দুদক
দুদকের মামলায় পাপিয়া দম্পতির শুনানি ৮ নভেম্বর
ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
বুধবার (৬ অক্টেবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এবং একইসঙ্গে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এ বদলির নির্দেশ দেন।
আলোচিত এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী আট নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় পাপিয়া দম্পতির ২৭ বছর কারাদণ্ড
এদিন আসামি পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
২০২০ সালের ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করেন। তদন্ত শেষে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ প্রতিবেদন জমা দেন। এ বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি দুদক পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেন।
আরও পড়ুন: পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে এ বছরের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্তোরাঁর খাবার, মদ, স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন। যে অর্থের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।
২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরও পড়ুন: পাপিয়া ও তার স্বামী আবারও ১৫ দিনের রিমান্ডে
উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে অস্ত্র মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
এস কে সিনহার দুর্নীতি মামলা: ২১ অক্টোবর পর্যন্ত রায় স্থগিত
ঢাকার একটি বিশেষ আদালত মঙ্গলবার সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এবং অন্য ১০ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ২১ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন।
ঢাকার বিশেষ জজ (কোর্ট-৪) শেখ নাজমুল আলম খান ছুটিতে যাওয়ায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক আলী হোসেন নতুন তারিখ হিসেবে ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
১৪ সেপ্টেম্বর আদালত সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং অন্য ১০ জনের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দায়ের করা দুর্নীতির মামলার রায়ের দিন হিসেবে ৫ অক্টোবর নির্ধারণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী উভয়েই তাদের যুক্তি শেষ করার পর এই আদেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট
এর আগে গত ২৯ অগাস্ট আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে ১১ জন আসামির মধ্যে সাতজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
তারা হলেন ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী, ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীম, প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রাত এবং মো. লুৎফুল হক,সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, মো. শাহজাহান এবং নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।
আরও পড়ুন: সরকার দুর্নীতি মামলা প্রত্যাহারে সুপারিশ করতে পারবে না: হাইকোর্ট
২৪ আগস্ট প্রতিরক্ষা আইনজীবীর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক বেনজীর আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মামলায় প্রায় ২১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদক সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা এবং অন্য ১০ জনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ আহরণ এবং চার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম আদালতে বোমা হামলা: ‘বোমা’ মিজানের মৃত্যুদণ্ড
আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় থানায় জিডি
আড়াই কোটি টাকা আত্মসাত করে লাপাত্তা হওয়া খুলনা জেনারেল হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসের সন্ধান মেলেনি মঙ্গলবারও। এই বিষয়ে খুলনা থানায় সাধারণ ডায়েরী ও দুদকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ। এছাড়া প্রকাশ কুমার যেন পালিয়ে যেতে না পারে সে ব্যাপারে পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
সিভিল সার্জন নিয়াজ মাহমুদ জানান, প্রকাশকে হাসপাতালে আসার জন্য তার ঠিকানা বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রকাশের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার সন্ধান মেলেনি।
আরও পড়ুন: করোনা টেস্টের আড়াই কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপনে টেকনোলজিস্ট
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. হাসান আল মামুন জানান, রাত সাড়ে ১১ টায় প্রকাশের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় জিডি করেছেন খুলনা সিভিল সার্জন। সেখানে করোনা টেস্টের দুই কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাত করায় প্রকাশকে অভিযুক্ত করা হয়। সকালেই জিডির বিষয়টি দুদককে জানানো হয়।
দুদক খুলনা উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান জানান, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের দুই কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অবহিত হয়েছি। অভিযোগটি ঢাকা অফিসকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে
জিডি সূত্রে জানা গেছে, পলাতক প্রকাশ কুমার দাস যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার এগারোখান ঘোড়ানাচ এলাকার মৃত সুরেন্দ্রনাথ দাসের ছেলে। খুলনায় তার ঠিকানা মুজগুন্নী আবাসিকের ১০ নং সড়কের ১২৮ নম্বর বাড়ি। তবে নির্ধারিত ঠিকানায় গিয়ে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে তিনি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তার স্ত্রী মাধবী রানী দাস খুলনার শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের একজন ফার্মাসিস্ট।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ২ শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত
এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক এম বদিউজ্জামান এবং তার স্ত্রী নাসরিন জামানের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত কার্যালয়ে মামলাটি করা হয়।
দুদকের জনসংযোগ কার্যালয়ের উপপরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ইউএনবিকে বলেন, সহকারী পরিচালক সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছন।
মামলার এজাহার সূত্র অনুযায়ী, বদিউজ্জামানের বিরুদ্ধে ১০৩ কোটি টাকা এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা
পুলিশের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের ১০ কোটি টাকার মামলা
কোটি টাকা আত্মসাত: হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়কসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সরকারের এক কোটি ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত সাবেক তত্ত্বাবধায়কসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয় ঢাকার উপসহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান এই মামলা করেন।
আরও পড়ুন: পুলিশের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের ১০ কোটি টাকার মামলা
আসামিরা হলেন—কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের (অবসরপ্রাপ্ত) সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবু হাসানুজ্জামান, ঢাকার মহাখালীর স্বাস্থ্য দপ্তরের সাবেক সহকারী ইঞ্জিনিয়ার (অবসরপ্রাপ্ত) এ এইচ এম আব্দুল কুদ্দুস এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্যারাগন এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জাহেদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: খুলনায় সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদির দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু অভিযুক্তরা পারস্পারিক যোগসাজসে দরপত্র আহ্বানের আগে মেডিকেল যন্ত্রপাতির বাজারদর যাচাই না করে বাজার দরের চেয়ে অধিক দরে কার্যাদেশ দিয়ে সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করেন। এসব সরঞ্জামাদির মূল্য বাবদ সরকারি অতিরিক্ত এক কোটি ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭০ টাকা আত্মসাত করেন তারা।
স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন
রিজেন্ট হাসপাতাল কেলেঙ্কারিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের জনসংযোগ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মুহম্মদ আরিফ সাদেক ইউএনবিকে বলেন, তদন্তের সময় সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। মামলায় প্রাথমিকভাবে আজাদের নাম না থাকলেও তদন্তের পর অভিযোগপত্রে তাঁর নাম যুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা
চুক্তি স্বাক্ষরের পর অনিয়মের মাধ্যমে তিন কোটি তিন লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ একটি মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
আরও পড়ুন: দুদককে সড়ক মন্ত্রণালয়েও তদন্তের আহ্বান কাদেরের
মামলার অন্য পাঁচ আসামি হলেন, রিজেন্ট চেয়ারম্যান শাহেদ,সাবেক ডিজিএইচএস পরিচালক আমিনুল হাসান,উপ-পরিচালক ইউনুস আলী,সহকারী পরিচালক শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম।
দুদককে সড়ক মন্ত্রণালয়েও তদন্তের আহ্বান কাদেরের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তাঁর মন্ত্রণালয়েও তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি। এতে সরকারের পক্ষ থেকে কোন বাধা দেয়া হবে না, কোন দুর্নীতি থাকলে ব্যবস্থা নিন।’
আরও পড়ুন: সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশন গঠনে কাজ হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
বিআরটিসির মত সেবা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি যাতে বাসা বাঁধতে না পারে সে দিকে কঠোর নজর দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে, সুতরাং যে কোন মূল্যে বিআরটিসিকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে বিআরটিসি ছিল দুর্নীতির আখড়া। লোভ- লালসায় যারা বেপরোয়া তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি করে যাচ্ছেন, তাই প্রত্যেক সেক্টরে সতর্ক থাকতে হবে, ওবায়দুল কাদের এ নিয়ে প্রশ্ন রেখে বলেন, জীবনকে উপভোগ করতে কত টাকা, কত সম্পদ দরকার?
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফরের বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভের নিন্দা কাদেরের
মন্ত্রী বলেন, ‘মৃত্যুর পরে তো এ সম্পদ সাথে নিতে পারবেন না, তখন এসব সম্পদের কি হবে?’
দুর্নীতিবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতিবাজদের শাস্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার মো. জহুরুল হক রবিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: দলমত নির্বিশেষে মানুষের পাশে দাঁড়ান: রাষ্ট্রপতি
সাক্ষাতকালে দুদকের চেয়ারম্যান কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এসময় তিনি দুদক অফিসের অবকাঠামো ও জনবল সংকটের বিষয়টি তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘উন্নয়নের এ ধারাকে টেকসই করতে দুর্নীতি প্রতিরোধ খুবই প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: রাজনীতি যেন উল্টো পথে হাঁটছে: রাষ্ট্রপতি হামিদ
তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম যাতে দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সমাজ ও পরিবার থেকে উদ্যোগ নিতে হবে।’
দুদক প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধের পাশাপাশি অপ্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধেও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
সস্ত্রীক কেয়ার চেয়ারম্যানের জামিন, সন্তানদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান ও তাঁর স্ত্রী নাসরিনকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময়ের মধ্যে এ দম্পতির তিন সন্তানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আদালতের আদেশ অমান্য করায় ওসিকে তলব
আগাম জামিন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এদিন আদালতে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ আবদুল খালেক পাঠান, তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক পাঁচটি মামলা করে দুদক।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ২৬৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকের কাছে ৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত
মামলা দায়েরের পরদিনই ১৬ সেপ্টেম্বর আবদুল খালেক পাঠান, তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আজ স্বামী-স্ত্রীকে জামিন ও তিন সন্তানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন।
রাবিতে ভিসি সোবহানের দেয়া ১৩৮ জনের নিয়োগ স্থগিত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান মেয়াদের শেষ দিনের আগের রাতে ৫ মে অ্যাডহক ভিত্তিতে দেয়া ১৩৮ জন শিক্ষক ও কর্মচারীর নিয়োগ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে ছাত্রলীগ শিক্ষক ধাক্কাধাক্কি, সিন্ডিকেট সভা স্থগিত
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি জানান, নিয়োগ স্থগিতের পাশাপাশি আদালত রুল জারি করেছেন। সাবেক এই ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির কারণে ব্যবস্থা না নেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রিটের বিবাদী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, ইউজিসির চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, রাবির ভিসি ও রেজিস্ট্রার এবং অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানকে এ রুলের জবাব দিতে বলেছেন। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা স্থগিত ও দুদককে ভিসির বিষয়ে তদন্ত করে ১৪ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
গত ৩১ আগস্ট কনজুম্যার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: রাবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে গত ৬ মে ছিল অধ্যাপক আবদুস সোবহানের শেষ কর্মদিবস। কিন্তু শেষ দিনে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী পদে ১৩৮ জনকে ‘অ্যাডহক’ (অস্থায়ী) ভিত্তিতে নিয়োগ দেন। তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনার মধ্যে পুলিশ পাহারায় উপাচার্য ভবন ছাড়তে হয়েছিল অধ্যাপক সোবহানকে। এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে সেদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমপি শিমুলের মামলা
একই দিনে ওই নিয়োগের কার্যকারিতা স্থগিত রেখে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মো. আলমগীরকে কমিটির প্রধান করা হয়। এ তদন্ত কমিটি গত ২৩ মে কমিটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়; যেখানে ১৩৮ জনের নিয়োগকে সম্পূর্ণ অবৈধ উল্লেখ করে তা বাতিলের সুপারিশ করা হয়। সেই সঙ্গে সোবহানসহ দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা এবং তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করে ওই তদন্ত কমিটি।