ধর্ষণ
বগুড়ায় বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিধবাকে ধর্ষণের অভিযোগ
বগুড়ার শাজাহানপুরে ৪২ বছর বয়সী বিধবা এক নারীকে বাসায় ডেকে নিয়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বগুড়া সদর থানায় এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ মার্চ) ভুক্তভোগী ঐ নারী এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
ভুক্তভোগী ঐ নারী অভিযোগ করেন যে, প্রায় ১৫ বছর আগে তার স্বামী মারা গেলে তিনি এক সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত একাকী জীবন যাপন করছেন। কিছুদিন আগে পাশ্ববর্তী মাঝিড়া ইউনিয়নের ডুমুনপুকুর গ্রামের মৃত মোরতাজ উদ্দীনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম পিন্টুর (৫৫) সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়।
এমন পরিস্থিতিতে হবু স্ত্রী হওয়ার এই সুযোগ নিয়ে সিরাজুল ইসলাম পিন্টু তাকে বিভিন্ন সময়ে ফোন দিয়ে দেখা করার জন্য বলে। কিন্তু সে একাকী দেখা করতে অপারগতা প্রকাশ করে আসছিল।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সিরাজুল ইসলাম পিন্টুর বোন পরিচয় দিয়ে এক নারী তাকে বলে কয়েকদিন পরেই আমার ভাইয়ের সঙ্গে তোমার বিয়ে হবে। তাই জামা কাপড় তৈরি ও পছন্দমত কসমেটিকস কিনে দেয়ার কথা বলে বগুড়া শহরের কলোনীর বাসায় নিয়ে আসে। বাসায় গেলে সিরাজুল ইসলাম পিন্টু তাকে ধর্ষণ করে, কিন্তু এখন সে বিয়ে করছে না।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার বনানী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুর ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে।
এছাড়া তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ
চাঁদপুরে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪
বাবা-মার সঙ্গে রাগ করে ঘর থেকে বেরিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী
চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় বাবা-মার সঙ্গে রাগ করে ঘর থেকে বেরিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক স্কুলছাত্রী (১৪)। এ ঘটনায় পুলিশ মো. রাসেল (২১) নামে এক যু্বককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
পুলিশ চিকিৎসার জন্য মেয়েটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠিয়েছে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নগরীর মোহরা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বান্ধবীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ
ভুক্তভোগী মোহরার একটি স্থানীয় বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি তার সৎ মায়ের সঙ্গে থাকতো। মঙ্গলবার রাতে বাবা-মার সঙ্গে অভিমান করে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে সে মোহরা এলাকার নিজ বিদ্যালয়ের কাছে ঘোরাফেরা করেছিল। যেখানে রাসেল তাকে দেখতে পেয়ে রাতে আশ্রয় দেয়ার কথা বলে বাসায় নিয়ে যায়।
এরপর বাসায় নিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
সিএমপির চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের ফোন পেয়ে বিদ্যালয়ের পিছন থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়েটি জানিয়েছে, তাকে রাসেল ধর্ষণ করেছে।
ওসি বলেন, আমরা মেয়েটি চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠিয়েছি সেখানে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। বুধবার অভিযুক্ত রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ৩
কুমিল্লায় বিয়ের আশ্বাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, গ্রেপ্তার ৫
পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ
ফরিদপুরে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক নারী (৩৩) এ অভিযোগ এনে ভাঙ্গা উপজেলা সদরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে গ্রহণের জন্য ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে নির্দেশ দিয়েছেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. সজল মাহমুদ (৪০)। তিনি ভাঙ্গা থানায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মানিক মজুমদার বলেন, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে গ্রহণের জন্য ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে নির্দেশ দিয়েছেন।
ফরিদপুর ব্লাস্টের সমন্বয়কারী শিপ্রা গোস্বামী বলেন, এ মামলাটি ব্লাস্ট পরিচালনা করবে।
লিখিত অভিযোগে ওই নারী জানান, তিনি অবিবাহিত। তারা দুই বোন ও এক ভাই। মা ও বাবা মারা গেছেন। ২০০৬ সালে তারা দুই বোন জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব যান। ওই সময় তার ছোট ভাই কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরে তিনি দেশে এসে স্থায়ীভাবে বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মাদক জব্দ, বরখাস্ত পুলিশ সদস্য আটক
গত ২০ অক্টোবর বাড়িতে চুরি হলে থানায় জানাই। গত ২৪ অক্টোবর এএসআই মো. সজল রাতে বাড়িতে ঢুকে বিভিন্ন কথাবার্তা বলার ছলে তার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে। এ ঘটনা কাউকে বললে তাকে খুন ও গুম করার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। এক পর্যায়ে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন।
পরে তাকে বিয়ের কথা বলে ৩০ জানুয়ারি ভাঙ্গা বাজারে নিয়ে একটি মেডিকেল সেন্টারে রেখে পালিয়ে যান।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ৩১ জানুয়ারি তিনি এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানায় গিয়ে ওসিকে সব খুলে বলেন। ওসি মুঠোফোনের সজলকে ডেকে আনেন। তখন সজল তাকে পুলিশ কোয়ার্টারে নিয়ে গিয়ে কিছু কাগজপত্র ও সাদা কাগজে সই করতে বলেন।
তিনি সই করার পর সজল বলে ‘তুমি আমাকে বিয়ে করেছো এবং এরপর তালাকও দিয়েছো।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীকে মারধর করে থানা থেকে বের করে দেয়া হয়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাম করে জানতে পারেন তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি বাড়ি এসে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভাঙ্গায় মামলা করতে গেলে থানা মামলাটি গ্রহণ না করে আদালতে করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ পুলিশ সদস্য ‘ক্লোজড’
অভিযোগ প্রসঙ্গে এএসআই সজল মাহমুদ বলেন, ওই নারীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে, তার কাছে কাবিননামাও আছে।
তিনি বলেন, তার আগের স্ত্রী আছে। বড় স্ত্রীর সম্মতিতে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তাকে তিনি তালাক দেননি। ওই নারী এখন তার স্ত্রী।
বিস্ময় প্রকাশ করে সজল মাহমুদ বলেন, এ ব্যাপারে ওই নারী আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে কেন মামলা দিলেন-তা তিনি ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলালউদ্দিন ভুইয়া এই প্রসঙ্গে বলেন, প্রশাসনিক কারণে এএসআই সজলকে গত ১০ দিন আগে ফরিদপুর পুলিশ লাইনস এ বদলি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা তারা এখনও পাননি। তবে শুনেছেন এই জাতীয় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ পরিচয়ে পথরোধ করে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
চট্টগ্রামে ২ উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল মহাদেবপুর পাহাড়ি আদিবাসী পল্লীতে দুই ত্রিপুরা তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় আবুল হোসেন নামে এক আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আলীমুল্লাহ এই রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলায় বেখসুর খালাস পেয়েছে মো. মানিক নামে আরেক আসামি।
বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পোশাল পিপি অ্যাডভোকেট অশোক কুমার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, দুই উপজাতির তরুণীর পরিবার আশঙ্কা করেছিল তারা যেহেতু উপজাতি হয়তো সঠিক বিচার পাবে না। তাদের সে ভুল ভেঙ্গেছে রায়ের মধ্য দিয়ে। মামলার বাদী এবং দুই তরুণীর পরিবার বলেছে তারা ন্যায় বিচার পেয়েছে।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৮ মে রাতে সীতাকুণ্ড উপজেলায় জঙ্গল মহাদেবপুর পাহাড়ি আদিবাসী পল্লী থেকে দুই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তারা হল- ত্রিপুরা আদিবাসী পল্লির বাসিন্দা ফলিন ত্রিপুরার কন্যা সুখলতি ত্রিপুরা (১৫) এবং সুমন ত্রিপুরার কন্যা ছবি রাণী ত্রিপুরার (১২)। একই ঘরের একটি কক্ষে একজনের লাশ ঝুলন্ত এবং অপরজনের লাশ অর্ধ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গিয়ে ধর্ষণের শিকার উপজাতি শিক্ষার্থী
এ ঘটনায় পরদিন সীতাকুণ্ড থানায় নিহত কিশোরী ছবি রানী ত্রিপুরার বাবা সুমন ত্রিপুরা বাদি হয়ে মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, দুই কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
অভিযোগ ছিল, বেশ কিছু দিন ধরে পার্শ্ববর্তী গ্রামের আবুল হোসেন দুই কিশোরীকে উত্যক্ত করে আসছিল। এই ঘটনায় তাকে প্রধান আসামি সহ তিনজনকে আসামি করা হয়।
তারা হলেন মো. রাজিব ও মো. মানিক।
অ্যাডভোকেট অশোক কুমার জানায়, মামলা চলাকালে আসামি রাজিব দুর্বৃত্তদের হাতে মারা যায়।
প্রধান আসামি আবুল হোসেন ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ মামলায় আবুল হোসেন ও মো. মানিক আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
আরও পড়ুন: বাসাইলের সাবেক ইউএনও মঞ্জুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নাটোরে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় বৃদ্ধের ১০ বছরের কারাদণ্ড
ধর্ষণের অভিযোগের বইয়ের কোনো অংশ কখনো পড়েননি ট্রাম্প
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি এমন কোনও বইয়ের কোনও অংশ পড়েননি যেখানে কলামিস্ট ই. জিন ক্যারল তাকে ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ড্রেসিং রুমে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন।
বুধবার প্রকাশিত আদালতের রেকর্ড এ তথ্য উঠে এসেছে।
রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধে মামলাকারী ক্যারলের আইনজীবীরা অক্টোবরে ট্রাম্পকে শপথের অধীনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। সাড়ে ৫ ঘন্টার জবানবন্দিতে ট্রাম্প বলেছিলেন যে তিনি ক্যারলের ‘আমাদের জন্য পুরুষদের কী দরকার?’ বইটি পড়েননি এবং ২০১৯ সালে যখন বইটি প্রকাশিত হয়েছিল তখন নিউইয়র্ক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত নিবন্ধে এর উদ্ধৃতিগুলোও দেখেননি।
আরও পড়ুন: কেমব্রিজে বাংলাদেশি-আমেরিকান শিক্ষার্থী নিহত: বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
ট্রাম্পের জবানবন্দির ট্রান্সক্রিপ্টের কিছু অংশ আদালতের রেকর্ডে সীলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এক বিচারক যিনি বিচারকাজের নেতৃত্ব দিবেন।
এলি ম্যাগাজিনের সাবেক পরামর্শক কলামিস্ট ক্যারল বইটিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ১৯৯৫ সালের শেষের দিকে বা ১৯৯৬ সালের প্রথম দিকে ম্যানহাটনের একটি অভিজাত পোশাকের দোকানে তার ওপর যৌন হামলার অভিযোগ করেছেন।
বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরে, ট্রাম্প বলেছিলেন যে কখনও আক্রমণের ঘটনা ঘটেনি এবং দাবি করেছিলেন যে ক্যারল বই বিক্রির জন্য এই অভিযোগ করছেন। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘কখনও ক্যারলের সঙ্গে দেখা হয়নি এবং সে আমার সমকক্ষ নয়।’
ক্যারলের অ্যাটর্নি, রবার্টা কাপলান ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি বইটি বা এর কোনও অংশ পড়েছেন কিনা।
উত্তরে ট্রাম্প বলেছেন, ‘না, কখনোই নয়। আমি আসলে বইটি দেখিনি।’
বুধবার প্রকাশিত চার ডজন পৃষ্ঠায় অনুলিপির উদ্ধৃতিগুলো আদালত কর্তৃক আরও কয়েক ডজন পৃষ্ঠা সীলমুক্ত করার এক সপ্তাহ পরে এসেছে।
বুধবার তাৎক্ষণিকভাবে হাব্বা কোনো মন্তব্য করেননি। কাপলান মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।
জবানবন্দিটি ভিডিওতে রেকর্ড করা হয়েছিল, তবে ক্যারল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনীত অনির্দিষ্ট ক্ষতির জন্য দু’টি মামলার জন্য রেকর্ডিংটি পাবলিক রেকর্ডে রাখা হয়নি।
ক্যারল প্রথমে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন যে তার (ট্রাম্প) বক্তব্য তার খ্যাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। নভেম্বরে তিনি ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি পৃথক মামলা করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ফের কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার অভিযোগ
নতুন প্রণীত আইনে অপ্রাপ্ত বয়সে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অনেক বছর পরেও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন।
গত বুধবার ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ‘হাস্যকর বলে অভিহিত করে বলেন, ‘শারীরিকভাবে সে আমার পর্যায়ের নয়, এবং এখন যেহেতু আমি তার সম্পর্কে পরোক্ষভাবে কিছু শুনতে পেয়েছি, সে কোনোভাবেই আমার সমকক্ষ, আকৃতি বা ফর্ম কোন দিক দিয়ে না।’
ট্রাম্প ক্যারলকে ‘অসুস্থ নারী’ হিসাবে চিহ্নিত করার পর জবানবন্দির শেষের দিকে, কাপলান তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা দুই ডজন নারীর প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্ন করেন, ‘তারা সবাই অসুস্থ, তাই না?’
ট্রাম্প উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমি এই লোকদের কাউকে বা তাদের অনেকের সম্পর্কে জানি না। আমি বলতে চাচ্ছি, প্রতিটি সময় একবার, আপনি পাবেন— আমি মনে করি অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন এবং তাদের মধ্যে অনেকগুলো মিথ্যা এবং কিছু সত্য। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে…’
‘এর কোনটি সত্য?’ কাপলান বাধা দেয়।
প্রতিলিপি অনুসারে ট্রাম্প উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমি বলব.. আমি বোঝাতে চাচ্ছি, আমি কিছু দেখতে পাচ্ছি না।আপনি আমাকে কিছুই দেখাননি।’
আরও পড়ুন: গুয়াতেমালার রেইন ফরেস্টের নিচে ২ হাজার বছর পুরনো মায়া শহর আবিষ্কৃত
নাটোরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের যুবকের ১০ বছরের আটকাদেশ
নাটোরের বড়াইগ্রামে এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে আজানুর রহমান নামে এক যুবককে ১০ বছরের আটকাদেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামির অনুপস্থিতে এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার ১
মামলার প্রধান আসামি সোহেল উচ্চ আদালতের মাধ্যমে তার মামলার অংশ স্থগিত রাখায় জেলা আদালত শুধু আজানের বিচার কাজ সম্পন্ন করে।
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান, ২০১২ সালের ২ মে ঘটনার সময় আসামির বয়স ১৫ বছর থাকায় শিশু আইনে তাকে এ সাজা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কৃঞ্চপুর গ্রামে ১২ বছরের এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে আসামি আজানুর রহমান ও সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: আদালতে যাওয়ার পথে আসামির মারপিটে সাক্ষী নিহত, আটক ৫
হাজিরা দিতে এসে আদালতে আসামির মৃত্যু
বাগেরহাটে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
বাগেরহাটের ফকিরহাটে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে ফরিদপুর জেলার আলমডাঙ্গা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার মো. হাবিল শেখ (৩৫) বাগেরহাটের ফকিরহাটের দেয়াপাড়া গ্রামের আদম আলী শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সাজাপ্রাপ্ত ২ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৬ এর গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়, আসামি হাবিল শেখ ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন সময় মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করতো। ভুক্তভোগী তার প্রস্তাবে রাজি না-হওয়ায় হাবিল তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। ১২ ডিসেম্বর রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে হাবিল শেখ ভুক্তভোগীর বসতঘরের বেড়া ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে তার বাবা-মা এগিয়ে আসলে হাবিল ভুক্তভোগীর মায়ের হাতে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখে।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলীমুজ্জামান জানান, ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হাবিল শেখকে র্যাবের পক্ষ থেকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৮ বছর পলাতক হিজবুত তাহরীর নেতা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ ১৮ মামলার আসামি গিট্টু জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার
লোহাগাড়ায় মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় উপজেলার আধুনগর খাঁনহাট স্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. আরিয়ান চৌধুরী জোবাইর (২৬) উপজেলার আধুনগর চৌধুরী পাড়া এলাকার কায়কোবাদ চৌধুরীর ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিয়ের আশ্বাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, গ্রেপ্তার ৫
জানা গেছে, ভুক্তভোগী মাদরাসায় যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্যক্ত করত অভিযুক্ত জোবাইর। ২৯ নভেম্বর সকালে বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে অভিযুক্ত জোবাইর ও তার সঙ্গে থাকা দুই-তিনজন প্রাইভেটকারে করে ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে যায়। একটি কটেজে নিয়ে ভুক্তভোগীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে অভিযুক্ত জোবাইর।
পরে ২ ডিসেম্বর রাতে ভুক্তভোগীকে আধুনগর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপর ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত জোবাইরকে গ্রেপ্তার করে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীর মা তার মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করলে ১১ ডিসেম্বর রাতে পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত জোবাইরকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে অভিযুক্তকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, ভুক্তভোগীকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সার্ভিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে পুলিশের অভিযানে নিহত ২, শতাধিক আহত, গ্রেপ্তার ৬০০: ফখরুল
ঢাকা থেকে চুরি হওয়া শিশু সিলেটে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
কেরানীগঞ্জে বাক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক বাক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটানার পাঁচদিন পর শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শনিবার সকাল ১১ টায় ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
অভিযুক্ত সুজন (২৫) শরিয়াতপুরের গোসাইরহাট থানার কোদালপুর এলাকার দাদন মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গুনিয়ায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে হোটেলে রেখে ধর্ষণ, অটোচালক গ্রেপ্তার
পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকর্মীদের জানায়, পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ও সিসি টিভির ফুটেজ দেখে ঘাতক সুজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
তিনি জানান, সুজন দীর্ঘদিন ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় কলাতিয়া এলাকায় একটি ইট-বালির গদিতে চাকরি করতো। নিহত নারীকে সে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলে। ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় সুজন ভুক্তভোগীকে অপহরণ করে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা সাবান ফ্যাক্টরি রোডের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায় ভুক্তভোগী অচেতন হয়ে পড়লে সুজন তাকে তারই ব্যাগে থাকা বিভিন্ন কাপড়ে পেঁচিয়ে আগুন ধড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। রাতে এলাকাবাসী আগুন দেখে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বান ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ নভেম্বর রাতে ভুক্তভোগী নারী মারা যান। এঘটনায় ৩০ নভেম্বর ভুক্তভোগীর বোন বাদি হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, ওই মামলার সুত্র ধরে পুলিশ পাঁচদিন পর ২ ডিসেম্বর কলাপাড়া থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে। আটকের পর সুজন পুলিশের কাছে ওই নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।
পুলিশ জানায়, সোমবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়ায় জন্য সুজনকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করবেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিয়ের আশ্বাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, গ্রেপ্তার ৫
ঢাকায় ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬
রাঙ্গুনিয়ায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে হোটেলে রেখে ধর্ষণ, অটোচালক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মো. শোয়াইব (১৯) নামের এক অটোরিকশা চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাঙ্গুনিয়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ।
রাঙ্গুনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলায় আসামি মো. শোয়াইবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাসিন্দা। আরেক আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা: ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ২০ নভেম্বর সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় আসামিরা তাকে জোর করে অটোরিকশায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর ২১ নভেম্বর তার বাবা রাঙ্গুনিয়া থানায় জিডি করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে কক্সবাজার থেকে উদ্ধার করা হয়। এদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে অটোরিকশা চালক শোয়াইবসহ দুই জনকে আসামি করে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করেন ওই শিশুর মা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে স্কুলছাত্রীকে শোয়াইব ও তার সহযোগী জোর করে অটোরিকশায় তুলে রাঙামাটি নিয়ে যায় এবং শহরের একটি হোটেলে তারা দুজন তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ২২ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহরে ও পরে কক্সবাজারের রামুতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই শিশুর পরিবার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে অবস্থান জেনে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
নির্যাতিত শিশুকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ২০১২ সালে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মাগুরায় ৭বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগ