বাংলা একাডেমি
বাঙালি জাতি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে জানে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাঙালি জাতি একটি বিজয়ী জাতি, তারা চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে জানে।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে বাংলাদেশ সংগীত পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, তখন আমাদের জন্য কোনো চ্যালেঞ্জ থাকে না। শুধু তাই নয়, আমরা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দ্বারা অনুপ্রাণিত হই, যা সবসময় আমাদের আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে কাজ করতে শেখায়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন করলে শত্রু ও চাপ বাড়ে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতোই আশা ও আকাঙ্ক্ষা করি যে ২০৪১ সালের মধ্যে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ অর্জন করব। লক্ষ্য অর্জনের এই প্রক্রিয়া চলাকালীন, আমরা বিভিন্ন ধরণের সমস্যা, চ্যালেঞ্জ, পরিস্থিতি ও প্রতিকূলতা মোকাবিলা করব। আমরা সফল ও জয়ী হব কারণ আমরা একটি বিজয়ী জাতি এবং আমরা জানি কীভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, এশিয়া বিশ্বের ভবিষ্যৎ, বাংলাদেশও তাই। তিনি সবাইকে দেশপ্রেম, মর্যাদা ও সততা নিয়ে দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু বিশ্বের সবচেয়ে মহান কূটনীতিক ছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ইতিহাসবিদ ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যখনই শুনি কোনো ছাত্র সংগঠন বা রাজনৈতিক দল আমাদের বাংলা গানের বদলে হিন্দি গান বাজায়, তখনই এটা আমার মনকে কষ্ট দেয়। আধিপত্য ও আমাদের অনুকরণের কারণে বিশুদ্ধ বাংলা সংস্কৃতির চর্চা হুমকির মুখে পড়েছে। বিদেশি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে আমাদের অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে এবং আমাদের সংস্কৃতিকে প্রচার ও রক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মানবতার কথা নিয়ে প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার ও ফেলোশিপ প্রদান
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পরিচালিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাহিত্য পুরস্কার ও সাম্মানিক ফেলোশিপ ২০২১ প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নজরুল মঞ্চে আয়োজিত ৪৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের ক্রেস্ট, সম্মাননা সনদ ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
২০২১ সাদাত আলী আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কবি, সাহিত্যিক ও সংগঠক ড. তসিকুল ইসলাম রাজা, মেহের কবির বিজ্ঞান সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন পাখি বিজ্ঞানী ইনাম আল হক, হালিমা শরফুদ্দীন বিজ্ঞান পুরস্কার পেয়েছেন ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী ,অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ নাট্যজন পুরস্কার পেয়েছেন ফেরদৌসী মজুমদার, সাহিত্যিক মো. বরকত উল্লাহ প্রবন্ধ সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মাজহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার পেয়েছেন ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক সুকুমার বড়ুয়া।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মঞ্চস্থ হলো গণহত্যা বিষয়ক নাটক ‘ডাকরা ও তারপর’
এছাড়াও সভায় সাত জনকে বাংলা একাডেমি সাম্মানিক ফেলোশিপ-২০২১ প্রদান করা হয়। ফেলোশিপ প্রাপ্তরা হলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, কবি আজিজুর রহমান আজিজ, সিআরপি'র প্রতিষ্ঠাতা ভেলরি এ.টেইলর, ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম, সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার অধ্যাপক শেখ সাদী খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নাট্য ব্যক্তিত্ব এম. হামিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুস।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা ও অনুষ্ঠানের সভাপতি রামেন্দ্র মজুমদা পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও চেক তুলে দেন।
পড়ুন: মুকুট জিতে যেসব সুবিধা পাবেন নতুন মিস ইউনিভার্স
জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম আর নেই
প্রসিদ্ধ শিক্ষাবিদ, জাতীয় অধ্যাপক, লেখক, গবেষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের(ইউল্যাব) সেন্টার ফর বাংলা স্টাডিজের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আর নেই। ইন্নালিল্লাহি………রাজিউন। মঙ্গলবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮৭ বছর বয়সী এই গুণীব্যক্তিত্ব।
রফিকুল ইসলামের ছেলে বর্ষণ ইসলামের বন্ধু আফজাল রহমান বাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তাঁর পরিবারিকসূত্রে জানা যায়, শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আগামীকাল বুধবার দুপুর ২টায় তার মৃতদেহ জাতীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর বাদ আসর রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
