কুষ্টিয়া
স্নিগ্ধা হত্যা: স্বামীর ১০ বছরের কারাদণ্ড
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্রী স্নিগ্ধা আক্তার রিমিকে হত্যার মামলায় স্বামী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিহাব উদ্দিন শিশিরকে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশে অনুমতি দেননি হাইকোর্ট। তবে তাকে ১০ বছরের দণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টে পাঠানো ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে রবিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী বুলবুল রাবেয়া বানু।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা যায়, এ হত্যাকাণ্ড পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না। রাগের মাথায় স্বামী-স্ত্রীর বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ কারণে আদালত মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে আসামিকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন।
২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৩টার দিকে স্বামী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিহাব উদ্দিন শিশিরে হাতে খুন হন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্রী স্নিগ্ধা আক্তার রিমিকে (২০) স্নিগ্ধা। এ ঘটনার পরদিন স্নিগ্ধার খালাতো ভাই আবদুল্লাহ আল মামুন মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: এক হত্যা মামলায় ৫ ভাইয়ের যাবজ্জীবন!
নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
সাফজয়ী নিলাকে কুষ্টিয়ায় উষ্ণ সংবর্ধনা
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর নিজ জেলা কুষ্টিয়ায় পৌঁছে উষ্ণ সংবর্ধনা পেয়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের অন্যতম সদস্য নিলুফা ইয়াসমিন নিলা।
তার কুষ্টিয়ায় আগমনকে ঘিরে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। হৃদয়ের সবটুকু আবেগ উজাড় করে দিয়ে দু’হাত নাড়িয়ে জানিয়েছেন অভিনন্দন।
এসময় নেভি ব্লু রঙের টি-শার্ট আর কালো চশমা পরা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের নিলুফা ইয়াসমিন নিলাকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে দুই হাত নেড়ে অভিনন্দন জানান হাজারো মানুষ।
নিলাকে নিয়ে বের হওয়া শোভাযাত্রাটি শহর প্রদক্ষিণকালে শিশু, কিশোর, শিক্ষার্থী, যুব-বৃদ্ধ সবাই অভিনন্দন জানান।
শনিবার (০১ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে একটি সাদা রঙের সুসজ্জিত ছাদখোলা প্রাইভেটকারে চড়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পৌঁছায় নিলা।
এরপর সেখানে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ফুটবল কন্যা নিলাকে সংবর্ধনা ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় নিলুফা ইয়াসমিন নিলা বলেন, বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের এ বিজয় দেশবাসীর প্রতি উৎসর্গ করেছি।
যার হাত ধরে ফুটবলে এই আমি সেই ফাত্তা ভাই বেঁচে থাকলে তিনি আজ সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। আমার গুরু ফাত্তা ভাইয়ের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।
সংবর্ধনা দেয়ায় জেলা প্রশাসনসহ জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নিলা।
তিনি আরও বলেন, বাফুফেসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তিনি আমাদের সবসময় প্রেরণা দিচ্ছেন। আমরা তার কাছেও কৃতজ্ঞ। আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রেরণা ও দেশবাসীর ভালোবাসায় আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাব।
এ সময় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার খাইরুল আলমসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা ও জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারী ক্রিকেট নিয়ে ব্যর্থতা স্বীকার করল পাপন
নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ: থাইল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ
খাগড়াছড়িতে ৩ নারী ফুটবলারকে ফুলেল শুভেচ্ছা, ৪ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর
রাঙামাটিতে সাফজয়ী ৫ নারী ফুটবলারকে উষ্ণ সংবর্ধনা
নারী এশিয়া কাপ: সিলেটে পৌঁছেছে ৬ দল, আজ আসছে ভারত
কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গু জ্বরে যুবকের মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত রাব্বী সর্দার (২০) কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রামের রাজা সর্দারের ছেলে।
রাব্বীর চাচা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বাবু সরদার জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে রাব্বি জ্বরে আক্রান্ত ছিল। প্রথমে তাকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন যে রাব্বী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। পরে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাব্বীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন রাব্বীর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন, আমরা তাদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
ডেঙ্গু: চট্টগ্রামে শিশুর মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আজও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫২৪
কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদী থেকে একটি বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার করে গড়াই নদীতে অবমুক্ত করা হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সৈয়দ মাসুদ রুমী সেতুর নীচে গড়াই নদীতে সাপটি অবমুক্ত করেন উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন,‘পদ্মা নদীতে মাছ ধরা দুয়ার (মাছ ধরার যন্ত্র) জালে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার আটকা পড়ে। সকালে খবর পেয়ে বিলপ্তপ্রায় এই সাপটি উদ্ধার করা হয় এবং গড়াই ব্রিজ হিসেবে পরিচিত সৈয়দ মাসুদ রুমী সেতুর নীচে অবমুক্ত করা হয়েছে।'
এদিকে গড়াই নদীতে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপটি অবমুক্ত করায় আতঙ্কে রয়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
তারা বলেন, ‘নদীর পাড়ে হাজার হাজার মানুষের বসবাস। এখানকার মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে নদী ব্যবহার করেন। কিন্তু এখানে এত ভয়ংকর সাপটি ছেড়ে দেওয়া ঠিক হয়নি।’
আরও পড়ুন: শহরে ভয়ংকর রাসেল ভাইপার সাপ, আতঙ্কে চাঁদপুরবাসী
জানা গেছে, উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের জেলে মো. শামিম হোসেন প্রতিদিনই পদ্মায় দুয়ার জালের ফাঁদ পেতে মাছ শিকার করেন। মঙ্গলবার সকালে জাল থেকে মাছ বের করতে যান। জালে মাছের পরিবর্তে সাপ দেখতে পান। প্রথমে তিনি অজগর সাপ মনে করে স্থানীয়দের খবর দেন। পরে বন বিভাগের লোকজন এসে তাকে জানায় এটা বিষাক্ত রাসেল ভাইপার। পরে সাপটিকে বনবিভাগের লোকজন নিয়ে যান।
এ বিষয়ে জেলা বনবিভাগের বনকর্মকর্তা জি এম মোহাম্মদ কবির বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে সাপটি ভারত থেকে পদ্মা নদী হয়ে এসেছে। উদ্ধার করার পর গড়াই নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। এতে আতঙ্কের কিছু নেই। নদী বেয়ে অন্যত্র চলে যাবে।'
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘এখানে আমাদের কিছু করার নেই। বিষয়টি বনবিভাগের। তারাই ভাল বলতে পারবেন।'
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে বউ-শাশুড়ির মৃত্যু
সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু
অবশেষে সংশোধন হলো সেই এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র
অবশেষে সংশোধন হলো কুষ্টিয়ার কুমারখালীর এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. শিপনের প্রবেশপত্র। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হলেও শিপন মানবিক বিভাগের প্রবেশপত্র নিয়ে পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এই ঘটনা সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
মো. শিপন উপজেলার জে এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি-২০২২ এ অংশগ্রহণ করেছে। সে পৌরসভার কাপড়ের ব্যবসায়ী মো. শাহিন মন্ডলের ছেলে।
শিপন কুমারখালী সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। সোমবার দুপুরে তার প্রবেশপত্র সংশোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব মো. আবুল কাশেম।
তিনি বলেন, রোল নম্বর অনুযায়ী সিটপ্ল্যান করা হয়ে থাকে। প্রথম পাঁচদিন আবশ্যিক বিষয়গুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রবেশপত্রের ভুল টের পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: এসএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁস: কুড়িগ্রামে গ্রেপ্তার আরও ৩
পরে বিভাগ ভিত্তিক পরীক্ষার আগের রাতে ভুল ধরা পড়ে এবং ইউএনও স্যারের মাধ্যমে ভুল প্রবেশপত্রে পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এখন প্রবেশপত্র সংশোধন করা হয়েছে।
এছাড়া সোমবার সংশোধিত প্রবেশপত্রে রসায়ন পরীক্ষা দিয়েছে ওই ছাত্র।
জানা গেছে, ভুল প্রবেশপত্রে পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা দিলেও শিক্ষার্থী, শিক্ষক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অভিভাবক কেউ টের পাইনি। হঠাৎ পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার আগের রাতে (শুক্রবার) এ বিষয়ে টের পান ওই পরীক্ষার্থী। টের পেয়ে দুশ্চিন্তায় মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বিষয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জানালে শিক্ষকরা মানবিক বিষয়ে পরীক্ষার জন্য পরামর্শ দেন। এতে আরও ভেঙে পড়েন ওই শিক্ষার্থী।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শনিবার পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা দেয় সে।
আরও জানা গেছে, গত রবিবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যশোর বোর্ড থেকে প্রবেশপত্রের ভুল সংশোধন করে এনে দেন।
এ বিষয়ে পরীক্ষার্থী মো. শিপন বলেন, আমার ভুল প্রবেশপত্রটি সংশোধন করা হয়েছে। আমি বিজ্ঞান বিভাগের প্রবেশপত্রে রসায়ন পরীক্ষা দিয়েছি। এখন আর চিন্তা হচ্ছেনা, আমি খুব খুশি।
ইউএনও স্যারকে ধন্যবাদ।
জে এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মকছেদ আলী বলেন, টেকনিক্যাল ভুলে শিপনের প্রবেশপত্র ভুল হয়েছিল। রবিবার ভুল সংশোধন করা হয়েছে। এখন আর সমস্যা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, শিপন সোমবার বিজ্ঞান বিভাগের প্রবেশপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে। এসএসসি পরীক্ষা ছাত্রজীবনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।
এই ভাল কাজে সহযোগিতা করতে পারায় আমি আনন্দিত।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষা : দিনাজপুর বোর্ডে স্থগিত চার পরীক্ষা ১০-১৩ অক্টোবর
এসএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁস: প্রধান শিক্ষকসহ আটক ৩
কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে জনি (৩৪) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. জনি (৩৪) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হাফিজুল প্রামাণিকের ছেলে।
সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এই রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিকালে দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করে দণ্ডপ্রাপ্ত জনি। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসলে জনি পালিয়ে যায়।
ওই দিনই ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে জনিকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: আশুলিয়া শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ দৌলতপুর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম জনির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় অস্ত্র মামলায় এক যুবকের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালত ও স্পেশাল ট্রাইবুনাল-২ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত মো. লিটন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাহিরমাদি পূর্বপাড়া এলাকার মো. মকবুল সরদারের ছেলে।রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণের দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে উপজেলার বাহিরমাদি পূর্বপাড়া এলাকায় রোকনুজ্জামানেরর দোকানের সামনে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসা দুইজন যুবক পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় এক যুবক পালিয়ে গেলেও পুলিশ মো. লিটনকে আটক করে এবং তার দেহ তল্লাশি করে একটি কালো রংয়ের বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি ও ২ টি ম্যাগজিন উদ্ধার করে।
পরে দৌলতপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক গৌতম কুমার মণ্ডল।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কৌসুলি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, দৌলতপুর থানার অস্ত্র মামলায় আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বাক্ষ্য শুনানি শেষে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিকে কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে শিশু ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় হাসপাতালে ফেলে যাওয়া সেই নবজাতকের দায়িত্ব নিলেন এসিল্যান্ড
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জন্মের পর ফেলে রেখে যাওয়া সেই নবজাতকের দায়িত্ব নিলেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট। শনিবার বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শিশুটি বর্তমানে ওই হাসপাতালের নবজাতকদের বিশেষ পরিচর্যা কেন্দ্রে (স্ক্যানু)ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যদিকে, ওই ম্যাজিস্ট্রেট বর্তমানে এসিল্যান্ড হিসেবে সিলেট বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। ১০ বছর বিবাহিত জীবনে ওই দম্পতির কোনো সন্তান হয়নি।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ ফোন: চলন্ত ট্রেন থেকে গুরুতর অসুস্থ নারীকে উদ্ধার
তিনি আরও জানান, নবজাতক ওই শিশুটির দায়িত্বভার গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ১৪ জন দম্পতি আগ্রহ প্রকাশ করে আবেদন করেন। আবেদনকারীদের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী,ব্যবসায়ী, প্রবাসী,চিকিৎসক,প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ ছিলেন। আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিশুকল্যাণ বোর্ডের সভা আহ্বান করা হয়। সভায় ১৮ জন সদস্যের প্রত্যেকেই উপস্থিত ছিলেন। আবেদনগুলোর বিশ্লেষণ শেষে শিশুটির সর্বোত্তম স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে শিশু আইন ২০১৩ সংশোধিত ২০১৮ (৮৬) ধারা অনুযায়ী সর্ব সম্মতিক্রমে আবেদনকারী দম্পতিদের মধ্যে একজন দম্পতির হাতে শিশুটির দায়িত্বভার অর্পণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে নবজাতকের জন্ম
জেলা প্রশাসক জানান, দু-একদিনের মধ্যেই শিশুটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই দম্পতির হাতে হস্তান্তর করা হবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক আরিফুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) আনম আবুজর গিফারী, এনডিসি শাহেদ আরমান, কুষ্টিয়ার সমাজসেবা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মুরাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে কবরস্থান থেকে নবজাতক উদ্ধার
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.এম এ মোমেন জানান, শিশুটি বর্তমানে শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছে।
প্রসঙ্গত গত বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে রিমি (২৬) নামের এক নারী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য আসেন। সকাল ৮ টার দিকে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিছুক্ষণ পর ওই নারীকে ওয়ার্ডে পাঠানো হলে তিনি সদ্য ভূমিষ্ট নবজাতক সন্তানকে ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যান।
কুষ্টিয়ায় ২ মাদরাসাছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন: বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে মামলা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুই মাদরাসা ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্ত বাড়িয়ালার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় এই মামলাটি করে।
অভিযুক্ত হাজী মো. শহিদুল ইসলাম পৌরসভার দুর্গাপুর এলাকার মৃত নুরুল হক বিশ্বাসের ছেলে। তিনি উপজেলা সাব রেজিট্রার’র কার্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ট্যাক্স কালেক্টর ও দুই সন্তানের জনক।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মাদরাসার পরিচালনা পরিষদ জানায়, প্রায় সাত মাস আগে মহিলা মাদরাসাটি দুর্গাপুর এলাকার হাজী মো.শহিদুল ইসলামের বাড়িতে স্থানান্তর করা হয়। মাদরাসার একটি কক্ষে বাড়ি মালিক ও তার স্ত্রী থাকেন। মোবাইল চার্জ দিতে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই ওই কক্ষে যায়। সেই সুযোগে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করেন বাড়ির মালিক মো.শহিদুল ইসলাম। এরপর থেকে হত্যার হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীকে নিয়মিত যৌন নিপীড়ন করে আসছিলেন তিনি।
গত বুধবার আরেক ছাত্রী মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে শহিদুলের অপকর্ম দেখে ফেলে। তাকেও হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক যৌন নিপীড়ন করে বাড়ির মালিক শহিদুল।
আরও পড়ুন: মীরসরাইয়ে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ৩ চালকের বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে প্রভাবশালী একটি মহল থানায় অভিযোগ না করে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। তবে শুক্রবার মাদরাসার দুই শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন চলাকালে গণমাধ্যমকর্মীরা কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলমকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং মামলার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আতিকুল ইসলামকে কুমারখালী থানায় পাঠান।
আরও পড়ুন: রংপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা
অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ২০১৯ সালে হজ্জ করেছি। এমন কাজ আমি করতে পারি না আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কুষ্টিয়ায় তরুণ-তরুণীর বিষপানে আত্মহত্যা
কুষ্টিয়া সদরে বাড়ি থেকে পালিয়ে খালার বাড়িতে এসে বিষপানে তরুণ ও তরুণী আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন ঝাউদিয়া ইউনিয়নে বৈদ্যনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানাধীন মির্জাপুর ইউনিয়নের শাহীন বিশ্বাসের ছেলে ও পেশায় কৃষক সাগর ইসলাম (১৭) এবং পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর গ্রামের হালিম মন্ডলে মেয়ে ও দশম শ্রেণির ছাত্রী বর্ষা খাতুন (১৬)।
আরও পড়ুন: মোবাইল গেম খেলতে না দেয়ায় স্কুলছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননূর জাহিদ জানান, ঝিনাইদহ থেকে সাগর ও বর্ষা নামে দুই তরুণ-তরুণী মঙ্গলবার সকালে ছেলের খালার বাড়ি ঝাউদিয়া এলাকায় বৈদ্যনাথপুর গ্রামে পালিয়ে আসে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে তারা একটি ঘরে বিষপান করে আত্মহত্যা করে।
আরও পড়ুন: চুরির অপবাদে নির্যাতন, অপমানে তরুণের আত্মহত্যা!
ঝাউদিয়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই কোবির হোসেন ও এএসআই অনুপম জানান, খবর পেয়ে দুপুর দুইটার দিকে তারা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে ফেসবুক লাইভে এসে প্রবাসীর আত্মহত্যা!
স্বজনরা জানান, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্ক দুই পরিবার মেনে না নেয়ায় তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে বউ-শাশুড়ির মৃত্যু
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় একই রাতে সাপের কামড়ে নববধূ ও তার শাশুড়ির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-উপজেলার জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের হাবিবুল বাহাররের স্ত্রী কামরুন্নাহার (১৭) ও হাবিবুল বাহাররের মা জয়নব বেগম (৪৮)।
আরও পড়ুন:সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু
জয়নব বেগমের ছেলে জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মুন্নাফ হোসেন জানান, রাতে প্রায় একই সময়ে তার মা জয়নব ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কামরুন্নাহারের হাতে ও মাজায় পোকায় কামড় দেয়ার কথা জানান। ভোরে তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসার এক পর্যায়ে আগে কামরন্নাহার ও পরে মা জয়নব বেগমের মৃত্যু হয়।
জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সকিব খান টিপু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কামরুজ্জামান সোহেল জানান, দু'জনকেই একেবারে মুমূর্ষু অবস্থায় ভোরে হাসপাতলে নিয়ে আসেন স্বজনরা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় তাদের সাপে কেটেছে।
আরও পড়ুন:সাজেকে সাপের কামড়ে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী যুবকের মৃত্যু
মাগুরায় সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু