সমাবেশ
সোমবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে শনিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের উপর নিপীড়নের প্রতিবাদে সোমবার (৩১ জুলাই) সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০, আটক ৫
তিনি বলেন, সব মহানগর ও জেলা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগামীকাল (রবিবার) আমাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি, ক্ষমতাসীন দল রবিবার রাজপথের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তাই বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা একই দিনে আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বিএনপির শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনে সরকার কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০০ জামায়াত-শিবির কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ পুলিশ আহত, আটক ৯০: ডিএমপি
আ. লীগের সহযোগী সংগঠনের সমাবেশ এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত
সারাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের ৩ সংগঠনের লাখ লাখ নেতা-কর্মী শান্তি সমাবেশে যোগ দিয়েছে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট ও আশপাশের এলাকায় জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই শান্তি সমাবেশ।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনের জনসভায় স্ট্রোক করে বিএনপি নেতার মৃত্যু
আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের সমাবেশের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত
নগরীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুব মহাসমাবেশের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
বিএনপি বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইউএনবি দেখতে পায় সেখানে ২০ থেকে ২২ জন কর্মী কাজ করছেন এবং মঞ্চের পেছনে কাজ করছেন ১০ থেকে ১৫ জন কর্মী।
ডেকোরেশনের দায়িত্বে থাকা টোটাল সলিউশনের স্বত্বাধিকারী মোজাম্মেল হক জানান, মঞ্চটি হবে ৬৪ ফুট লম্বা ও ২৮ ফুট চওড়া। বিকেল থেকেই মঞ্চ তৈরি করছেন আমাদের কর্মীরা।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি তুলে ধরুন: নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু জানান, ঢাকা বিভাগের তিন থেকে পাঁচ লাখ ছাত্র-যুবক এখানে জড়ো হবেন। এটা আরো বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগত অতিথিদের জন্য পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা করা হবে। ইতোমধ্যে অনেক জেলা থেকে নেতাকর্মীরা এসেছেন। আমি তাদের খাবারের ব্যবস্থা করছি। সমাবেশে পর্যাপ্ত পানি, খাবার ও পানীয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। । যারা অসুস্থ তাদের জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২০ জন ডাক্তারের একটি টিম গঠন করেছি।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বলেন, প্রস্তুতি প্রায় শেষ, আমি মনে করি শুক্রবার লক্ষাধিক তরুণ-শিক্ষার্থীর গণসমাবেশ হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ ছাত্রলীগের কার্যালয়ে সমাবেশ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খাঁন নিখিল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু উপস্থিত ছিলেন।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, সমাবেশ আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও বড় হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘অনুষ্ঠানে শুধু নেতা-কর্মী-সমর্থকরাই যোগ দেবেন না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী গণমানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেবেন।
এর আগে শুক্রবার ২৩টি শর্তে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনকে যথাক্রমে নয়াপল্টন ও বায়তুল মোকাররমে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ ও বিএনপির জন্য শর্ত একই: শুক্রবারের সমাবেশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আ.লীগ ও বিএনপির জন্য শর্ত একই: শুক্রবারের সমাবেশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকায় সমাবেশ করতে হলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই শর্ত মানতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘রাস্তায় কোনো ঝামেলা ও জনসাধারণের কোনো অসুবিধা করতে পারবেন না।’
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিতএক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সমাবেশ না করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। সমাবেশ কোথায় হবে তার অনুমতি এখনও দেওয়া হয়নি।’
বায়তুল মোকাররম ও নয়া পল্টনে যথাক্রমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশের ঘোষণার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা শুনেছি। ওইসব স্থানে সমাবেশ করার বিষয়ে তারা অনড় থাকলে আমরা উভয় দলের জন্য কিছু শর্ত রাখব।
তিনি বলেন, ‘অনুমতির দায়িত্ব পুলিশ কমিশনারের। তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন কী করবেন।’
আরও পড়ুন: একদিন পিছিয়ে শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ
আগামীকাল সমাবেশে সহিংসতার কোনো হুমকি দেখছেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি পালনে সরকারের কোনো বাধা নেই।
তিনি বলেন, ‘তবে তাদের উচিত নিয়ম-কানুন এবং দেশের আইন-কানুন মেনে চলা। আমরা তাদের কাছে আবেদন জানাবো জনসাধারণের ভোগান্তি সৃষ্টি না করার জন্য। আমি তাদের জনদুর্ভোগের কারণ না হওয়ার জন্য অনুরোধ করব।’
উভয় পক্ষকে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ না করার এবং ভাঙচুর না করারও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শুক্রবার সমাবেশ করবে আ. লীগের ৩ সহযোগী সংগঠন
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেছেন, আগামীকাল শুক্রবার (২৭ জুলাই) আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠের পরিবর্তে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার আগারগাঁও-এ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাষ্ট্রপতির নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় পুরাতন বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে সমাবেশ করা যাচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: আ. লীগের সহযোগী ৩ সংগঠনের শান্তি সমাবেশ শুক্রবার
আজ বিকাল ৫টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ছাত্রলীগের কার্যালয়ে সমাবেশ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল বুধবার (২৬ জুলাই) আওয়ামী লীগের তিনটি সহযোগী সংগঠন ঘোষণা দেয়, আগামীকাল শুক্রবার তাদের যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
আরও পড়ুন: বিভাগীয় সমাবেশে বিশৃঙ্খলা: রংপুরে ছাত্রলীগের ৯ কর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার
যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ ২৭ জুলাই
যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ ২৭ জুলাই
ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে ঢাকা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ ২৪ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।
সেদিন দুপুর ২টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ-পশ্চিম গেটে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ঢাকা মহানগর উত্তর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, গাজীপুর মহানগর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা জেলা এবং ময়মনসিংহ জেলার সমন্বয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ সোমবার
উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
আরও পড়ুন: নড়াইলে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
বরিশালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
বিএনপি রাজধানীতে শোকমিছিল করবে বৃহস্পতিবার
লক্ষ্মীপুরে কৃষকদল নেতাকে হত্যা এবং মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন স্থানে দল ও জোটের শরিকদের পদযাত্রা কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে শোকমিছিল করবে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোকমিছিল বের করবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
বুধবার উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী অভিমুখে দলের দ্বিতীয় দিনের পদযাত্রা শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তাদের এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রখর রোদে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পদযাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
আরও পড়ুন: এখনই ক্ষমতা ছাড়ুন, জনগণ আপনাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না: ফখরুল
দীর্ঘ পথ হেঁটে নেতা-কর্মীরা সেখানে পৌঁছালে যাত্রাবাড়ীতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচি শেষ করে দলটি।
অন্যান্য সকল মহানগর ও জেলা শহরেও অনুরূপ কর্মসূচী পালন করে দলটির নেতাকর্মীরা।
বিএনপির পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গণফোরাম অ্যান্ড পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, সমমনা গণতান্ত্রিক পেশাজীবী জোট ও সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্যরা টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিভিন্ন এলাকায় কর্মসূচি পালন করে।
যাত্রাবাড়ীর জনসভায় আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি আগামী নির্বাচনে যাবে না। ‘যারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবেন তাদেরকে আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। দেশের মাটিতে তাদের বিচার হবে।’
তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকারের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন না হওয়ায় শুধু বিএনপি নয়, সারা বিশ্ব বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় যারা বিরোধী দলের পদযাত্রা কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে এবং লক্ষ্মীপুরে কৃষকদল নেতাকে হত্যা করেছে তাদের একদিন জবাবদিহি করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদেরও বিচার করা হবে।
এর আগে সকাল ১১টা ৫ মিনিটে উত্তরার আবদুল্লাহপুরে পলওয়েল মার্কেটের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে পদযাত্রার উদ্বোধন করেন আব্বাস।
মার্চ শুরু করার আগে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্যে তিনি সতর্ক করেছিলেন যে তাদের দল আর রাজনৈতিক নিপীড়ন সহ্য করবে না। তারা আগামী দিনে উপযুক্ত জবাব দেবে।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: আবদুল্লাহপুর থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত বিএনপির দ্বিতীয় দিনের পদযাত্রা শুরু
আব্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার আদায় করবে। আমরা ১৫ বছর ধরে আপনাদের (সরকারের) অত্যাচার সহ্য করেছি। আমরা এটা আর সহ্য করব না। ইনশাআল্লাহ, আপনারা (আ.লীগ) গতকাল সারাদেশে আমাদের ওপর যে নিপীড়ন চালিয়েছেন আমরা তার উপযুক্ত জবাব দেব।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছে। ‘আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং আমাদের ভোটের অধিকার উপলব্ধি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পদযাত্রায় আপনারা (মিরপুরে) বাংলা কলেজ থেকে যখন ইট-পাথর নিক্ষেপ করলেন আমরা কীভাবে আপনাদের রেহাই দেব? এটা ঘটবে না। আপনাদের বাঁচার দিন শেষ। আমাদের অধিকার রক্ষা করতে হবে বলে অন্য কেউ রেহাই পাবে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দলের নেতা-কর্মীরা কীভাবে জেলে যেতে হয়, মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হয় এবং প্রতবন্ধকতাকে মারিয়ে মিছিল করতে হয় তা জানে। ‘আমরা আর আপনাদের অত্যাচার সহ্য করব না, নৃশংসতার জবাব দেব।’
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা ‘শান্তি মিছিলের’ নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুরে আমাদের দলের একজনকে হত্যা করা হয়েছে এবং আপনারা শান্তি মিছিলের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। আপনারা কেন ঝামেলা তৈরি করতে চান?’
আরও পড়ুন: আর নিপীড়ন সহ্য নয়, উপযুক্ত জবাব দিন: মির্জা আব্বাস
সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে পাল্টা কর্মসূচি না দিতে তিনি ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানান।
তাদের দল আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সংবিধান থেকে এক চুলও নড়বে না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আব্বাস বলেন, তারাও পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের আগে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চায়।
এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীর গাবতলী থেকে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত মিছিল করে। একইভাবে দেশের সব মহানগর ও জেলা শহরেও কর্মসূচি পালন করে নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার দলটির মিছিল সারাদেশে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত এবং কয়েক শতাধিক লোক আহত হয়।
রাজধানীর মিরপুরের সরকারি বাংলা কলেজের কাছেও বিএনপির মিছিলে হামলা হয়, যার ফলে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
গত ১২ জুলাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ‘একদফা’ আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
এক দফা দাবি আদায়ে প্রথম কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি ১৮ ও ১৯ জুলাই দুই দিনের দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে ২২ জুলাই সমাবেশ করতে চায় জামায়াত
দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে সমাবেশ থেকে দূরে থাকা জামায়াতে ইসলামী আগামী ২২ জুলাই চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠে সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
১০ দফা দাবিতে ডাকা এ সমাবেশের অনুমতি চেয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের কাছে আবেদন করেছে দলটি।
সমাবেশের অনুমতির জন্য শনিবার (১৫ জুলাই) সিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে যান দলটির ১৩ আইনজীবী। তবে সিএমপি কমিশনারের সঙ্গে তাদের দেখা হয়নি।
জামায়াতের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২২ জুলাইর সমাবেশের অনুমতি নিতে শনিবার দুপুরে প্রতিনিধি দল নগরের দামপাড়াস্থ সিএমপি কমিশনার কার্যালয়ে যান। এ সময় কার্যালয়ের মূল ফটকে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাদের ফটকের কাছে বিশ্রামাগারে বসতে দেন। পরে কমিশনার কার্যালয় থেকে জামায়াতের প্রতিনিধি দলের দু’জনকে কার্যালয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২১ জুলাই সমাবেশের ঘোষণা জামায়াতের
এরপর চট্টগ্রাম জেলা বারের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট কবীর হোসেন ও অ্যাডভোকেট শামসুল আলম সিএমপি কমিশনার কার্যালয়ে যান। তবে সিএমপি কমিশনারের সঙ্গে তাদের দেখা হয়নি, আবেদন পত্রটি জমা দিয়ে এসেছেন।
লালদীঘি মাঠে জামায়াতের সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা সিএমপি কমিশনারের কাছে যখন যাই তখন তিনি কনফারেন্স রুমে একটি মিটিংয়ে ছিলেন। এ সময় আমাদের চিঠিটি অফিসিয়ালি গ্রহণ করা হয়েছে। চিঠির একটি রিসিভিং কপি আমাদের দেওয়া হয়।’
সিএমপি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে শামসুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ, আলেম ওলামাদের মুক্তি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ২২ জুলাই লালদীঘি মাঠে সমাবেশের আয়োজন করেছে জামায়াত।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগাযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এ সমাবেশ সৃশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে চায় জামায়াত। সমাবেশের অনুমতির জন্য জামায়াতের পক্ষ থেকে আমরা পুলিশ কমিশনারের কাছে গিয়েছিলাম। আমাদের চিঠি গ্রহণ করা হয়েছে। সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি পরে জানানো হবে বলে সিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) স্পিনা রানী প্রামাণিক বলেন, আগামী ২২ জুলাই জামায়াত চট্টগ্রামে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে সিএমপি কমিশনার বরাবর আবেদন জমা দিয়েছে শুনেছি। আমরা মিটিংয়ে থাকায় বিস্তারিত জানাতে পারছি না।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে দিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার বিষয়ে বলিয়েছে বিএনপি: হাছান মাহমুদ
সিলেটে ২১ জুলাই সমাবেশের ঘোষণা জামায়াতের
সিলেট নগরীর রেজিস্টারি মাঠে ২১ জুলাই সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শনিবার দুপুরে সিলেট মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন যে সিলেট মহানগর জামায়াতের ১০ দফা দাবি নিয়ে আজ (১৫ জুলাই) সিলেট রেজিস্টারি মাঠে সমাবেশ করার কথা থাকলেও পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় তা করা যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা দক্ষিণের আমীর অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, জেলা উত্তরের আমীর হাফেজ আনোয়ার হোসেন খান, মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সঙ্গে আ.লীগের কোনো যোগাযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী
জামায়াতকে দিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার বিষয়ে বলিয়েছে বিএনপি: হাছান মাহমুদ
রাজধানীতে বুধবারের সমাবেশে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছে বিএনপি
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির বুধবারের সমাবেশে সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সহযোগিতা চেয়েছে বিএনপি।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বিকালে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের বেইলি রোডের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ আয়োজনের আবেদনপত্র জমা দেন।
মিটিং শেষে সাংবাদিকদের আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছি এবং আমাদের বুধবারের সমাবেশ সম্পর্কে তাদের লিখিতভাবে জানিয়েছি। সমাবেশ আয়োজনে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছি।’
আরও পড়ুন: সরকার ‘পেগাসাস’ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাদের স্মার্টফোন হ্যাক করছে: ফখরুল
দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি জানান, বুধবার বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করা হবে, যেখানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
অনুমতি মিলেছে কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের কর্মসূচি সম্পর্কে তাদের অবহিত করেছি। আমরা তাদের আচরণে নেতিবাচক কিছু দেখিনি। আমরা আশা করি তারা আমাদের সহযোগিতা করবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির বুধবারের সমাবেশ থেকে বড় প্রত্যাশা ফখরুলের
সরকার নির্বাচনকে ‘ফ্যাসিজম’ প্রতিষ্ঠার অস্ত্র হিসেবে নিয়েছে: ফখরুল