নিখোঁজ
রাজশাহীতে পদ্মায় গোসলে নেমে নিখোঁজ ২ কিশোরের লাশ উদ্ধার
রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ দুই কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে শ্রীরামপুর টি-বাঁধ এলাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি টিম তাদের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন- নগরীর মতিহার থানার মেহেরচন্ডি এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে সারোয়ার সাইম এবং বোয়ালিয়া থানার দরগাপাড়া এলাকার খাজা মইনুদ্দীনের ছেলে রিফাত খন্দকার গালিব। তারা দুইজন রাজশাহী ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়ির স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ জানান, গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ কলেজছাত্র সাইমের লাশ উদ্ধার করা হয় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে। আর দুপুর ১২ টার ঘটনা স্থান থেকে রিফাতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই উদ্ধারের মধ্য দিয়েই উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা হয়েছে। এখন পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে লাশ হস্তান্তর করবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
গালিবের ফুফাতো বোন রিক্তা পারভিন জানান, শনিবার সকালে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের মোট ৯ জন শিক্ষার্থী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মার চরে ফুটবল খেলতে যায়। ফুটবল খেলা শেষ করে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা পদ্মায় গোসল করতে নামেন। পদ্মার কিনারায় নামলেও পরে স্রোতের তোড়ে ওই দুই শিক্ষার্থী দূরে ভেসে যান। এক পর্যায়ে পরে রিফাত খন্দকার গালিব নদীতে ডুবে যান। রিফাত খন্দকার গালিবকে উদ্ধার করতে যায়, তার বন্ধু সারোয়ার সাইম। কিন্তু বন্ধু রিফাত খন্দকার গালিবকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও নদীতে ডুবে যান।
এ সময় অন্য সহপাঠীরাও নদীতে এগিয়ে যায়, কিন্তু স্রোতের কারণে ওরা দুইজন নদীর আরও দূরে চলে যায়। পরে তার অন্য বন্ধু ও সহপাঠীরা তীরে এসে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ‘৯৯৯’-এ ফোন দেন।
এরপর ফায়ার সার্ভিস রাজশাহী সদর দপ্তরের কর্মী ও ডুবুরিরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
রাজশাহীতে পদ্মায় গোসলে নেমে দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিখোঁজ
রাজশাহীর নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার (১০ জুন) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলো- নগরীর মেহেরচন্ডি এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে গোলাম সারোয়ার সাইম (১৭) ও নগরীর দরগাপাড়া এলাকার মৃত খাজা মইন উদ্দিনের ছেলে রিফাত খন্দকার (১৭)। রিফাত ও গোলাম সারোয়ার রাজশাহীর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্র।
আরও পড়ুন: পদ্মায় গোসল করতে নেমে যুবকের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, রাজশাহীর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের চার শিক্ষার্থী বেলা ১১টার দিকে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে। এক সময় তারা পদ্মার গভীর পানির দিকে গেলে সাঁতার না জানায় রিফাত ও সারোয়ার তলিয়ে যায়।
তাদের সঙ্গে থাকা নাসির হাসানসহ দুইজন শিক্ষার্থী পাড়ে উঠে আসে। তারা পাড়ে উঠা আশপাশের লোকজনদের বিষয়টি জানালে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধারে পদ্মায় নামে।
এরই মধ্যে স্থানীয়রা রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে খবর পেয়ে রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে।
পাড়ে উঠে আসা শিক্ষার্থী নাসির হাসান জানায়, তারা চারজন ছিল। গোসল করতে নেমে গভীর পানির দিকে গিয়ে সারোয়ার ও রিফাত তলিয়ে যাওয়ার সময় তারা চেষ্টা করেছে উদ্ধারে। কিন্তু তারাও সাঁতার না জানায় উদ্ধার করতে পারেনি।
রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক ওহিদুল ইসলাম জানান, দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে জোর প্রচেষ্টা চলছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত তল্লাশি করেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: পদ্মায় গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
গোসলে নেমে করতোয়া নদীতে ডুবে কৃষকের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ ২ শিক্ষার্থীর ১ জনের লাশ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়ায় ঘুরতে গিয়ে গোসলে নেমে পদ্মার স্রোতে ভেসে যান ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষার্থী। শুক্রবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ দুই ছাত্রের একজনের লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল।
হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার সাজন গ্রামের বাসিন্দা সব্যসাচী সৌম্যের (২৯) লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় গোসল করতে নেমে যুবকের মৃত্যু
তবে রাজধানীর ভাটারা থানার বাসিন্দা নিখোঁজ নূরুল হক নাফিউলকে (২৪) উদ্ধারে অভিযান চলছে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. আব্দুল আউয়াল জানান, ইউনিভার্সিটির চারছাত্র ও একজন ড্রাইভারসহ মোট ৫ জন স্পীডবোট যোগে পদ্মা সেতুর ১৬ নং পিয়ারের পাশের চরে ঘুরতে আসে। তারা গোসল করতে নামলে দুই জন নিখোঁজ হয়। বর্তমানে কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন জানান, শুক্রবার সকালে রাজধানীর বাড্ডা থেকে পদ্মাপাড়ে ঘুরতে যান ইউনিভার্সিটির চার শিক্ষার্থী। স্পীড বোটে পদ্মা সেতুর ১৬ নং পিয়ারের পাশের চরে ঘুরতে যান তারা। এ সময় নদীতে গোসল করতে নামলে স্রোতে ডুবে যান দুই শিক্ষার্থী।
লৌহজং ফায়ার সার্ভিস ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে। এছাড়া প্রশিক্ষিত ডুবুরি দল পথে রয়েছে। তারাও এসে উদ্ধার কাজে অংশ নিবেন।
আরও পড়ুন: পদ্মায় গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
২৫ দিন পর নিখোঁজ তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধার: অপহরণকারী দলের ২ সদস্য গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে অপহৃত হওয়া তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫। বুধবার (২৪ মে) টেকনাফ হাবিবছড়া গাহীন পাহাড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- ছৈয়দ হোসন ওরফে সোনালী ডাকাত (৩৫) ও এমরুল।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বেলা ১২ টার দিকে র্যাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
তিনি জানান, তারা তিন বন্ধু মিলে টেকনাফ পাত্রী দেখতে গেলে গাড়ি থামিয়ে তাদের অপহরণ করা হয়। পরে তাদের পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
ভুক্তভোগী পরিবার বিষয়টি র্যাবকে অবগত করলে অভিযানে নামে র্যাব। র্যাব তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী টেকনাফ দমদমিয়া এলাকার গহীন পাহাড় থেকে তিন বন্ধুর লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। লাশগুলো ছিল অর্ধগলিত। এছাড়া তিন বন্ধুর লাশ নিশ্চিহ্ন করতে অপহরণকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি আরও জানান, লাশগুলো যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে মানুষের সমাগম নেই। ডাকাত দলের লোকজন বারবার সিম পরিবর্তন করার কারণে তাদের শনাক্ত করতে সময় লেগেছে।
র্যাবের অধিনায়ক জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন যে তারা দীর্ঘদিন ধরে এই কাজে জড়িত। বিত্তশালীদের টার্গেট করে এসব অপহরণ করতেন। দিনে এই চক্রের সদস্যরা লোকালয়ে এসে সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে থাকতো, আর রাতে পাহাড়ে গিয়ে অপহৃতদের নির্যাতন করতো। যারা টাকা দিতে ব্যর্থ হয়তাদের খুন করে মাটিতে পুঁতে রাখা হতো।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ২৫ দিন পর নিখোঁজ ৩ বন্ধুর লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবিতে নিহত ১, উদ্ধার ১৩
কক্সবাজারে ২৫ দিন পর নিখোঁজ ৩ বন্ধুর লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে নিখোঁজ তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ মে) দুপুর ১ টার দিকে তাদের লাশের সন্ধান পেয়ে সেখানে যান র্যাব ও পুলিশের দুটি দল।
