তদন্ত
ফারদিনের মৃত্যু: অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১ অক্টোবর
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় রামপুরা থানায় দায়ের করা মামলাটির অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন দিন ধার্য করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন ১৪ ফেব্রুয়ারি
গত ১৬ এপ্রিল ডিবি পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলার বাদী নূর উদ্দিন রানার নারাজির আবেদন মঞ্জুর করে সিআইডিকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।
নিখোঁজের ৩ দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। পরে ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদি হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন। মামলায় নিহতের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
মামলার পর ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে বুশরা জামিনে আছে।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা মামলা: নারাজি দিতে সময়ের আবেদন বাবার
ফারদিন হত্যার তদন্তে অগ্রগতি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: র্যাব
বিমানে পাইলট নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ
পাইলট নিয়োগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিয়ম-নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই অনিয়ম তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করতে বলেছেন আদালত।
এই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বিমানের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সিভিল এভিয়েশনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে যুক্ত করতে বলেছেন আদালত।
রবিবার (১৩ আগস্ট) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে পাইলট নিয়োগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের আন্তর্জাতিক ও নিজস্ব নিয়মনীতির লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়।
আরও পড়ুন: সুজনের হাফিজ-বদিউলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার আবেদন
একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতে রবিবার রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।
এর আগে পাইলট নিয়োগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস আন্তর্জাতিক ও নিজস্ব নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করেছে, এমন অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন কমিটি গঠন করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
জনস্বার্থে গত ২৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছিল। নোটিশ পাওয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় রিটটি করা হয়।
রিটে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।
রিটে পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) পাইলট নিয়োগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস আন্তর্জাতিক ও নিজস্ব নিয়মনীতি চরম লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করে।
পাইলট হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে বিমানের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যকে। বিমানের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে এই নিয়োগের তদন্ত চায় বাপা।
এর আগে বিষয়টি তদন্তের দাবি করে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বরাবর একটি চিঠি জমা দেয় বাপার নির্বাহী কমিটি। একইভাবে এর প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে বিমানের প্রশাসন ও ফ্লাইট অপারেশন বিভাগের পরিচালকদের কাছে।
পাইলট নিয়োগে অনিয়ম তুলে ধরে ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন পত্রিকায় বিমানের পাইলট নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে।
বাপার পর্যবেক্ষণেও দেখা গেছে, নিয়ম ভেঙে পাইলট নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া নিয়োগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিমানের ট্রেনিং বিভাগের প্রধানকে। যার নিজের স্ত্রী পাইলট হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এটি নিয়মের চরম লঙ্ঘন।
আরও পড়ুন: আদালত পরিবর্তন চেয়ে জাপানি দুই শিশুর বাবার আবেদন খারিজ
এদিকে বাপা বলেছে, পাইলট নিয়োগে বিমান ও বাপার মধ্যে একটি চুক্তি রয়েছে। তবে নিয়োগের সময় এই চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে। নিয়োগের সময় বাপার মতামতকে পাত্তা দেওয়া হয়নি।
বিমানের বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজ চালনার জন্য নতুন করে কোনো পাইলট নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তবে বিমানের পক্ষ থেকে এই উড়োজাহাজের জন্য ক্রু নিয়োগের সার্কুলার দেওয়া হয়। ক্রুদের বাছাই করে ট্রেনিং দেওয়ার মেইল পাঠানো হয়েছে।
একজন ব্যক্তি ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে বিমানের ফার্স্ট অফিসার পদে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি সিম্যুলেটর ট্রেইনিং করেননি। পরবর্তী সময়ে বিমানের খরচে তাকে ট্রেনিং করতে পাঠানো হয়েছে যা সম্পূর্ণ অপচয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বিমানের চরম গাফিলতির কারণে বোয়িং-৭৮৭ ফ্লাইটের ক্রুদের বিদেশে গিয়ে জেডএফটিটি এবং পিপিসি নামের দুইটি ট্রেনিং রিটেক করতে হচ্ছে, যা বিমানের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপচয়ের অন্যতম কারণ। বোয়িং-৭৭৭ এর জুনিয়র পাইলটকে পাইলটদের প্রশিক্ষক বানানো হয়েছে যা অনৈতিক। এটি সিনিয়র পাইলটদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
অনিয়মের কারণে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছ থেকে বিমান বাংলাদেশ সতর্কতা চিঠি (ওয়ার্নিং লেটার) পেয়েছে। এটি একটি এয়ারলাইনসের জন্য বিব্রতকর বিষয়।
বিমানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মেয়েকে পাইলট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ট্রেনিংয়ের সময় ওই নারী পাইলটের সাধারণ জ্ঞান কম থাকায় তাকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে ওই পাইলটের পক্ষে বোয়িং-৭৭৭ এর ট্রেনিং নেওয়াও কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
বাপা জানায়, বাপা চায় বিমানে দক্ষ পাইলট নিয়োগ দেওয়া হোক। পাইলট নিয়োগে সব নিয়মনীতি মানা হোক, যা বিমানকে উচ্চমানের একটি এয়ারলাইনসে পরিণত হতে সাহায্য করবে। এ জন্য বাপা পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করার দাবি করছে।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
চট্টগ্রামে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ডিসিকে তদন্তের নির্দেশ
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে লিখিত মতামত পাঠানোর জন্য জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
রবিবার (১৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের অনুকূলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সহকারী সিনিয়র সচিব জেসমীন প্রধানের সই করা এক নোটিশের মাধ্যমে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার ১১ নম্বর মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে মিরসরাই থানায় একটি মামলার দায়ের করা হয়। ওই অভিযোগ আদালতে গৃহীত হয়েছে কি না তা জানিয়ে সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করে মতামত পাঠানোর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউএনও’র ওপর হামলার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ৪
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন মিরসরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচার চালায়।
প্রচারের এক পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা মঘাদিয়া ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু শিল্প জোনগামী মিয়াপাড়া চার রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয় ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
ঘটনার পরদিন আহত যুবলীগকর্মী মো. আছিফুল রহমান শাহীন বাদি হয়ে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মিরসরাই থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: জামালপুরে সাবেক ইউপি সদস্য খুন
চট্টগ্রামে দায়িত্বে অবহেলা করার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
সাগর-রুনি হত্যা: ১০০ বারের মতো পেছালো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ আবারও পিছিয়েছে। এ নিয়ে ১০০ বার পেছালো প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ।
সোমবার (৭ আগস্ট) আলোচিত এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
আরও পড়ুন: ৯৮ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
কিন্তু মামলাটির তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেন।
শেরে বাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান। এদিকে মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি ৮ জন।
অপর আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ৯৭ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
সাগর-রুনি হত্যা: ৯৪ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
‘এস আলমের আলাদিনের চেরাগ’ নিয়ে ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন: অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
অনুমতি ছাড়া বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তর নিয়ে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া দেশের বাইরে অর্থ পাঠানোর মাধ্যমে মানি লন্ডারিং হয়েছে কি না, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে অর্থ বাইরে পাঠানো হয়েছিল কি না, তা জানিয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে এই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
‘এস আলমের আলাদিনের চেরাগ’ শিরোনামে গত ৪ আগস্ট ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রবিবার (৬ আগস্ট) হাইকোর্টের নজরে আনেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এরপর বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে মানি লন্ডারিং রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের অভিযোগ অনুসন্ধানে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার সাজার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন, সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবীদের দু’পক্ষের সংঘর্ষ
আদালতে ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনটি তুলে ধরে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী সায়েদুল হক। দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ শুনানিতে অংশ নেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট দ্য ডেইলি স্টার ‘এস আলমের আলাদিনের প্রদীপ’- শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার কোনো রেকর্ড নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ পর্যন্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে দেশের বাইরে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে। তবে চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়িক জায়ান্ট এস আলম গ্রুপ সেই তালিকায় নেই।
এতে আরও বলা হয়, তবে আলম সিঙ্গাপুরে গত এক দশকে কমপক্ষে দুটি হোটেল, দুটি বাড়ি, একটি বাণিজ্যিক স্পেস এবং অন্যান্য সম্পত্তি কিনেছেন। সেখানেও বিভিন্ন উপায়ে কাগজপত্র থেকে তার নাম মুছে ফেলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নথি অনুযায়ী, ‘ ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশ থেকে ৪০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে বিনিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তবে, এই পরিমাণ অর্থ ২০০৯ সালের পর সিঙ্গাপুরে এস আলমের কেবল দুটি হোটেল ও একটি বাণিজ্যিক স্পেস কেনা ৪১১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দশ ভাগের এক ভাগ মাত্র।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নথিতে আরও দেখা যায় এখন পর্যন্ত কয়েকটি কোম্পানি বৈধভাবে সিঙ্গাপুরে মোট ১ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে এবং সেগুলোর একটিও আলমের মালিকানাধীন নয়।’
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন প্রশ্নে রুল ২ সপ্তাহে নিষ্পত্তির নির্দেশ
দুর্নীতি মামলায় তারেকের ৯ বছর, জোবাইদার ৩ বছরের কারাদণ্ড
মামলাগুলো সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করুন: পুলিশ সদর দপ্তর
প্রকৃত অপরাধীরা যাতে খালাস না পায় সেজন্য মামলাগুলো সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
রবিবার বিকালে অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় (এপ্রিল-মে/২০২৩) এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম প্রতিটি সড়ক দুর্ঘটনা রেকর্ড করার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: জানাজায় জনস্রোত: পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটি গঠন
সমস্ত মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) অনলাইনে বৈঠকে যোগ দেন। এ সময় পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) জয়দেব কুমার ভদ্র, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. হায়দার আলী খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গত ঈদুল ফিতরে জনগণের ঈদ ভ্রমণ ছিল আরামদায়ক ও নিরাপদ।
আসন্ন ঈদে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ভুয়া এএসপি গ্রেপ্তার, পুলিশ সদর দপ্তরের জাল চিঠি উদ্ধার
সভায় আসন্ন ঈদকে লক্ষ্য করে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, কোরবানির পশু পরিবহন নিরাপদ ও স্বাভাবিক রাখা, পশুর বাজারের নিরাপত্তা প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় এপ্রিল-মে/২০২৩ মাসে দেশের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন ডাকাতি, ডাকাতি, চুরি, চুরি, খুন, মৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার ইত্যাদি পর্যালোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হত্যার রহস্য উদঘাটন করুন: পুলিশ সদর দপ্তর
দেশে দেশে পাচার বায়োফার্মার টাকা দুদক ও এনবিআরকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
‘বায়োফার্মা লিমিটেড’ নামের ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে দেশে দেশে টাকা পাচার ও কর ফাঁকির যে অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও জাতীয় রজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে (এনবিআর) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।
রবিবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দেশে দেশে পাচার বায়োফার্মার টাকা’-শীর্ষ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
জানা গেছে, একইসঙ্গে রিট আবেদকারী ডা. মোর্শেদ উদ্দিন আকন্দ এবং ডা. জাহাঙ্গীর আলমকে বরখাস্তের বিষয়ে দেওয়া আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং এই দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুস সালাম মামুন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মো. সাইফুদ্দিন খালেদ।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল ‘দেশে দেশে পাচার বায়োফার্মার টাকা’- শিরোনামে ওই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, দেশে মন্ত্রী-এমপি, রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সঙ্গে দহরম-মহরম সম্পর্ক। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তোলা হাস্যেজ্জ্বল ছবি দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও; কিন্তু লন্ডনে স্ত্রীর জন্য চেয়েছেন রাজনৈতিক আশ্রয়। শুধু তাই নয়, লন্ডনে কোম্পানি খুলে ব্যবসাও করছেন। কয়েকটি দেশে তৈরি করেছেন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের জন্য দেশ থেকে অবৈধ চ্যানেলে নেওয়া হয়েছে বিপুল অংকের টাকা। বিদেশে টাকা পাচার করে বিত্ত-বৈভবে ফুলেফেঁপে উঠলেও যেই কোম্পানির হাত ধরে এত কিছু, সেই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে রুগ্ন দশায়।
আরও পড়ুন: যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা,প্রকল্পের সব নথি হাইকোর্টে তলব
গত ১৫ বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়নি বার্ষিক সাধারণ সভা। ২২ বছর ধরে দেওয়া হয় না কোনো লভ্যাংশ। এ সময়ে মোট পণ্য বিক্রির ৪০ শতাংশ কম দেখিয়ে শত শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। কোম্পানির অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে এসব অনিয়মের চিত্র। এমন নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত প্রতিষ্ঠানটি হলো বায়োফার্মা লিমিটেড। ওষুধ শিল্পে একসময়ে নেতৃত্ব দেওয়া এ প্রতিষ্ঠানটি এখন টিকে থাকার লড়াইয়ে।
ধারাবাহিক অনিয়মে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের মূল কারিগর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ডা. লকিয়ত উল্লাহ। কাগজে-কলমে ডিএমডি হলেও তিনিই প্রতিষ্ঠানটির সর্বেসর্বা। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘বায়োফার্মা লিমিটেড’ নামের ওষুধ কোম্পানিটি। ১৯৯৯ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে পাস করা কয়েকজন চিকিৎসক কিনে নেন প্রতিষ্ঠানটি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিটি নতুনভাবে যাদের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় তাদের বেশিরভাগই জামায়াতের নেতাকর্মী। পরে এটিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করা হয়। সাধারণ শেয়ারহোল্ডার হিসেবে যাদের নেওয়া হয়, তাদের বেশিরভাগই উদ্যোক্তাদের ‘নিজের লোক’।
বায়োফার্মার নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, নতুনভাবে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কোম্পানির বতর্মান ৯ পরিচালক ঘুরেফিরে আছেন পরিচালনা পরিষদে। সাবেক চেয়ারম্যান এন এ কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে বেশকিছু সরকারবিরোধী মামলা রয়েছে। তিনি ২০১৯ সালে পালিয়ে স্থায়ীভাবে আমেরিকা চলে যান। এরপরও রয়ে গেছেন উপদেষ্টা হিসেবে।
বর্তমানে চেয়ারম্যান পদে আছেন শেয়ারহোল্ডার নাছিমা বেগম ঝুমুর প্রতিনিধি হিসেবে তার স্বামী ডা. শাহাবুদ্দিন আহমদ। ১৮ বছরের সাবেক এমডি ডা. আনোয়ারুল আজিম এখন ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে। আর ডিএমডি ডা. লকিয়ত উল্লাহ শুরুতে ছিলেন নির্বাহী পরিচালক (মার্কেটিং)। তারা তিনজনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চবি) শিক্ষার্থী ছিলেন।
বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে আছেন ডা. মো. মিজানুর রহমান। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) শিক্ষার্থী ছিলেন।
অন্য পরিচালকরা হলে- ডা. জহির উদ্দিন মাহমুদ, ডা. আলী আশরাফ খান, শেয়ারহোল্ডার নাজমা হকের প্রতিনিধি ও তার স্বামী ডা. ফজলুল হক মজুমদার এবং সাইফুল আমিন। তারা প্রত্যেকেই জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বে রয়েছেন।
তাদের মধ্যে আলী আশরাফ নারায়ণগঞ্জ থেকে জামায়াতের হয়ে সংসদ নির্বাচনও করেছিলেন। জামায়াত সমর্থিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের (আইবিডব্লিউএফ) মহাসচিবের দায়িত্বে আছেন বায়োফার্মার ভাইস চেয়ারম্যান ডা. আনোয়ার।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন কেসিসির মেয়র প্রার্থী মুশফিকুর
কেনিয়ায় যাজকের সাধনা তদন্তে ৩৯ জনের লাশ উত্তোলন
কেনিয়ার উপকূলীয় এলাকায় এক যাজকের মালিকানাধীন জমিতে এখনও পর্যন্ত ৩৯টি লাশ পাওয়া গেছে। অনুসারীদের আমৃত্যু উপবাসের নির্দেশনা দেয়ার অভিযোগে ওই যাজককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।
মালিন্দি সাব-কাউন্টির পুলিশ প্রধান জন কেম্বোই বলেছেন যে ধর্মযাজক পল মাকেঞ্জির জমিতে আরও অগভীর কবর এখনও খনন করা হয়নি। গত ১৪ এপ্রিল ধর্মান্ধতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মোট মৃতের সংখ্যা ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। কারণ, গত সপ্তাহে গুড নিউজ ইন্টারন্যাশনাল চার্চে আরও অনেকে অনাহারে থাকার পর তাদের চারজন মারা গেছে।
আরও পড়ুন: সুদানের সেনাবাহিনী ও প্রতিপক্ষ বাহিনীর লড়াইয়ে নিহত ৫৬
তার অনুগামীদের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত থাকায় মাকেঞ্জিকে আরও বেশি সময় আটকে রাখার জন্য আদালতের অনুমতি চেয়েছে পুলিশ।
জনসাধারণের কাছ থেকে একটি তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মালিন্দিতে যাজকের সম্পত্তিতে অভিযান চালায়। এসময় তারা ১৫ জন অনাহারী ব্যক্তিকে খুঁজে পেয়েছিল। পরে তাদেরও চারজন মারা যায়। অনুগামীরা বলেছিলেন যে তারা যীশুর সঙ্গে দেখা করার জন্য যাজকের নির্দেশে অনাহারে ছিল।
পুলিশ বলেছিল যে শুক্রবার খনন শুরু হয় এবং মাকেঞ্জির খামার জুড়ে কয়েক ডজন অগভীর কবর ছড়িয়ে রয়েছে।
পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় মাকেঞ্জি গত চার দিন ধরে অনশন করছেন।
২০১৯ সালে এবং চলতি বছরের মার্চ মাসে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনায় এর আগে দু’বার যাজককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। প্রতিবার তাকে বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল এবং উভয় মামলা এখনও আদালতে চলমান।
স্থানীয় রাজনীতিবিদরা মালিন্দি এলাকায় ধর্মের প্রসারের নিন্দা জানিয়ে আদালতকে এবার তাকে মুক্তি না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
কেনিয়াতে সাধনা প্রচলিত, যেখানে একটি প্রধানত ধর্মীয় সমাজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে চরমপন্থীদের হামলায় নিহত ৪৪
ফারদিনের মৃত্যু: সিআইডিকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ আদালতের
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর মামলাটি সিআইডিকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে ডিবি পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলার বাদী নুর উদ্দিন রানার নারাজি দাখিল করেন।
আদালত নারাজির আবেদন মঞ্জুর করে সিআইডিকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ফারদিনের মৃত্যু: স্থায়ী জামিন পেলেন বুশরা
আগামী ২৪ মে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিনদিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে বুয়েটের ছাত্র ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ।
পরে ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা মামলা: নারাজি দিতে সময়ের আবেদন বাবার
খুলনায় চিকিৎসক-পুলিশ দ্বন্দ্বের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
খুলনায় চিকিৎসক ও পুলিশ সদস্যের মধ্যে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ২৮ মার্চ মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উদ্যোগে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। শনিবার খুলনা সার্কিট হাউসে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য শুনবে তারা।
ওই ঘটনায় দায়ের মামলার বাদী-বিবাদীদের ডেকে পাঠিয়ে চিঠি দেওয়ায় বৃহস্পতিবার বিষয়টি প্রকাশ পায়।
আরও পড়ুন: খুলনায় আ.লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
চার সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব মীর আবুল ফজল, সদস্য সচিব খুলনার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইউসুপ আলী।
সদস্যরা হলেন- পুলিশের একজন অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ও চিকিৎসক নেতা অধ্যাপক শহিদুল হক।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর ‘হক নার্সিং হোম’ নামের একটি ক্লিনিকে ডা. নিশাত আবদুল্লাহকে মারধর করেন পুলিশের এএসআই নাঈমুজ্জামান। ওই ঘটনায় নাঈমুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে টানা চার দিন কর্মবিরতি পালন করেন খুলনার চিকিৎসকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা। নাঈমুজ্জামান সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। চিকিৎসকদের দাবির মুখে তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
ডা. নিশাতকে মারধর ও হাসপাতাল ভাঙচুরের অভিযোগে ২৮ ফেব্রুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা হয়। এতে এএসআই নাঈমুজ্জামান ও তার স্ত্রী নুসরত আরা ময়নাকে আসামি করা হয়। অন্যদিকে সাত বছরের মেয়ের অঙ্গহানি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে নিশাত আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেন নুসরত আরা।
৯ মার্চ মামলা দুটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান চিকিৎসক নেতারা।
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ইউসুপ আলী জানান, দুই মামলার বাদী-বিবাদীসহ সংশ্লিষ্টদের শনিবার সকাল ১০টায় সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘পুলিশের ওপর হামলার’ ঘটনায় বিএনপির ৮০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
জনবল ও যন্ত্রপাতির সংকটে খুলনা বিভাগের ফায়ার সার্ভিস, ব্যাহত কার্যক্রম