আটক
গুলশানের একটি হোটেল থেকে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আটক
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায় মঙ্গলবার সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ঢাকার গুলশান এলাকার একটি হোটেল থেকে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার র্যাব সদর দপ্তরের (মিডিয়া উইং) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইমরান খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল গুলশানের একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে বিএনপি নেতাদের আটক করে।
দেশব্যাপী ৩ দিনের অবরোধের প্রথম দিন মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করায় বিএনপির নিন্দা ওবায়দুল কাদেরের
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের সমর্থনে বিএনপি নেতা-কর্মীরা ওই এলাকায় মিছিল বের করেন। পরে তারা গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। তারা ওই এলাকা দিয়ে যাওয়া বিআরটিসির একটি বাসসহ দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
এ সময় আওয়ামী লীগের একদল নেতা-কর্মী অবরোধের বিরুদ্ধে মিছিল বের করলে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
পুলিশ এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করলে এলাকাটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে আহত হন ২০ জন।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, হামলাকারীদের ছুরিকাঘাতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে অস্ত্র হাতে তরুণদের উল্লাস, আটক ৭
রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম থানা এলাকায় দেশীয় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উঁচিয়ে একদল তরুণের উল্লাস করার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অস্ত্র কারখানার সন্ধান, সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ২
ইতোমধ্যে এ ঘটনায় সাতজনকে নগরীর শাহ মখদুম থানা পুলিশ আটক করেছে। তাদের শাহ মখদুম থানা হেফাজতেই রাখা হয়েছে।
তারা হলেন- মো. সোহেল রানা, মো. মনিরুল ইসলাম অপূর্ব, মো. রফিকুল ইসলাম সম্রাট, নাজমুস সাকিব আবির, মোহাইমিনুল শেখ, মো. জিসাদ ও মো. মারুফ হোসেন। আটক সবার বাড়ি নগরীর শাহ মখদুম থানার চকপাড়া দুরুলের মোড় এলাকায়।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (শাহ মখদুম জোন) নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘অস্ত্র হাতে একদল কিশোরের (তরুণ) নাচানাচির একটি ভিডিও আমাদের নজরে আসে। এরপর মঙ্গলবার রাতভর ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের মধ্যে সাতজনকে আমরা আটক করি।’
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
মাতুয়াইলে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে ৪ পুলিশ আহত, আটক ৩০
ঢাকার মাতুয়াইলে বিএনপি-জামায়াত ও সহযোগী দলের তিন দিনের অবরোধ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
ডেমরা থানার ডিউটি অফিসার মো. রফিক জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দেশব্যাপী অবরোধের সমর্থনে বাদশা মিয়া রোডে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে দু্ই পক্ষের সংঘর্ষে সাবেক সেনা সদস্য নিহত, আহত ২০
তিনি জানান, পুলিশ বাধা দিলে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর হামলা করে। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হন।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করা হয় এবং ঘটনার সময় কিছু দেশীয় বোমা বিস্ফোরিত হয়।
ডিএমপির ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাস জানান, পরে তামিরুল মিল্লাত ও মিন্টু চত্বর এলাকা থেকে ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বিএনপি-আ. লীগ-পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ২
মানিকগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ৫
মানিকগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ৫
বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন মানিকগঞ্জে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আটক করা হয় জেলা বিএনপির সহসভাপতি আজাদ হোসেন খান এবং পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দীন যাদুসহ ৫ জনকে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মানিকগঞ্জ পৌর সেওতা-মানরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নরসিংদী রেলস্টেশনে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ পুলিশ আহত, আটক ৩০
জেলা বিএনপি'র দপ্তর সম্পাদক আরিফ হোসেন লিটন জানান, অবরোধ সমর্থনে বিএনপি নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। মিছিলটি সেওতা হয়ে মানরা এলাকা দিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উঠতে গেলে পুলিশ ধাওয়া করে। এ সময়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে বিএনপি'র ১০ নেতা-কর্মী আহত হন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে জেলা বিএনপি'র সহসভাপতি আইনজীবী আজাদ হোসেন খান, পৌর বিএনপি'র সভাপতি নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ যাদু, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক লিটন কসাইসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।’
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়েছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারের দায়ে আটক ২১
তিস্তা নদীতে ছুড়ে সন্তানকে হত্যার অভিযোগে বাবা আটক
তিস্তা ব্রিজ থেকে নদীতে ছুড়ে ফেলে নবজাতক সন্তানকে হত্যার অভিযোগে বাবা লাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ। এর আগে, শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে তিস্তা ব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ৭ কর্মী আটক, আহত ৫ পুলিশ সদস্য
