নির্যাতন
নাটোরে থানায় আসামি নির্যাতন: ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ স্থগিত
নাটোরে থানায় নিয়ে আসামি নির্যাতনের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আদেশ স্থগিত করেছেন জেলা জজ আদালত।
শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জেলা জজ আদালতের পিপি সিরাজুল ইসলাম আইনের বাধ্যবধকতা উল্লেখ করে নিম্ন আদালতের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে জেলা জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দীন রিভিশন আবেদন গ্রহণ করে নিম্ন আদালতের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন।
নাটোরের লালপুরে অটোরিকশা চুরির মামলায় গ্রেপ্তার ৩ আসামিকে থানায় নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে আনে আসামিরা।
এ প্রেক্ষিতে মেডিকেল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে নাটোরের বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজিব, লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন, ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান, ওমর ফারুক শিমুল ও এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে প্রতিবেদন জমা দিতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারিক হাকিম মোসলেম উদ্দিন।
জেলা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মজিবর রহমানও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কা, নৌবাহিনীর সদস্য নিহত
নাটোর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ
রোহিঙ্গা নির্যাতনের কথা শুনলেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধিদল।এসময় মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো নির্যাতন-নিপীড়নের কথা শুনেন তারা।
ক্যাম্পে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জোবায়ের।
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে মার্কিন আন্ডার সেক্রেোরি ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ যুক্তরাষ্ট্রের দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
এসময় তিনি নারীদের সঙ্গে কথা বলেন।
মিয়ানমার সেনারা কীভাবে তাদের গ্রাম আগুনে পুড়িয়ে উচ্ছেদ করেছে নারীরা তাকে সেটা বলেন।
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রেরপ্রতিনিধি দলকে রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে আমরা বলি, বাংলাদেশের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ক্যাম্পে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রয়েছে। তবে যথেষ্ট শিক্ষাব্যবস্থা নেই। এই জীবন তাদের কাছে বন্দি মনে হয়। যত দ্রুত সম্ভব তারা স্বদেশে ফিরে যেতে চাই। প্রত্যাবাসনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেন মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। এর সমাধানের আশ্বাস রোহিঙ্গাদের দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই রোহিঙ্গা নেতা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন মার্কিন প্রতিনিধিদল
এর আগে বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে বেসরকারি উড়োজাহাজ ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটে প্রতিনিধি দল কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান।
এসময় ইউএনএইচসিআর, আইএমও এবং আরআরআরসি অফিসের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের স্বাগত জানান।
পরে সড়ক পথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা দেন প্রতিনিধি দলটি। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ উখিয়ার বালুখালীর ৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছে প্রতিনিধি দলটি।
এ সময় তারা জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার পরিচালনাধীন সেবা ও সহযোগিতা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এছাড়াও উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে বিকেলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে একটি বৈঠক শেষ করে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে কক্সবাজার ত্যাগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির দলটি।
আরও পড়ুন: উজরা জেয়ার সফর: রোহিঙ্গা, শ্রম, মানবাধিকার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে
রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচারের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার ওপর জোর আইসিসি’র চিফ প্রসিকিউটরের
বিএনপির বিচার দাবিতে নির্যাতনের শিকার দুই প্রজন্মের ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন
১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানে শাসনামলে অনেক সৈনিককে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে বিচার ছাড়াই ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বিএনপির শাসনামলে নির্যাতনের কারণে দলের নেতাদের বিচার দাবিতে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এ দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী।
১৯৭৫ ও ২০১৩ সাল পরবর্তী সময়ে বিএনপির হাতে নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় দলটির নেতাদের বিচারের দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। বুধবার দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।
২০১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার ভুক্তভোগীদের সংগঠন ‘অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ’ ও ১৯৭৭ সালে জিয়ার শাসনামলে বিনাবিচারে গণহত্যার শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের সংগঠন 'মায়ের কান্না' এ মানববন্ধন আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু পরিষদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৭ সালে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছিল। ঘুমন্ত সৈনিকদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোনো বিচার ছাড়াই জেল-ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এমনকি নামের মিল থাকায় একজনের বদলে আরেকজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আবার এমনও ঘটনা ঘটেছে, বিচারের রায়ের আগেই ফাঁসির দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালে বিএনপির আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে সময় নিরাপরাধ সাধারণ মানুষকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পোড়ানো হয়েছে। গাড়িতে পেট্রোলবোমা মেরে ট্রাক জ্বালিয়ে দিয়েছে। এই নির্মমতার জন্য দায়ী বিএনপির নেতারা। তাদের বিচার হতে হবে।
২০১৪ সালে বিএনপির আন্দোলন থেকে ছোড়া আগুনে নিহত হন নাহিদ হাসান নামে একজন। তার মা রুনি বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে জ্যাকেট কিনতে ঢাকা এসেছিল। শাহবাগে বাসে পেট্রোল বোমা মেরে আগুনে পুড়িয়ে তাকে হত্যা করা হয়। বিএনপি-জামায়াত আমার ছেলেকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।’
তিনি বলেন, আমি আমার সন্তানকে দেখতেও পারিনি। ছেলে হত্যার বিচার চাই।
২০১৩ সালে রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, আমি সেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম। জামায়াত শিবির হরতাল করতে গিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে তারা নির্মমভাবে হত্যার চেষ্টা করে। হেলমেট, ইট, পাথর, লাঠি দিয়ে মারে। আমি সরকারের কাছে এই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের কোনো কথা বলেনি ইইউ: ওবায়দুল কাদের
‘মায়ের কান্না’র আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লেলিন বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের সামরিক বাহিনীর উপর গণহত্যা চালিয়ে ছিলেন। সৈনিকদের এক কক্ষে বন্দি করে রাখা, উলঙ্গ করে নির্যাতন করার মতো ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। সেগুলোর নথিপত্র দেখলে সেই নির্মমতার চিত্র বোঝা যায়। সেই ঘটনার ৪০ বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। অথচ এখনও বিচার পাইনি।
তিনি বলেন, এখন অনেকেই মানবাধিকারের কথা বলেন। অথচ আমরা কতটা মানবাধিকার বঞ্চিত সেটির দিকে কারো নজর নেই। আমরা আমাদের স্বজন হারানোর বিচার চাই।
মায়ের কান্না’র সদস্য আলেয়া বেগম বলেন, রাতে আমার স্বামী অফিসে যান। কিন্তু আর ফেরেননি। আমি জিয়াউর রহমানের কাছে যাই। কিন্তু তার গেটের পুলিশ আমাকে লাথি মেরে সরিয়ে দেয়। তিন মাস পর চিঠি দিয়ে জানায় আমার স্বামী জেলে মারা গেছে। তার মরদেহ পাইনি, কবরটাও দেখিনি কোনোদিন। আমার সন্তানরা তাদের বাবার মুখ দেখেনি। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
আরও পড়ুন: চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে মন্তব্য: ঢাবিতে ফখরুলের কুশপুত্তলিকা দাহ
চবিতে সাংবাদিককে নির্যাতন, ২ ছাত্রলীগকর্মী বহিস্কার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) একজন শিক্ষানবীশ সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।বহিষ্কারাদেশ চলাকালীন কোনো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বা অন্য কোনো অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।
বহিষ্কৃতরা হলেন- চবি ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী খালেদ মাসুদ এবং শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আরাফাত রায়হান।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৩ কমিটি
বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার বলেন, বুধবার তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় দোষীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারাদেশ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।
তবে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ চবি সাংবাদিক সমিতি।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু বলেন, ‘বিচারের নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সঙ্গে প্রহসন করছে। আমরা এ রকম বিচার চাইনি। এটা জাস্ট লোক দেখানো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অপরাধীদের কাছে জিম্মি মনে হচ্ছে। অপরাধীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চেয়ে ক্ষমতাশালী প্রমাণ করলো তদন্ত কমিট। আমরা এ রায়ে কোনোভাবেই সন্তুষ্ট না। আমরা আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।’
এর আগে গত ১৯ জুন রাতে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে চবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও একটি অনলাইন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি দোস্ত মোহাম্মদকে মারধর করে ছাত্রলীগের ১০-১২ জন নেতাকর্মী। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনা তদন্তে ২০ জুন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮
চবিতে ফের সংঘর্ষ: ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়া
ইবিতে প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী তাকে নির্যাতন ও অপমান করেছে।
মঙ্গলবার ভোরে তাকে এই নির্যাতন করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে নির্যাতরেন শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র ইয়াশ রোহান এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদ ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক শেলিনা নাসরিনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ভর্তির পর থেকে রোহান বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ‘গণরুমে’ অবস্থান করছিলেন।
রোহান বলেন, মঙ্গলবার ভোরে চারুকলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আফিফ হাসান ও তন্ময় বিশ্বাসসহ ছাত্রলীগের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একদল কর্মী তাকে হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। তারা সকলেই ছাত্রলীগের আইইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সমর্থক।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদনে ৬ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত
একপর্যায়ে আফিফ, তন্ময় ও অন্যরা তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে বলে রোহান জানান।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী র্যাগিং ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন।
রোহান অবশ্য বুধবার আইইউ প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে তার বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
ছাত্রলীগের আইইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় জানান, তিনি তার সমর্থক ও রোহানের মধ্যে বিষয়টি মিমাংসা করেছেন। পরে তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন বলে জানান জয়।
অনেক শিক্ষার্থী জানান, প্রশাসন জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে।
আইইউ প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদ জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ভুক্তভোগীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছিল।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত এবং তার মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ায় ভিকটিম তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে আইইউ-এর ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ছাত্রলীগের আইইউ শাখার সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীরা নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সারাদেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেতা ও ৪ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করল ইবি
ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেত্রী ও ৪ কর্মী বহিষ্কার
ঘোড়াঘাটে চুরির অপরাধে কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চুরির অপরাধে নামে এক কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগে মঙ্গলবার এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী কিশোরের নাম সাগর হোসেন (১৩)।
অভিযুক্তের নাম মো. সাজ্জাদ হোসেন। তিনি উপজেলার সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
ঘোড়াঘাট থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আবিরের পাড়া আশ্রয়ণকেন্দ্রের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম তার ছেলে সাগরকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। গত সোমবার ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন ও একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মফিজল মিয়া ওই কিশোর ও তার মাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। একপর্যায়ে লোহার রড দিয়ে কিশোর সাগরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করতে থাকে। মারপিটের সময় কিশোরের মা মনোয়ারা বেগম তার ছেলেকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তাকেও মারপিট করেন চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন ও ইউপি সদস্য মফিজাল।
পরে আশ্রয়ণকেন্দ্রের ঘরে তাদের তালাবদ্ধ করে রাখা হয় এবং বলা হয় অভিযুক্ত কিশোর বিভিন্ন জায়গায় চুরি করে থাকে। সে অপরাধী। তাই তাকে এই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে। চলে না গেলে তাকে এবং তার মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল ছাড়লেন ঘোড়াঘাটের সাবেক ইউএনও ওয়াহিদা
এদিকে কিশোর সাগরের মা মনোয়ারা বেগম আজ মঙ্গলবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন ও ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য মফিজাল মিয়াকে আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির জানান, নির্যাতিত কিশোরের মা বাদী হয়ে থানায় এহাজার দাখিল করেছেন। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করে আজ দুপুরে দিনাজপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপর আসামি মফিজাল মিয়াকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুলকে প্রত্যাহার
ঘোড়াঘাট ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনায় আটক আরও ২
নারায়ণগঞ্জে নির্যাতনে শিশুর মৃত্যু, সৎ বাবা গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় সৎ বাবার নির্যাতনে আবদুল্লাহ নামের সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিদ্ধিরগঞ্জের আজিবপুর বাগানবাড়ি এলাকায়।
নিহত শিশু আব্দুল্লাহ যাত্রাবাড়ি এলাকায় একটি মাদরাসায় পড়াশুনা করত।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে নারীকে বেত্রাঘাত ও পাথর মারার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪
এদিকে নিহত শিশুর মা স্বপ্না আক্তার মুন্নি স্বামী আরিফকে অভিযুক্ত করে গত মঙ্গলবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্রধরে পুলিশ বুধবার (২৬ এপ্রিল) সৎ বাবা আরিফকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানার কুতুরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে বিকালে আদালতে পাঠায়।
জানা যায়, ২৪ এপ্রিল দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আবদুল্লাহকে মারধর করেন আরিফ। একপর্যায়ে বাড়ির গলির রাস্তায় টাঙানো মইয়ে ঝুলিয়ে মারধর করেন। মাইয়ের ওপর থেকে নিচে ফেলে দেন। দুই পা ধরে শূন্যে ভাসিয়ে দেওয়ালের সঙ্গে মাথায় আঘাত করেন।
এ ঘটনায় আব্দুল্লাহ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ২৫ এপ্রিল সকালে আরিফ মাতুয়াইল মাতৃসনদ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
সেখালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর আরিফ লাশ দাফন করার কথা বলে পালিয়ে যায়।
নিহতের মা স্বপ্না আক্তার মুন্নি বলেন, ‘আমি আমার সন্তানের হত্যার বিচার চাই, হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার আরিফ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ট্রলারে ১০ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ২
সিলেটে সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেপ্তার করল র্যাব
নাটোরে বাবার কাছে পাওনা টাকা আদায়ে কিশোর ছেলেকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন!
নাটোরের গুরুদাসপুরে বাবার কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করতে কিশোর ছেলেকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক জমির মালিকের বিরুদ্ধে।
নির্যাতিত শাওন (১৩) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সে গঙ্গারামপুর গ্রামের কাবিল হোসেনের ছেলে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতির জানান, উপজেলার চলনালি গ্রামের মুন্নাফ হোসেনের জমি লিজ নিয়ে পেয়ারা বাগান গড়ে তোলেন পার্শবর্তী গঙ্গারামপুর গ্রামের কাবিল হোসেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেতা ও ৪ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করল ইবি
তিনি আরও বলেন, ফলন বিপর্যয়ের কারণে ঠিকমতো টাকা পরিশোধ করতে পারেননি কাবিল। এ অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে শাওনকে বাগান থেকে পেয়ারা সংগ্রহ করতে গেলে মুন্নাফ তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে শিকলে বেঁধে দফায় দফায় নির্যাতন চালায়।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন পুলিশের সহায়তায় দুপুর ২টায় শাওনকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেত্রী ও ৪ কর্মী বহিষ্কার
স্ত্রীর মামলায় ক্রিকেটার আল-আমিনের বিচার শুরু
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, মারধর ও বাসা থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
রবিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আল-আমিনের বিরেুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শুনালে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল
অপরদিকে, আসামির আইনজীবী আব্দুর রহমান সুমন অব্যাহতির আবেদন করেন।
দুপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। সাক্ষীর জন্য আগামী ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।
২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটার আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের লিখিত অভিযোগ করেন। পরদিন ২ সেপ্টেম্বর অভিযোগটি মামলা আকারে নথিভুক্ত করে মিরপুর মডেল থানা।
তদন্ত শেষে গত ২ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক সোহেল রানা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের সঙ্গে ইসরাত জাহানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত সংসারকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আল-আমিন তার স্ত্রী ইসরাতের কাছে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধ বাবদ ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নড়াইলের ৮ মাসের শিশুকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে বাবা আটক
নড়াইলের লোহাগড়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে এবং নিজের আট মাসের শিশু সন্তানকে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তের নাম মামুন শেখ (৩৩)।
জানা যায়, ওইদিন সন্ধ্যায় ঘটনা উল্লেখ করে শিশুটির মা লোহাগড়া থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা, আটক ১
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৩ বছর আগে মামুন শেখের সঙ্গে কুলসুম বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তিনটি সন্তান রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে স্বামী মামুন শেখ তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো।
এছাড়া, এক বছর আগে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই আরেকটি বিয়ে করে মামুন।
২৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) দুপুরে যৌতুকের টাকার জন্য মামুন আবার নির্যাতন করতে থাকে তার প্রথম স্ত্রীকে। কুলসুম বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকার কারলে বাড়ির পাশে নিজের আট মাসের শিশু সন্তানকে পায়ে রশি বেঁধে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে নির্যাতন করে। শিশুকে নির্যাতনের ওই ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্যাতিত নারী বাদি হয়ে শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেছেন। এছাড়া অভিযুক্ত মামুনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোসা. সাদিরা খাতুন বলেন, আমরা তাকে আটক করেছি। মামলা হয়েছে।
নড়াইলের ৮ মাসের শিশুকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে বাবা আটক
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিএনপির পদযাত্রা থেকে ২৫ নেতাকর্মী আটক