নিহতরা হলেন- ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউছুপ, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রুবেল এবং কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, টেকনাফ দমদমিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অপহৃত তিন বন্ধু গত মাসের ২৮ এপ্রিল টেকনাফে পাত্রী দেখতে আসে। পথিমধ্যে সড়ক থেকে তাদের বহনকারী সিএনজি থামিয়ে একদল অপহরণকারীরা পাহাড়ের গহীন জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে তাদের ছেড়ে দিতে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে নির্যাতনের ভিডিও পাঠায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবিতে নিহত ১, উদ্ধার ১৩
ঘটনার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি সংস্থায় যোগাযোগ রক্ষা করে। কিন্তু গহীন জঙ্গল এবং অপহরণকারীরা বার বার স্থান পরিবর্তন করায় উদ্ধার এবং কাউকে আটক করা যায়নি।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করে র্যাব। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ এবং র্যাবের কয়েকটি টিম গভীর পাহাড়ে অভিযান শুরু করেছে। আটককৃত অপহরণকারীর দেখানো মতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সমুদ্রে নেমে আরও এক পর্যটক নিখোঁজ
কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
নাটোরে নিখোঁজের ৬ মাস পর মাটিচাপা ব্যাংক কর্মচারীর লাশ উদ্ধার
নাটোরের সদরে অপহরণকারী চক্রের শিকার ছয় মাস পর ব্যাংক কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে উপজেলার রুয়েরভাগ এলাকায় অভিযুক্ত তারেকের বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশের যৌথ টিম।
নিহত সাজ্জাদ হোসেন রুবেল সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের নাটোর শাখার কর্মচারী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা আক্তার নেলী জানান, গত বছরের ১১ নভেম্বর সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র অপহরণ করে রুবেলকে। ওই রাতেই তারেক ও তার সহযোগী হৃদয় রুবেলকে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দেয়। হত্যার পরও তারা মুক্তিপণ হিসেবে রুবেলের পরিবারের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা আদায় করে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিসিএস পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, এরপর আর সাড়া না পেয়ে রুবেলের বাবা রফিজ উদ্দিন নাটোর থানায় মামলা করে। কিন্তু কোনো সূত্র না পেয়ে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
অন্য একটি অপহরণ মামলায় গত মঙ্গলবার নোয়াখালীর মাইজদী থেকে অপহরণ ও সমকামী চক্রের দুই সদস্য তারেক ও হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে ঢাকার দক্ষিণখান থানা পুলিশ।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ওই হত্যার পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদে বেড়িয়ে আসে নাটোরের ব্যাংক কর্মচারী রুবেল হত্যার রহস্য। দক্ষিণখান থানা পুলিশ ও নাটোরের ডিবি পুলিশ অভিযুক্তদের সঙ্গে নিয়ে রুবেলের লাশটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিখোঁজের ২ দিন পর পথশিশু সাথীর লাশ উদ্ধার
বরিশালে নিখোঁজের ২ দিন পর পথশিশু সাথীর লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের দুই দিন পর বরিশালের কীর্তনখোলা নদী থেকে পথশিশু সাথীর (১২) লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা নৌ-পুলিশ।
শনিবার (২০ মে) সকাল ৮টার দিকে বরিশাল নদী বন্দরের লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল।
তিনি জানান, সকালে নিখোঁজ পথশিশু সাথীর লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে নৌ-পুলিশের একটি দল গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিখোঁজের ৪দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
ওসি আব্দুল জলিল বলেন, সকাল থেকে সাথীর খোঁজখবর নিতে কেউ আসেনি। তবে তার পরিবারের লোকজনকে খোঁজার চেষ্টা চলছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকালে বরিশাল লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কীর্তনখোলা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় সাথী।
আরও পড়ুন: বরিশালে লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নদীতে পড়ে পথশিশু নিখোঁজ
চাঁদপুরে নিখোঁজের ৪দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নিখোঁজের চারদিন পর গর্তে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার রুদ্রগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আদিল মাহমুদ সোহান (৮) ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিজ বাড়ির দুইশ’ গজ দূরে একটি পরিত্যক্ত জমিতে নিখোঁজ শিশুটির লাশ দেখতে পায় এক বৃদ্ধ নারী। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এর আগে গত ১৫ মে সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির সামনের মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয় সোহান। খোজাখুঁজি করে না পাওয়ায় এ ঘটনার পরদিন, ১৬ মে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নিখোঁজ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ওসি আরও বলেন, হত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
চাঁদপুরে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ৪
বরিশালে লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নদীতে পড়ে পথশিশু নিখোঁজ
বরিশাল নদী বন্দরে দোতলা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কীর্তনখোলা নদীতে এক পথশিশু পড়ে নিখোঁজ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
লঞ্চঘাটের এক পথশিশু চাঁদনী জানায়, আমি, আসলাম, জনি ও সাথী পন্টুনের পাশে বসে ছিলাম। হঠাৎ করে পেছন থেকে নাইম এসে সাথী ও আসলামকে ধাক্কা দেয়।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবি: বরসহ এখনও নিখোঁজ ৪
এ সময় আসলাম সাঁতার কেটে উঠে। কিন্তু সাথী সাঁতার না জানায় ডুবে যায়। আমরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। কিন্তু সাথীকে আর পাওয়া যায়নি।
লঞ্চঘাটের আরেক পথশিশু আসলাম জানায়, আমরা পন্টুনে বসে দুষ্টুমি করছিলাম, এ সময় পেছন থেকে কে যেনো ধাক্কা দেয়। আমি নদীতে পড়ে গেলে সাঁতার কেটে উপরে উঠি।
নদীতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া শিশুর নাম নাইম (১৩)। তার বাবা অজ্ঞাত। সে ৫নং ওয়ার্ডের পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা।
নিখোঁজ পথশিশু সাথী আক্তারের (১২) বাড়ি ঢাকায় বলে জানা গেছে। সে বরিশাল নদী বন্দরে থাকত।
সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জলিল বলেন, স্থানীয়ভাবে আমরা বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেই।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিখোঁজ শিশুকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
বরিশাল নদীবন্দর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. এনামুল হক সুমন জানান, আমাদের ফায়ার সার্ভিসের একটি দল শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ৫ দিন ধরে নিখোঁজ মাদরাসা ছাত্র
নাসিরনগরে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে ৫ দিন ধরে নিখোঁজ মাদরাসা ছাত্র
সিরাজগঞ্জে পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ মাদরাসা ছাত্র ইয়াসিন মোল্লা। মঙ্গলবার (৯ মে) বিকালে মাদরাসা থেকে জানানো হয় যে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ইয়াসিন মোল্লা (১২) বেলকুচি উপজেলার বড়ধুল গ্রামের আব্দুল আজিজ মোল্লার ছেলে ও উপজেলার শেরনগর শাহী মাদরাসার ছাত্র। ইয়াসিন মোল্লা কোরআনের হাফেজ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ, অবশেষে থানায় মামলা
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটি শেষে ওই মাদরাসায় চলে যায় হাফেজ ইয়াসিন। এর মধ্যে একবার সে বাড়িতে আসে এবং আবার মাদরাসায় চলে যায়।
মঙ্গলবার বিকালে মাদরাসা থেকে জানানো হয় ইয়াসিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলছেন, এ বিষয়ে এখনও থানায় অবহিত করা হয়নি। তবে বিষয়টি জানানো হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবি: বরসহ এখনও নিখোঁজ ৪
তেঁতুলিয়া নদীতে ট্রলারডুবে নিহত ১, নিখোঁজ ৪