ধর্ষণ
পরীমণির দায়ের করা মামলায় চার্জশিট দাখিল
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাভার থানায় চিত্রনায়িকা পরীমণির দায়ের করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
সোমবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক মো. কামাল হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত অপর আসামি হলেন শাহ শহিদুল আলম।
এ বছরের ১৩ জুন রাতে ফেসবুক পোস্টে পরীমণি অভিযোগ করেন, ৯ জুন উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় তিনি সাভার থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়ে কী বার্তা দিলেন পরীমণি
পরীমণির মামলা দায়েরের পর উত্তরায় তুহিন সিদ্দিকী অমির বাসায় অভিযান চালিয়ে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। অমির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়।
এরপর ১৪ জুন রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় নাসির, অমিসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: পরিমণির মামলায় জামিন পেলেন নাসির-অমি
মাদকের মামলায় কয়েক দফা রিমান্ড শেষে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
মুনিয়ার মৃত্যু: বসুন্ধরার এমডিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা
রাজধানীর গুলশান এলাকায় কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার আত্মহত্যার ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ আটজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন।
অন্য সাত আসামি হলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলম; শাহ আলমের স্ত্রী আফরোজা বেগম; আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সায়েম; ফারিয়া মাহবুব পিয়াশা; সাইফা রহমান মিম; ফ্ল্যাটের বাড়িওয়ালা ইব্রাহিম আহমেদ রিপন এবং তার স্ত্রী শরমিম আক্তার।
বিচারক মাফরোজা পারভিন অভিযোগকারী তানিয়ার বক্তব্য রেকর্ড করেন। শুনানি শেষে বিচারক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন।
এর আগে ১৯ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে মুনিয়ার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা: আনভীরকে অব্যাহতি
১৯ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান আনভীরের মুক্তি চেয়ে আদালতে একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তার জমা দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর দোষী সাব্যস্ত হননি এবং তার নাম বাদ দেয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
গত ২৬ এপ্রিল রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে সেই রাতেই বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বোনের নারাজি
গুলশানে তরুণী নিহত: বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে মামলা
রাজশাহীতে নাতনীকে ধর্ষণের অভিযোগে নানা গ্রেপ্তার
রাজশাহীর বাগমারায় পঞ্চম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফজলুর রহমান ফজেল (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি ভুক্তভোগীর দূর সম্পর্কের নানা। গত শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ছোটকয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিশু কন্যাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসিতে) ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার ফজেল ভুক্তভোগী শিশুর মায়ের আপন ফুফা। শুক্রবার ধর্ষণের ঘটনায় ওইদিন রাতেই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে তাকে আসামি করে বাগমারা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। অভিযোগ পেয়ে রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে স্কুল ছাত্রী ‘ধর্ষণের’ শিকার
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই শিশুর মা চাকরির সুবাদে বিদেশে থাকেন। এজন্য পরিবারের দেখাশোনা ও খোঁজ-খবর রাখার জন্য তিনি তার আপন ফুফা ফজেলকে অনুরোধ জানান। এই সুবাদে ভুক্তভোগীর পরিবারে সাথে ফজেলের সখ্য গড়ে ওঠে। শুক্রবার সকালে শিশুটিকে ফজেল তার বাড়ি নিয়ে যান। ওই সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ফজেল তাকে জোর করে ধর্ষণ করেন। পরে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য তাকে ভয়ভীতি দেখায়। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়লে মোবাইলে সে তার প্রবাসী মাকে ঘটনাটি জানায়। পরে তার বাবা জানলে রাতেই তিনি ফজেলকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এসআই জেলে
ধর্ষণ মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
হবিগঞ্জে নববধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
হবিগঞ্জে নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় লাখাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সোলায়মান রনিকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ।
এদিকে ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার মিঠু মিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে শুক্রবার রাতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। গ্রেপ্তার অপর দুই আসামি সোলায়মান রনি ও শুভ মিয়াকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে রেল যাত্রীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
শনিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হবিগঞ্জ শাখর সভাপতি সাইদুর রহমান সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে লাখাই ছাত্রলীগের সদস্য সোলায়মান রনিকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। মামলার অপর পাঁচ আসামি পলাতক রয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট দুপুরে এক নারী তার স্বামী ও এক বন্ধুকে নিয়ে উপজেলার টিক্কাপুর হাওড়ে বেড়াতে যান। মামলার প্রধান আসামি মুসা মিয়ার নেতৃত্বে অপর নৌকায় থাকা আট যুবক তাদের নৌকায় হামলা চালায়। ভুক্তভোগীর স্বামী ও তার বন্ধুকে হাত পা বেধে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। তারা নববধূর স্বামী ও তার বন্ধুর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ৯ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
আরও পড়ুন: ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
ভাক্তভোগীর স্বামী জানান, লোকলজ্জা ও ধর্ষকরা অত্যন্ত প্রভাবশালী সেই ভয়ে তার স্ত্রীর চিকিৎসা এলাকায় না করে পার্শ্ববর্তী নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হওযায় তাকে ১ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ সেপ্টেম্বর তিনি বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -২ এ মামলা দায়ের করেন। গত বৃহস্পতিবার রনি ও শুভকে র্যা ব- ৯ এবং শুভকে লাখাই থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুল ইসলাম জানান, মামলার অন্যান্য আসামি মোড়াকরি গ্রামের বাসিন্দা খোকন মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া (২৬), পাতা মিয়ার ছেলে হৃদয মিয়া (২২), বকুল মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া (২৩), মিজান মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৫), ওয়াহাব মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া (২০) পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এসআই জেলে
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুই আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছি। আদালত এখনও কোন আদেশ দেননি ‘
৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জে সাত বছরের এক শিশু ধর্ষণের অভিযোগে আল আমিন (২০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বুধবার বিকেলে জেলা কারাগারে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেন ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদ হোসেন।
মঙ্গলবার ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুখিয়া ইউনিয়নের বিশকাটালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে স্কুল ছাত্রী ‘ধর্ষণের’ শিকার
থানার ওসি জানান, গত মঙ্গলবার চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে নিজ ঘরে একই বাড়ির শিশুকে ধর্ষণ করে আল আমিন। শিশুটির মা শিশুর কাছ থেকে জানতে পেরে এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকেলে ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত যুবক আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে চালান দেয়া হয় চাঁদপুরের আদালতে। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়। এর আগেও একই বাড়ির দুই নারী এ যুবকের দ্বারা ধষির্ত হয় বলে জানা যায়। লোক লজ্জার ভয়ে তারা এ ব্যাপারে সরব হননি বলে জানান ওসি ।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এসআই জেলে
এদিকে ভুক্তভোগী শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বুধবার বিকেলে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।
ধর্ষণ মামলায় এসআই জেলে
ধর্ষণ মামলায় শেরে বাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল আলমকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার গ্রেপ্তারের পর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, প্রায় এক মাস আগে শেরে বাংলা নগর থানায় একটি অভিযোগ নিয়ে যান এক নারী। কিন্তু তার অভিযোগ সাধারণ ডায়েরি হিসেবে না নিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে দেখার আশ্বাস দেন ওই থানার এসআই খায়রুল আলম।ভুক্তভোগীর বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধান হয়ে গেলেও খায়রুল আলম তার সাথে যোগাযোগ করতে থাকেন। বারবার কল দেয়ায় এক সময় নাম্বার বন্ধ করতে বাধ্য হন ওই নারী। ওই নারীর অভিযোগ, নতুন নাম্বার জোগাড় করে যোগাযোগ করে সোমবার (২৯ আগস্ট) সকালে রাস্তা থেকে তাকে তুলে নিয়ে গুলশানের একটি বাসায় যান। সেখানে তাকে জোর করে ধর্ষণ করেন এসআই খায়রুল আলম। মঙ্গলবার তিনি এ ব্যাপারে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান ইউএনবিকে জানান, সকালে গুলশান থানায় ভুক্তভোগী নারীই মামলাটি করেন। অভিযুক্ত এসআই খায়রুল আলমকে শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে সকালেই গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: এসপির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সহকর্মীর
সুনামগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ
সাভারে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, চাচার বিরুদ্ধে মামলা
সাভারে আপন চাচার বিরুদ্ধে এক ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানায় শনিবার মামলা হয়েছে।
অভিযুক্ত চাচা রাসেল মিয়া (২৫) পলাতক রয়েছেন।
জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ১৪ বছর বয়সী ওই ছাত্রী নারায়ণগঞ্জ এলাকায় নানার বাড়িতে থেকে সেখানে সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতো। করোনায় দেশে লকডাউনের কারণে সে নানার বাড়ি থেকে সাভারের সাধাপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসে। ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দিয়ে গত ৫ আগস্ট থেকে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে আসছিল তার আপন চাচা রাসেল মিয়া। পরে ওই কিশোরী শনিবার (২৮ আগস্ট) অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষণের বিষয়টি পরিবার জানতে পারে। তারা রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন। তবে মামলা করার আগেই সে পালিয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে সাভারের ইমান্দিপুর এলাকায় এক গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে আসামি করে একই থানায় মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবক পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
কুষ্টিয়ায় বউ-শাশুড়ির রহস্যজনক মৃত্যু
চাঁদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণে অভিযুক্ত চাচা
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ১৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে তার চাচা ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুখিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে সন্তোষপুর গ্রামে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম সন্তোষপুর গ্রামের মৃত সুলতান বেপারীর পুত্র।
আরও পড়ুন: রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে গাইবান্ধায় পল্লী চিকিৎসক গ্রেপ্তার
কিশোরীর মা ইতোমধ্যেই বাদী হয়ে নুরুল ইসলাম বেপারীসহ চারজনকে আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেন বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহীদ হোসেন ইউএনবি কে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, অভিযুক্তরা পলাতক আছে, আমরা তাদের ধরার জন্য অভিযানে নেমেছি ।
বাদী তার রুজু করা মামলায় বলেন, গত মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে প্রতিবন্ধী মেয়ে বাইরে থেকে ঘরে আসার পথে দূর সম্পর্কের চাচা নুরুল ইসলাম বেপারী মেয়েকে জোর পূর্বক তার ঘরে নিয়ে যায়। এসময় নুরুল ইসলাম ওই কিশোরীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। বেশ কিছুক্ষণ তার ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের পর তাকে বাইরে বের করে দিলে ওই কিশোরী এসে ঘটনাটি তার মাকে জানায়।
ধর্ষণের ঘটনা নজরুল ইসলামের স্ত্রীকে জানালে তাৎক্ষণিক নিজের ভুল স্বীকার করে হাতে পায়ে ধরে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: এসপির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সহকর্মীর
বাদী আরো জানান, এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ধর্ষণকারী নজরুল ইসলামের ছেলে হান্নান ও তার ভাই কালু বেপারী ঘটনাটি কাউকে জানালে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মোহাম্মদ কাজল ইউএনবি কে জানান, প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় তাকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। মেডিকেল চেকআপ করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ধর্ষণ ও শিশু হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, সাজা কমিয়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন
১৭ বছর আগে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের লালনগর গ্রামের ১৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে অপর তিন আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আসামিদের মধ্যে শুকুর আলীর ফাঁসি বহাল রয়েছে। এছাড়া আজানুর রহমান, নুরুদ্দিন সেন্টু ও মামুন হোসেনের ফাঁসির শাস্তি কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুনঃ মাগুরায় আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীকে মারধর
আসামিদের করা পৃথক আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির ভার্চুয়াল বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেন। আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ রাতে দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের ১৩ বছর বয়সী ওই শিশু প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে টেলিভিশন দেখে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা তাকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে লালনগর ধরমগাড়ী মাঠের একটি তামাক ক্ষেতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে। পরদিন ভিকটিমের বাবা পাঁচজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুনঃ শিশুপুত্র হত্যা : বাবার ফাঁসির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন
ওই মামলার বিচার শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর হোসেন। সে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় তারা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের খয়ের আলীর ছেলে শুকুর আলী, আব্দুল গনির ছেলে কামু ওরফে কামরুল, পিজাব উদ্দিনের ছেলে নুরুদ্দিন সেন্টু, আবু তালেবের ছেলে আজানুর রহমান ও সিরাজুল প্রামাণিকের ছেলে মামুন হোসেন।
আরও পড়ুনঃ ঐশীর সাজা বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ
পরবর্তীতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে এবং আসামিরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এরই মধ্যে আসামি কামু ওরফে কামরুল মারা যায়। এরপর ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৪ সালে চার জনেরই মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। সে রায়ের বিরুদ্ধে করা জেল আপিলের শুনানি নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। আর আসামি নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন। সেই সাথে এদের তিনজনকে কারাগারের কনডেম সেল থেকে সাধারণ সেলে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী।
রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে গাইবান্ধায় পল্লী চিকিৎসক গ্রেপ্তার
জেলার গোবিন্দগঞ্জে এক নারী রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহারুল ইসলাম নামের এক পল্লী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের গন্ধববাড়ী গ্রামের এক নারী অসুস্থ জনিত কারণে বালুয়া বাজারের পল্লী চিকিৎসক শাহারুলের চেম্বারে আসে। এ সময় কেউ না থাকার সুযোগে পল্লী চিকিৎসক শাহারুল চেম্বারের দরজা বন্ধ জোরপূর্বক ওই নারী রোগীকে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: কবরের কঙ্কাল চুরি করতে গিয়ে গাজীপুরে যুবক আটক
ওই রোগী চেম্বার থেকে বের হয়ে বিষয়টি আশেপাশের লোকজনকে জানালে উপস্থিত লোকজন ওই চিকিৎসকের চেম্বার ঘেরাও করে চিকিৎসককে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল চেম্বার থেকে শাহারুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ অভিযোগ পেয়ে ২ ভুয়া পুলিশ আটক
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) তাজুল ইসলাম জানান, রাতেই ধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে পল্লী চিকিসক শাহারুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইলে মামলা দায়ের করেছেন।