প্রফেসর রফিকুল ইসলামকে ২৬ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এর এক সপ্তাহ আগে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শামীম মাশরেকী আর নেই
গত ৭ অক্টোবর পেটে ব্যথা নিয়ে বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন ৮৭ বছর বয়সী এই জাতীয় অধ্যাপক। বিভিন্ন পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন, তার ফুসফুসে পানি জমেছে। পরবর্তীতে পানি বের করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম দেশেই চিকিৎসা নিতে চেয়েছিলেন। এমনকি তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে আসতেও চাননি, বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা করতে ইচ্ছুক ছিলেন তিনি।
১৯৩৪ সালের ১লা জানুয়ারি চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার কোলাকান্দা গ্রামে ডা. মো. জুলফিকার আলী ও জান্নাতুনেসার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাশ করেন। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
তিনি ১৯৬০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে ভাষাবিজ্ঞানে এমএ পাশ করেন। এবং ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি আর নেই
বরেণ্য অভিনেতা মাহমুদ সাজ্জাদ আর নেই
কবি শামসুর রাহমানের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী আজ
কবি,কলাম লেখক ও সাংবাদিক শামসুর রাহমানের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী আজ শনিবার। একুশে পদক জয়ী এই সাহিত্যিক ১৯২৯ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার ৪৬,মাহুতটুলি এলাকায় নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
কিংবদন্তি এই কবির জন্মবার্ষিকী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপন করছে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
দিনটি উপলক্ষে রবিবার বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একটি একক লেকচার সেশনের আয়োজন করবে একাডেমি কর্তৃপক্ষ। এ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট গবেষক ও কবি অধ্যাপক খালিদ হোসাইন মূল লেকচার প্রদান করবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা সভাপতিত্ব করবেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেবেন একাডেমির সম্পাদক এএইচএম লোকমান।
কবি শামসুর রাহমানের পৈতৃক বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা থানার মেঘনা নদীর তীরে পাড়াতলী গ্রামে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়ার সময় তিনি প্রগতিশীল লেখক-শিল্পী সমিতির সঙ্গে জড়িয়ে যান। মধুর ক্যান্টিনের আড্ডায় পাঠ করতেন নিজের কবিতা। সেই সঙ্গে অবিচলিতভাবে যুক্ত ছিলেন ভাষা আন্দোলনে।
১৯৫৩ সালে স্নাতক সম্মান পাশ করার পর তিনি পেশাগত জীবনে প্রবেশ করেন। দৈনিক মর্নিং নিউজে সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা শামসুর রাহমান রেডিও পাকিস্তান, দৈনিক পাকিস্তান (পরে দৈনিক বাংলা) সাপ্তাহিক বিচিত্রা, অধুনা প্রভৃতি গণমাধ্যমে কাজ করেছেন।
শামসুর রাহমানের প্রথম কাব্য গ্রন্থ ‘প্রথম গান,দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ প্রকাশিত হয় ১৯৬০ সালে। তিনি ৬৬টি কাব্যগ্রন্থ, চারটি উপন্যাস, একটি প্রবন্ধগ্রন্থ, একটি ছড়ার বই ও ছয়টি অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন।
দীর্ঘ সাহিত্য জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক, জীবনানন্দ পুরস্কার ও স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হয়েছেন। সেই সঙ্গে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে।
কবি শামসুর রাহমান ১২ দিন কোমায় থাকার পর ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গুগল ডুডলে কবি শামসুর রাহমান
বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন আহমদের ৯৬ তম জন্মবার্ষিকী আজ
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী আর নেই
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সোমবার রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান বলে ইউএনবিকে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির সেক্রেটারি এবং ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এএইচএম লোকমান।
একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি পাকস্থলীর সমস্যার কারণে ২৭ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী মিতা হক আর নেই
৭২ বছর বয়সী সিরাজীকে ২৫ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং পরে অন্ত্র এবং পাচনতন্ত্রের মারাত্মক জটিলতার কারণে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তার চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। ২৭ এপ্রিল তার একটি অপারেশন করা হয়েছিল।
এছাড়াও তিনি পেপটিক আলসার সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী মারা গেছেন
লোকমান বলেছেন, সিরাজীর মরদেহ তার ধানমন্ডির বাসা থেকে সকাল ১০ টায় বাংলা একাডেমিতে নিয়ে যাওয়া হবে। তার প্রথম নামাজে জানাজা বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে। আজিমপুর কবরস্থানে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজার পরে তাকে সেখানে দাফন করা হবে।
কবি সিরাজী ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ তে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন:বরেণ্য সংগীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলী মারা গেছেন
তিনি ১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট থেকে পড়াশোনা করেছিলেন।
হাবীবুল্লাহ সিরাজী ২০১৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন। এছাড়া কবিতায় অবদানের জন্য ১৯৯১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।
করোনার ঢেউয়ের মধ্যে ‘গ্রন্থমেলা’: লোকসান গুনছেন প্রকাশকরা
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে চলতি বছরের বইমেলা ছিল অন্যান্য বছরের থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র।
বইমেলায় স্টল এবং বই থাকলেও দর্শনার্থী এবং বই কেনার অগ্রহী মানুষ খুবই কম।
সম্প্রতি দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে থাকায় এটা নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ বইমেলার পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে, যে কারণে প্রকাশকরা বিশাল লোকসানের আংশঙ্কায় রয়েছেন।
বিশেষ করে ছোট প্রকাশকদের পক্ষে এটি কঠিন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) সুপারিশ উপেক্ষা করে বাংলা একাডেমি বইমেলার আয়োজন করেছে।
মেলার বিক্রয়কর্মীরা জানিয়েছে, খুব কমই বই বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবশেষে বইমেলা শুরু
তারা জানান, বেশিরভাগ লোকজন এখানে ঘুরতে আসেন, বই কেনার জন্য নয়।
একজন বিক্রয়কর্মী বলেন, ‘দর্শনার্থী, লেখক এবং প্রকাশকদের সাধারণ ভিড় অনুপস্থিত। বিক্রয় হতাশাজনক।’
নির্ধারিত সময়ের আগেই পর্দা নামছে বইমেলার
দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতির কারণে অমর একুশে বইমেলা নির্ধারিত সময়ের দুই দিন আগেই ১২ এপ্রিল শেষ হবে।
শনিবার সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: বইমেলা বন্ধের সুপারিশ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির
বন্ধের সিদ্ধান্তটি এমন সময়ে এসেছে যখন সরকার কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে ১৪ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে চলেছে।
ইউএনবির সাথে আলাপকালে বাংলা একাডেমির পরিচালক ও একুশে বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, '১৪ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী এক সপ্তাহ কঠোর লকডাউন শুরুর আগেই ১২ এপ্রিল বইমেলা শেষ হবে।'
আরও পড়ুন: করোনা: বইমেলায় প্রবেশে সময়সীমা কমলো
কোভিড-১৯ এর পুনরুত্থানের মধ্যেই ১৮মার্চ শুরু হওয়া বইমেলাটি প্রকাশক ও বিক্রেতাদের ব্যবসায়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় স্বাভাবিক গতি পেতে ব্যর্থ হয়েছে।
এর আগে, সরকার ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহব্যাপী লকডাউন কার্যকর করলেও বাংলা একাডেমিকে মেলা চালিয়ে নেবার অনুমতি দেয়।
করোনা: বইমেলায় প্রবেশে সময়সীমা কমলো
দেশের কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিস্থিতি বিবেচনা করে একুশে বইমেলা -২০২১ এর দৈনিক সময়সূচি কমানো হয়েছে।
বাংলা একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এখন থেক বইমেলা বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এর আগে রাত ৮টা পর্যন্ত বইমেলা খোলা ছিল।
সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে তবে এ বছর ১৮ মার্চ থেকে বইমেলা শুরু হয়েছে যা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: শওকত আলীর অনুবাদ গ্রন্থ ‘থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ’ প্রকাশিত
গত ১৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে বইমেলা-২০২১ উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলা একাডেমিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন।
রাজধানীতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলারে আয়োজন করা হয়েছে।
এবছর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বইমেলা উৎসর্গ করা হয়েছে। ২০২১ বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার ওয়েবসাইট উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
করোনা মহামারিতে সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গায় এবারের বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় থাকছে ৩৩টি প্যাভিলিয়ন।
এ বছর ‘শিশু প্রহর’ থাকছে না। শিশু কর্নার সোহরাওয়ার্দীতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এবার ‘লিটল ম্যাগাজিন কর্নার’ স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়া্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে।
আরও পড়ুন: অবশেষে বইমেলা শুরু
প্রবেশপথে হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে মেলায় ঢুকতে দেয়া হবে না।
বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে নতুন প্রজন্মের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার নতুন প্রজন্মকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে আহ্বান জানিয়েছেন।
অবশেষে বইমেলা শুরু
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার অমর একুশে বইমেলা-২০২১ উদ্বোধন করেছেন।