স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ডেঙ্গুতে এরই মধ্যে সাত শতাধিক মৃত্যু হয়েছে। আর মৃত্যু দেখতে চাই না।
তিনি বলেন, প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সরকারের পক্ষে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা সম্ভব নয়, এর জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুরোগীর জন্য সরকারের ব্যয় ৫০ হাজার টাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ড পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেছেন, এডিস মশা সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে। দেশে দেড় লাখ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিদিন আড়াই হাজার নতুন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে।
ভারত থেকে স্যালাইন আমদানি করা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে সাত লাখ স্যালাইন আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ-কালের মধ্যে সাড়ে তিন লাখ স্যালাইন চলে আসবে। বাকিগুলো শিগগিরই এসে পৌঁছাবে। সবাই মিলে কাজ করলে কোভিডের মতো ডেঙ্গুও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যে পর্যন্ত মশা না কমবে, রোগীর সংখ্যাও কমবে না, মৃত্যুও কমবে না।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে হলে মশা কমাতে হবে। আর এ জন্য সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্যালাইন উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে ওষুধ কোম্পানিগুলো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সংসদে ওষুধ ও কসমেটিকস বিল-২০২৩ কণ্ঠভোটে পাস
বিভিন্ন অপরাধের জন্য ২০ হাজার টাকা থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে সংসদে ‘ওষুধ ও কসমেটিকস বিল, ২০২৩’- পাস হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
প্রস্তাবিত আইনে প্রসাধনী সামগ্রীকে এর এখতিয়ারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি প্রাথমিকভাবে ওষুধের আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যেখানে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
বিলে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ওষুধ তৈরি বা নকল ওষুধ তৈরির জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে অ্যান্টিবায়োটিক অপব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করার এবং এই জাতীয় ওষুধের অপব্যবহার রোধে নিবন্ধিত ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির জন্য ২০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিদ্যমান আইনে এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের জেল এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা।
নকল ও ভেজাল প্রসাধনী দেশের বাজারে সয়লাব হয়ে পড়ে জনস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রসাধনী উৎপাদন, আমদানি, বিপণন ও বিক্রয়কে ওষুধ আইনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
কসমেটিক পণ্য উৎপাদন, আমদানি, সংরক্ষণ এবং বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলোকে সরকারের কাছ থেকে নতুন লাইসেন্স নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ ৪ বছর বাড়াতে সংসদে বিল উত্থাপন
স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তর এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর যে কোনো ওষুধের ক্ষেত্রে প্রসাধনী উৎপাদন, বিপণন, আমদানি ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ করবে।
লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ আইনের অধীনে প্রণীত বিধিতে মনোনীত হবে।
বিলে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নকল ও ভেজাল ওষুধ ও প্রসাধনী উৎপাদন, বিক্রয় ও বিপণনসহ অন্তত ৩০টি অপরাধ সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
প্রসাধনী আমদানি, উৎপাদন এবং বিপণন — ব্যক্তিগত যত্ন এবং ত্বকের যত্নের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক যৌগের মিশ্রণ- এখন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, মাদক আইনে মামলা নিষ্পত্তির জন্য প্রতিটি জেলা শহরে আলাদা আদালত থাকবে।
বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম ও শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, প্রসাধনী এবং একই ধরনের আইটেম ভিন্ন ভিন্ন পণ্য। কিন্তু ওষুধ প্রশাসনের অধীনে কেন দেওয়া হচ্ছে।
জাপা সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না।
তিনি বলেন, ‘২৩৬টি ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব বিষয়ে কিছুই করছে না। এরপরও কেন তাদের এই দায়িত্ব দেওয়া হবে তা পরিষ্কার নয়।’
গণফোরাম সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, এই বিলের সঙ্গে স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত।
তিনি আরও বলেন, ‘এর মধ্যে কয়েকটি ধারা জনস্বার্থের পরিপন্থী হতে পারে। তাই কোনো পীর-দরবেশের স্বার্থে তাড়াহুড়ো করে বিল পাস করা ঠিক হবে না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রসাধনী ব্যবসায়ীদের ক্ষতি সরকারের উদ্দেশ্য নয়।
তিনি বলেন, ‘সরকারের উদ্দেশ্য হল জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষা করা এবং ভেজাল ওষুধ ও প্রসাধনী প্রতিরোধ করা।’
আরও পড়ুন: সংসদে বাণিজ্য সংগঠন (সংশোধন) বিল, ২০২৩ উত্থাপন
মামলাজট কমাতে সংসদে অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (সংশোধন) বিল পাস
ডেঙ্গুরোগীর জন্য সরকারের ব্যয় ৫০ হাজার টাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত একজন রোগীর জন্য সরকারের গড়ে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। চলতি মৌসুমে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যয় করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে স্যালাইন আনা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রবিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সরকারি হাসপাতালে ৭০ শতাংশ রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। আর বাকি ৩০ শতাংশ রোগী বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছে।
