ট্রলারডুবি
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: আরও ৩ জেলের মরদেহ উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক চ্যানেলে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও তিন জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মহেশখালী চ্যানেল থেকে রবিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাদের মরদেহ ভাসতে দেখে জেলেরা। পরে স্বজনরা কোস্ট গার্ডের সহায়তায় মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে। এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
নিহতরা হলেন, হোসেন আহমদ, আজিজুল হক ও মোহাম্মদ আবছার। হোসেন ও আবছারের বাড়ি সদর উপজেলার খুরুশকুলের পূর্ব হামজার ডেইল এলাকায় এবং আজিজুলের বাড়ি একই ইউনিয়নের মামুনপাড়ায়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সেলিম উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের কক্সবাজার স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার বিকালে নাজিরারটেক চ্যানেলে ডুবে যায় এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি ফিশিং ট্রলার। ট্রলারের ১৯ জেলের মধ্যে আটজনকে জীবিত উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড। অন্য ট্রলারে তীরে ফেরে আরও তিনজন।
নিখোঁজ আটজনের মধ্যে শনিবার তৈয়ব ও সাইফুল নামে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকি ছয়জনের মধ্যে আজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
কক্সবাজারে ট্রলারডুবি: ২ জেলের লাশ উদ্ধার
নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তালের কারণে কক্সবাবজার নাজিরারটেক চ্যানেলে ট্রলারডুবির ঘটনায় দুই জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকাল ও সন্ধ্যার দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে কোস্টগার্ডের সদস্যরা দুই জেলের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন- মোহাম্মদ আবু তৈয়ব ও সাইফুল ইসলাম। তারা কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড পূর্বজোনের কক্সবাজার স্টেশনের কন্টিজেন্ট কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার বিকালে নাজিরারটেক চ্যানেলে ডুবে যায় এফবি মায়ের দোয়া নামে একটি ফিশিংট্রলার। ট্রলারে থাকা ১৯ জেলের মধ্যে ৮ জনকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। অন্য ট্রলারে করে কুলে ফিরে আরও তিন জন। বাকি নিখোঁজ আট জনের মধ্যে তৈয়ব ও সাইফুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘ টনায় এখনও ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারডুবি: ১৭ জেলে উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারডুবি: ১৭ জেলে উদ্ধার
ঝড়ের কবলে পড়ে ভোলার লালমোহন উপজেলার ৬০ জন জেলেসহ মাছ ধরার চারটি ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও ১৭ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকালে উদ্ধার হওয়া ওই জেলেদের চালনাবয়া এলাকা থেকে অন্য একটি ট্রলার ‘এফবি সাগরকন্যা’ মহিপুরে নিয়ে আসে। তবে এখনও ৩০ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
জানা যায়, উদ্ধার হওয়া এই ১৭ জেলেই কক্সবাজারের ‘এফবি আমজাদ’ নামক ট্রলারের। বঙ্গোপসাগরের চালনার বয়া এলাকা থেকে ঢেউয়ের তোড়ে তাদের ট্রলারের তলা ফেটে তারা ডুবে যায়।
এর আগে শুক্রবার রাতে বঙ্গোপসাগরে কক্সবাজার ফিশিং গ্রাউন্ড পয়েন্টে ৬০ জন জেলেসহ চারটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। এসময় ১৩ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগর উত্তাল: নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরছেন জেলেরা
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লালমোহন বাতির খাল এলাকার হারুন অর রশিদ ফারুকে এফভি লামিয়া, লর্ডহার্ডিঞ্জ বুড়িরধোন এলাকার নূরুউদ্দিন মাঝির ট্রলার ও গাইট্টা এলাকার নাজিম উদ্দিন মাঝির ট্রলারসহ আরও একটি ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
লালমোহনে উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা তানভির আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারে ৬০জন মাঝি-মাল্লা ছিলেন। এদের মধ্যে ১৩ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পরে খবর নিয়ে উদ্ধার হওয়া জেলেদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ জেলেদের সন্ধান চলছে।
ডুবে যাওয়া বাতির খাল এলাকার এফভি লামিয়া নামের একটি ট্রলারের মালিক হারুন অর রশিদ ফারুক জানান, গত ১৭ আগস্ট দুপুরে বাতিরখাল ঘাট থেকে ১৩ জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে গভীর সমুদ্রে যায় তার ট্রলার। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে বোটটি হঠাৎ গভীর সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। জেলেদের সন্ধান না পেলেও শনিবার সকালে সুন্দরবন এলাকা থেকে ফোনে জানতে পারেন, অন্য দুটি বোটে আট জন জেলে উদ্ধার হয়েছে। তারা সুন্দরবন এলাকায় আছে। বাকী পাঁচজনের এখনও কোন সন্ধান পাননি বলে জানান এই ট্রলার মালিক।
তার ট্রলারের নিখোঁজ জেলেরা হলেন- আব্দুল মোতালেব, আবুল কালাম, আরিফ, নিরব ও মাকসুদ।
অপর দিকে লালমোহনের লর্ডহার্ডিঞ্জ এলাকার বাকি তিনটি ডুবে যাওয়া ট্রলারের পাঁচজন উদ্ধার হওয়ার পর নোয়াখালীর হাতিয়ায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে অন্তত ১৬০ জেলেসহ ১১টি মাছধরার ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনও ৩৪ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে এই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-এফবি রফিক মিঝি ট্রলার মালিক রফিক মিঝি (৬০) এবং মোহাম্মদ (৩) ট্রলারের জেলে বাবুল (৩৫)।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো মধ্যে এমবি মা-মনি (৩), এফবি সাইফুল, এফবি আল মামুন, এফবি কুলসুম, এফবি রফিক মিঝি, এফবি নুরবানু ও এফবি মায়ের দোয়া রয়েছে। এছাড়া নামবিহীন ভোলার চরফ্যাশনের একটি, গলাচিপার পানপট্রির একটি, কলাপাড়ার লালুয়ার একটি ও বরগুনার নাপিতা এলাকার একটি রয়েছে।
আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগর উত্তাল: নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরছেন জেলেরা
মহিপুর আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা জানান, নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন ও আলীপুর মৎস্য বন্দর এলাকায়।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, সাগরের অস্বাভাবিক ঢেউ এবং ঝড়ের কবলে পরে তাদের ট্রলারগুলো ডুবে যায়। এসময় পাশে থাকা অন্য ট্রলারের মাধ্যমে অন্তত ১২৬ জেলে উদ্ধার হলেও ৩৪ জেলে নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে নিখোঁজ ১৪ জেলে এফবি কুলসুম ট্রলারে ছিল। আর ১৮ জেলে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের এবং এফবি রফিক মিঝি ট্রলার ও মোহাম্মদ (৩) ট্রলারের একজন করে রয়েছে।
উদ্ধারকৃত জেলেরা কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাপাতাল ও মহিপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
নিজামপুর কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার সেলিম মন্ডল জানান, সাগরে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। আমাদের টহল টিম সাগরে রয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার নাজিরারটেক চ্যানেলে ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনায় ১১ জেলে নিখোঁজ এবং আট জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে সাগর থেকে ফেরার পথে উত্তাল ঢেউয়ের মুখে পড়ে খুরুশকুলের জাকির হোসেনের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া ফিশিং ট্রলাটি ১৯ জন জেলে নিয়ে ডুবে যায়।
কোস্টগার্ড জানান, বোট ডুবির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতায় নামে কোস্টগার্ড। এসময় আট জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি ১১ জনকে উদ্ধারের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলার ডুবি: নিখোঁজ আরেক জেলের লাশ উদ্ধার
