মুক্তিযোদ্ধা
কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের পুরিরপটল গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু সাদিয়ার বাড়ি চট্টগ্রামে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে হাসান আলী স্ত্রী ও মেয়ে সাদিয়াকে নিয়ে পুরিরপটল গ্রামে শ্বশুর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে ঈদ করতে আসেন। ঘটনার দিন সাদিয়া খেলতে গিয়ে সবার অজান্তে নলকূপের গর্তের পানিতে ডুবে যায়। পরে অনেক খোঁজা-খুঁজির পর তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মৌনি সেন গুপ্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশুটিকে হাসাপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে পানিতে ডুবে ভাইবোনের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা নিখোঁজের চারদিন পর এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরের দিকে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের নিজ পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাজ্জাদুল আলম চপল (৩৫) ওই গ্রামের মাঠপাড়ার মৃত মুক্তিযোদ্ধা শাহেদ আলী গাজীর ছেলে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজের চারদিন পর নিজের পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে চপলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে নেশাগ্রস্ত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে মসজিদ থেকে ইমামের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
লক্ষ্মীপুরে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অতীতের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনভী রোডে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠান।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস)-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ও সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সরওয়ার-ই-আলম সরকার তাদের কাছে এসব দ্রব্য হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
এদিকে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে- তা জাতীয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ বা পহেলা বৈশাখ যাই হোক- তাদের স্মরণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যার নেতৃত্বে দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন দেশের জনগণের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের কল্যাণ নিশ্চিত করছে আওয়ামী লীগ সরকার যা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ধিত ভাতা ও বাসস্থান প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ একদিন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দারিদ্রমুক্ত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাপূর্ণ সোনার বাংলাদেশ হবে বলেও দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেন তারা।
তারা প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি সম্প্রীতি বাংলাদেশের
একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইলেন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানেরা। একই সঙ্গে এই নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের বিচার দাবি করেছেন তারা।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘৭১ এর গণহত্যা ও পাকিস্তানের বর্বরতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব দাবি জানান তারা।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল তার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে হবে। এর জন্য কোন রাখঢাক নাই। আজকে এটা স্বতঃসিদ্ধ, এখানে গণহত্যা হয়েছে, আমাদের ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন, অসংখ্য মা-বোন নির্যাতিত হয়েছেন এগুলো প্রমাণের আর অপেক্ষা রাখে না। ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন: গণহত্যা দিবসে সারাদেশে এক মিনিটের প্রতীকী ব্ল্যাকআউট
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে জাতীয়ভাবে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে আসছে যদিও দিবসটিকে এখনও আন্তজার্তিকভাবে কোথাও স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিলেও ২৫ মার্চের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞকে কোন দেশই স্বীকৃতি দেয়নি। অথচ ২৫ মার্চের কালরাতে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যার স্বাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ২৫ মার্চের ভয়াবহতার ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছে যা এখনও চলমান। তাই ঘরে ঘরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ২৫ মার্চের গণহত্যার ঘটনাপ্রবাহ ছড়িয়ে দিতে নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর প্রয়াস ব্যক্ত করেন তারা।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, বীরপ্রতীক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ আলী জহির (অব.), কর্নেল তৌফিকুর রহমান (অব.), শহীদ সন্তান নট কিশোর আদিত্য।
আরও পড়ুন: ২৫ মার্চ, ১৯৭১: গণহত্যা দিবসে ফিরে দেখা ইতিহাসের এক ভয়াল কালরাত
আমির হামজাকে বাদ দিয়ে স্বাধীনতা পুরস্কারের নতুন তালিকা
