নিখোঁজ
জাফলংয়ে সাঁতার কাটতে গিয়ে স্কুলছাত্র নিখোঁজ
সিলেটের জাফলংয়ে পিয়াইন নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে এক স্কুলছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পিয়াইন নদীর জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ আল-ওয়াজ আরশ (১৫) কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার শিদলাই গ্রামের জাহেদুল হোসেনের ছেলে এবং ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম শেণির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে নদীতে গোসল করতে নেমে ২ মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ
ট্যুরিস্ট পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরশ তার বাবা, মা ও ছোটভাই মিলে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা থেকে জাফলংয়ে বেড়াতে আসেন। বাবা-ছেলে মিলে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট নদীতে গোসল করতে নামেন।
সাঁতার না জানায় এক পর্যায়ে বাবা ও ছেলে স্রোতের টানে পানিতে ডুবে যাচ্ছেন দেখে লোকজন বাবাকে উদ্ধার করতে পারলেও মুহুর্তে প্রবল স্রোতের টানে ছেলে আরশ তলিয়ে যায়।
স্থানীয় এক নৌকাচালক বলেন, পিয়াইন নদীতে স্রোতে পর্যটক তলিয়ে যাচ্ছে দেখে আমরা নৌকা নিয়ে এগিয়ে যাই। বাবাকে উদ্ধার করতে পেরেছি। কিন্তু ছেলেকে আমরা খুঁজে পাইনি। এছাড়া রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আরশের হদিস পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্তও আরশের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার সন্ধানে প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযান চলছে।
এ ব্যাপারে জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. রতন শেখ বলেন, উদ্ধার অভিযান চলছে।
পুলিশ, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: সিলেটের সাদাপাথরে নিখোঁজের ৪৪ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের সাদাপাথরে নিখোঁজের ৪৪ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের সাদাপাথরে নিখোঁজের ৪৪ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের ধলাই নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ৪৪ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদের উৎসমুখ ভোলাগঞ্জে লাশটি ভেসে ওঠে।
নিহত পর্যটকের নাম আবদুস সালাম (২৩)। তিনি ঢাকার মিরপুর এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ চা শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় নিশ্চিত করেন জানান, এর আগে গত রবিবার (২ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে সাদাপাথর এলাকায় বেড়াতে গিয়ে ধলাই নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজ হন ওই যুবক।
তিনি জানান, পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধারে কাজ করলে প্রায় ৪৪ ঘণ্টা পর তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধারের পর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং বলেন, খবর পেয়ে ঢাকা থেকে আবদুস সালামের চাচা এসেছেন। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে জাহাজ দুর্ঘটনা: ৩ জনের লাশ উদ্ধার
মিরসরাইয়ে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ দুই কিশোরের লাশ উদ্ধার
মিরসরাইয়ে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ দুই কিশোরের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের পাহাড়ে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ দুই পর্যটক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার বড় কমলদহ পাহাড়ি এলাকার রুপসী ঝর্ণার কূপ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস টিম।
নিহতরা নগরীর আকবর শাহ থানার ফিরোজ শাহ কলোনি মোহাম্মদ জামিলের ছেলে মো. আফসার (১৫) একই এলাকার মোহাম্মদ জসীমের ছেলে মো. আরিফ (১৮)।
আরও পড়ুন: সুগন্ধায় জাহাজ দুর্ঘটনা: ২৩ ঘন্টা পর ইঞ্জিনরুম থেকে ১ জনের লাশ উদ্ধার
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কবির হোসেন রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গতকাল শনিবার থেকে দুজন পর্যটক ঝরণায় পড়ে নিখোঁজ ছিল। আজ রাতে তাদের লাশ পাওয়া যায়। লাশ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। পরিবারের লোকজন আসার পর লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ট্রলারডুবির ৫ দিন পর ৫ জেলের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ২
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরীর আকবর শাহ এলাকা থেকে ৯ বন্ধু যায় রুপসী ঝর্ণায়। তারা কূপে গোসল করতে গেলে দুই বন্ধু পানিতে তলিয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তল্লাশি চালিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইমাম পাটোয়ারি জানান, ৯ বন্ধু ঘুরতে এসে তাদের ২ বন্ধু হারিয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে তাদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে নদীতে গোসল করতে নেমে ২ মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ
দিনাজপুরে নদীতে গোসল করতে নেমে ২ মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ
দিনাজপুরের কাহারোলে ঢেপা নদীতে গোসল করতে নেমে দুই মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। রবিবার (২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার কান্তজী মন্দিরের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তাদের সন্ধানে নদীতে অভিযান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
নিখোজ দুই শিক্ষার্থী হলো- জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ পাল্টাপুর গ্রামের মৃত আমিনুল ইসলামের ছেলে মিম ইসলাম (১৫) এবং কাহারোল উপজেলার দ্বীপনগর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম ইসলাম (১৫)। তারা দুজন আলাদা মাদরাসার ছাত্র।
কাহারোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক জানান, রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনবন্ধু ঢেপা নদীর কান্তজী মন্দির প্রান্তে গোসল করতে নামে। এসময় দু'জন স্রোতের টানে গভীর পানিতে তলিয়ে যায়। তৃতীয় বন্ধু তীরে উঠে অন্যদের এখবর জানালে উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।
তিনি বলেন, অবশেষে রংপুর থেকে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি তলব করা হয়। তবে ৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত নিখোজ ছাত্রদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সুনামগঞ্জে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল
ভোলায় ট্রলারডুবির ৫ দিন পর ৫ জেলের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ২
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ট্রলারডুবির পাঁচ দিন পর ৫ জেলের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুর ২টার দিকে বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান খান ও স্থানীয় প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় ট্রলারডুবি: শিশুর লাশ উদ্ধার, মা-ছেলে নিখোঁজ
নিহতরা হলেন – মো. হারুন দর্জী, মো. শরীফ হোসেন, মো. ছাত্তার হাওলাদার, মো. নুর ইসলাম ও ফজলে করিম বারী।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ মাছঘাট সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুন স্থানীয় জাহাঙ্গীর মাঝির ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায় ১৩ জেলে। একদিন পর ২৪ জুন শনিবার সাগরে ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
এতে ১৩ জেলে নিখোঁজ হয়। আজ শুক্রবার সকালে ৬ জেলে সাগর মোহনায় ভেসে আসলে তাদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় জেলে ও আড়তদাররা ট্রলার নিয়ে দুপুর ২টার দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে পাঁচ জেলের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় সাগরে ভেসে থাকা ছয় জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তারা চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া এখনো দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
আহত, নিহত ও নিখোঁজ সকল জেলের বাড়ি জেলার চরফ্যাশনে উপজেলার বিভিন্ন গ্ৰামে। তবে আহত ও নিখোঁজ জেলেদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এঘটনায় নিহত পাঁচ জেলের পরিবারকে ভোলা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান।
উল্লেখ্য, সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ওই জেলেরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ২৪ জেলেসহ ট্রলারডুবি, নিহত ১
ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে মালবাহী ভলগেট ও ট্রলার ডুবি
দুই দিনেও উদ্ধার হয়নি পদ্মায় নিখোঁজ স্কুলছাত্র
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকার পদ্মা নদীতে বর্ষার নতুন পানিতে গোসলে নেমে নিখোঁজ স্কুলছাত্র দুই দিনেও উদ্ধার হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে নানা বাড়ির পাশে পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ক্যানালে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. রবিন মোল্লা (১২)।
রবিন দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট সংলগ্ন সিদ্দিক কাজী পাড়ার মৃত রফিক মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থী নিখোঁজ
বাবার মৃত্যুর পর সে দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট সংলগ্ন কিয়ামদ্দিন মোল্লা পাড়া বা নুরু মন্ডল পাড়ার নানা অহেদ আলী মোল্লার বাড়িতে মা ময়না বেগমের সঙ্গে থাকতো।
এছাড়া রবিন নানা বাড়ির কাছে স্থানীয় বড় সিংড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এদিকে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ষ্টেশন কর্মীদের সঙ্গে মানিকগঞ্জ থেকে আসা ডুবুরি দল মঙ্গলবার দুপুর থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও তার সন্ধান পাননি।
সন্ধান চালাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এক ডুবুরি সদস্য গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে দুপুরে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বুধবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকার পদ্মা নদীর পাড়ে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের দুইজন কর্মী উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জমাদি নিয়ে অপেক্ষা করছেন।
নদীর দুই পাশে স্থানীয় কয়েক’শ নারী-পুরুষ ভিড় করে আছেন। তারা নিখোঁজ স্কুলছাত্র রবিনকে উদ্ধারের অপেক্ষা করছেন।
ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কর্মী মো. রতন বলেন, নিখোঁজ স্কুলছাত্রের সন্ধান চালাতে গিয়ে এক ডুবুরি সদস্য গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশন এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে রবিনের সন্ধান করতে ডুবুরি সদস্য তানভির আহম্মেদ নদীর তলদেশে যান। যার কারণে তার মুখ থেকে অক্সিজেনের মাস্ক খুলে যায়। এসময় আমরা সঙ্কেত পেয়েই তাকে দ্রুত টেনে উদ্ধার করা হয়।
গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিখোঁজ রবিনের ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে, তোড়ে ভেসে আসা বালু-মাটির নিচে চাপা পড়ে যেতে পারে।
তারপরও আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: পদ্মাসেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অটোরিকশা চালক নিখোঁজ
কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ৪৩ ঘণ্টা পর ঢাবি ছাত্রের লাশ উদ্ধার
পদ্মাসেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অটোরিকশা চালক নিখোঁজ
মুন্সীগঞ্জের মাওয়া দিয়ে উল্টোপথে হঠাৎ একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সেতু অতিক্রমের চেষ্টাকালে নিরাপত্তাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে পদ্মায় ঝাঁপ দেন রিকশাচালক। এতে নিখোঁজ হন ওই চালক।
রবিবার (১৮ জুন) রাত ১টা ৫০ মিনিটে ২১ নম্বর খুঁটি থেকে পদ্মায় ঝাপ দিয়ে চালক নিখোঁজের ঘটনাটি ঘটে।
অজ্ঞাত অটোরিকশাচালক নদীতে ঝাঁপ দেয়ার আগে সেতুতে দাঁড়িয়ে থাকা বিকল একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে।
আরও পড়ুন: নাটোরে নিখোঁজের ৬ মাস পর মাটিচাপা ব্যাংক কর্মচারীর লাশ উদ্ধার
এদিকে চালকের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তবে রিকশাটি জব্দ করে পদ্মা উত্তর থানায় রাখা হয়েছে। এদিকে তার সন্ধানে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড নদীতে অভিযান চালাচ্ছে।
জানা যায়, সেতুতে রিকশা প্রবেশ করার বিষয়টি হঠাৎ সেতুর নিরাপত্তাকর্মীদের নজরে এলে অটোচালকের দিকে এগিয়ে যান তারা। তাদের দেখে চালক দ্রুত অটোরিকশাটি চালাতে শুরু করেন।
একপর্যায়ে কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে যান তিনি। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা কাছাকাছি চলে এলে ভয়ে পদ্মা সেতুর ২১ নম্বর পিলার বরাবর পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি।
এ ঘটনার পর থেকেই অটোচালক নিখোঁজ রয়েছেন। ঢাকা থেকে সকালে ডুবুরি দল এসে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন জানান, রাতে সোহেল নামক পদ্মা সেতুর নিরাপত্তাকর্মী আমাদের কল করে এই তথ্য দেন।
তিনি আরও জানান, পরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সকালে ঢাকা থেকে ডুবুরি দল আসে। উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ৪৩ ঘণ্টা পর ঢাবি ছাত্রের লাশ উদ্ধার
বরিশালে কীর্তনখোলা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবে নিখোঁজ ১
গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থী নিখোঁজ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছেন। সোমবার বিকাল পৌনে চারটার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী রেললাইনের কুমারখালীর কয়া গড়াই রেলসেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ তানভীর (২৩) ঢাবির ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বরগুনা জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: মাদরাসার টয়লেট থেকে ছাত্রের লাশ উদ্ধার
ফায়ার সার্ভিস ও কুমারখালী থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাবির ফার্মেসি বিভাগের ১৩ জন শিক্ষার্থী মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরতে আসেন। তারা প্রথমে মেহেরপুরের মুজিবনগর এবং পরে কুমারখালীর লালনের আখড়াবাড়িতে যান। পরে কুমারখালী লাহিনীপাড়া এলাকায় গড়াই নদী রেলসেতুর নিচে তিন বন্ধু নামেন। তারা সাঁতরে গড়াই নদী পার হওয়ার চেষ্টা করেন। ওপারে পার হওয়ার সময় দুই বন্ধু তীরে উঠতে সক্ষম হলেও তানভীর পানিতে তলিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে সেখানে কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন হোসাইন বলেন, ১৩ জনের মধ্যে খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের ছেলেও ছিলেন।
তিনি বলেন, ১২ জন সুস্থ আছেন। তানভির নামের এক ঢাবি শিক্ষার্থী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, তবে এখন পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি।
আরও পড়ুন: নবাবগঞ্জ থানা হাজতের টয়লেটে ঝুলছিল আসামির লাশ
টয়লেটে পড়ে যাওয়া মোবাইল তুলতে গিয়ে মা-ছেলের মৃত্যু
রাজশাহীতে পদ্মায় গোসলে নেমে নিখোঁজ ২ কিশোরের লাশ উদ্ধার
রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ দুই কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে শ্রীরামপুর টি-বাঁধ এলাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি টিম তাদের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন- নগরীর মতিহার থানার মেহেরচন্ডি এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে সারোয়ার সাইম এবং বোয়ালিয়া থানার দরগাপাড়া এলাকার খাজা মইনুদ্দীনের ছেলে রিফাত খন্দকার গালিব। তারা দুইজন রাজশাহী ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়ির স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ জানান, গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ কলেজছাত্র সাইমের লাশ উদ্ধার করা হয় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে। আর দুপুর ১২ টার ঘটনা স্থান থেকে রিফাতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই উদ্ধারের মধ্য দিয়েই উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা হয়েছে। এখন পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে লাশ হস্তান্তর করবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
গালিবের ফুফাতো বোন রিক্তা পারভিন জানান, শনিবার সকালে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের মোট ৯ জন শিক্ষার্থী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মার চরে ফুটবল খেলতে যায়। ফুটবল খেলা শেষ করে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা পদ্মায় গোসল করতে নামেন। পদ্মার কিনারায় নামলেও পরে স্রোতের তোড়ে ওই দুই শিক্ষার্থী দূরে ভেসে যান। এক পর্যায়ে পরে রিফাত খন্দকার গালিব নদীতে ডুবে যান। রিফাত খন্দকার গালিবকে উদ্ধার করতে যায়, তার বন্ধু সারোয়ার সাইম। কিন্তু বন্ধু রিফাত খন্দকার গালিবকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও নদীতে ডুবে যান।
এ সময় অন্য সহপাঠীরাও নদীতে এগিয়ে যায়, কিন্তু স্রোতের কারণে ওরা দুইজন নদীর আরও দূরে চলে যায়। পরে তার অন্য বন্ধু ও সহপাঠীরা তীরে এসে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ‘৯৯৯’-এ ফোন দেন।
এরপর ফায়ার সার্ভিস রাজশাহী সদর দপ্তরের কর্মী ও ডুবুরিরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
রাজশাহীতে পদ্মায় গোসলে নেমে দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিখোঁজ
রাজশাহীর নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার (১০ জুন) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলো- নগরীর মেহেরচন্ডি এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে গোলাম সারোয়ার সাইম (১৭) ও নগরীর দরগাপাড়া এলাকার মৃত খাজা মইন উদ্দিনের ছেলে রিফাত খন্দকার (১৭)। রিফাত ও গোলাম সারোয়ার রাজশাহীর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্র।
আরও পড়ুন: পদ্মায় গোসল করতে নেমে যুবকের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, রাজশাহীর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের চার শিক্ষার্থী বেলা ১১টার দিকে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে। এক সময় তারা পদ্মার গভীর পানির দিকে গেলে সাঁতার না জানায় রিফাত ও সারোয়ার তলিয়ে যায়।
তাদের সঙ্গে থাকা নাসির হাসানসহ দুইজন শিক্ষার্থী পাড়ে উঠে আসে। তারা পাড়ে উঠা আশপাশের লোকজনদের বিষয়টি জানালে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধারে পদ্মায় নামে।
এরই মধ্যে স্থানীয়রা রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে খবর পেয়ে রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে।
পাড়ে উঠে আসা শিক্ষার্থী নাসির হাসান জানায়, তারা চারজন ছিল। গোসল করতে নেমে গভীর পানির দিকে গিয়ে সারোয়ার ও রিফাত তলিয়ে যাওয়ার সময় তারা চেষ্টা করেছে উদ্ধারে। কিন্তু তারাও সাঁতার না জানায় উদ্ধার করতে পারেনি।
রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক ওহিদুল ইসলাম জানান, দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে জোর প্রচেষ্টা চলছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত তল্লাশি করেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: পদ্মায় গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
গোসলে নেমে করতোয়া নদীতে ডুবে কৃষকের মৃত্যু