স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কক্সবাজারে ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন
স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা সম্প্রসারণে বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) কক্সবাজারে নির্মাণাধীন ১০০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ১২টির কাজ সম্পন্ন করেছে।
রবিবার কক্সবাজারে নবনির্মিত ১২টি ক্লিনিক উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি শুরুর পর থেকে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমকে ব্যাপক বাড়িয়েছে এবং আইওএম-এর সহযোগিতায় কক্সবাজারসহ সারা দেশে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম চালু করেছে। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে একসঙ্গে কাজ করছি। কক্সবাজারে নবনির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য অনেক সরকারি পদক্ষেপের মধ্যে একটি।
তিনি আরও বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে মৌলিক অবকাঠামো এবং পরিষেবাগুলোতে সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। ইতোমধ্যেই জাতীয় পরিষেবাগুলোর গড় তুলনায় অনেক কম ছিল। বিদ্যমান স্বাস্থ্য সুবিধাগুলোর মধ্যে অনেকগুলো দুই দশক আগে নির্মিত হয়েছিল এবং বন্যা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদের কারণে অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্ভাগ্যবশত শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা নেই: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
আইওএম পুরনো ক্লিনিকগুলো ভেঙে ফেলে এবং বৃহত্তর, পরিবেশগতভাবে টেকসই বিল্ডিং তৈরি করে যার মধ্যে রয়েছে সৌর-চালিত সিস্টেম, নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা।
বাংলাদেশে আইওএম চিফ অব মিশন আবদুসাত্তর এসয়েভ বলেছেন, ‘শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের বহুমাত্রিক চাহিদা একই সাথে তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে মানবিক উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা পালনকারীর মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার বিশ্বব্যাংক এবং আইওএম-এর মধ্যে এই সহযোগিতা কিভাবে মানবিক-উন্নয়ন সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী ফলাফলে রূপান্তর করা যায় তার একটি দৃঢ় উদাহরণ উপস্থাপন করে।’
প্রথমত এই সম্প্রদায়গুলোর যত্ন নেয়া, এই ক্লিনিকগুলো প্রজনন এবং পারিবারিক ওষুধের সঙ্গে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে; স্বাস্থ্য স্ক্রীনিং, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার প্রতিক্রিয়া এবং পুষ্টি পরামর্শ।
বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান্ডান চেন বলেন, ‘আমরা মানবিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী এবং বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
‘অন্যান্য নেতৃত্বের মধ্যে আইওএমকে মোট ১৫ কোটি মার্কিন ডলার অনুদান সহায়তার মাধ্যমে, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের স্থানীয় সম্প্রদায়ের চাহিদা পূরণে এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণ স্বদেশে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনে বর্ধিত তহবিল চায় ঢাকা: জাতিসংঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আইওএম জেলার একমাত্র মাধ্যমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সদর হাসপাতালের চেয়েও আপগ্রেড কর্মী ও সজ্জিত করেছে। ২৫০-শয্যার সুবিধা সম্পন্ন বিশেষ হাসপাতালটিতে নবজাতকের যত্ন, জরুরি, নিবিড় পরিচর্যা এবং করোনারি কেয়ার ইউনিট সহ বিশেষায়িত পরিষেবা প্রদান করে; কোভিড-১৯ চিকিৎসা; রক্ত সঞ্চালন এবং এইচআইভি এবং অন্যান্যের মধ্যে এইডস রোগের জন্য স্বেচ্ছাসেবী পরামর্শ এবং পরীক্ষার সুবিধা আছে।
সদর হাসপাতালের ৬০ বছর বয়সী স্থানীয় রোগী আবুল হাসান বলেন, ‘আমাদের যে ওয়ার্ড থেকে স্থানান্তর করা হয়েছে তার চেয়ে সম্প্রতি নির্মিত রোগীর ওয়ার্ডটি ভালো। ‘হাসপাতালটি সম্পূর্ণ সংস্কার হয়ে গেলে আমরা অনেক উপায়ে উপকৃত হব।’
অবশিষ্ট ক্লিনিকগুলোর নির্মাণ এবং জেলা হাসপাতালের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে একং ২০২৩ সালে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রাক-নির্মাণ পর্যায়ে আইওএম স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলোতে অব্যাহত সুবিধা নিশ্চিত করতে অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করেছিল।
আরও পড়ুন: বিদেশি রাষ্ট্রদূতের পরামর্শ যেন অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না হয়: তথ্যমন্ত্রী
অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সদস্য দেশগুলোকে তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার রোধ করতে জাতিসংঘ (ইউএন) তার সদস্য দেশগুলোকে পলিসি ও আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে।
