মন্ত্রিসভা
আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২৩-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন
বিদ্রোহ সংঘটন ও প্ররোচনাসহ বিভিন্ন অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আনসার ব্যাটালিয়ন আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রস্তাবিত আইনে আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যদের অভ্যন্তরীণ অপরাধ বিচারের জন্য দুটি আদালত থাকবে।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, একজন অতিরিক্ত পরিচালকের নেতৃত্বে ‘সামারি আনসার ব্যাটালিয়ন কোর্ট’ এবং অন্যটি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ‘স্পেশাল আনসার ব্যাটালিয়ন কোর্ট’।
তিনি বলেন, ‘বিদ্রোহ করা, বিদ্রোহের জন্য প্ররোচিত করা, বিদ্রোহের ক্ষেত্র তৈরি করা, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার মতো গুরুতর অপরাধের বিচার স্পেশাল আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতে করা হবে। এই ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।’
এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে ন্যূনতম পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তিমূলক বিধান সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুতর অপরাধের বিচার হবে স্পেশাল আদালতে।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে খসড়া আইনের নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন মন্ত্রিসভায়
সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে চারটি ধারার অপরাধকে জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে।
অপরাধগুলো হলো- গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে অনুপ্রবেশ, কম্পিউটার ও কম্পিউটার সিস্টেমের ক্ষতি, সাইবার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং হ্যাকিং সম্পর্কিত অপরাধ।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বদলে হচ্ছে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’
সোমবার (২৮ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
খসড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনটি বর্তমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- ২০১৮ এর স্থলে প্রতিস্থাপন করার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা সংশোধনে সাংবাদিকরা খুশি হবেন: আইনমন্ত্রী
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, খসড়া আইনে চারটি ধারার অপরাধ জামিন অযোগ্য এবং বাকি ধারার অপরাধ জামিনযোগ্য রাখা হয়েছে। চারটি ধারা হলো- ১৭, ১৯, ২৭ ও ৩৩ ।
এনআইডি নিবন্ধন ইসি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরের খসড়া বিল মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগে স্থানান্তর করতে মন্ত্রিসভা সোমবার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সভা শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের অধীনে হবে।’
তিনি বলেন, জন্মের পরপরই যে কোনো নাগরিকের জন্ম সনদ বা একটি অনন্য নম্বর পাওয়ার অধিকার থাকবে, যা অপরিবর্তিত থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের নিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: জন্মনিবন্ধন, এনআইডি ও পাসপোর্টে হবে একই নম্বর: মন্ত্রীপরিষদ সচিব
তবে প্রস্তাবিত আইনটি সংসদে পাস হওয়ার পরপরই কার্যকর হবে না। বরং সরকার এর কার্যকারিতার জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
ইসি বর্তমানে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ অনুযায়ী ২০০৭ সাল থেকে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শরীয়তপুর আইন-২০২৩, ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০২৩, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট-২০২৩ এবং সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০২৩-এর খসড়াও মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে।
সভায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (২য় সংশোধন) আইন-২০২৩ এবং ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট অব ডিসএবলড পারসনস অ্যাক্ট-২০২৩-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়াও, মন্ত্রিসভা হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য সেফ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অব শিপস, ২০০৯- অনুমোদনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: এনআইডি অনুবিভাগ ইসি’র অধীনে রাখাসহ দাবি আদায়ে সময় বেঁধে দিলেন কর্মকর্তারা
স্মার্ট এনআইডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করার উপায়
মজুত বিরোধী নতুন আইন অনুমোদন মন্ত্রিসভায়, অপরাধীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রস্তাব
প্রস্তাবিত আইনে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে মন্ত্রিসভা ‘খাদ্য পণ্যের উৎপাদন, সঞ্চয়, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাক্টিভিটি) আইন, ২০২৩’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে।
সোমবার রাজধানীর সংসদ ভবনের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
খসড়া আইনে প্রধানত ধান, চাল, গম, আটা ও ভুট্টার মতো খাদ্যশস্য উৎপাদন, সঞ্চয়, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিপণন ও বিতরণ সংক্রান্ত অপরাধ চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী সেসব অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নতুন আইনটি দুটি পুরানো আইনের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে- খাদ্য (বিশেষ আদালত) আইন, ১৯৫৬ এবং খাদ্যশস্য সরবরাহ (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাক্টিভিটি) অধ্যাদেশ, ১৯৭৯।’
মানসম্পন্ন দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড আইন, ২০২৩-এর খসড়াও অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বোর্ড থাকবে, যার চেয়ারম্যান থাকবেন এবং ১৯ সদস্যের একটি গভর্নিং বডি বোর্ড পরিচালনা করবে।
তিনি বলেন, বোর্ডের প্রধান কাজ হবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, চিকিৎসা সেবা এবং মানসম্পন্ন দুধের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে গৃহপালিত পশু পালনে পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা।
ঋণখেলাপি রোধে মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন
মন্ত্রিসভা ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের ঠেকাতে ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০২৩-এর খসড়া অনুমোদন করেছে।
খসড়া আইনের অধীনে, একটি পরিবারের সর্বোচ্চ তিন সদস্য (বর্তমান চার সদস্যের পরিবর্তে) একটি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এখন ব্যাংকিং কার্যক্রম ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর অধীনে পরিচালিত হয়।
সভা শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসেন খান বলেন, আইনটিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে এর সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এলএনজি, সার ও মসুর ডাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন মন্ত্রিসভায়
তিনি বলেন, ‘যারা ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি তাদের সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।’
পদক্ষেপের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সচিব বলেন, ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে এবং এর দ্বারা বিদেশ যাওয়া, ট্রেড লাইসেন্স প্রদান (তাদের বিরুদ্ধে) এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ও ফার্মের নিবন্ধন নিষিদ্ধ করতে পারে।
এছাড়া, ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকা থেকে বাদ পড়ার পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হওয়ার যোগ্য হতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।
কোনও ব্যাংকের কোনও পরিচালক ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি হলে বাংলাদেশ ব্যাংক তার পদ শূন্য ঘোষণা করতে পারে।
সচিব বলেন, কোনও ব্যাংক ঋণখেলাপিদের তালিকা যথাসময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে ব্যর্থ হলে ওই ব্যাংককে ৫০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা জরিমানা করা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন বিলম্বের জন্য ব্যাংককে অতিরিক্ত এক লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী একটি পরিবারের সর্বোচ্চ চার সদস্য যেকোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারলেও, এখন তা তিনজনে নামিয়ে আনা হয়েছে।
খসড়া আইনে সংযোজিত একটি নতুন বিধান অনুযায়ী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য ব্যাংক পরিচালক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের অবশ্যই জামানত, বন্ড বা জামানত দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক যাতে আইনের অধীনে পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ফাউন্ডেশন নিয়মিত পরিদর্শন করতে পারে সেজন্য এখানে একটি বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না: মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন
আয়কর আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না: মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন
নিবন্ধিত চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ করে ওষুধ ও প্রসাধনী আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘খসড়া আইন অনুযায়ী, কোনো নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করা যাবে না এবং এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।’
তিনি বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি করলে ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
আরও পড়ুন: ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়গুলো প্রস্তাবিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, কারণ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) প্রতিরোধ এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
মাদক আইন, ১৯৪০ এবং ওষুধ (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৮২- হলো দুটি মাদক আইন।
কিন্তু দুটি আইন শুধুমাত্র ওষুধের বিষয়কে কেন্দ্র করে, প্রসাধনী নয়।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনে প্রসাধনীর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
প্রস্তাবিত আইনে প্রায় ৩০ ধরনের অপরাধের উল্লেখ করা হয়েছে এবং নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরির পাশাপাশি ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরির মতো বিভিন্ন অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, খসড়া আইনে ওষুধ, ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা ডিভাইসের উন্নয়নসহ কিছু নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে ওষুধের সমস্যার ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে।
মাহবুব বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী কিছু ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার।
বৈঠকে পাইরেসি রোধে শাস্তিমূলক বিধান রেখে কপিরাইট আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোগীর প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
খসড়া আইন অনুমোদন: ওষুধ সংক্রান্ত অনিয়মে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড
আয়কর আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
মন্ত্রিসভা নীতিগতভাবে আয়কর আইন-২০২৩-এর খসড়া অনুমোদন করেছে। এই আইনে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে আয়কর কর্মকর্তার কর নির্ধারণের ক্ষমতাকে রোধ করা হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয় বলে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন।
খসড়ার মূল বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আয়কর কর্মকর্তারা তাদের ইচ্ছানুযায়ী আয়কর নির্ধারণ করতে পারবেন না এবং আইন দ্বারা নির্ধারিত সূত্র অনুযায়ী আয়কর নির্ধারণ করা হবে।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের মধ্যে অন্যতম ছিল সামরিক শাসনের সকল আইন এবং ইংরেজীতে যেসব আইন আছে সেগুলো পরিবর্তন করে যুগোপযোগী করা। সে কারণেই অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এই আইনের খসড়া তৈরি করেছে বলে জানান মাহবুব।
প্রকৃতপক্ষে, ইংরেজিতে বিদ্যমান আইনটিকে বাংলায় রূপান্তরিত করা হয়েছে এবং কিছু সংযোজন সহ সরলীকৃত করা হয়েছে। এছাড়া কিছু জটিল ও অস্পষ্ট ভাষা বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া আইনে আয়কর কর্মকর্তার বিবেচনার ক্ষমতা সীমিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আয়কর মেলা শুরু, রিটার্ন জমা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এই আইনে ৩৪৮টি ধারা রয়েছে এবং ব্যবসায়ীরা সহজেই তাদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।’
করদাতাদের তাদের কর নির্ধারণে সহায়তা করার জন্য এই আইনে একটি গাণিতিক সূত্র চালু করা হয়েছে। এর ফলে করদাতারা সহজে তাদের কর পরিশোধ করতে পারবেন।
এই আইন করদাতাদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে সাহায্য করবে।
এছাড়া এজেন্সি টু ইনোভেট (A2i) আইন-২০২২ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মাহবুব বলেন, আইন অনুসারে, তথ্য প্রযুক্তি খাতে সরকারের উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্য একটি সংস্থা গঠন করা হবে। এটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং এর বাস্তবায়নে কর্মসূচি গ্রহণে সহায়তা করবে। সংস্থাটি ১৫ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে গঠিত হবে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন, যা স্বায়ত্তশাসিত হবে।
তিনি বলেন, ‘এছাড়াও, সংস্থাটি একটি নীতিমালা তৈরি করবে এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করবে।’
মাহবুব আরও বলেন, ‘২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিসভার গৃহীত প্রায় ৬৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই সময়ে মন্ত্রিসভার ছয়টি বৈঠকে ৯০টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং ৬১টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং বাকি ২৯টি সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন চলছে।
এই সময়ের মধ্যে, মন্ত্রিসভা দুটি নীতি এবং ১১টি চুক্তি বা প্রোটোকল অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে ‘আয়কর মেলা’ শুরু
জাতীয় আয়কর দিবস শনিবার
কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণে নীতিমালা অনুমোদন মন্ত্রিসভার
কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ যৌক্তিক দাম নির্ধারণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে বিপণন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং কৃষকদের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা জাতীয় কৃষি বিপণন নীতি, ২০২৩-এর খসড়া অনুমোদন করেছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘কৃষি পণ্যের বিপণন ব্যবস্থার আধুনিকায়নের লক্ষ্যে কিছু লক্ষ্য ও লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্ত করে নীতিটি তৈরি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, নীতিমালায় কৃষিপণ্যের বাজার কীভাবে মনিটরিং করা যায় এবং কৃষকদের সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়া যায় তার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নীতি অনুসারে নেয়া অন্যান্য পদক্ষেপগুলো হলো- কৃষক ও বাজারের মধ্যে সংযোগ বাড়ানো, তথ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা, বিপণন অবকাঠামোর উন্নয়ন, ডিজিটাল বাজারের প্রচার, গ্রুপভিত্তিক, গোষ্ঠীভিত্তিক ও চুক্তিভিত্তিক বিপণনকে শক্তিশালী করা, ই-কৃষি বিপণনের প্রচারের অন্তর্ভুক্ত সিস্টেম এবং ডিজিটাল বাজার এবং সামগ্রিক সরবরাহ চেইন উন্নয়ন করা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নীতিমালা অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ খাতের আধুনিকীকরণ, পণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা এবং প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে একটি কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যের বাজার বিশ্বব্যাপী তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা পণ্য ব্যবহার করে এবং বিদেশি লোকেরাও পণ্যগুলোর প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী পাটজাত পণ্যকে কৃষি পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, পাট খাতকে কৃষি খাতের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ৯০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভার ক্রয় কমিটি
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, পাটজাত পণ্যকে শিল্প পণ্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। কিন্তু এখন পাটের আঁশের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পণ্যের জন্য একটি বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তাই, এখন এই বিশাল সম্ভাবনা উন্মোচন করতে পাটজাত পণ্যকে কৃষি পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
শরীয়তপুরে দেশের নবম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২৩-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনও দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এটি বর্তমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি ইনস্টিটিউট হবে।’
এছাড়াও, মন্ত্রিসভা একটি বিদ্যমান অধ্যাদেশ প্রতিস্থাপনের জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৩-এর খসড়া অনুমোদন করেছে, যা সরকারকে গণশুনানি ছাড়াই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার পথ প্রশস্ত করেছে।
২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২’- বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন-২০০৩ সংশোধন করে জারি করা হয়েছিল।
গত ৫ জানুয়ারি সংসদে নতুন অধ্যাদেশ পেশ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘এই অধ্যাদেশ এখন আইনে পরিণত হচ্ছে। এখানে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। এটি অধ্যাদেশের মতোই।’
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে জনগণের কাছে যান, জ্বালানি বিভাগকে মন্ত্রিসভা
মন্ত্রিসভায় পারিবারিক আদালত আইনের খসড়া অনুমোদন
বিইআরসি ছাড়াই জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ করবে সরকার, মন্ত্রিসভায় সংশোধনী অনুমোদন
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন(বিইআরসি) অধ্যাদেশ-২০২২-এর একটি সংশোধনী অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। যাতে কমিশনের গণশুনানি এবং সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা না করে বিশেষ পরিস্থিতিতে নিজস্বভাবে জ্বালানি শুল্ক নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারকে দেয়।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বাড়ছে না: বিইআরসি
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিইআরসি শুল্ক হার নির্ধারণের বিষয়ে পর্যালোচনা এবং সিদ্ধান্ত নিতে ৯০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারে এবং এটি একটি দীর্ঘ সময়। সংশোধনীটি করা হচ্ছে যাতে সরকার এখনকার মতো পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে জ্বালানি মূল্য নির্ধারণ করতে পারে।
বৈঠকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় জ্বালানি ও জ্বালানি আমদানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিইআরসি বাল্ক বিদ্যুতের শুল্কের রিভিউ আপিলের রায় দিবে সোমবার
পাইকারি পর্যায়ে অপরিবর্তিত থাকবে বিদ্যুতের দাম: বিইআরসি
মাদার অব হিউম্যানিটি পদকের নাম পরিবর্তন
‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক’-এর নাম বদলে ‘জাতীয় মানব কল্যাণ পদক’- নির্ধারণ করেছে মন্ত্রিসভা।
পদকটির নাম পরিবর্তন করে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালা’র নাম সংশোধনসহ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
রবিবার মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এর আগে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন:নওগাঁ ও মেহেরপুরে ২টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালার নাম সংশোধনের একটা প্রস্তাব ছিল। এর আগে যখন পুরস্কার দেয়া হয়েছিলো তখন জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্যরা বলেছিলেন, এই নামটা পরিবর্তন করা দরকার। সেজন্য তারা তিনটি নাম প্রস্তাব করেন, রবিবার মন্ত্রিসভা আলাপ-আলোচনা করে এটার নাম পরিবর্তন করে ‘জাতীয় মানব কল্যাণ পদক-২০২২’ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে মাদার অব হিউম্যানিটি পুরস্কার হিসেবে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছিলো। আজকে মন্ত্রিসভা এটাকে পরিবর্তন করে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন:জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে জনগণের কাছে যান, জ্বালানি বিভাগকে মন্ত্রিসভা
মন্ত্রিসভায় পারিবারিক আদালত আইনের খসড়া অনুমোদন