দুদক
দুদকের মামলায় হাইকোর্টে জামিন পাননি হলমার্কের জেসমিন
ব্যাংক থেকে প্রায় ৮৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের জামিন আবেদন মঙ্গলবার খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ জেসমিনের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
আদালতে জেসমিন ইসলামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবীখুরশীদ আলম খান।
এর আগে হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ১০ মার্চ রুল মঞ্জুর করে এ মামলায় জেসমিন ইসলামকে জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। এ জামিনের পর কারামুক্তি পান জেসমিন ইসলাম। পরে আপিল বিভাগ ২০১৯ সালের ১৫ জুন তার জামিন বাতিল করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী আত্মসমর্পণের পর থেকে জেসমিন ইসলাম কারাগারে রয়েছে।
তবে দীর্ঘদিনেও এ মামলায় দুদক চার্জশীট না দেয়ায় ফের হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন জেসমিন ইসলাম। আপিল বিভাগ তার জামিন বাতিল করায় হাইকোর্ট জামিন না দিয়ে তার জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে আপিল বিভাগে যেতে বলেন।
২০১৬ সালের ১ নভেম্বর জেসমিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এই মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদিন। ওই দিন বিকালেই তাকে দুদকের একটি দল রাজধানীর বংশাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন:২৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৭২ বিলিয়ন ডলার
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হল-মার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম এবং তার স্বামী কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ তাদের প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক এবং মীর জাকারিয়াকে ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক সাজিয়ে জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন করপোরেট শাখায় একটি হিসাব খোলেন।
প্রতিষ্ঠান দুটির মাধ্যমে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে কোনো মালামাল আমদানি-রপ্তানি না হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সোনালী ব্যাংক থেকে ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয় মামলায়।
সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় দুদকের করা মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২০১৮ সালের ১১ জুলাই জেসমিন ইসলামকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে। এ মামলায় জেসমিন ইসলাম একই বছরের ৬ অক্টোবর জামিন পান।
আরও পড়ুন:ইউএস-বাংলার ব্যাংকক ফ্লাইটের টিকেট কিনলেই হোটেল ফ্রি
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা বিশ্বব্যাংকের
সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে দুদকের আবেদন
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে দেয়া জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৯ আগস্ট) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে থেকে অনুমতি নিয়ে এ আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এর আগে, ২২ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬- এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে সম্রাটকে জামিন দেন।
এদিন সম্রাটের উপস্থিতিতে মামলায় চার্জগঠন ও জামিন আবেদনের জন্য শুনানির দিন ধার্য ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অসুস্থ সম্রাটকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আদালতে হাজির করেন কারা কর্তৃপক্ষ।
ওইদিন দুপুরে সম্রাটের পক্ষে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী জামিন আবেদনের শুনানি করেন৷
দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক পরবর্তী ধার্য তারিখ পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের ক্ষেত্রে সম্রাটকে কয়েকটি শর্ত দেয়া হয়। শর্তগুলো-তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে, আদালতের অনুমতি না নিয়ে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। এরপর ২৬ আগস্ট দুপুরে হাসপাতাল ছাড়েন ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন সম্রাট
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের নামে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
অভিযোগ আছে, তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ আছে।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এরপর ২২ মার্চ তার বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে আদেশ দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। একই সঙ্গে অভিযোগ গঠনের দিন ঠিক করে মামলাটি এই আদালতে বদলির আদেশ দেন।
ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ আপিল বিভাগে বহাল
দুদকের মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন কারাগারে
চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ ডা. বেগম জেবুননেছার আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী সিভিল সার্জন থাকাকালে একটি এমআরআই মেশিনের বাজারমূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা হলেও চট্টগ্রাম জেনালের হাসপাতাল সেটি কিনে ৬ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকায়। একইভাবে চারটি কালার ডপলার কেনা হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকায়। যদিও এই মেশিনের দাম মাত্র ৯৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ভোলায় শিশু নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, দাদি কারাগারে
তিনি জানান, এভাবে বাজার মূল্যের চেয়ে দুই-তিনগুণ বেশি দাম দেখিয়ে মোট ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন দুদক সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম ১-এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক।
এছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আব্দুর রব, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি) ডা. মো. মইন উদ্দিন মজুমদার, সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. বিজন কুমার নাথ, যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. জাহের উদ্দিন সরকার, মেসার্স আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফারুক হোসেন এবং এএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ।
তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে এ দুর্নীতি হয়েছিল বলে মামলার এজাহারে লেখা রয়েছে। ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জনের পাশাপাশি ওই সময় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ট্রেনে ঢিল ছুঁড়ে যুবক কারাগারে
২৩ লাখ টাকাসহ আটক সার্ভেয়ার কারাগারে
৮ বছরের দণ্ডিত দুদকের এনামুল বাছিরকে জামিন দিল হাইকোর্ট
ঘুষ গ্রহণের মামলায় আট বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এনামুল বাছিরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলায় রায় দেন। রায়ে দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাছিরকে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫(এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
অপরদিকে মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাছিরের দুটি দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে তাকে পাঁচ বছর দ- ভোগ করতে হবে। তবে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় উভয়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও একই ধরনের অভিযোগে দণ্ডিত হওয়ায় এ ধারায় কাউকেই সাজা দেয়া হয়নি।
বিচারিক আদালত থেকে দেয়া এই সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল গত ১৩ এপ্রিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে বিচারিক আদালতের দেয়া ৮০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করেছিলেন উচ্চ আদালত। বিচারাধীন ওই আপিলের সঙ্গে তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন।
২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন মিজান। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন।
এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।
এরপর ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে। অপরদিকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার ডিআইজি মিজানকে এ মামলায়ও গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের একই কর্মকর্তা। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম বিচার শেষে এ মামলায় রায় দেন।
আরও পড়ুন:এনামুল বাছিরের জামিন বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
এনামুল বাছিরের সাজা কেন বাড়ানো হবে না, জানতে হাইকোর্টের রুল
জামিন পাননি দুদকের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিচালক এনামুল বাছির
চট্টগ্রাম বন্দরের মাস্টার অপারেটর ও তার স্ত্রীর হিসাব জমার নির্দেশ দুদকের
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মাস্টার অপারেটর (মেকানিক্যাল ডিভিশন) আজম খান ও তার স্ত্রীকে সম্পদের হিসাব জমা দিতে বলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদকের জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ইউএনবিকে বলেন, এ সংক্রান্ত নোটিশ জারি করা হয়েছে।
নোটিশে তাদের নিজের এবং তাদের নির্ভরশীলদের নামে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ঘোষণার বিবৃতি চাওয়া হয়েছে।
আয়ের উৎস এবং কীভাবে অর্জিত হয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য নোটিশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে দুদকের কাছে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন:খুলনার খাদ্য পরিদর্শক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
খুলনায় গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
গ্রামীণ টেলিকম নিয়ে দুদকের তদন্ত শুরু
জামিন পেলেন সম্রাট
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের অসুস্থতা বিবেচনায় দশ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
জামিনের শর্ত হিসেবে তাকে আদালতে জমা দিতে হবে নিজের পার্সপোর্ট। বিদেশ যেতে হলে নিতে হবে আদালতের অনুমতি।
সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে দশ হাজার টাকা মুচলেকায় ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালত জামিনের শর্ত হিসেবে তার পার্সপোর্ট জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিদেশ যেতে হলে আদালতের অনুমতি নেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
সম্রাটের বিরুদ্ধে করা চার মামলায় এর আগে তিন মামলায় জামিনে থাকায় তার মুক্তিতে কোনো বাধা নেই।
এদিন সকালে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর অসুস্থ বিবেচনায় সম্রাটের জামিন চান তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। অপরদিকে, দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে ১১ আগস্ট সম্রাটের জামিন শুনানি ও মামলার চার্জগঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাট অসুস্থ থাকায় কারা কর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে না পাঠিয়ে কাস্টডি ওয়ারেন্ট (হাজতি পরোয়ানা) পাঠান।
এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তার জামিন শুনানি ও চার্জগঠন শুনানির জন্য ২২ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন:সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ আপিল বিভাগে বহাল
গত ২১ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে সম্রাটের জামিন শুনানি ও মামলার চার্জগঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিনই সম্রাট অসুস্থ থাকায় কারা কর্তৃপক্ষ হাজতি পরোয়ানা পাঠালে বিচারক জামিন ও চার্জগঠন শুনানির জন্য ৬ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন।
গত ২৪ মে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন সম্রাট। অন্যদিকে, দুদকের আইনজীবী তার জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে জামিন শুনানির জন্য ৯ জুন দিন ধার্য করেন। সম্রাটের আইনজীবী তাকে অ্যাম্বুলেন্সে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। আদালত আইনজীবীর আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে পুলিশ পিকআপে করে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১৮ মে দুদক এ মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একইসঙ্গে সাতদিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া জামিন বাতিল চেয়ে গত ১৬ মে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল দুদক। এ মামলায় গত ১১ মে সম্রাটকে জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত।
এ মামলায় জামিন পাওয়ার আগে তার বিরুদ্ধে করা আরও তিনটি মামলায় তিনি জামিন পান। চারটি মামলার সবগুলোতে জামিন পাওয়ায় গত ১১ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএসএমইউ) প্রিজন সেল থেকে কারামুক্তি পান সম্রাট।
রমনা থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গত ১১ এপ্রিল জামিন পান সম্রাট। এর একদিন আগেই ১০ এপ্রিল অর্থপাচার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুটি মামলায় ঢাকার পৃথক আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
সারাদেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন:দুদকের মামলায় ফের কারাগারে সম্রাট
সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ স্থগিত করেননি চেম্বার আদালত
রমনার ওসির বিষয়ে ৩ মাসে অনুসন্ধান শেষ করতে দুদককে নির্দেশ
রাজধানীর রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক রবিবার (২১ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চকে বিষয়টি অবহিত করে।
আদালত দুদককে তিন মাসের মধ্যে এই অনুসন্ধান শেষ করার নির্দেশ দেন।
ওসি মনিরুল ইসলামের রাজধানীতে আট তলা বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদের বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চেয়ে আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের রিট নিষ্পত্তি করে আদালত এ আদেশ দেন।
গত ৫ আগস্ট প্রথম আলোয় ‘ঢাকায় ওসির আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ওসি মনিরুল ইসলামের বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধান নির্দেশনা চেয়ে ১০ আগস্ট রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক।
সেদিন শুনানি নিয়ে আদালত অভিযোগ বিষয়ে রিট আবেদনকারীকে আবেদন দিতে বলেন দুদককে। রিটের শুনানি ২১ আগস্ট পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার (মূলতবি) করেন আদালত। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি ওঠে। অন্যদিকে, ওসির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান নিয়ে রিট আবেদনকারী ১১ আগস্ট দুদকে আবেদন দেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতকে বলেন, ওসির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করার বিষয়ে ১৭ আগস্ট দুদক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর অভিযোগের অনুসন্ধান তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়ে আদালত রিটটি নিষ্পত্তি করে দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক, দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, ওসির পক্ষে আইনজীবী মাহবুব শফিক ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন শুনানিতে ছিলেন।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় আটতলা বাড়ি করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে তাঁর রয়েছে চারটি প্লট। বাড়ি, প্লটসহ এই বিপুল সম্পদের মালিক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম। রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
পড়ুন: ফেনীতে ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা চলবে: হাইকোর্ট
সেলিম চেয়ারম্যানকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
৩৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় চাঁদপুরের বিতর্কিত চেয়ারম্যান সেলিম খানকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বশরীরে হাজির হয়ে রবিবার আগাম জামিনের আবেদন জানালে তাকে আগাম জামিন না দিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আত্মসমর্পণের আদেশ দেন।
আদালতে সেলিম খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফৌজিয়া আক্তার পপি।
দুদকের আইনজীবী ফৌজিয়া আক্তার পপি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সেলিম খান আগাম জামিন আবেদন করেছিলেন। আদালত তাকে জামিন দেননি। তাকে তিন সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ গত ১ আগস্ট সেলিম খানের বিরুদ্ধে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সেলিম খান অবৈধ উপায়ে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জন করে নিজ ভোগদখলে রেখেছেন। এছাড়া তিনি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
আরও পড়ুন: মেঘনায় বালু তুলতে পারবেন না সেলিম চেয়ারম্যান
খুলনায় গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবির সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলী আকবর শেখ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছে।
বুধবার খুলনা দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনার (মহানগর) সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মো. আলী আকবর শেখ খুলনা মহানগরীর পশ্চিম টুটপাড়া, মেইন রোডের আঞ্জুমান মঞ্জিলের বাসিন্দা
বিজন কুমার রায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মো. আলী আকবর শেখ (সাময়িক বরখাস্ত) ও তার স্ত্রী নাজমা আকবরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২১ লাখ ৮২ হাজার ৯৪৩ টাকার অবৈধ সম্পদ গোপন করা এবং মিথ্যা তথ্য প্রদানসহ ৮৮ লাখ ২২ হাজার ৯৭২ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ রয়েছে। এই অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) এবং ২৬(২) ধারা তৎসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পড়ুন: গ্রামীণ টেলিকম নিয়ে দুদকের তদন্ত শুরু
হাজী সেলিমের জামিন আবেদন নথিভুক্ত, আপিলের শুনানি ২৩ অক্টোবর
গ্রামীণ টেলিকম নিয়ে দুদকের তদন্ত শুরু
টাকা আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে সোমবার গ্রামীণ টেলিকমকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের চার সদস্যের তথ্য চেয়ে রবিবার চিঠি পাঠিয়েছে দুদক।
এর আগে দুদক সচিব মাহাবুব হোসেন জানান, গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত শুরু করেছে।
তিনি জানান, অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটিতে তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা হিসেবে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন এবং উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ারকে টিম প্রধান করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার ও নূরে আলম সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন: খুলনার খাদ্য পরিদর্শক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদের চার সদস্যের বিভিন্ন তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ অপব্যবহার, শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের সময় অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফি হিসেবে অবৈধভাবে ছয় শতাংশ কর্তন, শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দের সুদ, অর্থ আত্মসাতসহ অভিযোগের তদন্ত করছে দুদক। অর্থ পাচারের উদ্দেশ্যে কোম্পানি থেকে দুই হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা বিতরণ ও আত্মসাৎ ছাড়াই ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার টাকা বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে।