কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে ২ কৃষক নিহত
কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় আরেক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত জহুর আলী (৫০) ওই গ্রামের করিম সওদাগরের ছেলে এবং ছলিম উদ্দিন (৩৭) একই এলাকার মহির উদ্দিনের ছেলে। এবং আহতের নাম রেজাউল। তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধন কুমার বিশ্বাস বজ্রপাতে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ইউএনও সাধন কুমার বিশ্বাস জানান, হতাহতরা সবাই পেশায় কৃষক। শনিবার দুপুরের দিকে প্রচন্ড বৃষ্টির সঙ্গে খুব জোরে বজ্রপাত শুরু হয়। বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে তারা মাঠের কাজ রেখে আইলচারা ইউনিয়নের সিঁদুরঘাট এলাকার তালতলা বাজারের চায়ের দোকানের পাশে একটি টিনের চালার নিচে আশ্রয় নেন। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই জহুর ও ছলিমের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় রেজাউল নামের আরেক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার জানান, আহত রেজাউল বর্তমানে শঙ্কামুক্ত।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
নওগাঁয় বজ্রপাতে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
খোকসায় পাখিভ্যান চালককে গলাকেটে হত্যা
কুষ্টিয়ার খোকসায় ব্যাটারী চালিত পাখিভ্যান চালককে গলাকেটে হত্যা করেছে দৃর্বৃত্তরা।
সোমবার রাত ১০টার পরে খোকসা পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধ পাড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের গড়াই নদীর শহর রক্ষা বাঁধ থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
হত্যার শিকার নাসিরুল (২৩) ওই পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের জানিপুর পুরাতন বাজার এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।
পুলিশের ধারণা সঙ্ঘবদ্ধ চক্র পাখি ভ্যান চুরির উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
এলাকাবাসী জানায়, নাসিরুল সিলেটে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। গত দু’দিন আগে তিনি গ্রামে ফেরেন। সোমবার বিকালে নিজের ব্যাটারী চালিত পাখিভ্যান নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি।
স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে ৯টার দিকে একজন বোরকা পরা যাত্রী নিয়ে ওই পাখিভ্যান চালককে বাঁধের মাথার দিকে যেতে দেখা যায়। এর কিছু সময় পর বোরকা পরা ব্যক্তি দ্রুত পায়ে আবার ফিরে যায়। এ সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা বোরকা পরা ব্যক্তিকে ধাওয়া করেও ধরতে পারেনি। পরে তারা আবার ঘটনাস্থলে ফিরে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত নিথর দেহ পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় লাশ উদ্ধার করে।
বাঁধপাড়ার গৃহিনী নাদিয়া ও জোৎসনা জানান, বোরকা পরা ওই ব্যক্তির চলে যাওয়া দেখে বাঁধের লোক জনের সন্দেহ হয়। তারা পিছু নেয়। কিন্তু ধরতে পারেনি। ওই ব্যক্তিকে ধরতে পারলে হত্যার রহস্য জানা যেতো।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানায়, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ল্যাবএইডের ৬ চিকিৎসকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
খিলগাঁওয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ৭০ বছরের বৃদ্ধের আত্মহত্যা
কুষ্টিয়ায় স্কুলছাত্রীকে জোর করে বিয়ে, ‘বর’ ও ঘটককে কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ার খোকসায় জোর করে বিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে থানায় অভিযোগ নিয়ে গেল নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটকসহ ‘বরকে’ সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার সকালে ছাত্রীটিকে কুমারখালী উপজেলার ঘাসখাল গ্রামে নিয়ে গিয়ে বাল্যবিবাহের জন্য বাধ্য করা হয়।
শিক্ষার্থী মিনু উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বুজরুখ মির্জাপুর গ্রামের সোহেল হোসেনের মেয়ে ও বিলাজানি দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির মানবিক শাখার ছাত্রী।
জানা গেছে, বিয়ের পর বুধবার বিকালে বর নূর হোসেন (২৫), বিয়ের ঘটক রমজান আলী শেখসহ ছাত্রীটিকে তার বাবার বাড়ি নিয়ে আসেন বিয়ের প্রধান আয়োজক দাদা আলাউদ্দিন ওরফে জান ও দাদি রেশমা খাতুন। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় ছাত্রীটি প্রতিবেশি মামীকে সঙ্গে করে খোকসা থানায় গিয়ে হাজির হয়। রাতেই থানা পুলিশ ছাত্রীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নূর হোসেন ও দালাল রমজানকে আটক করে। এ সময় ছাত্রীর দাদি ও দাদা আত্মগোপন করে।
আরও পড়ুন: আরেকটি সাজানো নির্বাচন করতে সরকার পুলিশ ও জনপ্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে: ফখরুল
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে নূর হোসেনকে দুই সপ্তাহ ও রমজানকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। বৃহস্পতিবার দণ্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়।
দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত নূর হোসেন কুমারখালী উপজেলার নন্দিগ্রাম-ঘাসখাল গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। রমজান একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের জামাল শেখের ছেলে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, বাবা-মা’র ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাদা-দাদি তাকে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিয়েছে। বিয়ের দুই ঘন্টা পর বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। এই সুযোগে সন্ধ্যায় সে থানায় গিয়ে হাজির হয়। ন্যায় বিচার পাওয়ায় সে খুশি।
ছাত্রীর মা নাজমা খাতুন বলেন, ঘটকের খপ্পরে পরে তার শ্বশুর-শাশুড়ি জোর করে মেয়েকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিয়েছে। মেয়ে পড়তে চায়। বাবাও মেয়েকে পড়াতে চায়।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিুল্লাহ জানান, ছাত্রীটি তার কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ছাত্রী ও ছেলে পক্ষের কথা শুনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার বিশ্বাস জানান, ছাত্রীটির বাবা-মা বিয়েতে রাজি না। তিন্তু দাদা-দাদি আর ঘটক মিলে জোর করে তাকে বিয়ে দিয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের কথা শুনে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে সাজা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: টুকু ও আমানের সাজা বহাল হাইকোর্টে
ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সাজাভোগের পর দেশে ফিরলেন ১০ বাংলাদেশি
হালিমার পরিচর্যায় ৪ বছরে বাছুর থেকে ২৩ মণের ‘রাজাবাবু’
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মো. জসিম মোল্লা (৩০) জীবিকার তাগিদে থাকেন প্রবাসে। স্ত্রী হালিমা খাতুন গৃহিণী। ঘরের কাজের পাশাপাশি গৃহবধূ হালিমা একটি ষাঁড় গরু লালন-পালন করেছেন।
ছয় বছরের সংসার জীবন তাদের। প্রায় চার বছর ধরে সন্তানের মতোই গরুটিকে পরিচর্যা করে আসছেন। আদর করে গরুটির নাম রেখেছেন ‘রাজাবাবু’।
এই দম্পতি উপজেলার সদকী ইউনিয়নের উত্তর মূলগ্রামের বাসিন্দা। রাজাবাবু নামের ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটির উচ্চতা প্রায় পাঁচ ফুট ১০ ইঞ্চি এবং লেজ থেকে মাথার দৈর্ঘ্য প্রায় আট ফুট। যার ওজন আনুমানিক ৯৫৭ কেজি অর্থাৎ ২৩ মণের বেশি। হালিমা গরুটির দাম চাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা।
জানা গেছে, প্রায় ছয় বছর আগে উত্তর মূলগ্রামের মৃত সামছদ্দিন মোল্লার ছেলে জসিম মোল্লার সঙ্গে একই এলাকার মো. চাঁদ আলীর মেয়ে হালিমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পরের বছর জসিম মোল্লা জীবিকার তাগিদে চলে যান ইরাকে। আর হালিমাকে তার শ্বশুর ফ্রিজিয়ান বাছুরসহ একটি গাভী গরু কিনে দেন। সেই বাছুরটিই আজকের বিশাল রাজাবাবু।
প্রায় চার বছর ধরে ঘাঁস, খড়, ছাল-ছোলা, ভুট্টাসহ বিভিন্ন খাবার দিয়ে নিজের সন্তানের মতোই গরুটিকে পালন করেছেন হালিমা। প্রতিদিন প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার খাবার খায় গরুটি। এটিকে ঘিরেই হালিমার চোখে এখন নানান স্বপ্ন।
কোরাবানির ঈদের সময় ঘনিয়ে আসছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ক্রেতাদের তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে তার দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টিনশেডের পাকা মেঝের ঘরের সামনে একটি আম গাছ রয়েছে। সেখানে দড়ি দিয়ে বাঁধা রয়েছে কালো রঙের রাজাবাবু। তাকে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন হালিমা খাতুন।
এ সময় হালিমা খাতুন বলেন যে তিনি প্রায় চার বছর ধরে নিজ সন্তানের মতোই গরুটিকে লালন-পালন করছেন। দেখতে সুন্দর ও বিশাল দেহের অধিকারী হওয়ায় তিনি আদর করে নাম রেখেছেন রাজাবাবু। তার প্রতিমাসে ঘাঁস, খড়, ছোলা, গম, ধানের গুড়াসহ গরুর খাবাবের জন্য প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
প্রায় ২৩ মণ ওজনের গরুটিকে তিনি ১০ লাখ টাকা হলে বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে গরু ও মহিষের ১০ গাড়িতে করে বরযাত্রা!
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৫
গরু খেতের পাট খাওয়াকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছে আরও ১৫ জন।
বুধবার (১৪ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ভুরকাপাড়া হাটখোলাপাড়া এলাকায় সরদার গ্রুপ ও মালিথা গ্রুপের মধ্যে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন- ভেলশ মালিথা (৪০) ও বজলু মালিথা (৪২)।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রাকচাপায় নির্মাণশ্রমিক নিহত
সংঘর্ষে আহতদের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকালের দিকে নিহত বজলু মালিথার জমিতে সরদার গ্রুপের ফরিদ খসরুর গরু পাট খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক পর্যায়ে সরদার গ্রুপের উজ্জ্বল সর্দারের নেতৃত্বে মালিথা গ্রুপের ওপর হামলা করেন। সর্দার গ্রুপের লোকজন মালিথা গ্রুপের লোকজনের ওপর গুলিবর্ষণ করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
এতে ভেলশ মালিথা ও বজলু মালিথার মৃত্যু হয়। অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান সংঘর্ষে দুই জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গরু জমির পাট খেয়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটেছে।
বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত
নোয়াখালীতে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ে পথচারী নিহত
গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থী নিখোঁজ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছেন। সোমবার বিকাল পৌনে চারটার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী রেললাইনের কুমারখালীর কয়া গড়াই রেলসেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ তানভীর (২৩) ঢাবির ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বরগুনা জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: মাদরাসার টয়লেট থেকে ছাত্রের লাশ উদ্ধার
ফায়ার সার্ভিস ও কুমারখালী থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাবির ফার্মেসি বিভাগের ১৩ জন শিক্ষার্থী মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরতে আসেন। তারা প্রথমে মেহেরপুরের মুজিবনগর এবং পরে কুমারখালীর লালনের আখড়াবাড়িতে যান। পরে কুমারখালী লাহিনীপাড়া এলাকায় গড়াই নদী রেলসেতুর নিচে তিন বন্ধু নামেন। তারা সাঁতরে গড়াই নদী পার হওয়ার চেষ্টা করেন। ওপারে পার হওয়ার সময় দুই বন্ধু তীরে উঠতে সক্ষম হলেও তানভীর পানিতে তলিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে সেখানে কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন হোসাইন বলেন, ১৩ জনের মধ্যে খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের ছেলেও ছিলেন।
তিনি বলেন, ১২ জন সুস্থ আছেন। তানভির নামের এক ঢাবি শিক্ষার্থী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, তবে এখন পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি।
আরও পড়ুন: নবাবগঞ্জ থানা হাজতের টয়লেটে ঝুলছিল আসামির লাশ
টয়লেটে পড়ে যাওয়া মোবাইল তুলতে গিয়ে মা-ছেলের মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধ: ভাতিজার হাতে চাচা খুন
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাতিজার হাতে চাচা মাহফুজুল হক ওরফে ইরিন সর্দার (৬২) নিহত হয়েছেন।
শনিবার উপজেলার খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নের পাককোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শনিবার বিকাল ৬টার দিকে ইরিন সর্দার এবং তার ভাতিজা মামুন ও সুমনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মামুন-সুমন ইরিনের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।
লাঠির আঘাতে সে গুরুতর আহত হলে স্বজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ৮টার দিকে মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
নিহতের শ্যালক তাশফিন বলেন, জমি নিয়ে তার ভাতিজাদের সঙ্গে পূর্বে কখনও বিরোধ ছিল না। শনিবার বিকালে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে ভাতিজারা তার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন যে খবর পেয়েই তিনিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শনিবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
আরও পড়ুন: নাটোরে জমি নিয়ে বিরোধ: প্রতিপক্ষের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
ফেনীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় হোমিও চিকিৎসকের মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় গাছে গাছে ঝুলছে পাখিদের নিরাপদ কৃত্রিম আবাসস্থল
জীববৈচিত্র্য ও প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে দেশীয় পাখি। আগে গ্রামে গ্রামে হরহামেশাই দেখা মিলত নানা প্রজাতির দেশীয় পাখির। কালের আবর্তে এসব পাখি এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। তেমন একটা শোনা যায় না এই সব পাখির কলরব।
দেশীয় পাখির বংশ বিস্তার এবং আগের মতো পাখির কলরব ফিরিয়ে আনতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ‘পাখির জন্য ভালোবাসা’স্লোগান নিয়ে কুষ্টিয়ায় মাসব্যাপী দেশীয় পাখির নিরাপদ কৃত্রিম আবাসস্থল স্থাপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় অভিনব পন্থায় অতিথি পাখি শিকার
সোমবার (২৯ মে) শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে মাসব্যাপী।
ওইদিন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর ও লালন শাহ’র মাজার এলাকার গাছে গাছে এই কৃত্রিম বাঁশের হাড়ি স্থাপন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মানুষ মানুষের জন্য এর কুষ্টিয়ার সভাপতি শাহাবউদ্দিন মিলন, বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন বিবিসিএফের সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া বার্ড ক্লাবের সভাপতি এস আই সোহেল, মানুষ মানুষের জন্য এর কুষ্টিয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক নাব্বির আল নাফিজ, মীর কুশল, তানজিম আহমেদ আলীফ, তালহা জুবায়ের, মুবিন, সাবিত ইবনে মামুন, রাফি ইসলামসহ আরও অনেকে।
শাহাবউদ্দিন মিলন বলেন, পাখিদের মুক্তভাবে বাঁচার জন্য পুকুর ভরাট, গাছ নিধন, শিকার- বন্ধ করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে বড় বড় গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পাখিরা বাসা বাঁধার স্থান পাচ্ছে না। বড় বড় গাছ না থাকায় বাচ্চা দেওয়ার সময় পাখিরা দিশেহারা হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, তাই দেশীয় পাখির বংশ বিস্তার এবং আগের মতো পাখির কলরব ফিরিয়ে আনতে গাছে গাছে পাখিদের কৃত্রিম আবাসস্থল গড়ে দেওয়ার এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বছর প্রথম পর্যায়ে ১৪৫টি বাঁশের হাঁড়ি গাছে লাগানো হয়েছে। আরও ৫০০টি হাঁড়ি গাছে গাছে স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: শখের পোষা পাখি এখন তামিমের আয়ের উৎস
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ কলেজছাত্র নিহত
কুষ্টিয়ার খোকসায় কলেজ শেষে ঘুরতে বের হয়ে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটর সাইকেল আরোহী দুই কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুর দেড়টার দিকে খোকসার পাইকপাড়া মির্জাপুর গ্রামের কাছে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নিহত
নিহতেরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার চর জগন্নাথপুর গ্রামের ইসাহক আলীর ছেলে আবু মুছা (১৮) এবং একই উপজেলার যদুবয়রা গ্রামের আবু বক্করের ছেলে পারভেজ হোসেন (১৮)। ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তারা দুজনই উপজেলার শোমসপুর আবু তালেব ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
জানা যায়, পদ্মা-গড়াই পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুই যুবক মারা যান। দুর্ঘটনার পর গাড়ি ফেলে বাসের চালকসহ অন্য স্টাফরা পালিয়ে যায়।
শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ব্যস্ততম আঞ্চলিক মহাসড়কটি পাইকপাড়া মধ্যে এসে ইউটার্ন নেওয়ায় এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী রোধে উদ্যোগ নেওয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
খোকসা থানা পুলিশের এসআই (উপপরিদর্শক) মোজাম্মেল হক বলেন, নিহত ছাত্রদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। হাইওয়ে পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি ও মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।
আরও পড়ুন: নাটোরের বড়াইগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
জৈন্তাপুরের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১
কুষ্টিয়ায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারী-পুরুষসহ উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ জন জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- হরিপুর ইউনিয়নের কান্তিনগর এলাকার আবুল খায়েরের পুত্র ওমর আলী ও একই এলাকার শুকলাল বিশ্বাসের ছেলে মিরাজ হোসেন (৪৫)। এ ঘটনায় আহত দুই নারীসহ আটজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদহ-কান্তিনগর ভুত পাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন দুইজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হরিপুরে বোয়ালদহ মেছোপাড়া ভূত মোড়ে নিহত ওমর আলীর এক আত্মীয়ের দোকানে ক্যারাম বোর্ডের নামে অর্থ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জুয়া খেলা চলে আসছিল।
কান্তিনগর এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বাবু আহমেদ সন্ধ্যায় সেখানে উপস্থিত হয়ে এসব জুয়া খেলা বন্ধ করতে বলে। এ নিয়ে বাক-বিতন্ডার জেরে এ সময় বাবুকে মারপিট করে ওমর আলীর লোকজন। পরে বাবু আহমেদ ও নিহত মিরাজ হোসেনসহ অন্যরা এসে ক্যারাম খেলার ঘরে আক্রমণ করলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে ওমর আলী ও মিরাজ নিহত হন।
ওসি শাহাদত হোসেন বলেন, ‘জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় নিহত মিরাজ ও ওমর আলী নামে দুইজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন যে সংঘর্ষে হতাহতের গঠনায় উভয় পক্ষের কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষ যাতে আর না হয় সেজন্য এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু