কুষ্টিয়া
খুলনা বিভাগে আরও ৪৬ জনের মৃত্যু
খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাসের গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে ৭৭২ জনের।
শনিবার (১০ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার ১০ জুলাই বিভাগে সর্বোচ্চ ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সব মিলিয়ে বিভাগে মোট মৃত্যু ১৫০০ ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: করোনা প্রতিরোধে ফরিদপুরে পুলিশের মসজিদভিত্তিক প্রচারণা
স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে কুষ্টিয়া জেলায়। বাকিদের মধ্যে খুলনায় ১০, যশোরে ১০, ঝিনাইদহে ৪, মেহেরপুরে ও নড়াইলে দুজন করে মারা গেছেন।
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৬৯ হাজার ৯৫৯ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৩৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৫ হাজার ২৫২ জন।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিভাগে একদিনে ২৮৪ জনের করোনা শনাক্ত
১০ দিনে রামেকের করোনা ইউনিটে মৃত্যু ১৭১
কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১৮ মৃত্যু
করোনা ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ১৫ ও উপসর্গ নিয়ে তিন জন মারা গেছেন।
এর আগের শুক্রবার আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় প্রাণ গেল ইবি শিক্ষার্থীর
জেলার হাসপাতালগুলোতে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ অব্যাহত রয়েছে। ২৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালটিতে এখন শয্যার চেয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২৯২ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৯২ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরো ১০০ জন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে শয্যা না থাকায় এখন রোগীদের মেঝেতে ও করিডোরে রাখতে হচ্ছে। হাসপাতালে এখন করোনা রোগীদের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই। প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীর চাপে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
এদিকে, কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৮৯টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ১৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এনিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ হাজার ৬০ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৯ জন। এনিয়ে মারা গেছেন ৩১০ জন।
নতুন করে শনাক্ত হওয়া ১৭৬ জনের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৯৭ জন, দৌলতপুরের ১৮, কুমারখালীর ১৭, ভেড়ামারার ৩৭, মিরপুরের তিন ও খোকসা উপজেলায় চার জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় ৭০ হাজার ২০৯ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬৭ হাজার ২৮৩ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ার তিন হাসপাতালে করোনায় ১৫ মৃত্যু
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৭১ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৮ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ১০৩ জন।
কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে একদিনে সর্বোচ্চ ২২ মৃত্যু
করোনা ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটিই একদিনে এখন পর্যন্ত জেলার সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ অব্যাহত রয়েছে। ২৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালটিতে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২৮০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৮৭ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরো ৯৩ জন।
আরও পড়ুন: সাধারণ রোগীদের শেবাচিম হাসপাতালে আসতে নিষেধাজ্ঞা
অপরদিকে, কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭৯২ নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ২২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৭৭ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৯ হাজার ৮৮৪ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ২৭৫ জন এবং মারা গেছেন ২৯৬ জন।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৮৩ জন, দৌলতপুরের ৫৯, কুমারখালীর ২৬, ভেড়ামারার ৩৪, মিরপুরের ১১ ও খোকসা উপজেলার সাত জন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় ৭০ হাজার ৮০ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬৬ হাজার ৬৯৪ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ছেলেকে আটকে রাখলো পুলিশ, অক্সিজেনের অভাবে মারা গেলেন বাবা
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩১৩ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ২৭৯ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ৩৪ জন।
কুষ্টিয়াতে একদিনে করোনায় আরও ১৭ মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১০ জন এবং করোনার লক্ষণ নিয়ে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনায় মৃত্যু ৩, নতুন শনাক্ত ১০৩
বর্তামানে ২৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালটিতে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২৮৯ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ২০২ জন।
এদিকে কুষ্টিয়াতে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭৪৩ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ২৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২২ ভাগ।
এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৯ হাজার ৬৬৪ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩০ জন এবং মারা গেছেন ২৮৬ জন।
আরও পড়ুন:বগুড়ায় করোনা ও উপসর্গে ১৯ মৃত্যু, শনাক্ত ২৩৮
এখন পর্যন্ত জেলায় ৬৬ হাজার ৮৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬৫ হাজার ৯০২ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ২২১ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৫ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ৯৫৬ জন।
কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১৩ মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১১ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: করোনা: কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় ৪ মৃত্যু, শনাক্ত ২৮২
এদিকে, হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ প্রতিদিনই বাড়ছে। ২৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালটিতে এখন শয্যার চেয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে সকাল ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ২৭৪ জনে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৭৫ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও ৯৯ জন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, শয্যা না থাকায় এখন রোগীদের মেঝেতে ও করিডোরে রাখতে হচ্ছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীর চাপ যেভাবে বাড়ছে তাতে সেবা প্রদান করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অপরদিকে, কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৮৮৫টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ২৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৩০ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ হাজার ৭৬৬ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৮২৩ জন এবং মারা গেছেন ২৪৫ জন।
আরও পড়ুন: করোনা স্বাভাবিক না হলে গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নয়, শিগগিরই নতুন সিদ্ধান্ত
নতুন শনাক্তের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ১৫৩ জন, দৌলতপুরে ৪৪, কুমারখালীর ২৪, ভেড়ামারার ৩৪, মিরপুরের ২৯ ও খোকসা উপজেলায় আট জন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় ৬৫ হাজার ৭১৪ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬২ হাজার ৯৮১ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৯৮ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ২৫৯ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ২৩৯ জন।
কুষ্টিয়াতে করোনায় সর্বোচ্চ ২১ মৃত্যুর রেকর্ড
গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৯ জন ও কুমারখালী উপজেলায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৩ জন এবং করোনার লক্ষণ নিয়ে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম.এ. মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় করোনায় একদিনে আরও ১১ মৃত্যু
তিনি জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। এর আগে গত জুন মাসে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন করোনায় আক্রান্ত একজন এবং বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন করোনা রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানা গেছে।
কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: আকুল উদ্দিন করোনা আক্রান্ত দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে আরও ৯৫ জনের করোনা শনাক্ত
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬০৯ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ১৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬৯ ভাগ। জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৮ হাজার ৪৭৫ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৬৮৯ জন। মারা গেছেন ২৩০ জন।
কুষ্টিয়াতে নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন প্রায় আড়াই হাজারের অধিখ মানুষ। এছাড়া, বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৪৯৩ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৫ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ২২৮ জন।
কুষ্টিয়া হাসপাতালে করোনায় ৯ মৃত্যু, বাড়ছে রোগী
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বধায়ক ডা. এম এ মোমেন গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় একদিনে রেকর্ড ১১৯ জনের মৃত্যু
এদিকে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ অব্যাহত রয়েছে। করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত হাসপাতালে ১৮৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে কুষ্টিয়া জেলায় চলমান লকডাউনের মেয়াদ আগামী পহেলা (১ জুলাই) পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর আগে ২০ জুন থেকে ২৭ জুন রাত ১২ টা পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রামেকে করোনায় আরও ১৪ মৃত্যু
হাসপাতালের তত্ত্বধায়ক ডা. এম এ মোমেন জানান, হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ বেড়েই চলেছে। চাপ সামলাতে সংশ্লিষ্টদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। উপজেলা সদর এমনকি জেলার দূর-দূরান্ত থেকেও করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে এই হাসপাতালে মানুষ ভিড় করছেন। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসক ও জনবল যা আছে তা দিয়ে রোগীর চাপ সামাল দেয়া যাচ্ছে। তবে এভাবে রোগীর চাপ ওভারলোডেড হতে থাকলে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা তাদের জন্য মুশকিল হবে। তখন অতিরিক্ত আরও লোকবল প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে করোনার টিকা তৈরি হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪৫৫ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ১৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৪৭। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৭ হাজার ৩৫৭ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৩৪০ জন। মৃত্যের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৯ জনে।এখন পর্যন্ত জেলায় ৬০ হাজার ৬০৫ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৫৮ হাজার ৭৫৮ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৮২৮ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ১৭৭ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ১ হাজার ৬৫১ জন।
খুলনা বিভাগে করোনায় আরও ২৮ মৃত্যু, শনাক্ত ১২০২
খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাস গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২০২ জন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে খুলনায় পাঁচজন, বাগেরহাটে পাঁচজন, যশোরে চারজন, নড়াইলে চারজন, কুষ্টিয়ায় চারজন, ঝিনাইদহে দুজন, চুয়াডাঙ্গায় দুজন এবং মেহেরপুরে দুজন মারা গেছেন।
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৫২ হাজার ১৬৭ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮১ জনে। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬১৫ জন।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফরম পূরণ স্থগিত
খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা জানান, ২৪ ঘণ্টায় খুলনা জেলার পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া খুলনা জেলা ও মহানগরীতে ৬৫৪টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ২৯৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। যা মোট নমুনা পরীক্ষার ৪৫ শতাংশ।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে খুলনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৬৩২ জনের। মারা গেছেন ২৪০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৫২৮ জন।
এদিকে, খুলনার তিনটি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জন, খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুজন এবং বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছে চিকিৎসাধীন ছিলেন তারা।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা করোনা হাসপাতালে রেড জোনে নয়জন ও ইয়ালো জোনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪২ জন, আবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৯ জন। আর আইসিইউতে রয়েছেন ১৯ জন। খুলনার ১৩০ শয্যার করোনা হাসপাতালে ১৬০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘কঠোর লকডাউন’ পালনে সেনাবাহিনী থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
খুলনা ২৫০ জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতালটিতে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১২ জন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন। ভর্তি ছিলেন ৬৮ জন, এর মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ৩৫ জন নারী।
গাজী মেডিকেলের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ৮৮জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তার মধ্যে ৬ জন আইসিইউ এবং ৫ জন এইচডিইউতে। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২২ জন, নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১৯ জন।
কুষ্টিয়ায় করোনায় আরও ৬ মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আরও ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন
তিনি জানান, হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ অব্যাহত রয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত হাসপাতালে ১৪০ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসক ও জনবল যা আছে তা দিয়ে রোগীর চাপ সামাল দেয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে করোনার টিকা তৈরি হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তবে এভাবে রোগীর চাপ বাড়তে থাকলে অতিরিক্ত আরও লোকবল প্রয়োজন হবে। এছাড়া হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে গিয়ে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটিতে এখন আর করোনা ছাড়া অন্য কোনও রোগী ভর্তি নেয়া হচ্ছে না। হাসপাতালটিকে করোনা ডেডিকেটেড ঘোষণা করে বর্হিবিভাগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অন্য রোগীদের পার্শ্ববর্তী ডায়বেটিস ও আদ্বদীন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১৪ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২২.৫০ শতাংশ
অপরদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫৭৭ টি নমুনা পরীক্ষার করে নতুন ১৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৬৩। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৭ হাজার ১৮৫ জনে। সুস্থ হয়েছেন ৫২৮০ জন। মৃত্যের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৫ জনে। নতুন শনাক্তের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের সর্বাধিক ৬৩ জন, দৌলতপুরের ২৪, কুমারখালীর ৩৬, ভেড়ামারার ২৯, মিরপুরের ২২ ও খোকসা উপজেলায় ২১ জন। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৭২০। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ১৬৪ জন ও হোম আইসোলেশনে আছেন ১ হাজার ৫৫৬ জন।
কুষ্টিয়ায় দেড় মাসের শিশু করোনা আক্রান্ত
কুষ্টিয়া, ২৩ জুন (ইউএনবি)- কুষ্টিয়ায় এবার মাত্র দেড় মাস বয়সী একটি শিশুর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।ওই শিশুটিকে বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।চিকিৎসকরা বলছেন, কুষ্টিয়া জেলায় এখন পর্যন্ত এত কম বয়সী শিশুর করোনা শনাক্ত হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে একদিনে আরও ৭৬ মৃত্যু, শনাক্ত ৪৮৪৬
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন জানান, কুষ্টিয়া শহরের বড় স্টেশন রোড এলাকার এক বাসিন্দার দেড় মাস বয়সী শিশুটিকে ঠান্ডা, জ্বর নিয়ে সোমবার পরিবারের লোকজন হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে ওই দিনই শিশুটির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মঙ্গলবার হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের রিপোর্টে শিশুটির করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
আরও পড়ুন: করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ছাড়াল
শিশুটির পিতা জানান, গত কয়েকদিন ধরে শিশুটি ঠান্ডা ও জ্বরে আক্রান্ত। যে কারণে সোমবার তাকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়।হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইফতেখার হাসান জানান, কুষ্টিয়া হাসপাতালে এর আগে তারা এত কম বয়সী শিশুর শরীরে করোনা শনাক্ত হতে দেখেননি। শিশুটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সের ওপর নির্ভর রোহিঙ্গাদের টিকাদান
মঙ্গল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আরো ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।