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জানে আলম পুতু জানান, আবহাওয়া খারাপ হলে ফিশিং ট্রলারগুলো কূলে ফিরে আসা শুরু করে। শুক্রবারও ফিরে আসার পথে কয়েকটি বোট দুঘর্টনার শিকার হয়।
আজমির ফিশিংয়ের মালিক মো.শওকত ওসমান ফারুক বলেন, ভরা মৌসুমে আবহাওয়া খারাপ থাকায় মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। তার মধ্যে তেল ও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে দুঃশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
হাতিয়ায় ট্রলারডুবিতে ২ জেলের মৃত্যু
নোয়াখালীর হাতিয়ার দমারচর এলাকায় শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ‘এম বি সিরাজ’ নামের মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবে দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ট্রলারে থাকা অপর ১২ জেলেকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছে আরও দুই জেলে।
নিহত জেলেরা হলেন- জাহাজমারা ইউপির আমতলি গ্রামের বাসিন্দা মাইন উদ্দিন ও নতুন সুখচর গ্রামের বাসিন্দা মো. রাফুল।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন- শরীফ ও বেলাল।
স্থানীয় বাসিন্দা জিল্লুর রহমান জানান, ১৬ জন জেলে নিয়ে কয়েকদিন আগে মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে যায় ‘এম বি সিরাজ’- নামের একটি ট্রলার। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত মাছ ধরা শেষ করে শুক্রবার ভোরে ঘাটের উদ্দেশে যাত্রা করে তারা। সকাল ১০টার দিকে তাদের ট্রলারটি নিঝুমদ্বীপ এলাকার বঙ্গোপসাগরের দমারচরে পৌঁছালে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এতে ট্রলারে থাকা ১৬ জেলে সাগরে পড়ে যায়। পরে পাশে থাকা ‘এম বি ইয়ামিন চৌধুরীর’ ট্রলারে ১২ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে। জোয়ারের আঘাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি পাশের একটি চরে গিয়ে আটকা পড়লে লুৎফুল্লাহিল মজিব নিশানের ট্রলারে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলারের ভিতর থেকে মাইন উদ্দিন ও রাফুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
হাতিয়া থানার পরিদর্শক কাঞ্চন কান্তি দাশ বলেন, মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনায় দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, খবর পেয়ে হাতিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আরও দুই জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ২ ট্রলারডুবি, ৮ জেলে নিখোঁজ
বঙ্গোপসাগরে নৌকাডুবি: ২ জেলে নিখোঁজ
বাগেরহাটে কোটি টাকার পণ্য নিয়ে ট্রলারডুবি
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে বিভিন্ন মুদি দোকানের মালামাল নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সন্যাসী বাজার এলাকায় খালে নৌঙ্গর করা অবস্থায় এমভি বলেশ্বর নামে ওই ট্রলার ডুবে যায়।
স্থানীয়রা ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মালামাল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ট্রলারের ম্যানেজার সান্টু মাঝি জানান, বাগেরহাট ও পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন মুদি দোকানের প্রায় কোটি টাকার মালামাল নিয়ে ট্রলারটি বুধবার ভোরে খুলনার বড়বাজার থেকে ছেড়ে আসে। কিছু মালামাল নামাতে সকাল ১০টার দিকে সন্যাসী বাজার এলাকায় নৌঙ্গর করে ট্রলারটি। এসময় হঠাৎ করে এক পাশ কাত হয়ে ট্রলারটি ধীরে ধীরে খালে ডুবে যায়।
তিনি জানান, ট্রলারে দুটি ফ্রিজ, ডিজেল, চাল, ডাল, চিনি, বাদামসহ কোটি টাকা মূল্যোর বিভিন্ন মালামাল রয়েছে। এসব মুদি দোকানের মালামাল বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের সন্যাসী এবং পিরোজপুরের কাউখালী, তুষখালী এবং মঠবাড়িয়া বাজারে নামানোর কথা ছিল।
স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) অনুপ কুমার জানান, ৬০ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন স্টিল বড়ির ওই ট্রলারটি একপাশ কাত হয়ে ডুবে গেছে। স্থানীয় লোকজন ট্রলার থেকে মালামাল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
পড়ুন: মেঘনা চরে ফেরি আটকা, যাত্রীদের উদ্ধার
জাহাজ ও ফেরি ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়াল বিআইডব্লিউটিসি
পান্ডব নদীতে সিমেন্ট বোঝাই ট্রলারডুবি
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পান্ডব নদীতে বৃহস্পতিবার রাতে সিমেন্ট বোঝাই ট্রলার ডুবে গেছে বলে জানিয়েছেন বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন।
ওসি জানান, বরিশাল নগরীর অ্যাংকর সিমেন্ট ফ্যাক্টরি থেকে এক হাজার বস্তা সিমেন্ট নিয়ে ট্রলারটি রওনা হয়েছিল। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ট্রলারটি পান্ডব নদীর উপজেলার আর্শেদের খেয়াঘাট এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতমুখী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলারডুবি, ৩ জেলে নিখোঁজ
বাকেরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান,দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটিতে দুজন যাত্রী ছিল। তারা সাতরে তীরে উঠেছেন। এর মধ্যে একজন সামান্য আহত হয়েছে। তাকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ধনু নদীতে ট্রলারডুবি: নারীর লাশ উদ্ধার, শিশু নিখোঁজ
কিশোরগঞ্জের ইটনার ধনু নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় মহল বেগম (৫০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার এলংজুরী বাজার ঘাটের পাশে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে এ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
নিহত মহল বেগম মিঠামইনের ঢাকী ইউনিয়নের চরপাড়ার মৃত ছালেক মিয়ার স্ত্রী। নিখোঁজ শিশু রহমতুল্লার বয়স তিন বছর। তার বাড়ি ইটনা সদরের চরপাড়ায়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মোল্লা। তিনি জানান, সকাল ৮টার দিকে মিঠামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের চরপাড়া থেকে ৪০-৫০ জন যাত্রী নিয়ে চামড়াবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রলারটি। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইটনার এলংজুরী বাজারঘাটের পাশে পৌঁছালে ঘুরাতে গিয়ে এটি ডুবে যায়। পরে সব যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠলেও এক নারী ও শিশু রহমতুল্লাহ নৌকার ভিতরে আটকে যায়। শিশুকে উদ্ধারে কার্যক্রম চলছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ট্রলারডুবি: আরও একজনের লাশ উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
বরিশালে ট্রলারডুবি: ৩ জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ১
চাঁদপুরের মেঘনায় সিমেন্টবোঝাই ট্রলারডুবি
কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে চাঁদপুরের কাছে মেঘনা নদীতে সিমেন্টবোঝাই ইশরাক নামে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। বুধবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ট্রলারের মাঝি মোজাম্মেল হোসেন জানান, মুন্সিগঞ্জের মোক্তারপুরে প্রিমিয়ার কোম্পানির কারখানা থেকে ৩১০০ বস্তা সিমেন্ট নিয়ে চাঁদপুর সদরের বাগড়াবাজার যাচ্ছিল ট্রলারটি।
ট্রলারটি মেঘনা নদীর বড়স্টেশন এলাকায় পৌঁছলে ঝড়ের কবলে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারের স্টাফরা সাঁতরে অন্য নৌকার সাহায্যে কুলে উঠতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আব্দুর রশিদ নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের মালিক জহিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় তার প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ডুবে যাওয়া ট্রলার তো আছেই।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর স্থানীয় ডুবুরি দিয়ে ট্রলারটি চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে মেঘনায় প্রচণ্ড স্রোত ও গভীরতার কারণে এটি নদীর নিচ থেকে তুলে নিয়ে আসা অসম্ভব বলে জানিয়েছেন ডুবুরিদল ও সংশ্লিষ্টরা।
পড়ুন: গজারিয়ায় ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ২ জনের লাশ উদ্ধার