আত্মহত্যা
হাতীবান্ধায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীর আত্মহত্যা!
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আমেনা খাতুন (২৩) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বুড়িমারী উপজেলার বড়খাতা মাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আমেনা খাতুন উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের মেয়ে এবং একই উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ডাকালী বান্দা এলাকার রোকন উদ্দিনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: নাটোরে বোনকে বাঁচাতে পানিতে ঝাঁপ দিল ভাই, পরে লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী একটি ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তার সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েন আমেনা। খবর পেয়ে হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল তার লাশ উদ্ধার করে।
হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধারের পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে তথ্য সম্প্রচার বিভাগের অফিস সহকারীর আত্মহত্যা
খিলগাঁওয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ৭০ বছরের বৃদ্ধের আত্মহত্যা
এনজিওর ঋণের চাপে রাবি কর্মচারীর আত্মহত্যার অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক কর্মচারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারেরর দাবি এনজিওর ঋণের চাপ সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পরিবারের লোকজন নিজ বাড়ির বাথরুম থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা: প্রেমিকের মৃত্যু, প্রেমিকা হাসপাতালে
নিহত রাজন কুমারের বাড়ি নগরীর রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুর বাকির মোড় এলাকায়। তার বাবার নাম অসিত কুমার। রাজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সুইপার পদের চাকরি করতেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে কর্মরত ছিলেন।
রাজনের স্ত্রী রাখি রানী জানান, মানব সেবা উন্নয়ন নামে একটি এনজিও থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেন। এর বিপরীতে মাসে ১০ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হয়। আরও সাতটি কিস্তি বাকি আছে। সোমবার কিস্তি দেওয়ার দিন ছিল। কিন্তু তার কাছে কিস্তি দেওয়ার কোনো টাকা ছিল না।
তিনি আরও জানান, আইডি বাগানপাড়া এলাকার একরাম আলীর ছেলে দাদন ব্যবসায়ী সাদির কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নেন রাজন। সুদ ও আসল মিলে তাকে ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এরপর সাদি আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এর মধ্যে ৩০ হাজার টাকাও দেন। ২০ হাজার টাকার জন্য সাদি ও তার ভাই রকি চাপ দিচ্ছিলেন। রবিবার রাতে ফোন করে আজকের মধ্যে ২০ হাজার টাকা না দিলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন সাদি। এ কারণে রাজন আত্মহত্যা করে বলে দাবি করেন তার স্ত্রী রাখি।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, রাজন বাড়ি করার জন্য সুদের উপর একটি এনজিওসহ কয়েকজনের কাছ থেকে ৫-৬ লাখ টাকা ঋণ নেন। এর মধ্যে কিছু টাকা পরিশোধ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তবে বাকি টাকার জন্য পাওনাদাররা চাপ দিচ্ছিল। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ মৃত্যুর পেছনে আর কোনো কারণ আছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি তিশা, আত্মহত্যাচেষ্টার গুঞ্জন
বিয়ের ভয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইতালিয় কিশোরীর আত্মহত্যা
সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন তানজিন তিশা
অভিনেত্রী তানজিন তিশার অসুস্থতা ও হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন খবর প্রকাশিত হয়। যেখানে গুঞ্জন হিসেবে উল্লেখ ছিল তার আত্মহত্যার চেষ্টা।
এ নিয়ে চটেছিলেন তানজিন তিশা। এ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। যেখানে সাংবাদিকদের প্রতি তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
অবশেষে এসব নিয়ে ক্ষমা চাইলেন এই তারকা। শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে নতুন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ক্ষমা চাইলেন তিনি।
তিশা লেখেন, 'বিগত কয়েকদিনের অসুস্থতা এবং আমার পারসোনাল লাইফ নিয়ে নানান ভিত্তিহীন কথা ও সংবাদ এবং পরিচিত-অপরিচিত বিভিন্ন ফোন কলে আমি অনেকটাই মেন্টালি পাজলড ছিলাম। এমন সময়ে এক সাংবাদিক ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তেজিত হয়ে কিছু কথা বলে ফেলি যা আসলে ইনটেনশনালি ছিল না।'
আরও পড়ুন: আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে মিডিয়ার কিছু মানুষ: তানজিন তিশা
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিশা লেখেন, 'সাংবাদিক ভাইদের আমি বলতে চাই, আমার সফলতার একটা অংশজুড়ে আপনারাও আছেন এবং আপনাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও সন্মান সমসময়ই ছিল ও থাকবে। আমার অনাকাঙ্ক্ষিত কথায় আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।'
তিশা আরও লেখেন, 'সবার উদ্দেশে আমার একটাই কথা আপনারা আমাকে আমার কাজ ও আপনাদের ভালোবাসায় এতদূর এনেছেন এবং ভবিষ্যতেও কোনো প্রকার গুজবে কান না দিয়ে আমার কাজ ও আমাকে ভালোবেসে যাবেন। আপনাদের সবার দোয়াতে আমাকে রাখবেন।’
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি তিশা, আত্মহত্যাচেষ্টার গুঞ্জন
বিয়ের ভয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইতালিয় কিশোরীর আত্মহত্যা
ইতালির মার্চে অঞ্চলের রাজধানী অ্যানকোনায় বাড়ির জানালা থেকে লাফিয়ে পড়ার তিন দিন পর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক ইতালিয় কিশোরীর (১৫) মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অ্যানকোনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়।
শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের বাবা ছুটিতে তাকে গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। নিহত কিশোরী জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ার কারণ হলো সে ভয় পেয়েছিল ‘তার পরিবার হয়তো বাংলাদেশে তার চেয়ে বয়স্ক এক ব্যক্তির সঙ্গে তাকে বিয়ে দিতে পারে।’
পুলিশ আরও জানায়, এই আত্মহত্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য তার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইহুদি বিরোধী ছবি না আঁকার অভিযোগে দীর্ঘদিনের কার্টুনিস্টকে বরখাস্ত করল গার্ডিয়ান
স্পেনের একটি নাইটক্লাবে আগুনে ১৩ জনের মৃত্যু
কক্সবাজারে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা!
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে মিজানুর রহমান (২৬) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব বাইম্যাখালী এলাকায় একটি বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই শিশুর মৃত্যু, পরিবার বলছে আত্মহত্যা
নিহত মিজানুর রহমান উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের সুতাচোরা এলাকার আশেক এলাহীর ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ৮টার দিকে তার নিজ ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন- ‘বাবা তোমার কথা রাখতে পারলাম না, জীবন মানে সংগ্রাম, আমি হেরে গেলাম, পারলে ক্ষমা করবে। স্বপ্নগুলো পূরণ হলো না।’ এরপর ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
নিহতের বাবা আশেক এলাহী বলেন, ‘আমার ছেলে যে এরকম সিদ্ধান্ত নেবে তা আমি কোনোদিন কল্পনাও করতে পারিনি।’
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘এক যুবক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’
তিনি আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় স্কুলছাত্রীসহ ২ জনের আত্মহত্যা
চিরকুট লিখে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
মাগুরায় স্কুলছাত্রীসহ ২ জনের আত্মহত্যা
মাগুরার মহম্মদপুরে এক স্কুলছাত্রী ২ জন আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে ও রবিবার সকালে তারা দুজন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আত্মহত্যাকারী সমাজদার সাগর (২৩) মহম্মদপুর উপজেলার পলাশাবাড়িয়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের সনজিত সমাজদারের ছেলে। অপর আত্মহত্যাকারী আয়েশা খাতুন ঐশী (১৫) সদর ইউনিয়নের ধোয়াইল গ্রামের আক্কাস আলীর মেয়ে। তিনি ধোয়াইল আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই শিশুর মৃত্যু, পরিবার বলছে আত্মহত্যা
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাগর সমাজদার রাতে তার নিজের মুদি দোকানে ঘুমিয়ে ছিলেন। কিন্তু সকালে দোকান ঘরে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা দরজা ভেঙ্গে গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশটি দেখতে পায়।
অপরদিকে রবিবার সকালে আয়েশা তার বোনের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে অভিমান করে গোয়াল ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
মহম্মদপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উভয় ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চিরকুট লিখে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
খাগড়াছড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা: প্রেমিকের মৃত্যু, প্রেমিকা হাসপাতালে
চিরকুট লিখে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ব্লকের ষষ্ঠ তলা থেকে লাফ দিয়ে জিয়াউর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
নিহত কাজী ফিরোজ (২০১৯-২০) শিক্ষাবর্ষের চীনা ভাষার শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলের ২০৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
ফিরোজের রুমমেট বিন ইয়ামিন বলেন, ‘ফিরোজ কিছুদিন ধরে হতাশ ছিল। আমরা সবসময় তাকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছি। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সে কক্ষে এসে নামাজ পড়ে এবং জিজ্ঞেস করে, আমাদের কাছে টাকা পাওনা আছে কি না।’
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে অপহরণের ৭ ঘণ্টা পর ঢাবি শিক্ষার্থী উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘যখন সে ঘর থেকে বের হচ্ছিল, তখন তাকে বেশ বিষণ্ণ মনে হচ্ছিল। আমি তার ফিরে আসার পরে তার সঙ্গে কথা বলার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম। কিন্তু পাঁচ মিনিট পর শুনলাম বিজয় একাত্তর হল থেকে কেউ আত্মহত্যা করেছে।’
ইয়ামিন বলেন, আমরা তৎক্ষণাৎ সেখানে ছুটে যাই এবং দেখি ওই শিক্ষার্থী ফিরোজ।
ফিরোজকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পরে তার টেবিল থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে।
চিরকুটটিতে লেখা ছিল, 'মানুষ মর্যাদার জন্য বাঁচে। মর্যাদা না থাকলে জীবন অর্থহীন... মা, আমি দুঃখিত যে আমি আমার কথা রাখতে পারিনি।
ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, 'ঘটনাটি হৃদয় বিদারক।’
হল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ
খাগড়াছড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা: প্রেমিকের মৃত্যু, প্রেমিকা হাসপাতালে
খাগড়াছড়ির গুইমারার সিন্ধুকছড়িতে একসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রেমিকযুগল। এ ঘটনায় প্রেমিক তমেজয় ত্রিপুরা (১৮) মারা গেলেও বেঁচে যান প্রেমিকা। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে গুইমারার সিন্ধুকছড়িরর মুরাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একে অপরকে ভালোবাসতেন তারা। বিষয়টি জানাজানি হলে কোনো পরিবারই তাদের এ সম্পর্ক মেনে নিতে সম্মত হয়নি।
আরও পড়ুন: মায়ের বকুনিতে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ
এ পরিস্থিতিতে রবিবার সকালের দিকে প্রেমিক যুগল সিন্ধুকছড়ি মুরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের জঙ্গলে আম গাছের সঙ্গে প্রেমিকার ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। এ সময় ওই তরুণ মারা গেলেও ওড়না ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যান তরুণী।
এ সময় আশেপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে গুইমারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত তরুণের লাশ উদ্ধার করেন।
গুইমারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব চন্দ্র কর বলেন, মৃত ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে তথ্য সম্প্রচার বিভাগের অফিস সহকারীর আত্মহত্যা
পঞ্চগড়ে নিজ বন্দুকের গুলিতে পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
মায়ের বকুনিতে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ
সাতক্ষীরার দেবহাটায় মায়ের বকুনি খেয়ে অভিমান করে এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বাড়ির পাশের একটি আম গাছের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে ছেলের ‘আত্মহত্যা’
কলেজ ছাত্রী আসমা খাতুন মনিরা (১৯) দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা দক্ষিণপাড়া গ্রামের আমজাদ আলীর মেয়ে।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আসমা খাতুনের। মায়ের বকুনিতে অভিমান করে বাড়ির পাশের একটি আম গাছের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তার জানায়, ময়নাতদন্তের জন্য আসমা খাতুনের লাশটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। তদন্ত রিপোর্ট আসার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে নিজ বন্দুকের গুলিতে পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
পঞ্চগড়ে নিজ বন্দুকের গুলিতে পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
পঞ্চগড়ে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নিজ রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন পুলিশ কনস্টেবল ফিরোজ আহম্মেদ (২৭)।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে (রাত আড়াইটায়) জেলা শহরের সোনালী ব্যাংকের সামনে পুলিশ বক্সে এই ঘটনা ঘটে।
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর অভিমান করে নিজ রাইফেল দিয়ে গলায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
ফিরোজের বাড়ি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর আফতাবগঞ্জ এলাকায়। সে ওই এলাকার আবু সাঈদের ছেলে।
ঘটনার পর পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে আসেন।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, ফিরোজ গত ৩১ জুলাই পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংক গার্ডে যোগদান করেছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলা শহরের পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখায় দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নিজ রাইফেল দিয়ে গলায় গুলি করে। এসময় অন্যান্য সহকর্মীরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফিরোজকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মির্জা সাইদুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!
সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের পর কনস্টেবল ফিরোজের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে ওসি জানান।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মির্জা সাইদুল ইসলাম জানান, রাত আড়াইটার সময় তার সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় তার মুখ, নাক, কান ও মাথা দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। গলার নিচে ও মাথার উপরে একটি ক্ষত চিহ্ন ছিল। সম্ভবত এটি একটি বুলেট ইনজুরি বা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অস্বাভাবিক মৃত্যু।
পুলিশ, হাসপাতাল ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ তার স্ত্রী উপমার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ফিরোজ গলায় গুলি চালায়। ফিরোজের স্ত্রী উপমাও পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ‘মাদকের টাকা না পেয়ে’ যুবকের আত্মহত্যা