স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা শহরে কোনো অননুমোদিত ক্লিনিক নেই: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, রাজধানীতে কোনো অননুমোদিত ক্লিনিক নেই। রবিবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিব হাসানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, অননুমোদিত প্রাইভেট ক্লিনিক পাওয়া গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ক্লিনিকের কার্যক্রম স্থগিত করাসহ নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বয়স্কদের চিকিৎসার জন্য জেরিয়াট্রিক বিভাগ চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, এই বিভাগে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী রোগীদের আধুনিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য শিগগিরই কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ষাটোর্ধ্বদের করোনা টিকার ৪র্থ ডোজ দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীতে অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যা ৪৮৪টি।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, দেশের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
তিনি বলেন, উপজেলা হাসপাতালকে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার পর্যায়ক্রমে প্রয়োজন অনুযায়ী ৫০ শয্যার সব উপজেলা হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।
দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকার প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রকল্প হাতে নিয়েছে যেখানে শিশুসহ সব বয়সের ক্যান্সার রোগীদের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসায় ডেঙ্গু রোগীদের মৃত্যু বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিদেশফেরত কর্মীদের এইচআইভি পরীক্ষা করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ষাটোর্ধ্বদের করোনা টিকার ৪র্থ ডোজ দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের করোনার টিকার চার নাম্বার ডোজ অথবা ২য় বুস্টার ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে বুস্টার ডোজে অগ্রাধিকার পাবেন ষাটোর্ধ্ব নাগরিকরা।
সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘যারা ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে আছেন, তারা যেকোন কেন্দ্রে গিয়েও চার নাম্বার ডোজ অথবা ২য় বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: ১ ডিসেম্বর থেকে ৭ দিনব্যাপী করোনার টিকাদান কর্মসূচি
তিনি বলেন, ৯৮ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্কদের দেয়া হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদেরও দেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১৪ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজ ও প্রায় ১৩ কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ এবং ছয় কোটি মানুষকে তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার টিকা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সারাদেশে সাত দিনের বিশেষ ক্যাম্পেইনে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু করেছি । চলতি এই ক্যাম্পেনে চাইলে নিতে পারবেন এই বুস্টার ডোজ।
মন্ত্রী বলেন, ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। এ উপলক্ষ্যে টিকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ লাখ ডোজ। ক্যাম্পেইনে মোট ১৭ হাজার ১১৬টি টিম কাজ করবে।
আরও পড়ুন: প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকার ক্যাম্পেইন বাড়ল আরও ৩ দিন
দেশেই স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির প্রচেষ্টার অগ্রগতি হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসায় ডেঙ্গু রোগীদের মৃত্যু বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন,দেরি করে চিকিৎসা নিতে আসার কারণে দেশে বেশি ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন।
তিনি বলেন, রোগীরা হাসপাতালে দেরি করে আসছে। দেখা যাচ্ছে রোগী যখন ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে তখন অনেকে মনে করছেন সর্দি জ্বর হচ্ছে। সেটা ভেবে অনেক কালক্ষেপণ করা হচ্ছে, এতে রোগী সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে। হেমোরেজিক একটা ভাইরাসে আছে ডেঙ্গুর যা ইন্টারনাল ব্লেডিং করে, সেটা শুরু হলে রোগীকে বাঁচানো কষ্ট হয়ে যায়। দেরি করে আসার কারণে অনেক রোগী মারা গেছে। ভর্তি হওয়ার তিনদিনের মধ্যে রোগী মারা গেছে ৭২ শতাংশ। যারা দীর্ঘসময় থাকতে পেরেছে তারা কিন্তু বেঁচে গেছে। যারা আসার তিনদিনের মধ্যে মারা গেছেন তারা সিরিয়াস কন্ডিশনে আসছে। তিনি আরও বলেন, জ্বর হলে পরীক্ষাটা দ্রুত পরীক্ষার ব্যপারে সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন।
সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নেপাল ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগী ও মৃত্যুর হারও বেড়েছিলো। আমরা লক্ষ্য করেছি আশেপাশের দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ দেশগুলোতে ডেঙ্গু বেড়ে গিয়েছিলো। এ পর্যন্ত ৫৮ হাজার ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। তার মধ্যে ৩৬ হাজারই ঢাকায়,তাও সিটি করপোরেশন এরিয়ায়।
আরও পড়ুন: বিদেশফেরত কর্মীদের এইচআইভি পরীক্ষা করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী। সিটি করপোরেশনে লোকও বেশি বাস করে। এখানে অনেক ড্রেনেজ সিস্টেম আছে। অনেক রকমের পানি জমে আছে, সেটাও বেশি। ঘরবাড়িও বেশি, যেখানে আবর্জনা ও পানি জমে থাকে, কনস্ট্রাকশন অনেক বেশি। সব জায়গায় স্প্রে করা প্রয়োজন। স্প্রে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা করে থাকে। এ বছর দেখা গেলো তারপরও মশা অনেক বেড়েছিলো। এতে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। আমরা বারিধারা থাকি সেখানেও অনেক মশা। সার্বক্ষণিক স্প্রে করলেও দেখি মশা দূর হয় না। সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর জন্য যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আমাদের নেয়ার কথা অর্থাৎ হাসপাতালের ব্যবস্থা রাখা, আমরা কিন্তু সেই ব্যবস্থা রেখেছিলাম। হাসপাতাল ডেঙ্গু রোগীতে ভরা ছিলো। প্রত্যেক দিন প্রায় এক হাজার রোগী আমরা পেতাম। সেই এক হাজার রোগীকে আমাদের রাখতে হয়েছে, চিকিৎসা দিতে হয়েছে। কেউই বিনা চিকিৎসায় হাসপাতাল থেকে যায়নি।
জাহিদ মালেক বলেন, আশার বিষয় হলো রোগীর সংখ্যা কমে আসছে। আগে এক হাজার রোগী প্রতিদিন আমরা পেয়েছি, আজ চারশ'রোগী ভর্তি হয়েছে। তাতে অর্ধেরকেরও বেশি কমেছে। মৃত্যুর হারও কমেছে। গতকাল তিনজন মারা গেছে। তার আগে কয়েকদিন কোন মৃত্যু হয়নি। গ্রামে কিন্তু এতো মশা নেই, ঢাকা শহরে এটা বেশি। তাই ঢাকা শহর অন্যান্য সিটি করপোরেশন গুলোতে যদি বেশি নজরদারি করা হয় তাহলে হয়ত আগামিতে ডেঙ্গুর সংখ্যা কমবে।
তিনি বলেন, স্প্রে হয়ত যে পরিমাণ দরকার ছিলো সে পরিমাণ দেয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু তারা যথেষ্ট চেষ্টা করেছে, সেজন্যই ডেঙ্গু কমে এসেছে। আশা করি সামনে ভালো ওষুধ যথা সময়ে দেয়া হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, স্প্রে যথেষ্ট করার পরও যখন মশা এতো বাড়ে তখন অনেক সময় মনে হয় এই ওষুধটা মশার জন্য কার্যকর হয়নি। বা মানুষের শরীরে যেভাবে অ্যান্টিবডি ডেভলপ করেছে, মশারও তেমন অ্যান্টিবডি ডেভলপ করেছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর কারণ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে।
আরও পড়ুন: প্রতিবছর ১৩ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভেজাল খাবারে দেশ ভরে গেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভেজাল খাবারে দেশ ভরে গেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ নাই। এছাড়া বিষাক্ত ওষুধ মেশানো ভেজাল খাদ্য দিয়ে দেশ ভরে গেছে।
তিনি বলেন, যে খাবারগুলোই আমরা খাচ্ছি তার সবই প্রায় ভেজাল মেশানো। চাল, ডাল, মশলা, মাছ থেকে শুরু করে শাকসবজি সহ প্রায় সব খাদ্যেই বিষ মেশানো হচ্ছে। সেই বিষ মেশানো খাবারগুলো আমরা নিজেরা খাচ্ছি, আমাদের পরিবারের ছোট-বড় সবাই খাচ্ছে। ভেজাল খাদ্যের কারণে মানুষের দেহে ক্যান্সার, কিডনী সহ বড় বড় জটিল রোগগুলো এখন দ্বিগুণ হারে বেড়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে একটি মত বিনিময় সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয় ডেঙ্গুর চিকিৎসা দিতে পারবে কিন্তু মশা মারতে পারবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ভেজাল খাবারের কারণেই দেশে ওষুধের ব্যবসা এত বেড়ে গেছে, হাসপাতালে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি হাসপাতালের ফ্লোরেও রোগীদের এখন জায়গা হয়না। উন্নত দেশগুলোতে আর যাই হোক খাদ্যে বিষ মেশালে সেই কোম্পানি যত ক্ষমতাধরই হোক কোনো ছাড় দেয়া হয়না। আমাদের দেশে এখন হোটেলে ভেজাল খাবার, দোকানে ভেজাল খাবার, বাজারে ভেজাল খাবারসহ সর্বোত্র ভেজাল খাবার দেয়া হচ্ছে। মানুষ যাবে কোথায়? খাবে কী?
এভাবে তো চলতে দেয়া যায়না।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুস্থ জীবন দিতে হলে এই ভেজাল কারবারিদের এখনই থামিয়ে দিতে হবে। খাদ্যে ভেজাল দেয়া বন্ধ করতে হবে। এটি করতে আমাদের স্বাস্থ্যখাতের ভুমিকা আরও জোড়ালো করার পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং একযোগে কাজ করতে হবে। ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সেটি নিয়ে পড়ে থাকলে এই ভেজাল আর বন্ধ হবে না। ভেজাল প্রতিরোধ করা ও নিয়ন্ত্রণ করা অন্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হতে পারে, কিন্তু চিকিৎসা'তো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেই দিতে হবে। কাজেই আগামী এক মাসের মধ্যেই স্বাস্থ্যখাতের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কিছু টিম গঠন করে মাঠে নেমে যেতে হবে এবং সুনির্দিষ্ট রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। সেই রিপোর্ট নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আমরা বসে খুব দ্রুত এর সমাধান করব।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী একে একে উপস্থিত সবার কথা শোনেন, এবং সবাইকে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কি কি ভুমিকা রাখতে হবে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেন।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম সাদিসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের পদস্ত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গু শনাক্তের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মশা মারার কাজ স্বাস্থ্যখাতের নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে ডেঙ্গু শনাক্তের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে ডেঙ্গু শনাক্তের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। গেল কয়েক সপ্তাহে দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যুও বেড়েছে। একইসঙ্গে প্রতিদিন শতশত মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে মশা কমাতে উদ্যোগ নিতে হবে।
রবিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত টিবি বিষয়ক নবম জেএমএম প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন প্রতি জেলাতেই ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে, এটি খুবই আশঙ্কাজনক বিষয়। আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আমরা সহায়তাও দিচ্ছি। আমরা চিকিৎসা দিতে পারি। কিন্তু আক্রান্তের হার কমাতে মশা কমাতে হবে।
আরও পড়ুন: মশা মারার কাজ স্বাস্থ্যখাতের নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনার চাপ সামলে স্বাস্থ্য বিভাগ ঘুরে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এ সময় আমাদের স্বাস্থ্যখাত চাপে পরেছিল। হাসপাতালের বেশিরভাগ শয্যা করোনা রোগীদের জন্য দিয়ে দিতে হয়েছিল। তখন সরকারকে নতুন নতুন হাসপাতাল করতে হয়েছে। নতুন নতুন শয্যা ও সুযোগ সুবিধা যুক্ত করতে হয়েছে। এ সময় টিবিসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে খুব দ্রুতই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছি। বাংলাদেশে ৯০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। যেখানে সারাবিশ্বে ৭০ ভাগ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে জিরো টিবি লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব। ডায়াবেটিস, তামাকজাত দ্রব্যের সেবন টিবি নির্মূলের বড় অন্তরায়। তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলে টিবি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, আমাদের সম্মিলিতভাবে টিবি নির্মূলে কাজ করতে হবে। তাহলেই ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ টিবিমুক্ত হবে। সরকারি এই উদ্যোগের সঙ্গে অবশ্যই বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয় ডেঙ্গুর চিকিৎসা দিতে পারবে কিন্তু মশা মারতে পারবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্যখাতে এখন সুবাতাস বইছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মশা মারার কাজ স্বাস্থ্যখাতের নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনও হাত থাকেনা। স্বাস্থ্যখাত চিকিৎসা দিতে পারে, কিন্তু মশা মারার কাজ স্বাস্থ্যখাতের নয়।
বুধবার সকালে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটের অডিটোরিয়াম হলে জাতির পিতার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মাল্টি পারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী ।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুততম সময়ে ঢাকার ডিএনসিসি হাসপাতালের এক হাজার বেড থেকে ৫০০ এবং বিএসএমএমইউ এর নতুন নির্মিত ফিল্ড হাসপাতালের ৪০০ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। আরও লাগলে আরও বৃদ্ধি করা হবে। তবে মশা কমাতে হবে, এবং একই সঙ্গে দেশের মানুষকে মশা যাতে না কামড়াতে পারে সে বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে। বাড়িতে রাতে ঘুমানোর আগে মশাড়ি লাগিয়ে ঘুমাতে হবে এবং বাসা বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয় ডেঙ্গুর চিকিৎসা দিতে পারবে কিন্তু মশা মারতে পারবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত বর্তমান সরকারের কোনও উন্নয়নই চোখে দেখতে পায়না। তারা শুধু ক্ষমতায় যাবার জন্যই রাজনীতি করে। তারা দেশের মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে রাজনীতি করে না। ক্ষমতার লোভে তারা পেট্রোল দিয়ে মানুষ পুরিয়ে মারতেও দ্বিধা করেনা। তারা সামান্য অজুহাতেই মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। সিলেটে বন্যার সময় তারা বন্যার্ত মানুষের জন্য কিচ্ছু করেনি। তাদের সময় বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে আসতো, বিদ্যুৎ থাকতোই না। তারা অফিসে, ঘরে এবং কল কারখানায় কোথাও বিদ্যুৎ দিতে পারে নাই। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধের কারণে সাময়িক সময়ের জন্য কয়েক ঘন্টা লোড শেডিং নিয়েই বিরাট রাজনীতি শুরু করেছে বিএনপি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের কারণে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে। ইউকে'তে এখন মানুষ খাবার বাঁচাতে দুই বেলা খাচ্ছে। কই আমাদের দেশে তো এরকম হয়নি। দেশের মানুষ যাতে অর্থনৈতিক চাপে না পড়ে এজন্য বিদ্যুতের কিছু লোড শেডিং হচ্ছে। এগুলো তো সাময়িক সমস্যা। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের মতো দেশ এখন কোনও অকার্যকর, ব্যর্থ ও দুর্নীতিতে পরপর চার বার চ্যাম্পিয়ন নয়। করোনার এত বড় ধাক্কার পরও বাংলাদেশের মানুষ অভাবে না খেয়ে নেই। দেশের মানুষকে খাবার বাঁচাতে দু’বেলা খেতে হচ্ছে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভালো থাকা নিয়ে ভাবেন, আর বিএনপি জামায়াত দেশকে লুটেপুটে খাবার জন্য ক্ষমতায় যেতে চায়। এগুলো দেশের মানুষ বোঝে। আর বোঝে বলেই দেশের মানুষ শেখ হাসিনার সঙ্গেই আছে। দেশের মানুষ আবারও শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় এনে সেটাই প্রমাণ করে দেবে।
শেখ রাসেলসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের ১৮ জন সদস্যের নির্মম হত্যাকাণ্ডে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার যোগসূত্র উল্লেখ করতে গিয়ে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট ভবনে অবস্থিত বহুতল মাল্টি পারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর মাহমুদ হাসান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. সিরাজুল ইসলাম শিশির, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান, এবং গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটের পরিচালক ডা. গোলাম কিবরিয়া সহ অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্যখাতে এখন সুবাতাস বইছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ফি নির্ধারণ করবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রণালয় ডেঙ্গুর চিকিৎসা দিতে পারবে কিন্তু মশা মারতে পারবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দিতে পারবে ঠিকই, কিন্তু এডিশ মশা মারতে পারবে না।
রাজধানীর শিশু হাসপাতালে ‘আবুল হোসেন রেসপাইরেটরি ও নিউমোনিয়া রিসার্চ সেন্টার’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, ডেঙ্গু রোগী বেড়ে গেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তার চিকিৎসা দিতে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ঢাকা নর্থ সিটি কর্পোরেশন হাসপাতাল, বিএসএমএমইউ’র নতুন হাসপাতাল ইউনিট এবং লালকুঠি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্যখাতে এখন সুবাতাস বইছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতের পক্ষ থেকে এডিশ মশা নিধনে নিজেদের বাসা বাড়িতে পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি করতে ও মশার কামড় থেকে বাঁচাতে পরামর্শমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কিন্তু মশা মারার কাজ তো স্বাস্থ্যখাতের নয়। মশা মারার গুরুত্ব তুলে ধরে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার প্রতিনিধিদেরকে তাগিদ দেয়া হয়েছে। এখন মশা কমলে ডেঙ্গু রোগীও কমে যাবে; হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপও কমে যাবে।’
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর সভাপতি ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম আমিরুল মোর্শেদ, অর্থদাতা আবুল হোসেন, অর্থদাতা অধ্যাপক রুহুল আমীন, ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. জাহাঙ্গীরসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
উল্লেখ্য, রিসার্স সেন্টারটি করতে অর্থদাতা আবুল হোসেন এক কোটি টাকা এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমীন ২০ লাখ টাকা সরকারের কোষাগারে অর্থ অনুদান প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ফি নির্ধারণ করবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে লাইসেন্স বাতিল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্যখাতে এখন সুবাতাস বইছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্যখাতে এখন সুবাতাস বইছে।
ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী (১৩-১৪ অক্টোবর, ২০২২) চতুর্থ গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ সামিটে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত সিদ্ধান্তে আমরা দ্রুত সাফল্য অর্জন করেছি। এজন্য বিশ্বে বাংলাদেশ আলাদা করে পরিচিতি পেয়েছে৷ এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় মানসিক স্বাস্থ্যকেও সফলভাবে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে বাংলাদেশ সক্ষম হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ আইন, নীতি এবং কর্মকৌশল রয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন, দেশের জনগণের মানসম্মত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নীতি ও কর্মকৌশলের বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশের আটটি বিভাগীয় শহরে নতুন আটটি মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এনসিডি কর্নারে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য স্কুল মেন্টাল হেলথ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সম্পদ সীমিত এবং মানসিক স্বাস্থ্যখাতে দক্ষ জনবলের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও ই-মেন্টাল হেলথ, অ্যাপভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য সেবাসহ নানা উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা বিকেন্দ্রীকরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ফি নির্ধারণ করবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এই প্রক্রিয়াসমূহকে আরও বেগবান করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় মানসিক স্বাস্থ্যকে অন্তর্ভূক্ত করতে ‘স্পেশাল ইনিশিয়েটিভ ফর মেন্টাল হেলথ’কার্যক্রমে বাংলাদেশকে অন্তর্ভূক্ত করায় মন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান।
এছাড়া সম্মেলন শেষে মন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে দেশে দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি করোনা মোকাবিলা ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় কমিউনিটি বেইজড মেন্টাল হেলথ সার্ভিস প্রদানে দেশের বিদ্যমান প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা অবকাঠামো যেমন ১৪০০০ কমিউনিটি ক্লিনিক, ৪০০০ ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টার, ৫০০ উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করার কথা বলেন।
তিনি কমিউনিটির মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য ব্যক্তি নির্বাচন, তাঁদের প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি, অর্থায়ন ইত্যাদির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এসকল বিষয়ে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা কামনা করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে প্রণীত মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক আইন, নীতিমালা ও কর্মকৌশলের কথাও উল্লেখ করেন।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য-‘দক্ষতা, অধিকার এবং যত্ন’এই তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে সকলের জন্য কমিউনিটিভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিশ্বের ৫২টি রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অংশগ্রহণ করে।
ইতালীর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং কমিউনিটি মেন্টাল হেলথ শীর্ষক একটি কর্মশালায় তিনি বক্তব্য প্রদান দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরেনজা বক্তব্য দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের জনসম্পৃক্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিস্ময়কর অর্জনের উদাহরণ দিয়ে কমিউনিটিভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
শনিবার অনুষ্ঠিতব্য কান্ট্রি ইন্টারভেনশন পর্বে জাহিদ মালেক কমিউনিটি মেন্টাল হেলথ এবং ইনোভেশন এন্ড মেন্টাল হেলথের ওপর তথ্য ও উপাত্তসহ বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
এর আগে, ১২ অক্টোবর মন্ত্রীর নেতৃত্বে চার সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল রোমে পৌঁছালে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান মন্ত্রীকে বিমান বন্দরে স্বাগত জানান।
মন্ত্রী রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন এবং দূতাবাসের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে লাইসেন্স বাতিল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সদস্য দেশগুলোকে তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় নিতে সক্ষম হবে দেশ’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় নিতে সক্ষম হবে দেশ।
করোনা মোকাবিলা এবং টিকাদানে বাংলাদেশের অনন্য সাফল্যের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের জনগণের মানসম্মত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নীতি ও কর্মকৌশলের বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী চতুর্থ গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ সামিটে দেয়া বক্তব্যে মন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
শুক্রবার ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
আরও পড়ুন: ওষুধের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
জাহিদ মালেক জানান, ইতোমধ্যে আট বিভাগীয় শহরে নতুন আটটি মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ এবং জেলা উপজেলা পর্যায়ে এনসিডি কর্নারে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য স্কুল মেন্টাল হেলথ কার্যক্রম, এমএইচগ্যাপ প্রশিক্ষণসহ সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের বিষয়ে মন্ত্রী সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের অবহিত করেন।
মন্ত্রী বলেন, সম্পদ সীমিত এবং মানসিক স্বাস্থ্য খাতে দক্ষ জনবলের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও ই-মেন্টাল হেলথ, অ্যাপভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য সেবাসহ নানা উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা বিকেন্দ্রীকরণের প্রক্রিয়া চলমান। এই প্রক্রিয়াগুলোকে আরও বেগবান করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় মানসিক স্বাস্থ্যকে অন্তর্ভূক্ত করতে ‘স্পেশাল ইনিশিয়েটিভ ফর মেন্টাল হেলথ’ কার্যক্রমে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করায় মন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সম্মেলন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে দেশে দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি কোভিড মোকাবিলা ও সামগ্রিক স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মন্ত্রী কমিউনিটি বেইজড মেন্টাল হেলথ সার্ভিস প্রদানে দেশের বিদ্যমান প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা অবকাঠামো যেমন- ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, ৪ হাজার ফেমিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টার, ৫০০ উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করার কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে সবচেয়ে কম দামে টিকা দিয়েছে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি কমিউনিটির মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার জন্য ব্যক্তি নির্বাচন, তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি, অর্থায়ন ইত্যাদির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এসব বিষয়ে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা কামনা করেন।
রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, ১৩ ও ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশ্বের ৫২টি রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অংশগ্রহণ করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরেনজা বক্তব্য দেন।
বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ফি নির্ধারণ করবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকার দেশের বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার ফি নির্ধারণ করবে এবং চিকিৎসার মানের ভিত্তিতে সেগুলোকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেসরকারি হাসপাতালের ফি নির্ধারণ সংক্রান্ত এক সভায় তিনি বলেন, এসব বেসরকারি হাসপাতালকে তাদের সেবার মানের ওপর ভিত্তি করে এ,বি ও সি ক্যাটাগরি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাতের পাঁচ তারকা হাসপাতালকেও এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলোকে তাদের ক্যাটাগরির বাইরে গিয়ে জনবল ও সরঞ্জামের ক্ষমতার ভিত্তিতে চিকিৎসা দেয়ার অনুমতি থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘সরকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ওপর জোর দিচ্ছে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার নামে গ্রামে গ্রামে অপরিকল্পিতভাবে ক্লিনিক ও হাসপাতাল স্থাপন ঠেকাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালের সেবার মান বাড়াতে হবে। কেবলমাত্র সে হাসপাতালগুলোই অস্ত্রোপচার করবে, যেগুলোর সক্ষমতা ও পর্যাপ্ত সরঞ্জাম রয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশেই স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির প্রচেষ্টার অগ্রগতি হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হলে মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবে না। বহু মানুষ বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে বাংলাদেশ হারাচ্ছে বিলিয়ন ডলার।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এছাড়া অনিবন্ধিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের ব্যাপারেও সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, পল্লী চিকিৎসকদের যাদের কোনো অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট নেই, তারা সেবা চালিয়ে যেতে পারেন না। গ্রামাঞ্চলের অনেক চিকিৎসক সবক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে লাইসেন্স বাতিল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সদস্য দেশগুলোকে তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী