দম্পতি
আশুলিয়ায় দম্পতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সাভারের আশুলিয়ার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকার শামসুল হকের বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃতরা হলেন-নওগাঁর বান্দা থানার চককেশবপুর মন্ডলপাড়া এলাকার সামাদ মন্ডলের ছেলে সাইদুল মন্ডল (৩২) ও তার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন ববিতা (২৪)।
পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সাইদুল বিদেশে থাকতেন। কিছু দিন আগে তিনি দেশে এসেছেন। তার স্ত্রী ববিতা শামসুল হকের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী নাছের বলেন, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে তারা আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
পড়ুন: চাঁদপুরে কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, দম্পতি আটক
ফরিদপুরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র, মাদক ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই সময় কোতোয়ালি থানার মামুদপুর এলাকা থেকে এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- একই এলাকার গোলাম মোস্তফা (৪৬) ও তার স্ত্রী শ্যামলী রোকসানা (৪২)।
শনিবার বেলা ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং করে ফরিদপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার মামুদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পিস্তল, লোহার তৈরি দেশীয় ওয়ান শুটার গান, দুইটি স্টিলের ছোরা, দুইটি তলোয়ার ও একটি রামদা উদ্ধার করে। এছাড়া আট বোতল ফেনসিডিল ও মাদক বিক্রয়ের ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে হেরোইন-ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম জানান, মোস্তফাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি স্বীকার করে যে তার স্ত্রী ও একই এলাকার রিপন মিয়া (২৯) মিলে মাদকের ব্যবসা করে আসছেন। পরে রিপন মিয়াকে আটক করতে গেলে তিনি পালিয়ে যান। এ সময় তার বাড়িতে থাকা মাদক বিক্রয়ের ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইন পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে। শনিবার বিকালে তাদের আদালতে তুলে চার দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান ওসি।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ফেনসিডিল জব্দ, দম্পতিসহ আটক ৩
চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে দম্পতিসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ২০০ বোতল ফেনসিডিল জব্দের দাবি করেছে নৌপুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- ঢাকা ডেমরার ঠুলঠিলা এলাকার দিন ইসলামের ছেলে নাজিম উদ্দিন (৩২), তার স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার (২০) ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণের রামপুর এলাকার শরীফ মিয়ার ছেলে মো. সুজন (২০)।
আরও পড়ুন: নাটোরে ইমো হ্যাকিং চক্রের ৪ সদস্য আটক
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজাহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লঞ্চে উঠার আগ মুহূর্তে তাদের আটক করা হয়। ওই সময় তাদের সঙ্গে থাকা দুটি কাপড়ের ব্যাগ তল্লাশি করে ফেনসিডিলগুলো উদ্ধার করা হয়।
চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন শিকদার জানান, জব্দকৃত ফেনসিডিলের মূল্য আনুমানিক ১ লাখ টাকা। আটকদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলা, প্রবাসীসহ আটক ৪
এদিকে, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত সোয়া ১২টার দিকে একই স্থানে থেকে অর্থাৎ লঞ্চঘাটে অভিযান চালিয়ে দুই কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এই সময় পটুয়াখালীর চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের মাতারবুনিয়া গ্রামের নাঈম সর্দার (২২) কে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধেও থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্তণ আইনে মামলা হয়েছে।
বাগেরহাটে দম্পতির আত্নহত্যা!
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে এক দম্পতি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চর-গাড়ফা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত ওই দম্পতির নাম জনি শেখ (২২) ও নাহিদা আক্তার (১৮)। জনি শেখ বাগেরহাট জেলা মোল্লাহাট উপজেলার চর-গাড়ফা গ্রামের কালাম শেখের ছেলে এবং নাহিদা আক্তার একই উপজেলার পাশ্ববর্তী সরালিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের মেয়ে। জনি শেখ পেশায় একজন কৃষক।
নিহত জনি শেখের বড় ভাই রনি শেখ স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, জনি ও তার স্ত্রী একটি ঘরে বসবাস করতো। সকালে স্বজনরা ঘরে গিয়ে দেখতে পায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তারা দু’জন ঝুলছে। এসময় তাদের চিকিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। কয়েক মাস আগে নাহিদাকে তার ভাই বিয়ে করে বলে রনি জানায়।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাশ জানান, বসত ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ওই দম্পতি আত্নহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মৃতদেহ বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। তবে কি কারণে ওই দম্পতি আত্নহত্যা করেছে তার কারণ জানতে পারেনি ওসি।
আরও পড়ুন: দুই কন্যাশিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা!
টিভি দেখতে না করায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে শিশুর আত্মহত্যা!
প্রেমিকাকে দায়ী করে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যা!
দিনাজপুরে বৃদ্ধ দম্পতির গলা কাটা লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে স্বামী-স্ত্রীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের নিশা পলাশবাড়ী গ্রামে নিজেদের বাড়ির শোবার ঘর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- হাজী হাফিজুল ইসলাম (৭০) এবং তাঁর স্ত্রী ফেনসি বেগম (৫০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী ফেনসির সাথে নিজেদের শোবার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন বৃদ্ধ হাফিজুল । শুক্রবার সকালে উভয়কে ঘরের মধ্যে মৃত অবস্থায় প্রথমে দেখতে পান বাড়ির একজন গৃহকর্মী। এসময় মুখে কসটেপ লাগানোসহ পিঠমোড়া করা হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল ফেনসি বেগমের লাশ। পাশেই পড়ে ছিল হাফিজুল ইসলামের রক্ত মাখানো লাশ। স্বামী স্ত্রী উভয়কে গলা কেটে হত্যার পর লাশ ফেলে রেখে গেছে দুষ্কৃতকারীরা। খবর পেয়ে দুপুরে লাশ উদ্ধার করেছেন নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ।
ওসি জানান, সুরতহাল শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার কারণ জানতে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:যমুনার চোরাবালিতে ডুবে দিনাজপুর মেডিকেল ছাত্রের মৃত্যু
দিনাজপুর, ঝিনাইদহে সড়কে প্রাণ গেল ৪ জনের
দিনাজপুরের আলোচিত যুবলীগ নেতা মিল্টন কারাগারে
চট্টগ্রামে এক দম্পতির ‘আত্মহত্যা’
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক দম্পতি এক সঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড কুরমাইকুল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- এলাকার শাহ আলমের ছেলে প্রবাস ফেরত মো. ইসকান্দর (২৪) ও তার স্ত্রী রুমা আক্তার (২২)। স্বামী-স্ত্রী দুজন এক সঙ্গে এক রশিতে আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছর আগে ইসকান্দরের সাথে রুমা আক্তারের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১৫ মাস বয়সী এক ছেলে সন্তানও রয়েছে। ইসকান্দর কাতার প্রবাসী ছিল। গত ১০ আগস্ট সে দেশে ফিরেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় এএসআই নিহত
নিহত ইসকান্দরের মা ফিরোজা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে মাত্র তিনদিন আগে গত ১০ আগস্ট কাতার থেকে দেশে ফিরেছে। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে আমি আমার নাতিকে নিয়ে উঠানে খেলছিলাম। পরে ঘরে এসে তাদের রুম বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করি। কিন্তু তাদের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালা খুলে দেখি তারা দু’জনেই ফাঁসিতে ঝুলে আছে। পরে এলাকার মানুষজন ডেকে দরজা ভেঙে তাদের ফাঁসি থেকে নামাই।’
নিহত গৃহবধূর বাবা জামাল উদ্দিন জানান, ‘দুপুর ৩টার দিকেও আমার মেয়ের সাথে মুঠোফোনে কথা হয়েছিল। মেয়েকে বেড়াতে আসতে বলেছিলাম। তারা পরে আসবে বলে জানায়। এরপর রাত হতেই শুনি এই ঘটনা।’
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, আমার মেয়েকে প্রায়শই তার দেবর আরিফ (২০) নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিতো। এই নিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে সতর্ক করা হয়েছে। আমার ধারণা তারা আমার মেয়েকে হত্যা করে এভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ চট্টগ্রামে মডার্না ও সিনোফার্মের টিকা দেয়া বন্ধ
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম জানান, কি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি। আমরা এসে তাদের মুখে শুনেছি, দু’জনেই এক ওড়নায় একই কক্ষে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। শ্বাশুড়ি এলাকাবাসীকে নিয়ে দরজা ভেঙে তাদের লাশ নামিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনা তদন্ত করে দেখছি। তবে দু’জনে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত দুজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। কি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।’
পঞ্চগড়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে এক দম্পতি
রাগের বশবর্তী হয়ে তালাক দেয়ার পর হিল্লা বিয়ে না দিয়ে আবার বিয়ে করায় সমাজচ্যুত হয়ে এক ঘরে হয়ে থাকা আয়নাল হক ও জমিরন বেগম দম্পতি প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিত জীবনে ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আয়নাল হকের বাড়িতে এই দম্পতি একসাথে বসবাস শুরু করেছে। তাদের বাড়িতে পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনরা আসতে শুরু করেছেন।
দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকালে ছলিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানীয় সমাজের সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ওই দম্পত্তির ওপর সকল প্রকার বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
ভুক্তভোগী আয়নাল হক জানান, কয়েক মাস আগে নিজেদের মধ্যে রাগারাগি হয়ে দুইজনই মৌখিকভাবে তিন তালাক দেন। পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তারা এক মাওলানার মাধ্যমে আবার বিয়ে করেন।
কিন্তু স্থানীয় মুফতি হাফেজদের কথায় এলাকার প্রভাবশালীরা তার স্ত্রীকে হিল্লে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। হিল্লার জন্য পাত্রও ঠিক করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ওসি প্রদীপ দম্পতির সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে নিতে নির্দেশ
হিল্লে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় গত দুই থেকে তিন মাস ধরে তাদেরকে একঘরে করে রাখা হয়। সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া এই দম্পতিকে। এমনকি নিজের সন্তানদেরকেও বাবা মায়ের সাথে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি।
আয়নাল বলেন, আমাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। ঈদে এক টুকরো কোরবানির মাংসও মিলেনি। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী আমির চাঁন আমার বাড়ির চলাচলের রাস্তাও কেটে দিয়েছে। সামাজের ভয়ে কেউ আয়নালকে কাজেও নেয়নি। দুইতিন মাস তাদের বেকার হয়ে খেয়ে না খেয়ে বাড়িতেই কাটাতে হয়েছে।
বিষয়টি মিমাংসার জন্য সামাজপতিদের দ্বারে দ্বারে সহানুভূতি চেয়ে অনুরোধ করলেও কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও বিষয়টি সমাধান করতে ব্যর্থ হন।
তিনি জানান, অবশেষে চেয়ারম্যানের পরামর্শে জরিমন বেগম- হাফেজ মোস্তফা কামাল, ব্যবসায়ী শাহজাহান আলী, নাসিরউদ্দিন, আমির চাঁন, জুলহাস, সহিদ আলী, রাসেল ইসলাম, আমিনুর ইসলাম, মুফতি আনোয়ার হোসাইন, সুরমান আলীর নামে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সুন্দরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র রায় বলেন, আমি মুসলিম ধর্ম সম্পর্কে তেমন জানি না। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি সমাধান করে দিতে বলেছিলাম। কেউ আমার কথা শোনেনি। পরিবারটি আমার কাছে গেলে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেই।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল হোসেন জানান, ওই এলাকায় কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও ধর্মান্ধ কিছু মানুষ রয়েছে। তারা একটি হিল্লে বিয়েকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। এ ঘটনায় ইন্ধনদাতা ও ফতোয়াদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এ বিষয়ে কেউ যদি অশান্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চায় তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: আউয়াল দম্পতির ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ নিয়ে হাইকোর্টের রুল
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যয় হাসান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজপতিদের নিয়ে ছলিমনগর স্কুলে বৈঠকে বসেছিলাম। কোরআন হাদিসের আলোকে তালাক কিভাবে হয় বা হয় না এ বিষয়টি উপস্থিত সকলকে বুঝাতে পেরেছি। বৈঠকে উপস্থিত সকলেই তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। এরপর আমরা ওই দম্পত্তিকে সমাজে ফিরিয়ে দিয়েছি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক দম্পতিসহ নিহত ৩
জেলার বিজয়নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক দম্পতিসহ তিনজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের আমতলা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার চাঁন মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া (৩৫), তার স্ত্রী শিরিন বেগম (২৮) এবং প্রাইভেটকার চালক কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ এলাকার মন্টু মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩২)।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় সংসদ সদস্যসহ আহত ২
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে একটি পণ্যবাহী ট্রাক মহাসড়কের আমতলা এলাকায় পার্কিং করা ছিল। এ সময় সিলেট অভিমুখী একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্কিং করা ট্রাকের সাথে সজোরে ধাক্কা খেলে প্রাইভেটকারটি সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
আরও পড়ুন: বাঘাইছড়িতে চাঁদের গাড়ি উল্টে নিহত ১, আহত ২
ঘটনাস্থলেই সাগর মিয়া ও শিরিন বেগম দম্পতি নিহত ও চারজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে প্রাইভেটকারের চালক বিল্লাল হোসেন মারা যান।
আরও পড়ুন: খুলনা-যশোর মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বগুড়ায় দম্পতিসহ দগ্ধ ৪
বগুড়ার শেরপুরের একটি বসতবাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর কলোনি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
বিস্ফোরণে দগ্ধরা হলেন, মহিপুর কলোনি গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৫৫), তার স্ত্রী হেলেনা বেগম (৪৮), ছেলে নুরুজ্জামান (৩১) ও প্রতিবেশী মোতাহার হোসেনের স্ত্রী আমেনা খাতুন (৪৬)।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা রতন হোসেন জানান, মহিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন স্থানীয় বাজার থেকে একটি নতুন গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে বাড়িতে যান। এরপর রান্নাঘরে গিয়ে চুলার সঙ্গে গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগ দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তিনিসহ তার পরিবারের তিনজন দগ্ধ হন। আর তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে প্রতিবেশী এক নারী দগ্ধ হন।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
দগ্ধ আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি চুলার সঙ্গে গ্যাস সিলিন্ডারে সংযোগ দেয়া মাত্রই বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই পুরো রান্নাঘরে আগুন লেগে যায়।
শেরপুর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানান এই চিকিৎসক।
বিয়ের দেনমোহর যখন এক টাকা
ফরিদপুরে কনে ও তার পরিবারের প্রস্তাবে এক টাকা দেনমোহরে কাবিন ও বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।