রোহিঙ্গা ক্যাম্প
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের সঙ্গে আরসার গোলাগুলি, নিহত ২
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় আরসার গুলিতে এক পথচারী নিহত হন। অন্যদিকে, পুলিশের গুলিতে আরসার এক শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। অস্ত্রসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন এআরএসএ কমান্ডার নিহত: এপিবিএন
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে উখিয়া ১৮নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ।
আটক আরসা সদস্য ১৮নং ক্যাম্পের নুরুল হাকিমের পুত্র মোহাম্মদ সাদেক (৩১)।
নিহতরা হলেন, ১৮নং ক্যাম্পের বশির আহমেদের পুত্র
আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ হাশিম (৩২) ও পথচারী নুরুল ইসলামের স্ত্রী নূর হাবা (৫০) ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত আসরার শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ হাশিম চাঁদাবাজি ও মাদক পাচারসহ একাধিক মামলার আসামি।
৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বলেন, দুপুরে দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ক্যাম্প ১৮ এর এল/১৭ ব্লকে মসজিদের পাশে পাহাড়ের পাদদেশে কয়েকটি ঘর ঘিরে ফেলে।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আশপাশের গলি ও পাহাড় থেকে আরসার অস্ত্রধারী ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী গুলি ছুড়লে পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি করে। এ সময় আরসার গুলিতে এক পথচারী নিহত হয়।
ফারুক আরও জানান, ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলের একটু দূর থেকে আরসার শীর্ষ নেতা হাশিমের লাশ উদ্ধার করে।
এরপর আশপাশের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে এক আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর ও নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা নিহত
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যুবককে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন এআরএসএ কমান্ডার নিহত: এপিবিএন
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধের সময় সন্দেহভাজন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) কমান্ডার নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় ক্যাম্প-১৯-এর ৮ নম্বর ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
এপিবিএন-৮ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ নিশ্চিত করে জানান, নিহত আব্দুল মজিদ ওরফে লালাইয়া ছিলেন একজন অভিযুক্ত এআরএসএ কমান্ডার।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত
সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ জানান, মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্প-১৯ এর ৮ নম্বর ব্লকের আমিন মাঝির বাড়ির পাশে আরএসএ সন্ত্রাসীদের কয়েকটি বাড়ি ঘেরাও করে এপিবিএন। এ সময় এআরএসএ সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় এপিবিএন সদস্যরা পাল্টা গুলি চালায়।
তিনি জানান, ‘বন্দুকযুদ্ধের’ পর কয়েকটি ঘরে তল্লাশি করে আরসা কমান্ডার আব্দুল মজিদ ওরফে লালাইয়ার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার লাশের পাশ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তিন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। তারা হলো-মোহাম্মদ তাহের, জামাল হোসেন ও লিয়াকত আলী।
তিনি আরও জানান, নিহত ব্যক্তি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত চারটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। গোলাগুলির ঘটনায় দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ‘পাচারকারী’ নিহত
নারায়ণগঞ্জে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৬৫ বছরের বৃদ্ধ নিহত
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যুবককে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ
কক্সবাজারের উখিয়ায় সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এক যুবককে অপহরণ করে নিয়ে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করেছে। রবিবার গভীর রাত সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়ার বালুখালী ৮ নম্বর ক্যাম্প থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সৈয়দ আলম (২৮) উখিয়ার ক্যাম্প-৮ ওয়েস্ট ব্লক এ/৫০- এর নুর ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, শনিবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে অজ্ঞাত ৮-১০ জনের অস্ত্রধারী একটি দল সৈয়দ আলমকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে তার গুলিবিদ্ধ ও গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।
ওসি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
সিলেটে মা-বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বেচ্ছাসেবককে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৫ মার্চ) ভোরে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা মাঝিকে গুলি করে হত্যা
সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে তার মাথায় ও পিঠে গুলি করে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
নিহত স্বেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ রশিদ (৩৫) বালুখালী ক্যাম্পের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. আলী জানান, এনজিও অফিসে রাতে ডিউটি করে তার নিজ শেডে যাওয়ার সময় মোহাম্মদ রশিদকে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। পরে তাকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা
পাবনায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে রিকশা চালককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে একটি ব্লকের হেড মাঝি নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে কুতুপালং ক্যাম্প-২ ইস্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সৈয়দ হোসেন ওরফে কালা বদ্দা উখিয়ার কুতুপালং ২- ইস্টে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি।
১৪-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি ছৈয়দ হারুন উর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সৈয়দ হোসেন সকালে ঘর থেকে বের হন। আরসা নামধারী একদল দুষ্কৃতিকারী অতর্কিতভাবে তাকে গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশের অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে নারী নিহত, হেড মাঝি আহত
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা মাঝিকে গুলি করে হত্যা
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখছে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখছে সরকার।
তিনি বলেছেন, উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো নাশকতা ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে সরকার।
সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এরআগে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, দেখুন এটি কোনো নাশকতা কিনা, ষড়যন্ত্র কিনা; সেটি আমরা দেখছি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তারা সিলিন্ডারে রান্নাবান্না করেন। সেখানে পাশেই আমাদের সাতটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে আগুন লাগলে নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। ঘটনাটি সে রকমই ঘটেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা আমরা তদন্ত করছি। তাতে যদি কোনো নাশকতা, ষড়যন্ত্র কিংবা অন্য ধরনের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়, সেগুলো আমরা দেখবো। সে নিয়ে আমরা কাজ করছি। যারা গৃহহারা হয়েছেন, তাদের জন্য আপাতত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা ভাসানচরে বিশাল একটি ব্যবস্থা রেখেছি, যারা স্বেচ্ছায় যেতে চান, তাদের সেখানে নিয়ে যাচ্ছি।’
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসায় হামলা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আহমদনগর এলাকায় কয়েক হাজার কাদিয়ানি ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বসবাস। প্রতিবারই তারা দুদিনব্যাপী একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে। এবারও সেই অনুষ্ঠান করতে যাওয়ায় তাদের ওপর জামায়াতে ইসলামীর অ্যাকটিভিস্ট ও বিএনপি নেতারা একসঙ্গে জড়িত হয়ে তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তাদের ঘরবাড়িতে আগুন ধরায়। যেখানে অনুষ্ঠান হচ্ছিল, সেখানেও আগুন ধরায়।
তিনি বলেন, ‘এতে একজন কাদিয়ানি সদস্য মারা যায়। মারামারি করতে গিয়ে একজন জামায়াতের সদস্যও আহত হয়ে মারা যায়। এ নিয়ে সাতটি মামলা হয়েছে। ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিএনপি নেতা ফজলে রাব্বি আছেন। তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে সমাবেশটি বন্ধ করতে আসছিলেন। ঘটনাগুলোর নেপথ্যে তিনিও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, সেখানে র্যাবের এক সদস্যও আহত হয়েছেন। তার মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। র্যাবের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী চরম ধৈর্যের সঙ্গে সেটি মোকাবিলা করেছে। সেখানকার পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। যারাই মামলা দিচ্ছে, মামলা নেয়া হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এবার তারা এতোটা মারমুখী কেন হয়েছিল, আমরা তা তদন্ত করে দেখছি। পুলিশের কোনো ব্যর্থতা আছে কিনা; সেটাও আমরা দেখছি। আমাদের কোনো ব্যর্থতা থাকলে আমরা দেখছি, সেটি নিয়ে এরইমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনো গাফিলতি থাকলে আমরা অবশ্যই দেখবো, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: পুড়ে গেছে ২ হাজার ঘর
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে তিনটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুই হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। রবিবার বিকাল তিনটার দিকে প্রথমে ১১ নম্বর ক্যাম্পের বি ও ই ব্লকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে পার্শ্ববর্তী ১০ ও ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের কক্সবাজার স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা জানান, উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন ৩ ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট কাজ করে।
তিনি জানান, সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
তবে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
তিনি জানান, আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষত-ক্ষতি নির্ধারণে কাজ চলছে। তা বলতে সময় লাগবে।
রবিবার বিকাল ৩ টার দিকে বালুখালীর ১১ নম্বর ক্যাম্পের বি ব্লকের একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন মূহুর্তের মধ্যে ৯, ১০, ১২ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিসের ১০ টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এপর্যন্ত ২ হাজারের কাছাকাছি ঘর পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হলেও তা নিশ্চিত করে বলতে সময় লাগবে। এ পর্যন্ত কোন হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ৫০০ বসতঘর পুড়ে ছাই
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫ শতাধিক বসতঘরে আগুন
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রবিবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১১ নম্বর বালুখালী ক্যাম্পের বি ও ই ব্লকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ১১ নম্বর ক্যাম্পের একটি বাড়ি থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবির থেকে ৬ আরসা সদস্য আটক
উখিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩ মার্চ) বিকালে উখিয়ার ক্যাম্প-১৯ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন ৮ এপিবিএন-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফারুক আহমদ।
নিহত রোহিঙ্গা যুবকের নাম রফিক (৩৫)। তিনি ক্যাম্প-১৯ ব্লক-এ/৯ এর দিল মোহাম্মদের ছেলে। তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে প্রথমে পিটিয়ে ও পরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে এএসপি ফারুক আহমদ জানান, মুখে কালো কাপড় বাধা ১০-১৫ জনের সশস্ত্র দল শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্প-১৯ এলাকার রোহিঙ্গা রফিককে তার নিজ ব্লক থেকে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
এএসপি ফারুক আরও জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, বিকাল ৫টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রফিক নামের ওই যুবকের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্টের পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে ২ রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা, আটক ২
উখিয়ায় গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনায় ৭৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসডিজি অ্যাডভোকেট বেলজিয়ামের রানী ম্যাথিল্ডে
জাতিসংঘ মহাসচিবের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অ্যাডভোকেট বেলজিয়ামের রানী ম্যাথিল্ডে মঙ্গলবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।
এ সফরে রানী ম্যাথিল্ডের সঙ্গে ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ অন্যরা।
এসময় তিনি একটি শিক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করা নারীদের সঙ্গে এক আলোচনায় অংশ নেন, বিভিন্ন নতুন প্রশিক্ষণ নেয়া নারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কাজ সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে যোগ দেন এবং মানসিক স্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা বলেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে তার।
আরও পড়ুন: জার্মানি ও বেলজিয়ামে বন্যায় ১২৫ জনের মৃত্যু, বহু নিখোঁজ
সোমবার বাংলাদেশে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিম রানী ম্যাথিল্ডকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়।
কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের ধারা স্থবির ও নিম্নমুখী হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মানুষের জীবন-যাপনের ব্যয় অনেক বেড়ে যায়।
ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় জানায়, এই সফর ‘এসডিজির বর্ধিত গুরুত্ব বোঝায় এবং বাংলাদেশের গতিশীলতা ও প্রতিশ্রুতিও তুলে ধরে।’
দেশে তার সফরের প্রথম দিনে বেলজিয়ামের রানী নারায়ণগঞ্জের পোশাক কারখানা ‘ফকির অ্যাপারেলস লিমিটেড’- পরিদর্শন করেন।
কারখানার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কর্মচারী নারী। তারা বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রামের মাধ্যমে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন উদ্যোগে অংশগ্রহণ করেছে।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ৪৭টি ব্র্যান্ড এবং নিয়োগকর্তা সমিতির সঙ্গে মিলে বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রাম ৪৫০টি কারখানাকে সমর্থন করে এবং বাংলাদেশের ১ দশমিক ২৫ মিলিয়নেরও বেশি শ্রমিককে উপকৃত করেছে।
এই উদ্যোগটি লিঙ্গ সমতা অর্জন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রচার এবং সবার জন্য উপযুক্ত কাজ নিশ্চিত করার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বেলজিয়ামের রানী ম্যাথিল্ডে: টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ
বেলজিয়ামের রানী কারখানায় কর্মরত কিছু নারীর সঙ্গে দেখা করেন এবং চাইল্ডকেয়ারগুলো পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশের জন্য আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পাউটিয়ানেন বলেছেন, ‘আমি আনন্দিত যে বেলজিয়ামের রানী বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় কাজ এবং এসডিজির পক্ষে কথা বলার জন্য আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। যা দারিদ্র্য, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশসহ বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোর উন্নয়নের মাধ্যমে এসডিজির অগ্রগতিতে অবদান রাখবে।’
এরপরে, তিনি ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় একটি অ্যাবিলিটি বেইজড অ্যাক্সিলারেটেড লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করেন। যেখানে তিনি কোভিড-১৯ মহামারি কীভাবে তাদের জীবন ও শিক্ষাকে ব্যাহত করেছে সে বিষয়ে শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন।
মানসম্পন্ন শিক্ষার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অনুসারে, ইউনিসেফ-সমর্থিত শিক্ষাকেন্দ্র এবং ক্যাচ-আপ প্রোগ্রাম স্কুল থেকে ঝরে পড়া বা ঝরে পড়ার ঝুঁকিতে থাকা ৭-১৪ বছর বয়সী ৮০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি শিশুকে শিক্ষা প্রদান করে।
রানী ম্যাথিল্ডে ২০১৩ সালে ক্ষমতায় আরোহণ করেন।
তিনি নিখোঁজ ও যৌন নিপীড়নের শিকার শিশুদের জন্য গঠিত প্রতিষ্ঠান ‘চাইল্ড ফোকাস ফাউন্ডেশন’ ও ইউনিসেফ বেলজিয়াম উভয়েরই সম্মানসূচক সভাপতি।
অসহায় মানুষদের জন্য তিনি ২০০১ সালে ‘প্রিন্সেস ম্যাথিল্ডে ফান্ড’ (বর্তমানে রানী ম্যাথিল্ড ফান্ড) প্রতিষ্ঠা করেন। এসডিজির অ্যাডভোকেট হিসেবে তিনি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।
আরও পড়ুন: বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার আহ্বান