পুলিশ জানায়, জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝার ইউনিয়নের রাবাইটারী এলাকার লাল মিয়া ও ছামিরন ৩ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন। লাল মিয়ার পরিবার এ বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রী দুইজনে মিলে নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ তেতুলতলা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন।
এরই মধ্যে গত ২২ অক্টোবর ছামিরন তার বাবার বাড়িতে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান প্রসব করেন। জন্মের পর থেকে তার স্বামী ওই সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করেন। এমতাবস্থায় স্ত্রী ছামিরন প্রতিবাদ করলে গত ২৭ অক্টোবর বিকালের দিকে স্বামী লাল মিয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নবজাতকের ডিএনএ পরীক্ষার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মোটরসাইকেলে করে রংপুরের উদ্দেশে রওনা দেন।
একই দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিস্তা ব্রিজের মাঝখানে স্বামী লাল মিয়া মোটরসাইকেল থামিয়ে নবজাতককে তার মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর কথা বলে বিরতি নেয়। দুধ খাওয়ানোর এক পর্যায়ে ছামিরন লাল মিয়া আকস্মিকভাবে নবজাতককে তার কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ব্রিজের উপর থেকে তিস্তা নদীতে ফেলে দিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে রংপুরের দিকে পালিয়ে যান।
পুলিশ আরও জানায়, পরে ছামিরন কান্নাকাটি ও চিৎকারে লোকজন জমা হয়। তাদের ঘটনাটি জানান ছামিরন। লোকজন কাউনিয়া ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নবজাতকে খোঁজাখুজি করেও কোনো সন্ধান পাননি।
গত ২৮ অক্টোবর রাতে লাল মিয়া ছামিরনের কাছে এলে ৯৯৯ নম্বরে কল করে কচাকাটা থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাল মিয়া সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. রুহুল আমীন বলেন, এই বিষয়ে নাগেশ্বরী থানায় গত ২৯ অক্টোবর একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হলে সমস্ত ঘটনা বর্ণনা ও সত্যতা স্বীকার করে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আরও পড়ুন: বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া মিয়া আরেফিকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ-বিএনপি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বিএনপি নেতা আটক
বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া মিয়া আরেফিকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রবিবার (২৯ অক্টোবর) নিজেকে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ দুপুরে আরেফি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে গেলে সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিন্টো রোডে ডিবি সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শনিবার আরেফি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নিজেকে ‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ হিসেবে পরিচয় দেন।
আরও পড়ুন: 'মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা' দাবি করা ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত: মোমেন
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সঙ্গে বসে আরেফি এমনকি দাবি করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সম্পূর্ণ পক্ষে’।
আরেফি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং বাংলাদেশে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার প্রতিদিন তার যোগাযোগ হয় বলে দাবি করেন। আরও দাবি করেন, মার্কিন সরকারের সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বিরোধীদের আন্দোলনকে সমর্থন করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, দলীয় নেতারা বিএনপি অফিসে বসে থাকা আরেফিকে ঘিরে রেখেছেন।
বিএনপি ও জামায়াতপন্থীরা দাবি করেছেন, সরকার উৎখাতের জন্য ‘বাইডেন এর পক্ষ থেকে’ তাদের সমর্থন জানানোর জন্য বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এসেছিলেন আরেফি।
আরও পড়ুন: মার্কিন দূতাবাস থেকে কোনো ব্যক্তির গতিবিধির গুজব সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা ও ভুল’: মুখপাত্র
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করেছে পুলিশ
ফখরুলকে আটকের নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি
মির্জা ফখরুল ইসলামকে আটকের নিন্দা জানিয়ে রবিবার বিএনপি বলেছে, সরকার জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য এটা করেছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকায় নিপীড়ন, হত্যা ও গ্রেপ্তার করে সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দলটি।
এক বিবৃতিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে, যখন পুরো জাতি তার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।’
আরও পড়ুন: গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুল আটক
তিনি বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে লাখো মানুষের উপস্থিতি দেখে 'পরিকল্পিতভাবে' সমাবেশে হামলা ও বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গুলি ও হত্যা করেও 'অবৈধ' সরকার নিরাপদ বোধ করছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আজ (রবিবার) সকালে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমি বিএনপি মহাসচিবের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি।’
৭৫ বছর বয়সী ফখরুল গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ‘জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সহিংসতায় যুবদল নেতা নিহত, বিএনপির এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আহত: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী ক্যাডাররা বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা চালিয়েছে, গুলি করেছে, হত্যা করেছে এবং সব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। এর (সহিংসতা) জন্য তারাই দায়ী।’
বিএনপির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে গুলশান-২ এর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে (ফখরুল) আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আরও পড়ুন: সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী হরতাল চলছে
গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুল আটক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে রবিবার সকালে গুলশানের বাসা থেকে আটক করেছে পুলিশ।
বিএনপির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপির হরতালের মধ্যেই সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে গুলশান-২ নম্বরে ফখরুলের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি দল।
ফখরুলকে আটকের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে পারেনি পুলিশ।
ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম জানান, সকালে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল তাদের বাসায় এসে ফখরুলসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রথমে ওই বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও হার্ডডিস্ক কেড়ে নেয়।
রাহাত আরা বলেন, ‘১০ মিনিট পর তারা আবার এসে তাকে (ফখরুল) নিয়ে যান।’
তিনি বলেন, ফখরুল খুবই অসুস্থ এবং তার চিকিৎসা চলছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মেনে নিতে পারছি না যে ৭৫ বছর বয়সী একজনকে এভাবে নিয়ে যাওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকার প্রবেশপথে ব্যাপক তল্লাশি, অর্ধশতাধিক আটক
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেওয়ার পরের দিন তাকে আটক করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ অন্তত দুইজন নিহত ও কয়েকশ' আহত হওয়ার পর আকস্মিকভাবে সমাবেশ স্থগিত করে হরতাল ঘোষণা করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: কাকরাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মী আটক
নরসিংদী রেলস্টেশনে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ পুলিশ আহত, আটক ৩০
ঢাকার প্রবেশপথে ব্যাপক তল্লাশি, অর্ধশতাধিক আটক
কেরাণীগঞ্জের কদমতলীর বাবু বাজার সেতু ও হাসনাবাদের পোস্তগোলা ব্রিজ চেকপয়েন্ট থেকে ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।
র্যাব-১০ ও পুলিশের সদস্যরা শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে।
এসব পয়েন্টে যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশি করছেন র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা।
কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহাবুদ্দিন কবির বলেন, ‘অভিযানে অবৈধ কার্যকলাপের সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। তাদের বিস্তারিত যাচাই-বাছাই করা হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় ৩২ জনকে এবং দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ও বিএনপির সমাবেশ: ৩টি গাড়ি ভাঙচুর
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন যানবাহনে দীর্ঘ তল্লাশি চালানোয় এসব এলাকার যাত্রীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদীতে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। নৌকা চলাচল ব্যাহত হওয়ায় মিটফোর্ড হাসপাতালের অসংখ্য রোগী এবং অফিসগামীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
এদিকে, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে হাসানাবাদ ও কদমতলী এলাকায় 'শান্তি সমাবেশ' করছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশে সম্ভাব্য সহিংসতা রোধে ঢাকায় হাজার হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলছে
শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে জড়ো হচ্ছেন আ. লীগের নেতা-কর্মীরা
কাকরাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মী আটক
রাজধানীর কাকরাইলে একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে শনিবার বিএনপির ২ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে- আজকের মহাসমাবেশ যোগ দেওয়ার জন্য তারা ঢাকার বাইরে থেকে এসে এখানে জমা হয়েছিলেন।
পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া জানান, রাতে ডিবি পুলিশের একটি দল কাকরাইলে অভিযান চালায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, ওই এলাকায় (নয়াপল্টন) বেশ কতগুলো ককটেল চার্জ করা হয়।
তিনি বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে পুলিশ ও ডিবি একটি নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: শর্তসাপেক্ষে আ. লীগ ও বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি
তিনি আরও বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশকে সামনে রেখে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন।
ডিবি’র এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা পরবর্তীতে সেখানে গিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একটি গাড়ি, প্ল্যাকার্ড, খাবার রান্নার সরঞ্জাম, অনেক লাঠিসোঁটা, রড এবং অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছি।’
ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজীব আল মাসুদ বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ১৫-২০টি বোমা চার্জ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।’
হারুন বলেন, ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে অথবা মহাসমাবেশে কেউ যেন কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে। রাজধানীজুড়ে এরকম আরও ৭-৮টি ভবন আছে। সেখানেও এরকম সমাগম হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। আমরা সেখানেও অভিযান চালাব।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ-বিএনপির শনিবারের সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীতে আতঙ্ক