রবিবার লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে ইউএনবির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের বিষয়টি বিশেষ ফোকাস পেয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, ইউএনজিএ স্বাস্থ্য বিষয়ে আলোচনায় কয়েকটি সেশন ছিল, সেখানে আমি অংশগ্রহণ করেছি এবং বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স বিষয়টা অর্থাৎ পৃথিবী জুড়ে যত্রতত্র এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে প্রেসক্রিপশন না করে। এন্টিবায়োটিক গুলো ব্যবহার হচ্ছে বিশেষ করে মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে অর্থাৎ দরিদ্র রাষ্ট্রগুলো আছে সেখানে এটি বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশেই স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির প্রচেষ্টার অগ্রগতি হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার এত ব্যাপক হওয়ার একটি কারণ হল প্রচুর ওষুধ কাউন্টারে বিক্রি হয়।
তিনি বলেন, যে কেউ কোনো প্রেসক্রিপশন না দেখিয়ে সরাসরি ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কিনতে পারেন। এই ধরনের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে লোকেরা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিকাশ করছে, যার অর্থ অ্যান্টিবায়োটিকগুলো যে অসুস্থতার জন্য এটি সেবন করা হয় তা নিরাময় করতে পারে না। এর ফলে সারা বিশ্বে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে অসুস্থতায় নয়, অতিরিক্ত ওষুধ সেবনে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রশংসিত হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় আমাদের সাফল্য সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়া আমরা যেসব ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানি করি সেগুলোও প্রশংসিত হয়েছে। আমরা একটি ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেছি যাতে আমরা স্বাস্থ্য খাতে আমাদের অর্জনগুলো তুলে ধরেছি, যা ভালোভাবে সমাদৃত হয়েছেল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রতিক্রিয়া বেশিরভাগই ইতিবাচক ছিল।
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সকে ভয়ঙ্কর ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ নতুন অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ভাবনের ওপর জোর দিয়েছে যা বিদ্যমান অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর চেয়ে বেশি কার্যকর।
মন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের অধিবেশনে সদস্য দেশগুলোকে যথাযথ উপায়ে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া কেউ যাতে অ্যান্টিবায়োটিকের মতো ওষুধ না পায় তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩ অক্টোবর থেকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যসেবার নামে কোন ব্যবসা চলবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশেই স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির প্রচেষ্টার অগ্রগতি হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশেই স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির প্রচেষ্টার অগ্রগতি হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা নানা চেষ্টা করে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ভ্যাকসিন কিনে আমাদের নাগরিকদের সরবরাহ করেছি। কিন্তু এখন আমরা একটি ভ্যাকসিন-সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য কিছু জমি কিনেছি এবং আমেরিকার কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে কিছু সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।’
রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে শুক্রবার ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ অধিবেশেনে (ইউএনজিএ) যোগ দেয়ার জন্য তিনি নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: ৩ অক্টোবর থেকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, সরকার ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ কিছু আমেরিকান কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার থেকে সরকার (জিটুজি’র) ভিত্তিতে এই সহায়তা পাবে।
তিনি বলেন ‘এই বছরের ইউএনজিএ অধিবেশনের সময় স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। কারণ জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো কোভিড-১৯ মহামারি এবং এর পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর ধরে বৈঠক করতে পারেনি। মহামারি চলাকালীন অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতার মতো বিষয়গুলো জাতিসংঘের অধিবেশনে ব্যাপকভাবে আলোচনায় ছিল।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবার নামে কোন ব্যবসা চলবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, মহামারি চলাকালীন সময়ে ভ্যাকসিন বিতরণ ছিল অসম। গরিব দেশের মানুষের চেয়ে ধনী দেশের মানুষ বেশি টিকা পান। এছাড়া, সমাজের একটি অংশ যদি টিকাপ্রাপ্ত না থাকে, তাহলে যারা টিকা নিয়েছেন তারা আবার কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হবেন। ফলস্বরূপ, এ বছরের জাতিসংঘ অধিবেশনে ভ্যাকসিন ইস্যুটি বিশেষ মনোযোগ পেয়েছে।
সাক্ষাতকারে মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদানকারী সমস্ত দেশ দ্ব্যর্থহীনভাবে স্বীকার করে যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবশ্যই ভ্যাকসিন উৎপাদনের জ্ঞান থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরীক্ষার ওপর জোর দেয়া হয়েছিল। অনেক দেশ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি টেস্টিং সিস্টেমের অভাবের কারণে তাদের জনগণের জন্য পর্যাপ্ত পরীক্ষার খরচ বহন করতে পারেনি। জাতিসংঘের অধিবেশনে ধনী দেশগুলো অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে পরীক্ষার সুবিধা তৈরিতে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশ বাংলাদেশকে কীভাবে দেখছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে।
সবশেষে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের মোট ৯০০ টি কোভিড-১৯ পরীক্ষাগার আছে। যেখানে মানুষ বিনামূল্যে নিজেদের পরীক্ষা করতে পারে। আমরা প্রায় প্রতিটি বয়সের কোটি কোটি মানুষকে টিকা দিয়েছি। ফলে আমাদের মৃত্যুর হার কম ছিল, এবং মহামারির সময় অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হইনি। এসব কারণে জাতিসংঘের অধিবেশনে উপস্থিত অন্যান্য দেশগুলোর প্রশংসা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।’
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৩ অক্টোবর থেকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী ৩ অক্টোবর থেকে দেশে করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ হতে পারে। এরমধ্যেই প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে বাদ পরা মানুষদের টিকা নিতে হবে।শনিবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে আয়োজিত ‘৫-১১ বছরের শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম বিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, দেশে এখনও প্রথম ডোজের টিকা নেয়নি প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ, দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়নি প্রায় ৯৪ লাখের মতো মানুষ।
তাদেরকে দ্রুতই টিকা নিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন:স্বাস্থ্যসেবার নামে কোন ব্যবসা চলবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, অক্টোবরের পর হয়তো আমাদের কাছে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য টিকা থাকবে না। যেগুলো থাকবে, সেগুলোরও মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। যারা এখনও প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার নেননি, তারা দ্রুত নিয়ে নিন। অক্টোবরের পরে থেকে টিকা নাও পেতে পারেন।তিনি বলেন, টিকা কার্যক্রমে আমাদের আড়াই লাখ লোক কাজ করছে, এরমধ্যে ভ্যাকসিনেটরই রয়েছেন ৬০ হাজার জন। সবাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকা নিয়ে নিন। আমরা এখন পর্যন্ত ৩০ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি।শিশুদের টিকাদান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ১০ লাখ শিশুকে টিকাদান হয়ে গিয়েছে। আমাদের এখনো শোয়া দুই কোটি শিশুকে টিকা দিতে হবে। তার মানে চার কোটির বেশি ভ্যাকসিন এখনও দেয়া প্রয়োজন। আমরা মাত্র শুরু করেছি। শিশুদের টিকা কার্যক্রম আরও অনেক বাকি আছে।জাহিদ মালেক বলেন, করোনা বেড়ে গেলে আবারও অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে, স্বাস্থ্য সেবায় প্রভাব পড়বে। সংক্রমণ কিন্তু আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যেন মাস্ক পরা ভুলে গেছি, মাস্কই হলো বড় হাতিয়ার। ভালো দিক হলো মৃত্যু হার কম আছে, আমরা সন্তুষ্ট নই, করোনাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন:ভুটান থেকে দেশে ফিরেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যসেবার নামে কোন ব্যবসা চলবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক জানান, জনগণের স্বাস্থ্যসেবার নামে কোন ব্যবসা চলবে না,জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলবে তা হতে দেব না। এছাড়া জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কাউকে ব্যবসাও করতে দেয়া হবে না। এজন্য ইতোমধ্যে প্রায় দুই হাজার হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, যে কোন স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠান; যারা সেবা দিয়ে থাকে, তারা যদি সঠিক নিয়মে সেবা না দেয় তাহলে আমরা তাদের কাজ করতে দেব না। আমাদের সরকারি কিছু নিয়মনীতি আছে। স্বাস্থ্যসেবার কোন প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সবিহীন পরিচালনা করা যাবে না। আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছি।
আরও পড়ুন: ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালিক বলেন, ইতোমধ্যে সারাদেশে প্রায় দুই হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। তারা যদি লাইসেন্স নবায়ন করে ও তাদের যদি সঠিক যন্ত্রপাতি-জনবল থাকে তাহলে তাদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে। ইতোমধ্যে যারা শর্ত পূরণ করেছে তাদের আবার পরিচালনা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। শর্ত পূরণ না হলে দেয়া হবে না।
মন্ত্রী বলেন, কাগজে-কলমে বন্ধ থাকলেও বাস্তবে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক চলছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,আমরা সেটা দেখব। যেগুলো সঠিক যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকার কারণে বন্ধ করা হয়েছে সেগুলো যদি আবারও পূরণ না করে থাকে তাহলে বন্ধ করে দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে জনবলের কিছু সংকট দেখেছেন। আউটসোর্সিং ও নিয়োগের মাধ্যমে জনবলের ঘাটতি পূরণ করার জন্য বলেছেন। হাসপাতালটিতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগী থাকেন। সে জন্য ভবনের ঊর্দ্ধমুখী সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
রাজশাহী সদর হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। এখন সেখানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের কার্যক্রম চলে। করোনার সময় হাসপাতালটি চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। শুরু হয় সংস্কার কাজও। যাবতীয় প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালটি চালু হয়নি।
এ হাসপাতাল প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সদর হাসপাতালটি আমরা চালু করতে চাই। এখানে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা হবে। পাশাপাশি ডেন্টাল ইউনিটেরও কার্যক্রম থাকবে। কীভাবে কী করা যায় সে বিষয়ে কথা বলতেই এসেছি। এখন সবার সঙ্গে মতবিনিময় করব।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভুটান থেকে দেশে ফিরেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আমন্ত্রণে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ভুটান থেকে দেশে ফিরেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মন্ত্রী।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক সভা সাউথ ইস্ট এশিয়ান রিজিওনাল অর্গানাইজেশনের (এসইএআরও) পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্দেশে ভুটানে যাত্রা করেন।
জানা গেছে, পাঁচ দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেসব বিষয় তুলে ধরেন। একইসঙ্গে কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফলপ্রসু দিক নির্দেশনা ও সার্বিক পরামর্শের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এরপর গত মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে তিনটায় ভুটানের পারো শহরের হোটেল লা মেরিডিয়ানে ভারতের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ড. ভারতী প্রভীন পাওয়ারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন। এসময় তিনি করোনাকালীন বিভিন্ন প্রয়োজনে বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
একইসঙ্গে বৈঠকে উভয় দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে করণীয় সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য আলাপ-আলোচনা হয়। অল্টারনেটিভ মেডিসিন, যৌথ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা, তথ্য বিনিময়, ভ্যাকসিন উৎপাদন, ঔষধ উৎপাদন, ট্রেডিশনাল মেডিসিন, চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন, ল্যাব ইকুইপমেন্ট, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া নির্মূলে যৌথ প্রচেষ্টা, মেডিকেল ভ্রমণে সমঝোতা স্মারক, ফার্মাসিটিক্যালস সেক্টরের উন্নয়ন, ডিজিটাল হেলথ সার্ভিসেস, প্রভৃতি বিষয় নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও যৌথভাবে কাজ করার জন্য মত বিনিময় হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল ৫ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচ দিনব্যাপী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক সভা ভুটানের পারো শহরে শুরু হয়। সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলা, কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা, সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাসহ অসংক্রামক ব্যাধি মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণসহ সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে একযোগে কাজ করার কৌশল নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিতে বাংলাদেশ ও ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভুটানে উপস্থিত হন।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে প্রতিদিন যক্ষায় ১০০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং একইসঙ্গে স্বাস্থ্য গবেষণায় আরও জোরালোভূমিকা রাখতে হবে।
মঙ্গলবার ভুটানের পারো শহরে শুরু হওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আয়োজিত পাঁচদিনব্যাপী সাউথ ইস্ট এশিয়ান রিজিওনাল অর্গানাইজেশনের (এসইএআরও ) আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
পাঁচদিনব্যাপী এই আঞ্চলিক সভায় সদস্য দেশগুলো উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কৌশল অন্যদেশে কীভাবে সাফল্যের সঙ্গে কার্যকরভাবে ব্যবহার করে সাফল্য অর্জন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
দেশগুলো ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলা, কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা, সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাসহ অসংক্রামক ব্যাধি মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণসহ সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে একযোগে কাজ করার কৌশল নির্ধারণ করবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সভার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং।
আরও পড়ুন:অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সভায় এসইএআরও ভুক্ত ১০টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের মধ্যে আটটি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক সভায় প্রথম দিনের কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।
সভায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফলপ্রসু দিক নির্দেশনা ও সার্বিক পরামর্শের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এতে অংশগ্রহণ করেছেন।
তারা হচ্ছেন- স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম, উপ-সচিব খন্দকার জাকির হোসেন, উপ-সচিব মোহাম্মদ শাহাদত খন্দকার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মেখালা সরকার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আরাফাতুর রহমান।
আরও পড়ুন:দেশে প্রতিদিন যক্ষায় ১০০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাতিসংঘ পুলিশ, সংস্থা ও জাতীয় কর্তৃপক্ষসহ সকলের সমন্বয় প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতিসংঘের কাছে সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ভঙ্গুরতার মূল কারণ চিহ্নিত করে ওই সকল দেশে মৌলিক সেবা প্রদান, অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সংস্কার বাস্তবায়নে দেশসমূহের সরকারি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জাতিসংঘকে সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ পুলিশ, জাতিসংঘের কান্ট্রি টিম, বিভিন্ন সংস্থা ও জাতীয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে একটি সুসংগত ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন।’
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের জাতিসংঘের সদর দপ্তরে জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানদের সম্মেলন (ইউএনকপস ২০২২) উপলক্ষে আয়োজিত ‘জাতিসংঘ পুলিশ এর অংশগ্রহণে টেকসই শান্তি ও উন্নয়ন’- শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৮৯ সাল থেকে ‘জাতিসংঘ পুলিশ’ এর গর্বিত সদস্য হিসেবে, টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের জন্য এর যেকোনো উদ্যোগে অবদান রাখতে আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।’
নিরাপত্তা ও উন্নয়ন পরস্পর নির্ভরশীল এবং এটি পারস্পরিকভাবেই শক্তিশালী একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুবিধার্থে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও সুসংগত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিরাপত্তা খাত সংস্কারে জাতিসংঘ পুলিশিং এর ভূমিকা এবং ম্যান্ডেট অনুযায়ী আইনের শাসন জোরদার ও বিশেষায়িত পুলিশ টিমের (এসপিটি) ওপর গুরুত্বরোপ করেন।
পড়ুন: গুমের ঘটনা জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত করুন: সরকারকে ফখরুল
অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সারাদেশে অনিবন্ধিত, অব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্যসম্মতভাবে চিকিৎসা সেবা না দেয়া সব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর সদর জেনারেল হাসপাতালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কুমিল্লা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালীসহ ছয় জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য স্থাপনা উদ্ধোধন এবং প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই টিকা পাবে শিশুরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেয়া হবে অব্যবস্থাপনা হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগেুলো। এছাড়া বহু বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাইসেন্স নবায়ন করতে নোটিশ দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধন নবায়ন না করলে এবং সংশোধন না হলে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ করে দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মীর মোবারক হোসাইন বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রাত ১০টার পর বন্ধ থাকবে: ডিএসসিসি
সরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষক ও আসনসংখ্যা বাড়ানো হবে
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষক এবং আসনসংখ্যা আরও বৃদ্ধি করবো, যাতে আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিনা পয়সায় ডাক্তারি শিক্ষা লাভ করতে পারে৷
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে দেশের হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুরা করোনা টিকা পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আসন বাড়াচ্ছি। বেসরকারিতে সিট সাড়ে ছয় হাজারের মতো আছে। আর সরকারি মেডিকেল কলেজে সিট আছে সাড়ে চার হাজারের মতো। আমরা সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে গত তিন বছরে প্রায় ১২'শ সিট বাড়িয়েছি। এছাড়া আমরা আমাদের মেডিকেল কলেজের শিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, নার্সিংয়ের শিক্ষা, ম্যাটস আইএইচটি-এ সবগুলোর বিষয়ে আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যে আমাদের শিক্ষকের হার খুব কম। প্রফেসর যা প্রয়োজন তার তুলনায় বাংলাদেশে বর্তমানে অর্ধেক আছে। আমরা এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। নতুন নিয়োগের মাধ্যমে, পদোন্নতি দিয়ে এবং ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে আমরা এটি পূরণ করার চেষ্টা করবো। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একটা নির্দেশনা আছে, গবেষণায় গুরুত্ব দেয়া৷ গবেষণা আমাদের দেশে খুব কম হয়। তাই আমরা এখন গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি৷
আরও পড়ুন:ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই টিকা পাবে শিশুরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী