আত্মহত্যা
লালবাগে তিন তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
রাজধানীর লালবাগে তৃতীয় তলার ছাদ থেকে পড়ে নাসরিন আক্তার (৪০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে লালবাগ ৮ নং গলিতে এ ঘটনা ঘটে।
স্বজনদের ধারণা, মানসিক অবসাদগ্রস্ততা থেকেই নাসরিন ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত নাসরিন মো. জাফরের স্ত্রী। জাফর নিলক্ষেত পেট্রোল পাম্পে চাকরি করেন। লালবাগ ৮ নং গলিতে নিজস্ব তিন তলা ভবনের তৃতীয় তলায় স্বামীর সাথে নাসরিন থাকতেন।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার আত্মহত্যার খবরে ভবন থেকে লাফ দিলেন প্রেমিক
স্বজনরা জানায়, ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা নিরিক্ষার পর বিকাল সোয়া চারটায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মো. জাফর জানান, ঘটনার সময় তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় নাসরিন ছাদ থেকে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিষপানে কুড়িগ্রামে স্কুলশিক্ষিকার ‘আত্মহত্যা’
তিনি বলেন, নাসরিন বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিল। সে করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। তার মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ডাক্তারও দেখিয়েছি। সে বলতো আমি বাঁচবো না, মরে যাবো।
নিহত নাসরিনের আরেক আত্মীয় জানিয়েছেন, তিনি শান্ত প্রকৃতির ছিলেন। সব সময় হাসিখুশি থাকতেন। ১৯ বছরের সংসার জীবনে তাদের কোন সন্তান না হওয়ায়, অনেকে অনেক কথা বলতো, এ নিয়ে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তার ধারণা, হয়তো নাসরিন নিজেই ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল খাঁন। তিনি বলেন, গৃহবধূর লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে শাবিপ্রবি শিক্ষকের আত্মহত্যা
ওরা আর কখনো শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ফিরবে না
করোনার দীর্ঘ ছুটি শেষে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো৷ এরই ধারাবাহিকতায় খুলে যাচ্ছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও ক্যাম্পাসে আর ফিরবেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী তোরাবি বিনতে হক, একই বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের আছিয়া আকতার, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের তৌহিদুল আলম প্রত্যয় ও রসায়ন বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ। তোরাবি বিনতে হক, আছিয়া আকতার, তৌহিদুল আলম প্রত্যয় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা এবং সাব্বির আহমেদ সড়ক দুর্ঘটনায় পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে।
তাই ক্যাম্পাস খুললেও সহপাঠীদের আর বসা হবে না তাদের সাথে। করা হবে না খুনসুটি, ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে দুষ্টুমি।
মৃত তোরাবি বিনতে হক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি নেত্রোকোণা জেলার চল্লিশা ইউনিয়নের মোগরাটিয়া গ্রামে। ২০২০ সালের ৬ আগস্ট নেত্রকোণা পৌরসভার কাটলি এলাকায় নিজকক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। সেসময় পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় পড়াশোনা নিয়ে কথা বলায় মন খারাপ করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তোরাবি।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও তোরাবি বিনতে হকের সহপাঠী জিষ্ণু চক্রবর্তী বলেন, সদা হাস্যোজ্জ্বল ও উদার মনের বন্ধু তোরাবির অকাল মৃত্যু আমাদের জন্য সত্যিই বেদনাদায়ক। কোনো শিক্ষার্থীরই এভাবে অকালে চলে যাওয়া কারো কাম্য নয়৷ সকলের পদচারণায় ক্যাম্পাস মুখরিত হলেও তোরাবিকে আমাদের বারবার মনে পড়বে, তার শূণ্যতা আমাদের স্মৃতিকাতর করে তুলবে।
আরও পড়ুন: দেড় বছর পর হলে ফিরলেন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
বাংলা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আছিয়া আকতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ বর্ষের ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ দেখার সুযোগ হয়েছিল মাত্র দেড়মাস। এরই মধ্যে শুরু হয় করোনাকালীন শিক্ষাছুটি। ২০২০ সালের ১ অক্টোবর তোরাবির মতো আছিয়া আকতারও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন নিজ বাড়িতেই।
তার বাড়ি বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়নের মথুরা গ্রামে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির নিজ এলাকায় সম্পর্ক ছিল। আর এই সম্পর্কের জের ধরেই ২০২০ সালের ১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ফজর নামাজের আগে ঘরের বারান্দায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আছিয়া আকতারের সহপাঠী বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা আকতার জানান, প্রতিটি মৃত্যুই অপ্রত্যাশিত। আর তা যদি সদা হাস্যোজ্বল কোনো বন্ধুর আত্মহত্যা হয় তাহলে সে কষ্টের পরিমাপ করা প্রায় অসম্ভব। আত্মার সম্পর্কের নাম বন্ধুত্ব। একটি ব্যাচে কিংবা একটি শিক্ষাঙ্গনে আমরা সবাই একে অপরের সাথে এক গভীর মমত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। আর এই বন্ধন থেকে সদা চঞ্চল, মিষ্টভাষী, প্রিয়মুখ আছিয়া যখন নিয়তির নির্মম পরিহাসে ছিন্ন হয়ে গেলো তখন শত শত মানুষের পদচারণায় চারপাশ মুখরিত থাকলেও আছিয়ার অভাব, তার অনুপস্থিতি আমাদের প্রত্যেকের অন্তরকে করে তুলবে গভীরভাবে স্মৃতিকাতর ও শোকাবহ।
তিনি বলেন, তার এই অকাল প্রয়াণ আমাদের মধ্যে যে গভীর শূন্যতা তৈরি করেছে তা আর কোনোভাবেই পূরণীয় নয়। জীবনের চরম অসহায় অবস্থাতেও যেন আমরা হাল না ছেড়ে দিই, আর কোনো আছিয়াকে যেন আমাদের হারাতে না হয়, এটাই আমাদের কাম্য।
এদিকে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের তৌহিদুল আলম প্রত্যয়। মৃত তৌহিদুল আলম প্রত্যয় মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার এস.এম জাহিদুল আলমের সন্তান। জানা যায়, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালের সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী নতুনবাজার এলাকার স্বপ্নীল সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলার একটি মেসের ৬ নম্বর কক্ষে জানালার গ্রিলের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে প্রত্যয়ের আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়। পরবর্তীতে প্রক্টরিয়ালবডির উপস্থিতিতে মৃত প্রত্যয়ের লাশ জালালাবাদ থানা পুলিশ উদ্ধার করে।
এছাড়াও চলতি বছরের ৫ মে রসায়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। সিলেট নগরীর সুবিদবাজার পয়েন্টে মোটরসাইকেলযোগে আসামাত্র পেছন থেকে একটি ট্রাক তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এ সময় সাব্বির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলসহ নিয়ে নিচে পড়ে যান। এতে মাথায় গুরুতর আঘাতের ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
শাবিপ্রবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড.আলমগীর কবীর বলেন, এই অসময়ে আমাদের এই মেধাবী শিক্ষার্থীরা চলে যাবে তা আমাদের খুবই মর্মাহত করে। তবে এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান থাকবে ভবিষ্যতে এইধরনের দুর্ঘটনা যাতে না হয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার সর্বত্র শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। শিক্ষার্থীদের মানসিকসহ যে কোনো সমস্যা, পরামর্শ নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে আমাদের দরজা সবসময় খোলা।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নতুন ইতিহাস তৈরি হল: শাবিপ্রবি উপাচার্য
শাবিপ্রবিকে ‘শতভাগ ডিজিটাল’ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করব: উপাচার্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ বলেন, খুবই মর্মাহত হই যে, এই সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীরা অকালে ঝড়ে গেছে। যারা একদিন দেশের নেতৃত্ব দেবে, তারা এভাবে ঝরে যাবে তা মানতে কষ্টকর। আমরা চাই না আর কোনো সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীরা কোনো এরূপ ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক।
তিনি আরও বলেন, করোনাকালীন দীর্ঘ ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে। অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়বেই। শিক্ষার্থীরা কোনো ভুল সিদ্ধান্ত না নিয়ে সরাসরি আমাদের কাছে চলে আসার আহ্বান জানাবো। আমাদের ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টার অধীনে কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট আছেন। যেকোনো মানসিক সমস্যায় সর্বত্র সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া হবে শিক্ষার্থীদের প্রতি। আমরা চাই প্রতিটা শিক্ষার্থী মানসিক সুস্থতার মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবন পার করে তাদের ভবিষ্যত জীবনেও সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক।
উল্লেখ্য, এই চার শিক্ষার্থী ছাড়াও চলতি বছরের ৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ বর্ষের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আলমগীর কবির সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন এবং ১৬ অক্টোবর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান দেশের বাইরে উচ্চ শিক্ষার জন্য পড়াশোনা করতে গিয়ে আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনাগুলো শাবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে হৃদয় বিদারক পরিবেশ তৈরি করেছে।
সিলেটে বিষপানে যুবকের আত্মহত্যা!
সিলেটের বিশ্বনাথে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে অভিমান করে কীটনাশক পান করে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার সকাল ৭টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত জুনেদ আহমদ (৩০) উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের চাঁন্দভরাং পুরানগাঁও গ্রামের মৃত আঙ্গুর মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পরিবারের লোকজনের সঙ্গে অভিমান করে সোমবার রাত ১টায় কীটনাশক পান করেন তিনি। এ সময় বমির শব্দ শুনে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে মঙ্গলবার সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিষপানে নারীর ‘আত্মহত্যা’
প্রেমিকার আত্মহত্যার খবরে ভবন থেকে লাফ দিলেন প্রেমিক
‘আমার লাশ যেন ময়নাতদন্ত না হয়’, চিরকুট লিখে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
মাগুরায় বিষপানে নারীর ‘আত্মহত্যা’
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় এক নারী বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দীঘা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খাদিজা বেগম (২৬) ওই গ্রামের কেরামত আলীর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিষপানে কুড়িগ্রামে স্কুলশিক্ষিকার ‘আত্মহত্যা’
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির হোসেন জানান, স্বামীর সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে ওই নারী স্বামীর বাড়িতে বিষপান করে আত্মহত্যা করে। এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সন্তানদের নিয়ে বিষপান, মা-ছেলের মৃত্যু
প্রেমিকার আত্মহত্যার খবরে ভবন থেকে লাফ দিলেন প্রেমিক
বগুড়ায় প্রেমিকের সাথে ঝগড়া করে প্রেমিকা আত্মহত্যা পর হাসপাতালে চতুর্থতলা থেকে লাফিয়ে প্রেমিকও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রেমিকা নাহিদা খাতুন (১৮) জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার রায়কালী গ্রামের আক্তার হোসেন বাবুর মেয়ে ও বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তিনি বগুড়া শহরের বৃন্দাবন পাড়ায় সানজিদা ছাত্রী নিবাসে থেকে লেখাপড়া করতেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: আত্মহত্যা চেষ্টাকারী তরুণী উদ্ধার
আহত প্রেমিক জাকারিয়া হাসান (২০) কুষ্টিয়া জেলা সদরের দহকুলা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ, বেশ কিছুদিন আগে ফেসবুকে তাদের দু’জনের পরিচয় হয়। একপর্যায় তা প্রেমের সস্পর্কে রুপ নেয়। প্রেমিক জাকারিয়া হাসান রবিবার কুষ্টিয়া থেকে বগুড়ায় এসে প্রেমিকা নাহিদার সাথে দেখা করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে নাহিদা ছাত্রী নিবাসে ফিরে গিয়ে মনের ক্ষোভে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে এবং অসুস্থ হয়ে পড়লে বান্ধবীরা তাকে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যান। এই খবরে প্রেমিক জাকারিয়া হাসপাতালে ছুটে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নাহিদা মারা যান। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের চতুর্থতলা থেকে জাকারিয়া লাফ দেন। খবর পেয়ে মেডিকেল ফাঁড়ি পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ বন্ধুর ফোন: আত্মহত্যা চেষ্টাকারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি
তিনি জানান, জাকারিয়া দুই পায়ের হাঁটু ভেঙে যাওয়া ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।
বিষপানে কুড়িগ্রামে স্কুলশিক্ষিকার ‘আত্মহত্যা’
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় বিষপান করে এক স্কুলশিক্ষিকার আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের মধ্য ভরতের ছড়া গ্রামে রবিবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত হুরুন্নেছা বেগম শিল্পী (৩৯) উপজেলার মধ্য ভরতেরছড়া বিএসসি মোড় এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও সোনাহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: বিষ পান করা ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি
স্থানীয়দের বরাতে বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী মোল্লা জানান, প্রায় ২২ বছর আগে উপজেলার গছিডাঙ্গা দলবাড়ী কুড়ারপাড় গ্রামের মো. হাছেন আলী মাস্টারের মেয়ে হুরুন্নেছা শিল্পী সাথে বিএসসি মোড়ের আনোয়ার মাস্টারের ছেলে রফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বেশ কয়েকদিন থেকে স্বামী রফিকুল ইসলামের সাথে স্কুলশিক্ষিকা হুরুন্নেছা বেগম শিল্পীর প্রায়ই ঝগড়া হতো। পারিবারিক এই কলহের জের ধরে সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে স্বামীর সাথে অভিমান করে ঘরে থাকা ইঁদুর মারা বিষপান করেন তিনি। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথেই তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: ‘আমার লাশ যেন ময়নাতদন্ত না হয়’, চিরকুট লিখে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, জেনেছি ওই স্কুলশিক্ষিকা বিষ খেয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিস্তারিত জানানো যাবে।’
যুক্তরাষ্ট্রে শাবিপ্রবি শিক্ষকের আত্মহত্যা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আত্মহত্যা করেছেন।
শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০ টায় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় তিনি আত্মহত্যা করেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আলমগীর কবির।
নিহত মাহফুজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায়। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে শাবিপ্রবির শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে চলতি বছরের আগস্টে উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পাড়ি জমান তিনি।
প্রক্টর ড. আলমগীর কবির বলেন,‘মাহফুজুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডিতে অধ্যয়নরত ছিলেন। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখন বলা যাচ্ছে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।
আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে আত্মহত্যার চেষ্টা করা গৃহবধূর মৃত্যু
‘আমার লাশ যেন ময়নাতদন্ত না হয়’, চিরকুট লিখে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
গাজীপুরে মেয়েসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মায়ের আত্মহত্যা
চট্টগ্রামে মা ও দুই সন্তানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানার মোহাম্মদপুরের একটি আবাসিক এলাকার বাসা থেকে মা ও দুই সন্তানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত সুমিতার স্বামী সোহেল রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকালে ৯ টার দিকে স্থানীয় ইসমাইল কলোনির এস এস হাউজ নামে ওই আবাসিক এলাকার চারতলার একটি বাসা থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।নিহতরা হলেন, মা সুমিতা খাতুন এবং তার দুই সন্তান জান্নাত মুন (৭)ও আড়াই বছরের ছেলে শান। তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার খোকসা গ্রামে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধারপাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একটি বাসা থেকে তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, পুলিশ ভোরে গিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে লাশগুলো দেখতে পায়। এর মধ্যে সুমিতা ও শিশু শানের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এবং পাশেই বিছানায় পড়ে ছিল মেয়ে জান্নাতের নিথর দেহ।
আরও পড়ুন: বোয়ালখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধারনিহতের স্বামী সোহেল জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তিনি কাজ শেষে ফিরে দেখেন, দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে তিনি আত্মীয়-প্রতিবেশীদের খবর দেন। সারা রাত ধরে সবাই চেষ্টা করেও ভেতর থেকে সাড়া পাননি। এরপর পুলিশে খবর দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, লাশগুলোর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হবে। নিহত নারীর স্বামী বলছে তারা আত্মহত্যা করেছ। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পুকুর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে আত্মহত্যার চেষ্টা করা গৃহবধূর মৃত্যু
পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে আট অক্টোবর আত্মহত্যার চেষ্টা করা ১৭ বছর বয়সী গর্ভবতী কিশোরী বৃহস্পতিবার এক মৃত শিশুর জন্ম দেয়ার পর মৃত্যুবরণ করেছে।
নেত্রকোনার রহিমপুর গ্রামের আরিফুল ইসলামের মেয়ে সুরাইয়া নেওয়াজ লাবণ্য ঢাকার শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার পার্থ শঙ্কর পাল।
তিনি আরও জানান, এর আগে সকাল সাতটায় সুরাইয়া এক মৃত মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
আরও পড়ুন: স্বামীর লাথিতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু!
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আইয়ুব হোসেন বলেন, ছয় মাসের গর্ভবতী কিশোরীর শরীরের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিলো কেননা তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।এই কারণে তার সন্তান জন্মের আগেই তার গর্ভে মারা যায়।
সুরাইয়ার বাবা আরিফুল জানান, গত বছর ২ অক্টোবর তিনি তার মেয়েকে ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার প্রাইভেটকার চালক শাহিন আলমের সঙ্গে বিয়ে দেন যার সঙ্গে সুরাইয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
যেহেতু, সুরাইয়া ময়মনসিংহে তার শ্বশুরবাড়ির সাথে থাকত কিছুদিন পর তারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। তারা ব্যবসার জন্য যৌতুক হিসেবে দুই লাখ টাকা দাবি করে।
আরও পড়ুন: কোলের শিশুসহ ট্রেনের নিচে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা
১ আগস্ট, আরিফুল ময়মনসিংহ গিয়ে সুরাইয়াকে অসুস্থ দেখলে তাকে তার সাথে নেত্রকোণায় ফিরিয়ে আনেন।
তার পরেও তার স্বামী শাহিন তাকে প্রায়ই ফোনে গালিগালাজ করত।৮ অক্টোবর এক পর্যায়ে সুরাইয়া তার বাবার বাড়ির রান্নাঘরে পেট্রোল ঢেলে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সুরাইয়ার কান্না শুনে তার দাদী তাকে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পরের দিন তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে শেখ হাসিনা প্লাস্টিক অ্যান্ড বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
সুরাইয়ার বাবা দাবি করেছেন সুরাইয়ার স্বামী এবং তার পরিবার তার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী। আরিফুল ইসলাম জানান, তিনি সুরাইয়ার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করবেন।
আরও পড়ুন: চাটখিলে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, সুরাইয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
‘আমার লাশ যেন ময়নাতদন্ত না হয়’, চিরকুট লিখে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
আমার লাশ যেন পোস্টমর্টেম (ময়নাতদন্ত) করা না হয়। সবাই আমার জানাজাতে শরীক হবেন।’ মৃত্যুর আগে নিজের খাতায় কথাগুলো লিখে ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে ফারহানা (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের পানিঘাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা, আটক মা
মৃত ফারহানা পলাশবাড়ি ইউনিয়নের মন্ডলগাতি গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে এবং আলহাজ্ব কাজী আব্দুল ওয়াহেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
নহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবির বলেন, খাতায় একটি লেখা পাওয়া গেলেও তদন্তের জন্য ফরহানার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় অপমৃত মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার খরচ জোগাতে না পেরে ‘আত্মহত্যা’!
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির হোসের জানান, নানির সাথে কথাকাটাকাটি হওয়ায় অভিমান করে ফারহানা। পরে নিজ ঘরে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। ঘটনার সময় বাড়ির অন্য সবাই কাজের জন্য বাইরে ছিল।