রুহুল কবির রিজভী
সরকার আবারও গুম, অপহরণে লিপ্ত হচ্ছে: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার আবারও ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে বিরোধী কর্মীদের গুম করার মতো জঘন্য অপরাধে লিপ্ত হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘সাবেক এবং বর্তমান সাতজন র্যাব কর্মকর্তার ওপর সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থার তীব্র চাপের ফলে জোর করে গুম ও হত্যার ভয়ে থাকা পরিবারগুলোতে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। কিন্তু, সরকার আবারও বলপ্রয়োগের মতো জঘন্য অপরাধে জড়াতে শুরু করেছে।’
উদাহরণ টেনে এই বিএনপি নেতা বলেন, খুলনা জেলা শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) সাধারণ সম্পাদককে কয়েকদিন আগে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বরগুনা উপজেলা শাখার আরেক জেসিডি নেতাকে গুম করে থানায় সোপর্দ করা হয়। এই সরকার বারবার অমানবিক আচরণ করছে, যা অগ্রহণযোগ্য।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে নতুন বিধিনিষেধ: রিজভী
রিজভী অভিযোগ করেন, গুমের ঘটনায় পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি র্যাবকে ব্যবহার করছে সরকার।
তিনি বলেন, অতীতেও সরকারের নির্দেশে র্যাবের সদস্যরা জঘন্য অপরাধে জড়িত ছিল এবং এলিট ফোর্সকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত বাহিনীতে পরিণত করেছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, ‘তারা (সরকার) পরে গোয়েন্দা পুলিশ ও পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে সারাদেশে বন্দুকযুদ্ধের নামে অপহরণ, গুম এবং মানুষ হত্যা করেছে। এখন এই ধরনের অপরাধে সিআইডিকে ব্যবহার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রথমে বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে তুলে নিয়ে চিরতরে গুম করে দেয় অথবা অস্ত্র উদ্ধারের নামে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলে। কখনও কখনও নিহতদের লাশ রাস্তার ধারে বা নদীতে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের হামলায় ৩০০ জন আহত হয়েছে: রিজভী
বিএনপির এই নেতা সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, অপহরণ ও গুম করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও জনগণের হারানো অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের পর অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান রিজভী।
অন্যথায় বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করতে তারা আবারও রাজপথে আন্দোলন শুরু করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘মধ্যরাতে ভোটের সরকারের বিদায়ের গণনা শুরু হয়েছে। আওয়ামী দুঃশাসনের ভয়ঙ্কর শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে চায়, জনগণের এমন তীব্র আন্দোলন দেখে সরকার আতঙ্কিত।’
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ভোটের পরিস্থিতি বাংলাদেশ থেকে নিরুদ্দেশ: রিজভী
সার্চ কমিটি সরকারের আরেকটি 'আজ্ঞাবহ' ইসি গঠনে কাজ করছে: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন, সার্চ কমিটি বিদায়ী কমিশনের মতো সরকারের আজ্ঞাবহ আরেকটি নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমি দেখলাম ৩২২ জনের তালিকা। কথাটা হচ্ছে যে, নির্বাচন কমিশনে যারা যাবেন তারা অত্যন্ত যোগ্য দক্ষ লোক হবেন। আগে দেখেছি, নাম প্রস্তাব করা হয়, তাদেরকে বলা হয়, তারপর তারা রাজি হন। এখন সব একেবারে মিছিল করে যাচ্ছেন সার্চ কমিটির কাছে নির্বাচন কমিশনে সদস্য হওয়ার জন্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হওয়ার জন্য। এ যে আবেগীপনা। এই লোকগুলো নির্বাচন কমিশনে এলে আমরা সহজেই বুঝতে পারব দেশে গণতন্ত্র, ভোট ও নির্বাচনের পরিণতি কী হবে ?’
সোমবার এক আলোচনা সভায় রিজভী এসব কথা বলেন। আগামী সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপিপন্থী প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রকল্প ৭১’ জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, বিদায়ী কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসির চেয়েও খারাপ হবে এমন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি কাজ করছে। আগের সার্চ কমিটি হুদাকে (কেএম নুরুল হুদা) খুঁজে পেয়েছিল। এবারের সার্চ কমিটি হুদার চেয়েও খারাপ আরেকজনকে খুঁজে পাবে।
সেই হুদাকে দিয়ে ভোট ডাকাতির নির্বাচন, কেন্দ্র দখলের নির্বাচন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন, নিশিরাতে নির্বাচন হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা আশঙ্কা করেন, এবার সরকারের প্রতি অনুগত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিশন গঠন করা হবে যারা গভীর রাতের পরিবর্তে সন্ধ্যায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি ‘নাটকের’ অংশ: বিএনপি
তিনি বলেন, ‘বর্তমান 'অবৈধ' সার্চ কমিটির সুপারিশ নিয়ে গঠিত ইসিকে তাদের দল আগাম প্রত্যাখ্যান করছে। অবৈধ সরকারের সব কর্মকাণ্ডই বেআইনি। এর সঙ্গে জনগণ ও স্বচ্ছতার কোনো সম্পর্ক নেই।’
রিজভী জানান, আওয়ামী লীগ শাসনের পতন নিশ্চিত করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে তাদের দল আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানাবে।
এর আগে সোমবার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পরবর্তী নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটিতে রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংস্থা এবং ব্যক্তিদের প্রস্তাবিত ৩২২টি নাম প্রকাশ করেছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ আইন-২০২২’-এর অধীনে ছয় সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ১০টি নাম প্রস্তাব করবে সার্চ কমিটি।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির নামে ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠিত: বিএনপি
সার্চ কমিটি একটি অর্থহীন চর্চা: বিএনপি
সার্চ কমিটির নামে ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠিত: বিএনপি
সরকার সার্চ কমিটির নামে ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ গঠন করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী বলেন, “আমরা আগেই বলেছিলাম, আওয়ামী বাকশালী চেতনার দ্বারা উদ্বুদ্ধ ‘মুজিবকোট’ পরা লোকেরাই সরকারের সার্চ কমিটিতে থাকবেন। নবগঠিত এই সার্চ কমিটি সেই অনুমানেরই নিরেট বাস্তবতা। এটাকে সার্চ কমিটি না বলে বরং ‘আওয়ামী লীগের খাস কমিটি’ বলাটাই যুক্তিযুক্ত মনে করি।”
রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, এই সার্চ কমিটি এবং ইসি গঠন করতে তারা যাদের খুঁজে আনবে তারা সবাই একই নৌকার যাত্রী। তারা একই ঝাঁকের কৈ।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনের সার্চ কমিটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সার্চ কমিটি যাদের নাম প্রস্তাব করবে তারা সবাই আওয়ামী পরিবারের সদস্য হবে।
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ পরিবার দ্বারা আরেকটি নীলনকশার ভোট ডাকাতির নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করতে নিখাদ আওয়ামী লীগের চেতনার মানুষদের অনুসন্ধান করাই এই সার্চ কমিটির অভীষ্ট লক্ষ্য।’
এর আগে শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান (সভাপতি) করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়।
সার্চ কমিটির অন্য পাঁচ সদস্য হলেন- হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি একটি অর্থহীন চর্চা: বিএনপি
সিইসি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে।
সার্চ কমিটির সদস্যরা কীভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত তা বর্ণনা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটির বর্তমান প্রধান ওবায়দুল হাসান আগের দুই সার্চ কমিটির সদস্য ছিলেন এবং পরীক্ষিত আওয়ামী পরিবারের সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে সাংসদ পদপ্রার্থীও ছিলেন। তিনি বাকশাল ছাত্রলীগের বড় নেতা ছিলেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচন ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ ছহুল হোসাইন সার্চ কমিটির সদস্য হয়েছেন। ২০১৮ সালে সিলেট-১ আসন থেকে সাংসদ পদের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন।’
তিনি বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান রাজবাড়ীর আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম হামিজ উদ্দিন সেখের ছেলে। তাঁর ভাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। আরেক সদস্য অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক জন্মান্ধ আওয়ামী লীগার হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগের একান্ত অনুরাগী ও দৃঢ় সমর্থক প্রয়াত লেখক সৈয়দ শামসুল হকের স্ত্রী তিনি। তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধের পুরোটা সময় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর মেডিকেল সেন্টারে চাকরি করেছেন। হাসিনা মার্কা ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এরা বিশেষজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন
রিজভী বলেন, ‘এই সার্চ কমিটি অথবা নির্বাচন কমিশন নিয়ে দেশের জনগণ বা বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই। জনগণ বিশ্বাস করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতা ছেড়ে আগামী নির্বাচন নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হয় সে ব্যবস্থা করুন।
জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি বিএনপির
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী ১৯ জানুয়ারি। এ উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে দলটি।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক দোয়া মাহফিলে বিএনপির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের অসুস্থ নেতাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ঢাকা উত্তর মহানগর শাখা এর আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯ জানুয়ারি সকালে নয়াপল্টনে প্রধান কার্যালয়সহ দলের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
আরও পড়ুন: করোনা: সমাবেশের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করবে বিএনপি
এছাড়া সকাল ১১টায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জিয়ার স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করবে।
এছাড়া একই দিন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
একই স্থানে ২০ জানুয়ারি বিএনপি বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করবে।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পত্রিকায় বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশের উদ্যোগও নিয়েছে দলটি।
এছাড়া বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোও জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচির অংশ হিসেবে আলোচনা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির প্রভু হলো পাকিস্তান: কৃষিমন্ত্রী
দলটির মহানগর, জেলা ও উপজেলা শাখাগুলোও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার বাগবাড়িতে জন্ম নেয়া জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন এবং দেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি হন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল সেনা কর্মকর্তা জিয়াকে হত্যা করেন।
বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে নতুন বিধিনিষেধ: রিজভী
বিএনপির সভা-সমাবেশ বন্ধ করতে সরকার জনসমাবেশ বন্ধসহ নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শুধু বিএনপির সমাবেশ ঠেকানোর জন্যই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে কি না তা নিয়ে জনগণ প্রশ্ন করছে। কারণ জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জনগণ তাদের দলের সমাবেশে যোগ দেয়ায় সরকার ভয় পেয়েছে।
রিজভী সতর্ক করে বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন বর্তমান সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না। মামলা, সাজা ও বিধিনিষেধ দিয়ে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়ে জনগণকে আর দমন করা যাবে না।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সরকার সোমবার জনসমাগম, সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ১৩ জানুয়ারি থেকে এসব বিধিনিষেধ কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ নেতাকর্মীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
ইসি গঠনের আগে সংলাপ তামাশা মাত্র: বিএনপি
ইসি গঠনের আগে সংলাপ তামাশা মাত্র: বিএনপি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির চলমান সংলাপ তামাশা ছাড়া আর কিছু নয় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ইচ্ছায় ইসি গঠিত হবে।
বিএনপির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা আগে দেখতাম ট্রেনে-বাসে বড়ি বিক্রি করতে হকার অত্যন্ত মজার মজার চমকপ্রদ অনেক কাহিনী বলত, গল্প বলত, মানুষকে আকৃষ্ট করত। তারপরে সে বড়িটা বিক্রি করত। রাষ্ট্রপতি হলেন সে ধরনের হকার। তিনিও সংলাপের নামে একই ধরনের কাজ করছেন।’
সোমবার এক মানবন্ধনে অংশ নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে ও ফাঁকি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপের মাধ্যমে তামাশা করছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি আসলে নির্বাচন বানচাল করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আল্টিমেটলি যে নির্বাচন কমিশন বানানো হবে- সেখানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটবে। তার আগে একটা তামাশা করে যাচ্ছেন, তার আগে একটা হকারের সেই চমকপ্রদ কাহিনী তিনি করছেন।’
সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ যৌথভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানবন্ধনের আয়োজন করে।
২০২০ সালের ২১ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রিজভী বলেন, ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে যা করার দরকার সব করছে সরকার। ‘কিন্তু এখন আর এটা কাজ করবে না। কেননা এ সরকারের আসল চেহেরা ধীরে ধীরে বিশ্বের মানুষের সামনে উন্মোচিত হতে শুরু করেছে।’
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ এবং খালেদা জিয়া, রুহুল আমিন গাজী ও অন্যান্য রাজবন্দীদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিরোধী ও ভিন্নমত দমনে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করছে: বিএনপি
সিইসির ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিএনপি নেতার দাবি নাকচ মার্কিন দূতাবাসের
হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের হামলায় ৩০০ জন আহত হয়েছে: রিজভী
হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে পুলিশ হামলা চালিয়ে প্রায় ৩০০ জনকে আহত করেছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, দুপুরে হবিগঞ্জের শায়েস্তানগরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু হলে পুলিশ কোনো উসকানি ছাড়াই সমাবেশে হামলা চালায় এবং নির্বিচারে গুলি করে,এতে তিন শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।
রিজভী বলেন, দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: বিএনপি এখনও আমন্ত্রণ পায়নি
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক।
রিজভী জানান, আহতদের মধ্যে হবিগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব আহমেদ রিগান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট শরীফ, জেসিডি নেতা সাইদুর রহমান, আরশাদ, আব্দুল আহাদ তুষার, মৎস্যজীবী দল নেতা মোবারক হোসেন, শিপন আহমেদ শাহজাহান ও জহির আলী রয়েছেন।
তিনি বলেন, হবিগঞ্জে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের হামলা বর্বর ও ন্যাক্কারজনক। অবৈধ শাসন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে এই হামলা চালানো হয়েছে। আমরা আমাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
বিএনপি নেতা বলেন, জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার লাঠিগুলিকে নিজেদের অবলম্বন মনে করছে।
