাতাস দূষিত
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: আজ সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ক্রমাগতভাবে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং অক্ষমতার জন্য বায়ু দূষণ শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে৷ বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেয়ার কারণে হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ক্যান্সার হওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন: মান পাল্টে ঢাকার বাতাস ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টি হতে পারে
সোমবার সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়, খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া ও বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
আগামী তিন দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
এতে বলা হয়, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে আড়াই ঘণ্টায় ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, পানিতে নিমজ্জিত ফসল
সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩৫ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২৩ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: ৮ বিভাগে ২৪ ঘন্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা!
বুলেটিনে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপ কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
খুলনায় পাটের বাম্পার ফলন, দামেও খুশি চাষিরা
গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার খুলনাঞ্চলে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে পাটের চাহিদা থাকায় এবং দাম ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি মৌসুমে ডুমুরিয়া উপজেলায় ৭৫৫ হেক্টর জমিতে তোশা ও দেশি জাতের পাট চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার মাগুরাঘোনা ও আটলিয়া ইউনিয়নে বেশি পাট আবাদ হয়েছে। এপ্রিল থেকে মে মাসের মাঝামাঝি বীজ বপন সময় প্রচণ্ড খরার কারণে কিছু বীজ নষ্ট হলেও শেষ দিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের ফলন খুব ভালো হয়। উপজেলাতে ভারতীয় বঙ্কিম জাতের বীজ বেশি চাষ হয়েছে। বর্তমানে পাট কাটা, পাট জাগ দেয়া, আশ সংগ্রহ, পাটখড়ি শুকানোসহ বিভিন্ন পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
আরও পড়ুন: অল্প বৃষ্টিতে উদ্বিগ্ন ঠাকুরগাঁওয়ের পাট ও আমন চাষিরা
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, গত বছর ডুমুরিয়া উপজেলায় ৮৯৯ মেট্রিক টন পাট উৎপাদন হয়েছিল। ফলন হয়েছিল হেক্টরে ২ মেট্রিক টন। চলতি বছর হেক্টর প্রতি দুই দশমিক দুই মেট্রিক টন ফলন হয়েছে। প্রায় তিন হাজার পাট চাষি পাটের আবাদ করেছেন। গত বছর প্রতি মণ পাটের দাম ছিল এক হাজার ৮০০ টাকা থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু এ বছর শুরু থেকেই বাজারে পাট বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকায়। প্রতি বিঘায় কৃষক পাট বিক্রি করে লাভ পাচ্ছেন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে পাটখড়ির দাম যোগ করে বিঘা প্রতি লাভ হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: পণ্য রপ্তানি শুরুর মাধ্যমে পাটখাত পুনরুজ্জীবিত হয়েছে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
খর্ণিয়ার আঙ্গারদহ এলাকার কৃষক দেলোয়ার হোসেন জানান, অনাবৃষ্টির কারণে খাল ও বিলে পানি না থাকায় সময়মত পাট জাগ দিতে না পারলেও ভালো ফলন ও বাজারে ভালো দামে পাট বিক্রি হচ্ছে। এতে তার মতো সকল চাষিরা অনেক খুশি।
দেশে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
রবিবার সকাল ৯টা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া ও বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশে
আরও পড়ুন: ৮ বিভাগে ২৪ ঘন্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা!
সারাদেশে দিনে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এছাড়া আগামী ৭২ ঘণ্টায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনীতে সর্বোচ্চ ৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অফিস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন চট্টগ্রামের ফেনীতে ২৪ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা
বুলেটিনে বলা হয়, এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
ঢাকার বাতাসের মান এখনও ‘মধ্যম’
টানা চতুর্থ দিনের মতো শনিবারও ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৮২ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানী ঢাকা ৩২তম স্থানে রয়েছে।
৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর‘মধ্যম’বলা হয়, তবে কিছু মানুষের জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’বলে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে যারা বায়ু দূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল।
চীনের গুয়াংজু ও বেইজিং এবং ইসরায়েলের জেরুজালেম ১৫৮, ১৫৩ এবং ১৫১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকায় প্রথম তিনটি স্তান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: মান পাল্টে ঢাকার বাতাস ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির দিনেও ঢাকার বাতাস দূষিত
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ক্রমাগতভাবে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং অক্ষমতার জন্য বায়ু দূষণ শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে৷ বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেয়ার কারণে হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ক্যান্সার হওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা
বাংলাদেশের ওপর মৌসুমী বায়ু মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার এতে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অফিস
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় সর্বোচ্চ ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: লঘুচাপ: সাতক্ষীরায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত, বেড়িবাঁধের ৩৫ পয়েন্ট ঝুঁকিতে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সিলেটে ৩২ দশমিক ৯ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রংপুরের রাজাহাটে ২৩ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে, মধ্যপ্রদেশের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল এবং সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির দিনেও ঢাকার বাতাস দূষিত
মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, সুস্পষ্ট লঘুচাপ কেন্দ্রস্থল, মধ্য প্রদেশ, বিহার, পশ্চিম বঙ্গ থেকে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
বুলেটিন অনুসারে, এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা আবারও ‘মধ্যম’
বৃহস্পতিবারও ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৫৫ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানী ঢাকা ৩৮তম স্থানে রয়েছে।
৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর‘মধ্যম’বলা হয়, তবে কিছু মানুষের জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’বলে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে যারা বায়ু দূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল।
ভিয়েতনামের হ্যানয়, সৌদি আরবের রিয়াদ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ১৫৮, ১৫৬ এবং ১৫৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকায় প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: মান পাল্টে ঢাকার বাতাস ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খারাপ' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির দিনেও ঢাকার বাতাস দূষিত
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ক্রমাগতভাবে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং অক্ষমতার জন্য বায়ু দূষণ শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে৷ বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেয়ার কারণে হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ক্যান্সার হওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অফিস
আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ দশমিক তিন ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রংপুর ও চট্টগ্রামে ২৩ দশমিক আট ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: লঘুচাপ: সাতক্ষীরায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত, বেড়িবাঁধের ৩৫ পয়েন্ট ঝুঁকিতে
এদিকে, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি মধ্যপ্রদেশের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিরাজমান রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস: আবহাওয়া অফিস
এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
মান পাল্টে ঢাকার বাতাস ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
টানা চারদিন দূষিত থাকার পর বুধবার ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ অবস্থায় আছে। সকাল সোয় ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৮৪ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ১৮তম স্থানে রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও পাকিস্তানের লাহোর, ভিয়েতনামের হ্যানয় ও ব্রাজিলের সাও পাওলো যথাক্রমে একিউআই ১৮১, ১৭৯, ১৬৩ ও ১৪৪ স্কোর নিয়ে প্রথম চারটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির দিনেও ঢাকার বাতাস দূষিত
৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘স্বাভাবিক’ বলা হয়, তবে কিছু মানুষের জন্য 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে যারা বায়ু দূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘খারাপ’বলে মনে করা হয়।
একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস দূষিত: একিউআই
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
সারাদেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস
সোমবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আগামী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীতে সর্বোচ্চ ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে ঢাকায় একই সমযয়ে ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলে ৩৪ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজারে ২৩ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, ওড়িশা উপকূলে এবং তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার সকাল ৬টার দিকে দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও সিলেটে বৃষ্টির সম্ভাবনা
এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর এবং ধীরে ধীরে দুর্বল হতে পারে।
মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, স্থল নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।