মুক্তিযোদ্ধা
জাবির সাবেক ভিসি আলাউদ্দিন আহমেদ আর নেই
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক উপাচার্য আলাউদ্দিন আহমেদ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আহমেদ বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি ১৯৯৮ সালের ১৮ জুলাই থেকে ১৯৯৯ সালের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাবিতে ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ছিলেন।
এছাড়াও তিনি কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আলাউদ্দিন ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
১৯৪৭ সালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণকারী আলাউদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে ১৯৭১ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি ১৯৭৩-১৯৭৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আলাউদ্দিন আহমেদ ১৯৭৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাবি’র ভিসি ড. মোহাম্মদ নুরুল আলম।
পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাবেক মন্ত্রী গোলাম মোস্তফা আর নেই
নড়াইলে মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার
নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও মু্ক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নড়াগাতী থানার গন্ধবাড়িয়া গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নালা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শেখ আবু তালেব (৭৫) নড়াগাতি থানার মাউলী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
শেখ আবু তালেবের পরিবারের সদস্যরা জানান, স্থানীয় মাদরাসা পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে আবু তালেবের সদস্যরা জয়লাভ করায় প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করে ড্রেনে ফেলে দিয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে ময়নাতদন্তের জন্য ওই রাতেই আবু তালেবের লাশ নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করা হয়। এক পর্যায়ে গ্রামের মসজিদের মাইকে আবু তালেবের নিখোঁজের বিষয়টি ঘোষণা দেয়া হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে গন্ধবাড়িয়া সড়কের পাশের নালায় তার লাশ স্থানীয়রা দেখতে পায়।
আবু তালেবের ভাইপো মাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ বাচ্চু বলেন, আমার চাচাকে হত্যা করা হয়েছে। ১৪ নভেম্বর ইসলামপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা নির্বাচনে আমার চাচার প্যানেল জয়লাভ করে। পরাজিত প্রার্থীরা আমার চাচাকে হত্যা করেছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।
মাউলি ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আশরাফুল আলম বলেন, ইসলামপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে একটি প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু তালেব। অন্য প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন তবিবুর রহমান মণ্ডল। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নির্বাচনে আবু তালেবের প্যানেল জয় লাভ করে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার দিনক্ষণ নির্ধারণ ছিল। নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা আবু তালেবের পক্ষে বেশি হওয়ায় তিনি (আবু তালেব) সভাপতি হতেন। মাদরাসার আহ্বায়ক কমিটির সভাপতিও আবু তালেব ছিলেন। তিনি (আবু তালেব) এবার যেন সভাপতি হতে না পারেন, সেজন্য প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করে থাকতে পারে।
নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল গফুর বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন করেছে।
তিনি বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য নড়াইল সদর হাসপতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ঠিকানা বিহীন গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার!
রাজশাহীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসব মুখর পরিবেশে সোমবার দিনব্যাপী গ্রাম বাংলার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হয় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বরইচারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে।
প্রথমে ঢাক-ঢোল, কাঁশিসহ অন্যান্য বাদ্য যন্ত্র বাজতে থাকে। এর পর বাদ্যের তালে তালে লাঠিয়ালরা বাঁশের লাঠি ঘুরাতে ঘুরাতে মাঠে প্রবেশ করেন। শক্ত হাতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে ভেলকি ও কেরামতি দেখাতে থাকেন। এসব দেখে মুগ্ধ নানা বয়সী শতশত দর্শক। লাঠিয়ালদের উৎসাহ দিতে তারা দুহাতে তালি দিচ্ছেন।
৩১ অক্টোরব ইউনিয়নের বিল বরইচারা যুদ্ধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী এ লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। দিনটি উদযাপন উপলক্ষে বিল বরইচারা স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে পতাকা উত্তোলন, দোয়া, স্মৃতিচারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল।
বিল বরইচারা অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের অধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাবের সভাপতত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধকালীন জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম আবুল মনসুর মজনু, যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানসহ আরও অনেকে।
বাস্তবে স্বামী-স্ত্রী হলেও কাগজ কলমে ভাই-বোন!
স্বামী-সন্তান সবই আছে, প্রতিবেশিরাও জানেন তারা স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু কাগজে-কলমে তারা হলেন ভাই-বোন।
মুক্তিযোদ্ধার কোটা এবং সরকারি সুযোগ সুবিধা পেতে এমন ব্যতিক্রম ঘটনাটি ঘটিয়েছে এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
অভিনব প্রতারণার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য।
এর আগে নিজের ভাইকে ভোটার আইডি এবং শিক্ষা সনদ জালিয়াতি করে বাংলাদেশ রেলওয়েতে মুক্তিযোদ্ধার কোটায় চাকরি নিয়ে দেয়ার ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের কুটিনাওডাঙ্গা আমিরটারী তালবেরহাট গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আইনুল হক ও জমিলা বেগম দম্পতির বাড়ি।
তাদের ছেলে-মেয়ে আটজনের মধ্যে বড় ছেলে আনিছুর রহমান। সে রংপুর বেতারে অফিস সহায়ক পদে চাকরি করেন।
২০০৭ সালে আনিছুর জেলার উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুরা গ্রামের বাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত রবিউল ইসলাম-আছমা বেগমের মেয়ে সোনালী খাতুনকে বিয়ে করেন। সোনালী খাতুন সাত ভাই বোনের মধ্যে ছোট।
আনিছুর-সোনালী খাতুনের সংসার জীবনে তাদের ঘরে রয়েছে ১২ বছরের বড় ছেলে স্বাধীনসহ আরও জমজ দুই সন্তান।
বিয়ের পর সোনালী খাতুন তথ্য গোপন করে শ্বশুর-শাশুড়ি নিজের মা-বাবা দেখিয়ে ২০১৪ সালে ভোটার হন। এর আগে উপজেলার সাপখাওয়া দাখিল মাদরাসায় ২০১০-১১ সেশনে অনিয়মিত শিক্ষার্থী হিসাবে ভর্তি হন। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতিকে মা-বাবা দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন। এই মাদরাসা থেকে সোনালী খাতুন ২০১৩ সালে জিপিএ-২.৯৪ পেয়ে এসএসসি পাশ করেন।
ভোটার হওয়ার সময় সোনালী খাতুন তার এসএসসি সনদ, জন্ম নিবন্ধন, শ্বশুর বাড়ির ঠিকানা এবং মুক্তিযোদ্ধাকে নিজের মা-বাবা এবং ২৫ মে, ১৯৯৪ সাল জন্ম তারিখ দেখিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন।
এই বিষয়ে প্রতিবেশি হযরত আলী ও বেলাল বলেন, এনআইডিতে থাকা ছবি সোনালী খাতুনের। সে আনিছুর রহমানের স্ত্রী। তাদের ঘরে তিনটি সন্তান রয়েছে।
প্রতিবেশি রাসেদ বলেন, নিজের বৌকে কেন বোন বানিয়েছে তা তো আমরা জানি না। এই বিষয়টি আগে জানতাম না। আজই প্রথম দেখলাম।
অসৎ উদ্দেশ্য ছাড়া এমনটি কেউ করতে পারে না।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বন্ধ ঘরে স্বামী-স্ত্রীর লাশ
সন্তোষপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশ জহুরুল হক বলেন, আনিছুর রহমান আমার বাল্য কালের বন্ধু। সোনালী খাতুন আনিছুরের স্ত্রী। সে উলিপুর উপজেলায় বিয়ে করেছে। সোনালীর বাবার বাড়ি সেখানেই। ভোটার আইডিতে সোনালী খাতুনের মা-বাবার জায়গায় আনিছুরের মা-বাবার নাম ব্যবহার করেছে এ ঘটনা আমি জানি।
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: সহিদুর রহমানের জামিন আবেদন খারিজ
আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। সহিদুর রহমান খান মুক্তির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় রানার জামিন আপিলে বহাল
এর আগে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ গত ১০ ফেব্রুয়ারি মুক্তিকে জামিন দেন। পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি তার অন্তবর্তী জামিন বাতিল করেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ২৭ এপ্রিল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মুক্তিকে জামিন দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে। ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। পরে হাইকোর্ট চূড়ান্ত শুনানি করে আজ রুল খাজির করে রায় দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়। এ ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে এ দুজনের দেয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলা: আলমগীরের জামিন স্থগিত
এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তার অপর তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান খান মুক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় তিন বছর হাজতবাসের পর তিনি জামিন পেয়ে মুক্ত আছেন। তাদের অপর দুই ভাই এখনও আত্মগোপনে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: এমপি রানার জামিন ফের নামঞ্জুর
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: এমপি রানার জামিন নামঞ্জুর
বিশ্ব রেকর্ড গড়তে সাঁতার শুরু করেছেন ৭০ বছরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্র
বিশ্ব রেকর্ড গড়তে সিলেট থেকে ২৮৫ কিলোমিটার সাঁতার শুরু করেছেন ৭০ বছর বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য। সোমবার সকাল ৭টায় নগরীর সুরমা কিনব্রিজ পয়েন্ট সংলগ্ন চাঁদনিঘাট থেকে সাঁতার শুরু করেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ৭০ বছর বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা।
এই যাত্রায় তিনি সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ-এই চার জেলা আংশিক বা সম্পূর্ণ অতিক্রম করবেন।
২৮৫ কিলোমিটার সাঁতরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব ফেরিঘাটে পৌঁছাতে তার প্রায় ৭০ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করছের এই মুক্তিযোদ্ধা।
সিলেট জেলা নৌপুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির আহমদ জানান, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, নৌ-পুলিশসহ সিভিল সার্জনের একাধিক টিম তার সঙ্গে আছে। পানিতে অবস্থানকালীন সময়ে তার যাতে স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা না হয়, বা হলেও যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যায়, সে ব্যাপারে সবাই সর্বোচ্চ সতর্কতায় কাজ করবে।
ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য বলেন, যেহেতু সিলেটে তিনি অবিরাম সাঁতারে দক্ষতা অর্জন করেছেন সেহতেু এখান থেকে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ে চান। তবে এখন পানি কম থাকায় এ অভিযানে খানিকটা অসুবিধা হবে।
আরও পড়ুন: সাঁতার প্রতিযোগিতায় নেমে পানিতে ডুবে কমিশনারের মৃত্যু
তিনি বলেন, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। ২০১২ সালের মে মাসে অবসর গ্রহণ করলেও এখনো কনসালট্যান্ট হিসেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অধিনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কাজ করছি। ছাত্রজীবন থেকে সাঁতার আমার নেশা। আমি একজন অবিরাম শৌখিন সাঁতারু।
তিনি বলেন, ২৮৫ কিলোমিটার সাঁতারে সফল হলে বয়স্ক সাঁতারু হিসেবে এটা একটা বিশ্বরেকর্ড হবে। এটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক একটা ব্যাপার হবে।
ক্ষিতীন্দ্র ১৯৫২ সালের ২৩ মে নেত্রকোণার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সিলেটের এমসি কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি অবিরাম সাঁতারু। একাধিক জাতীয় রেকর্ডের পর অবিরাম সাঁতারু হিসেবে বিশ্বরেকর্ডও করেছিলেন। তবে তার সেই রেকর্ড ভেঙে দেয় একজন মার্কিন সাঁতারু। এখন আবার প্রায় ৭০ বছর বয়সে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়তে সাঁতারে নেমেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য।
আরও পড়ুন: ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়া সাঁতারু আ. মালেককে কেউ মনে রাখেনি
গত শনিবার দুপুরে নগরের মেন্দিবাগস্থ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলনে ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য বলেন, ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটানা ৯৩ ঘণ্টা ১১ মিনিট এবং ১৯৭৬ সালে ১০৮ ঘণ্টা পাঁচ মিনিট অবিরাম সাঁতার কেটে জাতীয় রেকর্ড সৃষ্টি করি। ২০১৮ সালে ১৮৫ কিলোমিটর দূরপাল্লার সাঁতার কাটি যা ছিল আরেকটি স্থানীয় রেকর্ড। ১৯৭৪ সালে সেই রেকর্ডের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে রূপার নৌকা দিয়ে সম্মানিত করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৯ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭০ সাল থেকেই আমি দূরপাল্লার বা অবিরাম সাঁতারের সঙ্গে জড়িত। সেবার নিজের থানা নেত্রকোণার মদনে টানা ১৫ ঘণ্টা সাঁতার কেটেছিলাম। তারপর একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে দেশকে স্বাধীন করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি। ১৯৭৩ সালে সিলেটের এমসি কলেজের পুকুরে টানা ৮২ ঘণ্টা সাঁতার কেটেছিলাম।
আরও পড়ুন: বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দিলেন ৪০ সাঁতারু
এছাড়াও সিলেট নগরীর রামকৃষ্ণ মিশন পুকুর, ধোপাদিঘীতে, সুনামগঞ্জ এবং ছাতকেও দীর্ঘসময় অবিরাম সাঁতার কেটেছেন বলে জানান তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান মারা গেছেন
মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স কো. লিমিটেডের উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান (মুন্না) গত মঙ্গলবার (২৩শে আগস্ট) ইন্তেকাল করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি তাঁর মা, স্ত্রী, একমাত্র মেয়ে, নাতি-নাতনি এবং আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
শফিকুর রহমান স্কাইওয়েজ টেকনো সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান, এস রহমান অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কমফোর্ট রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিবি ১৯৯১-১৯৯৬) একজন নির্বাহী সদস্য এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি ২০০২-২০০৫) উপদেষ্টা ও গ্রাউন্ডস অ্যান্ড ফ্যাসিলিটিস কমিটি এবং বিসিবির (২০০৩-২০০৫) চেয়ারম্যান ছিলেন।
তিনি চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়াম, নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক মানের ভেন্যু ও পিচ তৈরি করেন।
তিনি ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি (২০০১-২০০৬) ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রত্যাশা কম রেখেই এশিয়া কাপ খেলতে উড়াল টাইগার দলের
এসময়ে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব ২০০১-২০০২ ও ২০০২-২০০৩ মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে টানা দুই বছর চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল।
এছাড়াও তিনি ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক (১৯৮৫) ও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেট সেক্রেটারি (১৯৭৫-১৯৮০) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব ১৯৭৫-১৯৭৬ সালে ঢাকা ক্রিকেট লীগ চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করে এবং ১৯৭৬-১৯৭৭ সালে রানার্সআপ হয়।
শফিকুর রহমান আব্দুর রাজ্জাক রাজ, অলোক কাপালি, মঞ্জুরুল রানা, সাকিব আল হাসান, আফতাবদের মতো ক্রিকেট খেলোয়াড়দের তৈরি করেছেন।
তিনি ১৯৭৫ সাল থেকে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দেয়ার মাধ্যমে ক্লাব ক্রিকেটে পেশাদারিত্ব আনার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
শফিকুর রহমান ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব, ঢাকা ক্লাব লিমিটেড ও গুলশান ক্লাব লিমিটেডের আজীবন সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।
ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীণ এই ক্রীড়া সংগঠক ক্রিকেট বোর্ডে অনেক ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বিসিবির কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন এবং ২০০৭ সালে গঠিত বিসিবির অন্তর্বর্তী কমিটিরও সদস্য ছিলেন। তিনি বোর্ডের গ্রাউন্ডস অ্যান্ড ফ্যাসিলিটিস কমিটির দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং প্রথম বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: আমি আমার ভূমিকা সম্পর্কে পরিষ্কার: শ্রীধরন শ্রীরাম
ডমিঙ্গো পদত্যাগ করেননি: বিসিবি
চুয়াডাঙ্গায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ
চুয়াডাঙ্গায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড তুলে দেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
প্রাধন অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, অনেক দেরিতে হলেও আমরা ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড হাতে পেলাম। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। এতো সুযোগ সুবিধা পাওয়ার পরও কিছু কিছু মুক্তিযোদ্ধা নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করছে, তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: শোক দিবস: চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসা সেবাসহ ওষুধ বিতরণ বিজিবির
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আয়োজনে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম ভূঁইয়া। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে বক্তব্য দেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান জোয়ার্দ্দার।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে যৌনপল্লীতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
অনুষ্ঠানে ১০৩ জন জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড এবং মৃত ১৫৭ পরিবারের সদস্যদের কাছে শুধুমাত্র ডিজিটাল সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।
মীরসরাইয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে সুভাষ চৌধুরী (৬৫) নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাতে উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামে সুভাষকে পিটিয়ে আহত করার পর সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সুভাষ চৌধুরীর ছেলে ফিলিপ চৌধুরী বলেন, ‘জায়গা জমি নিয়ে গতকাল প্রতিবেশি বরুণ চৌধুরীর ছেলে শাওন চৌধুরীর সঙ্গে বাবার ঝগড়া হয়। তখন তারা বাবাকে হুমকি দিয়েছিল। অবশ্য পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য সমাধানও করে দেন। কিন্তু রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাবাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। সারারাত বাড়িতে না ফেরায় সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে বাড়ির পাশের ঝোপঝাড় থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় বাবাকে উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে বাবা মারা যান। বাবার শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আমার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা হত্যা মামলা করবো।
চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, সুভাষ চৌধুরী নামে গুরুতর আহত অবস্থায় এক বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরিবারের ভাষ্যমতে, তিনি প্রতিবেশিদের দ্বারা মারধরের শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: উদয়ন ট্রেন থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার
ট্রেনের টয়লেট থেকে মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল আজহার উপহার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার ত্যাগের উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শুভেচ্ছা উপহার পাঠিয়েছেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠান প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ও সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার তাদের হাতে উপহার তুলে দেন।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা প্রতিটি জাতীয় দিবস এবং স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ ও পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবে তাদের স্মরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তারা জাতীয় উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র কাটিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তারা।
এছাড়াও তারা প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
মালয়েশিয়ার রাজা-প্রধানমন্ত্রীকে আম উপহার শেখ হাসিনার