আত্মহত্যা
‘আমার লাশ যেন ময়নাতদন্ত না হয়’, চিরকুট লিখে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
আমার লাশ যেন পোস্টমর্টেম (ময়নাতদন্ত) করা না হয়। সবাই আমার জানাজাতে শরীক হবেন।’ মৃত্যুর আগে নিজের খাতায় কথাগুলো লিখে ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে ফারহানা (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের পানিঘাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা, আটক মা
মৃত ফারহানা পলাশবাড়ি ইউনিয়নের মন্ডলগাতি গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে এবং আলহাজ্ব কাজী আব্দুল ওয়াহেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
নহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবির বলেন, খাতায় একটি লেখা পাওয়া গেলেও তদন্তের জন্য ফরহানার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় অপমৃত মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার খরচ জোগাতে না পেরে ‘আত্মহত্যা’!
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির হোসের জানান, নানির সাথে কথাকাটাকাটি হওয়ায় অভিমান করে ফারহানা। পরে নিজ ঘরে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। ঘটনার সময় বাড়ির অন্য সবাই কাজের জন্য বাইরে ছিল।
পূজায় নতুন কাপড় না পেয়ে কলেজছাত্রের আত্মহত্যা!
দুর্গা পুজায় নতুন শার্ট প্যান্ট না পেয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে কলেজছাত্র কনক চন্দ্র (১৮)। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের ছোট কঞ্চি গ্রামে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ছোট কঞ্চি গ্রামের খগেন চন্দ্র দিন মজুরের কাজ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি ছেলে- মেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোগান। বড় মেয়ে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্রী এবং একমাত্র ছেলে কনক স্থানীয় হাটকড়ই ডিগ্রী কলেজ থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী। আর্থিক অনটনের কারণে সোমবার থেকে শুরু হওয়া শারদীয় দুর্গা পূজায় ছেলে কনককে নতুন শার্ট প্যান্ট কেনার টাকা দিতে পারেন নি। সেই অভিমানে মঙ্গলবার ঘরের তীরের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস দেয় কনক। বাড়ির লোকজন দড়ি কেটে কনককে নামালেও ততক্ষণে মারা যায় সে।
নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোর্শেদুল বারী ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোলের শিশুসহ ট্রেনের নিচে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা
প্রেমিকাকে বাড়িতে ডেকে হত্যার পর প্রেমিকের ‘আত্মহত্যা’
রৌমারীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
কোলের শিশুসহ ট্রেনের নিচে গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা
পঞ্চগড়ে কোলের শিশুসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক গৃহবধূ। আহতাবস্থায় শিশুসহ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (৯ অক্টোবর) পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনের পাশে কমলাপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
গৃহবধূ লায়লার (২৬) বাড়ি জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার এলাকায়। সে ওই এলাকার উমেদ আলীর স্ত্রী।
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয়রা জানায়, স্বামীর সাথে মোবাইলে ঝগড়া করতে করতে আড়াই মাস বয়সী কোলের শিশুকে নিয়ে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন লায়লা। ট্রেনটি ছাড়ার মাত্র তিন মিনিটের মাথায় ঘটনাটি ঘটনায় আকস্মিক ট্রেনটি থামিয়ে দেন ট্রেনের চালক। তারপরও ট্রেনে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর আহত হন ওই গৃহবধূ। এসময় কোলে থাকা শিশু বেবীও রেল লাইনের উপর ছিটকে পড়ে আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহত শিশু বেবীসহ ওই গৃহবধূকে কমলাপুর রেললাইন থেকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা, আটক মা
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক আল আমিন খান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশনের সহকারি স্টেশন মাস্টার মো. নাজমুল হোসেন জানান, পঞ্চগড় স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার তিন মিনিটের মধ্যেই এমন ঘটনাটি ঘটে। পরে চালক দ্রুতই ট্রেনটিকে থামিয়ে ফেলেন। এময় ট্রেনের স্পিড (গতি) কম ছিল এজন্য থামানো সম্ভব হয়েছে। তারপরও ওই নারী ট্রেনের ইঞ্জিন এসে ধাক্কা খান। পরে আমরা স্থানীয় লোকজনকে ডাকলে তাঁরা এসে ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ওই গৃহবধূর সঙ্গে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে তাঁর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে তাঁর স্বামীসহ স্বজনেরা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে আসে। তার স্বামীসহ স্বজনেরা তাকে নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উদ্দ্যেশে যায়। তবে স্বামীর সঙ্গেই ঝগড়া-ঝাঁটি করে অভিমানে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে বাড়িতে ডেকে হত্যার পর প্রেমিকের ‘আত্মহত্যা’
পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
পঞ্চগড়ে পুকুর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার একটি পুকুর থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। বুধবার জেলার সাতমেরা ইউনিয়নের জোতহাসনা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রোকেয়া বেগম (২৫) ওই গ্রামের এরশাদ হোসেনের স্ত্রী। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জননী। মৃত্যুটি রহস্যজনক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিহতের স্বামী এরশাদ হোসেনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান খান জানান, এরশাদ হোসেনের বাড়ির পাশের পুকুরে প্রতিবেশী এক নারী রোকেয়ার লাশ দেখতে পায়। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। এলাকাবাসী বিষয়টি আমাদেরকে ও পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে পঞ্চগড় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ কবির ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের বাবা রবিউল ইসলাম জানান, মেয়ে রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে, কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ভোরবেলা জামাই ফোন করেছিল। এলাকায় এসে জানলাম রাতে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে হোটেল থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যা না হত্যা তা জানার পর বা অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রৌমারীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে চলতি বছরের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ছাটকড়াইবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিরিনা আক্তার (১৮) ছাটকড়াইবাড়ী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে ও দাঁতভাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা, আটক মা
স্থানীয়রা জানায়, এইচএসসি পরীক্ষার্থী শিরিনা আক্তারের সাথে একই গ্রামের রৌমারী সরকারি কলেজের দপ্তরি শাজাহান আলীর ছেলে নাহিদ হাসানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের এই সম্পর্কের কথা জানতে পেয়ে শিরিনার বাবা তাকে বকাবকি করেন। এতে অভিমান করে তিনি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আত্মহত্যা করে। ঘটনার পর থেকে তার প্রেমিক নাহিদ ও পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে রৌমারী থানায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ্ জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোন অভিযোগ করেননি।
ওসি জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার খরচ জোগাতে না পেরে ‘আত্মহত্যা’!
চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এক মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফদের সামনে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়া এবং আত্মঘাতী হওয়ার মতো এ ধরনের আইনবহির্ভূত শাস্তি দেওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন, সহকারী শিক্ষক রাজিব অধিকারী ও জান্নাতুল ফেরদৌস মুনের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে এবং আইনবহির্ভূত শাস্তির শিকার ১৪ শিক্ষার্থীকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া দেশের যেকোনো শিক্ষাঙ্গনে এ ধরনের নিপীড়ন ও নির্যাতনমূলক ঘটনা প্রতিরোধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জন্য একটি আচরণবিধি প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: জোরপূর্বক চুল কাটার প্রতিবাদে চলছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন, সহকারী শিক্ষক রাজিব অধিকারী ও জান্নাতুল ফেরদৌস মুন, সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। এর আগে বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কাউছার ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চুল কেটে দেয়া সেই শিক্ষিকার পদত্যাগ, তদন্ত কমিটি গঠন
আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে, যা শুধু বেআইনি নয় শিক্ষার্থীদের প্রতি চরম অবমাননাকর। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে একজন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। ভাগ্যক্রমে তিনি এখনো বেঁচে আছেন। তাই আমরা রিট করেছি।
এদিকে শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। এ ঘটনায় পাচঁ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ে ফাইনাল পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় অন্তত ১৩/১৪ জন শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। চুল কেটে দেওয়ায় অপমান সহ্য করতে না পেরে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে নাজমুল হাসান তুহিন এক ছাত্র অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে জামিন পেলেন ঝুমন দাস
তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে ছাত্রদের দীর্ঘ বৈঠক হয় এবং প্রশাসনিক ভবন খুলে দেওয়া হয়। তবে ওই শিক্ষক ঘটনাটি সাজানো বলে গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছেন।
পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)’র এক শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ছাত্রাবাস থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।মৃত শিক্ষার্থীর নাম তাহমিদুর রহমান জামিল (২২)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহীবাগ এলাকার বজলার রহমানের ছেলে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন জামিল।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে কুপিয়ে স্বামীর বিষপানে আত্মহত্যা!সহপাঠীদের বরাত দিয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, শহরের শালগাড়িয়া মেরিল বাইপাস এলাকার সাফল্য ছাত্রাবাসে থাকতেন শিক্ষার্থী তাহমিদুর রহমান জামিল। পারিবারিক কোনো একটি বিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তার সাড়া শব্দ না পেয়ে কক্ষের দরজা খুলে তাকে ঝুলতে দেখে থানায় খবর দেন তার সহপাঠীরা। পরে পুলিশ গিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।ওসি আমিনুল বলেন, তার কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে ‘মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন তিনি। হতাশা পেয়ে বসেছে তাকে। কোনো কিছুতে স্বস্তি পাচ্ছেন না। বাবা-মা ক্ষমা করো। গুড বাই।’ এরকম কিছু কথা লিখে গেছেন। এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তারপরও ময়না তদন্ত করা হবে।
পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শিশু সন্তানকে হত্যার পর মায়ের ‘আত্মহত্যা’
স্ত্রীকে কুপিয়ে স্বামীর বিষপানে আত্মহত্যা!
নাটোরে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করার পর বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী হাসান আলী। বুধবার দুপুরে জেলার সদর উপজেলার ঋষি নওগাঁ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে কৃষক হাসান আলী সকালে দা দিয়ে তার স্ত্রী রাশিদা বেগম রাসুকে কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে প্রতিবেশীরা গিয়ে রাশিদাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে রাশিদার অবস্থার অবনতি হলে আশংকাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শিশু সন্তানকে হত্যার পর মায়ের ‘আত্মহত্যা’
এদিকে দুপুরে এলাকার একটি শিমুল বাগানে স্বামী হাসান আলীকে বিষের বোতলসহ অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন তাকেও উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসানের মৃত্যু হয়।
আনভীরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদনের ওপর শুনানি ১০ অক্টোবর
আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদনের ওপর শুনানির দিন ১০ অক্টোবর ধার্য করা হয়েছে। রবিবার ঢাকার একটি আদালত এই দিন ধার্য করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়ের করা আবেদনের ওপর শুনানির পর ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা এই তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর আগে, ২৮ এপ্রিল একটি আদালত বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়ার মৃত্যু: বসুন্ধরার এমডিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা
২৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশান এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বসুন্ধরা আনভীরের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার জন্য একটি মামলা দায়ের করেন।
১৮ আগস্ট, একটি নিম্ন আদালত পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আনভীরকে অব্যাহতি দেন। কলেজছাত্রী মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাই মামলার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: গুলশানে তরুণী নিহত: বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে মামলা
কিন্তু গত ৬ সেপ্টেম্বর মুনিয়ার বোন হত্যার অভিযোগ করে একটি নতুন মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় শুধু আনভীর নয়, তাঁর স্ত্রী এবং বাবা -মা -সহ মোট আটজনকে অভিযুক্ত করেন। দীর্ঘ-বিলম্বিত ডিএনএ ফলাফলসহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ময়না তদন্তের প্রতিবেদন ব্যবহার করে, হত্যার আগে ধর্ষণের অভিযোগও করা হয়।
চিকিৎসার খরচ জোগাতে না পেরে ‘আত্মহত্যা’!
চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসার খরচ জোগাতে না পেরে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। পৌর এলাকার সুমিরদিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে সোমাবার তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সাইফুল ইসলাম (৪৫) সুমিরদিয়া গ্রামের কলোনি পাড়ার মৃত খেলাফত শেখের ছেলে। তিনি পেশায় আলমসাধু চালক ছিলেন।
আরও পড়ুন: সন্তানদের কাছে লাঞ্ছিত হয়ে বাবার ‘আত্মহত্যা’!
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, ১৫ দিন আগে নিজের আলমসাধু দুর্ঘটনায় দুই পা ভেঙে যায় সাইফুলের। অভাব অনটনের কারণে পায়ের চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না তিনি। সোমাবার বাড়িতে কেউ না থাকায় ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ায় মামলা
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান সাইফুল। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওসি জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। নিহতের পরিবারের লোকজনের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে আত্মহত্যার স্ট্যাটাস, বাসায় হাজির পুলিশ