সমালোচনার মুখে আমির হামজার নাম বাদ দিয়ে শুক্রবার ‘স্বাধীনতা পদক ২০২২’ এর সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এর আগে আমির হামজাকে (মরণোত্তর) সাহিত্য বিভাগে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল।
১৫ মার্চ গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিল সরকার।
আরও পড়ুন: আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার ‘পুনর্বিবেচনা’ করা উচিত: অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
যারা পাচ্ছেন স্বাধীনতা পুরস্কার
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), আব্দুল জলিল, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, প্রয়াত মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস, প্রয়াত সিরাজুল হক।
চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম। স্থাপত্যে প্রয়াত স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিডাব্লিউএমআরআই) এই পুরস্কার পাবেন।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা পুরস্কার দিচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১০ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান
আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার ‘পুনর্বিবেচনা’ করা উচিত: অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মো. আমির হামজার নাম ঘোষণার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এবারে সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার উপযুক্ত ব্যক্তিকে দেয়া হয়নি। এ নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা জাতির জন্য অসম্মানজনক।’
শুক্রবার (১৮ মার্চ) এফডিসিতে ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি স্বাধীনতা দিবস বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২২’ এর গ্র্যান্ড ফাইনালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১০ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল রাজাকারদের প্রকৃত তালিকা করা। রাজাকার ছাড়া বাকি সবাই কোন না কোনভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। এটা ছিল জনযুদ্ধ। আমাদের অনেক উন্নয়ন হয়েছে সত্য কিন্তু সমসুযোগ ও সুশাসন বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে স্বাধীনতার মূলনীতি থেকে আমরা এখনও অনেক দূরে। প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আমরা এখনও পাই নি। কেবল ভোটেই গণতন্ত্র নয়, সমসুযোগ ও সামাজিক নিরাপত্তাই হল প্রকৃত গণতন্ত্র।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষের চেয়েও বর্তমানে বড় সমস্যা হল ক্ষমতা দখল ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মানসিকতা। স্বাধীনতার জন্য আমাদের যে দেশপ্রেম ছিল, আজ সে দেশপ্রেম নেই, আজ কেবল আত্মপ্রেম। আজ সমাজের উন্নয়ন হচ্ছে না, হচ্ছে ব্যক্তির উন্নয়ন। যখনই সমাজে বিপদ আসছে তখনই ধনীদের আরও উন্নয়ন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আফসান চৌধুরীসহ ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৬ লেখক
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, উন্নয়ন মানে কেবল দালানকোঠা ও রাস্তাঘাট গড়া নয়, মেধাকে মুক্ত করা ও মেধার বিকাশ। আজ বিশ্ববিদ্যালয়েও গণতান্ত্রিক চর্চা নাই, ছাত্র সংসদ নাই, সংস্কৃতিচর্চা ও খেলাধুলা নাই। ফলে ছাত্রদের মেধার বিকাশ হচ্ছে না। তারা বিপথগামী হচ্ছে। বর্তমানে আর একটি উদ্বেগের বিষয় হল আমাদের সম্পদ পাচার হয়ে যাচ্ছে। শুধু সম্পদ নয় তার সঙ্গে মেধাও পাচার হয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান থেকে আমরা স্বাধীন হলেও পাকিস্তানের মতো পুঁজিবাদ ও আমলাতান্ত্রিকতা থেকে আমরা এখনও পুরাপুরি মুক্ত হতে পারিনি।
স্বাধীনতার দিবস বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনালে ঢাকা সিটি কলেজকে পরাজিত করে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন দলের বিতার্কিকদের নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং রানার আপ দলকে নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়।
মানিকগঞ্জে আড়াই হাজার মুক্তিযোদ্ধার মিলন মেলা
ঢাকার পশ্চিমাঞ্চলের ২১ উপজেলার আড়াই হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানিকগঞ্জে মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার জেলার শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে এই মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মিলন মেলায় ঢাকা পশ্চিমাঞ্চলের (ঢাকা জেলা, ঢাকা মহানগর, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ) ২১টি উপজেলার দুই হাজার ৫'শত মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত হন।
আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে এ মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে। উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করতে এ আয়োজন।
ঢাকা পশ্চিমাঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ খ ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুল রহমান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে বিজয় মেলা: মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা
মিলন মেলায় মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, 'স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এটা আমাদের অনেক বড় পাওয়া। এখানে অনেক পরিচিত সহযোদ্ধাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। অনেকের সঙ্গেই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নানা স্মৃতি। কখনো ভাবিনি সকলে একত্রিত হতে পারব।'
মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন স্মৃতিচারণ করে মুক্তিযোদ্ধারা আরও বলেন, 'যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে চলে যাই। যুদ্ধে মা-বাবা-ভাই-বোন কে হারিয়েছি। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে অনেক অত্যাচার ও নিপীড়নের শিকার হয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের যেই সম্মান দিয়েছে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। আজকের এই আয়োজন আমাদের মনোবল বাড়িয়েছে।'
এসময় তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে গড়ে উঠার আহ্বান জানান মুক্তিযোদ্ধারা।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা বৈরাম খানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সিলেটে বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে আটক
সিলেটে মাদক সেবন নিয়ে আপত্তি করায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ (৭৫) বিয়ানীবাজার উপজেলার তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনায় তার ছেলে জসিম উদ্দিনকে (৩৫) আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে আব্দুল আজিজ তার ছেলে জসিমকে মাদক সেবন না করতে বললে জসিম তার বাবাকে কুড়াল দিয়ে আঘাত করে।
আরও পড়ুন: শার্শায় ভুয়া নারী ম্যাজিস্ট্রেট আটক
স্থানীয়রা আজিজকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে জসিম উদ্দিনকে আটক করেছি। এখনও ঘটনার মূল কারণ জানা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা করছে মূল রহস্য উদঘাটন করার।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে ছিনতাইকারী সন্দেহে ৩ পুলিশ সদস্য আটক
কাওসার আহমেদ চৌধুরী: একজন গীতিকার ও জ্যোতির্বিদের কথোকতা
গীতিকার ও জ্যোতির্বিদ হিসাবে সারা দেশ জুড়ে খ্যাতি পেলেও কাওসার আহমেদ চৌধুরী নামের মানুষটির নিভৃত বিচরণ ছিলো আধুনিক বাংলা সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনে। শত গুণের অধিকারি এই জীবন যোদ্ধা হাজারো প্রাপ্তির সীমানা ছাড়িয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাড়ি জমালেন পরপারে। ঢাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জীবদ্দশায় নির্দিষ্ট কোন একটি শাখায় কখনো তিনি নিজেকে আবদ্ধ রাখতেন না। সব সময় চেষ্টা করে যেতেন নতুন কিছুতে নিজের সাক্ষর রাখার। এই নিভৃতচারী বিনোদনকর্মীকে নিয়েই আজকের ফিচার।
নানা পরিচয়ে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর পরিচিতি
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৪৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন কাওসার আহমেদ চৌধুরী। শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে পড়াশোনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই তাঁর গান লেখার হাতেখড়ি।
পড়াশোনার পাঠ না চুকিয়ে অনেকটা তাড়াহুড়ো করেই যোগ দেন সরকারি চাকরিতে। কবিতা লেখার দক্ষতা তাঁর ছোটবেলা থেকেই ছিলো। তাঁর প্রকাশিত একমাত্র কবিতার বইয়ের নাম ‘ঘুম কিনে খাই’। শুধু কবিতা আর গানই নয়; তিনি একাধারে বিচরণ করেছেন চিত্রনাট্য রচনা, ছবি আঁকা এবং চলচ্চিত্র পরিচালনাতে।
আরও পড়ুন: বাপ্পি লাহিড়ী: বলিউড সাম্রাজ্যে ডিস্কো সঙ্গীতের প্রবাদ পুরুষ
তিনি বেশ কিছু বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন। সেগুলোর মধ্যে স্বনামধন্য কবি নির্মলেন্দু গুণের প্রথম কবিতার বই ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’ এর প্রচ্ছদ অন্যতম।
সরকারি প্রজেক্ট পরিবার পরিকল্পনার ওপর বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই তাঁর নির্মিত বেশ কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র আছে। বিজ্ঞাপন নির্মাণের কাজও করেছেন তিনি। তাঁর রচিত চিত্রনাট্যের মধ্যে সবচেয়ে নামকরা বিটিভিতে প্রচারিত কমেডি নাটক ‘ত্রিরত্ন’।
কাওসার আহমেদ চৌধুরীর আরেকটি বড় পরিচয় হচ্ছে- তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে তিনি গুপ্তচর হয়ে হানাদার বাহিনীর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতেন। ছবি আঁকার হাত ছিলো বিধায় পাকিস্তানি বাহিনীর আস্তানার পথের নকশা এঁকে মুক্তিযোদ্ধাদের রুদ্ধঃশ্বাস অভিযানগুলোতে সাহায্য করতেন তিনি।
আরও পড়ুন: আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত কাওসার আহমেদ চৌধুরী
আ’লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা বৈরাম খানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা বৈরাম খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বৈরাম খানের পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, সোমবার পাবনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা বৈরাম খানের মুত্যু হয়। (ইন্না লিল্লাহি ........... রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর এবং তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও তিন কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতা বদিউল আলমের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
এদিকে বৈরাম খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও।
বিবৃতিতে তিনি মরহুম বৈরাম খানের পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।