রিজভী বলেন, আওয়ামী নাৎসিবাদ এখন চরম মোড় নিয়েছে এবং এটি রক্তের গন্ধ নেয়ার চেষ্টা করছে। তারা জোর করে গুম, হত্যা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সহিংস সন্ত্রাসবাদের অনুশীলন করছে।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য সরকার পুলিশকে তাদের প্রাণঘাতী অস্ত্রে পরিণত করেছে। যখনই তারা গণতন্ত্র স্বীকৃত মিছিল বা সমাবেশ দেখেন, তখনই তারা পুলিশকে দিয়ে তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিএনপির বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি
এবার মুরাদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি বিএনপির
পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর নারী ও জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘পদত্যাগই যথেষ্ট নয়। গ্রেপ্তার করে তার (মুরাদ) বিচার করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ডা.মুরাদের মতো একজন ব্যক্তি রাজনীতি করতে অক্ষম।
রিজভী বলেন, ‘সে (মুরাদ) অশালীন মন্তব্য করেছে। তাকে কেবল মন্ত্রিসভা থেকে নয়, (ক্ষমতাসীন) দলের সকল স্তরে তার পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।’
তিনি বলেন,‘আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য মুরাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তার বিচার হওয়া উচিত এবং শাস্তি হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: মুরাদের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যে দল ও সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে: তথ্যমন্ত্রী
এদিকে নারীদের নিয়ে অশোভন ও অশালীন মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান। চাকরি ছাড়ার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন এই প্রতিমন্ত্রী।
সম্প্রতি নারীদের প্রতি বিভিন্ন অসম্মানজনক মন্তব্যের জন্য মুরাদ বিভিন্ন মহলে ক্রমবর্ধমান সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। তার অশালীন মন্তব্য সম্বলিত বেশ কয়েকটি অডিও এবং ভিডিও গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন ও অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার দুই বছর আগের একটি ফোনালাপ সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই অডিও ক্লিপে মুরাদ অভিনেত্রীকে বিভিন্ন ‘অপমানজনক মন্তব্য’ করেছিলেন, তাকে হুমকি দিয়েছিলেন এবং তাকে অশালীন প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রতিক অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।
সোমবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুরাদকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার এবং নারী ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে তার ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, জাতিগত ও অবমাননাকর’ মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নারীদের কাছে ‘ক্ষমা’ চাইলেন মুরাদ
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর প্রতিমন্ত্রী মুরাদের পদত্যাগ
রুহুল কবির রিজভীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
রাজধানীর বাড্ডা থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ৩৩ জন বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করেন।
তিনি বলেন, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে রাজধানীর বাড্ডা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলাটি দায়ের করে পুলিশ। মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রিজভীসহ আট জন আদালতে উপস্থিত হননি। বিচারক অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ: খুলনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিএনপি নেতা রিজভী ও দুলুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সরকার চাইলেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে: বিএনপি
বিএনপি বলেছে, যেকোনো সময় গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মতো গুরুতর অসুস্থ নেত্রীকে (বিদেশ যেতে) সরকার যেকোনো সময় অনুমতি দিতে পারে। আমরা সরকারের কাছে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানাই।’
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) দোয়া মাহফিলে বক্তৃতাকালে রিজভী এসব মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি বিদেশ যাওয়ার জন্য নতুন করে আবেদন করতে খালেদা জিয়াকে আবারও জেলে যেতে হবে -আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এমন মন্তব্যও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
আইনমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘কোন আইনে কি এমন কোন বিধান আছে (যে তাকে নতুন করে আবেদনের জন্য জেলে ফিরে যেতে হবে)? আপনি মিথ্যা বলছেন এবং একই কথা বলছেন।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্য যথেষ্ট করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার আনিসুল হক সংসদে বলেছেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার আবেদন সরকার বিবেচনা করবে যদি তিনি কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করেন।
রিজভী বলেন, ‘১/১১-এর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দীনের শাসনামলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল জলিল চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আরেক রাজনীতিবিদ আ স ম আবুর রবও চিকিৎসার জন্য কারাগার থেকে বিদেশে গেছেন। এমন অনেক উদাহরণ আছে।’
বিএনপি নেতা আইনমন্ত্রীকে একজন নিষ্ঠুর লোক হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘তিনি শেখ হাসিনাকে খুশি করতে আদালতকে ব্যবহার করে খালেদার বিরুদ্ধে অনেক কিছু খেলেছেন। বিশ্বে আইনমন্ত্রীর মতো খারাপ কাজ আর কেউ করেনি। বিএনপি চেয়ার পার্সনের দুর্ভোগ দেখে খুশি হন প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী। এ কারণে তিনি বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের অমানবিক আইনের রেফারেন্স দিয়ে শেখ হাসিনাকে খুশি করতে চান।
আরও পড়ুন: বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি পেতে খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হবে: আইনমন্ত্রী
সরকার খালেদার বিরুদ্ধে ‘অমানবিক ও নিষ্ঠুর’ মনোভাব পরিহার না করলে জনগণ রাজপথে নেমে যোগ্য জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয় দিন পর ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে ১৩ নভেম্বর ফের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফের খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর অনুমতি চেয়েছে পরিবার