স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন ৬০ লাখ মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ৬০ লাখ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ দেয়া হবে।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মানিকগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মানিকগঞ্জ জেলায় সম্প্রসারিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির (এসএসকে) উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা এসডিজির একটি লক্ষ্য। এসডিজি অর্জন করতে স্বাস্থ্য বিভাগে নতুন নতুন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মানিকগঞ্জসহ দেশের আরও ছয়টি জেলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি(এসএসডি) চালু করা হয়েছে। এতে প্রায় ১৫লাখ পরিবারে ৬০ লক্ষ মানুষ এই স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় আসবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রতি পরিবারকে একটি স্বাস্থ্যসেবার কার্ড দেয়া হবে। এই কার্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রত্যেকেই বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, ঔষধ, যাতায়াত খরচ পাবে। নিজের পকেট থেকে মাত্র ৩৬ টাকা খরচ হবে। বাকি টাকা দিবে সরকার। প্রতি পরিবারের স্বাস্থ্যসেবায় বছরে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করবে সরকার। পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই এই স্বাস্থ্যসেবা চালু করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় অতি দরিদ্রদের প্রতিবছর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। বেশ কয়েক বছর আগে টাঙ্গাইলে এর পাইলট প্রকল্প শুরু হয়েছিল। এ প্রকল্পটি আরও ছয়টি জেলায় উন্নীত করা হবে। এরমধ্যে সর্বপ্রথম মানিকগঞ্জে উদ্বোধন করা হলো। সাত উপজেলার দেড় লাখ পরিবারকে প্রতিবছর ৫০ হাজার টাকার প্যাকেজে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ করা হবে। প্রথমে এমন ব্যবস্থা সরকারি হাসপাতালে করা হলেও পরে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে এর আওতায় নিয়ে আসা হবে।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, ঢাকা কেন্দ্রিক স্বাস্থ্যসেবাকে আমরা জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌঁছে দিতে চাই। এজন্য প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ১০ বেডের আইসিইউ ও ডায়ালাইসিস ইউনিট করবো। আমরা টেলিমেডিসিন নিয়ে কাজ করছি যাতে মানুষ ঘরে বসে উন্নত চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন। দিন দিন স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহ আলম, যুগ্ম সচিব মো হেলাল হোসেন, এনডিসি মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা, সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সানোয়ারুল হক প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ বছর নিপাহ ভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রয়াত আ.লীগ নেতা নাসিমকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
ফেসবুকে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে বৃহস্পতিবার এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আশকার পাইন ওরফে আশকারুল (৩০) উপজেলার চালিতাডাঙ্গা গ্রামের ফজলুল বারীর ছেলে।
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে কটূক্তি করা একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অতিসম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গত ২৪ জানুয়ারি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার রাতে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রহমতগঞ্জ মহল্লায় অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে তা মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছে। আশা করছি এ সংসদ অধিবেশনে না হলেও আগামী অধিবেশনে আইনটি পাশ হবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু রোগ ইউনিট, ডায়ালাইসিস সেন্টারসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, নতুন ওষুধ আইনে অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বলা আছে।
এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কেউ অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বা ব্যবহার করলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এতে আইনে শাস্তির বিষয়টিও রয়েছে।
পরে তিনি সিলেটের স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
মন্ত্রী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন এবং রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এবং সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়াসহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: এ বছর নিপাহ ভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ বছর নিপাহ ভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, সারা দেশে নিপাহ ভাইরাসে এ বছর মোট পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সচিবালয়ে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আটজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন।’
আরও পড়ুন: পহেলা মার্চ থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানেই রোগী দেখতে পারবেন সরকারি চিকিৎসকরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সাধারণত ৭০ শতাংশেরও বেশি সংক্রমিত মানুষ মারা যায় এবং যারা কাঁচা খেজুরের রস এবং আংশিকভাবে পাখি, বিশেষ করে বাদুড় খেয়ে ফল পান করে, তাদের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এছাড়া সুস্থ ব্যক্তিরা যারা সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসেন তাদেরও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং তা দ্রুত একজন থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে যা উদ্বেগের বিষয়।’
তিনি বলেন, নিপাহ ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। ‘প্রথমে আমাদের মিডিয়ার মাধ্যমে ভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে’।
এছাড়াও, সরকার সংক্রামিত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য হাসপাতালে ডেডিকেটেড ওয়ার্ড এবং পৃথক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট তৈরির পদক্ষেপ নিয়েছে, তিনি বলেন।
মালেক আরও বলেন, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ভ্যাকসিন বা ওষুধ রয়েছে।
তিনি জনগণকে ভাইরাসের বিস্তার সম্পর্কে সতর্ক থাকতে, পাখি বা প্রাণীর খাওয়া কাঁচা খেজুরের রস এবং ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভাইরাসের বিস্তার রোধে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া নেতাবিহীন দলের ক্ষমতায় আসারও কোনো সুযোগ নেই। তাই আগে নেতা খুঁজুন, তারপর রাজনীতিতে আসুন।
শনিবার বিকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করতে হবে। পেছনের দরজা দিয়ে রাজনীতি করা, ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করা চলবে না। নির্বাচনে আসুন, নির্বাচনে এসে জনগণের ভোট প্রার্থনা করুন, ভোটের মাধ্যমে জনগণ ক্ষমতায় নিলে আপনারা ক্ষমতায় যাবেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি শুধু ক্ষমতায় আসতে চায়। তার জন্য দেশে বিশৃঙ্খলা করছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলেই লুটপাট শুরু করবে।
কাজেই বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা যাবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, শিক্ষা ছাড়া যেমন ভালো মানুষ হওয়া যায় না তেমনি, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যায় না। লেখাপড়ার মাধ্যমে প্রকৃত মানুষ হতে পারবে। নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারবে। তাহলে জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা রাজনীতি করে উন্নয়নের জন্য। দেশের মানুষের শান্তির জন্য। কাজেই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। রাজনীতিতে ঐক্য থাকতে হবে। রাজনীতিতে ঐক্য না থাকলে তৃতীয় শক্তি ক্ষমতা নিয়ে যাবে।
জাগীর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. শামীম মিয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ, পৌর মেয়র মো. রমজান আলী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পহেলা মার্চ থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানেই রোগী দেখতে পারবেন সরকারি চিকিৎসকরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ দেশের প্রত্যেক এলাকায় স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করা।
তিনি বলেন, আমাদের জেলা পর্যায় পর্যন্ত মোটামুটি ঠিক আছে, কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান এখনও উন্নত পর্যায়ে পৌঁছায়নি।’
আরও পড়ুন: ঢাকা শহরে কোনো অননুমোদিত ক্লিনিক নেই: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেক উপজেলা সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে, আল্টাসনোগ্রাফি মেশিন রয়েছে। কোথাও কোথায় টেকনিশিয়ান না থাকায় সেগুলোতে একটু সমস্যা হচ্ছে। আবার কোথাও মেশিনে কারিগরি ত্রুটি থাকতে পারে। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে এক্স-রে মেশিন নাই এটি সঠিক নয়।
তিনি বলেন, আমরা জেলা প্রশানকদের বলেছি জেলায় স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে যেসব মিটিং হয় সেগুলো তদারকি করতে। একই সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতেও মাঝে মাঝে ভিজিট করতে অনুরোধ করেছি। যাতে সেখানে রোগীকে বেশি টেস্ট দেয়া না হয় একই সঙ্গে অকারণে সিজার করা না হয়।
মন্ত্রী বলেন, এখন অসংক্রামক বিভিন্ন রোগের পরিমাণ বাড়ছে। আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি এটি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে হবে। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা না হয় সে বিষয়ে বিশেষ নজর রাখার জন্য বলেছি।
একই সঙ্গে পানি, বায়ু এবং শব্দ দূষণ প্রতিরোধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার অনুরোধ জানিয়েছি।
জেলা প্রশাসকরা স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে প্রশিক্ষিত নার্স নিয়োগ দেয়ার কথা বলেছেন। আমরা এ বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: পহেলা মার্চ থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানেই রোগী দেখতে পারবেন সরকারি চিকিৎসকরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পহেলা মার্চ থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানেই রোগী দেখতে পারবেন সরকারি চিকিৎসকরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, পহেলা মার্চ থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানেই চিকিসকরা রোগী দেখতে পারবেন।
তিনি জানান, সরকারি ইন্সটিটিউটের প্র্যাকটিসের কথা বলা হয়েছে, যাতে তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠানে প্র্যাকটিস করতে পারে।
এছাড়া কারা কতক্ষণ, কিভাবে প্র্যাকটিস করবে সেটি বাস্তবায়নে একটি টিম গঠন করেছি, তারা আমাদের অবহিত করবেন।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যখাতের কিছু জরুরি বিষয় নিয়ে মিডিয়া ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মার্চ মাস থেকে ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু হবে। পাইলট প্রকল্প হিসাবে ৫০টি উপজেলা ২০টি জেলা ও পাঁচটি মেডিকেল এর আওতাভুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এতে রোগীরা বেশি চিকিৎসা পাবেন। এছাড়া পহেলা মার্চ থেকে ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু করতে চাচ্ছি।
ফি কি বেশি হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাইরে যে ফি তারা নেন, সেক্ষেত্রে নিজের প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই কম ফি নেবেন বলে আশা করি। বাইরে যা ফি হয় তার চেয়ে কমই হয়ত গ্রহণ হবে। চেম্বারে বসে যে পরামর্শ দেয়া হয় সেগুলো তারা দেবেন। সেটা অফিসের কর্মঘন্টার পর। সেখানে কাজ করার জন্য আমরা অবশ্যই তাদের তাগিদ দেবো। তারা প্রায়য়োরেটি পাবেন।
তিনি আরও বলেন, নিজের প্রতিষ্ঠানে কাজ করবে। যাবতীয় যা কাজ আছে করবে। এর বাইরে যদি সময় পায় তাহলে তারা কাজ করবে। এখানে সময় দিলে সেভাবে বাইরে সময় দিতে পারবে না। এখনও বাইরে প্র্যাকটিস করেন।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা এটি বাস্তবায়ন করতে পারব আশা করি। প্রাইভেট প্র্যাকটিস নতুন কনসেপ্ট না। শুরু করতে গাইডলাইন লাগবে, সেখানে সময়, অর্থ সব নিয়ে কাজ শুরু করব।
এছাড়া কাজ করার মধ্যে কোন সমস্যা দেখা দিলে সেটি সমাধান করব।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় আমরা প্রতিনিয়ত কিছু উন্নয়নের চেষ্টা করছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে চোখের কর্ণিয়া ও কিডনি প্রতিস্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। আমরা সেখানকার সকলকে ধন্যবাদ জানাই। কিছুদিন আগে তারা লিভার প্রতিস্থাপনও করেছেন, যেটি একটি মাইলফলক। মানুষ এসব চিকিৎসার জন্যই বিদেশে যায়। মৃত্যুর পর যদি কিডনিটা দিয়ে যেতে পারেন, সেটা যদি মৃত্যুর আগে বলে যান তাহলে সেটি অন্য একজন মানুষের জীবন রক্ষা পেতে পারে। একজন মৃত ব্যক্তি মারা গেলে কয়েক ঘন্টা পর কিডনি অকেজো হয়ে যাবে, তাই সেটি দান করে একজনের জীবন বাঁচাতে পারেন। আমরা চাচ্ছি কিডনি প্রতিস্থাপন আরও জোরদার হবে, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভারে কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করছি। আমাদের প্রতিনিয়ত চেষ্টা আছে কিভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করা যায় এবং মানুষের বিদেশে যেতে না হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিভাগভিত্তিক জায়গাগুলোতে যে সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। বরিশাল বিভাগে গিয়ে যে সমস্যাগুলো দেখেছি, সেগুলো সমাধানের জন্য পরামর্শ দিয়ে এসেছি। তবে সঠিক তদারকি হলে ভালো কাজ হবে। আমাদের দুর্বল জায়গা হলো উপজেলা হাসপাতালগুলো। আমরা ডাক্তার নার্স নিয়োগ দিলেও ঘাটতি কমেনি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৫০০ বেডের হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সবাইকে স্বাস্থ্যকার্ড দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, ‘দেশের সরকারি হাসপাতালের সেবার মান আরও বৃদ্ধি করতে ঢাকাসহ সকল জেলা সদর হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। এর আগে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেবা চালু করা হয়েছে। আজ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও এই ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেবা ব্যবস্থা উদ্বোধন করা হলো। এর ফলে এখন থেকে এই জায়গাতেই একজন রোগী সব রকম সেবা ঝামেলামুক্ত থেকেই পেয়ে যাবেন। এর পাশাপাশি, এখানে ৫০০ বেড থেকে নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করে এই হাসপাতালে আজ থেকে প্রায় ১৩৫০ বেডের সেবা কার্যক্রম শুরু করা হলো।’
মন্ত্রী বলেন, এখানে নানারকম টেস্ট সুবিধা, আইসিইউ, এসডিইউ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র এই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এখন থেকে আর কোনো রোগীকে ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না। রোগীরা এই হাসপাতালে এখন থেকে উন্নত বেডে চিকিৎসা নিতে পারবে।’
আরও পড়ুন: সবাইকে স্বাস্থ্যকার্ড দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সোমবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি এন্ড ক্যাজুয়াল্টি (ওএসইসি) সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যখাতের কর্মকর্তা, চিকিৎসক, নার্সদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, এই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের শুধু ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করার কাজেই সরকারের ৯২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ৭৫ হাজার স্কয়ার ফিটের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২টি নতুন অপারেশন থিয়েটারসহ শতশত বেড বৃদ্ধি করা হলো। কিন্তু এগুলোতে যদি সেবা দিতে কাজ করাই না হয়, মানুষকে সেবা দিতে নৈতিকতা কাজ না করে তাহলে সরকারের সব প্রচেষ্টা নষ্ট হবে। কোন যন্ত্র নষ্ট হলে তা যদি ঠিক না করে ফেলে রেখে রোগীদের বাইরে চিকিৎসা নিতে পাঠানো হয় সেটা নৈতিক অপরাধ হবে। এজন্য যন্ত্র নষ্ট হলে তা মেরামত করতে হবে, মেরামত না হলে নতুন করে কিনতে হবে, কিন্তু সরকারি সেবা নিতে আসা অসহায় রোগীদের নিজেদের সরকারি হাসপাতালে সেবা না দিয়ে বেসরকারি কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে পাঠানো যাবে না।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, চিকিৎসা সেবা দিয়ে আপনারা সরাসরি মানুষের দোয়া পান, মানুষের ভালোবাসা লাভ করতে পারেন যা অন্য কোন পেশায় চাকরি করে পাওয়া অসম্ভব। কাজেই এই দোয়ার কাজটি আরও দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। কোন অসহায় মানুষ যেনো সরকারি হাসপাতালে এসে সেবা না পেয়ে মনে কষ্ট নিয়ে ফিরে চলে না যান সেটি আপনাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। আর ভালো কাজ করলে আপনাদের জন্য সরকার সব সুযোগ সুবিধা আরও বৃদ্ধি করবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল হক, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাচিপ এর সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মিলন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর আহমেদুল কবীর, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী সফিকুল আজম, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবিএম মাসুদুল আলম, পরিচালক খলিলুর রহমানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ঢাকা শহরে কোনো অননুমোদিত ক্লিনিক নেই: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিএসএমএমইউ-তে সফল লিভার প্রতিস্থাপন
কক্সবাজারে ৫০০ বেডের হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কক্সবাজারে ৫০০ বেডের হাসপাতাল করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, ‘কক্সবাজারে দেশ বিদেশ থেকে প্রতি বছরই লাখ লাখ পর্যটক আসেন। এর সঙ্গে কক্সবাজারে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাস করছে। এখানে প্রায় ২৮ লাখ স্থানীয় বাসিন্দা আছেন। প্রতিদিনই এখানকার সরকারি হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতার বাইরে গিয়ে অনেক রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এসব কারণে, কক্সবাজারে চিকিৎসা সেবা আরও বৃদ্ধি করা জরুরি।
আরও পড়ুন: ষাটোর্ধ্বদের করোনা টিকার ৪র্থ ডোজ দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের বর্তমানে আড়াইশ’ বেডের জেলা সদর সরকারি হাসপাতাল থাকলেও সেখানে ছয় থেকে সাতশ’ রোগী প্রতিদিনই চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। এত রোগীর চাপে হাসপাতালের ফ্লোরেও রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এজন্য এই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা জরুরি। তাই, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কক্সবাজারের হাসপাতালে অচিরেই আড়াইশ’ বেড থেকে বাড়িয়ে পাঁচশ’ বেডের হাসপাতাল করা হবে। এর পাশাপাশি এই হাস্পাতালে ডায়ালাইসিস সেবা দেয়ারও ব্যবস্থা করা হবে।’
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআর-এর যৌথ উদ্যোগে কক্সবাজার জেলা সদর ২৫০ বেড হাসপাতালে নবনির্মিত ‘ডা. আব্দুর নূর বুলবুল ভবন’ এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
কক্সবাজারের বর্তমানের আড়াইশ’ বেড হাসপাতালটি এখন তিন তলা বিল্ডিং হিসেবে এখানকার প্রায় ২৮ লাখ স্থানীয় বাসিন্দাসহ অন্যদেরও সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কক্সবাজারে নতুন করে পরিত্যক্ত জায়গা পাওয়া অনেক কঠিন। তাই এই তিন তলা বিশিষ্ট হাসপাতালটিকে ১০ তলা বিশিষ্ট হাসপাতালে পরিণত করতে পারলে এখানকার পর্যটকসহ স্থানীয় ২৮ লাখ মানুষের সেবার মান বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে সভায় জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এক্ষেত্রে বিদেশি সাহায্য না পাওয়া গেলে সরকারিভাবেই এই উন্নয়ন কাজটি করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঢাকা শহরে কোনো অননুমোদিত ক্লিনিক নেই: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের নানারকম সমস্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ১০ লাখ, এখন সেটি আরও কয়েক লাখ বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের কারণে এদেশের মুল্যবান বন বিভাগের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা আরও বেড়ে গেলে তা দেশের জন্য স্বস্তির হবে না বলে জানান মন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবেই বলে সভায় উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলা সদর ২৫০ বেড সরকারি হাসপাতালের ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও কক্সবাজারের উখিয়া, রামু অঞ্চলের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি'র সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, ইউএনএইচসিআর কক্সবাজারের হেড অব অপারেশন ইউকো আকাসাকা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হাসান, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা সদর ২৫০ বেড সরকারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোমিনুর রহমান, কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ড. মাহাবুবুর রহমানসহ অন্যান্য উধ্বর্তন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: সবাইকে স্বাস্থ্যকার্ড দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সবাইকে স্বাস্থ্যকার্ড দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, সরকার সব মানুষকে স্বাস্থ্য কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকের জন্য স্বাস্থ্যকার্ড থাকবে। ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) পরিকল্পনা কমিশনে দেয়া হয়েছে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী এটি পাস করে দেবেন। এছাড়া এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসায় ডেঙ্গু রোগীদের মৃত্যু বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, হেলথ কার্ডে স্বাস্থ্যবিষয়ক সব তথ্য থাকবে। বিদেশে এমন কার্ড দেয়া হয়। আমরাও তাদের মতো করে হেলথ কার্ড দেবো।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে রোগী ভর্তিসহ পুরোদমে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু হবে ২৩ জানুয়ারি থেকে।
২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর হাসপাতালের ১৪ বিভাগে রোগী দেখা শুরু করেন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকরা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
আরও পড়ুন: ঢাকা শহরে কোনো অননুমোদিত ক্লিনিক নেই: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ষাটোর্ধ্বদের করোনা টিকার ৪র্থ ডোজ দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী