ধর্ষণ
স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৩
যশোরের শার্শায় দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের কন্দপপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বালু বোঝাই ট্রাক থেকে ভারতীয় প্রসাধনী ও শাড়ী জব্দ, আটক ১
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলো- ওই গ্রামে জাহান আলীর ছেলে নাসিম (২৮), নিজাম চৌকিদারের ছেলে নুরুজ্জামান (২৭) ও ফটিকের ছেলে সাকিব (২৮)।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে কিশোরী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে অভিযুক্তদের হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দেয়।
পরে এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে উপজেলার কন্দপপুর গ্রামে এক কিশোরী ধর্ষণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। অভিযুক্তদের থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এছাড়া ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি আছে।
আরও পড়ুন: সুবর্ণচরে পাচারকালে রোহিঙ্গাদের ২ ট্রাক চাল জব্দ, আটক ৩
পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা নারী আটক
খুলনায় ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
ধর্ষণ মামলায় খুলনার এক আদালত আসামি রফিকুল ইসলাম ঢালীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের ফলে জন্ম নেয়া সন্তানকে বাবার পরিচয় দেয়ার সিদ্ধান্ত দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার খুলনা নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ. সালাম খান এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, আসামি রফিকুল ইসলাম ঢালী ও ভুক্তভোগী মহানগরীর ছোট বয়রা গোলদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও প্রতিবেশী। ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারীকে আসামি বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে ২০০৯ সালের ২৬ আগস্ট থেকে একই বছরের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত একাধিকবার ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তিনি আসামিকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে আসামি। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী রফিকুল ইসালাম ঢালীকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সোনাডঙ্গা থানার এসআই মুনসুর শফিকুল ইসলাম ২০১০ সালের ২৬ জানুয়ারি রফিকুলকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ বলেন, আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। ধর্ষণের ফলে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে আজ তার বয়স ১২ বছর। এ রায়ের মাধ্যমে ওই সন্তান পিতৃ পরিচয় পেয়েছে। এটা তার জন্য বড় প্রাপ্তি।
আরও পড়ুন: খুলনায় কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বান্ধবীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ
কেরানীগঞ্জে বান্ধবীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হলেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বান্ধবীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক আটক
ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে তার স্ত্রী বান্ধবী নীলা আক্তারের বাসায় বেড়ানোর জন্য কেরানীগঞ্জ যায়। নীলা ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার মোল্লা বাজারের একটি ইটভাটায় তাকে একটি ঘরে আটক করে রাখে। পরে তাকে চেতনানাশক বড়ি খাইয়ে নীলা আক্তারের সহযোগিতায় তোফাজ্জল (৪০) ও ইসহাক (৩৮) পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
২৪ ঘন্টা অচেতন থাকার পর ২০ সেপ্টেম্বর রাত একটায় জ্ঞান ফিরলে ভুক্তভোগী তার স্বামীকে মোবাইল ফোনে ঘটনার বিষয় জানায়। তার স্বামী পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নীলাসহ ধর্ষকরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ধর্ষকদের আটকের জন্য জোর চেষ্টা চলছে। অবিলম্বে তাদের আটক করা হবে।
এ ব্যাপার বুধবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী, গ্রেপ্তার ৩
কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে জনি (৩৪) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. জনি (৩৪) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হাফিজুল প্রামাণিকের ছেলে।
সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এই রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিকালে দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করে দণ্ডপ্রাপ্ত জনি। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসলে জনি পালিয়ে যায়।
ওই দিনই ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে জনিকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: আশুলিয়া শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ দৌলতপুর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম জনির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় অস্ত্র মামলায় এক যুবকের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালত ও স্পেশাল ট্রাইবুনাল-২ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত মো. লিটন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাহিরমাদি পূর্বপাড়া এলাকার মো. মকবুল সরদারের ছেলে।রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণের দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে উপজেলার বাহিরমাদি পূর্বপাড়া এলাকায় রোকনুজ্জামানেরর দোকানের সামনে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসা দুইজন যুবক পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় এক যুবক পালিয়ে গেলেও পুলিশ মো. লিটনকে আটক করে এবং তার দেহ তল্লাশি করে একটি কালো রংয়ের বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি ও ২ টি ম্যাগজিন উদ্ধার করে।
পরে দৌলতপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক গৌতম কুমার মণ্ডল।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কৌসুলি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, দৌলতপুর থানার অস্ত্র মামলায় আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বাক্ষ্য শুনানি শেষে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিকে কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে শিশু ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রাম বন্দর থানাধীন পোর্ট কলোনি এলাকা থেকে এক কন্যাশিশুর (৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ররিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পোর্ট কলোনির একটি পরিত্যক্ত বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও কলোনির বাসিন্দাদের ধারণা মেয়েটি পথশিশু ছিল। তাকে কে বা কারা ধর্ষণের পর হত্যা করে ফেলে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৫ শিল্পপতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সিএমপির বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে আমাদের টিম কাজ করছে এবং সিআইডির টিমও রয়েছে।
প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে শনিবার রাতে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
এছাড়া তার বাবা পেশায় রিকশা চালক, মা ভিক্ষা করেন। আমরা তার লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণপরিবহনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণপরিবহনে(বাস) ৪০ বছর বয়সী এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো- নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ঘাশিরদিয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৬) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়য়নের বিয়াল্লিশ্বর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ তামিম(২১)।
আরও পড়ুন: দামুড়হুদায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক
জানা যায়, নজরুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড নামক পরিবহনের একটি বাসের চালক ও তামিম বিয়াল্লিশ্বর এলাকায় অবস্থিত তামিম টিম্বার মিলের মালিকের ছেলে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস প্রাইভেট লিমিটেডের একটি বাস পার্কিং করা অবস্থায় বাসের মধ্যে ওই নারীকে তিনজন সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। এরপর বিয়াল্লিশ্বর এলাকার তামিম টিম্বার মিলে নিয়ে ওই নারীকে আবারও ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ভিকটিম শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ শনিবার রাতে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, গতকাল রবিবার দুপুরে গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক আটক
নাটোরে স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক আটক
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সাত বছর বয়সী এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মোহাম্মদ হানিফ নামে (২৭) এক মাদরাসা শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ভূজপুর থানার বাগানবাজার ইউনিয়নের গার্ডপাড়া এলাকার লোকজন তাকে ধরে দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সোপর্দ করে। গ্রেপ্তার মোহাম্মদ হানিফ খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার পাতাছড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, আটক মোহাম্মদ হানিফ ফটিকছড়ির বাগানবাজার ইউনিয়নের গার্ডপাড়া জামিরুল উলুম ইসলামি মাদরাসার শিক্ষক। ভুক্তভোগী শিশুর বাড়িও একই এলাকায়, গার্ডপাড়ায়। সেখানে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সোমবার বিকালে আরবি পড়তে শিশুটি ওই মাদরাসায় যায়। সেখানে তখন মাদরাসার অন্য শিক্ষার্থীরা না থাকার সুযোগে শিশুটিকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: আশুলিয়া শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১ভুক্তভোগী শিশুটি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভুজপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহের হোসেন বলেন, শিশুটি মাদরাসায় অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে আরবি পড়তে যান। তখন মাদরাসায় অন্য শিক্ষার্থীরা ছিলেন না। এ সুযোগে শিশুটিকে হানিফ ধর্ষণ করে। শিশুটি বাড়ি ফিরে বিষয়টি অভিভাবকদের জানায়। গ্রামের লোকজন জানতে পেরে রাতে মাদরাসায় গিয়ে হানিফকে আটকে রাখে। পরে দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণের দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
ফুলবাড়ীতে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণ, প্রতিবেশী আটক
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে তিন বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলায় এ ঘটনায় নজরুল নামে এক প্রতিবেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফুলবাড়ী থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে প্রতিদিনের মতো শিশুটি প্রতিবেশি নজরুলের বাড়িতে খেলতে গেলে কৌশলে তাকে তার থাকার ঘরে নিয়ে এসে ধর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় অস্ত্র উদ্ধার, আটক ৫
শিশুটির চিৎকারে তার স্বজনেরা দ্রুত ঘটনাস্থল গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় নজরুলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় তারা।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিশুকে মেডিকেল চেকআপের জন্য কুড়িগ্রামে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্লাস টাইমে মোবাইল গেম ও টিকটক তৈরি, ৯ শিক্ষার্থী আটক
গাজীপুরে অস্ত্র-মাদকসহ ৪ চোরাকারবারি আটক
ফরিদপুরে শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
ফরিদপুরে এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানা এলাকা থেকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার মো. স্বাধীন শেখ (২৪) ফরিদপুর সদরের চাঁদপুর ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২২ আগস্ট রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফরিদপুর সদরের একটি বাজার থেকে চিকিৎসক দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিল পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া শিশুটি। পথে মো.স্বাধীনসহ আরও ৩-৪ জন তরুণ ওই শিশুর পথ রোধ করে। তারা তাকে একটি পিকআপে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তাকে ভ্যানগাড়ি দিয়ে চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টাও করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা
বিষয়টি জানাজানি হলে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে গত ২৬ আগস্ট ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় মো. স্বাধীন শেখসহ চার জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং একজনকে অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি মো.স্বাধীনকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত রিমান্ডের শুনানির দিন পরে ধার্য করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে আসামিকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।
পরিদর্শক আরও জানান, ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া আদালত ওই শিশুটির জবানবন্দি নথিভূক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নাতনীকে ধর্ষণের অভিযোগে দাদা গ্রেপ্তার!
খুলনায় কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুড়িগ্রামে নাতনীকে ধর্ষণের অভিযোগে দাদা গ্রেপ্তার!
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সাড়ে তিন বছর বয়সী নাতনীতে ধর্ষণের অভিযোগে দাদাকে (৬২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ তথ্য নিশ্চিত করছেন রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু সরকার।
অভিযুক্ত আফজাল হোসেন ওই উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের খুলিয়াতারী গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা তার বাবাকে আসামি করে রাজারহাট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটি তার দাদুর সঙ্গে বাড়িতে খেলছিল। খেলার এক পর্যায়ে বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে শিশুটিকে ধর্ষণ করে তার দাদা।
পরে বিষয়টি পরিবারের লোকজন বুঝতে পারলে তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির বাবা বাদি হয়ে বাবার বিরুদ্ধে রাজারহাট থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে রাতেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু সরকার, মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:আশুলিয়া শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণের দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড