স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ বুঝতে পারলে তৃতীয় ঢেউ থেকে রক্ষা মিলবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ বুঝতেই পারলেই করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ‘করোনার প্রথম ঢেউ আমরা যথেষ্ট দক্ষতার সাথে সামলে নিয়েছিলাম। ফেব্রুয়ারিতে যখন করোনার মৃত্যু ৩-৪ জনে নেমেছিল, তখন মানুষ ভেবেছিল করোনা দেশ থেকে চলে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষ অনিহা দেখাচ্ছিল। যার ফলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শিকার এদেশের মানুষা।’
আরও পড়ুন : করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রবিবার সকালে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘কক্সবাজার, সিলেটসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ২৫-৩০ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ভ্রমণ করেছে। অধিকহারে বিয়ের অনুষ্ঠান, পিকনিকসহ নানা রকম সামাজিক অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এসব কারণেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। দিনে প্রায় শত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সময়মতো সরকার লকডাউন ঘোষণা করায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হয়তো সামনেই কমে যাবে।’
তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ সম্পর্কে সচেতন না হলে সামনে আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে আসবে এবং তৃতীয় ঢেউ আরও ভয়াবহ হয়ে দেখা দিতে পারে। এ কারণে করোনার হাত থেকে বাঁচতে চাইলে, দেশের প্রতিটি মানুষকে করোনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা: দ্বিতীয় ডোজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু
দেশে মাত্র দু’টি জেলা বাদে সকল জেলা থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ম্যালেরিয়া এখন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দেশে ২০০৮ সালের তুলনায় এখন ৯৩ শতাংশ ম্যালেরিয়া রোগী কমেছে এবং ৯৪ শতাংশ মৃত্যু কমেছে। দেশের মাত্র দু’টি জেলাতে এখন ম্যালেরিয়া রয়েছে। সব মিলিয়ে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই দেশ থেকে ম্যালেরিয়া পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হবে।
সিডিসি’র পরিচালক ডা. নাজমূল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি, গ্লোবাল ফান্ডের প্রতিনিধিসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা: দ্বিতীয় ডোজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণেই দেশে দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। এখন তৃতীয় ঢেউয়ে যেন আক্রান্ত না হই সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে ভার্চুয়াল এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা: দ্বিতীয় ডোজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু
মন্ত্রী বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কেন আসলো তার কারণ কি সেটা এখনই চিহ্নিত করতে হবে। আমরা করোনার বিস্তার রোধে বিয়ে, জন্মদিনসহ যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ করেছি। জনসমাগম নিরুৎসাহে সব ধরনের সভা-সমাবেশ সীমিত করা হয়েছে। করোনার উৎপত্তি স্থানগুলো পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল, সব ধরনের মেলা, পিকনিক বন্ধ রয়েছে। এভাবে কিছুদিন চললে আশা করা যায় করোনা সংক্রমণের হার কমে আসবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না: মন্ত্রী
সুষম খাবার বেশি খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পুষ্টি সপ্তাহে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি শাক-সবজি, ফলমূলসহ সুষম খাবার খেতে হবে। তেল, চিনি, লবণ কম খান। এই বার্তা আমরা মানুষকে দিতে চাই।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের দেশে ১০ শতাংশ মানুষ এখনও পুষ্টিহীনতায় ভোগে। পুষ্টির অভাবের কারণে ডায়বেটিসসহ নানা ধরনের রোগ হতে পারে। আমাদের দেশে পুষ্টির দিকে ঘাটতি থাকলেও আশেপাশের দেশ থেকে ভালো আছি আমরা। এমনকি ভারতের থেকে পুষ্টির দিক থেকে আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক খলিলুর রহমান বলেন, জনগণের খাদ্যাভাস ও খাদ্য পরিকল্পনায় পুষ্টির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়ার লক্ষ্যে এবার পুষ্টি সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবুন।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর বিকল্প নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সুস্থ, সবল ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে আগামী ২৩ থেকে ২৯ এপ্রিল সারাদেশে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালিত হবে।
দেশের সবচেয়ে বড় কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল চালু
রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মার্কেটে দেশের সবচেয়ে বড় কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল চালু হয়েছে।
রবিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এক হাজার বেডের প্রায় ৫০০টিতেই আইসিইউ সমতুল্য সেবার সুযোগ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না: মন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আজ এক বিশেষ খুশির দিন। গোটা বিশ্বের ন্যায় কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের দেশেও হানা দিয়েছে। কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা দিন দিন ভীতিকর হচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ঢাকার সব হাসপাতালের আইসিইউ বেড পূর্ণ হয়ে গেছে। প্রতিদিনই আইসিইউ চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরকম একটি কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জরুরি ভিত্তিতে ডিএনসিসির এই মার্কেটটিকে একটি পুর্ণাঙ্গ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে উদ্বোধন করা হলো।
তিনি বলেন, ‘এই হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য মোট বেড সংখ্যা রয়েছে ১ হাজারটি। এর মধ্যে পুর্ণাঙ্গ আইসিইউ বেড আছে ২১২টি, এইচডিইউ বেড আছে ২৫০টি, কোভিড আইসোলেটেড রুম আছে ৪৩৮টি। এখানে ইমার্জেন্সি বেড আছে ৫০টি, যার ৩০টি পুরুষ ও ২০টি মহিলা রোগীর জন্য। পাশাপাশি এখানে আরটি পিসিআর ল্যাব, প্যাথলজি ল্যাব, রেডিও থেরাপি সেন্টার, এক্সরে সুবিধাসহ অন্যান্য নানাবিধ সুবিধা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর বিকল্প নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মাত্র ২০ দিনের মধ্যে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে অতি দ্রুততার সাথে এই হাসপাতালটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
উদ্বোধনের সময় হাসপাতালটির ২৬০টি বেড সচল ছিল। যেখানে আইসিইউ বেড রয়েছে ৬০টি, ইমার্জেন্সি ৫০টি, জেনারেল ওয়ার্ড ১৫০টি। আগামী সাত দিনের মধ্যে আরও ২৫০টি বেড সচল হবে এবং এ মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে হাসপাতালটি পরিপূর্ণভাবে সচল হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
দেশের প্রতিটি হাসপাতালে কোভিড ডেডিকেটেড বেড সংখ্যা বৃদ্ধি ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধাদি বৃদ্ধি করার বিষয়টি তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশে প্রায় ১০০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আরও ৩টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালুর কাজ চলমান রয়েছে। ফলে বর্তমানে দেশে প্রায় ১২ হাজার বেডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। এসব সুবিধা নিশ্চয়ই দেশের কোভিড রোগীদের জীবন রক্ষায় বড় ভূমিকা রেখে চলেছে।’
আরও পড়ুন: টিকা প্রদানে বিশ্ব নেতাদের উচিত সমতার উদাহরণ সৃষ্টি করা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশিদ আলম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, এফসিপিএস ডিরেক্টরেট জেনারেল মেডিকেল সার্ভিসেস মেজর জেনারেল মো. মাহাবুবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঞ্জুর আহমেদ, এইচইডি এর চীফ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বশির এবং ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এটিএম নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
টিকা প্রদানে বিশ্ব নেতাদের উচিত সমতার উদাহরণ সৃষ্টি করা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে ধনী দেশ ও গরীব দেশগুলোর মধ্যে সমতার সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, 'করোনার অতিমারিতে আক্রান্ত বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি দরিদ্র দেশগুলোও এই মহামারিতে বিপর্যস্ত। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাথে দরিদ্র দেশগুলোও এই অতিমারির কারণে আরও দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বিশ্ব নেতাদের উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি দরিদ্র দেশগুলোর দিকেও সমানভাবে উদ্যোগী হতে হবে।’
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা: দ্বিতীয় ডোজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু
বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে 'বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস' উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি মি. বার্ধণ সিং রানার উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, 'বিশ্বব্যাপী আজ স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো 'সকলের জন্য সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ি'। এই দিবসের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সকলের সাথে সমতা ও ন্যায্যতা। তাই এই ভাইরাস গোটা বিশ্ব থেকে একসাথে, এক হয়ে বিদায় করতে হলে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রদানে ধনী দেশ ও গরীব দেশের মধ্যে সমতা ঘটাতে হবে। তা না করে কেবল অর্থের জোরে ধনী-গরিব দেশগুলোতে টিকা প্রদানে বৈষম্য করা হলে এই ভাইরাস বিশ্ব থেকে বিদায় করা সম্ভব হবে না।'
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না: মন্ত্রী
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া করোনা প্রতিরোধে সরকারের ১৮টি নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার ওপর জোর দেন এবং উপস্থিত জেলা, উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দেন।
এছাড়া, করোনায় করণীয় বিষয়াদি তুলে ধরে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর বিকল্প নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সেই সাথে দেশব্যাপী করোনা অতিমারিতেও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামীতে আরও কী কী কাজ করলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের উপকার হতে পারে সে বিষয়টি তুলে ধরে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর।
সভায় সূচনা বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছা বেগম। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সিডিসি’র লাইন ডিরেক্টর নাজমুল ইসলাম।
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না: মন্ত্রী
স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে কোনভাবেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘মহাখালীর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মার্কেট হাসপাতালে নতুন ২০০টি আইসিইউ বেড করা হচ্ছে যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বিরল। এর পাশাপাশি এখানে আরও ১ হাজার নতুন আইসোলেশন বেডও হচ্ছে। তবে বেড সংখ্যা যতই বৃদ্ধি করা হোক মানুষ যদি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলে তাহলে কোনকিছুতেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না।’
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড
মঙ্গলবার মহাখালীতে ডিএনসিসি আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শনে তিনি এসব এই কথা বলেন।
মঙ্গলবার বিকালে ডিএনসিসি মার্কেট হাসপাতালের করোনা আইসিইউ বেড ও আইসোলেশন বেডের প্রস্তুতকরণ ও কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসি মার্কেট হাসপাতালটি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে উদ্বোধন করা সম্ভব হতে পারে বলে এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আরও ৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত
জাহিদ মালেক বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। এর আগেপ্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ১৮টি জনগুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এখন করোনা প্রতিরোধে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলছে। অথচ দেশের কোথাও কোথাও লকডাউন তুলে নিতে আন্দোলন করা হচ্ছে।
‘এই মুহূর্তে সরকারের লকডাউন জরুরি ছিল তাই সরকার দিয়েছে। যখন লকডাউন তুলে নেয়ার প্রয়োজন হবে সরকার সঠিক সময়েই সেই সিদ্ধান্ত নিবে। এখন এসব সরকারি নির্দেশনা মেনে না চললে আগামীতে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই নিয়ন্ত্রণহীন হতে পারে।'
আরও পড়ুন: হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর বিকল্প নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নতুন সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম, হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এটিওএম নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর বিকল্প নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি করার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘করোনার প্রকোপ দিন দিন যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে করে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি করার বিকল্প নেই। এ কারণে সরকার কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল সংখ্যা বৃদ্ধি করাসহ সকল হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করছে।’
আরও পড়ুন: অধিক করোনা সংক্রমিত এলাকায় আংশিক লকডাউনের প্রস্তাব করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার অনলাইনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের নতুন ১০টি আইসিইউ বেড উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল সংখ্যা বৃদ্ধি করাসহ সকল হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধির সরকারি পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি মার্কেটকে পুরোপুরি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হয়েছে। এই হাসপাতালে মোট ১ হাজার ২৫০ করোনা ডেডিকেটেড শয্যা রয়েছে। এখানে ৫০টি আইসিইউ বেড ও ২০০টি এসডিও বেড রয়েছে। এর পাশাপাশি ১ হাজার আইসোলেশন বেড রয়েছে।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এটির বাইরে অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের প্রতিটিতেই কোভিড শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮০০টির মতো করোনা ডেডিকেটেড শয্যা রয়েছে। এখানে প্রতিটি বেডেই হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলা সুবিধা রয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে আগের আইসিইউ, এসডিও’র সাথে আজ আরও ১০টি নতুন আইসিইউ বেড সংযুক্ত হলো। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালেও করোনা রোগীদের জন্য সুবিধাদি বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব মিলিয়ে হাসপাতালের এক ইঞ্চি জায়গা খালি থাকলেও কোন রোগীকে সেবাবঞ্চিত করা হবে না। কিন্তু তারপরও কথা থেকে যায়। যেভাবে প্রতিদিন করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে দেশে কোন হাসপাতালেই রোগী রাখার জায়গা থাকবে না। এজন্য এখনই করোনা বৃদ্ধি ঠেকাতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ১৮টি নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়নসহ সবস্থানে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে না পারলে আগামীতে এই প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হোসেনসহ হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সভার শেষ পর্যায়ে অনলাইন ভিডিও’র মাধ্যমে নতুন স্থাপিত ১০টি আইসিইউ বেডের ভিডিও চিত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দেখান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক।
অধিক করোনা সংক্রমিত এলাকায় আংশিক লকডাউনের প্রস্তাব করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সোমবার বলেছেন, অধিক করোনা সংক্রমিত এলাকায় আংশিক লকডাউনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মুহূর্তে করোনার উৎপত্তিস্থল বন্ধ করতে না পারলে দেশের অর্থনীতির চাকা থেমে যেতে পারে, মানুষের আর্থিক বড় রকমের সংকট হতে পারে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বেশকিছু প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-যেসব এলাকায় এখন সংক্রমণের হার বেশি সে এলাকাগুলোতে সম্ভব হলে আংশিক লকডাউন করা।’
তিনি বলেন, প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা; পিকনিক, ওয়াজ-মাহফিল বন্ধ রাখা; বিয়ে-সাদির অনুষ্ঠান সীমিত করা; কোয়ারেন্টাইন ব্যাবস্থা জোরদার করা; সকল যানবাহন, বাস, স্টীমারে যাত্রী অর্ধেক বা তারো কম রাখা; অফিস আদালতে কম আসা যাওয়া করা; মুখে মাস্ক ছাড়া কোনো সার্ভিস ব্যবস্থা না রাখা; মোবাইল কোর্ট বাড়িয়ে দিয়ে জরিমানার ব্যবস্থা জোরদার করা।
‘আশা করা যাচ্ছে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে,’ বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে হাসপাতাল ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইন জুমে অংশ নিয়ে একথা বলেন জাহিদ মালেক।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটকে বিশ্বের একটি অন্যতম চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের আরও গতিশীল হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। এই ভবনটিকে ৪ তলা থেকে ৮ তলা বিশিষ্ট করা ও ৪১৪টি বেড থেকে এখন ১২৫০ বেডে বৃদ্ধি করতে পারায় দেশের অসহায় বহু রোগী চিকিৎসা সেবা বেশি পাবে বলে মন্ত্রী জানান।
এর পাশাপাশি দেশের ৮ বিভাগে ৮ বিশেষ হাসপাতাল নির্মাণের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন। এই ৮ হাসপাতাল নির্মাণের পর দেশে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য আরও অন্তত ১৪০০ বেড বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর মীর জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: মন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বুধবার বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ৩ ফুট দূরত্ব রেখে পরীক্ষার্থীরা বসবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, সেখানে সেনিটাইজার থাকবে। ভেন্যুতে অন্য কাউকে ঢুকতে দেবো না, অভিভাবকরা যাতে ভালো অবস্থায় থাকতে পারে সে বিষয়গুলো আমরা নজরে এনেছি।’
আরও পড়ুন: লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এমবিবিএস পরীক্ষা নিয়ে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এমবিবিএস একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। প্রতিবছর আমরা পরীক্ষাটি নিয়ে আসছি। এবার ২ এপ্রিল পরীক্ষা নেয়া হবে। এবার ১ লাখ ২২ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করেছে। সারাদেশে ৫৫টি সেন্টার আমরা নির্ধারণ করেছি, প্রয়োজন হলে বৃদ্ধি করা হবে।
পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা মনিটরিং সেল গঠন করেছি। কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেলে যোগাযোগ করা যাবে। এবং তারা সার্বিক ব্যবস্থা নেবে। কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হবে এবং কোনো ফটোকপি মেশিন কেন্দ্রের আশপাশে থাকতে পারবে না। তাহলে আমরা সুন্দরভাবে পরীক্ষা নিতে পারব, সফলতার সাথে নিতে পারব।
তিনি বলেন, সুন্দরভাবে সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা কাজ করব। পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবে এবং তারা সার্বিক বিষয়গুলো দেখবে। কোনো সমস্যা হলে তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনার ‘নতুন ধরনের’ ১০ রোগী শনাক্ত, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
গুজব প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিভিন্ন বাহিনীকে যাতে ফেসবুকে নেতিবাচক গুজব না ছড়ানো হয় সেটি দেখতে। তারা বলেছে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। পরীক্ষার প্রশ্ন নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করবে তারা।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বুধবার বলেছেন, করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘টিকা নিলেই যে সংক্রমণ হবে না সেটি ঠিক না।টিকা নিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। তাছাড়া এখনও ২য় ডোজ টিকা নেয়া হয়নি।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এমবিবিএস পরীক্ষা নিয়ে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে,করোনা কেন বাড়ছে সে উৎপত্তিস্থল আগে বন্ধ করতে হবে। সেজন্য আমরা ব্যবস্থ নিচ্ছি। কোভিড উৎপত্তিস্থল বন্ধ করতে পারলে আক্রান্ত সংখ্যা কমে আসবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনার ‘নতুন ধরনের’ ১০ রোগী শনাক্ত, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, পর্যটন ও বাইরে বেশি বেড়াতে যাওয়ার জন্যই বেশি রোগী বাড়ছে । তাই পর্যটন এলাকা, বিয়ের অনুষ্ঠান ও ওয়াজ মাহফিল সীমিত করতে হবে।
পর্যটনের জায়গা থেকে করোনার সংক্রমণ বেশি হচ্ছে, তাই সেগুলো সীমিত করার বিষয়েও জোর দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ করোনার নতুন ঢেউ দেখতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
জাহিদ মালেক বলেন, করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, সেটি যদি আরও বেশি বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের ব্যবস্থাপনাও কুলাবে না ।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি বা লকডাউনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হলে জানিয়ে দেবো। এটা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো অর্ডার পাস করে না।
আরও পড়ুন: লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ১০ হাজার
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।