তিনি বলেন, সাধারণত দুই ধরনের ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। অনেকের প্লাটিলেট ও আইসিইউ প্রয়োজন হয়। আবার অনেকে শুধু ওষুধেই সুস্থ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৪ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৪১১ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৫৩৭ জনের। এ ছাড়া এখনো হাসপাতালে ভর্তি ৮ হাজার ২৩৬ জন।
নারীদের ঝুঁকি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ বছর নারীরা আক্রান্ত কম হলেও মারা যাচ্ছেন বেশি। পুরুষের প্রায় দ্বিগুণ নারী মারা গেছেন। তারা চিকিৎসা নিতে দেরি করছেন বলেই তাদের মৃত্যু বেশি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মোট হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ রোগী ৬৫ শতাংশ। ডেঙ্গুতে মৃত্যু রোগীর ৬৫ শতাংশ নারী আর ৩৫ শতাংশ পুরুষ।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় অর্ধেক বাইরে বাকি রোগী। ঢাকায় রোগী নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে অর্ধেক রোগ কমাতে পারব।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্যালাইন উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে ওষুধ কোম্পানিগুলো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্যালাইন উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে ওষুধ কোম্পানিগুলো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মধ্যে হঠাৎ করেই দেশে স্যালাইনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো প্রয়োজনীয় স্যালাইন উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০ হাজার ব্যাগ স্যালাইনের প্রয়োজন হয়। মাসিক চাহিদা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ লাখ ব্যাগ।’ এ অবস্থায় দেশের সব স্যালাইন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে উৎপাদন বাড়াতে বলা হয়েছে।
শনিবার (১২ আগস্ট) মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ডেঙ্গু ইউনিট পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রয়োজনে বিদেশ থেকে স্যালাইন আমদানি করতে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিলে ডেঙ্গুর টিকা আনার চেষ্টা করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, দেশের কোনো সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের কোনো অভাব নেই
তিনি আরও বলেন, কোনো সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু টেস্টিং কিটের ঘাটতি থাকলে চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত সরবরাহ করা হবে।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে এ বছর মশাবাহিত রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৩ জনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এখন পর্যন্ত ৮০ হাজার ৭৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আর ৭০ হাজার ২৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে স্যালাইন আনা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে স্যালাইন আনা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বর্তমানে ডেঙ্গুর জন্য স্যালাইনের বেশ চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ করে ১০/১২ গুণ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, চাহিদা পূরণে দেশের সকল স্যালাইন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে স্যালাইন আমদানির জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ঢাকুলি এলাকায় প্রায় দেড় কিলোমিটার পাকা রাস্তার নির্মাণকাজের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক ও নার্সরা যথাসাধ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিধনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল হতে হবে। কারণ মশা কমলেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমে যাবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেশি করে মশা মারার ওষধ প্রয়োগ করার জন্য। এছাড়া মানুষজনকেও সচেতন হতে হবে। কারণ এডিস মশা যাতে জন্ম না হয় এর জন্য বাড়ির আশে পাশে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিলে ডেঙ্গুর টিকা আনার চেষ্টা করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের কোনো সংকট নেই, পর্যাপ্ত কিট রয়েছে। যদি কোনো সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট সংকট দেখা দেয়, তবে চাহিদা মোতাবেক তা দ্রত সরবরাহ করা হবে।
পরে ঢাকুলী সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জাগীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন স্বাস্থামন্ত্রী জাহিদ মালেক।
জাগীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক জাগীর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, সহসভাপতি পৌর মেয়র রমজান আলী, যুগ্ম সধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব সাহা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
গত বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গুরোগী পাঁচগুণ বেশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের সম্ভাব্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, আগামী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই তিন মাস ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাবে। এই তিন মাস ডেঙ্গুর অবস্থা আরও খারাপ হবে।
রবিবার বিকালে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান তুলে ধরে, জাহিদ মালেক বলেছেন যে ডেঙ্গু ইতোমধ্যে প্রায় ৫৭ জেলা জুড়ে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রয়েছে।
২৪ ঘন্টায় আরও ৬ জন ডেঙ্গু রোগী মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৩ এ দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করুন: জিএম কাদের
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি, বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বেশি রোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল এবং মুগদা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমরা সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাকে এলাকাভিত্তিক স্প্রে করার প্রচেষ্টা জোরদার করার অনুরোধ করব।’
পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা ব্যাপক নির্দেশনা জারি করেছি। যার মধ্যে রয়েছে- দেশব্যাপী হাসপাতালে ডেঙ্গু ইউনিট স্থাপন। এছাড়া চিকিৎসক ও নার্সসহ চিকিৎসা পেশাজীবীরা বিশেষ প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। ডেঙ্গু রোগীদের প্রয়োজনীয় স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে।’
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১২ হাজার ৯৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯হাজার ৯০ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১০ হাজার ১৩১ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৭ হাজার ৬৬ জন ঢাকার ও বাকি ৩ হাজার ৬৫ জন অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৩ জন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ হতাশাজনক: টিআইবি
ডেঙ্গু প্রতিরোধ: বাড়িকে মশামুক্ত রাখার প্রাকৃতিক উপায়
সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করায় দেশের মানুষ খুশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করায় দেশের মানুষ খুশি হয়েছে। এজন্য আমরাও খুশি।
তিনি বলেন, তাই বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা আগের ৫১টি হাসপাতাল থেকে বাড়িয়ে নতুন ১৩২টি হাসপাতালসহ মোট ১৮৩টি হাসপাতালে চালু করা হলো।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নতুন করে দেশের ১৩২টি সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে অবহতিকরণ সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এসময় মন্ত্রী বলেন, নতুন ১৩২টি হাসপাতালের মধ্যে নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল, হৃদরোগ হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) মতো রাজধানীর ৪টি বড় হাসপাতাল যুক্ত হওয়ায় দেশের মানুষ আরও অনেক বেশি সেবা পাবে।
তিনি বলেন, বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকার বাইরে ৫১টি হাসপাতাল থেকে ৭ হাজার ৪৬৩ জন সাধারণ রোগী সেবা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৩২টি হাসপাতাল থেকে আরও ৪৫৪টি অপারেশন করা হয়েছে। এর বাইরে ২ হাজার ৫৯৭টি ইনভেস্টিগেশন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসব সেবা থেকে সরকারি কোষাগারে ৫১ লাখ টাকা জমা হয়েছে। এ টাকা থেকে চিকিৎসকদের ফি বণ্টন করে দেওয়া হবে।
ব্রিফিংকালে ঢাকার ৪ হাসপাতালের পরিচালকসহ ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোর প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সমাজকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পাওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জানুয়ারি থেকে ৩ হাজার ৩৯০ জন রোগী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং ২৬ জন মারা গেছে।
এছাড়া ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: গত বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গুরোগী পাঁচগুণ বেশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভিসিভি ভ্যাকসিনের ৩য় ও ৪র্থ ডোজ দেওয়া শুরু হবে এ সপ্তাহেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
গত বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গুরোগী পাঁচগুণ বেশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গুরোগী পাঁচগুণ বেশি।
তিনি বলেন, গত জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত মোট এক হাজার ৭০৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৯ মে) সচিবালয়ে করোনা টিকা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে এবং আশপাশের দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের অধিদপ্তর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত এক হাজার ৭০৪ জন ডেঙ্গুরোগী পেয়েছি। এসময়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যদি গত বছরের তুলনা করি, এ বছর রোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচগুণ। অর্থাৎ অনেক রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে: জাপানে সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডেঙ্গু রোধে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের হাসপাতালের পরিচালকদের সঙ্গে ডিজির (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক) বৈঠক হয়েছে, হাসপাতালে যেন প্রস্তুতি থাকে।
এছাড়া আমাদের ডাক্তার-নার্সদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে ডেঙ্গু সার্ভে, সেটি চলমান। রিপোর্ট দুই সিটি করপোরেশনকে দিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে যেহেতু রোগী বাড়ছে, সেহেতু এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। ডেঙ্গুরোগীদের জন্য হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড এবং আলাদা কর্নার তৈরি করা হয়েছে। বছরখানেকের মধ্যে আমরা দুই হাজার ৫০০ ডাক্তার এবং নার্সকে ট্রেনিং দিয়েছি।
তিনি বলেন, জনগণকে সচেতন করার জন্য আমরা বিভিন্ন মহলকে যুক্ত করেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আছেন, ছাত্র-ছাত্রী আছেন, তাদের মাধ্যমে এটা প্রচার করা হচ্ছে।
এছাড়া সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও যুক্ত করা হয়েছে, যাতে তারা জনগণকে সতর্ক করতে পারে কীভাবে ডেঙ্গুরোগ থেকে বাঁচা যায়, মশার কামড় থেকে বাঁচা যায় এবং ডেঙ্গু হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে।
এ বিষয়ে প্রচার-প্রচারণার জন্য পোস্টার, ব্যানার ও টিভিতে বিজ্ঞাপন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মিটিং আহ্বান করেছিল। সেখানে আমাদের প্রতিনিধি গেছে। জরুরি কোনো ব্যবস্থা যদি নিতে হয়, সেজন্য প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমরা জনগণকে অবহিত করতে চাই যে, আপনারা ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিন। মানে বাসার আশপাশের আঙিনা পরিষ্কার রাখুন, নিজের ঘর স্প্রে করুন, আশপাশে যদি জঙ্গল থাকে সেখানে স্প্রে করুন এবং পানি বা যদি অন্যকিছু জমে থাকে সেগুলো সরিয়ে ফেলুন।
তিনি আরও বলেন, এ কাজগুলো আমাদের নিজেদেরই করতে হবে। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে এসে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নেবেন। সময়মতোত চিকিৎসা নিলে প্রায় সবাই ভালো হয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ভিসিভি ভ্যাকসিনের ৩য় ও ৪র্থ ডোজ দেওয়া শুরু হবে এ সপ্তাহেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভিসিভি ভ্যাকসিনের ৩য় ও ৪র্থ ডোজ দেওয়া শুরু হবে এ সপ্তাহেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘কোভ্যাকস ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে ৩০ লাখ ডোজ ভিসিভি (ভ্যারিয়েন্ট কন্টেয়নিং ভ্যাকসিন) হাতে পাওয়া গেছে। এই ভ্যাকসিন ৩য় ও ৪র্থ ডোজ হিসেবে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য এ সপ্তাহ থেকেই দেশের সিটি করপোরেশন, জেলা/ উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে স্থায়ী কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্র থেকে দেওয়া শুরু হবে।’
সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ফাইজার-ভিসিভি কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু সংক্রান্ত একটি সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, চলমান কোভিড মোকাবিলায় বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও সফলভাবে ভ্যাকসিন প্রদান করেছে। গোটা বিশ্বে যত ভ্যাকসিন পেয়েছে তার ১১ ভাগ ভ্যাকসিন বাংলাদেশ পেয়েছে। সেই ভ্যাকসিন থেকে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৮৮ দশমিক ৫১ ভাগ মানুষকে ১ম ডোজ, ৮২ দশমিক ১৮ ভাগ মানুষকে ২য় ডোজ, ৩৯ দশমিক ৬২ ভাগ মানুষকে ৩য় ডোজ এবং ১ দশমিক ৮৫ ভাগ মানুষকে ৪র্থ ডোজ টিকা ইতোমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানুষকে চিকিৎসা নিতে আর ঢাকায় আসতে হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ভিসিভি ভ্যাকসিন ব্যবহারে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং এটির ব্যবহারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থার ইতিবাচক মতামত রয়েছে।
উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩য় ডোজ পাবে ১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ ব্যক্তি, ৪র্থ ডোজ পাবে ৬০ বছর বা তদুর্দ্ধ বয়সী জনগোষ্ঠী বা দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা এবং সম্মুখসারির যোদ্ধাগণ। ৩য় ডোজ দেওয়া হবে ২য় ডোজ টিকা প্রাপ্তির ৪ মাস পর, ৪র্থ ডোজ পাবেন ৩য় ডোজ প্রাপ্তির ৪ মাস পর।
ডেঙ্গু রোগ প্রসঙ্গে ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে গত বছরের তুলনায় ৫ গুণ বেশি ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য সকলের বাসা বাড়ি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্য সম্মত জীবনাচার পালন করতে হবে।
এসময় স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল হক খানসহ অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে: জাপানে সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভবিষ্যত মহামারি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর যে-কোনো ধরনের অংশীদারিত্বমূলক বোঝাপড়ায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।
বুধবার চলমান বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের সাইড লাইনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আয়োজিত এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান এখনও উন্নত নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি, গ্লোবাল কোভ্যাক্স ব্যবস্থার আওতায় বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন প্রদানসহ ভ্যাক্সিন পরিবহন, সংরক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের হেল্থ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস সেক্রেটারি হ্যাভিয়ার বে’চারা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ এর মত মহামারি মোকাবিলায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতামূলক ব্যবস্থায় বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার আগ্রহ পোষণ করেন।
জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ন্যায্যতা ও সমঝোতার ভিত্তিতে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অধিকতর উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে মর্মে মতামত ব্যক্ত করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সকলের জন্য কল্যাণকর যে-কোনো ধরনের অংশীদারিত্বমূলক বোঝাপড়ায় ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও, তারা স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা এবং মহামারি অতি দ্রুততার সঙ্গে মোকাবিলায় জেনেটিক ইনফরমেশন শেয়ারিং, ভ্যাক্সিন শেয়ারিং এবং মহামারি প্রতিরোধ ব্যবস্থা উদ্ভাবন করে তা সারাবিশ্বে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আওতায় এ ধরনের আন্তর্জাতিক চুক্তি/সমঝোতা ফলপ্রসূ হতে পারে মর্মে একমত পোষণ করেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী একইদিনে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আলাদা করে আরেকটি বৈঠকে মিলিত হন।
জানা গেছে, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হতে সেক্রেটারির পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, ইউএসএইড, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এর উচ্চ বিষয়ক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এর পাশাপাশি জেনেভাস্থ বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে: জাপানে সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মানুষকে চিকিৎসা নিতে আর ঢাকায় আসতে হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী